আব্দুর রহমান
এতোটা কাল কোথায় ছিলে
কেমন আছো বলো?
একটুখানি সময় হবে?
আমার সাথে চলো।
কারণ ছাড়াই কথা হবে
সুখ, দুঃখ, শোকের,
আমিই নাহয় বুঝে নেবো
ভাষা তোমার চোখের।
অনেকটা পথ,অনেকটা দূর
তোমায় ছেড়ে আমি,
চাইছিলো মন, তোমার জন্য
একটুখানি থামি।
হয়নি থামা, যায়নি থামা
অনেক ছিলো কাজ,
থামলে সেদিন কেমন হতো
ভাবছি বসে আজ।
দিনগুলো গড়িয়ে যায়, সাথে নিয়ে নিস্তব্ধতা, কোলাহল, ব্যস্ততা, অবকাশ। দিনগুলোতে কিছু ঘ্রাণ, শব্দের ভার, উপলব্ধির আস্বাদন জড়িয়ে থাকে। কোন কোন রাত, বৃষ্টিভেজা সন্ধ্যা, রিকশায় ঘোরার বিকেল কিংবা ভালো না লাগার দুপুরগুলোয় কত কথা উঁকি দিয়ে যায় মনের ঘরে –
ডুব সাঁতারে ভীষণ উদ্গ্রীব তুমি, সীমান্ত।
অহং আর আমিত্বে ভরাট সময়ের ঝুলি।
ঠিক কতটা ডুবে জেনে যাবে গহীন আমায়।
ভেতরের ক্লেদে জমে থাকে শ্য...
[justify]চা-এর অভ্যাসটা কেমন করে হল সেভাবে মনে করতে পারছি না। মনে হয় ক্লাস নাইন-টেনের দিকে ভোরে উঠে পড়তে বসবার সময় নিজেই এক কাপ করে নিতে শুরু করেছিলাম। এখন অভ্যাস এমনই দাঁড়িয়েছে যে এক কাপ পার্ফেক্ট চা না হলে কিছুতেই দিন শুরু হয় না ঠিকঠাক। গরমের দিন হলে হয়ত কিছু কম, কিন্তু বরষা, হেমন্ত বা শীতে, সকালের ঐ এক কাপের পরে আরও যে কয় কাপ হবে সেটার গোনাগুনতি নাই আর।
এই চায়ের আবার ব্যাপার স্যাপার আছ...
হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে কিছু বলতে যাওয়া বিপদ। একদল আছেন যারা তাকে দু’চোখে দেখতে পারেন না। যেন তিনি নিষিদ্ধ কোনো গন্দম। আরেকদল কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাকে ছাড় দিলেও জনপ্রিয়তার স্রোতে গা ভাসানো মেনে নিতে পারেন না। তাদের বক্তব্য, তিনি তার ক্ষমতার সদ্ব্যবহার করছেন না। আর তা না করে বাংলা সাহিত্যকে বঞ্চিত করছেন। হুমায়ূন আহমেদ অবশ্য কারো কথা কানে তুলেন না। নিজের খেয়ালে আছেন তিনি। লিখছেন ...
[justify]
১
আমাদের মহাবিশ্ব ঠিক কতটা বড়?
সেদিন দেখলাম, মনোবিজ্ঞানীরা ছোটদের মহাবিশ্বের আকার নিয়ে পড়াতে বড়দের উপদেশ দিচ্ছেন। এ নিয়ে শিশুদের জন্য লেখা কিছু বইও দেখলাম। মানুষের মনের সীমানা প্রসারিত করতে এ বিষয়টি আসলেই অনন্য।
অন্তত নিজের অভিজ্ঞতায় বলতে পারি, আসলেই অনন্য! নিজেকে নম্রতা শেখাতে, নিজের ক্ষুদ্রতা, নিজের সামান্যতা বুঝাতেও এর কোনই জুড়ি নেই।
২
আমাদের মহাবিশ্ব মোটামুটি ...
মাঝে মাঝে একটা কথা খুব মনে হয় ,কোথায় যেন পড়েছিলাম ,অর্থনাশ ,জরা -ব্যাধি ,প্রিয়জন হারানোর মর্মন্তুদ শোক সবকিছুই একসময় ফিকে হয়ে আসে ,কিন্তু স্বপ্নের টুঁটি চেপে ধরলে সেই দগদগে ক্ষত আজন্ম বয়ে বেড়াতে হয় ,স্বপ্নহননের স্মৃতি আমাদের ফেরারি হয়ে তাড়া করে বেড়ায় অবিরত ।আর বরাত যাদের একেবারেই মন্দ ,সেই অপূর্ণ স্বপ্ন তখন নিতান্তই দুঃস্বপ্ন হয়ে তাদের ওপর সিন্দাবাদের ভূতের মত আছর করে বসে ।হয়তো ...মাঝে মাঝে একটা কথা খুব মনে হয় ,কোথায় যেন পড়েছিলাম ,অর্থনাশ ,জরা -ব্যাধি ,প্রিয়জন হারানোর মর্মন্তুদ শোক সবকিছুই একসময় ফিকে হয়ে আসে ,কিন্তু স্বপ্নের টুঁটি চেপে ধরলে সেই দগদগে ক্ষত আজন্ম বয়ে বেড়
রাত্রি আমার পছন্দের সময়।
যদি কেউ প্রশ্ন করে - রাতটা নির্ঘুম কাটিয়ে লাভটা কি হল?
আমি বলব - খুব চমৎকার একটা সকাল হতে দেখলাম!
[center]বিষন্নতার প্রান্ত ছুঁয়ে
তোমার কাছেই আসি,
কষ্টগুলি ছোট-বড়,
[B]কান্না থে...
নতুন করে বলার আর কিছু নেই। যেকোন ম্যাচেই পাকিস্তান হারাই আমার মন একমাসের জন্য ভালো করে দেয়ার জন্য যথেষ্ঠ। তার উপর ম্যাচটা যদি হয় বিশ্বকাপের সেমিতে, তার উপর সেই পরাজয় যদি আসে নিজের দল অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে, তার উপর সেই ম্যাচের শেষ ৩ ওভারে যদি জেতার জন্য করতে হয় ৪৮ রান... কোনটা রাইখা কোনটার কথা বলি? আজকে পাকিস্তান হারা উপলক্ষ্যে বাকী বছর আর মনই খারাপ করুম না!!!
এই আনন্দের কোন সীমা পর...
আব্দুর রহমান
আর একটু ফরসা হলে
ইঞ্চি দুয়েক লম্বা হলে
প্রেমটা আমার হয়েই যেতো,
অনেক যদি টাকা হোত,
এদের মতো, ওদের মতো,
প্রেমটা আমার হয়তো হোত।
কেউ জানেনা, এই মনেতে,
ভালোবাসার ইচ্ছা কতো,
পরখ করেই দেখো সখি
কেউ হবেনা আমার মতো।
গুণের আমার শেষ কি আছে?
বলছি খুলে তোমার কাছে
বিকট সুরে গাইতে পারি,
নিকট দূরে যাইতে পারি,
শীতল জলে নাইতে পারি
একটু খানি অভয় দিলে
তোমায় কাছে চাইতে পারি।
এত কি...
১।।
‘মুরাদ, চল ধানমন্ডি যাই।’
‘এখন ধানমন্ডি যাবি দোস্ত!’
‘কেন, এখন কি তোর কোন কাজ আছে না কি ?’
‘না...ইয়ে এখন না হয় না যাই, তার চেয়ে চল রাতে ঢাকা ভার্সিটিতে ঘুরতে যাই। আজ পূর্ণিমা।’
‘আমি রাজি। তুই কখন আসতে পারবি?’
‘আমি রাত এগারটার দিকে তোকে ফোন দিব।’
কলেজগেটের ঠিক সামনে যে চায়ের দোকানটা আছে, সেখানে চা খেতে খেতে কথা বলছিলাম মুরাদের সাথে। সন্ধ্যা প্রায় সাড়ে সাতটা বাজে। মুরাদ আমার ভার্...