কুলদা রায়
এমএমআর জালাল
মুসলমান খণ্ড—৫
সুফিয়া কামাল রবীন্দ্রনাথের জন্মদিনে একটি কবিতা লিখে পাঠিয়েছিলেন। ১৩৪৪ বঙ্গাব্দের বৈশাখে। কবি তখন আলমোড়ায়। কবি সুফিয়া কামালকে কয়েকটি লাইন লিখে পাঠালেন—
বিদায়-বেলার রবির সনে
বনশ্রী তার অর্ঘ্য আনে
অশোক ফুলের বরুণ অঞ্জলি।
আভাস তারই রঙিন মেঘে
শেষ নিমিষে রইল লেগে
রবি যখন অস্তে যাবে চলি।
কুলদা রায়
এমএমআর জালাল
মুসলমান খণ্ড—৪
১৯১৯ সালে রবীন্দ্রনাথ সিলেটে গিয়েছিলেন। সিলেটের ব্রাহ্ম সমাজ, মহিলা সমিতি ও আনজুমানে ইসলামিয়া ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান থেকে কবিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। খান বাহাদুর আবদুল মজিদ,মৌলভী আবদুল করিম, রায়বাহাদুর সুখময় চৌধুরী, রায়বাহাদুর প্রমোদচন্দ্র দত্ত প্রমুখ জননেতা রেল স্টেশনে কবিকে অভ্যর্থনা জানান।
সুবা বাংলার সর্বশেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ ছিলেন একটি মহামূর্খ। দূরদর্শিতা ও বুদ্ধির অভাব এবং শরাবে ডাইলুটেড ঘিলু নিয়ে তিনি বেশিদূর এগোতে পারেননি। কিন্তু তার টার্গেট ছিল সঠিক, বেনিয়া ইংরেজ যে হাতের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছিল তা তিনি নানা আলিবর্দির মতই ধরতে পেরেছিলেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় সিরাজ আলিবর্দি ছিলেন না। ইংরেজকে টাইট দিতে গিয়ে নিজেরই হালুয়া টাইট হয়ে যায় তার। সেই পুরান পোকার খেলার নীতি, ইউ হ্যাভ টু নো ওয়েন টু হোল্ড ইয়োর কার্ড অ্যান্ড ওয়েন টু ফোল্ড। সিরাজ কখন কার্ড ফোল্ড করতে হয় জানতেন না, তিনি বেট মেরেই চলেছিলেন। নভিস খেলোয়াড়।
আজকের পর্ব দীর্ঘ পর্ব, পাঠক চা নিয়ে বসুন। গত পর্বে আমরা দেখেছি কাশিমবাজার কুঠি ঘেরাও হবার পথে। আজ দেখব নবাবের কাশিমবাজার দখল ও কোলকাতা দখলের উদ্দেশ্যে ফোর্ট উইলিয়াম আক্রমণ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয়ে আসুন আলোচনা সেরে নেই মূল অনুবাদ পড়ার আগে।
আজ ২৫ মার্চ। বাঙালির ইতিহাসে এ দিবাগত রাত চিহ্নিত হয়ে আছে বর্বর গণহত্যার স্মারক ‘কালরাত’ হিসেবে। ১৯৭১ সালের এ রাতে নিরপরাধ নিরস্ত্র ঘুমন্ত বাঙালির ওপর ভারী অস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়েছিল পৈশাচিক হত্যার উল্লাসে। পৃথিবীর ইতিহাসের ভয়াবহতম গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল বাংলাদেশ
কুলদা রায়
এমএমআর জালাল
মুসলমান খণ্ড—৩
…
“সিরাজ উদ্দৌলা, সিংহাসনে অধিরুঢ় হইয়া, মাতা মহের পুরাণ কর্ম্মকারক ও সেনাপতিদিগকে পদচ্যুত করিলেন। কুপ্রবৃত্তির উত্তেজক কতিপয় অল্পবয়স্ক দুষ্ক্রিয়াসক্ত ব্যক্তি তাঁহার প্রিয়পাত্র ও বিশ্বাসভাজন হইয়া উঠিল। তাহারা প্রতিদিন তাঁহাকে কেবল অন্যায্য ও নিষ্ঠুর ব্যাপারের অনুষ্ঠানে পরামর্শ দিতে লাগিল। সেই সকল পরামর্শের এই ফল দর্শিয়াছিল, যে তৎকালে প্রায় কোন ব্যক্তির সম্পত্তি বা কোন স্ত্রীলোকের সতীত্ব রক্ষা পায় নাই।”
শ্রীযুক্ত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, বাঙ্গালার ইতিহাস।
….....................
নবাব আলিবর্দি মারা যাবার পর তাকে গোর দেবার আগেই সিরাজউদ্দৌলা তখতে লাফ দিয়ে বসেন। বসেই তিনি প্রথম কলকাঠি নাড়া আরম্ভ করেন খালা ঘষেটি বেগমের ঘষটামি বন্ধ করার উদ্দেশ্যে। ঘষেটি তার অঢেল পয়সাকড়ি নিয়ে মতিঝিল প্রাসাদে থাকতেন। প্রাসাদের চতুর্দিকে পানি, শক্ত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। ভিতরে ঘষেটি বেগম তার লাভার নাজির আলি আর কয়টা সিপাই। কিন্তু ফাইট হলনা, আলিবর্দির বিধবা স্ত্রীর অনুরোধে ঘষেটি আত্মসমর্পণ করেন। নাজির আলিকে কানে ধরে দরবার থেকে বের করে দেয়া হয়, ঘষেটিকে চালান করা হয় হেরেমে আর তার পয়সাকড়ি চালান করা হয় কোষাগারে। এ সবই হয় আলিবর্দি দেহরক্ষার দশ দিনের মধ্যে। নবাব কিছুটা চিন্তামুক্ত এখন। তবে পুর্ণিয়ার নবাব, শওকত জং আর ইংরেজের সাথে বোঝাপড়া বাকি।