ছেলেটির বয়স মাত্র ১৪ বছর।এই বয়সেই তার জীবনের উপর নেমে এসেছে স্থবিরতা। একটি সড়ক দুর্ঘটনায় দুই পা হারিয়ে ও আজ অনেকটা জড় পদার্থই হয়ে গেছে।জীবনের উপর এই বৈরিতায় ও মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত।মাঝে মাঝে ওর মনে হয় ধান ক্ষেতে পোকা মারার জন্য ওর মা আলমারির মধ্যে যে বিষ রেখে দিয়েছে তার থেকে কিছুটা খেয়ে সারা জীবনের জন্য ঘুমিয়ে যেতে।কয়েক বার বিষের শিশিটা নিয়ে নেড়েচেড়ে ও দেখেছে কিন্তু খেতে পারেনি।একটা জায়গায় ও আটকা
একটা মেয়ে যখন জানতে পারে সে অন্তঃস্বত্তা ততোদিনে তার ভেতরের স্বত্তাটির বয়স প্রায় এক মাস হয়ে যায়। মা’র শরীর ভ্রুন টাকে মানতে চায়না প্রথমে, এদিকে ভ্রুনটা চায় যেকোনো প্রকারে মা’র শরীরে টিকে যেতে। ব্যস শুরু হয় যুদ্ধ, ভ্রুনটার টিকে থাকার লড়াই। প্রথম তিনটা মাস এই যুদ্ধ চলে। মা’র শুরু হয় প্রচন্ড শরীর খারাপ লাগা,বেশির ভাগ মেয়ের বেলায় ই বমি হয়। অনেকে সবকিছুতে গন্ধ পান। একটা ক্ষুদ্র সংখ্যার ভাগ্যবান মেয়ে ছাড়া বাকি সবাই খেতে পারেন না।
[justify]কানাডায় সামারটা হুটহাট, আর তারচেয়েও হুটহাট করে শুরু করলাম আমি। উইন্টার টু সেশানের শেষ পরীক্ষা ছিল ছাব্বিশে এপ্রিল, আর আমার দেশে যাওয়ার টিকেটও ছিল ওইদিন রাতেই। পরীক্ষার আগে তাই পড়াশোনা গোছানোর চেয়ে ব্যাগ গোছানোর তারা ছিল বেশী, পরীক্ষা থেকে এসে গোসল করেই ছুটতে হবে এয়ারপোর্টে। তো যাই হোক দেশে যাওয়ার গল্প নাহয় অন্যদিন করা যাবে। দেশ থেকে ফিরে এসে কি করলাম আজকে নাহয় সেই গল্প করা যাক।
প্রথম পর্বের লিংক [এখানে]
পৃথিবী মত্ত নয়,পৃথিবী নিমজ্জিত–ভালোবাসার সুগন্ধী প্লাবনে।
পালাবার পথ সবখানেই থাকে।
অনুভূতির মিছিল হামলে পড়ে ক্রমশ নুয়ে পড়া সুড়ঙ্গের জালে।
অভিজ্ঞ সোনালি পাখি তীক্ষ্ণ চোখে খোঁজে অচেনা আঁধার বৃক্ষ।
কখনো ফোটেনি তাতে অধীরতম ফুল ।
ভালোবাসা ছাড়েনা একজোড়া ডানা বসিয়ে দেয় মানুষের ঘাড়ে ।
আলো এবং ফুল সংক্রান্ত স্থবিরতায় আক্রান্ত মানুষকে পৌঁছে দেয়
কোন না কোন সুড়ঙ্গের প্রবেশদ্বারে।
তুকমুবিল
…
বাংলায় ঔপনিবেশিক আমলে নির্মিত ধর্মনিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান ও ভবনগুলোর মধ্যে ঢাকার ফরাশগঞ্জে বুড়িগঙ্গার তীরে অবস্থিত লালকুঠি (Lalkuthi) হিসেবে পরিচিত নর্থব্রুক হল (Northbruck Hall) অন্যতম। ভারতের তৎকালীন ভাইসরয় বা গভর্নর জেনারেল লর্ড নর্থব্রুক (১৮৭২-৭৬ খ্রিঃ) ১৮৭৪ সালে এক সফরে ঢাকায় এসেছিলেন। নর্থব্রুকের এই ঢাকা সফরকে স্মরণীয় করে রাখার জন্যে ঢাকার প্রখ্যাত ধনী ব্যক্তি ও জমিদারগণ ‘টাউন হল’ ধাঁচের একটি হল নির্মাণের উদ্যোগ নেন।
একবার চোখ বুজে ভাবো দেখি সিনটা
রাস্তায় যানজট নাই পুরো দিনটা
হুট-হাট রাতে আর হচ্ছিনা অন্ধ
লোডশেডিং এর দৌড় একেবারে বন্ধ ।
উৎকোচ ঘুষ দিতে হবে না আর কিছুতে
থেমে যাবে ভাঙচুর ছোট ছোট ইস্যুতে ।
দলে দলে কোন্দল হানাহানি ধ্বংস
এই সব কাজে কেউ নিচ্ছেন অংশ ।
মানবতা প্রতি প্রাণে তাই সবে ব্যস্ত
কল্যাণ কাজে লোকে এক মনে ন্যস্ত ।
অসহায় দুস্থের সেবা হবে লক্ষ্য
এক,
বাঁ হাতে এগোলেই আরেকটা গলি। দাঁড়িয়ে একটু দম নেয় রঞ্জু। হাতের কাগজটায় লেখা বাড়ির নাম্বারটা আরো একবার দেখে নেয়, ৭৭/সি। অসীম ধৈর্য্য রঞ্জুর। প্রায় পয়তাল্লিশ মিনিট ধরে বাড়িটা সে খুঁজছে। গলি তস্য গলি ঘুরে ঘুরে পায়ে ব্যাথা ধরে গেছে। সেগুনবাগিচা এলাকাটিতে সে তার জন্মের পর আজ প্রথম এসেছে। জীবনের ছাব্বিশ বছরে তার এই এলাকাটিতে আসবার প্রয়োজন পড়েনি। অথচ ঢাকায় জন্ম- বড় হয়েছে রঞ্জু। ঢাকার কিছু কিছু জায়গার নাম শুনলেও খাবি খেতে হয় রঞ্জুকে, জীবনে নামটাও শোনেনি! অবশ্য মুখে কখনো প্রকাশ করেনা সে তার এই অজ্ঞানতার কথা। যদিও বা মাঝে মাঝে বন্ধুদের আড্ডায় বা কোনও কারণে মুখ ফষ্কে কিছু বের হয়েই যায়, তখন গলার রগ ফুলিয়ে ঝগড়া করে, ‘দুনিয়ার সব জিনিস চিনতেই হবে, সব জায়গার নাম মুখস্ত করে রাখতে হবে এমন নিয়ম করা আছে নাকি সংবিধানে?’ যতই রগ ফোলাক রঞ্জু, মনে মনে একটু খিঁচে থাকে ঠিকি নিজের অনেক অজ্ঞানতায়। আজকে যেমন ঢাকা শহরের মধ্যে অসংখ্যবার শোনা জায়গাটায় এসে খাবি খাচ্ছে ঠিকানা খুঁজে বের করতে।
তেল-গ্যাস ইস্যুতে ভেবছিলাম "এগনোস্টিক" এর অবস্থানে থাকবো কিন্তু আমার এক বন্ধুর সাথে কালকে রাতে কথা বলার পর থেকে আমার অবস্থানকে নতুন করে ভেবে দেখার প্রয়জোন পড়লো। ভাবার পরে ফলাফল টা হল আমি নিজেকে কোনভাবেই "এগনোস্টিক" বলতে পারছি না। কিন্তু কেন?