Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

সববয়সী

আমার দুরলো আর দুরলোর পেইন্টার বাবু

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ০৬/১০/২০১৩ - ১০:১৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


ভদ্রলোকের নাম লুইজি রোসেত্তো (Luigi Rosetto), পেশায় চিত্রশিল্পী। নামডাক বেশ আছে আশেপাশের ভ্যালিগুলিতে। থাকেন একটু দূরের এক শহরে কিন্তু স্টুডিও খুলে বসেছেন আমি যে শহরে থাকি সেখানকার ৯০০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত এক পাহাড়ি ছোট্ট জনপদ দুরলোতে (Durlo)। যতবারই হাইকিং করতে যাই কোনও পাহাড়ি ট্র্যাকে, ফেরার পথে মাড়াতে হয় সেই স্টুডিওর সামনের রাস্তা। চিত্রকলা আমার মাথায় ঢুকে না খুব একটা, সুন্দর ছবি দেখতে ভাল লাগে, কয়েক মুহূর্ত স্থির তাকিয়ে থাকি ব্যাস ঐটুকুই। স্কুলের ড্রয়িং খাতায় কোনদিন পাস মার্ক তুলতে পারিনি।


ই-বুক রিডার

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: রবি, ০৬/১০/২০১৩ - ১২:৫১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ফাঁকিবাজি জিনিসটা যে একটা আর্ট সেটা প্রথম দেখি মোস্তাফিজের কাছে। মোস্তাফিজ ক্লাস নাইনে আমাদের ফার্স্টবয় ছিল। ফার্স্টবয়দের কাছ থেকে আমি সবসময় দূরত্ব বজায় রাখলেও মোস্তাফিজ ছিল ব্যতিক্রম। কারণ মোস্তাফিজই প্রথম দেখা ফার্স্ট বয় যে ফার্স্ট বেঞ্চে বসে পাটিগনিতের নীচে 'মাসুদ রানা' রেখে নির্বিকার চেহারায় ফজলু স্যারের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারতো। আমাদের ফাঁকিবাজির প্রতিভা থাকলেও মুস্তাফিজের মতো দুর্লভ সাহস ছিল না বলে বসার জন্য পছন্দ ছিল দ্বিতীয় বা তৃতীয় বেঞ্চ। বুঝতেই পারছেন কর্মজীবনেও মোস্তাফিজ আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে। এখনো কি সে প্রথম শ্রেণীর ফাঁকিবাজি চালাচ্ছে? জানি না।


ইস্কুলবেলার গল্প(২৬)

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: রবি, ০৬/১০/২০১৩ - ৭:০৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তখন আমরা নতুন উঠেছি ক্লাস নাইনে। তখন রাজ্যের শিক্ষানীতি অনুসারে শিক্ষাবর্ষ একটু বদলে গেছে, বার্ষিক পরীক্ষা আর নভেম্বরে হয় না, হয় মার্চ-এপ্রিলে, রেজাল্ট বেরোয় মে মাসে। তারপরে নতুন ক্লাসে ওঠা। ভরা গরমের দিনে নতুন ক্লাস, আগেকার দিনের সেই জানুয়ারীর নরম শীতে নতুন ক্লাসে ওঠার মজা আর নেই। নতুন ক্লাসে কিছুদিন পড়াশোনা হয়ে গ্রীষ্মের ছুটি পড়লো। ছুটি ফুরালে যখন স্কুল খুললো তখন ক্লাসে এসে দেখা গেল বোর্ডে বড় বড়


চলতি পথে পাওয়া-১,২,৩

সুবোধ অবোধ এর ছবি
লিখেছেন সুবোধ অবোধ (তারিখ: শুক্র, ০৪/১০/২০১৩ - ৯:০৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.

মূল রাস্তা ধরে চলছিল গাড়ি বেশ। কথা নেই বার্তা নেই হুট করে ড্রাইভার গাড়ি নামিয়ে দিল বাইপাস রোডে। “কর কি কর কি?” বলে বাস জুড়ে শুরু হয়ে গেল হাউকাউ! ড্রাইভার বলে-“মেইন রোডে গন্ডগোল মামা, তাই সাইড কাটছি!”
কোথা থেকে বাসে উঠেছিল এক পাগল কিছিমের লোক। হাউকাউ থেমে গেলে সে বলে কি না-“ গন্ডগোল হোক আর যাই হোক, পথে থাকতি হয়। একবার বিপথে নামলি পথে ওঠা খুব কঠিন!”

২.


আমার আপন আঁধার

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৩/১০/২০১৩ - ১:১৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

রাতে আমার ঠিক নিচে সুমন ভাই ঘুমান। পাঠক পাঠিকারা উল্টা পাল্টা কিছু চিন্তা করার আগেই বেপারটা ক্লিয়ার করে নেই। আমরা যেই দোতালা খাটে ঘুমাই তার উপরে আমি,নিচে সুমন ভাই।ঘুম আসার আগ পর্যন্ত নানান বিষয় নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়।ইতিহাস,রাজনীতি,সিনেমা,নারী। আলোচনার টপিক যখন থাকে নারী,তখন সুমন ভাই কে খুবই উৎসাহী হতে দেখা যায়। গার্লফ্রেন্ড না থাকার জন্যই বোধহয় চেহারায় একটা আহা আহা ভাব চলে আসে।রাত বারোটা একট


বিদ্যুৎ চাই, কিন্তু সুন্দরবনকে ভাসান দিয়ে নয়

আয়নামতি এর ছবি
লিখেছেন আয়নামতি [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ০২/১০/২০১৩ - ২:৪৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মাহির এই প্রথম এসেছে এদিকে। ঢাকা থেকে এতদূর কেউ পিকনিকে আসে না। কিন্তু মাহির আর ওর কিছু বন্ধু ছোট মামাকে ম্যানেজ করে এই ট্রিপটা বাগিয়েছে। বুদ্ধিমান ছেলে সে। বইতে পড়ে তার খুব ইচ্ছে জেগেছে এই জায়গাটায় বেড়াতে আসার। কিন্তু এখানে আসার পর তার নিজেকে বোকা বোকা মনে হচ্ছে। এই প্রথম তার মনে হচ্ছে পাঠ্যবইকে বিশ্বাস করাটা বিরাট ভুল। যে পাঠ্যবইতে টলটলে জল বুকে নিয়ে সবুজ বনের মধ্য দিয়ে বয়ে চলা এক নদীর


ফুল ও গুমের গল্প...

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ০১/১০/২০১৩ - ১০:১৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মার্চের শেষের দিকের এই সময়টায় ধীরে ধীরে গরম বাড়তে শুরু করে। দূর থেকে রাস্তার ধারে দাড়িয়ে থাকা ঘামে চিকচিক করা মানুষগুলোকে দেখলে গরম যেনও আরও বেশী অনুভূত হয়। বেশ কিছুক্ষণ হলও জাহানারা বারান্দায় এদিকটায় এসে দাঁড়িয়েছেন। প্রায় অনেকদিন ধরেই তারা এলিফ্যন্ট রোডের একটা ফ্ল্যাট বাড়িতে ভাড়া থাকেন। তাদের বারান্দা থেকে ব্যস্ত শহরটার প্রায় অর্ধেকটাই খুব সহজে দেখা যায়। মেইন রোডের এতো অসংখ্য মানুষ


বই পড়াঃ শব্দ এবং ছবি (অরহান পামুকের লেখা থেকে)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ০১/১০/২০১৩ - ২:২৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আপনার পকেটে অথবা ব্যাগে একটা বই থাকা মানে আপনার অধিকারে আরও একটা জগত আছে। আপনার মনে যখন বিষণ্ণতা এসে ভর করবে তখন এই জগতে আপনি ডুবে যেতে পারেন সুখের সন্ধানে। আমার কৈশোরের অসুখী দিন গুলিতে এমন একটা বইয়ের ভাবনাই আমাকে সুখী করে তুলত। মনে পড়ে স্কুলে আমি ক্লাসরুমে হাইয়ের পর হাই তুলতাম। কিন্তু ব্যাগে থাকা একটা বইয়ের চিন্তা আমাকে সান্ত্বনা দিত। পরবর্তীতে জীবনের এই পর্যায়ে এসে অনুরোধের ঢেঁকী গিলতে যেসব বোর


টু ট্রিট এ হাঙরি বার্ড

গান্ধর্বী এর ছবি
লিখেছেন গান্ধর্বী [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ০১/১০/২০১৩ - ২:২৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

-সকাল থেকে তোমার রকম সকম দেখে তো ভাল ঠেকছে না, বল না কী হয়েছে?
কনুই দিয়ে ছোটকু মানে ছোটকাকাকে গুঁতো মারল টুসকি। ছোটকু তবু মিটিমিটি হেসেই যাচ্ছে। গুনগুন করে কোন এক গানের কলি ভাজছে। বেশির ভাগ গানেরই গীতিকার সুরকার তিনি নিজে, কাজেই এক গান দুবার শোনা যায় নি কখনো তার মুখে!


"পেটচুক্তি বিয়ে"

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ০১/১০/২০১৩ - ১২:৩১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

স্কুলজীবনে ছাত্র ভালো না থাকার কারণে বরাবরই ব্যাকবেঞ্চার থাকার চেষ্টা করতাম। আর স্বভাবতই পরিচয় ঘটতে থাকে ক্লাসের সবচেয়ে পোংটা গ্রুপের সঙ্গে। দিনে দিনে উপভোগ করতে থাকি ওদের সঙ্গ, ওদের বন্ধুত্ব। একটা দিনের জন্যও কখনই অনুশোচনা হয়নি বরং তৃপ্তি সহকারে প্রতিনিয়ত ওদের আথিতেয়তা গ্রহন করেছি। আর বিনে পয়সায় উপভোগ করেছি ওদের বাক পটুতা, বিভিন্ন কার্যের কার্যপ্রণালী, সার্কাস আর খুনসুটি। কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার প