জাফর ইকবাল স্যার প্রায়ই বলেন যে তাঁর জীবনের সবচেয়ে সুন্দর সময় হচ্ছে যখন তাঁর বাচ্চারা ছোট ছিল। আমার বন্ধু শিবাজীর বাচ্চা হওয়ার পর থেকে সে জীবনের সার্থকতা নিয়ে রেগুলার নতুন নতুন ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে যাচ্ছে। আমাকে আমার ওয়াইফ এখনো মাঝে মাঝে বলে, “বাবুর জন্ম হওয়ার আগ পর্যন্ততো তুমি সহজে কাউকে বলতে চাইতে না। মনে হয় লজ্জা পেতে। কিন্তু বাবু জন্মানোর পর মহা আনন্দে সবাইকে ফোন করেছ, এলাকার আত্মীয়-পরিচিত সব
স্থির বর্ষণে মিশ্র রং ছড়িয়ে শুয়ে আছে টুকরো টুকরো আলো, ভোরের জানালা গলে অবসন্ন বাতাসেরা ঢুকে পড়ে, যেন সেদিনের প্রথম কুজন, সাথে তার জল বাঁধা মেঘ । মনে পড়ে সাত বর্ণের ঝালর উড়িয়ে পরিনত শুয়োপোকারা উড়েছিল কোন নদীতীরে, জল ছুঁয়েছিল মেঘের নুপুর পথ-নদী-স্রোত শালিখের ডানা । কৃষ্ণচূড়ার পথ করে নেয়া বিকেলে ঝরেছিল আসন্ন বর্ষার টুপটাপ অশ্রুকণা, সেও কবেকার কথা ~ সেই নদী বয়ে গেছে সবুজ উঠোন ঘেসে যেন তার সুগভীর বুকে রোদের মোহনা এঁকে । সেখানে শহর শেষে পদ্মগন্ধ ভাসে দৃশ্যত আনমনা বাতাসে । যতটানা স্বপ্নের আসা যাওয়া তারো অধিক আয়োজনে আত্মিক যাতায়াতে সমাজ বিবর্জিত কয়েকজনের বেহিসেবী উচ্ছলতায় মধ্যাকাশে মাঝরাত ছিল তারায় পরিপূর্ন ।
চমক হাসান। যার নেই কোন তুলনা! বুয়েট থেকে পাশ বের হয়েছে বেশ কিছুদিন হলো। তার সাথে প্রথম পরিচয় হয় আমার গত ফেবরুয়ারীতে। ভিন্নধর্মী এক গণিত প্রকাশনা উৎসবে "পাইয়ের মান" নিয়ে পুঁথি পড়ছিলো সে। গণিতের মতোন কঠিন একটি বিষয় এতো মজা করে বলা আর তাছাড়া পুঁথির নাম অনেক শুনেছিলাম...জীবনে প্রথম সেদিনই শোনা ভিন্নধর্মী এই পুঁথি পাঠ! অসাধারণ কন্ঠ এই ছেলেটির...
বেলা এগারোটায় অপুকে ফোন দিলাম। বলে আমরা আপনার বাসার আশেপাশেই আছি, আসছি। আমরা বলাতে বুঝলাম সিলেট থেকে আরো কেও এসেছে। কে হতে পারে ভাবতেই প্রথমেই উজানগাঁর নাম মনে এলো। আমি বিছানা ছেড়ে নামতে নামতেই নীচ থেকে দারোয়ানের ফোন, সিলেট থেকে দুজন লোক এসেছে, আমাদের বাসায় আসতে চায়, কথাবার্তা সন্দেহজনক বলে আমার কাছে জানতে চাইছে উপরে পাঠাবে কীনা।
[justify]গ্রামের লোকজন কোনো কারণ ছাড়াই আমাকে ডাকাত সন্দেহ করে। এই গ্রামে নাকি আগেরদিন ডাকাত ধরে গণপিটুনি দেয়া হয়েছে। আমি বারবার বলি- আমি কিছু করি নাই। লোকজন শোনে না। তারা আমাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। চড় থাপড় দিয়ে পুলিশ ভ্যানে তোলে। ভ্যানে তোলার সময় এক দারোগা পাছা বরাবর জোরে লাথি দেয়। ব্যথায় চোখে পানি আসে। বলতে থাকি- আমি কিছু করি নাই। অন্য পুলিশগুলো হাসে। অশ্রাব্য গালাগালি শুরু করে। আশেপাশে অন্যান্
ধলপহর। নিশ্চুপ নিস্তব্ধ চারিদিক, মৃদুমন্দ হাওয়ায় কুণ্ডলী পাকানো ধোঁয়ার মত রহস্যঘন কুয়াশা ঘিরে আছে চারিপাশ, চোখের দৃষ্টি কয়েক গজ সামনে সেই ধোঁয়াটে পর্দার অন্য পারে কি আছে সেই সুলুক সন্ধানে ব্যকুল। এর মাঝে আমরা চলেছি শিমুল কাঠের ক্যানুতে চেপে রূপতি নদী বিহারে, উদ্দ্যেশ্য সত্যিকারের বুনো কুমির আর ঘড়িয়াল দর্শন! স্থান- নেপালের সুবিখ্যাত চিতোয়ান বন।
[justify]
মার্কিনদেশে শিশুপালন করতে গেলে এই অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে সবাইকেই যেতে হয়। এটা এক বিশাল দেশ। এই মাথা থেকে ওই মাথা পর্যন্ত সারা দেশে মুড়িয়ে রেখেছে এরা চমৎকার সব রাস্তা দিয়ে। বিমানযাত্রার খরচ বাঁচাতে এই রাস্তাগুলো দিয়ে হাজার হাজার মাইল পাড়ি দেন বহু বহু পরিবার। সমস্যা হচ্ছে বাচ্চাগুলোকে নিয়ে। হাজার মাইলটা যে আসলে কি জিনিস সেটা বোঝানো বড় দায়। ধরা যাক হিউস্টনে যাচ্ছি, শহর থেকে রওনা দিলাম শুক্রবার বিকাল সাড়ে পাঁচটায়, হাইওয়েতে ওঠে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলাম পাঁচটা চল্লিশ...
বোকার মতো পক্ষ ধরে,
মরবো কেন খাদে পড়ে?
ভেদাভেদের নীতি ভুলি,
আমার পথেই আমি চলি।
পক্ষ যেন লক্ষ লক্ষ,
আমি সদাই নিরপেক্ষ!
অফিস থেকে বের হয়েই মনটা হাল্কা হয়ে গেল। অদ্ভূত সুন্দর ঠাণ্ডা বাতাস বইছে। কদিন ধরেই কিছুটা গরম পড়ছিল। গ্রীষ্মকাল আসেনি এখনও। যদিও এই শহরের আবহাওয়াটা প্রায় সব ঋতুতেই গুমোট থাকে আজকাল। কিন্তু আজ তার উজ্জ্বল ব্যতিক্রম। আর্দ্র স্নিগ্ধ বাতাস মুহূর্তেই ভুলিয়ে দিল দিনভর পরিশ্রমের কথা।