[justify]ডুম্বুরভ্যালীতে দ্বিতীয় দিনের শুরুটা খুবই সুখকর হয়নি। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেই দেখি চরম বৃষ্টি। এমনিতেই হাতে মাত্র একদিন সময় আছে। খুব ভয় করছিল, আসলে তিন দিনের সময় নিয়ে এসেছি এখানে। এর মধ্যে আমার যে প্রধান কাজ তাই করা হয়নি। মানে ডিপার্টমেন্ট থেকে আমাকে কাজ দেওয়া হয়েছে এখানকার জল বিদ্যুৎ প্রকল্পের উপর একটা রিপোর্ট করার জন্য। আর আমি ব্যস্ত আছি আমার ডকুমেন্ট্রি এবং অন্যান্য কাজ নিয়ে। সকালে কোন
বারান্দার এককোনার জবা ফুলের গাছটির সামনে কিছুক্ষণ দাঁড়ানোর পর অতনুর চোখ দিয়ে আপনা আপনিই কফোঁটা জল বেরিয়ে পড়ল। ফুলগাছটায় এখনও একটা ফুল বিকেলের সবটুকু আলোকে ম্লান করে দিয়ে হেসে হেসে এদিক ওদিক দুলছে। পরম মমতায় গাছটার গায়ে, পাতায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে মনে মনে অনেক কথা বলে যায় সে। সেই কবে এক শীতের ছুটিতে ডিসি হিল পার্কের বাহাদুর নার্সারি থেকে ছোট্ট একটা চারা কিনে এনেছিল, সেদিনের রোগা গাছটা আজ
[justify]হাতে টাকা ছিলনা। ডুম্বুরভ্যালীতে গিয়ে থাকা এবং শুটিং এর কাজ সারতে যে পরিমাণে টাকা দরকার তার চার ভাগের একভাগও আমার কাছে ছিলনা। কি করা যায় তাই ভাবছিলাম। যদিও শুটিং এর ক্যামেরাম্যান থেকে শুরু করে স্পটবয় সব আমি নিজে, তবুও অনেক খরচ আছে। আর আমার পকেটে টাকা নেই। বাড়িতে টাকা চাইতে লজ্জা করে। কয়েকজন বন্ধুর কাছে চাইলাম। একেবারেই যে নিরাশ হলাম তা নয়। কিন্তু..., আচ্ছা একটা ঘটনা বলি তাহলেই বোঝা যাবে।
১.
আমার দুপিসি। বড় পিসি ক্ষেপি পিসি। ছোট পিসি পচি পিসি। নামের মতই তারা নির্মল।
১..................................................................................................................
নামের কখনো স্বত্ব হয় না। অনামের হয়।
গত পরশুদিন (রবিবার) চাকরিটা ছেড়ে দিলাম। আবারও। এই নিয়ে চারবার, চাকরি জীবনে। তবে আগের চাকরি গুলো ছাড়বার পেছনে কারণ গুলি ভিন্ন রকম ছিল। এইবার চাকরি ছাড়ার কারণটা টোটাল আলাদা। আজ এই লেখাটা আমি আমার হোম সিটিতে বসে লিখছি। আজ আমি আগরতলা ছেড়ে বাসায় চলে এলাম। কারণ আমার পরিবার। এই মুহূর্তে আর বাইরে জীবন কাটানো আমার পক্ষে অসম্ভব। মা এবং বাবা আর ছোট ভাইকে নিয়ে আমার পরিবার। বাবা ও মা অসুস্থতার এমন একটা জায়গায়