(এখানে লেখা দু’টি ঘটনারই সাক্ষী আমি। তবে দ্বিতীয় ঘটনাটির একজন নীরব শ্রোতা ছিলাম মাত্র। ঘটনা দু’টি হয়ত নিতান্তই বিচ্ছিন্ন। দু’টি ঘটনার প্রেক্ষিত আলাদা। নিতান্তই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে লেখা এই ঘটনাদু’টোর বিপরীতমুখিতা আমাকে ভাবায়। ব্যক্তিগত কারণেই দ্বিতীয় ঘটনাটির স্থান ও কাল উল্লেখ করছি না।)
ওয়াশিকুর রহমান বাবুর জঘন্য হত্যাকান্ডের খবর শুনে মনটা ভারাক্রান্ত---অনলাইনে ধর্ম নিয়ে আলোচনার জের ধরেই যে তাকে হত্যা করা হয়েছে, তাতে সন্দেহ নেই তেমন। অনেক কথা মাথায় ঘুরছে, তার মধ্যে নিরাপত্তা বিষয়ক কিছু জরুরী কিছু কথা এখনই বলা দরকার মনে করছি, তাই এই লেখা।
(আমার লেখাটি এই সংবাদের উপর ভিত্তি করে লেখা।
অভিজিৎ কে হত্যা করার পর বিভিন্ন কমেন্ট এ কিছু মানুষ এর তেনা পেঁচানোর প্রয়াস ছিল লক্ষণীয়। তাঁরা বলার চেষ্টা করছিলো যে অভিজিৎ কে কারা মেরেছে কি উদ্দেশ্যে মেরেছে সেটার “নিরপেক্ষ” তদন্ত করার আগে কোন পক্ষের দিকে অঙ্গুলিউত্থাপন নিন্দনীয়।
এইবার আরেকজন ব্লগারকে হত্যা করা হোল। মাদ্রাসা এর দুইজন ছাত্রকে ঘটনাস্থল থেকে মার্ডারের অস্ত্র সহ হাতে নাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও জনতা। এইবার তেনা পেঁচানোর সুযোগ নাই। হত্যাকারীরা স্বীকার করেছে, “ইমানি দায়িত্বে” তাঁরা এই হত্যা কাণ্ড টি করেছেন “হুজুরের নির্দেশে”। এদের হয়তো শাস্তি হবে ফাঁসিতে লটকাবে। কিন্তু আসলে অপরাধী কি এরা?
এক মাস হতে চললো অভিজিৎ রায় খুন হয়েছেন। এক মাসে তার হত্যাকাণ্ডের বিচারপ্রক্রিয়া খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে কদ্দূর এগিয়েছে সেও আমরা দেখেছি, দেখে চলেছি। হুমায়ূন আজাদ, রাজীব হায়দার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ কে এম শফিউল ইসলাম প্রমুখের মৃত্যু এর থেকেও পুরোনো খবর। তাঁদের বেলায়ও বাঙালির দ্বিধান্বিত শতছিন্ন মতবিভক্তি আমরা দেখেছি। আর দেখেছি বিচারপ্রক্রিয়ার দায়সারা মন্থরতা। প্রাথমিক আবেগের রেশটুকু কেটে যাওয়া
(গত তিন-চারটে ব্লগের সময় হিসাব করে দেখলাম, গড়ে বছর দেড়েকে একটা করে ব্লগ লিখতেছি। ভালই। বছর দেড়েকের জন্য আরেকটা দিই )
১.
গ্যাব্রিয়েলে রাঙ্কোর সাথে আমার দেখা Yahoo বার্সেলোনা রিসার্চ ল্যাবসে।
রিসার্চ ইন্টার্ণ হিসেবে Yahoo তে মাত্র গিয়েছে। মিলিয়ন মিলিয়ন ইউজারের ওয়েব-স্কেল ডাটা ওদের জমা করা আছে। এরকম একটা ডাটা Yahoo Answers নিয়ে কাজ করব। কিন্তু কি কাজ করব কিছু জানি না।
গত ২৬শে মার্চ ২০১৫ একটা বড় সড় উদ্যোগ আয়োজিত হলো বাংলা নিয়ে। নাম ’বাংলার জন্য চার লাখ’। উদ্দেশ্য ছিলো এদিনে দেশ ও বিদেশের আপামর জনসাধারন গুগলের ইংরেজী-বাংলা ট্রান্সলেটরের জন্য অন্তত চার লাখ শব্দ বা বাক্যাংশ অনুবাদ করবে। এভাবে ক্রাউড সোর্স করে প্রাপ্ত করপাসকে বিশ্লেষণ করে এই যান্ত্রিক অনুবাদকটি আরো কার্যকরভাবে বাংলা রচনাকে অনুবাদ ও বিশ্লেষণ করতে পারবে। এই আয়োজন চূড়ান্তভাবে সফল। চার এর জায়
একবার এক গ্রুপে জামাত শিবিরকে ব্যান করার দাবী উঠলো। দাবীর তীব্রতায় প্রথমে সবাই বেশ হকচকিয়ে 'আমি সাথে আছি' টাইপ বক্তব্য দিয়ে সংহতি প্রকাশ করলো। দুইদিন পর গর্ত থেকে আস্তে আস্তে ল্যাজ বের হওয়া শুরু হল। প্রথমে মিনমিন তারপর বেশ জোরেশোরে বলা শুরু হল, "বুঝলাম জামাত শিবিরকে ব্যান করা হচ্ছে কিন্তু শুধু জামাত শিবির কেন, সমস্ত পলিটিক্স ব্যান করা নয় কেন। ঐযে দেখেন ছাত্রলীগও তো বেশ ইয়ে টিয়ে সন্ত্রাস করে।" এই ধ
আদিতে নারী-পুরুষ ছিলনা, ছিল মানুষ। পরবর্তীতে সেই অখণ্ড মানবসত্তা নারী-পুরুষে বিভাজিত হয়।
একটি রূপকের মাধ্যমেই শুরু করি।
স্থান: বেহেশত।
পোস্টাপিস
চাকরি কি আর ছেলের হাতের মোয়া- কথাটা কে বলেছিলো যেন?
এজন্যই চাকরি এসেও আসেনা, হয়েও হয়না বেকারদের। এখন তো ছেলেরা মোয়া খায় না। লেবেনচুস চোসে। ললিপপ চোসে। তাই চাকরি রকম সকম গেছে উল্টে পাল্টে। কিন্তু আসমানীদের তো সরকারি চাকরির খায়েশ মেটেনা।
[justify]
২৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৫।
সকাল দশটা। ৪ নং সেক্টর, উত্তরা, ঢাকা। আমরা দুজন। আমি এবং সহসচল নজরুল একটা বাসা খুঁজে বের করি। একজন আমাদের অপেক্ষায় ছিলেন। আমরা তার সাথে বসি।
বয়স প্রায় আশির কোটায়। শরীর ঋজু এখনো। হাতে ছড়ি ব্যবহার করেন, চেহারায় আভিজাত্য। একটা এলাকার বিখ্যাত চৌধুরী পরিবারের মানুষ তিনি।
১৯৭১। বয়স ৩৬। পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া শেষ করে তৎকালীন দৈনিক পাকিস্তানের সহসম্পাদক হিসেবে ঢাকায় চাকরী করছেন। তিনি সাংবাদিক সালেহ চৌধুরী। ন্যাপ রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন।