আজ অন্যরকম একটা আমেজ খেলা করছিল শাজাহান মিয়ার পুরো দেহ-মন জুড়ে। অন্যরকম না বলে বরং বলা উচিৎ সুখের একটা আমেজ। যা থাকলে নিজেকে মনে হয় প্রচন্ড সুখী কেউ, চিরপরিচিত স্থানটিও আর তেমন বিরক্তিকর লাগে না! উৎসাহের খাতিরে ডবল পানের সাথে একটা বিদেশী দামী সিগারেটও কিনে ফেলল সে।
কবিতা পড়তে তেমন ইচ্ছে করত না সেসময় । একদিন এক সিনিয়র বললেন, “আবুল হাসান” পড়ে দেখ। কবির নামটা অতি সাধারণ মনে হল-এরকম কত নাম ঘুরে আমাদের চারপাশে। তাই পড়া হয়ে উঠলনা তখন।
১৯৯৭ সালের মার্চ বা এপ্রিল মাস। তারিখটা আজ এতদিন পরে মনে নেই। ঢাকায় আসার উত্তেজনায় তখন আমি বিভোর। আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছি নটরডেম নয়তো ঢাকা কলেজে পড়ব। কলেজ দুটোর ব্যাপারে ছোটবেলাতেই বাবার কাছে গল্প শুনেছি। শুনেছি এখানে যারা পড়ে তারা নাকি অনেক বড় বড় জ্ঞানী। আর সেই কলেজে আমি ভর্তি হতে পারবো ভাবতেই যেন আমার ঘুম আসছিলো না।
১.
দামের ঠ্যালায় তুই ভেবেছিস চাল ফেলে আজ গম খাবি?
মন্ত্রী মিয়ার শুনলে সালিশ ঠিক জানি তুই চমকাবি
মন্ত্রী ফারুক ঝাড়েন হুকুম,
"খাদ্যে ভেজাল ক্যামনে রুখুম?
তারচে তোরা আজকে থেকে নাহয় খোরাক কম খাবি।"
২.
"খাদ্যে চড়ে ব্যাকটিরিয়া প্রবেশ করে শইলে
কম খা, যত রোগজীবাণু মারবে তোকে নইলে।"
কহেন হেসে মন্ত্রী ফারুক,
নিন্দুকে কয়, "মারলে মারুক,
তার আগে ক, তোর ভুঁড়িখান ঠিক কী খায়া হইলে?"
আমি তন্ময়, রুবেল এবং আল-আমিন খুবি ভাল বন্ধু বলতে গেলে আত্মার মিল। সেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম থেকেই আমরা বন্ধু এবং চলছে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে। আমাদের ৩ জনের অনেক মিল আছে বলেই আমরা বন্ধু। আমাদের ৩ জনের সবথেকে বড় মিল হল আমরা ঘুরতে পছন্দ করি। একটু ছুটি পেলেই হল আমরা ঘুরতে বের হতেই হবে; টাকা পয়সা কোন সমস্যায় না, কোন না কোন ভাবে যোগাড় হয়ে যায়। এরকম একটা ট্যুরের গল্প হল ২০০৯ সালের সেন্ট- মার
[justify]
আজকের প্রথম আলোর অনলাইন ভার্সানে সেরা বিদেশি ছবি হিসেবে ‘মেহেরজান’ পুরস্কারপ্রাপ্তির খবর বেরিয়েছে। খবরে জানানো হয়-
গত প্রায় তিনটা বছর মিটফোর্ডে পড়াশুনা করতে গিয়ে প্রতিদিনই যে অভিজ্ঞতাটা পেতে হচ্ছে, তা হল পুরনো ঢাকার 'খুবই বিখ্যাত' জ্যাম পার হওয়া। ঢাকা শহর যেমন দিন দিন লোহালক্কড়ের অচল নগরীতে পরিণত হচ্ছে তাতে করে শুধুমাত্র পুরান ঢাকার জ্যামটাকে এভাবে উল্লেখ করাটায় আপত্তি হতে পারে। কিন্তু দিন কয়েক যদি কারো ওদিকে যাওয়ার সৌভাগ্য(!) হয়ে থাকে তাহলেই বুঝতে পারবেন আমি কেন এমনটা বলছি। তবে সত্যি বলতে বছর খানেক আগের থেকে
আমার প্রথম সিগারেট খাওয়া শুরু যখন আমি ক্লাস নাইন এ উঠি। ক্লাসে একটা ষন্ডা প্রকৃতির ছেলে ছিল। নাকের সামনে সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়ত। ওকে কিছু বললে মার খাওয়া ছাড়া কোন উপায় ছিল না। তাই মাঝে মাঝে ধোঁয়া খেয়ে মেনে নেওয়া বা ওকে এড়িয়ে যাওয়া ছাড়া অন্য কোন উপায় পাইনি।
বাংলাদেশে খুব ছোটবেলাতেই আমাদের সাধারণ জ্ঞানের বই দেওয়া হত, অবধারিত ভাবেই সেই পাৎলা বইয়ের শেষের দিকে থাকত হাতে আঁকা ছবি দিয়ে পৃথিবীর ভিন্ন ভিন্ন পর্যায়ের( প্রাচীন যুগ, মধ্য যুগ, বর্তমান যুগ) মানুষের তৈরি সাতটি চোখ ধাঁধানো আশ্চর্যময় স্থাপত্যের বা আবিস্কারের কথা। যে গুলো মানুষের বিস্ময় উদ্রেক করে নির্মাণ হবার সময়কাল থেকে আজ পর্যন্ত, শত শত এমনকি হাজার হাজার বছর ধরে। সেই তালকায় স্থান পেয়েছে প
অন্তঃস্বত্তা অবস্থায় মনটা খুব দুর্বল হয়ে যায়। প্রাথমিক শরীরখারাপ ভাব একটু সামলে উঠার পর আমি দেখতে পেলাম চারপাশে অটিস্টিক এবং প্রতিবন্ধি মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। আগে কিন্তু এরা আমার চোখে পড়েনি। আমার গলিতেই চারতলার এক বারান্দায় এক মাকে দেখলাম বুদ্ধি প্রতিবন্ধি ছেলেকে নিয়ে দিশেহারা মুখে বসে থাকেন। অফিস বিল্ডিং এর লিফট ম্যানের কাছে একজন বসে থাকে প্রতিদিন। ট্রাফিক সিগন্যাল এ পড়লে তো হাত নেই, পা নেই, চোখ নেই এমন অনেকে ছুটে আসে টাকা চাইতে। রাস্তার পাশে হিজড়াদের আমার চোখ খুঁজে নিতো। প্রচন্ড ভয়ে মন কুঁকড়ে যেতো। সুদূর শৈশবে বাসার বুয়ার কাছে শোনা গল্প মনে পড়ে যেতো ‘এক মেয়ের সাপের মতো দেখতে বাচ্চা হয়েছে...’। দিনরাত একটাই চাওয়া ‘একটা সুস্থ বাচ্চা হোক’।