আজ পহেলা মে। মে দিবস, মহান মে দিবস। সারা বিশ্বের জন্য এদিনটি শ্রমিকদের মুক্তিগাঁথা হলেও বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য এটি প্রহসন ব্যতীত আর কিছু নয়। ১৯৭১ সালের পূর্বে পরাধীন কালের কথা বাদ দিলাম, স্বাধীনতা অর্জনের ৪২ টি বছর চলে গেলেও আমাদের শ্রমিকদের কোন স্বাধীনতা নেই, মুক্তি নেই; তারা আজও পুঁজীবাদ আর কর্পোরেট বাণিজ্যের শেকলে আবদ্ধ।
বাংলাদেশের সংবিধানের মূলনীতির একটি হল সমাজতন্ত্র। এটি প্রচলিতভাবে সংজ্ঞায়িত সমাজতন্ত্র না হলেও ন্যূণতমভাবে রাষ্ট্র রাষ্ট্রের সকলের জন্য সমান দৃষ্টি রাখবে সে দাবিটি রাখে। কিন্তু এ দাবিটি বাংলাদেশের জন্য বারবার অসার হিসেবেই প্রমাণিত হয়েছে। গরিবেরা বরাবরের মতনই নিগৃহীত, শ্রমিক শ্রেণিটি আরো বেশি অবহেলিত।
আজকে আমার একজন জার্মান বান্ধবী জুলি, যে স্থানীয় রাজনীতির অত্যন্ত প্রভাবশালী সদস্য হঠাৎ করেই সাভার ভবনধ্বস সম্পর্কে জানতে চাইল এবং কোন কোন জার্মান কোম্পানি এই কারখানা থেকে পোশাক কিনেছে তার একটা লিস্ট দেখালো। তারা ওই কোম্পানিগুলোর কাছে জানতে চেয়েছে, যে কারখানার মালিক তাদের শ্রমিক এবং ফ্যাক্টরির প্রতি এতটা দায়িত্বজ্ঞানহীন, তাদের কাছ থেকে কেন পোশাক কেনা হয় এবং অনুরোধ করেছে এমন মালিকের কাছ থেকে আর
আজ সকালে খুব অদ্ভুতভাবেই ঘুম ভেঙ্গেছিল, টেক্সটের শব্দে। ঘুম ঘুম চোখে দেখলাম এক ক্লাসমেট বাংলাদেশের খবরটা বিবিসিতে দেখে উৎকণ্ঠা জানিয়েছে, জানতে চেয়েছে দেশে আমার পরিবার নিরাপদে আছে কিনা!
১।
ফ্রিকোনমিক্স নামক একটা বইয়ের কিছু অংশ পড়ার পর এদের ওয়েবসাইটে বেশ কয়েকটা পডকাস্ট শুনেছিলাম। তার মধ্যে উইমেন আর নট মেন শিরোনামের পডকাস্টে মহিলা এবং পুরুষদের সম্পর্কে কিছু তথ্য এবং এক্সপেরিমেন্ট তুলে ধরা হয়েছিলো যা বেশ ইন্টারেস্টিং মনে হয়েছিল। এই লেখায় সেই পডকাস্ট থেকে উল্লেখযোগ্য অংশ তুলে ধরছি। এখানে প্রচুর তথ্য ও উপাত্ত ব্যবহার করা হয়েছে যার নির্ভরযোগ্য উৎস উল্লেখ করা নাই কিংবা ওগুলো শুধুমাত্র আমেরিকানদের ডেটা থেকে অনুসিদ্ধান্ত আকারে এসেছে। তারপরেও এটাতে বেশ কিছু ব্যাপার আছে যা অনেক ব্যাপারেই নতুন দৃষ্টিভঙ্গিতে ভাবতে বাধ্য করে।
কিঞ্চিত দীর্ঘ লেখাটি পাঠকের সুবিধার্থে নম্বর দিয়ে চিহ্নিত করা হল।
একটা বই কিছু অংশ পাঠ আর পডকাস্ট শুনে নতুন কিছু জানলাম, যা অন্যদের কাছে পুরাতন হতে পারে।
(কারন বইটির চলিশ লক্ষাধিক কপি বিক্রয় হয়েছে, ইদানিং বাংলা অনুবাদও বের হয়েছে শুনলাম)
[justify][justify]বাংলাদেশে এখন একটা বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে শহর-গ্রাম নির্বিশেষে সবার কাছে সুলভমূল্যে বিদ্যুৎ পৌছে দেয়া। দেশের পচিশ মিলিয়ন পরিবারের মধ্যে মাত্র চার মিলিয়নের কাছে এখন পর্যন্ত আমরা বিদ্যুতের সংযোগ দিতে পেরেছি।১ বাকি যে একুশ মিলিয়ন (দুই কোটি দশ লাখ) পরিবার বাকি থাকলো, তারা যে অচিড়েই বিদ্যুৎ সংযোগ পাবে, অবস্থাদৃষ্টে
[justify]
এই লেখায় রবিনসন ক্রুসো প্রথমবারের মতো আরেকজন মানুষের সান্নিধ্যে আসবে। ফলে এখানে প্রথমবারের মতো দেখা দিবে সমাজ গঠনের সুযোগ। ক্রুসো সহিংসতার মাধ্যমে কীভাবে সেই সুযোগ গ্রহণ কিংবা নষ্ট করতে পারে তার কয়েকটি দিক আমরা আলোচনা করবো।
সহিংসতা (ভাবানুবাদ)
ঔপনিবেশিকতা নিয়ে পড়াশোনা করতে গিয়ে দেখলাম বিশ্বখ্যাত অর্থনীতিবিদ অ্যাডাম স্মিথের বই দ্য ওয়েলথ অব নেশনশে (১৭৭৬) ঔপনিবেশিকতা ও তার অর্থনীতি নিয়ে আলোচনা আছে। অ্যাডাম স্মিথের লেখা বইটিকে আধুনিক অর্থনীতির জনক বলা যায়। বইতে কলো্নী সংক্রান্ত অর্থনীতি নিয়ে আলোচনার সময় মাথায় রাখা দরকার যে অ্যাডাম স্মিথ ঔপনিবেশিকতার তীব্র বিরোধী ছিলেন। কিন্তু তার বিরোধিতা মানবিকতা বা অধিকারের প্রশ্নে নয়, নিতান্তই অর্থনীতির প্রশ্নে। যদিও তার বইতে তিনি ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীকে বরাবর দায়ী করেছেন বাংলার দুরবস্থার জন্য, কিন্তু তার অর্থনীতির ফোকাস থেকে সরে যান নি। তিনি বইতে দেখানোর চেষ্টা করেছেন ঔপনিবেশিকের জন্যও কলোনী-ব্যবস্থা লাভজনক নয় ও দীর্ঘমেয়াদে যে দেশগুলো ঔপনিবেশিক হবে না, তারা অন্যেদের থেকে অর্থনৈতিকভাবে অপেক্ষাকৃত সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবে।
[justify]গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীতে এত বড় দুর্ঘটনাটা আর সবার মত নাড়িয়ে দিয়ে গেছে আমাকেও। মনে হচ্ছে এত দূর থেকে হাহুতাশ করা ছাড়া কিছুই মনে হয় করার নাই। কিন্তু আমরা হতাশ হয়ে, শোক দিবস পালন করে, গার্মেন্টস মালিক কিংবা পোষাক ক্রেতাদের গালি দিয়ে একজন শ্রমিককেও যেমন ফিরিয়ে আনতে পারব না, ভবিষ্যত মৃত্যুর মিছিল ঠেকাতেও কিছু করতে পারব বলে মনে হয় না। বরং কিছুদিন পর আমরা সবই ভুলে যাব, আবার আগুন লাগবে কো
পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে - এরকম প্রেডিকশন বোধহয় একমাত্র মায়া-সভ্যতার অবদান নয়। আদি-অনন্তকাল ধরেই ভিন্ন ভিন্ন মাত্রায় বিভিন্ন সভ্যতায় এই ভবিষ্যতবাণী ব্যবহার হয়ে আসছে। মানব-সভ্যতা ধ্বংস হয়ে যাবার কথা আসে ঐ হাত ধরেই। তবে আজকাল বিজ্ঞানীরাও মাঝে মাঝে বলেন অমুক সালে অমুক জায়গায় দু’চারটে উল্কা পড়ে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। কিন্তু যখন একজন অর্থনীতিবিদ বা সমাজ-বিজ্ঞানী বলেন সভ্যতার শেষের কথা তখন তিনি ঠিক কি বোঝাতে চান?