সময় কাউকে কাছে এনেছিলো, সময়ে কেউ দূরে সরে গিয়েছিলো- তেমন কারো সাথে, কারোকারো সাথে বহুদিন/বহুবছর পর দেখা হয়ে যায়।
না-দেখা নয় আসলে, দৃষ্টির সীমানায় আসা কিংবা থাকাটা আর জরুরী ও নয়।
হয়তো আকাঙ্ক্ষা ছিলো, মনে পড়া ছিলো একেবারেই অকারন- বড়াপানি লেকের জলে পা ডুবিয়ে নির্জলা বেকার্ডির চুমুক সঙ্গী কিংবা গতশতাব্দীর শেষবর্ষগুলোতে নরোম অক্ষরের চিঠি বুনতো যারা তাদের কেউ কেউ;
যেমন শীতের নির্দ ...
প্রায় একমাস চলে গেল। আমার জন্য দিনগুলো গিয়েছে খুব দ্রুত। শুধু আমি কেন? সব ফুটবল অনুরাগীদের জন্যই মনে হয় প্রযোজ্য এই কথাটা। অফিসে থাকতেই বিকেলের প্রথম খেলাটা (বাংলাদেশ সময় রাত আটটার) কাজের ফাঁকে ফাঁকে দেখতাম। সন্ধ্যায় বাসায় এসে তাড়াহুড়ো করে রাতের খাওয়ার পর্ব শেষ করেই অপেক্ষা আবার খেলার জন্য। হুড়মুড়িয়ে চলে গেল দিনগুলো। যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ!
দিন গড়ানোর সাথে সাথে দুটো দল ব ...
আগে লিখতে হলে লেখার দক্ষতা ছাড়াও আরো নানারকম দক্ষতা লাগতো। এখনো যে সে প্রয়োজন একেবারে ফুরিয়ে গেছে তা নয়, তবে ইন্টারনেট মনের ভাব প্রকাশকে একেবারে অসাধারণভাবে উন্মুক্ত করে দিয়েছে। এ নিয়ে চৌঠা জুলাই এ্যান্ড্রু সালিভানের ব্লগে এরকম একটা লেখাও পড়ছিলাম, যে, যত 'ভালগার' আর 'অবনক্সাশ'-ই হোক, শেষতক বলার এই স্বাধীনতার সুবিধা বলতে না পারার চেয়ে বেশিই বটে, ...
নিজে নিজেই কেউ আহত হয়; নিজেকে কামড়ে খামচে টেনে হিঁচড়ে উন্মাদ সুফিদের মতো আন্ধা ঈশ্বরকে দেখায়- দেখো তোমাকে একমাত্র গণ্য ভেবে নিজেকেও কতটুকু নগণ্য করতে পারি আমি...
কেউ কেউ নিজেকে আহত হতে দেয়। মাইরের সামনে দাঁড়িয়ে মহাত্মা গান্ধীর মতো শান্তির সুবচন ঢেলে মারমুখো মানুষকে বোঝাতে চায় নিজের শান্তিপ্রিয়তা
কেউ কেউ আহত হয় গ্রামীণ জননীর বাৎসল্যসূত্র মেনে- ছোটবেলা মারি নাই মরে যাবে তাই। ...
তার সম্পর্কে আশ্চর্য সব গল্প লন্ডনজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। সে দেখতে এখনও পবিত্র, কিন্তু আসলেই কি তাই?
সে তার প্রতিটি মর্জি, প্রতিটি বাতিক, প্রতিটি চাহিদা পূরণ করে। সব ইন্দ্রিয়ের গভীর রহস্য সে উন্মোচন করে। অসৎ চরিত্র নিয়ে, সে ধ্বংস ও রোমাঞ্চের উন্মত্ত ক্ষুধা মিটিয়ে চলে!
কিন্তু তার সব সম্পদ, সব সঞ্চয়—পলায়নের উপায় মাত্র। যেখানে তার শৈশব কেটেছে—সেই নিঃসঙ্গ, তালাবদ্ধ ঘরটার দেয়ালে আঁটা তার ...
অন্ধকার ঝুলে থাকে মাথায় উপর
আমি যে সত্যি পেতে যাচ্ছি...
উল্কার মত নিম্নরেখাঙ্কনে নেয়া গেল না
একটি সহজ সমীকরণের
চিরচেনা তার আশাবাদী চোখ, গির্জার ফোঁটাফুল
মসৃণ বৈসাদৃশ্য; একটি পরিপূর্ণ গির্জায় গায়কদল
অধিকার বলে হরণ করে নিলে কালের যাত্রা
শব্দের গ্রামে বাস করে ঘুমন্ত নেশা
বক্ররেখায় নিশিদাগ; পিছনে বাঁকে বাঁকে ছুঁড়তে থাকি
বোধের চোখে অপেক্ষা– আজীবন…
-------------------------------
-হামিদা আখতা ...
মূল গল্প: আন্তন চেখভের আ স্টোরি উইদাউট আ টাইটেল
সে অনেক আগের কথা। তখনো রোজ ভোরে সূর্য পুবদিকে উঠত আর সন্ধ্যে হলে ক্লান্তিতে ঢলে পড়ত পশ্চিমে। দিনের প্রথম আলো যখন আলতো করে ছুঁয়ে যেত শিশিরের ঠোঁট, বাতাসে স্বপ্নমাখা টাটকা জীবনের শব্দে আড়মোড়া ভেঙে চোখ মেলত পৃথিবী আর দিনশেষে ডুবে যেত নিঃশব্দ অন্ধকারে। প্রতিটা দিন ছিলো আর সবদিনের মতোই। প্রতিটা রাত সেই একই রকম। কখনো ...
টেবিলের নিচে মাথা দিয়ে হাঁটু না ভেঙে উবু হয়ে দাঁড়িয়ে থাকাটাই ছিল আমাদের চার ভাই বোনের জন্য বাবার বরাদ্দ সবচে’ ছোট শাস্তি। তৎসঙ্গে পুচ্ছে বিধ্বংসী ছড়িকাঘাত- এরচে’ ইকটু বড় ধরনের শাস্তি হিসাবেই পরিগণিত ছিল আমাদের কাছে।
তবে দু’পায়ের পেছন দিয়ে হাত গলিয়ে কান ধরে ভাইয়্যা ব্যাঙ সাজানোটা ছিল বাবার বরাদ্দ কঠিন শাস্তিগুলোর অন্যতম। কিংবা দেয়ালে দু’পা রেখে হাত দুটোকে পা বানিয়ে মাটিতে ...
কার ওয়াশ
এর আগে একবার সন্ধ্যার একটু পরে বের হয়েছি। হঠাৎ ঠ্যাস করে একটা শব্দ হলো। মনে হল গাড়ির উপর কী যেন পড়েছে। গাড়ী থামিয়ে নেমে আসলাম। আশেপাশে কেউ নাই। পেছনে গিয়ে দেখি গাড়ির ট্রাংক-এর উপর কে বা কারা ডিম ছুঁড়ে মেরেছে। কুসুম ছড়িয়ে একাকার অবস্থা। কিন্তু কাউকে না দেখে সন্দেহ বেড়ে গেল। ভালো করে খোলসের আকৃতি দেখে মোটামুটি নিশ্চিত হলাম পাখির ডিম। ছবিও তুলে রাখলাম। কিন্তু গাড়ির উপর ...