১।
সাময়িক জর্মন প্রবাসী হয়রানাবীরের বিবাহ হল সেই গত বছর। স্বামীপ্রবর তো গবেষণা নিয়েই ব্যাস্ত, ওইদিকে তার বৌয়ের ‘নাই কাজ তো খই ভাজ’ অবস্থা। এখন সে রাত-বিরাতে বিবাহানুষ্ঠানের এটেন্ডেন্স খাতা নিয়ে রোলকলে ব্যাস্ত। কালকে রাত সাড়ে তিনটায় হঠাত আমারে জিজ্ঞাসা করে আমি তাদের বিয়াতে গেছি কিনা। আমার নাকি ফোটুক পাওয়া যাচ্ছে না। বললাম- ৯ মাস আগের কথা তো আমারই মনে নেই। কাহিনি এইখানে শেষ হইলে সমস্যা ছিলনা- কিন্তু, ‘৯ মাস’ কথাটা মনের মধ্যে আটকায় গেল। শাহবাগী নাস্তিক ব্লগার তো, ৯ মাস শুনলেই আগে খালি মুক্তিযুদ্ধ মনে পড়ে। ৩০ শুনলে মাসের আগে লাখের হিসাব মাথায় আসে। ৭ শুনলে ভাগ্যের আগে মার্চের কথা মাথায় আসে। ১৪ কিংবা ২৫ শুনলে... নাহ, থাক- মাথা গরম হয়ে যাবে।
একটা দেশ ছিল যেখানে সবাই ছিল চোর। প্রতি রাতে সবাই চাবির গোছা আর লন্ঠন নিয়ে বের হত চুরি করতে এবং প্রতিবেশীর বাড়িতে এমনভাবে চুরি করত যেন একটা আলপিনও বাদ না থাকে। চুরি করতে কোন অসুবিধাই হতনা। কারণ সবাই যে চুরি করতে বাড়ির বাইরে!চুরি টুরি করে সবাই যখন বস্তা ভর্তি চুরির মাল নিয়ে সকাল বেলা বাড়ি ফিরত দেখা যেত তাদের নিজেদের বাড়িও পুরো খালি হয়ে গেছে!
তোমাকে খুঁজতে গিয়ে সেই কবে
নিজেকে হারিয়ে ফেলেছি
বুনো শালিকের কাফেলায়,
অথচ পঙ্খি সুমারিতে আমি এক
নতজানু কাকতাড়ুয়া
ধ্যানমগ্ন ধানের সবুজ পাতায় পড়ে থাকি
শিশিরের জলপাট্টি হয়ে।
তোমাকে খুঁজতে গিয়ে সেই কবে
নিজেকে হারিয়ে ফেলেছি
সময়ের এক অচেনা স্রোতধারায়
অথচ বেঁচে থাকার তাড়নায়
স্রোতহীন এক সাগরে ভেসে যাচ্ছি
উদ্দেশ্যহীন বেদনায়।
ঝাঁ চকচকে সুন্দর একটা সকাল। ঝিরিঝিরি বাউরী হাওয়ায় তিরতির করে কাঁপছে গাছের পাতাগুলি। যেন কি এক আনন্দযজ্ঞে মেতে আছে সমস্ত প্রকৃতি! এমন একটা সকাল নিয়ে যেকোনো যুবক দিব্যি দু-চার লাইন কবিতা আওড়ে যেতে পারে বা গুনগুনিয়ে গাইতে পারে রোম্যান্টিক কোনো গান!
আঁকাআঁকির হাত আমার কোনোকালেই ছিল না। ফুল, পাখি, বাড়িঘর কিংবা গ্রামের দৃশ্যাবলী কোনোদিনই আঁকা হয় নি। খুব ছেলেবেলায় গ্রামের যে স্কুলে পড়েছি, সেখানে আঁকাআঁকির কোনো বালাইও ছিল না। কিছুদিন আগে ফেসবুকে ‘বিটস্ট্রিপ’ খুব জনপ্রিয় হলো। সবাই নিজ নিজ কার্টুন অবতার এঁকে ফেললো। তার সাথে আরো কতো মজাদার সব সংলাপ। ভাবলাম আমিও একটা এঁকে ফেলি। সোনম কাপুরকে নিয়ে ‘বিটস্ট্রিপ’-এ চড়ে একটা ড্রিম ডেটে যাই। চোখ, মুখ
এই বইটার দ্বিতীয় অংশ নিয়ে আলোচনা শুরু করতে অনেক দেরি হয়ে গেল। জীবন যাপনের গ্লাণি, অবসাদ, আলস্য, অনেক কিছুই এর কারণ। যাই হোক প্রারব্ধ কাজটা এই বেলা সেরে নেয়া যাক। সঞ্জীবের ভ্রমণসমগ্রের দ্বিতীয় বইটি নিছক ভ্রমণ কাহিনী নয়। এতে আছে বিশ্বরাজনীতির কূটকচালবর্জিত সার-সংক্ষেপ, মায়া সভ্যতার নানান বিস্ময়, স্প্যানিশদের দক্ষিণ আমেরিকায় জবরদখল, লুঠতরাজ ও বর্বরতা আর সর্বোপরি আছে লেখকের আশ্চর্য সারল্য ও নিজেকে নিয়
ইন্টার্ন ভাইয়া বলে যাচ্ছেন, ''আমার ডিউটি সেদিন ছিল ট্রমা সেন্টারে। দুপুরের দিকে একজন পেশেন্ট আসলো। রোগীর সাথে দুইজন লোক। একজন দেখলাম তেমন কথা বলছে না, তবে চোখে দিশেহারা ভাব, অন্যজন বকবক করেই যাচ্ছে।। বিশাল জ্ঞানী। অন্য লোকটাকে বলছে, ''কি রকম রক্ত পড়ছে দেখছেন?
১.
সার্জারি ওয়ার্ড এ ইন্টার্ন করছি। এক মুরুব্বী রোগী ভর্তি , সত্তরের উপরে বয়স, যার কাছে ফলো-আপ দিতে গেলেই সকাল বিকাল সবাইকে উপদেশ শুনতে হচ্ছে। তো এক সন্ধ্যায় আমি গেলাম তার খবরাখবর নিতে। ফলো-আপের মাঝে সে আমাকে নানা প্রশ্ন করছে,
তোমাদের বাড়ি কই?
ঢাকা।
তুমি কি পাস দিয়ে ডাক্তার হয়ে গেছ না এখনও পড় ?
ডাক্তার হয়ে গেছি।
আলহামদুলিল্লাহ, তোমার বাবা মা কি করে ?
চাকরি করে।