পুরো একাত্তর জুড়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনী বাঙালী জাতিকে মেধাশূণ্য করার জন্য বুদ্ধিজীবিদের হত্যা করে। এই অপকর্মে পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সরাসরি সাহায্য করে রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস বাহিনী।
আদর্শ আর নীতি নিয়ে ওদের অনেক বড়াই ছিলো
ওদের কাছে মুক্তিযুদ্ধ ‘দুই কুকুরের লড়াই’ ছিলো!
চিরকালই এই দাদারা ইহার উহার লেজুড় ছিলো
এই দাদাদের পোটলায় লাল খোর্মা এবং খেজুড় ছিলো!
আজ প্রায় দশ বছর হতে চলছে আমার প্রবাস জীবনের। এই দীর্ঘ সময়ে জীবিকার দায়ে অনেক কিছু করেছি। স্বপ্নের দেশ আমেরিকায় অনেকের জীবন আয়েসে শুরু হয়, আমার হয়েছে একদম ঘুঁটেকুড়ানি অবস্থায়। আক্ষরিক অর্থেই তাই।
[justify]
সিমকি ভাবী ফোনের ওই প্রান্ত থেকে প্রায় চ্যাঁচিয়েই উঠলেন এবার, ‘... উফফ, ভাবী- তারপর যা হলো যদি দেখতেন ! আমি তো বারান্দাতেই দাঁড়িয়ে ছিলাম। গুলি শুরু হওয়া মাত্রই অবশ্য চলে গেলাম ভেতরে। দোতলার জানালার ফাঁক দিয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখলাম পুরোটা। একটা গার্ডও বাঁচেনি ভাবী, মুক্তিবাহিনী সবগুলোকে শেষ করেছে ! ...’
আমার মনে পড়ে, যখন অনেক ছোট ছিলাম তখন বিজয় দিবস আর স্বাধীনতা দিবসগুলো একেবারেই অন্যরকম ছিলো। অনেক বেশী আবেগ আর কষ্টের ছোঁয়া ছিলো যেন তখন। আমি নিজে স্বাধীনতা যুদ্ধ দেখিনি। ছোটবেলায় গল্প শুনেছি, গল্প পড়েছি, স্বাধীনতার গানগুলো শুনতাম রেডিও টিভিতে। এমন একটা অনুভূতি হতো বুকের ভিতর তখনি, ওই ছোট বয়সেই। জানিনা কতটুকু বুঝতাম স্বাধীনতা যুদ্ধের, জানিনা কতটুকু বুঝতাম যারা প্রাণ বাজি রেখে দেশের জন্য দেশের মানুষ
কবে থেকে ওরা আমার পিছনে পড়ে আছে? পাঁচ-দশ-পনের, নাকি আরো বেশি সময়?
জয় বাংলা !
আমরা মনে হয় সবাই ইতিমধ্যে জেনে গেছেন যে মিরপুরের কসাই কাদের মোল্লার শাস্তি প্রদান সম্পন্ন হয়েছে। এই সেই কাদের মোল্লা যে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বারুদে আগুন দিয়েছিলো। আমাদের এতোদিনের যে গণজাগরন আন্দোলন সেটার সফলতার মুখে দেখা গেলো আজকে।
কসাই কাদেরের উত্থান:
কসাই কাদেরের ফরিদপুরের আমিরাবাদ গ্রামে ১৯৪৮ সালের ১৪ আগস্ট জন্মগ্রহণ করে।
১৯৬৬ সালে ফরিদপুরের রাজেন্দ্র কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে পড়ার সময় কসাই জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র রাজনৈতিক শাখা ইসলামি ছাত্র সংঘে (বর্তমানে ছাত্র শিবির) যোগ দেয় এবং পরবর্তীতে কলেজ শাখার সভাপতি হয়।
দেশী বিদেশী হরেক মানবাধীকারবারীর চিল্লাবাল্লার চোটে আমার ধারনা ছিল দুর্নীতি, অপশাসন, বিশৃঙ্খলা ইত্যাদি বিষয়ের মতো এই বিষয়েও বাংলাদেশ প্রথম কাতারেই থাকবে। তাই ইচ্ছা ছিল প্রদত্ত তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষন করে কয়েক কিসিমের গ্রাফ প্রস্তুত করবো, বেলাজ ও অমানবিক বাঙ্গালির যদি তাতে একটু লজ্জার উদ্রেক হয় এবং মানবাধিকার জাগ্রত হয়। কিন্তু প্রতিযোগীতায় বাংলাদেশের অবস্থা সুবিধার না বিধায় সে বিষয়ে কোন উৎসাহ বোধ করলাম না। অগত্যা তাই শুধুমাত্র পরিসংখ্যান।