আদিতে নারী-পুরুষ ছিলনা, ছিল মানুষ। পরবর্তীতে সেই অখণ্ড মানবসত্তা নারী-পুরুষে বিভাজিত হয়।
একটি রূপকের মাধ্যমেই শুরু করি।
স্থান: বেহেশত।
স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে সব গবেষণা বা পরিসংখ্যানে বোধহয় সবচেয়ে উপেক্ষিত থাকে আমাদের যুদ্ধশিশুরা- যাদের জন্ম হয়েছিলো একাত্তরের বিভীষিকার মধ্যে। আমি জানি না কোন পরিসংখ্যান আছে কিনা একাত্তরে এবং পরবর্তীতে কতজন শিশু যুদ্ধের কারণে নিহত হয়েছিলো। স্বাভাবিক সময়ে একটা শিশুর জন্মের সময় এবং পরে কত যত্ন-আত্তি, হাসপাতাল-ক্লিনিকে ছুটোছুটি করা লাগে। ছয় বছর আগে আমার মেয়ের যখন জন্ম হলো, তার আগের দিন রাতে হাসপাতালে চলে
[justify]
২৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৫।
সকাল দশটা। ৪ নং সেক্টর, উত্তরা, ঢাকা। আমরা দুজন। আমি এবং সহসচল নজরুল একটা বাসা খুঁজে বের করি। একজন আমাদের অপেক্ষায় ছিলেন। আমরা তার সাথে বসি।
বয়স প্রায় আশির কোটায়। শরীর ঋজু এখনো। হাতে ছড়ি ব্যবহার করেন, চেহারায় আভিজাত্য। একটা এলাকার বিখ্যাত চৌধুরী পরিবারের মানুষ তিনি।
১৯৭১। বয়স ৩৬। পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া শেষ করে তৎকালীন দৈনিক পাকিস্তানের সহসম্পাদক হিসেবে ঢাকায় চাকরী করছেন। তিনি সাংবাদিক সালেহ চৌধুরী। ন্যাপ রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন।
[justify]কয়েকদিন আগে ফেসবুকে কেউ একটা গান শেয়ার দিলেন। চকমকে শাড়ি পরা এক নারী গান গেয়ে, মোবাইলে রেকর্ড করে আপ করেছিলেন। সেই গান ঘুরছে এর তার দেয়ালে। গানের গুণে নয়। শিল্পী এখানে মূল লক্ষ্য। মজা হচ্ছে সেটা নিয়ে। মিনিটখানেক শুনে নিজেও তাতে যোগ দিলাম। আমার এক বোন তার ‘প্রেন্ড’ হবার আগ্রহ জানিয়ে স্টেটাস দিলো। শব্দটা দেখে বুঝলাম এরকম কিছু একটা উচ্চারণ করেছেন তিনি। তার ফেসবুক একাউন্ট বের করলাম। তারপর হু
আদিতে নারী-পুরুষ ছিলনা, ছিল মানুষ। পরবর্তীতে সেই অখণ্ড মানবসত্তা নারী-পুরুষে বিভাজিত হয়।
আমাদের বাংলা ভাষাব্যাকরণে স্ত্রীলিঙ্গের মানুষ প্রজাতিকে,
নারী: নৃজাতির বা নরজাতির স্ত্রী, নরের ধর্ম্ম্যা, সীমন্তিনী- কামিনী,
স্ত্রী: যাহাতে গর্ভ সংহত বা কঠিন হয়, সীমন্তিনী, নারী - যোষিৎ, মাদী ,
ললনা" সুকুমারাঙ্গী, বিলাসকারিনী,
রমণী: রময়িতা, রতিকারি)
মাঝে দুএকদিন আবহাওয়া আর ক্রিকেট বাদে গত দুই মাসের পুরোটাই একঘেয়ে বিরক্তিকর। মেঘলা আবহাওয়া, বিবৃতিভিত্তিক রাজনীতি, পেট্রোলবোমায় মানুষ পুড়িয়ে মারা, বইমেলার পথে লেখক খুন, বিশ্বরাজনীতিতে গুমোট এই সবের কিছুই নতুন না। পরিবর্তনের কথা ভাবতেও ভুলে গেছি।
১.
[justify]
পড়ে শেষ করলাম সুহান রিজওয়ান এর ‘সাক্ষী ছিলো শিরস্ত্রাণ’
২৩ ফেব্রুয়ারি বইমেলায় একটা অঘোষিত আড্ডা হয়েছিলো। অভিজিৎ, বণ্যা ছিলেন। ছিলেন সুহান রিজওয়ান, রনদীপম বসু, আরিফ জেবতিক, শান্ত, মাহবুব লীলেন, আহমেদুর রশীদ টুটুল সহ সচলায়তনের বেশ কজন। আরো কিছু বইয়ের সাথে ঐদিনই কিনেছিলাম ‘সাক্ষী ছিলো শিরস্ত্রাণ’। কেনার পর সাধারনতঃ খুব দ্রুত আমি বই পড়ে ফেলি। কিন্তু এবার ব্যতিক্রম হলো রক্তাক্ত ২৬ ফেব্রুয়ারীর কারনে। শুধু লেখা নয়, পড়ার ক্ষেত্রে ও একটা আতংক কাজ করছিলো। এই ট্রমাটা ধীরে ধীরে কাটছে। শেষ পর্যন্ত পড়া এবং লেখার কাছে ফিরে আসা ছাড়া আমাদের পরিত্রান নেই।
এবারের বইগুলোর মধ্যে প্রথমেই পড়লাম ‘সাক্ষী ছিলো শিরস্ত্রাণ’।
তাজউদ্দীন আহমেদ আমাদের মানুষ, বাংলাদেশের মানুষ। একটা প্রগতিশীল, আত্মমর্যাদাসম্পন্ন বাংলাদেশের স্বপ্ন যারা দেখেছিলেন, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য যারা নিজেদের নিবেদিত ও উৎসর্গ করেছিলেন তিনি তাদের অন্যতম। তাজউদ্দীন আহমদকে নিয়ে আরো বেশী বেশী লেখা, আরো বেশী তাজউদ্দীন চর্চা আমাদের জন্য আরো বহুদিন জরুরী হয়ে থাকবে।
বইমেলা, ২০১৫
২- ২৬ ফেব্রুয়ারি
অক্ষরের শরীর বেয়ে চুইয়ে পড়ে চিন্তার রক্ত
আর আমরা গাধা এবং ঘোড়া নিয়ে গল্প করি
এক একটা বজ্র ছুটে যায় শহরের প্রান্ত থেকে প্রান্তে
প্রাণপনে ঘুমাতে চাই সাইরেন অস্বীকার করে
মৃত্যু ঘিরে থাকে চার দেয়ালের মত
মৃত্যু ঘিরে থাকে অশ্রুর নিষ্ফলতার মত
মৃত্যু ঘিরে থাকে- মশারীর মতন স্বচ্ছ, নির্বিকার
সমস্ত নিসর্গ জুড়ে প্রাণপণে নিমজ্জিত জল ছুঁইছুঁই ভিক্ষাপাত্র থেকে
সবাই বলে চোর, চোর। কিন্তু চুরিটা করে কে? ওই পল্টন ময়দানে বক্তৃতা করে যে বলে বেড়াচ্ছে দুর্নীতি ধরতে হবে, বাসায় এসে সে বলে, তাজউদ্দীন ভাই, আমার খালু ধরা পড়েছে, ওরে ছেড়ে দেন। যদি বলি, তুমি না বক্তৃতা করে এলে? তখন উত্তর দেয়, বক্তৃতা করেছি তো পার্টির জন্যে, এখন আমার খালুকে বাঁচান। --সাক্ষী ছিলো শিরস্ত্রান--সুহান রিজওয়ান।