দৃষ্টিপাত এর ডিসি চ্যাপ্টার (Drishtipat DC) আজ দুপুরে ওয়াশিংটন ডিসি শহরের ডুপন্ট চত্বরে অভিজিৎ রায়ের স্মরনে এবং তার হত্যার বিচারের দাবীতে 'Standing with Avijit' নামে এক ইভেন্টের আয়োজন করে। প্রায় ৪০/৫০ জন ভিন্ন ধর্ম/মতালম্বির মানুষের জনসঙ্গমে প্রায় দেড় ঘন্টার এই অনুষ্ঠানে ছিল অভিজিৎ দাকে নিয়ে কিছু স্মৃতিচারণ, বন্যাদির বিবৃতি পাঠ, কিছু জাগরণের গান গাওয়া। পরিশেষে বাংলাদেশে বিগত এক দশকে মুক্তমনা এবং অ
[justify]
পড়ে শেষ করলাম সুহান রিজওয়ান এর ‘সাক্ষী ছিলো শিরস্ত্রাণ’
২৩ ফেব্রুয়ারি বইমেলায় একটা অঘোষিত আড্ডা হয়েছিলো। অভিজিৎ, বণ্যা ছিলেন। ছিলেন সুহান রিজওয়ান, রনদীপম বসু, আরিফ জেবতিক, শান্ত, মাহবুব লীলেন, আহমেদুর রশীদ টুটুল সহ সচলায়তনের বেশ কজন। আরো কিছু বইয়ের সাথে ঐদিনই কিনেছিলাম ‘সাক্ষী ছিলো শিরস্ত্রাণ’। কেনার পর সাধারনতঃ খুব দ্রুত আমি বই পড়ে ফেলি। কিন্তু এবার ব্যতিক্রম হলো রক্তাক্ত ২৬ ফেব্রুয়ারীর কারনে। শুধু লেখা নয়, পড়ার ক্ষেত্রে ও একটা আতংক কাজ করছিলো। এই ট্রমাটা ধীরে ধীরে কাটছে। শেষ পর্যন্ত পড়া এবং লেখার কাছে ফিরে আসা ছাড়া আমাদের পরিত্রান নেই।
এবারের বইগুলোর মধ্যে প্রথমেই পড়লাম ‘সাক্ষী ছিলো শিরস্ত্রাণ’।
তাজউদ্দীন আহমেদ আমাদের মানুষ, বাংলাদেশের মানুষ। একটা প্রগতিশীল, আত্মমর্যাদাসম্পন্ন বাংলাদেশের স্বপ্ন যারা দেখেছিলেন, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য যারা নিজেদের নিবেদিত ও উৎসর্গ করেছিলেন তিনি তাদের অন্যতম। তাজউদ্দীন আহমদকে নিয়ে আরো বেশী বেশী লেখা, আরো বেশী তাজউদ্দীন চর্চা আমাদের জন্য আরো বহুদিন জরুরী হয়ে থাকবে।
আলো আমার আলো ও গো
একটা মেয়ে কেন ধর্ষিত হয়? এই প্রশ্নটা শুনলেই উত্তর দেয়ার জন্যে নানা কিসিমের আগ্রহী লোক জমায়েত হয়ে যায়। সেটা হোক বন্ধুদের আড্ডায়, সুশীলদের সেমিনারে, অনলাইনে অথবা অফলাইনে। প্রায় প্রত্যেকটা মানুষেরই এই ব্যাপারে কিছু বলার থাকে সাধারণত। নীতি-নৈতিকতা নিয়ে জ্ঞান দেয়ার সুযোগ মানুষ সাধারণত ছাড়ে না। এছাড়াও মেয়েদের পোশাক আশাকের ব্যাপারে জ্ঞানগর্ভ কিছু বলার মতো কথা নেই, কত রাতের পর ভদ্র ঘরের মেয়েরা বের হয় না, বা বের হওয়া উচিত না সেই বিষয়ে দেয়ার মতো নিজস্ব অথবা ধারকৃত মতামত নেই, এমন মানুষ সংখ্যায় খুব বেশি না। মেয়েরা নরম টিউব আর ছেলেরা শক্ত টায়ার, টায়ার ছাড়া শুধু টিউবে গাড়ি চালালে পেরেক তো ফুটবেই এরকম উপমাও দেন আমাদের বিখ্যাত সেলিব্রেটিরা। সেখানে শত শত লাইক পড়ে, সাথে দুই একটা গালিও হয়ত। পত্রিকায় মেয়েটার ছবিসহ খবর ছাপা হয়, শিরোনাম হয় ‘তরুণী ধর্ষিত’। সেখানে রিপোর্টের ফাঁকে ফাঁকে লেখা হয় মেয়েটার কামিজের দৈর্ঘ্য কতটুকু ছিল, মেয়েটা কত রাতে বাড়ি ফিরছিল। সবাই প্রশ্ন করে, ‘কেন ধর্ষিত হলো মেয়েটি?’ একটা মেয়েকে তো কেউ এমনি এমনি ধর্ষণ করে না, কত মেয়েই তো একা একা চলে, কই তাদের তো কিছু হয় না!
এই লেখাতে আমি বাংলা ভাষায় কম্পিউটিং এর সম্পর্কে আরও কিছু মতামত তুলে ধরতে চাই। মোস্তফা জব্বার এর ব্যবসা ও তার উদ্ভাবন সম্পর্কে আমার যথেষ্ট শ্রদ্ধা আছে। যেভাবে আমার শ্রদ্ধা আছে নকিয়া এর মোবাইল ফোনের অবদানের প্রতি।
সবাই বলে চোর, চোর। কিন্তু চুরিটা করে কে? ওই পল্টন ময়দানে বক্তৃতা করে যে বলে বেড়াচ্ছে দুর্নীতি ধরতে হবে, বাসায় এসে সে বলে, তাজউদ্দীন ভাই, আমার খালু ধরা পড়েছে, ওরে ছেড়ে দেন। যদি বলি, তুমি না বক্তৃতা করে এলে? তখন উত্তর দেয়, বক্তৃতা করেছি তো পার্টির জন্যে, এখন আমার খালুকে বাঁচান। --সাক্ষী ছিলো শিরস্ত্রান--সুহান রিজওয়ান।
অভিজিৎ, মসজিদ, ধর্মনিরপেক্ষতা বনাম সেক্যুলারিজমঃ
ছোটবেলা থেকে আমরা সবাই শুনে আসছি মুসলমান-মুসলমান, ভাই-ভাই...! আসলে কি তাই? দুটো ভিন দেশের মুসলমান কি কোন কালে ভাই-ভাই ছিলো কিংবা আজ ও কি আছে?