Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

ইতিহাস

ক্রীড়া ও মহত্ত্বের রাজনীতি – ইনভিক্টাস

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: শনি, ২৮/০৭/২০১২ - ৭:৪৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১১ ফেব্রুয়ারী, ১৯৯০, রবিবার, বিকেল তিনটে- দক্ষিণ আফ্রিকার রক্তবর্ণ ধূলোময় মাঠে রাগবী অনুশীলনে মত্ত একদল শ্বেতাঙ্গ কিশোর, রাস্তার অন্য পারে কাটাতারের বেড়া ঘেরা মাঠে তুমুল হৈ হট্টগোলে ফুটবল খেলায় নিবিষ্ট সমবয়সী একদল কৃষ্ণাঙ্গ কিশোর, তখনকার অভিশপ্ত রাজনৈতিক সামাজিক ব্যবস্থার এক প্রতীক এই ভিন্ন গাত্রবর্ণের কোমলমতি কিশোরদের জন্যও আলাদা আলাদা খেলা, খেলার মাঠ ও কাটাতারের ব্যবস্থা।


স্টোনহেঞ্জের মুখোমুখি

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: বুধ, ২৫/০৭/২০১২ - ৬:২৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

208890_10151951735600497_1003909142_n


ডারউইন তীর্থে

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: সোম, ২৩/০৭/২০১২ - ৮:০০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

553716_10151945608740497_2127608238_n


মিগুয়েলের আয়না : তেওতিহুকান থেকে কুষ্টিয়ার ভাড়ারা গ্রাম

কুলদা রায় এর ছবি
লিখেছেন কুলদা রায় [অতিথি] (তারিখ: সোম, ১৬/০৭/২০১২ - ১:২০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


পর্ব এক


ম্যালয়আর বিষয়ক আবজাব স্মৃতিচারণ

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি
লিখেছেন অনিন্দ্য রহমান (তারিখ: শনি, ১৪/০৭/২০১২ - ১১:০৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

... যাইবার কালে নিয়তি এমন এক দান দিল। কেউ ভাবেও নাই। প্রথমে প্রচুর ধুয়া দেইখা বাইর হইলাম, বিয়াপক আনন্দের সহিত। দেখলাম তারা ভাগছে। তারপর দেখলাম, নাহ, একটারে রাইখা গেছে। সিনন। সে কয়, তারে নাকি তার লোকেরাই বলি দিতে চাইছিল, যেহেতু সে লুকাইতে পারছে, জীবিত এখন। ওকে। কিন্তু ঐটা কী!


১০১টা ছবির গল্প-আট, ‘আল বদর’ চৌধুরি মঈনউদ্দিন

মুস্তাফিজ এর ছবি
লিখেছেন মুস্তাফিজ (তারিখ: মঙ্গল, ১০/০৭/২০১২ - ৮:৪৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

চৌধুরি মঈনউদ্দিন। ১৯৭১ সালে জন্ম নেয়া ‘আল বদর’ বাহিনী যার ব্রেনচাইল্ড। মোহাম্মদপুরের ফিজিক্যাল ট্রেনিং ইন্সটিটিউটে নির্যাতনকেন্দ্র স্থাপনের পেছনেও মঈনুদ্দিনের পরামর্শ ছিলো অন্যতম। সাংবাদিক সহকর্মী এ এন এম মোস্তফার সাথে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথাকাটাকাটির তিন রাতের মাথায় তাঁকে রাতের অন্ধকারে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় মোহাম্মদপুরে। এরপর তার লাশও আর পাওয়া যায়নি। একই রকম ভাবে আরো অনেকের সাথে সাংবাদিক নাজমুল হক, সিরাজুদ্দিন হোসেন, মোফাজ্জল হায়দারদেরও তুলে নিয়ে যায় মঈনুদ্দিন। দেশ স্বাধীনের পর ফিজিক্যাল ট্রেনিং ইন্সটিটিউটের নির্যাতনকেন্দ্রে পাওয়া যায় মঈনুদ্দিনের হাতে লেখা দলিল যার পাতায় পাতায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নাম আর বাসার ঠিকানা। এমনকি সপ্তাখানেক আগেই আরেক সহকর্মী সাংবাদিক আতিকুর রহমানের বাসার ভুল ঠিকানা যা তিনি কেবলমাত্র মঈনুদ্দিনকেই দিয়েছিলেন।
সে সময় ঢাকা থেকে প্রকাশিত পূর্বদেশ পত্রিকা ছিলো মঈনুদ্দিনের কর্মস্থল। অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি পত্রিকার মূল রচনাও লিখে থাকতো মঈনুদ্দিন। বর্তমানে লন্ডনের সবচাইতে বড় ইস্ট লন্ডন মসজিদের দায়িত্বে থাকা এই যুদ্ধাপরাধী সে সময় পত্রিকার পাতায় কী লিখতো তার ছবি আজকে আমাদের ছবির গল্পে।


মোগলাই খানাদানা - প্রথম পর্ব

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: সোম, ০৯/০৭/২০১২ - ১:০৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বসন্তকাল, ১৬৪১। দুই পর্তুগীজ পাদ্রীকে নিয়ে যাওয়া হয় লাহোরের এক চমকদার প্রাসাদের গ্র্যান্ড রিসেপশন রুমের লাগোয়া ব্যালকনিতে। প্রাসাদের মালিক মোগল সাম্রাজ্যের অন্যতম কুতুব আসফ খাঁ, আরজুমান্দ বানু বেগম ওরফে মুমতাজ মহলের পিতা।

ঐ সন্ধ্যায় আসফ খাঁ আর তার বউ মহান বাদশা শাজাহানকে চাট্টি ভাত খাওয়ার দাওয়াত দিয়েছিলেন। লুকিয়ে ব্যালকনি থেকে দুই পাদ্রী এই ব্যাপক খানাদানার আয়োজন দেখতে থাকেন হাঁ করে। ঝলমল করছে সিল্কি রূপালি সোনালি জরির কাজ করা কার্পেট, চতুর্দিকে মৌমৌ করছে সুগন্ধী আতরের বাস। রুমের ঠিক কেন্দ্রে মিহি মসলিনের কাজ করা টেবলক্লথ আর তার চারধারে নানবিধ কুশন। সোনামোতির হার গলায় ঝুলিয়ে রুমে ঢুকলেন মহান মোগল সম্রাট, আগেপিছে দাসীবান্দি সহকারে। কুশনে আরাম করে বসে সকলে হাত ধুয়ে নিলেন অত্যাধিক কচি ও ততোধিক সুন্দরী দাসীদের এগিয়ে দেওয়া পানিপাত্রে।


পাইরেটস অফ ইন্ডিয়া

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: শনি, ৩০/০৬/২০১২ - ৯:৪৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঔপনিবেশিক ইংরেজের জাহাজে কেউ ঢিল মারলেই তাকে পাইরেট ডাকা হত, যার ঢিল যত বড় সে তত বড় নটোরিয়াস পাইরেট। এইরকম এক দুর্ধর্ষ পাইরেট ভারতের পশ্চিম উপকূলে ইংরেজকে খুবই বিরক্ত করতো, তার নাম কানোজী আংরে। মারাঠা নৌবাহিনীর অ্যাডমিরাল। বম্বে থেকে সাভান্তওয়াড়ি পর্যন্ত আস্ত পশ্চিম ভারতীয় উপকূল ছিল তার সাম্রাজ্য, ১৭২৯ সালে মৃত্যুর আগ অবধি প্রবল প্রতাপশালী নৌ পরাশক্তি ইংরেজ, পর্তুগীজ আর ওলন্দাজের সাথে যুদ্ধে তিনি ছিলেন আনডিফিটেড চ্যাম্পিয়ন।


স্ফটিকখুলির রহস্যভেদ

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: সোম, ২৫/০৬/২০১২ - ৭:৪৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

skull2


দারা পুত্র পরিবার

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: শনি, ১৬/০৬/২০১২ - ১১:১৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শাজাহান বাদশার ফ্যামিলিটি ছিল একটি আস্ত চিড়িয়াখানা। তার সাত ছেলেমেয়ের কেউ বাঘ তো কেউ সিঙ্গি, কেউ ধুর্ত শিয়াল তো কেউ মাথামোটা বেবুন। এক ভাই গান গায় তো আরেক ভাই কুরান মুখস্ত করে, এক বোন বই লেখে তো এক বোন সারাদিন আয়নার সামনে বসে কপালের টিপ সোজা করে। এক ভাই লালপানি টানতে টানতে ফার্সি বয়েত পড়ে তো আরেক ভাই কুস্তি লড়ে। ব্যাপক হুলস্থুল কান্ড। প্রতিটি বৃহৎ পরিবারের মতন সেখানে দলাদলিও ছিল, যাকে বলে রাজকীয় দলাদলি। বড়ভাইবোন দারা আর জাহানারা এক টীম, পিতার আশির্বাদধন্য। পরে অবশ্য অসুস্থ হওয়ার পরে দারার ব্যবহারে শাজাহান কিছুটা সন্দিহান হন, তবে কন্যা জাহানারাকে আমৃত্যু অত্যাধিক স্নেহ করতেন সম্রাট। পাঠক “অত্যাধিক” শব্দটি খেয়াল করবেন। অনেকেই এর বিশেষ অর্থ করেন যা কখনোই প্রমাণিত হয়নি।

টীম নম্বর দুই তৃতীয় পুত্র আওরঙ্গজেব আর দ্বিতীয় কন্যা রওশনআরা। মৌলবাদী আওরঙ্গজেবের চক্ষের বিষ দারাশুকো, আর কুটিল রওশনআরার টার্গেট বড়বোন জাহানারা। আমে দুধে হল মিল। রওশনআরা ছিলেন হারেমে আওরঙ্গজেবের স্পাই। দ্বিতীয় পুত্র শা সুজা একটি প্রকৃত ইডিয়ট, মদ খেয়ে গদির স্বপ্ন দেখা ছাড়া তিনি তেমন কিছু করতেন না। এই রাজপুত্রের পারস্যের প্রতি বিশেষ আকর্ষন ছিল, শিয়াদের তিনি খুব ভালো পেতেন। আওরঙ্গজেব পরে ছড়িয়েছিলেন যে সুজা শিয়া হয়ে গিয়েছে, কিন্তু তা সত্য নয়। আওরঙ্গজেব সত্য বলতেন অল্পই।