মেঘ জমেছে মেঘ জমেছে
----------------------প্রখর রোদ্দুর
মেঘ জমেছে মেঘ জমেছে
ইশান কোনের বায়
ঘন্টা ছুটির বাজবে কখন
ক্ষনযে বয়ে যায়
হাটতে পথে দু চার কদম
কুড়িয়ে ফুলের সাজি
খই মুড়ি আর গুড় মাখিয়ে
চড়ুই ভাতি আজই
বাংলা ভাষার কিছু শব্দ নিয়ে আমার অ্যালার্জি আছে। মেয়েছেলে শব্দটা শুনলেই রাগে গা জ্বালা করে। তেমনি গর্ভবতী শব্দটাও শ্রুতিকটু লাগে আমার। কিন্তু ‘অন্তঃস্বত্তা’ শব্দটা অসাধারণ। এমন স্বয়ংসম্পুর্ণ, অর্থবহ শব্দ কোনো ভাষাতেই খুব বেশি নেই। শব্দটা আটপৌরে ব্যবহারের জন্য একটু ভারী এটা এক মুশকিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ক্লাস করতে যাবো।কেমন যেন একটা মিশ্র অনুভূতি টের পাচ্ছিলাম ভেতরে ভেতরে।প্রথম বার স্কুলে যাওয়ার সেই অনুভূতিটা ফিরে ফিরে আসছিল।দশটায় ক্লাস।তখন শান্তিনগরে ফুপুর বাসায় থাকতাম।প্রথম ক্লাস করতে যাবো সেই খুশিতে একটা রিক্সা চড়ে রওনা দিলাম।কলাভবনের সামনে এসে দাড়াতেই বুকের ভেতর কেমন যেন করে উঠলো।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বো কখনো ভাবিনি,আজ সেখানে আমি ছাত্র হিসেবে উপস্থিত।কলাভবনের বিরাট
নাসিম তালেবের 'দ্য ব্ল্যাক সোয়ান' বইখান পড়ে আমার মনে হয়েছে, ব্যাটা যদি দু'লাইন পর পর অর্থনীতিবিদদের গালি না দিতো, আর নোবেল পুরষ্কারকে 'নো বেইল' পুরষ্কার না বলে বেড়াতো, পুরষ্কারখানা তার নিজের হলেও হতে পারতো! 
সিঁড়ি বেঁয়ে গাড়ীবারান্দায় এসে দাঁড়িয়েছি। অফিস যাব কিন্তু বাইরে ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে! আমাকে দেখে বৃষ্টি তার গতি আরও বাড়িয়ে দিলো। উপরওয়ালা মনে হয় আমাকে বিশেষ একটা পছন্দ করেন না, আমি যখন সিরিয়াস মুডে থাকি তখনি দেখা যায় উনি এধরনের ইয়ার্কি করেন! গেট থেকে মাথা বাড়িয়ে রিক্সা খোঁজার চেষ্টা করলাম!
[justify]
ইসলামের সাথে সন্ত্রাস অচ্ছেদ্য হয়ে জুড়ে বসেছে অনেকদিন। সুশীল শান্তিকামী মানুষদের কিছু একটা প্রতিপক্ষ প্রয়োজন। এই সুযোগে জিহাদি জোশে বলিয়ান আল-কায়েদাকে ইসলামের আইকন সাজানোর পালা শুরু হয় নাইন ইলেভেনে। এডোয়ার্ড সায়ীদ, তালাল আসাদ, ইব্রাহিম আবু লুগদ, লীলা আবু-লুগদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই ইসলামোফোবিয়া তৈরির সমালোচনা করেছেন তাঁদের অনেক লেখাতে। তাঁরা জাতি কিংবা ধর্মবৈরিতা থেকে মানুষের দৃষ্টি সরাতে চেয়েছেন। টেরোরিজমের সাথে ইসলামকে জুড়ে দেয়ার মতো বৈরি দৃষ্টিভঙ্গির একটা কাজ বিশ্বের বড়ো বড়ো মিডিয়া গত দশ বছর ধরে বিশ্বস্ততার সাথে পালন করেছে। তাই সম্প্রতি নরওয়েতে ঘটা বোমা হামলা আর শুটিং এর সাথে ইসলামিক আইকন আল-কায়েদাকে যুক্ত করতে তাদের বেশি সময় লাগেনি।
ঢাকা শহরে বেড়াতে আসলে মিরপুর চিড়িয়াখানায় ঘুরতে যাওয়া ফরজ, নিউইয়র্কের ক্ষেত্রে সেটা স্ট্যাচু অফ লিবার্টি। ভ্রমণের দ্বিতীয় দিনকে তাই এইজন্য বরাদ্দ রাখা হলো। প্রথম দিন অনেক রাত পর্যন্ত শহর ঘুরা হয়েছে, তাই সকালে ফেরি ছাড়ার আগে ঘুম থেকে উঠতে পারব কিনা ব্যাপারটা সম্পূর্ণ অনিশ্চিত ছিলো। প্রসিদ্ধ গবেষক মাহদি ব্যাপারটা থেকে ননডিটারমিনিজম পুরোটা মুছে ফেলতে, সকাল হতে না হতেই তার বিদঘুটে অ্যালার্ম বাজিয়ে সবাই
মিউনিখ শহর আজকে লন্ডন হয়ে গেছে। সকাল থেকে টিপির টিপির বৃষ্টি। আকাশে সূর্যের ‘স’ও নাই। সব মিলিয়ে কেমন একটা বিষণ্ণ পরিবেশ। কিছু কাজ জমে আছে, যেগুলি আজকে শেষ না করলেই নয়। তারপরও কেন যেন ইচ্ছা করছে না। মেঘলা দিনের অলসতা আমাকে কব্জা করে ফেলেছে। এই কব্জায় আটকা পড়ে আমার যে খুব খারাপ লাগছে, তা না। কিন্তু অস্থির লাগছে। অস্থিরতা বিড়ালের বাচ্চা না যে কোলে নিয়ে পুষতে হবে। এটাকে তাড়াতে হবে। এক কাপ মিন্ট চা বানালাম খুব আয়োজন করে। চায়ের সাথে টা হিসেবে বাদামের কোটা। যেনতেন বাদাম না। বাদামের গায়ে ওয়াসাবি’র কোটিং। ওয়াসাবি হল জাপানিজ হর্সর্যাডিশ। চরম ঝাল। এই ঝালের কোনো মা-বাপ নাই। আমি আবার ঝালখেকো মানুষ। মিন্ট চায়ের সাথে ওয়াসাবি দেয়া বাদাম খেতে ভালোই লাগছে। কিন্তু অস্থির ভাবটা কমছে না। কিছু একটা নিয়ে চিন্তা করতে হবে।
মঁ ব্লা, আল্পস্ পর্বতমালা আর ইউরোপের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ (ইউরোপে মঁ ব্লার সাথে সাথে অনেকে জর্জিয়ার এলবুর্জকেও সর্বোচ্চ ধরে থাকে), পৃথিবীতে যেখানে ফি বছর সবচেয়ে বেশী অভিযান চলে, খ্যাতির বিচারে মাউন্ট এভারেস্টের পরপরই যার অবস্থান সেই হল ফ্রান্সের আল্পসে অবস্থিত মাউন্ট ব্ল্যাঙ্ক, যাকে ফরাসীরা নাম দিয়েছে মঁ ব্লা অর্থাৎ শ্বেত ললনা !

…
দুর্গ ও দুর্গ প্রাকার:
কেল্লা বা দুর্গ বলতে বোঝায় শক্ত বেষ্টনী প্রাচীরবেষ্টিত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। উদ্দেশ্য আক্রমণকারীর হাত থেকে নিজেদের সুরক্ষা। ফলে দুর্গ স্থাপত্যের সাধারণ বৈশিষ্ট্য সব সময়ই প্রায় এক রূপ হতে দেখা যায়। যেমন আভ্যন্তরীণ বৃত্তাকার বেষ্টনী প্রাচীর বহিঃপ্রাচীর দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়, সাথে প্রয়োজন অনুযায়ী পরিখা দ্বারাও পুনঃবেষ্টিত থাকে। আক্রমণ ও প্রতিরক্ষা উভয় ক্ষেত্রেই দুর্গের সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী অঙ্গ হিসেবে বিবেচিত হতো সাধারণত দুর্গের প্রবেশফটক ও পার্শ্ব-বুরুজ। তাই প্রবেশফটক এবং প্রতিরক্ষা প্রাচীর বা বুরুজ হয়ে থাকে প্রহরা কক্ষ সংবলিত। বেষ্টনী প্রাচীরের উপরিভাগে চলাচলের জন্য চওড়া পথের ব্যবস্থা থাকে যাতে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান থেকে আক্রমণকারী শত্রুর আগমন লক্ষ্য করা যায়।