ভুতে কিলায় নাই। সুখে কিলাইছে। তাই জনগণের পেটের ভেতর ট্যাকসোর হাত যতদূর ঢুকানো যায় তার চেয়েও একটু বেশী ঢুকিয়েও তারা হাসে। আরেকটু ভেতরে গেলে জনগণ বমি করে দিতে পারে কিংবা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে। হইলেও কিছু করার নাই। সরকারকে সাবধান করা আমার কর্ম নয়, আপনারও না। আমরা বরং বাজেট নিয়ে কয়েকটা গতানুগতিক ঢেকুর তুলি সংক্ষেপে। বলা বাহুল্য এটা কোন বাজেটালুচনা নয়, তবে কেউ চাইলে এটিকে শুধুই আলু বলে বিবেচনা করত
আজকাল বিদেশ পাড়ি দেবার রাইট ডিসিশন অনেকেই নিয়ে থাকেন। বাংলাদেশ নামক গাঙ্গেয় ব-দ্বীপের বসবাসকারী জনগণ অতীতে কখনো সমুদ্র পথে, কখনো বা পদব্রজে পাড়ি দিয়েছেন দুর দূরান্তে। একটা সময় ছিলো যখন বৈদেশ যাওয়া ছিলো সাময়িক জীবিকার্জনের মাধ্যম। ঘরে জায়া-পুত্র-কন্যা রেখে মালাদারগন রেঙ্গুন যাতায়াত করতেন ব্যবসার উদ্দেশ্যে। সেটাও প্রায় শতবর্ষের আগের ঘটনা।
মূলঃ মার্ক টোয়েন
ইষৎ সংক্ষেপিত অনুবাদঃ মন মাঝি
পিটার পার্কারের মন খারাপ!
পিটার পার্কারের মন খারাপ!
মার্চের আটাশ তারিখে লেখা জাফর ইকবাল স্যারের একটা লেখা পড়লাম সাংবাদিক শুভাশিস ব্যানার্জি, তার সাংবাদিকতা এবং তার সোনার বাংলা ডেইলি নিউজ ২৪ ডট কম বিষয়ে! আহা! মনটা যে কেমন হয়ে গেল! চোখ ভিজে উঠল! শুভাশিস ব্যানার্জীর পরিচয় দেই, তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেলের ছাত্র ছিলেন। অন্তত জাফর ইকবাল স্যার তা-ই বললেন। মেধাবী মেডিকেলের ছাত্র হিসেবে জাফর ইকবাল স্যার শুভাশিস ব্যানার্জির প্রতি দূর্বল হয়ে পড়েন! এই দূর্বলতাকে কেউ অন্যভাবে নেবেন না! একটি মেডিকেল কলেজ যদি মেধাবী হয় তাহলে সেটির ছাত্রদের প্রতি মানুষের দূর্বলতা স্বাভাবিক! আমার তো ভাবতেই খানিকটা দূর্বল লাগছে!
[justify]কিছুদিন পূর্বে সংসদে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন,
“লোডশেডিংয়ের দরকারও আছে, মানুষ যাতে ভুলে না যায়, লোডশেডিং নামে কিছু একটা ছিল”
আপাত দৃষ্টিতে কথাটি হাস্যরসাত্মক হলেও গভীর পর্যবেক্ষণে দেখা যায় এটি কিন্তু মোটেও কোন লুলীয় বাণী নয়, বরং বাঙালি জীবনে লোডশেডিং যে কি বিশাল বিপ্লব নিয়ে এসেছে তা নিচের কারণগুলো না পড়লে সহজে অনুমেয় নয়!!
[justify]
বাথরুমকে যে বাংলায় প্রক্ষালনকক্ষ বলে সেটা আমি আমেরিকায় না আসলে জানতে পারতাম না। একটু চিন্তায় পড়ে গেলেন কি? দাঁড়ান খুলে বলি। সারাজীবন ধরে মানুষকে এয়ারপোর্টে বিদায় জানাতে এসেছি - লোকজন চোখ-টোখ মুছে ভেতরে ঢুকে যাওয়ার পরে আমিও বাসে করে ফার্মগেটে ফিরে গেছি। এয়ারপোর্টের ভেতরে জীবনেও ঢুকতে হয় নি। প্লেন ছাড়াও ওতে আর কি কি আছে সেটা জানা ছিল না। প্রথমবার ঢোকা হলো আমেরিকাতে আসার উছিলায়। এতোদিন পর্যন্ত আমেরিকা গমন নাটকের অবসান হতো এয়ারপোর্টের সামনে থেকে - এই প্রথম নিজে নায়কের চরিত্র পাওয়াতে ভেতরের ব্যাপারগুলোর খুঁটিনাটি সব চোখে পড়ল।
চাকরিজীবী দুই বন্ধু যখন আড্ডা দেয়, তখন কি নিয়ে কথা বলে? বিশেষ করে ঢাকা শহরের দুই বন্ধু, যারা সবসময় দেশের অন্য সব এলাকার তরুণদের ঈর্ষার কারণ হয়ে থাকে। কারণ কি – কারণ আর কিছুই না, সবকিছুই ঢাকায় আছে। মানুষের আকাঙ্খিত সব সুযোগসুবিধা, পড়াশোনা, চিকিৎসা, শিল্পসাহিত্য, বিনোদন, বইমেলা, নববর্ষ – এমনকি সরকার নামক জিনিসটাও ঢাকাতে থাকে। পত্রপত্রিকা আর টিভির সবকিছু ঢাকাকেন্দ্রিক, বাকী বাংলাদেশ মাঝের কিছু পাতা অথবা “এখন দেখবেন অন্যান্য সংবাদ” এ হালকাভাবে জায়গা পায়। আরও জ্বালা আছে – সুন্দরী, হৃদয়বিদারক সৌন্দর্যের অধিকারী রমণীকুলও ঢাকাতে থাকে। এসব দেখে স্বাভাবিকভাবে ঢাকার বাইরের তরুণরা বড্ড মনকষ্টে থাকে (কোন এককালে আমিও সেই দলভুক্ত ছিলাম)। কিন্তু এখন আমি হাড়েহাড়ে টের পেয়েছি, ঢাকায় থাকার কি যন্ত্রণা। রাঁধার মতো বলতে ইচ্ছা করে – ওরে কৃষ্ণ, তুমি যদি বুঝতে রাঁধা হওয়ার কি জ্বালা, কি যন্ত্রণা।
আমার মোবাইলটার অসুখ হয়েছে। হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে গেছে, থাবড়া মেরেও অন করা যাচ্ছে না। দেয়ালের সাথে কয়েকবার বাড়িও মেরেছি।
আমি চকবাজারে অলি খাঁ মসজিদের সামনে একটি সার্ভিসিং এর দোকানে গেলাম। ডাক্তার বললেন, 'বাপরে বাপ, দেইখা তো মনে হইতেসে এই মোবাইল কিনসেন মোঘল আমলে! এত দিন চালাইলেন ক্যামতে?'
আমি কাঁদো কাঁদো হয়ে বললাম, 'ভাইজান, আমার এই দুঃসময়ে মশকরা লইয়েন না। কী করতে হবে বলেন।'
২০ মার্চ, ২০১২