আমাদের ব্যাচে তাবলীগ পার্টির সংখ্যা অত্যাধিক। ক্লাসে ঢুকলে খালি টুপি আর টুপি। সংখ্যা যতই বাড়ুক তাতে আমার কোন অসুবিধা নেই। বরং একদিক দিয়ে ভালোই। তাদের কার্যকলাপে মাঝে মাঝে নির্মল আনন্দ পাওয়া যায়। সেদিন শুনলাম হুজুরদের একজন বাসায় ছিল। সেখানে তার দূর সম্পর্কের এক খালা এসেছে। খালা তার সাথে দেখা করতে চাওয়ায় সে পর্দার ওপাশ থেকে উত্তর দিল,
'শরীয়তে যে কয় সম্পর্কের নারীদের সাথে দেখ...
১.
কেউ যদি আমাকে জিজ্ঞেস করে জীবনে আমি কি হতে চাই? মন থেকে যে উত্তরটা দেবো তা হলো আমি একজন ফুটবলার হতে চাই। ধুনফুন ফুটবলার না। এক্কেবারে আর্সেনালের ভ্যান পার্সির মতো। সেটা আর হচ্ছে কই। বয়স বাড়তে বাড়তে কিশোর থেকে যুবক হয়ে গেছি, এই বয়সে খেলোয়াড়রা নিজেদের সেরা সময়টা উপভোগ করে...আর আমি তো শুরুই করতে পারি নাই।
তারচেয়েও বড় কথা। আমি খেলাটাও ঠিকমতো পারিনা। কলেজে প্রত্যেক গেমস টাইমে ফুট...
অনেকদিন আগের কথা। বঙ্গদেশে তখন নতুন নতুন মোবাইল এসেছে। বাপ চাচারা ফিলিপ্স ডিগার মতো বিশাল বিশাল সেট নিয়ে ভাঁজ নেন...পকেট থেকে মাঝে মাঝে যন্ত্রখান বের করে তার দিকে আবেগঘন চোখে তাকান আর মনে মনে উচ্চারণ করেন, "আমি পাইলাম, আমি ইহাকে পাইলাম..."
সেদিন গিয়াছে। বড় বড় সেটগুলো ছোট হতে হতে কখনও লিপ্সটিকের সমান হয়ছে। আআআবার বড় হয়েছে। সাথে যুক্ত হয়েছে ক্যামেরা, গান শোনার ব্যবস্থা, নীল দাঁত...কত ...
আমরা সেবার ছিলাম রঙ্গপুরে... শহর ছাড়িয়ে যেখানে গ্রামের সীমানা সেই সীমানা ডুবে গিয়েছিলো জোনাকি পোকায়... অজস্র অসংখ্য জোনাক পোকারা জ্বলে জ্বলে উড়ে উড়ে বেড়াচ্ছিলো... যেন দূর থেকে দেখা মশাল মিছিল... সেখানে হারিয়ে গিয়েছিলো অন্ধকার... আলোর ঢেউয়ের নাচনে তারা আর জোনাকির রঙে ঝিলমিল...
তার মাঝ দিয়ে হেঁটে যাই আমি তুমি, তুমি আমি, অথবা আমরা, অথবা তোমরা। গানে গানে জোনাক আবাহনে... ''এক জোনাকি দুই জোনাক...
কতদিন হয়ে গেল। উদভ্রান্তের মতো ছুটছি তো ছুটছি। কিছুটা কান্তও কি হইনি? হয়েছি। তবুও ভুলতে পারিনা। ভুলতে পারিনা সেই দিনের কথা। এখনও বা’ পায়ে ব্যথা অনুভব করি। তার চেয়েও যে জ্বালা প্রতিনিয়ত আমাকে দগ্ধ করে। এর নাম ‘অন্তর্জ্বালা’।
২২ আগস্ট, ২০০৭ খৃস্টাব্দ। সেদিন ছাত্র-শিক্ষক-সাংবাদিকদের ওপর হায়েনার মতো ঝাপিয়ে পড়েছিলেন বাংলার দেশপ্রেমিক (!) সেনারা। ২১ আগস্টে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ...
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কবি হিসেবে লোকটা নোবেল পুরস্কার পাইছিলেন। তাকে নিয়ে একটা সমস্যায় প'ড়ে গেছি।
ইংরেজিভাষী পশ্চিমে রবীন্দ্রনাথের উত্থান-পতন ঘটেছিলো বেশ দ্রুত। কেনো হয়েছিলো এমন? মূলত এই বিষয়টা নিয়ে একটা লেখা লিখতে গিয়েই আমার বিপদের শুরু। এতো এতো বইপত্র, এতো এতো পড়াশোনার ঝাঁপির মধ্যে পড়ে যাচ্ছি যে সামাল দিতে পারছি না। ভাবতেছি অফিস থেকে মাস তিনেকের ছুটি নিয়ে (যদি পাই আরকি) লেখা...
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছায়া ছায়া রাস্তাটা দিয়ে হাটতে খুব ভাল লাগে আলমগীরের । উচু উচু গাছগুলোর মধ্যে মুঠো মুঠো আশ্বাস, স্বস্তি আর শান্তি জমাট বেধে থাকে।
একটা বটের চারা ভাঙা পোড়ো বাড়ির দেয়ালে গজিয়ে উঠেছিল, আলমগীর দু বছর আগে তাই তুলে এনে লাগিয়েছিল রমনার এক কোনে, টিকে গেছে ওটা। ওর বাড়ন্ত শরীরের দিকে তাকালে নিজেকে কেমন পূর্ণ মনে হয়। বাবা ব্যাপারটি বুঝি এরকমই।
কয়েকটা ছেলে টেপ টেনিস নিয়ে র...
:শূন্য:
এসেছেন ? দাঁড়ান .. একদম সোজা ঢুকিয়ে দিচ্ছি আপনাকে গল্পটার ভিতরে । কি.. অবাক হচ্ছেন ? দেখতে পাচ্ছেন চরিত্রগুলো ? ঐ যে দূরের মধ্যবয়স্ক লোকটা, যিনি শুয়ে আছেন বিছানায়, মাইল্ড স্ট্রোক করেছেন । ঢুকিয়ে দেব আপনাকে তাঁর মধ্যে ? ঐ যে দেখছেন শিয়রে বসে, ভদ্রলোকের একমাত্র ছেলে । বাবার সাথে দেখা করতে এসেছে । এই গল্পে দুইজনই পাত্র । একটাই দৃশ্য, একটাই অঙ্ক। খুব সোজা গল্প না ? কি ঢুকিয়ে দেব ছেলে...
স্কুলের শেষ দিকে আমার এক নতুন বন্ধু হল । সে ছিল ঝিনাদহ ক্যাডেট কলেজের ছাত্র । ছুটিতে বাড়ি এলে তার সাথে দুনিয়ার আগডুম বাগডুম আলাপ আলোচনা আর এদিক সেদিক ঘুরাঘুরি করতাম । আমি আর আমার বন্ধুটি মিলে তত্ত্ব আবিষ্কার করেছিলাম যে, কোন মেয়েকে সুন্দরী বলে মনে করতে চাইলে এক বারের বেশি না তাকানই ভাল । কারন একের অধিক যতবারই তাকান হয়, তার নম্বর কমতে থাকে । নম্বর মানে সৌন্দর্যে (অবশ্যই বাহ্যিক ) ১০...
আমি যখন ডুবি তখন সে ওঠে। আর সে যখন ডুব দেয় তখন পানির উপরে আমি। তার সাথে আমার চুক্তি একসাথে দুজন পানির উপরে ভেসে না উঠা পর্যন্ত আমরা ডুবতেই থাকব। মাত্র এক হাত দূরে
পান পানি নারী এই তিনে জৈন্তাপুরি। জৈন্তার নামের সঙ্গে গর্ব করে বলা তিনটি জিনিসের দ্বিতীয়টি এই পিয়াইন নদীর পানি। পঞ্চাশ ফুট নিচে একটি নুড়ি পাথর গড়ালেও পরিষ্কার দেখা যায়। ডুব দিয়ে চোখ খুললে বহুদূর পর্যন্ত দেখা যায় পানি...