শিশুপালন-১০

আমার যে চুলও পাকা, তার কি হবে?

তাসনীম ভাই, আপনার লিটল এনজেলদের জন্য অনেক আদর রইলো! পৃথিবীর বিশাল বিছানায় ওদের মঙ্গলময় যাত্রা হোক! শুভেচ্ছা,

একবার এক বাংলাদেশি ভাইয়ার গাড়িতে তার পরিবারের সাথে তিন ঘন্টার জার্নিতে গিয়েছিলাম, তখন বুঝেছিলাম, এই "আর উই দেয়ার ইয়েট?" প্রশ্নের গুরুত্ব।

অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া।

আবার শিশুপালন! অনেক দিন পর দিলেন! দুই পিচকাকে দেখতে চলে আসব দেইখেন মার্কিন মুল্লুকে

আপনার শব্দ নিয়ে তো আর কিছু বলার নেই! খালি বলে রাখলাম, ধুগো'দার ফাড়াটা কাটলেই আমিও একদিন বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে পোস্ট দিমু!

অনেকদিন পর শিশুপালন পেয়ে খুব মজা পেলাম!

এরকম করে যারা কথা বলে তাদের দেখতে খুব ইচ্ছে করলো ভাইয়া!!!! বুদ্ধিমান সব প্রশ্ন আর বুদ্ধিমান উত্তর

আমার ছেলে এখনো কথা বলার পর্যায়ে যায়নি, তাই গাড়ি একটানা চালানোর সর্বোচ্চ সময়সীমা প্রায় ৩-৪ ঘণ্টা। গত সপ্তাহে প্রায় আটশো মাইল পেরিয়ে এসেছি, ৩ দিনে ভাগ করে নিয়ে। বছরখানেক পর থেকে হয়তো ডিভিডি চালু করতে হবে। আপাতত আইফোন আর বেবিসাউন্ডের শব্দগুলোই ভরসা।

বাঃ, লিটেল-তাসনীম তো খুব বুদ্ধিমতী।

পিচ্চিদের সাথে অর্থহীন কথা বার্তা বলতে আমার খারাপ লাগে না।
অর্থহীন কথা থেকেই অর্থপূর্ণ কতকিছু শিখে নিই।

যথারীতি খুব ভাল লাগলো পড়ে।
আপনার এই সিরিজটা পড়লে আমার নিজের শৈশব আর তখন বিশেষ করে বাবার সাথে কাটানো নানা সময়ের কথা মনে পড়ে খালি।

শিশুপালন চলছে ধুমায়ে। অফিস থেকে ফিরে আসলে বাবলু খুব হাই স্পীড হামাগুড়ি দিয়ে পায়ের কাছে চলে আসে। বাইরের জীবানু সমেত কোলে নিতে চাই না দেখে দৌড়ে হাত ধুতে গেলে সেও পিছে পিছে দৌড়গুড়ি দেয়। অথচ কোলে তুলে গালে একটা হাপ্পা দিলেই আবার নামার জন্য মুচড়া মুচড়ি শুরু করে।

গত দুদিন ধরে রাত দু'টার দিকে উঠে যায়। শুয়ে শুয়ে দ্দা দ্দা দ্দা দ্দা, ন্না ন্না ন্না ন্না করে। গত রাতে আবার কান্না। কাঁদতে কাঁদতে হেঁচকি তুলে ফেলছে। পরে দাঁত ওঠার ব্যাথা ধারনা করে আইব্যুপ্রফেন খাইয়ে দিতে ঘুমালো।

আর মাঝে মাঝেই নাক মুখ দিয়ে বমি করে বাচ্চাটা। গ্যাস্ট্রোএন্ট্রোলজিস্ট এক্সরে, আল্ট্রা সাইন্ড সহ বিভিন্ন টেস্ট ধরিয়ে দিলেন।

এইসব নিয়েই আছি আরকি।

আর অমরত্বের কথা বললেন যেটা সেটা আসলে এই বাচ্চাদের মধ্যেই নিহীত আছে। দ্যা আল্টিমেট সারভাইভাল অভ দ্যা জিন।

একজন বাবার জন্য কী চমৎকার একটা লাইন!

পরীর ছানাদের জন্য আদর।

আমি আমার বাবার থেকে অনেক দূরে থাকি, বাবাকে প্রায়ই রাত-দুপুরে ফোন দিই-বাবা ঘুম আসছে না, ভয় লাগে (বাহানা আর কাকে বলে)। ইস! যদি আবার ছোট হয়ে যেতে পারতাম! বাবার গলা ধরে বলতাম "I miss you baba ...."

লাবণ্যাপ্রভা

পিচ্চিদের সাথে অর্থহীন কথাবার্তা চালিয়ে যেতে মন্দ লাগে না। অর্থহীন কথাবার্তার হঠাৎ হঠাৎ চুড়ান্ত অর্থপূর্ণ হয়ে উঠার মাধ্যমে জীবনটাকে নতুন করে ভাবতে খারাপ লাগে না।

আমিও ছোটবেলায় বাবাকে জিজ্ঞেস করতাম, "বাবা আমরা কি বুড়ো হয়ে যাচ্ছি??তুমি কি মরে যাবে?তাহলে তখন কে আমাকে পোলো কিনে দেবে?"

লেখা আগের মতই অসাধারণ।

এই দশটা পর্বের একটা চোথা বানায় রাখতে হবে

গতকাল আমার বর শুনলাম তার বন্ধুকে বলছে, "আমার ছেলে আমাকে একদম ভয় পায়না। তার মাকে ভয় পায়।" ফোন রাখার পরপরই ছেলে এক শিশি পানি এনে ঘরএর মাঝখানে ফেলে দিল। আমি একবার মাত্র বললাম, "বাবা, please এমন করেনা।" সাথে সাথে তার কান্না আর তার বাবারও মুখ ভার। ছেলেও দেখলাম বাবার sympathy পাওয়ার জন্য কান্নার sound তুলে দিল। আমিও হুমকি দিলাম আর যেন কখনও না শুনি ছেলে কথা শুনেনা।পুরাই opposition party তে আছি বাসায়। আমিও আমার ছেলের কাছে not nice

শিশুপালন সিরিজ আমাদের বাসায় আমরা দুজন খুব মন দিয়ে পরি...আপনার দেবশিশুদের জন্য রইল অনেক অনেক আদর।

আপনার লেখা পড়তে পড়তে কবে যেন সচলায়তনে এসে আর যেতে পারছিনা। ইদানিং সকালে অফিসে এসে প্রথমে মেইল-ফেইসবুক দেখে তারপর সচল! হায় এভাবে দিন গেলে পরাশুনা বাদ দিয়ে জমিজমা দেখাশুনা করতে হবে দেশে গিয়ে
যাই হোক বরাবরের মতই মজার, আপনের আর পৈতা লাগবেনা আপনার নামের সাথে যে শিয়ালের ছবিটা আছে ঐটা দেখলেই মনেমনে বলি আসছে আসছে তাসনিম ভাই আসছে
মাহমুদ

অমরত্ব লাভের আরেকটা বিকল্প উপায় আছে তাসনীম ভাই, কলপ এণ্ড পরচুলা

ওয়ান ফাইন মর্নিং, ঘুম থেকে উঠে মুখ ধুতে আয়নার সামনে দাঁড়াতেই - হঠাৎ করে নিজের চিবুকে এখানে সেখানে জীবনে প্রথম বারের মত ছোপ ছোপ সাদা দাগ দেখে (যা আগের দিনও ছিল না) আপনার অনুভূতি কেমন হয়েছিল জানতে কৌতুহল বোধ করছি।

শিশুপালন - পালন আর সেটা নিয়ে লেখা, দুটোই - আনন্দময় হোক।

হি হি হি হি...
আমাদের একটা পিচ্চি বোন একবার আমাদের বাড়িতে বেড়াতে এলো, সে তখন কেবল কথা বলা শিখেছে, মাথাভর্তি প্রশ্ন তার। সারাদিন আমাদের ভাই বোনদের সাথেই থাকে, আর খানিক পর পর জিজ্ঞেস করে। "এতা কীই? ওতা কীইই?"
আমার ভাই কম কথা বলতো ছেলেবেলায়, কিন্তু আমি ভাবি আমি কী হাল করতাম বাবার!

আমার বাবার তো ছোট থেকেই সব চুল পাকা, তাহলে বুদ্ধি করে কলপ দিয়ে রাখতো এই জন্যেই!!

হা হা হা... যথারীতি দুর্দান্ত।

শিশুপালনের মতো একটা অতি সুদূর ভবিষ্যতের ব্যাপারও আপনার লেখার গুণে খুবই আগ্রহ নিয়ে পড়ি !

আপনি মশাই লেখেন চমৎকার! পড়তে কী যে আরাম হয়!

আমার মেয়ে মোটামুটি ৪০/৫০ মাইল পরেই বলা শুরু করে "আর ঊই দেয়ার ইয়েট?" আর রাত্রে শুবার বেলায় প্রতিদিন বলে "আব্বু আজকেই শেষ রাত তুমাদের সাথে, কাল থেকে আমার খাটে শুব"! ওর মা মাঝে মাঝে বলে একা ঘুমাতে শিখ, হয়্ত আলাদা খাটে ঘুমও পারিয়ে দেয়, কিন্তু আমি যখ্ন বিছানায় যাই ঠিকি আমাদের খাটে নিয়ে আসি আবার।ওর মা বলে এত আদর ভাল না, আমি বলি আর কয়েকটাদিন থাক না।

নিধির আবার পথক্লান্তি নাই... বেদম ঘুরতে পারে...
এই তো কয়েকমাস আগে চট্টগ্রাম, বান্দরবন, টেকনাফ, সেন্ট মার্টিন, কক্সবাজার ট্যুরে গেছিলাম, ছয়দিন ধরতে গেলে পাবলিক বাসেই...
আমরা টায়ার্ড হয়ে গেছি, কিন্তু তার একটুও ক্লান্তি নাই

এই "আর উই দেয়ার ইয়েট?" প্রশ্নের গুরুত্ব আমি হাড়ে হাড়ে জানি।

তাসনীম আপনি ভয়ানক ভয়ানক ভয়ানক ভালো লেখেন। [ সরি, বিশেষণগুলো ঠিক যুতমত এল না, কিন্তু সুপারলেটিভ বোঝাতে আর কিছু মাথায় আসছে না।]

আপ্নের এই সিরিজটা বই হিসেবে বের করেন...ব্যাপক কাজে দিবে জনগণের...

ভাই, চরম হইছে লেখা। বাবুকে আদর দিয়েন।

আপনার শিশুরা অনেকদিন শিশু থাকুক...। আর 'শিশু পালন' চলতে থাকুক...

সুমিমা ইয়াসমিন

যথারীতি চমৎকার।

বাংলা ভার্সান 'আর কতদূরের' সাথে খুব পরিচিত। আমাদের ঢাকা-চিটাগাং রোডে (চার-লেন রাস্থার কাজ চলিতেছে) হাজার হাজার মাইল না থাকতে পারে, তবে 'ঘন্টার পর ঘন্টা' বসে থাকতে হতে পারে। (কুমিল্লার আগে ...টনগঞ্জ এবং গৌ...রে জ্যাম পাইনি এমন হয়নি, নোয়াখালির ড্রাইভারের হাইপোথিসিস সেখানের মানুষের নাকি আওডিনের ঘাটতি আছে, তাই নাকি ক্যালাস, রাস্থার উপর উদাস ঘুরে ফিরে...)

বাবা কে আমারা দুই ভাই বোন বাবু ডাকি। বাবু সবসময়ই শেভ করেই থাকেন। বাবুর গালে যেন ভাজ পরা শুরু হয়েছে। দেখে বাচ্চাদের মত রাগ হচ্ছে। আমার বাবুর এত সুন্দর চেহারাটা এমন কেন হয়ে যাচ্ছে????

রবিন্দ্রনাথের এই কোবতেটা জানা ছিল না, পড়ে বিমলানন্দ পেলুম।

আপনার পোস্ট টাও আগে পড়া ছিল না, এটা পড়েও বিমলানন্দ পেলুম

খুউব কিউট একটা লেখা! আপনার বুদ্ধিমতী কন্যাদ্বয়ের জন্য অনেক আদর থাকলো ভাইয়া।

আপনার লেখাটি পড়ে পনের-ষোল বছর আগের স্মৃতি মনে পড়ল। ছেলেটা তখন ছোট ছিল। বাবার কাছে তখন কত ধরনের যে আবদার ! ছেলেটাকে ঘাড়ে তুলে নিয়ে সেকি ঝাকাঝাকি আর ছেলেটার খিলখিলিয়ে হাসি। এখন সেগুলো বড়ই মিস করি। ছেলেটার এখন একটাই আবদার, টাকা লাগবে। কিছুক্ষন আপনারদের সাথে থাকায় সেই সব দিনে ফিরে গিয়েছিলাম। আমার স্ত্রীতো রীতিমত স্মৃতিমেদুরতায় আক্রান্ত হল। অনেক অনেক ধন্যবাদ সেইসব আনন্দঘন দিনগুলোয় ফিরিয়ে নেবার জন্য।
মন্তব্য লিখেছি : প্রৌঢ়ভাবনা

শিশু এখনও নেই, তবে দূরের যাত্রায় স্ত্রী নিয়মিত বিরতিতে ঘুম থেকে উঠে আর কত দূর জাতীয় খোঁজ দ্য স্যার্চ করেন

বাচ্চারা সত্যিই খুব ইন্টারেস্টিং।

শিশুপালন সিরিজ বন্ধ হলে আপনার চুল-দাড়ি এমনিতেই আর আস্ত থাকবে না। কাজেই...

ছোট বেলার কথা মনে পড়েগেল, যখন প্রথম জানলাম মানুষ একদিন বুড়ো হবে, মরে যাবে সে রাতে মাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম আসলেই কি মানুষ বুড়ো হয়? মার মুখে হ্যাঁ শুনে হাউমাউ করে কান্না পাচ্ছিল কিন্তু লজ্জায় কাঁদতে পারছিলামনা, সারা রাত কেঁদে বালিশ ভেজানোর অভিজ্ঞতা বোধয় ওটাই আমার প্রথম।

খুব সুন্দর লেখা।

ভালো লাগলো। আমার ছোট ভাগ্নীকে চেষ্টা করেও সময় দিতে পারি না। আবার এটাও বুঝি যে পরে আফসোস হবে। বেচারীর মোশন সিকনেস আছে। দুরপাল্লার যাত্রায় অবধারিতভাবে দুই থেকে তিনবার বমি করে।

এই সিরিজের সবগুলো লেখা নিয়ে ইবুকের দাবি জানিয়ে গেলাম। দারুণ হবে তাহলে।

একটা চার বছর বয়সী বাচ্চা নাকি দৈনিক গড়ে ৪৬৫ টা প্রশ্ন করে! শিশুপালন কি মুখের কথা?

চলতে থাকুক

আমার জন্মের আগ থেকে আমাদের বাসায় বিরাট এক পালঙ্ক ছিল, আমি ও সেটাতে ও ছোটবেলায় ঘুমাইছি, এখন ও সেই পালঙ্কে আব্বাআম্মা ঘুমান। আমার বাবা শখ করে এই পালঙ্ক বানিয়েছিলেন সব পুলাপান নিয়ে একসাথে ঘুমাবেন বলে। শখের পালঙ্ক এখন ও ফেলতে পারেন না, আমরা যতই চাই ও্টা ফেলে নতুন খাট কিনে আনতে, ওনারা কিছুতেই রাজী হননা, বলেন এটা এখন ও কত মজবুত দেখেছো।আপ্নার লিখা পড়ে হুট করে আমার বাবার কথা মনে পড়ে গেলো, সেই খাটের কথা মনে পড়ে গেলো।

আমি ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার আগে পর্যন্ত প্রতিদিন কিছু সময় হলেও বাবার কাছে ঘুমাতাম। এ জন্য স্বজনদের কাছ থেকে "ধাড়ি মেয়ের আদিখ্যেতা" - কম শুনতে হয়নি। আর এখন পিচ্চি দুটোকে আলাদা রাখার কথা ভাবতে পারিনা। থাকুক ওরা আমাদের সাথে যতদিন বড় না হয়। আপনার টাইমমেশিন আমাকে একই সাথে শিশুবেলা, কিশোরী বেলা ও মা বেলা-তে নিয়ে গেল। আপনার টুনটুনিরা চমৎকার শৈশব স্মৃতি নিয়ে বেড়ে উঠুক।