[justify]বাংলায় নবান্ন এসেছে। ঘরে ঘরে উঠবে সোনালি ফসল।
" বাউরস ধানের চিড়ে দিমু
বিরনী ধানের খৈ
ডিংগা মানিক কলা দিমু
গামছা ভরা দই..."
জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যখন এক পা দু পা করে ধীরে ধীরে ইমিগ্রেশনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলাম, খুব ইচ্ছা করছিল একবার পেছনে ফিরে দেখি স্বচ্ছ কাচের ওপাশ থেকে যারা আমার গমনপথের দিকে তাকিয়ে আছে তারা কে কি করছে। মিনিট খানেক আগে হাসিমুখে সবাইকে বিদায় দিয়ে তখনো আমার মনে হচ্ছিল এ বছরের অস্কার বিজয়ী অভিনেতাও মনে হয় আমার মত ভাল অভিনয় করতে পারে নাই। আমি বুঝতে পারছিলাম যে প্রতিটা পদক্ষেপে আমি আমার জীবনের সবচেয়ে
[justify]সময় বদলে যায়। ইতিহাস বয়ে চলে তার আপন গতি এবং বিস্তার নিয়ে। হয়তো কোনো কিছু আমরা চাই, পেয়ে যাই। আবার কালের জন্য আঁকড়ে ধরে রাখতে চাই স্রোত।
জীবনে আমার চাওয়া পাওয়া বলতে বিশেষ কিছু নেই। হয়তো মহান কথা বলে ফেললাম। কিন্তু সত্যি করে বলছি আজ অবধি যত টুকু দরকার তার চেয়ে বেশী চাইনি, চাইনি জীবন থেকে। হয়তো তাই বারবার প্রতারণার শিকার হতে হয়।
[justify]দেখলাম সঙ্গীত মানুষকে কেমন মোহনীয় করে তুলতে পারে, দেখলাম একটি পাখি উড়ে গেল ডানা ঝাপটিয়ে-- আর ছড়িয়ে যেতে যেতে শুনিয়ে গেল কোনো এক অচিন দেশের গান-- ভুলভুলাইয়া।
এসব মোহগ্রস্ত দিনলিপি অন্যকেউ লিখে গেছে আগে, লিখে দূরে চলে গেছে একাকী--হাস্যলিপিকার। শুধু তার হর্ষধ্বনি ইতি-উতি লেগে আছে। দূরে সরে যাওয়া ভালো, রমণীর গভীর নাভীর মতো নির্জনে পড়ে থাকার চেয়ে দূরে সরে যাওয়া ঢের ভালো।
[justify]ভালোবাসা পেয়ে কোনো কোন সময় আমরা হারিয়ে ফেলি। হারিয়ে যায় স্বপ্ন সুখ। মিশে থাকে বহুদিনের বিবর্ণতা। ডুম্বুরভ্যালীতে এসে আমি যেন দুটোই খোঁজে পেয়েছি। ভালোবাসা এবং বিবর্ণতা। বিবর্ণতা পেয়েছি মানুষের দুঃখে, হতাশায়। তাদের নিত্যদিনের দিন যাপনে। কি করে যে মানুষ গুলো বেঁচে আছে?
[justify]জল পথে ভেসে যাচ্ছি। আধ ঘণ্টা শুটিং সারলাম। ঝিরঝির বৃষ্টির মধ্যেই। বোটের ভেতর থেকে কিছু শট নিলাম। বৃষ্টির গতি ধীরে ধীরে কমে আসছিল। ডুম্বুর ভ্যালীর সব আজব কাণ্ডকারখানাই বটে। হঠাত সব কিছু বন্ধ। আকাশ উজ্জ্বল হয়ে উঠল, সাথে রৌদ্র। মনটা ভালো হয়ে গেলো। বৃষ্টি মনের আনন্দ দিলেও আমার শুটিং এবং কাজের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। যাই হোক আমি শুটিং এর কাজে মন দিলাম। এর আগে দুটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ডকুমেন
কলেজে থাকতে যে বিষয়গুলো আমাদের বেশি কষ্ট দিত তার মধ্যে একটা ছিল ‘প্র্যাক্টিকাল ক্লাস’। পদার্থবিদ্যা, রসায়ন আর জীববিদ্যার ভয়াবহ তিনটি ল্যাব আমাদের দিকে তাকিয়ে দাঁত বের করে হাসতো। সবচেয়ে অসহ্য ছিল জীববিদ্যা; বায়োলজি ল্যাব ক্লাস। গাছের শিকড়-বাকড় থেকে শুরু করে কেঁচো, ব্যাং, তেলাপোকার মত জঘন্য জিনিস কাটাকুটি করতে হত। আর এর জন্য প্রত্যেকের কাছে ‘ডিসেকশন কিট’ থাকা ছিল বাধ্যতামূলক। এর মধ্যে থাকতো
পাশ করেছি। পাশ করেছি।
এনাটমি, বায়োকেমিস্ট্রি নিয়ে ভয় ছিল না। ভয় ছিল ফিজিওলজি নিয়ে। শুধু ভয় না, খুবই ভয়। এক্সটার্নাল ছিলেন প্রফেসর মহিদুর রহমান, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ এর এক্স ইন্টার্নাল। স্টুডেন্ট মহলে তিনি তুমুল জনপ্রিয়। কারন, প্রফেশনাল বা পেশাগত পরীক্ষায় উনি প্রায় কিছু জিজ্ঞেস না করেই পাশ করিয়ে দেন।