প্রাচীন নীতিশাস্ত্র
.
প্রাচীন সংস্কৃত সাহিত্যে ‘নীতিশাস্ত্রম’ নামে একটি বিভাগ স্বীকার করা হয়। যার বাংলা অর্থ দাঁড়ায়- নীতিশাস্ত্র। নামের মধ্যেই যেহেতু শাস্ত্র কথাটি যুক্ত রয়েছে, তার উপর আবার সংস্কৃত ভাষা, তাই ধারণা হয় নিশ্চয়ই এতে মারাত্মক সব জটিল তত্ত্বের সমাহারে ভয়ঙ্কর সব শাস্ত্রীয় কপচানিই থাকবে। এবং যার ফলে, এ বিষয়ে বিরাট পাণ্ডিত্য ধারণ করা না-গেলে এই শাস্ত্র উপভোগের শুরুতেই সহজ-সরল সাধারণ পাঠক-মনে প্রথম যে ইচ্ছেটাই গজিয়ে ওঠা স্বাভাবিক, তা হলো- থাক্ বাবা! এ রাস্তায় এগোনোর চাইতে পাথর চিবানোও বুঝি সহজ কর্ম ! ভাগ্যিস এগুলো আসলে সে জাতীয় ভয়ঙ্কর কিছু নয়। এবং এগুলো যে মোটেও রসকষহীন কিছু নয়, বরং অধিকাংশই মনোগ্রাহী কাব্যধর্মী রচনা, এর উদ্দেশ্য থেকেই তা স্পষ্ট হয়ে যায়। কারণ, এর উদ্দেশ্য হলো আকর্ষণীয় উপায়ে কিছু সদুপদেশ বিতরণ বা কাঙ্ক্ষিত কিছু নীতির প্রচার।
কুলদা রায়
এমএমআর জালাল
মুসলমান খণ্ড—২
------------------
হযরত মোহাম্মদের জন্মদিন উপলক্ষ্যে রবীন্দ্রনাথ বাণী পাঠিয়েছিলেন স্যার আব্দুল্লাহ সোহরাওয়ার্দিকে। ১৯৩৪ সালের ২৫ জুন অই বাণীটি হযরত মোহম্মদের জন্মদিনে আকাশবাণীতে প্রচারিত হয়েছিল। রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন—
প্রথম পর্ব । দ্বিতীয় পর্ব । তৃতীয় পর্ব
মারাঠারা তাদের রীতি অনুযায়ী যুদ্ধে আগে বাড়ার আগে শত্রুপক্ষের সাপ্লাই লাইন কেটে দিতে মত্ত হল। আলিবর্দি তাদের ফাইট দিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তার সাথের আফগানেরা বেঁকে বসে। তাঁবুর পেছন দিক দিয়ে দ্রুত এগিয়ে আসে মারাঠা ঘোড়ার দল, অগুণতি সিপাই ঘিরে ধরে ক্যাম্প। আলিবর্দি পড়লেন বাটে। তিনি দূত পাঠিয়ে বললেন আচ্ছা যাও যাও চৌথ বাবদ দশ লাখ রূপী চাইছিলে তা দিয়ে দিচ্ছি। মারাঠা জেনারেল তখন ফট করে দাম বাড়িয়ে দশ লাখ নয় এক কোটি রূপী চৌথ হেঁকে বসলেন।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ। বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসের অবিস্মরণীয় একটি দিন। অগ্নিঝরা মার্চের ঊর্মিমুখর এদিনে বঙ্গবন্ধু বাঙালির মুক্তির মূলমন্ত্র ঘোষণা দেন।
সুজা খানের মৃত্যুর পরে পুত্র সরফরাজ খান বাংলা ও উড়িষ্যার মহান অধিপতি হিসেবে অটো প্রমোশন পান। তিনি পিতার মতই যুবতী ও বোতলের গোলাম ছিলেন, তবে বাপের তুলনায় অনেক মাথা গরম। তিন মন্ত্রি হাজি আহমেদ, আলম চান আর জগতশেঠকে তিনি ডিসমিস করে দিলেন না, চাকরি বহাল রইল। কিন্তু তাদের অবিশ্বাস্য অপমান করা হতে থাকল দিনের পর দিন।হাজিকে প্রকাশ্য দরবারে গালাগালি করা হতে থাকল।
কুলদা রায়
এমএমআর জালাল
মুসলমান খণ্ড--১
-----------------
১৯৩১ সালে ৬ সেপ্টেম্বর হেমন্তবালা দেবীকে একটি চিঠি লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। চিঠিতে রবীন্দ্রনাথ একটি ঘটনা উল্লেখ করেছিলেন।
চাটগাঁও জিলা কয়েকশো বছর ধরে বাংলার মুসলিম শাসক আর আরাকানের মঙ্গোল শাসকদের টানাটানির বস্তু ছিল। পঞ্চদশ শতাব্দীতে এক পলাতক আরাকানরাজ বাংলায় আশ্রয় পান, পরে ১৪৩০ সালে গৌড়ের মিলিটারির সাহায্যে তিনি গদি ফিরে পান। কৃতজ্ঞতাস্বরুপ তিনি হুকুম জারি করেন তার বংশের লোক বার্মিজ পালি নামের সাথে আলি খান, সিকান্দার শা বা সেলিম শা এইরকম মুসলিম টাইটেল যুক্ত করবেন। ঐ নামে কয়েনও ইস্যু করা হয়। কিন্তু পরের প্রজন্মের আরাকানেরা বাংলার সাথে ভাই বেরাদরি তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেয় আর ১৪৫৯ সালে পুরো চাটগাঁও জিলা বাংলার সুলতান বুরবক শা এর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া হয়।
১৭৮১ সাল মহীশুরের জন্য দু:সময়ের মধ্য দিয়ে গেলেও বছরের শেষে সুসংবাদ আসে। ১৭৮১ সালের ডিসেম্বরে টিপু ব্রিটিশদের কাছ হতে চিতোর ছিনিয়ে নেন।
১৭৮২ সালে হায়দার নতুন উদ্যমে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেন। কিন্তু বছরের শুরুতেই পান দু:সংবাদ।