সেই আলেক্সান্ডার দ্য গ্রেট এর ভারত অভিযান থেকে ভাস্কো ডা গামার প্রথম সমুদ্রপথে ভারত আগমনের সময় পর্যন্ত, যখন ইয়োরোপ ভারতের সাথে মিশত অল্পই, তখনই আর্মানীরা স্থলপথে পারস্য হয়ে ভারতের সাথে ফাটিয়ে বাণিজ্য করত। আর্মানীরা ভারতে খাঁটি সওদাগর ছিল, তারা ড্যানিশ ওলন্দাজ কি ফরাসীর মত শহর পত্তন করেনি। বাকীদের মতন অ্যাডভেঞ্চার, দেশদখল, লুটতরাজ বা ওইরকম মতলব আর্মানীদের ছিলনা, তারা বিবিধ ভারতীয় বাণিজ্যঘাঁটিতে ব্যবসা চালিয়ে যেতেই উৎসুক ছিল।
কুলদা রায়
এমএমআর জালাল
মুসলমান খণ্ড—৭
কবি আবদুল কাদিরের দিলরুবা কাব্যগ্রন্থখানি ১৯৩৩ সালে কোলকাতা থেকে প্রকাশিত হয়। কবি রবীন্দ্রনাথ বইটির দ্বিতীয় সংস্করণ পেয়ে আবদুল কাদিরকে জানান তিনি বইখানি পেয়ে খুব খুশী হয়েছেন। ভাষা ও ছন্দে আবদুল কাদিরের প্রভাব অপ্রতিহত। এবং কবি তাঁর প্রশংসা করে লেখেন, বাংলার কবি সভায় তোমার আসনের অধিকাংশ অসংশয়িত।
প্রথম জিয়াউর রহমানের নাম শুনলাম ২৭ শে মার্চ, ১৯৭১। সেদিন বিকেলে রেডিওর নব ঘোরাতে ঘোরাতে হঠাৎ করে শুনলাম কোন এক মেজর জিয়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষনা করে নিজেকে অস্থায়ী সরকার প্রধান ঘোষনা করছে। তার ঘোষনা ছিল ইংরেজীতে এবং উচ্চারণ ছিলো অনেকটা অবাঙ্গালীদের মতো। ঘোষনা খুব পরিস্কার শুনতে পেলাম যেহেতু কালুরঘাটের রেডিও ষ্টেশন আমাদের বাসা থেকে মাত্র চার মাইল দুরত্ত্বের মধ্যে ছিল। সাধারন ঢাকা ও চট্টগ্রাম রেড
[ভূমিকা - তিন ঘন্টার বেশী হয়ে গেল, তবু হিক্কা ওঠা বন্ধ হচ্ছে না দেখে 'আর্জেন্ট কেয়ার' ডাক্তারের স্মরনাপর্ণ হলাম। তার আগে অবশ্য আমি নাক চেপে নিশ্বাস বন্ধ করে চেষ্টা করেছি হিক্কা বা হেচকি বন্ধ করার। বেশ কিছু পানি খেয়েও দেখলাম কোন লাভ হল না। রক্তে কার্বনডাইঅক্সাইডের পরিমান বাড়িয়ে ফেলতে পারলে এটি তখন শরীর থেকে হিক্কা উঠা বাদ দিয়ে অতিরিক্ত কার্বনডাইঅক্সাইডকে বের করতে ব্যস্ত হওয়ার কথা। এক ঠোঙ্গার মধ্যে
কোলকাতা আক্রান্ত। ফোর্ট উইলিয়াম দূর্গ ঘিরে মুহুর্মুহু কামান দাগছে নবাবফৌজ, চলছে তুমুল লড়াই। উমিচাঁদের বিশাল বাগানবাড়িতে বসে ছক কষছেন তরুণ নবাব সিরাজউদ্দৌলা। এইরকমটাই আমরা দেখেছিলাম গত পর্বে। আজ দেখব কোলকাতার পতন এবং অন্ধকূপ হত্যার বিবরণ।
কুলদা রায়
এমএমআর জালাল
মুসলমান খণ্ড—৬
রবীন্দ্রনাথ ১৯৩৩ সালের ১৩ জুলাই পাবনার সিরাজগঞ্জের সেবক সংঘের প্রতিষ্ঠাতা আবুল মনসুর এলাহী বক্সকে চিঠিতে লিখেছেন, মানুষের দুঃখ দূর ঈশ্বরের উপাসনার শ্রেষ্ঠ অঙ্গ। তোমরা সেই শ্রেয়ঃ সাধনায় ব্রতী হয়েছো, তার সফলতা চিরদিন অন্তরে বাহিরে তোমাদের অনুবর্তী হোক এই আমার সর্বান্তঃকরণের আশীর্বাদ।
ইলা মিত্র বা তাঁর কাজ সম্পর্কে আমার নিজেরই কিছুদিন আগেই খুবই অল্প ধারণা ছিল। নাচোলের তেভাগা আন্দোলনের নেত্রী ইলা মিত্র আর এরকম দু-একটা বাক্য ছাড়া বলতে গেলে কিছুই জানতাম না। আমার মত এখনো যারা তাঁর সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানেন না তাদের জন্যই এই লেখা।
৮০০ বছর আগের এক ঝড়ের রাতে প্রবল প্রতাপশালী অ্যাজটেক সম্রাট দৈববাণীর মত স্বপ্ন দেখলেন- বিশাল এক ক্যাকটাসের মাথায় বসে একটি বিষধর সাপকে চঞ্চু আর নখর দিয়ে ফালি ফালি করে ছিড়ে খাচ্ছে পাখির রাজা ঈগল। ভেবেই নিলেন, যেমন স্বপ্নে ঐশী বাণী পাওয়া মানুষেরা ভেবে নেয়, এটি নিশ্চয়ই কোন শুভ লক্ষণ। এমন স্থান খুঁজে বাহির করে সেখানেই গড়তে হবে অ্যাজটেকদের নতুন নগরী। যুদ্ধংদেহী রণোম্মাদ অ্যাজটেক যোদ্ধাদের রাজার