অসম্ভব ! এ সম্পর্ক কিছুতেই হতে পারে না !!

উচ্ছলা এর ছবি
লিখেছেন উচ্ছলা [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৯/০১/২০১২ - ১১:০৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সঙ্গত কারণেই আমার মনে হয়, জগত সংসারের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর দ্বিপদ প্রানীটির নাম “শাশুড়ী”! শব্দটির ভেতরেই বাই-ডিফল্ট গেঁথে আছে জন্ম জন্মান্তরের কলিজাকাঁপান ত্রাস! হাঁটুকাঁপান আতঙ্ক! দাঁতকপাটিলাগা বিভিষীকা! একটি নারী যখন শাশুড়ী হবার প্রমোশন পান - নিচুতা, শঠতা, স্বার্থপরতা, কুটিলতা, জটিলতা, ধূর্তামি, টাউটামি ইত্যাদি যাবতীয় কর্পোরেট বৈশিষ্ট্য তখন তার আগাপাশতলা দিয়ে তেড়েফুঁড়ে বেরিয়ে আসে! এই ‘জলের কুমির, ডাঙ্গার বাঘ’-এর থাবা, চোপা থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে চলার আত্মরক্ষামূলক কৌশলগুলো কেন যে ‘গার্হস্থ্য বিজ্ঞান’ বইয়ের অন্তর্ভুক্ত করে না শিক্ষা বিভাগ, ভেবে ভেবে আমার বালিকা-কিশোরী বেলা কেটে গেল।

‘আমার শাশুড়িটা খুব ভাল’- এ জাতীয় দুর্লভ স্বীকারোক্তি করার মত রাজ-কপালী নারী আমি দেখিনি, আমার গুষ্টির কেউ দেখেনি, আমার দাদী-নানীরাও দেখেননি।

নিজের বিয়ের সম্বন্ধ পাকা হতেই, ‘লাইলাহা ইল্লাআন্তা’ পড়তে পড়তে, ঘরে-বাইরের পারিপার্শ্বিক কাহিনী, সংবাদপত্রে প্রকাশিত ঘটনাবলী এবং বাংলা-ইংলিশ-হিন্দী নাটক-সিনেমা দেখা লব্ধিত জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে হবু-শাশুড়ীর সম্ভাব্য বৈশিষ্ট্য ও তাঁর জব-ডেসক্রিপশান ড্রাফ্ট করলাম; উদ্দেশ্য, সারভাইভালের আগাম প্রস্তুতি। সমস্যা চিন্হিত করতে পারলে, সমাধান করা পান্তাভাত।

১) ইনি তিরিক্ষী, তিতকূটে মেজাজের অধিকারিনী (মোহতারমার মেজাজ বার মাস জুড়ে খারাপ/গরম থাকবে নানা কারণে; বেশিরভাগ সময়ই- অকারণে)

২) ইনার হিটলারনি, খান্ডারনী দর্শন অবয়ব (পান খাওয়া মা-কালী সদৃশ বিভীষিকাময় জিহ্বা-দাঁত-ঠোঁট, আগুনের গোলা ছুটানো জ্বালাময়ী চোখ ইত্যাদি)

৩) ছেলের বৌকে অবলিলায় যখন তখন প্রকাশ্যে ও গোপনে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা ইনার Hobby

৪) সময়-সুযোগ বুঝে নিয়মিত ছেলের কাছে বৌয়ের আচরন-সহবত-খাসলত নিয়ে নালিশ এবং পানের বাটা সহযোগে এতদসংক্রান্ত বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা

৫) সোল্লাসে বৌয়ের ভুল ধরা। দৃশ্যমান ত্রুটি-বিচ্যুতি না পেলে আতশ কাঁচ দিয়ে সূক্ষ্ন, লুক্কায়িত, অপ্রকাশিত ভুলগুলো সযত্নে খুঁজে বের করা

৬) বৌয়ের বাপের বাড়ি নিয়ে আপত্তিজনক মন্তব্য করন ও বাপের বাড়ির তাবত আত্মীয়কূলের স্বভাব-চরিত্র নিয়ে দৈনিক-সাপ্তাহিক-মাসিক রিপোর্ট প্রকাশ করা

৭) বিবিধ

বিয়ের দিন থেকেই শশুরবাড়িতে বসবাস শুরু হল আমার। পুরুষতন্ত্রের মুখে সজোরে চপেটাঘাত বসিয়ে শাশুড়ী নামের ভদ্রমহিলাটিই তেইশ সদস্যের এ পরিবারের সর্বময় কর্ত্রী হয়ে আছেন গত সত্তর বছর ধরে! সুন্দর, হাল্কা-পাতলা, ছোটখাট, নিরীহ চেহারা দেখে একটুও বোঝার উপায় নেই যে উনার হাতে এরকম সর্বময় ক্ষমতা। মনে বড় আশা ছিল, উনি দেখতে ঘষেটি বেগমের মত হবেন; তাতে করে, বান্ধবীদের কাছে উনার নামে বদনাম করতে ও শশুরবাড়ির খাইষ্টামি প্রমাণ করতে সুবিধা হবে। কাজের বুয়া ম্যানেজমেন্ট, রান্না-বাড়ার টাইমটেবল নির্ধারন, ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে সময়মত ভাড়া আদায়, পানি-বিদ্যুতের বিল সময়মত পরিশোধ, নিচ তালা থেকে পাঁচতালা পর্যন্ত উঠা-নামা করে কোন্ নাতি-নাত্নি কেমন আছে, কোন্ বৌমার বাতের ব্যাথা কোন্ পর্য্যায়ে- এসব ব্যাপারে প্রতিদিন খোঁজ খবর রাখা…সবই দেখি সুশৃঙ্খল ভাবে চলছে। ইনার আরও একটি বেমানান বৈশিষ্ট্য হলো, ইনি কথা বলেন মৃদু-মধুর স্বরে, যা মোটেই শাশুড়ী-সুলভ নয়। (এই ভদ্রমহিলার ভুল ধরার খায়েশ আমার এ জনমে বুঝি পূরণ হবার নয়। তবুও আশা বেঁধে রাখি, একদিন না একদিন তাঁর আসল রূপ প্রকাশ পাবেই পাবে!)

আমি অফিস থেকে ফেরা মাত্রই তিনি নিজ হাতে হাসিমুখে গরম দুধের গ্লাস এগিয়ে দেন, সাথে মিষ্টি। কোনোদিন ভুল হয়না। (সে কি! এমন তো হবার কথা ছিল না!) বুকের ভেতর বুদবুদিয়ে উঠা খুশি ছাই চাপা দিয়ে, কপট রাগ দেখিয়ে, নাক চেপে দুধ গিলে বলি, “আমাকে কি শিশু মনে হয় তোমার? দুধ কোন্ যুক্তিতে?”… “এই বাড়িতে যারা শিশু আর চাকরীজীবি হ্যারা দুধ পাইবো, বাকিরা পাইতো না”…বলেই ওজু করতে চলে যান তিনি।

সন্ধ্যা হতেই পাশে বসে নিয়মিত আব্দার ধরি, “গল্প বল; তোমার যৌবনকালের প্রেম কাহিনী বল, কয়টা প্রেম ছিল সব বলবা; নাইলে ইনভেস্টিগেট করে সব বের করে ফেলব”। প্রবল বিরক্তি নিয়ে, চোখমুখ কুঁচকে, হাতের তাবিজ ফেলে তিনি একটুও দেরী না করে গল্প শুরু করতেন। তাঁর শৈশব, যৌবন, নৌকাবাইচ, লাল রেশমী চুড়ি, গোল্লাছুট, কাশবন, বকুল ফোটা উঠোন, চিতই পিঠার রসুইঘর, গোয়ালা কিশোরের বাঁশি…

প্রায় রাতেই ঘ্যানঘ্যান করতাম, “ভাত খাবনা, ফল কেটে দই-চিনি মাখায়ে দাও, বুয়ার হাতের ফল খাবনা। তোমাকে বানাতে হবে”।- ওনাকে চটিয়ে দেয়াই ছিল আমার মূখ্য উদ্দেশ্য। এই ন্যুব্জ শরীরে সারাটা দিন সমস্ত কাজ সামলিয়ে, সন্ধ্যার অবসরটা আমার প্যানপ্যান শুনে উনি কিভাবে ওনার স্ট্রেস এ্যান্ড এ্যাঙ্গার ম্যানেজমেন্ট করেন, ঐটা দেখার জন্য আমার এত ছলাকলা। বিনা বাক্যব্যয়ে উঠে গিয়ে শেরাটন-কোয়ালিটির ফ্রুট-স্যালাড বানিয়ে আনেন তিনি। “আইজকাই শ্যাষ!”…উরি আল্লাহ্, সে কি তার হুমকি!...পরের সন্ধ্যায় আবার গিয়ে বানিয়ে আনেন আমার জন্য।

(বুড়িটাকে নিয়মিত জ্বালিয়ে পুড়িয়ে আমার উথাল পাথাল পৈশাচিক আনন্দ দেখে কে! ওনাকেও হতে হবে মুখরা-খাটাশ্, তবেই না খেলা জমবে। কিন্তু উনার দিক থেকে সেরকম কোনো পদক্ষেপই দেখি না। উনি হাজার বছর ধরে লালিত শাশুড়ীতত্ত্বের রুলস এ্যান্ড রেগুলেশান্স ভাঙবেন, আর আমি তাঁর ছোট-বৌ হয়ে এ্যাডভ্যানটেজ নেব না, উনি এটা ভাবলেন কি করে?! আমাকে এভাবে আশ্কারা দিলে আমি তো মাথায় উঠবই!)

সেদিন ডিরেক্টরের উপর মেজাজ খারাপ করে, দুমদাম চাকরি ছেড়ে দিয়ে, নিজের হাত কামড়াতে কামড়াতে বাসায় এসে সোজা দরজা লাগিয়ে দিলাম। একটু পর পর এসে শ্বাশুড়ী দেখি ধাপধুপ করে নক করেন! কি যন্ত্রনা! নিজের ঘরের জিনিসপত্র শান্তিতে ভাংচুর করতে পারব না নাকি রে বাবা?! ভেতর থেকেই কয়েকবার বললাম, নাস্তা লাগবে না। ভাতও খাব না। কেউ যেন আমাকে ডিস্টার্ব না করে; আমার মাথায় খুন চেপে আছে এখন; কেউ যেন ভুলেও সামনে না আসে…

- তারপরও তিনি সমানে নক করেন! রাত দশটা পর্যন্ত অবিরাম ধাক্কাধাক্কি চলতেই থাকল। আজকে এই মহিলার একদিন কি আমার একদিন! দাঁত কিড়মিড়িয়ে দরজা খুলতেই দেখি হাতে একটা ঢাউস প্লেটে দুনিয়ার ফলমূল আর লাড্ডু নিয়ে উনি দাঁড়িয়ে আছেন। সারাদিনের অভুক্ত পেট এই দৃশ্য সহ্য করতে পারল না; কেন জানি চোখে পানি চলে এসেছিল প্রায়। এত অল্পতে খুশি হলে উনি আমাকে পেয়ে বসবেন, সে সুযোগ তো তাঁকে দেয়া যায় না। তাই ফুর্তি ঢেকে কড়া গলায় বললাম, “প্রাইভেসি বলে একটা শব্দ আছে, তুমি জান না?!”

“তোমরার মত নয়টা বাচ্চারে মানুষ করছি আমি। এখন নাতিপুতিগুলারে মানুষ করতে আছি। আমি কী জানি, আর কী না-জানি, এইটা জাইনা তোমরার কাম কি?! খায়া আমারে ধন্য কর, তোমরার খাওয়া হইলে আমি খামু। বুইড়া শরিলে এত ধকল আর লইতে পারিনা”।

একসাথে খেতে বসে গেলাম। অফিসে যা ঘটেছে তা সংক্ষেপে বললাম। এক ফাঁকে বলি, “আজকে চান্স পায়া ভালই তো দুইটা চ্যাটাং চ্যাটাং কথা শুনায়ে দিলা…”

“এতবড় সংসার আগলায়ে রাখসি, নয়টা বাচ্চারে মানুষ বানাইসি, একটাও বাটপার-দূর্নীতিবাজ হয় নাই। বড় পোলার লগে বইসা ম্যাট্রিক পরীক্ষা দিসি। ইন্টার পাশ করসি। চ্যাটাং চ্যাটাং কথা আমি কইমু না তো কি তুমি কইবা?...এই অফিস ছাইড়া ভাল করসো। দ্যাশে কি অফিস-কাচারীর আকাল পড়ছেনি? আরও একশোটা অফিস তোমারে ডাইকা নিব”।

এই অর্ধ-শিক্ষিত গৃহবধুর সামান্য একটু স্বান্তনাতেই আমার হারানো, মাটিতে লুটান আত্মবিশ্বাস ফিরে এল। পরেরদিন সকালে দেখি একটার জায়গায় বাসায় চারটা নিউজপেপার, তার মধ্যে দুইটা ইংলিশ; “তোমার চাকরীর খোঁজ পাইতে সুবিধা হবে এখন থেকে। দেশ-বিদেশ থিকা এত লেখাপড়া শিখসো কি ঘরে বইয়া চুলা ঠ্যালনের লাইগা?”। “থ্যাঙ্কু” বলতে গিয়েও বলিনি। আমার ভালমানুষী দেখে ইনি যদি পেয়ে বসেন আমাকে!

উনি আরও কিছু উল্লেখযোগ্য অনাচার করেছেন আমার সাথেঃ বাড়ির সবাইকে লুকিয়ে দইয়ের মাথা খাইয়েছেন আমাকে নিয়মিত। আমার টাইফয়েডের সময় সুচিকীৎসার জন্য যা করনীয় সব করেছেন, বোনাস হিসেবে নিজের চোখের নিচে কালি জমিয়েছেন আমার মঙ্গলকামনায় রাত জেগে নামায পড়ে পড়ে। ভাড়াটিয়া আন্টি আমার জিন্স-সংক্রান্ত বেশভূষা নিয়ে মৃদু আপত্তি জানাতেই শাশুড়ী হাতের এক ঝটকায় আলোচনা নাকচ করে দিয়েছেন উপরুন্ত তার বিবাহপোযুক্ত মেয়ের ‘ছেনাল-সুলভ’ চালচলনের দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে উপদেশ দিয়েছেন।

বাপের বাড়িতে নিজের মায়ের গালির সম্ভার দেখে মনে হত, আমার চেয়ে দক্ষ পান-থেকে-চুন খসানেওয়ালা বেকুব দুনিয়াতে আর একটাও নেই। এ বাড়িতে তো পুরো এক বছরেও কেলেঙ্কারিয়াস কিছুই ঘটাতে পারলাম না! আমার পান থেকে চুনও খসলো না, শাশুড়ীর অকৃপণ বিষবাষ্প বর্ষন দেখাও হল না। বিবাহিত জীবনের এ অসম্পূর্ণতা, এ লজ্জা কোথায় রাখি! কই যাই!!

উনার সাথে সময় কাটাতে আমার ভাল লাগে…উনার আশেপাশে ছুতানাতায় ঘুরঘুর করতে আমার সুখ লাগে…আমরা দুজনেই পরস্পরের সঙ্গ পছন্দ করি…উনার সাথে বন্ধুত্ব হলেও হতে পারে…’- বোধটা মাথায় আসা মাত্রই কারেন্ট শক খেলাম! বলে কি! বাংলার মাটিতে বৌ-শাশুড়ীর ফ্রেন্ডশীপ হয়েছে, এরকম এ্যাবসার্ড হাহাপগে ঘটনা কেউ শুনেছে?! চর্মচক্ষে দেখেছে?!

……………….........

পরদেশে পৌঁছানো মাত্রই শ্বাশুড়ির ফোন এল। ভালভাবে পৌঁছে গিয়েছি জানাতেই ফোনের ওপাশ থেকে স্বস্তির নিশ্বাস শুনলাম। আর শুনলাম বৃদ্ধ, বিদ্ধস্ত, নিঃসঙ্গ, বন্ধুহীন কন্ঠের অবিরাম কান্না। কোনো কথা নেই, কেবল কান্না। এত কাছে থেকেও সামনাসামনি যা কোনোদিন বলতে পারিনি, আজ তের হাজার মাইল দূর থেকে তা নিঃসঙ্কোচে বলে ফেললাম, “আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি, মা”। আমার মায়ের কান্না কিছুতেই থামে না।


মন্তব্য

সচল জাহিদ এর ছবি

খুউব ভাল লাগল আপনার লেখা।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

কৌস্তুভ এর ছবি

ভুল জায়গায় পোস্টাইছি মন খারাপ

উচ্ছলা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ, জাহিদ। অনুপ্রেরণা পেলাম।

চরম উদাস এর ছবি

চলুক বাহ

উচ্ছলা এর ছবি

গুরুর মুখে প্রশংসা শুনে শিষ্য খুশিতে আত্মহারা হাসি
ধন্যবাদ।

তাপস শর্মা এর ছবি

প্রথমে মিষ্টির কথা ভেবে ভাবছিলাম আজ আবার তোমাকে মিষ্টির জন্য ধরব। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পড়ার পর সব আউলা ঝাউলা হয়ে গেলো কি বলব বলতো। কিছুই বলার মতো খুঁজে পাচ্ছিনা। এমন লেখা কেউ লেখে!!!!!!!! মন খারাপ

উচ্ছলা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ, ভালবাসা আর শুভেচ্ছা নিও।
Hugs.

দায়ীন (frdayeen) এর ছবি

চলুক

উচ্ছলা এর ছবি
শাব্দিক এর ছবি

লেখায় উত্তম জাঝা! চলুক

উচ্ছলা এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ হাসি

ওডিন এর ছবি

আপনার শ্বাশুড়ি দেখি শ্বাশুড়িকূলের কলঙ্ক! দেঁতো হাসি

আর ইয়ে, লেখাটা খুব ভাল্লাগলো। নিঃসঙ্গ বুড়োমানুষদের কষ্টের কথা মনে করতে চাই না, তারপরেও মন খারাপ হয়।

উচ্ছলা এর ছবি

ওডিন সাহেবের লেখা আমার দারুন পছন্দ।

পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

guest_writter এর ছবি

উছলা, আপনার লেখা খুব ভালো লাগলো।

দীপাবলি।

উচ্ছলা এর ছবি

অজস্র ধন্যবাদ, দীপাবলি হাসি

শুভেচ্ছা।

তিথীডোর এর ছবি

তোমার পোস্টগুলো ভাষাজনিত কারণে আমার একটু দাঁতে ঠেকে। [আমার দাঁতে পোকা, সে কারণেও হতে পারে অ্যাঁ ]
তবে এ লেখাটা চমৎকার লাগল আপু। চলুক

আমার মাও যে খুব এরকম অতি ভাল শ্বাশুড়ি হবেন আর একমাত্র পুত্রবধু ঘরে আসা মাত্রই মেয়েদের ভুলে যাবেন, এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। ইয়ে, মানে...

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

উচ্ছলা এর ছবি

তিথীমনি, তোমার আম্মুর জন্য শুভেচ্ছা আর তোমাকে শতকুটি ধন্যবাদ লেখাটা পড়েছ বলে হাসি

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

অসাধারণ লেখা। শেষে এসে মনটা কেমন যেন করে দিলেন।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

উচ্ছলা এর ছবি

অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম আপনার মন্তব্যে। অনেক ধন্যবাদ।

কৌস্তুভ এর ছবি

না না এই লেখা আপনার না! খাইছে

উচ্ছলা এর ছবি
তাসনীম এর ছবি

চমৎকার লাগলো লেখাটা।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

উচ্ছলা এর ছবি

ধন্যবাদ। আপনার মন্তব্য বরাবরই আমাকে অনুপ্রেরণা যোগায়।

pupei এর ছবি

আপু খালামিনর েক আমার তরফ েথেক সালাম ..............
েলখা পেড় আননদ পইলাম......

উচ্ছলা এর ছবি
আদ্রিতার মা এর ছবি

আপনার লিখা তো দারুন। কেমন আছেন আপনার মা এখন?
আমার হবু শাশুড়ি তো এখন থেকেই শাশুড়ি সুলভ আচরণ শুরু করে দিয়েছেন। তার মতে এই রকম মোটা , কালো, আর বয়সে এক বছর বড় মেয়েটা তার ছোট্ট ছেলেটার মাথাই কেন খেল । যদিও প্রথমটা সঠিক, পরেরটা চলে আর শেষটা তো পুরাই উল্টো।
আবার আমার হবু বরের শাশুড়ি ও কম যান না। তার মতে দেশের সেরা বিদ্যাপীঠ থেকে পাশ করা সব গুণে গুণান্বিতা মেয়েটা এত ভাল ভাল প্রস্তাব পায়ে ঠেলে কেন যে একটা নামগোত্রহীন প্রাইভেট বিদ্যাপীঠের ভবিষ্যতবিহীন একটা ছেলের আশাতে বসে আছে।
এদিকে আমরা দুজন বাবা-মার মনে কষ্ট দিবোনা এই আশায় নদীর দুকুলে বসে আছি।কতদিন যে থাকতে হ্য় এভাবে কে জানে।
তবে যদি কোনদিন হবু শাশুড়ি সত্যি সত্যি শাশুড়ি হয়ে যান তবে এমন একটা লিখা আমি ও দিবো হাসি

উচ্ছলা এর ছবি

আপনাদের সমস্যাগুলো কেটে যাক, শুভেচ্ছা রইল।
নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য বিরাট একটা ধন্যবাদ পাওনা আপনার।

আর...আমার মা ভাল আছেন; ধন্যবাদ। জীবনের শেষ সময়ে পৌঁছে গেছেন তিনি। এ বাস্তবতা মেনে নেয়া অসম্ভব। কিছুতেই মানতে পারিনা উনি একদিন আমাকে ছেড়ে চলে যাবেন।

আপনার মায়েদের জন্য শুভকামনা।
ভাল থাকুন।

তানিম এহসান এর ছবি

এই লেখাটা একদম অন্যরকম, চমৎকার। আপু, লিখে যাচ্ছেন, চলুক, একটা সময়ে এসে আপনার কাছ থকে খুব ভালো গল্প পাবো, এই প্রত্যাশাটা কেন যেন দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে হাসি

উচ্ছলা এর ছবি

গল্প লেখার ক্র্যাশ কোর্স আমাকে কে দেবে? ইয়ে, মানে... ...আমি জীবনেও গল্প লেখি নাই যে!

প্রশংসা শুনে মন ভরে গেল। অনেক ধন্যবাদ, বাডি হাসি

তানিম এহসান এর ছবি

গল্প লেখার ক্র্যাশ কোর্স!! কেউ দেবেনা, আর কোর্স করলেও ক্র্যাশ কোর্স না করার জন্যই পরামর্শ দেবো। গল্পতো লিখেই যাচ্ছেন, অনুগল্প পাচ্ছি আমরা কোন না কোনভাবে আপনার কাছ থেকে ... হয়ে যাবে হাসি

আপনার শাশুড়ি মায়ের মঙ্গলকামনায় ..

ধূসর জলছবি এর ছবি

আপনার কথা মতই বলি, আপনি তাহলে রাজ-কপালী , ভাল লাগল পড়ে খুব । চলুক

উচ্ছলা এর ছবি

আমি আসলেই রাজ-কপালী। শান্তিতে জীবন যাপনের সব মন্ত্র, দীক্ষা আমি উনাকে দেখে দেখে জেনেছি, শিখেছি। এরকম নিখুঁত শিক্ষক আমার জীবনে আর একজনও আসেননি।

আপনার মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

রু (অতিথি) এর ছবি

বাংলা হিন্দি সিনেমা টিভি সিরিয়ালের মধ্যে অর্ধেকগুলোতে থাকে দজ্জাল শ্বাশুড়ির কাহিনি আর বাকি অর্ধেক থাকে খান্ডারণী পুত্রবধূর কার্যকলাপ। আমি যা বুঝলাম, আপনাদের পরিবারের ঘটনা ঐ বাকি অর্ধেকে ফিট করে।

উচ্ছলা এর ছবি
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

এই লেখাটা ভালো লেগেছে। এর আগে আপনার অন্য একটি পোস্টে যৌথ বিশাল পরিবার আর আপনার নিজের চাকুরি-পড়ালেখা ইত্যাদি পড়ে আমার মনে বেশকিছু প্রশ্ন এসেছিলো, কিন্তু ব্যক্তিগত হয়ে যাবে মনে করে আমি আর জিজ্ঞেস করিনি। আজকে এই পোস্টটা পড়ে সেগুলোর কিছু বিষয় পরিষ্কার লাগছে, যেমন বেশ স্বাধীনচেতা মেয়ে হয়েও আপনি কেমন করে এত বিশাল যৌথ পরিবারে সংসার স্থাপনে আগ্রহী হলেন। আপনি এখন দেশের বাইরে থাকেন এইটাও বুঝলাম সম্প্রতি অন্য একটা পোস্ট থেকে। আর আমাদের দেশে এমন মানুষ আছেন যিনি সেই সময়ে নিজের ছেলের সাথে বসে ম্যাট্রিক দিয়েছেন, কষ্ট করে ইন্টামিডিয়েট দিয়েছেন, এইটা থেকে বুঝলাম, তার নিজের শ্বশুরবাড়িটাও ব্যতিক্রম ছিলো, আর তিনি নিজে ব্যতিক্রমী বলেই তার ছেলেরাও ব্যতিক্রমী হবেন, যে কারণে আপনি তাদের একজনকে পছন্দ করতে পেরেছেন। এগুলাও মনে হয় ব্যক্তিগত কথা হয়ে গেল... দুঃখিত সেজন্যে। তবে মানুষটাকে আমার শ্রদ্ধা... যিনি অন্য পরিবারের একটা মেয়ের শ্রদ্ধা অর্জন করতে পারেন, মা আর ভালোবাসার ডাক আদায় করে নিতে পারেন অনায়াসে, তার সম্পর্কে আমার অনেক উঁচু ধারণা হলো... আর আপনাকে মৃদু হিংসা। হাসি আপনারা যেন এই মানুষের ছায়ায় থাকেন আরও বহুদিন সেই শুভেচ্ছা। আর বাংলাদেশের মেয়েরা যেন এমন হতে পারেন আর নিজেরাও এমন পরিবার পান সেই প্রত্যাশা।

অটঃ আমি খুব সত্যি কথাটা বলি, আমি নিজে স্ল্যাং বলে বা পড়ে অভ্যস্থ নই, আপনার লেখায় সেটা কেমন যেন একটু বেশি আসে, তাই পড়ে আরাম পাই না। আর আপনার 'বিবাহ' ও 'গহনা' সংক্রান্ত পোস্টগুলোর লেখাটা কেমন যেন অগোছালো লেগেছে পড়তে, যেন একবারে অনেক ফ্রাস্ট্রেশন বের করে দিতে চেয়েছেন। আরও মনে হয়েছে কিছু ক্ষেত্রে যে প্রতিবাদগুলো আপনি নিজের মুখে ঐখানে দাঁড়িয়ে উপযুক্ত ব্যক্তিবর্গকে শোনাতে পারেননি, তা ঐ পোস্টগুলোর মাধ্যমে অপরিচিত মানুষদের কাছে তুলে ধরেছেন। এটা অবশ্য ঠিক যে পরিচিত কারুর থেকে কষ্টগুলো (এক্ষেত্রে সামাজিক কষ্টগুলো), অপরিচিত কারো কাছে শেয়ার করা সহজ, তারা আমাদেরকে জাজ করছে এই বোধটা অত এফেক্ট করে না নিজেকে।
গোছানো নয়, প্রচুর বানান বিভ্রাট আর ভাষার কারণে আমি আপনার সব পোস্ট পড়ে দেখি না মন দিয়ে।

পুরাতন একটা লেখা পড়লাম আজকে, সেটা খুব ভালো লাগলো, মন্তব্য করেছি ঐখানেই। সর্বশেষটায় মন্তব্য ১০০ ছাড়িয়েছে আর আমি আসলে ১০০+ মন্তব্যের পোস্টে মন্তব্য অরার আগ্রহ পাই না তাই উপরের কথাগুলো সেই পোস্টের উপযুক্ত হলেও করা হয়নি। দুঃখিত অপ্রাসঙ্গিকভাবে এখানে করায়।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

উচ্ছলা এর ছবি

ধন্যবাদ মন খুলে কথা বলার জন্য। আপনার মন্তব্য, মতামত আমার লেখাকে ইম্প্রুভ করবে, সন্দেহ নেই।

নিজের লেখার স্টাইল বিষয়ে জাস্টিফাই বা ডিফেন্ড না করি বরং। ভাল লাগলে পড়বেন, না লাগলে নাই দেঁতো হাসি

অনেক অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপনার জন্য।
Hugs.

অতিথি1 এর ছবি

এইটা কি লেখলেন? কেঁদে ফেললাম তো!

উচ্ছলা এর ছবি

আপনার ভাল লেগেছে?

অনেক ধন্যবাদ সময় নিয়ে পড়েছেন বলে কোলাকুলি

ক্ষুদ্র সত্তা এর ছবি

অনেক ভাল লেগেছে। লিখতে থাকুন। আপনার আগের লেখাগুলো নিয়ে বেশ কজন সমালোচনা করেছেন। তবে আমার মন্দ লাগেনি। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গেলে মিনমিনিয়ে করলে হয় না। এজন্যই বাঙ্গালির যে কোন মিছিলেই 'আগুন জ্বালো' টাইপ কিছু থাকতেই হয়! খাইছে
অনেক শুভকামনা রইল...

উচ্ছলা এর ছবি

ধন্যবাদ আবারও হাসি
সমালোচনা কিন্তু আমার স্বাস্থ্যের জন্য দারুন স্যুটেবল দেঁতো হাসি অনেক কিছু শেখা যায় এ থেকে হাসি

শুভেচ্ছা।

তাসনীম এর ছবি

প্রোফেইন এবং প্রোফাউন্ড ঠিকমত মেশাতে পারলে কিন্তু আউটপুট ভালো হয় হাসি

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

অ্যাবসোলুটলি অ্যাগ্রিড! আমার কাছে সবথেকে অপটিমাম সাহিত্য উদাহরণ হলো 'চিলেকোঠার সেপাই' তাসনীম ভাই! পুরান ঢাকার রিকশাওয়ালা খিজির তার আশেপাশে কী ভাষা শুনে বড় আর সে নিজে কী ভাবে কথা বলে আর অন্যদিকে ওসমান কীভাবে চিন্তা করে, বা আনোয়ার, তা যদি ঠিক ঐভাবেই না হতো তবে ইলিয়াসের এ উপন্যাস পড়বার সময়ে আমি নিজে বারবার খোলস পালটে খিজির, ওসমান, আনোয়াররা হয়ে যেতে পারতাম না, ঊনসত্তরের গণআন্দোলনের মিছিল নিজের চোখের সামনে দেখতে পেতাম না... উফফ! আবার এই বইটার কথা মনে পড়ে গেল... আরেকবার পড়া দরকার!

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

তাসনীম এর ছবি

অসামান্য একটা উপন্যাস। হাড্ডি খিজিরের কথা আজ সকালেও অন্য একটা প্রসঙ্গে মনে পড়ছিল।

তবে এই মিশেল খুব বেশি লোক করতে পারেন না...স্কুল পালালেই যেমন রবীন্দ্রনাথ হওয়া যায় না, তেমনি গালাগাল ছাপার অক্ষরে লিখলেই ইলিয়াস হওয়া যায় না।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

উচ্ছলা এর ছবি

তাসনীম, ঐ বিষয়েই তো চেষ্টা করি; কিন্তু ম্যাশ-আপ ঠিকমত হচ্ছে না...
মন খারাপ মন খারাপ মন খারাপ মন খারাপ

তাসনীম এর ছবি

চেষ্টা চালিয়ে যান, কাজটা কঠিন। তবে এরচেয়ে অনেক জরুরী হচ্ছে গুছিয়ে লেখা। যে লেখাগুলো আপনি একদম ভেতরের আবেগ থেকে লিখেছেন সেগুলো সবই মানোত্তীর্ণ হয়েছে, মনে দাগ কেটেছে (যেমন এই লেখাটি)। কিন্তু রাগের মাথার স্ল্যাং মেশানো লেখা খুব বেশিদূর যাবে না।

আমি মন্তব্যে খুব বেশি কিছু লিখি না, বলতে পারেন প্রায় সবই সময়ে ভালো লাগাটা জানিয়ে দেই। কিন্তু নিকের মতই আপনার লেখাতে উচ্ছলতার একটা স্পর্শ আছে, সেটা সকালের সতেজ বাতাসের মতো এক ধরনের শান্তি এনে দেয়। সেই কারনেই বলা...আমাদের সবারই উচিত চেষ্টা করা প্রথমে প্রোফাউন্ড অংশটা শেখা - ওটা শিখতে পারলেই দু'ফোটা প্রোফেনিটি ঢেলে দেওয়া যায়।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

উচ্ছলা এর ছবি

মেসেজ রিসিভড্, পয়েন্ট নোটেড হাসি

সময় নিয়ে বুঝিয়ে বলার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
ডালাসের এদিকে আসলে জানিয়েন, প্লীজ। আমি দই বানাতে শিখেছি; টেইস্ট সন্তোষজনক হাসি

তাসনীম এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ হাসি

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

কপাল বটে! তাঁর আচরন আপনার উপরে যে প্রভাব ফেলেছে সেটা ভবিষ্যৎ এ কাজে লাগবে নিশ্চয়!
লেখা ভাল লেগেছে।

উচ্ছলা এর ছবি

নিশ্চই আমার সন্তান সম্মান আর স্বাধীনতা তার মায়ের কাছ থেকে পাবে, যা আমি আমার দুই মায়ের কাছ থেকে পেয়েছি সেই শুরু থেকেই।

আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

তারেক অণু এর ছবি

যা বাব্বা, পুরাই সংসার কাহিনী ক্রমাগত!
আমার মা শাশুড়ি হিসেবে দারুণ হবেন ( আমার মাধ্যমে তো হবার নয়, বড় ভাই-ই ভরসা চাল্লু

উচ্ছলা এর ছবি

সম্পর্ক-কাহিনী হাসি

তোমার ব্রহ্মচারী-মার্কা বড় বড় কথা কয়দিন থাকে, দেখা যাবে।

চিলতে রোদ এর ছবি

তোমার ব্রহ্মচারী-মার্কা বড় বড় কথা কয়দিন থাকে, দেখা যাবে।

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

জিজ্ঞাসু এর ছবি

ভাল শাশুড়ি আরো দেখেছি। তবে আপনার শাশুড়ি আপনাকে মনে হয় একটু বেশিই আদর করেন। সুস্থ শরীরে তিনি বেঁচে থাকুন যুগ যুগ!!

___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে

উচ্ছলা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আপনার শুভকামনার জন্য কোলাকুলি

লোকে অপাত্রেই কেন জানি বেশি বেশি স্নেহ, ভালবাসা দেয়...আজব দুনিয়া !

ফাহিম হাসান এর ছবি

লেখা পুরাই ধিকি ধিকি ফায়ার গুল্লি গুল্লি গুল্লি

পরে আরো বিস্তারিত মন্তব্য করছি।

উচ্ছলা এর ছবি

সত্যি নাকি? হাসি হাসি হাসি ধন্যবাদ।

বিস্তারিত মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম।

স্যাম এর ছবি

সকালে পড়েছিলাম তারেক অণু - রাতে উচ্ছলা - পজিটিভ এটিচিউড আর প্রাঞ্জল এই লেখাগুলো আর হোক - এ জন্যই সচলায়তন পড়া বছরের পর বছর - লিখতে থাকুন এমন - আবদার রাখলাম !

উচ্ছলা এর ছবি

প্রাণঢালা ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা এত মিষ্টি একটা আবদারের জন্য হাসি

সঞ্জয় কুমার চৌধুরী এর ছবি

এধরনের লেখার শুরুতে disclaimer থাকলে আমাদের মত লোকজন - যারা বয়োবৃদ্ধ বাবা-মাকে ছেড়ে একা আছে - মন চাইলেই সব ছুড়ে ফেলে ছুটে যেতে পারছে না - তাদের একটু সুবিধে...

ও, এর একটা কথা, আপনি আসলেই ভালো লেখেন.

উচ্ছলা এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ, সঞ্জয়।
ভাল থাকুন।

ন এর ছবি

খুব ভাল লাগল

উচ্ছলা এর ছবি
Aparna এর ছবি

আপু আমি সাধারণত আপনার লেখা পড়ে যাই, কমেন্ট করা হয় না। আপনার সরল প্রকাশ ভংগীটা আমার খুব ভালো লাগে। শুভকামনা থাকলো আপনাদের জন্য।

আর ইয়ে একটা প্রশ্ন ---- আপনার শাশুড়ির অবিবাহিত ছেলে নাই কোনো ? খাইছে

উচ্ছলা এর ছবি

উনার ছোট ছেলেটাকে আমি বিয়ে করেছি হাসি

অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য কোলাকুলি

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

উনার ছোট ছেলেটাকে আমি বিয়ে করেছি।

কিন্তু অবিবাহিত ছেলেতো থাকতেই পারে, তাইনা ৷

বোবার_চিতকার এর ছবি

লেখা ভালো হইছে। পাঁচ তারা দিলাম।

উচ্ছলা এর ছবি

খুশি হলাম। ধন্যবাদ জানালাম আন্তরিকভাবে হাসি

সৃষ্টিছাড়া এর ছবি

আপনার লেখার বিষয়বস্তুগুলো ভালো লাগে। দীর্ঘদিনের চলে আশা অনেক অপ্রয়োজনীয় এমনকি ঘাড়ে চেপে বসা সিন্দবাদ এর ভুত শ্রেনীর রীতি গুলো ছুড়ে ফেলার সময় হয়েছে। খুব বেশি মানুষ এইসব নিয়ে কথা বলেনা। আজকের লেখাটাও ভালো লেগেছে। আশা করি আপনিও ভালো শাশুড়ি হবেন। আরেকটা কথা চুপি চুপি বলে যাই আমিও অনেক বড় মনের একজন শাশুড়ি পেয়েছি। এমনকি উনি নিরক্ষর মানুষ কিন্তু উনার মাঝে যে বিরাট মনটা আছে সেটা অক্সফোর্ড বা হার্ভার্ড এ পড়লেও অর্জন করা যায় না। এমন বিষয় নিয়ে আরো লিখুন.. হাসি চলুক

উচ্ছলা এর ছবি

আপনিও সময় সুযোগ করে আপনার কথাগুলো লিখে ফেলুন না, প্লীজ।

অনেক ভাল লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে। অনেক অনেক ধন্যবাদ জানালাম।

সৃষ্টিছাড়া এর ছবি

সবাই লেখক আর সমালোচক হলে বিশুদ্ধ পাঠক হবে কে?! হাসি এছাড়াও বাংলা বানান আর টাইপিং এ আমার দুর্বলতা আছে (এটা বলতে লজ্জা লাগলো )। আমি জানার জন্য আর আনন্দ পাবার জন্য পড়ি। লেখককে সরাসরি প্রতিক্রিয়া জানাতে পারা, লেখার বিষয় বৈচিত্র আর জীবন ঘনিষ্টতা, উন্মুক্ত আলোচনার সুযোগ ইত্যাদি কারণে ব্লগ পড়তে অনেক ভালো লাগে।
আপনার মাকে আমার ভালবাসা জানাবেন হাসি

তদানিন্তন পাঁঠা এর ছবি

নাহ। আমার আশে পাশে দেখা কারো শ্বাশুড়ীর সাথেই মিলে না আপনার লেখা। পুরাই বানোয়াট মনে হয় :D। আপনি আশংকা করেছেন, ভয় পেয়েছেন, প্রতিরোধ এর কথা চিন্তা করেছেন। আপনাকে কিছুই করতে হয়নি। আপনি শুধু রাজকপালীই নন; মনে হয় কোটিতে একজন সৌভাগ্যবতী।

বড় আশা ছিল যে আমার মা অন্তত টিপিক্যাল শ্বাশুড়ী হবেন না। আমার বউ হবে না টিপিক্যাল বউ। কিন্তু কোনটাই পূরন হয়নি। একটা আশা নিয়েই বউয়ের কানে মন্ত্রণা দিয়ে যাই। দেখে শিখ। তুমি যেমন কষ্ট পাচ্ছ তোমার শ্বাশুড়ী থেকে, তেমনটা যেন তুমি হয়োনা। পরের প্রজন্মের উপর প্রতিশোধ নাওয়ার কিছু নাই। দুঃখ হলো উত্তরে সে বলে আমাদের তো একটাই মেয়ে। কাজেই আমি ছেলে বউয়ের সাথে খারাপ করব কী ভাবে? কিছুতেই তাঁকে বুঝাতে পারিনা যে ব্যপারটা ছেলে বউ বা শ্বাশুড়ীর নয়। ব্যপারটা মানসিকতার। ইয়ে, মানে...

খুব ভালো লাগল আপনার লেখা পড়ে। হতাশ হতে গিয়েও এরকম দু'চারজনের কথা জানতে পেরে আবারও মনে জোর ফিরে পাই। সুখে থাকুন। আপনাদের বউ-শ্বাশুড়ী সম্পর্ক দীর্ঘজীবী হোক। ঘরে ঘরে গড়ে উঠুক এমন মানবীয় ভালবাসার আখ্যান।

উচ্ছলা এর ছবি

ঈশ কত্ত চমৎকার প্রাণখোলা একটা মন্তব্য!
আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ হাসি

অনিন্দ্য সৈকত এর ছবি

আপনার লেখায় ব্যবহৃত অনেক স্ল্যাং আমার কাছে আরোপিত এবং অপ্রাসঙ্গিক মনে হয়। একান্তই আমার মত, তবু বলি, সম্ভবত লেখার মানও কিছুটা ক্ষুণ্ন হয়।আপনার সব লেখাতেই জেনারেলাইজেশনের একটা টোন বেশ প্রকট। সেটা আপনার এক্সপোজারের অভাবের জন্যও হতে পারে। আপনার লেখা পড়ে 'টিপিক্যাল ঢাকাবাসী' কালচারের একটা গন্ধ পাওয়া যায়। আমার মত উত্তরবঙ্গীয়ের কাছে সেটা অবশ্য অন্যরকম লাগতেই পারে। আপনার শ্বাশুড়ির প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। কিন্তু আপনি আরো অনেক পরিবারেই কিন্তু এরকম উদাহরণ পাবেন।
আজকের লেখাতে প্রতিবেশীনীর মেয়ের "ছেনাল-সুলভ চালচলন" কথাটি যথেষ্ট আপত্তিকর ঠেকেছে। তথাকথিত ছেনাল-সুলভ অথবা 'স্লাটি এটিটিউড' হিসেবে ট্যাগিং কিন্তু পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার বেশ বড়সড় একটা অস্ত্র। মেয়েদেরকে কোন আচরণকে 'ছেনাল-সুলভ' বলা হবে? আর কেনই বা বলা হবে? ছেলেদের একই আচরণকে আদরমাখা সুরে 'লুলামি' বলা আর এই 'ছেনাল' ট্যাগিং কি একই গুরুত্ব বহন করে? আপনার কি মনে হয়?

উচ্ছলা এর ছবি

কিন্তু আপনি আরো অনেক পরিবারেই কিন্তু এরকম উদাহরণ পাবেন।

জ্বি, তবে তা খুবই দুর্লভ, আর সে কারণেই এই লেখাটার উৎপত্তি হাসি

আজকের লেখাতে প্রতিবেশীনীর মেয়ের "ছেনাল-সুলভ চালচলন" কথাটি যথেষ্ট আপত্তিকর ঠেকেছে।

এরকম আপত্তিকর অনেক শব্দ দৈনন্দিন জীবনে হরহামেশা ঘরে-বাইরে শোনা যায়; না? এ ক্ষেত্রে আমি আমার জীবন থেকে নেয়া বাস্তব অভিজ্ঞতাটুকুই শেয়ার করেছি কেবল। হয়ত আমার মা তার মেয়ের বেশভুষাকে কেউ খারাপ ইঙ্গিত করবে, এটা সহ্য করতে না পেরেই ঐ মহিলাকে তার কন্যা সম্বন্ধ্যে ঐ শব্দটি বলে ফেলেছেন। স্নেহ আর কি হাসি আপনার সাথে এটা নিয়ে বিশ্লেষন/তর্ক করতে ইচ্ছে করছে না এখন। (তর্ক ব্যাপারটিতেই আমার চরম এ্যালার্জী)

বিশদ নেতিবাচক সমালোচনার সাথে সাথে একটি দুটি ভাল কথা বলা বা প্রশংসা করাটাকেই 'গঠনমূলোক সমালোচনা' বলে বোধয়। আলোচনায় এটি স্বাস্হ্যকর একটি ব্যালেন্স আনে। অন্যথায়, এই একপক্ষীয় নেতিবাচক মনোভাব কেবলই উভয় পক্ষের মাঝে অনাকাঙ্খিত তিক্ততার সৃষ্টি করে।

বাই দ্য ওয়ে, লেখাটির কিছুই ভাল লাগেনি আপনার?...কই তা নিয়ে তো কিছুই বলতে শুনলাম না হাসি কষ্ট করে এই লেখাটা নিয়ে বাকি ৩০ জন পাঠকের মতো একটা পজিটিভ কিছু বলুন তো শুনি...দেখি আপনি অন্যের মিনিমাম প্রশংসা করতে শিখেছেন কি-না দেঁতো হাসি

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

বাই দ্য ওয়ে, লেখাটির কিছুই ভাল লাগেনি আপনার?...কই তা নিয়ে তো কিছুই বলতে শুনলাম না হাসি কষ্ট করে এই লেখাটা নিয়ে বাকি ৩০ জন পাঠকের মতো একটা পজিটিভ কিছু বলুন তো শুনি...দেখি আপনি অন্যের মিনিমাম প্রশংসা করতে শিখেছেন কি-না

সমালোচনা মানেই যে একই ব্যক্তিই ভালো দিক এবং খারাপ দিক দুইটা নিয়েই আলোচনা করবেন এইটা মনে হয় না 'সমালোচনা'র সংজ্ঞার রীতিগত। কমিউনিটি ব্লগে লেখার একটা ইন্টারেস্টিং দিক হলো পাঠক ফিডব্যাক পাওয়া এবং খুব দ্রুত তা পাওয়া যায়, যেটা প্রিন্টেড মিডিয়ায় পাওয়া যায় না বা সহজে ঘটে না। শুধু ভালোটাই শুনতে পাবো, খারাপটা শুনতে পাওয় যাবে না, এইটা আশা করা বা শুধুই খারাপটা শুনতে পেলেই চ্যালেঞ্জ করা, যে দেখিট ভালোটা বলেন তো, কেমন যেন হাস্যকর লাগে, এমনকি সারকাজম হলেও। কারো কাছে পুরাটাই বাজে লাগতেই পারে, এটা পাঠকের নিজের স্বাধীনতা, আর সেই মতটা প্রকাশেরও স্বাধীনতা তার আছে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

উচ্ছলা এর ছবি

শুধু ভালোটাই শুনতে পাবো, খারাপটা শুনতে পাওয় যাবে না, এইটা আশা করা বা শুধুই খারাপটা শুনতে পেলেই চ্যালেঞ্জ করা, যে দেখিট ভালোটা বলেন তো, কেমন যেন হাস্যকর লাগে, এমনকি সারকাজম হলেও। কারো কাছে পুরাটাই বাজে লাগতেই পারে, এটা পাঠকের নিজের স্বাধীনতা, আর সেই মতটা প্রকাশেরও স্বাধীনতা তার আছে।

-সুন্দর বলেছেন। তবে দ্বিমত পোষন করছি শ্রদ্ধার সাথে।

যার যত ইচ্ছে নেতীবাচক কথা বলুক এখানে, যেহেতু এটি পাঠকের অধিকার। তবে সেই সাথে দুটো ভাল কথা বলে নবীন লেখিয়েদের উৎসাহ দেয়াটাও খুব একটা খারাপ অভ্যাস নয়, কি বলেন?

অন্যের প্রতি যৎসামান্য Nice আচরন করতে পরিশ্রমও হয়না, টাকাপয়সাও খরচ হয়না। তাহলে কেন এই একতরফা তীব্র সমালোচনা যা মানুষের তৎক্ষনাত মনোকষ্টের কারণ হয়?...তার মানে এই নয়, সমালোচনা করা যাবে না। অবশ্যই যাবে। সমালোচনার টোন/ধরণ একটু বিনয়ী, একটু less-harsh হলে ক্ষতি কি?

লক্ষ্য করে দেখুন, এখানে যারা আমার ভুল ধরিয়ে দিয়েছেন, একই সাথে উৎসাহব্যঞ্জক দু' একটা ভাল কথাও বলেছেন। এই ব্যালেন্সটি খুবই জরুরী শুধু লেখালেখির মত ক্রিয়েটিভ অঙ্গনে নয়, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেও।

পাঠকের মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে বলেই কেবল ক্রমাগত নেতিবাচক মত তিনি প্রকাশ করে যাবেন, এটাও বা কেমন নান্দনিক চর্চা?...অন্যের ভুল ধরার সাথে সাথে অন্যের প্রশংসা করার অভ্যাসটি রপ্ত করার জন্যই আমি জনৈক পাঠককে হাসিমুখে আহ্বান জানিয়েছি। ক্ষতিকর বা অসুন্দর বা আপত্তিজনক কিছু বলেছি বলে তো মনে হয় না।

আসুন এই বিষয় নিয়ে আর কথা না বাড়াই। 'পজিটিভ থিঙ্কিং' বা 'পজিটিভ লিভিং' ব্যাপারগুলো সবাই বুঝবে, এটাও আমি আশা করিনা। ভাল থাকুন।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আপনি ক্ষতিকর বা অসুন্দর বা আপত্তিজনক কিছু বলেছেন এমনটা কি আমি বলেছি? হাসি

আপনার বেশ ক'টা পোস্টেই মন্তব্যগুলো পড়ে মনে হয়েছে, আপনি প্রশংসা বেশ ধন্যবাদের সাথেই গ্রহণ করলেও শুধু নেতিবাচক কথা বলেছে এমন মন্তব্য পেলেই এই ধারণা পোষণ করছেন যে সবাই নেতিবাচক কথার পাশাপাশি দুটো ভাল কথা বলে নবীন লেখিয়েদের উৎসাহ দিতে বাধ্য!

বিশদ নেতিবাচক সমালোচনার সাথে সাথে একটি দুটি ভাল কথা বলা বা প্রশংসা করার মাধ্যমে 'গঠনমূলোক সমালোচনা' - সব পাঠকেই করবে এমনটা ধরে নিয়ে কমিউনিটি ব্লগে লিখতে গেলে মুশকিল। এটা একটা ফ্যাক্ট স্টেইট করলাম, রিলেটিভলি পুরাতন ব্লগার হিসেবে, আমার আগের মন্তব্যটার স্পিরিটও একই ছিল। এখন এই ফ্যাক্ট আপনি আগে থেকেই মনে হয় জানেন, তবুও আপনার এখানে আমার জানানোকে কেমনভাবে নেবেন সেটা আপনার ব্যক্তিগত অভিরুচি।

আমরা আসলেই আর কথা না বাড়াই। আপনিও ভালো থাকবেন। লেখালেখি চলুক। হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

উচ্ছলা এর ছবি

আপনার বেশ ক'টা পোস্টেই মন্তব্যগুলো পড়ে মনে হয়েছে, আপনি প্রশংসা বেশ ধন্যবাদের সাথেই গ্রহণ করলেও শুধু নেতিবাচক কথা বলেছে এমন মন্তব্য পেলেই এই ধারণা পোষণ করছেন যে সবাই নেতিবাচক কথার পাশাপাশি দুটো ভাল কথা বলে নবীন লেখিয়েদের উৎসাহ দিতে বাধ্য!

দুঃখিত, ভুল বুঝেছেন।
কেউ ভাল কথা এখানে বলতে বাধ্য নয়। তবে ভাল কথা বলার মত নান্দনিক অভ্যাসটি রপ্ত করতে পারলে লেখক-পাঠক উভয়েরই লাভ হয়; এটিই বুঝাতে চেয়েছি। কাউকে বাধ্য করতে আমার বয়েই গেছে খাইছে

বিশদ নেতিবাচক সমালোচনার সাথে সাথে একটি দুটি ভাল কথা বলা বা প্রশংসা করার মাধ্যমে 'গঠনমূলোক সমালোচনা' - সব পাঠকেই করবে এমনটা ধরে নিয়ে কমিউনিটি ব্লগে লিখতে গেলে মুশকিল।

এমন ধারণা নিয়ে বসিনি তো হাসি তবে ভাল কথা বলার অভ্যাস যার মধ্যে আমি কম দেখব, যাকে কেবলি ক্রমাগত ত্যক্ত সমালোচনা করতে দেখব আমার পোস্টে, তাকে মাঝে মধ্যে ভাল কথা বলার অভ্যাসটি রপ্ত করার জন্য আমি অনুরোধ করতেই থাকব হাসি এতে মনে হয় ব্যাপকার্থে উক্ত পাঠকের ব্যক্তিগত থট-প্রসেসেও ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে হাসি

বিবর্ন সময় এর ছবি

কেন জানি চোখে পানি চলে এলো।

ভালো থাকবেন; ভালো থাকুক আপনার মা'ও।

উচ্ছলা এর ছবি

আপনার মায়ের জন্যও শুভেচ্ছা রইল।

অনেক অনেক ধন্যবাদ সময় নিয়ে পড়েছেন বলে হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

আপনার এই লেখাটা পড়ে মনটা খুব স্যাডি স্যাডি হয়ে গেলো। কান্তে কান্তে শ্যাষ! কিন্তু হোয়াই দিস কোলাভেরি ডি? আই মিন, কেনো এই কান্নাকাটি! চিন্তিত

উচ্ছলা এর ছবি

পড়েছেন এবং মন্তব্য করেছেন বলে কৃতজ্ঞতা। ধন্যবাদ নিন হাসি

অনিন্দ্য সৈকত এর ছবি

পজিটিভ দিকগুলো তো সবাই বলেই ফেলেছেন। আমি না হয় আজকে নেগেটিভগুলোই বললাম। আপনার নেক্সট লেখায় শুধুই পজিটিভ দিকগুলো বলব। প্রমিস।

উচ্ছলা এর ছবি

য়াক্ষোদা!
আমার তো ধারণা হয়েছিল, আপনি অত্যন্ত নেতিবাচক, ন্যাগিং, ডি-মোটিভেটিং একজন মানুষ যে আমার লেখায় বিন্দু মাত্র ভাল কিছুই দেখে না, দেখলেও তা সুন্দর করে বলার মত সাহস বা সদিচ্ছা তার নাই।

আমার নেক্সট লেখায় আপনি আমার ধারনাকে ভুল প্রমান করবেন, সেই আনন্দে ধেই ধেই করে নৃত্য করতে ইচ্ছে করছে। তবে তার মানে এই নয় যে, আপনি সমালোচনা করা ছেড়ে দেবেন। এমনভাবে করবেন, যাতে মানুষ গঠনমূলক কিছু পায় আপনার আলোচনা থেকে, আপনাকে কেবলই একতরফা ছিদ্রান্বেষণকারী মনে না করে হাসি

আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আর ধন্যবাদ লেখাটা পড়েছেন বলে কোলাকুলি

ফাহিম হাসান এর ছবি

বি-শা-ল একটা মন্তব্য লিখেছিলাম, হঠাৎ পেইজ রিফ্রেশ হয়ে হারিয়ে গেল মন খারাপ

সংক্ষেপে বলি - আপনার স্ল্যাং এর ব্যবহার আমার কাছে আপত্তিকর মনে হয় নাই, বিশেষ করে এই লেখাতে। অশ্লীলতা বিষয়টা অনেকাংশেই ব্যক্তিনির্ভর। উপরে তাসনীম ভাইয়ের মন্তব্যটা বেশ পরিষ্কার ও স্পষ্ট। সব লেখায় গালি-গালাজের প্রয়োগ কাম্য নয়, কিন্তু কখনো কখনো তা ভাষাকে আরো শক্তিশালী করে।

আপনার পোস্টে লেখার চেয়ে বড় কথা একটা ফ্রেশ, পজিটিভ অ্যাটিচিউড দেখা যায় যেটা আমার পছন্দ। এক টানে আপনার লেখা পড়ে ফেলা যায় এবং পড়ার পরে মনটা বেশ ফুরফুরে থাকে।

নিয়মিত লিখুন। শুভেচ্ছা।

উচ্ছলা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা, ফাহিম, এত সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য। আমিও আপনার লেখার ভক্ত হাসি

অন্যকেউ এর ছবি

চলুক

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

মাসুম এর ছবি

লেখাটা পড়ে বেশ ভাল লাগলো

উচ্ছলা এর ছবি
অনিকেত এর ছবি

লেখাটার মাঝে এক ধরণের সারল্য আছে, অকপটতা আছে যা নিমেষেই হৃদয় স্পর্শ করে।
আপনার শাশুড়ি ছকের বাইরের একজন মানুষ, তাকে একটা চওড়া স্যালুট ঠুকে গেলাম!
আপনার এমন লেখা আরো দেখতে চাই।

শুভেচ্ছা অহর্নিশ।

উচ্ছলা এর ছবি

খুব ভাল লাগলো আপনার মন্তব্য হাসি
অশেষ ধন্যবাদ সময় নিয়ে আমার লেখা পড়েছেন বলে।

পথিক পরাণ এর ছবি

চলুক

আপনার শাশুড়িজিকে ভালু পাইলাম।
ছেলের বউদের প্রতি শাশুড়িদের মনোভাব বোঝা যায় একটা বাক্যে। একজন শাশুড়ি আক্ষেপ করে বলছেন...

''আমার মেয়েরা খুব ভালো জামাই পেয়েছে। মেয়েরা যা বলে, মেয়ের জামাইরা তাই শোনে। শুধু খারাপ হয়েছে আমার ছেলের বউটা। ও এই বাড়িতে আসার পর থেকে আমার ছেলেটা কেবল ওর কথাই শোনে... ''

----------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ...

উচ্ছলা এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

অসুবিধা নেই, মায়েরা একটু অবুঝই হয়। পুরাতন ধ্যান-ধারনার মানুষ এঁরা। তবে পরিস্থিতির ইতিবাচক পরিবর্তন আনার দায়িত্ব আমার মতে বৌটির, কেননা সে তুলনামূলকভাবে বেশি শিক্ষিত এবং তার এক্সপোজারও বেশি। তবে, কি ভাবে সে পরিবর্তন আনবে এই সম্পর্কে, এটা তাকেই ভেবে বের করতে হবে।

ধন্যবাদ, পথিক, আপনার মন্তব্যের জন্য।

সাফি এর ছবি

আপনার শ্বাশুড়িকে এখনও কেউ নিজের শ্বাশুড়ি বানানোর আব্দার করলোনা দেখে অবাক হয়ে গেলাম দেঁতো হাসি

পথিক পরাণ এর ছবি

সাফি ভাই... মন্তব্য ৬৩ দ্রষ্টব্য... দেঁতো হাসি

সাফি এর ছবি

যাক ছেলে শেষ কিন্তু মেয়ের ব্যাপারে এখনও আশা আছে খাইছে

উচ্ছলা এর ছবি

ছোট মেয়েটাও বিয়ে করেছে পাঁচ বছর আগেই মন খারাপ

S এর ছবি

আপু, আপনি কি রংপুরের?

আপনার জন্মদাত্রী মা'কে নিয়ে লেখাটা পড়লাম, এই মা'কে নিয়েও লেখাটা পড়লাম। প্রিয় মানুষের কাছে হেরে যাওয়ার মাঝে যেই আনন্দ সেটা অতুলনীয়, ঈর্ষা হলো আপনার জন্যে। শুভকামনা আপনাদের সবার জন্যে।

উচ্ছলা এর ছবি

আমার জন্ম, বেড়ে উঠা স্লিপী-লিটল-কিউট টাউন বগুড়ায়, আপনার? হাসি

ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আপনাদের সবার জন্যও শুভেচ্ছা। ভাল থাকুন।

S এর ছবি

আমিও স্লীপি-লিটল-কোয়াইট (কিউট বলবো না কারণ সবার কাছেই নিজের শহর সবচেয়ে সুন্দর, হতেই হবে এটা) একটা শহরের তবে সেই শহরটার নাম রংপুর হাসি উত্তরবঙ্গের মানুষ আমিও। আপনার কোন একটা লেখায় একটা জায়গার নাম পড়লাম যেটা রংপুরেও আছে, তাই ভাবলাম উত্তরবঙ্গে রংপুরেই বোধহয় আপনার বাসা।

আপনাদের বগুড়ায় বেশ কয়েকবার যাওয়া হয়েছে, বিএনপি গর্ভমেন্টের আমলে পুরোটাই বদলে গিয়েছে। ভালোই লেগেছে এটা কারণ সব উন্নয়ন শুধু ঢাকা-চট্টগ্রামেই হবে কেন, কিছু কিছু তো উত্তরবঙ্গেও হওয়া উচিত, তাইনা?

ভালো থাকুন, শুভকামনা হাসি রংপুর ঘোরার দাওয়াত থাকলো (যদি কখনো না এসে থাকেন)

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি

মায়েরা অনেক ক্ষেত্রেই মেয়ের দৃষ্টিতে পুত্রবধুকে দেখেন না, আর পুত্রবধুরাও অনেক ক্ষেত্রে শাশুড়িকে মায়ের মত করে দেখেন না। সেকারণেই বউ-শাশুড়ির মানসিক টানাপড়েন। মানুষকে খুশি করতে আসলে খুর বেশি কিছুর দরকার হয় না। ভালো ব্যবহার দিয়েই অনেক কিছু জয় করা যায়।

আপনার শাশুড়ির জন্য অনেক শুভকামনা। আপনার জন্যও।

উচ্ছলা এর ছবি

একদম আসল কথাটি বলেছেন, "মানুষকে খুশি করতে আসলে খুর বেশি কিছুর দরকার হয় না। ভালো ব্যবহার দিয়েই অনেক কিছু জয় করা যায়।"

অনেক ধন্যবাদ, সুমিমা, এত মুল্যবান একটা মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা।

দিগন্ত এর ছবি

লেখা পড়ে আপনার ফ্যান হয়ে গেছি ... ফ্যান-পেজ খুলব কিছুদিনের মধ্যেই হাসি


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

উচ্ছলা এর ছবি

এই কাজটা ভুল করেও কইরেন্না গো এখন! তবে বিশ বছর পর এইটা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা শুরু করা যাইতে পারে।

অজস্র ধন্যবাদ পড়ার ও মন্তব্যের জন্য হাসি

সাবেকা এর ছবি

প্রথম দিনই আপনার লেখাটা পড়েছিলাম । আপনার সাথে আপনার শাশুড়ির সম্পর্ক সত্যি অসাধারণ । খুব ভাল লাগল পড়ে । আপনার সবগুলো লেখাই আমি পড়েছি,লেখায় একধরণের উচ্ছাস থাকে,অকপট সরলতা থাকে যা পাঠক হিসেবে আমাকে ধরে রাখে শেষ পর্যন্ত, কিন্তু খারাপ লাগে অতিরিক্ত স্লাং এর ব্যবহার । যা ইতিমধ্যে অনেকেই বলেছেন । মাত্রাতিরিক্ত স্লাং লেখাকে অনেক সময় হালকা করে ফেলে । যাই হোক, ভালো থাকবেন আর অবশ্যই আরো অনেক লেখা চাই আপনার কাছে ।

উচ্ছলা এর ছবি

কি সুন্দর করে কথা বলেন আপনি, সাবেকা হাসি

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য কোলাকুলি

guest_writter এর ছবি

আপনি তো চরম দুর্ভাগা... দেঁতো হাসি

nawarid nur saba

উচ্ছলা এর ছবি

তাইতো দেখছি হাসি

দুর্দান্ত এর ছবি

এই মানুষগুলো খামাখাই একদিন হুট করে চলে যায়।

উচ্ছলা এর ছবি

এটাই পৃথিবীর নিয়ম রে ভাই।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

মাহবুব ময়ূখ রিশাদ এর ছবি

চলুক যথারীতি সাবলীল

------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

উচ্ছলা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ, রিশাদ হাসি

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

আপনার লেখা আগে কখনও পড়া হয়নি, হয়তোবা চোখ এড়িয়ে গেছে। যাই হোক, আজ পড়লাম এবং অবশ্যই মুগ্ধ হলাম।

অনেক অনেক পরে হলেও সচলে স্বাগতম জানিয়ে গেলাম, লিখতে থাকুন। ভালো থাকুন।

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

উচ্ছলা এর ছবি

সময় নিয়ে পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই। আর উৎসাহ দেবার জন্য একটা বি-শা-ল ধন্যবাদ হাসি

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

আপনাকে শুভকামনা। লেখা ভালো লেগেছে খুব। খালাম্মার জন্য অনেক ভালোবাসা রইলো।

আমি নিজেও কথার মাঝে অনেকই স্ল্যাং ব্যাবহার করি, তাই আমার কাছে আপনার লেখা নিয়ে কোনও আপত্তি নেই। লেখকের আনন্দ লেখায়, কে পড়বে কিভাবে পড়বে, কী ভাববে এতো চিন্তা করে লিখতে গেলে মনে হয় আপনার স্বাভাবিক ছন্দ ব্যাহত হবে। আগের চেয়ে আপনার লেখা আরও অনেক গোছানো হয়েছে, আর কিছুদিন পরে নাহয় আমরা স্ল্যাং বাদ দিয়ে কড়া কথা বলা যায় কিনা তাও চেষ্টা করে দেখবো! হাসি

ভালো থাকবেন! হাসি

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

উচ্ছলা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যটির জন্য। আপনাকে শুভেচ্ছা।
(মন খুলে দুটো কথা বলি আপনাকে)

বিনয় নিয়ে সমালোচনা করলে তা গ্রহণযোগ্য কেন হবে না বলুন তো? কিন্তু সমালোচনার নামে ঠারেঠুরে কুৎসিতভাবে অপমানের, তাচ্ছিল্যের চেষ্টা কেউ আমার পোস্টে করলে আমি তার বিরুদ্ধে আপত্তি জানাবই...কসম হাসি

শিশুকে ঠাশ্ ঠাশ্ চড় মারলে ঐ শিশু আপনার কথা, উপদেশ তো শুনবেই না, উপরন্তু আপনাকে সে মন থেকে ঘৃনা করতে শুরু করবে।

সচলে আমার বয়স মাত্র চার মাস। শিশু বৈ কি হাসি

তাপস শর্মা এর ছবি

স্ল্যাং ব্যবহার আরও ভালো করে করো ম্যাডামজী। আমার কোথাও একবারও মনে হয়নি স্ল্যাং এর ব্যবহার তোমার লেখাকে কোথাও ক্ষুণ্ণ করেছে। আরে এয়ার এইটুকুন গালিটালি তো দেওয়াই যায়, ধুর!!! কিপ ইট আপ... ইটস ড্যাম কুল... হাসি

উচ্ছলা এর ছবি
সুহান রিজওয়ান এর ছবি

আপনার লেখা তরতরিয়ে পড়া যায়। আর আপনি বেশ লেখেন হাসি

উচ্ছলা এর ছবি

ধন্যবাদ, সুহান। ভাল থাকুন হাসি

ইফতি এর ছবি

অনেক ভালো লাগলো। আপনার শাশুড়িকে সালাম। এরকম আর একজন অসাধারন শাশুড়ি দেখেছি আমি, আমার ফুফুর শাশুড়ি।

ভালো থাকবেন।

উচ্ছলা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আপ্নাকে লেখাটি পড়ার জন্য। শুভেচ্ছা।

অন্যকেউ এর ছবি

তরতরিয়ে স্রোতের মতো আপনার লেখায় দৃষ্টি বয়ে যেতে পারে, কোথাওই আটকে যেতে হয়নি তেমন। দুয়েকটা টাইপো, সেটা অনেকের লেখাতেই থাকে। আঙুল ধীরে ধীরে সামলে উঠবে সেসব। কবিতার মতো স্পর্শকাতর জিনিসেও মাঝে মাঝে টাইপো দেখতে পাই, গদ্যে তো দেখা যাবেই। আস্তে ধীরে মুছে যাবে, এটা আমি নিশ্চিত।

এখন বলেন দেখি, আপনি এমন উল্টোরথের লেখা লেখেন কী করে! সবকিছুর মানে উল্টে দিয়ে নিরীহ পাঠকের বুঝ নিয়ে নির্বিকারে খেলাধুলা করার অধিকার পেয়েছেনটা কোথায়, শুনি! খাইছে কোথায় ভাবলাম খান্ডারনি শাশুড়ির ভয়ানক রোমহর্ষক কঠিন যুদ্ধের জটিল সমীকরণের টানাপোড়েনময় সামাজিক ছবি পাবো; তা না, একটা মিষ্টিমিষ্টি বুড়ির গল্প শুনিয়ে দিলেন! আমার পরিবারের কূলবৃদ্ধাদের কথা মনে পড়ে গেলো। সুইট বুড়িটা আমাকে অনেক ভালোবাসতো। হাসি

আপনার লেখা পড়ে মন ভালো হয়ে গেলো। উল্টোবাজি লেখার জন্য এখান থেকে নিয়ে একটা উলটচন্ডাল দিলাম। দেঁতো হাসি

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

উচ্ছলা এর ছবি

তোমার উৎসাহ-প্রশংসা-সমালোচনা-উপহার পেয়ে আপ্লুত হয়ে গেলাম তো ! অনেক ধন্যবাদ।

আমি ব্লেসড্ যে তোমার মত চমৎকার ইতিবাচক, আশাবাদী আর ব্যক্তিজীবনে প্রচন্ড সদালাপী একজন মানুষ আমার বন্ধু হাসি

ভালোবাসা, শুভেচ্ছা জেনো।

ইস্কান্দর বরকন্দাজ এর ছবি

হাততালি

উচ্ছলা এর ছবি
শামীম এর ছবি

অহিংসা পরম ধর্ম ... ... তাই হিংসা করবো না, চাপাবাজি ভেবে সুখী হব। খাইছে

আপনার মায়ের জন্য শুভকামনা।

লেখা ভাল লেগেছে। হাসি

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

উচ্ছলা এর ছবি

আপনার মা, শাশুড়ীর জন্যও পাল্টা- শুভকামনা হাসি

ভাল থাকুন।

পৃথ্বী এর ছবি

পুত্রবধূ তেজী হলে তার উপর ছড়ি ঘুরাতে গেলে উলটো নিজেকেই সাফার করতে হয়, আমার দুই ফুফুর পুত্রবধূদের কেইসে এটা দেখেছি। পিতৃহারা যেই ছেলে মায়ের পেছন পেছন ঘুরত, সেও মায়ের যন্ত্রণায় শ্বশুরবাড়ীতে গিয়ে বসে থাকে। আমার মা এসব ঘটনা থেকে শিখলেই হয়।

আপনার লেখাটা খুবই ভাল লেগেছে, এরকম কাহিনী পড়লে মানুষের উপর আস্থা রাখতে ইচ্ছা করে।

উচ্ছলা এর ছবি

ধন্যবাদ, পৃথ্বী, সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

শুভেচ্ছা।

খেকশিয়াল এর ছবি

ভাল লাগলো হাসি

“এতবড় সংসার আগলায়ে রাখসি, নয়টা বাচ্চারে মানুষ বানাইসি, একটাও বাটপার-দূর্নীতিবাজ হয় নাই। বড় পোলার লগে বইসা ম্যাট্রিক পরীক্ষা দিসি। ইন্টার পাশ করসি। চ্যাটাং চ্যাটাং কথা আমি কইমু না তো কি তুমি কইবা?...এই অফিস ছাইড়া ভাল করসো। দ্যাশে কি অফিস-কাচারীর আকাল পড়ছেনি? আরও একশোটা অফিস তোমারে ডাইকা নিব”।

ইওর শাশুড়ী রক্স \m/

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

উচ্ছলা এর ছবি

ইয়েস শী ডাজ...বিগ টাইম দেঁতো হাসি

আপনার প্রশংসায় অনুপ্রেরণা পেলাম। অনেক ধন্যবাদ।

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

আসলেই কী এরকম অনন্য শ্বাশুড়িকে জ্বালাতেন নাকী? ঠিক হয় নাই। দেঁতো হাসি আপনি অনেক সৌভাগ্যবতি।

লেখার ধরণটাও ভালো লেগেছে চলুক । শুভ কামনা রৈলো।


_____________________
Give Her Freedom!

উচ্ছলা এর ছবি

আপ্নাকেও শুভকামনা হাসি

জ্বি, জ্বালাতাম। আবার তাঁর সবচেয়ে বেশি সেবা-যত্নও আমিই করতাম। এইগুলা তো আর ফলাও করে বলা যায় না হাসি

শোয়েব মাহমুদ সোহাগ এর ছবি

ভাল লাগলো এই লেখাটা। হাততালি

উচ্ছলা এর ছবি
কল্যাণ এর ছবি

আমি কিছু কমুনা পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

উচ্ছলা এর ছবি

চুপ থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ হাসি

তৌফিক জোয়ার্দার এর ছবি

খুব ভাল লাগল।

উচ্ছলা এর ছবি
পরী  এর ছবি

উচ্ছলা আপু, আমিও আপনার মতো "শাশুড়ি" নামক শব্দটির একটা রচনা দাড় করিয়েছি। আল্লাহ্‌ই জানে কপালে কি আছে, তাই এক্সট্রা প্রিপারেসন নিয়ে রাখছি এখন থেকেই। শয়তানী হাসি

উচ্ছলা এর ছবি

শাশুড়িকে ঘায়েল করার মক্ষম অস্ত্র হল "বিনয়"। কোনো সমস্যা হলে সরাসরি উনার সাথে বিনয় নিয়ে আলোচনায় বসে যাবেন। দেখবেন সব ঠিকঠাক।

ধন্যবাদ পোস্ট পড়ার জন্য।

পরী  এর ছবি

তথাস্তু। যদিও আমার উপর কেউ বেশীক্ষণ রাগিয়া থাকিতে পারেনা। লইজ্জা লাগে

আনোয়ার এর ছবি

লেখা খুব ভাল লেগেছে। এমন একটা সুব্দর লেখাভ জন্য অশঙ্খ ধন্যবাদ। আর আপনার মা কে জানাই অজশ্র সালাম।

উচ্ছলা এর ছবি

ধন্যবাদ।
আপনার মাকেও আমার সালাম জানাবেন, প্লীজ।

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

বলার মতো কিছু খুঁজে পাচ্ছি না।

উচ্ছলা এর ছবি

হাসি কিছু বলতে হবে না। পড়েছেন, এতেই আমি খুশি।

অতিথি লেখক এর ছবি

উচ্ছলা'দি,

এরকম একটি লেখা আমিও আমার শাশুড়িমাকে নিয়ে কখনো কোথাও লিখব বলে ভেবে রেখেছিলাম......... আপনার লেখাটি পড়ে মনে হচ্ছে, ক্যাসেট প্লেয়ার বাজানো হয়ে যাবে, তাই বলি.........
চিমটি....!!! কেচকি.........!!!

উচ্ছলা এর ছবি
শাহ্‌নাজ এর ছবি

চোখের পানি আটকাতে পারলামনা
এমন মাকে আল্লাহ্ বেহেশতবাসী করুন!

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

দারুন লাগল তো লেখাটা, আপনি নিয়মিত লিখেন না কেন আপু? হাসি
মায়ের জন্য ভালবাসা রইল।

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।