Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

ব্লগরব্লগর

নিঃসঙ্গ গ্রহচারী

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: মঙ্গল, ০৬/০৩/২০১৮ - ২:৫৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিজ্ঞানী সফদর আলীর মহা মহা আবিষ্কার বইয়ে একটা গল্পের নাম জং বাহাদুর। সেই গল্পে বানর খুঁজে পাবার জন্য সফদর আলী একটা বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন পত্রিকায়। বিজ্ঞাপনের উত্তরে নানান চিঠিচাপাতির সাথে একটা পোস্টকার্ডও এসেছিল। পোস্টকার্ডে চার ছত্রের একটা ছড়াঃ “সফদর আলী মিয়া, সদরঘাটে গিয়া, বান্দরের গেঞ্জি কিনে চাইর টাকা দিয়া”।

এরকম আশ্চর্য কবিতা সুকুমার রায়ের বই ছাড়া পাওয়া মুশকিল।


কেন একজন জাফর ইকবাল হওয়া এত কঠিন?

অনিকেত এর ছবি
লিখেছেন অনিকেত (তারিখ: সোম, ০৫/০৩/২০১৮ - ১০:০৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আহা রে---এই লোকটার এত ভালো হবার কোনই দরকার ছিল না! ছোট দেশের ছোট ছোট মন নিয়ে ঘুরে-বেড়ানো মানুষ আমরা। বড় মাপের মানুষ এই দেশে আঁটবে কেন?


এক যে ছিল চাষীর ছেলে

রংতুলি এর ছবি
লিখেছেন রংতুলি [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ০১/০৩/২০১৮ - ৫:১৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কনকনে ঠাণ্ডা সকালে বনের ভেতর তুষার মোড়ানো পথ পাড়ি দিয়ে ভাই বোনদের সাথে তাল মিলিয়ে হেঁটে কখনও বা দৌড়ে সবচেয়ে ছোট যে ছেলেটা স্কুলে যায় ওর নাম আলমানজো। বয়স ন' হয়নি। পায়ে তলাবিহীন 'মোকাসিন জুতো', কারণ বুট জুতো পরার বয়স হয়নি তার তখনো। এমনকি ছোট বলে সকলের খাবার পাত্রটাও বয়ে নিতে হয় তাকেই। ঠাণ্ডায় তার গাল দুটো আপেলের মতো আর ছোট্ট নাকটা টকটকে চেরী ফুলের মতো লাল দেখায়।


ভূতের বাড়ি

মুস্তাফিজ এর ছবি
লিখেছেন মুস্তাফিজ (তারিখ: মঙ্গল, ০৬/০২/২০১৮ - ৯:০১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]তিনি এখনও সেখানে ঘুরে বেড়ান। সাদা রঙের দুই পিস জামা সাথে বিভারের টুপি পরে এক ঘর থেকে আরেক ঘরে বিচরণ করেন নিঃশব্দে।

কখনো তাকে দেখা যায় একটা আবছায়া হয়ে ভেসে বেড়াতে, কখনো ধোঁয়াশা, আবার কখনো কখনো সুস্পষ্ট দেখা যায় নিঝুম বিশাল হলওয়ে ধরে যেন শতাব্দী প্রাচীন গীর্জায় কোনো এক ধর্মসেবী ঈশ্বরের স্তুতি গাইতে গাইতে হাঁটছেন।

তার পদচারণা প্রায়শই ধীর স্থির শান্ত, মাঝে মাঝে মনে হয় একাকী বিষন্ন কেউ চলে যাচ্ছে সামনে দিয়ে।

তার নাম গ্রেস কিপারলী। শতবছর আগেই দেহ ত্যাগ করলেও আজো এমন শত শত মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে যারা বিশ্বাস করে তিনি আছেন। দেখা দেন মাঝে মাঝে। কখনও ছেড়ে যাননি ডিয়ারলেকের পাশে ‘ফেয়ারএকরস’ এ তার বিশাল প্রাসাদ ‘কিপারলী ম্যানসন’, হালের ‘বার্ণাবী আর্ট গ্যালারি’।


হরেক রকমের অজুহাত এবং একটি অব্যর্থ কেপি টেস্টের গল্প

ইয়ামেন এর ছবি
লিখেছেন ইয়ামেন [অতিথি] (তারিখ: সোম, ০৫/০২/২০১৮ - ৬:৪২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

"ছিঃ ছিঃ ছিঃ, আরে ভাই বিচার চাইতে হবে ভালো কথা, কিন্তু তাই বলে চার পাঁচ বছরের শিশুদের হাতে 'ফাঁসি চাই' পোস্টার দিয়ে নিয়ে আসতে হবে কেন? ওরা কারা, যারা কোমলমতি শিশুদের মনে এভাবে ঘৃণার চাষ করছে?"

"দেখ ভাই, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আমিও চাই, তবে সেটা তো স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ, আন্তর্জাতিক মানের এবং সবার গ্রহণযোগ্য হতে হবে, তাই না? এই আইসিটি না ফাইসিটি তো কোন জাতেরই কিছু হচ্ছে না।"


কিভাবে মোগল হবেনঃ একটি সহজ পপি গাইড

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: সোম, ০৫/০২/২০১৮ - ২:২৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মনসব ও বিবাহ পর্ব

কবি বলেছেন জন্ম হউক যথা, তথা কর্ম হউক ভালো।

আজাইরা বাকোয়াজ। জন্মই আসল কথা। কর্ম হইলে হইল না হইলে নাই। উঁচু বংশে জন্মাতে না পারার বেদনা থেকে কবি এই ছত্র লিখেছেন। মোগল বংশে আগের পর্বে জন্ম নিলেন স্মরণ আছে? এইসব ফাউ কবিতার ছত্র আপনার জন্য প্রযোজ্য নহে। মৌজে থাকেন। পান চিবান। শীষ দিয়ে গান ধরেন টিকাটুলির মোড়ে একটা হল রয়েছে। হলে নাকি ইয়ার কন্ডিশন রয়েছে।


বাস কথন -০৩

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি
লিখেছেন ষষ্ঠ পাণ্ডব (তারিখ: রবি, ২১/০১/২০১৮ - ১২:২৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]১৭.


মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে--

অনিকেত এর ছবি
লিখেছেন অনিকেত (তারিখ: শনি, ২০/০১/২০১৮ - ১১:৫৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমাদের দেশে রাস্তায় বেরুলে প্রথমেই আপনার নজর কাড়বে কোন জিনিসটা?

না, ট্রাফিক জ্যাম বাদ দিয়ে!


বারেক ভাইয়ের তলাবিহীন ঝুড়ি

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: শনি, ২০/০১/২০১৮ - ৩:৩৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সতর্কতাঃ গল্পটা ক্লান্তিকর ও দীর্ঘ। লেখকও লিখতে গিয়ে ক্লান্ত। কিন্তু বারেক ভাই এখনো অক্লান্ত বলে লিখে রাখতে হলো সত্য ঘটনাটি।

বারেক ভাইকে আমি আত্মীয়তা সুত্রে ৩২ বছর ধরে চিনি। তখন তিনি বাস ট্রাকের ব্যবসা করতেন। পড়াশোনায় এসএসসি হলেও ব্যবসায়িক বুদ্ধিতে এমএসসির বাড়া। ব্যবসা শুরুর অল্পদিনের মধ্যে বারো চৌদ্দটা বাস ট্রাক লরির মালিক হয়ে গেলেন। বস্তা বস্তা টাকা ব্যাংকে জমা করেন। বস্তা কথাটা আক্ষরিক অর্থে সত্যি। আমি নিজের চোখে বাজারের থলেভর্তি টাকা নিয়ে ব্যাংকে যেতে দেখেছি। চোর ডাকাত ছিনতাইকারীদের চোখে না পড়ার জন্য এই ব্যবস্থা। তবে তাঁর চলাফেরা জামাকাপড় এতই মলিন থাকে যে তাঁর দিকে তাকালে বাস ট্রাকের হেলপার ছাড়া কিছু মনে হবে না। তাঁর ভাগ্যরাশিতে টাকার এতই ছড়াছড়ি যে তিনি যেখানে হাত দেন তাতে টাকা ফলে।