আজকাল কৌতুক করতেও ভয় ভয় লাগে কেমন যেন! সবার যে অনুভুতি প্রবণ মন,কে কোন্ দিক দিয়ে আঘাত পেয়ে বসে বোঝা মুশকিল। তারপরও ভাবলাম বলে ফেলি একটা নিরীহ গোছের কৌতুক,কিই আর হবে! আসলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবীতে শুরু হওয়া আন্দোলনের বর্তমান অবস্থা দেখে কয়েকদিন ধরেই এই গল্পটা মাথায় ঘুরছিল-
শুকরিয়া আদায় করিয়া এই লেখাটা শুরু করিলাম, কারণ এই দেশে 'আপত্তিকর' কোন কিছু আর মানিয়া নেওয়া হইবেনা। যদিও আপত্তিকর এর সংজ্ঞা এখনও জানা নাই। সরকার মহোদয় ফরমাইয়েছেন যে - 'আপত্তিকর' কোন কিছু দেখলেই ঠুশ করে নালিশ ঠুকে দেওয়া যাবে। নালিশ ঠুকার ঠিকানা, complainmoha@gmail.com । এই তড়িৎ ডাক(ইমেইল) ঠিকানাখানা লেখা আকারে(প্লে
আমাদের খাওয়ার টেবিলের চারটা পায়ের কোনটা যেন অসমান, খেতে বসলে কর্তা গিন্নির বাটি ঠেলাঠেলিতে বড় আপদ হয়। ধনেপাতার চাটনি ছলকে থাই সুপের মধ্যে পড়ে, ফ্রাই করা দুর্ভাগা আস্ত চিকেন দম্ভ নিয়ে সিংহাসনে বসতেই পারে না। খালেদা-হাসিনার স্নায়ুচাপের মত ঝলসানো পোড়া মুরগি তার পোড়া আলুর গদি নিয়ে খুব ভয়ে থাকে- এই বুঝি মাটিতে happy landing হলো!
(তারিফ শেরহান শুভ)
"আমি একটু সহজ-সরল, আপনি একটু কুটিল
আমি দেখতে টোকাই টোকাই, আপনি কিন্তু জটিল।
আমি একটু ব্যাকডেটেড, আপনি অনেক জ্ঞানী
যেই রাজ্যের চাকর আমি, আপনি সেটার রাণী।
আমি একটু 'ক্ষ্যাত' টাইপ, আপনি চরম ইসমারট
আমি তো জাস্ট মুদি দোকান, আপনি হলেন ওয়ালমার্ট ।
আমি খুবই জড়সড়, আপনি কনফিডেন্ট
আমি মাখি ম্যাজিক পাউডার, আপনি পেপসোডেন্ট ।
বয়সে আমি একটু ছোট, আপনি একটু বড়
(তারিফ শেরহান শুভ)
কোন আন্দোলন আপনাকে বেকায়দায় ফেলেছে? কোন ভাবেই আর সেই আন্দোলন সামাল দিতে পারছেন না? চিন্তা নেই, আন্দোলন মোকাবেলা না করতে পারলেও আপনার গা বাঁচানোর জন্য আছে বিকল্প ব্যবস্থা। আন্দোলনে বিভ্রান্তি তৈরি করুন। বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য অনুসরণ করুন এই সহজ ৪-দফা ফর্মুলা। এই ফর্মুলার কার্যকারিতার ব্যাপারে আমরা ১০০% গ্যারান্টি দিয়ে থাকি। অতীতে এই ফর্মুলা আপনার বাপ-দাদারা বারবার কাজে লাগিয়েছে। আপনিও পারবেন।
(বাংলার এক ইঞ্চি মাটিও যেমন ওদের না, বাংলার এক ইঞ্চি ত্যানাও ওদের দিবো না। ত্যানা যদি প্যাঁচাতেই হয়, আমরাই প্যাঁচাবো)।
বেশ কিছুদিন আগের কথা। কাঁচা বাজারে কেনা-টাকা শেষ করে বের হচ্ছি, তখন বাজার থেকে বেরোনোর রাস্তার মুখে কিছু তরুণ একটু কথা বলতে চাইলো। আমি জিজ্ঞেস করলাম, “তোমরা কি আমার সঙ্গে কথা বলতে চাও?”। একজন কুণ্ঠিত-ভাবে আমার হাতে দুই প্যাকেট মাংস ধরিয়ে দিয়ে বলল, “আমরা ছাত্র শিবিরের পক্ষ থেকে তহবিল সংগ্রহের জন্য হজ্জ্বের দুম্বার মাংস বিক্রি করছি, আপনি যদি দুই প্যাকেট কিনতেন” ।
'সাওনা তে যাবে নাকি কাল?'
শনিবার সকালের 'ব্রাঞ্চ' খাচ্ছিলাম। তাকিয়ে দেখি হাসি হাসি মুখে মার্ক্কু দাড়িয়ে আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে মার্ক্কু-র সাথে আমার 'দ্বৈতাবাস' (দেশে থাকতে একবার এক দরখাস্তে 'দ্বৈতাবাস'-এর অনুমতি নিতে যেয়ে, 'দ্বৈতাবাস' এর জায়গায় 'সহবাস' লিখে ফেলেছিলাম, কি বিব্রতকর পরিস্থিতি!)। ফিনল্যান্ডে আমার এই বিশ্ববিদ্যালয়ে 'হোস্টেল' বলতে ছোট ছোট দুইতলা কাঠের বাড়ি। এক বাড়িতে চারটা করে এপার্টমেন্ট, প্রতি এপার্টমেন্টে দুইজন বাসিন্দা। আমার সাথে থাকে মার্ক্কু। তাগড়া জোয়ান ছেলে, স্থানীয়। যে কোনো 'আজাইরা' জিনিসে আমার অযাচিত আগ্রহ দেখেই বোধ করি প্রস্তাবটা দিল। তাছাড়া মার্ক্কুকে সেদিন নারকেল দুধ আর ডিমের সালুন করে খাওয়ানোর পর থেকে ছেলেটা আমাকে বেশ তোয়াজ করে চলছে।
[justify]একইসাথে বিখ্যাত (ফটোগ্রাফার) এবং কুখ্যাত (পশুপাখির বিশেষ মুহূর্তের অন্তরঙ্গ ছবি তুলে পাবলিক ডোমেনে অনুমতি ছাড়াই প্রকাশ করার জন্য) ফাহিম হাসানের সাথে ক্লান্ত পায়ে হেঁটে আসছিলাম, সারারাত মুস্তাফিজ ভাই আর সুজন্দার সাথে তৃতীয় দফা জম্পেশ আড্ডা দেয়ার পর। ২০১৩ এর শুরুটা বেশ জমজমাট হল ফাহিমের আগমন উপলক্ষে। আনুষ্ঠানিকতা আমার বরাবর করা হয় না, পহেলা জানুয়ারী বা মহররম যাই হোক না কেন, ছুটি পেলে
এক।।
বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক সূত্র থেকে জানা যায়, বহু বছর আগে পৃথিবীর মানব সভ্যতা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। এই পৃথিবীতে এক সময় মানুষ শিল্প ও বিজ্ঞান চর্চার মাধ্যমে উন্নতির পথে এগিয়ে যাচ্ছিল। এর পর বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মধ্যে যুদ্ধের কারণে সেই সভ্যতা বিলুপ্ত হয়- প্রাচীন পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা (যাকে তারা ঈশ্বর-আল্লাহ-ভগবান-গড ইত্যাদি নামে ডাকতো) নিহত হন।
তার বহু বছর পর পরম করুণাময়ী সর্বশক্তিময়ী ঈশ্বরী ঠিক করেন আবার মানবী সভ্যতার জন্ম দেবেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি প্রথম নারী এডা-কে তৈরি করেন এবং তাকে স্বর্গে বড় করে তুলতে থাকেন। এডা বড় হওয়ার পর তার খুব একা একা লাগতে থাকায় এডার ডান পাঁজরের হাড় থেকে ঈশ্বরী তৈরি করেন নতুন পৃথিবীর প্রথম পুরুষ ইভোকে। নতুন পৃথিবীর বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ থেকে জানা যায়, ইভো ঈশ্বরীর বিরুদ্ধাচারণকারী "শয়তানী"র প্ররোচণায় এডাকে জ্ঞান বৃক্ষের ফল খেতে উৎসাহ দেন। এতে ঈশ্বরী তাদের শাস্তি দিতে পৃথিবীতে নিক্ষেপ করেন এবং তা থেকেই পৃথিবীতে নতুন মানবীসভ্যতা গড়ে ওঠে।