মৃত্যুর পর তাঁকে যেন শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়, তাঁর এই শেষ ইচ্ছেটা তিনি একবারও কি উচ্চারণ করতেন, যদি জানতেন কবরের একটুকু জায়গা না পেয়ে দাফনের অপেক্ষায় তাঁর নিথর মরদেহটি পাঁচ পাঁচটি দিন হাসপাতালের হিমঘরে পড়ে থাকবে ! এই জাতির কাছে তাঁর চাওয়াটা কি খুব বেশি কিছু ?
বায়ান্নতে তৎকালীন শাসক গোষ্ঠি কর্তৃক বাঙালির স্বতঃস্ফূর্ত আবেগে গড়ে তোলা একুশের তাৎক্ষণিক ও প্রথম শহীদ ...
বাংলাদেশে কোনো বিকল্প শক্তির সৌরবিদ্যুতের মত সম্ভাবনা তাত্বিকভাবে অন্তত নেই। বাংলাদেশে গড়ে বছরে ২৫০-৩০০ দিন সূর্যালোক আসে, বর্ষার তিনমাস বাদ দিয়ে বাকি সময়ে সূর্যালোক যথেষ্ট নিরবিচ্ছিন্ন ও প্রখর। প্রতিদিনে গড়ে ৫ কিলোওয়াট-ঘন্টা শক্তি বাংলাদেশের প্রতি বর্গমিটার জমিতে আছড়ে পড়ে।(সূত্র) ভূপতিত এই সৌরশক্তির মাত্র ০.০৭% বিদ্যুতশক্তিতে রূপান্তর করা গেলেই বা...
বাংলাদেশে কোনো বিকল্প শক্তির সৌরবিদ্যুতের মত সম্ভাবনা তাত্বিকভাবে অন্তত নেই। বাংলাদেশে গড়ে বছরে ২৫০-৩০০ দিন সূর্যালোক আসে, বর্ষার তিনমাস বাদ দিয়ে বাকি সময়ে সূর্যালোক যথেষ্ট নিরবিচ্ছিন্ন ও প্রখর। প্রতিদিনে গড়ে ৫ কিলোওয়াট-ঘন্টা শক্তি বাংলাদেশের প্রতি বর্গমিটার জমিতে আছড়ে পড়ে।(সূত্র) ভূপতিত এই সৌরশক্তির মাত্র ০.০৭% বিদ্যুতশক্তিতে রূপান্তর করা গেলেই বা...
[justify]
খসরু চৌধুরীর সাথে আলাপের কোন সুযোগ আমার কখনও ঘটেনি। চোখেও দেখিনি তাঁকে। তাঁকে প্রত্যহ ভক্তিভরে স্মরণ করবো, পরিস্থিতিও সেরকম কখনও হয়ে ওঠেনি। ব্যাখ্যা করি।
খসরু চৌধুরীর নামাঙ্কিত একটি পেপারব্যাক, সেবা প্রকাশনীর "সুন্দরবনের মানুষখেকো"তে পড়েছিলাম শিকারী পচাব্দী গাজীর কথা। আমার বয়স তখন কম, ক্লাস ফাইভ বা সিক্সে পড়ি, সেবা থেকে প্রকাশিত শিকারের সব বইয়ের ঘাড় মটকে চিবিয়ে খাই বা...
[justify]সচলায়তনে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও অন্যান্য শক্তির সমস্যা নিয়ে এবং এর সমাধানে জীবাশ্ম ও জৈবজ্বালানি, ভূ-গর্ভস্থ তাপশক্তি, বায়ুশক্তি ইত্যাদির উপরে বেশ ফলপ্রসু আলোচনা হচ্ছে (যেমন, ভূগর্ভস্থ তাপবিদ্যুত: আনকোরা ভাবনা, বাংলাদেশে বায়ুবিদ্যুতের সম্ভাবনাকে কি অঙ্কুরেই নষ্ট করা হচ্ছে?)। সমস্ত পৃথিবীই এখন জীবাশ্ম জ্বালানির বিকল্প খুঁজতে বদ্ধপ...
বিদেশ যাওয়া নিয়ে আমাকে মাঝে-মধ্যেই বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব গুঁতা দেয়। আগে ব্যাপক দিতো, এখন কম দেয়। মনে হয় বাঙ্গালী শিক্ষিত মধ্যবিত্তের সন্তানের যেন একমাত্র চূড়ান্ত গন্তব্য প্রবাস গমণ।
যাইতে আমার তেমন আপত্তি নাই, যদি সোজা হইতো। জিনিসটা আমাদের লাইনে অত সোজা না বলেই মনে হয়।
আমার মতে পরিসংখ্যানগত সত্যের চেয়ে বড় সত্য আর নাই। এদিক দিয়ে দেখলে আমার আইবিএ-র ব্যাচের আগের ত...
সকালে রওনা হয়েছি বার্লিন হপ্টবানহফের (প্রধান রেল স্টেশন) দিকে। গাড়ীতে যাব তাই সেইভাবে সময় হিসেব করেই বেরিয়েছি। কিন্তু পথিমধ্যে দেখলাম শার্লোটেনবার্গের চারিদিকে ব্যারিকেড দিয়ে অনেক রাস্তা বন্ধ, একটি সাইকেলের রেস হবে। পুলিশকে অনুরোধ করলাম সাইকেলের বহর আসতে তো মনে হয় সময় লাগবে, মোড়ের পথটুকু ছেড়ে দিলেই আমি গন্তব্যস্থলে যেতে পারি, নতুবা আমি ট্রেন মিস করব। কিন্তু বুঝলাম বৃথা চেষ...
শক্তি আর গতির দম্ভে-
বাঁয়ের আমায় নিচের আমায়
না-ই যদি পাচ্ছো তুমি দেখতে;
একটা কোনো প্রাণী নিদেন রাখো
আমার কাছাকাছি,
যে আমাকে
চেপে যাওয়ার আগে তোমায়
বলতে পারবে একটিবার-
"ওস্তাদ, বায়ে পেলাস্টিক!"
০২.
গরিব পায়ে আমার কিছু থাকবেই দ্বিধা,
তোমার পথ তো সবই খোলা "সুযোগসুবিধা"!
০৩.
আমি বাঁয়ে চলি, আমার জীবন জরোজর।
আমায় করুণা ক'রে, তুমি চলো "বরাবর"।
শুষ্ক মরুপ্রান্তর জ্বলছে তীব্র দহনে। দিশাহারা কিশোর রাখাল তার বাঁশী হারিয়ে ফেলেছে, জ্বরে পুড়ে যায় তার অকরুণ দিনরাত, প্রলাপের ঘোরে সে বলে তার একাকী নি:সঙ্গ প্রহর পুড়ে যায় নিষ্ঠুর রৌদ্রে, ধূ ধূ করা শূন্যমাঠ পড়ে থাকে বৃষ্টির আকন্ঠ তৃষ্ণায় ছাতিফাটা হয়ে। তার রাতও নিঠুর, হিংস্র জন্তুর মতন ছিন্নভিন্ন করে তাকে ধারালো শ্বদন্তে । তার শরীর নিভে গেছে, সাহস নিভে গেছে, আশাও নিবু নিবু। হায়, ব...
আমাদের জীবনকালেই হয়তো সেই সময়টা আমরা দেখে যাবো, এই দেশ এই মাটি এবং আমাদেরকে রাহুমুক্ত করতে নির্দ্বিধায় জীবনটাকে বাজী রেখে যাঁরা পাহাড়ের মতো অদম্য বুকটাকে টানটান করে দাঁড়িয়েছিলেন ট্যাঙ্ক গুলি আর বন্দুকের মুখে, আমাদের প্রচণ্ড অপরাধবোধ আর তীব্র পাপবোধ থেকে রেহাই পেতে ঋণশোধ তো দূরের কথা, একটুখানি কৃতজ্ঞতা জানানোর জন্যেও তখন আর একজনকেও খুঁজে পাবো না আমরা ! তাঁরা আমাদের ভাই, বন্ধু,...