আমি যে কবি হব সেটা আমি টের পেয়েছিলাম একেবারে ন্যাদাবেলায়। তখনও মুখের কথা ফুটেছে, কি ফোটেনি, তখন থেকেই নাকি আমার সব কিছুতে এক অদ্ভুত ছন্দ। একবার কান্নার সুর উঠলে, সেই সুরে শুধু বাড়ির মানুষ না, একেবারে পাড়া-প্রতিবেশী সহ সবাইকে মাতিয়ে তুলতাম। সে নাকি এক এলাহি কাণ্ড। এরকম কথা ছোট বেলা থেকেই শুনে শুনে বড় হওয়া। তাই যখন স্কুলেই ভর্তি হয়েছি কি হইনি, হলেও বড়জোর কেজি ক্লাস বা এক-ক্লাসে পড়ি, তখন এক
ঠিক দুপুর বেলাটায়, একদম ঠা ঠা রোদ যখন বাইরে, ঘরের ভেতর বনবন করে ঘুরতে থাকা পাখার হাওয়ায়ও হাঁসফাঁস লাগতে থাকে, ঘাড় এদিক ওদিক করে, শরীর এপাশ ওপাশ করেও যখন শান্তি আসে না মোটে- মিঁয়াও তখন আর গরম হজম করতে পারে না মোটে- “জান বেরিয়ে যাচ্ছে রে বাবা! ওফ কী গরম! ওফফফ!!- ছোট্ট লাফে বিছানার কোনে সাজানো বালিশ-টিলা থেকে নেমে আসে ও- “বাইরে যদি শান্তি থাকে কিছু!”
রবি মামা বেশ ত্যান্যা প্যাচাইন্যা আদমি ছিল।আমার বর্তমান নৈতিক অধগতিতে এই বুড়া মিয়ার ভালো হাত আছে।
ব্যাপারটা খুইল্যা বলি, আমার বৌ দিনে ২৫ ঘন্টাই রবীন্দ্রনাথ শুনে, সুতরাং আমার ও শুনতে হয়। শুনতে যাইয়্যা দেখি মামু তু পুরা মাল।
নিচের গানটার কথাই ধরেন- "তুমি সুখ যদি নাহি পাও,/ যাও, সুখের সন্ধানে যাও,"
তারপর ধরেন, "ভালোবেসে যদি সুখ নাহি, তবে কেন এ মিছে দুরাশা"
ভুতে কিলায় নাই। সুখে কিলাইছে। তাই জনগণের পেটের ভেতর ট্যাকসোর হাত যতদূর ঢুকানো যায় তার চেয়েও একটু বেশী ঢুকিয়েও তারা হাসে। আরেকটু ভেতরে গেলে জনগণ বমি করে দিতে পারে কিংবা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে। হইলেও কিছু করার নাই। সরকারকে সাবধান করা আমার কর্ম নয়, আপনারও না। আমরা বরং বাজেট নিয়ে কয়েকটা গতানুগতিক ঢেকুর তুলি সংক্ষেপে। বলা বাহুল্য এটা কোন বাজেটালুচনা নয়, তবে কেউ চাইলে এটিকে শুধুই আলু বলে বিবেচনা করত
আজকাল বিদেশ পাড়ি দেবার রাইট ডিসিশন অনেকেই নিয়ে থাকেন। বাংলাদেশ নামক গাঙ্গেয় ব-দ্বীপের বসবাসকারী জনগণ অতীতে কখনো সমুদ্র পথে, কখনো বা পদব্রজে পাড়ি দিয়েছেন দুর দূরান্তে। একটা সময় ছিলো যখন বৈদেশ যাওয়া ছিলো সাময়িক জীবিকার্জনের মাধ্যম। ঘরে জায়া-পুত্র-কন্যা রেখে মালাদারগন রেঙ্গুন যাতায়াত করতেন ব্যবসার উদ্দেশ্যে। সেটাও প্রায় শতবর্ষের আগের ঘটনা।
মূলঃ মার্ক টোয়েন
ইষৎ সংক্ষেপিত অনুবাদঃ মন মাঝি
পিটার পার্কারের মন খারাপ!
পিটার পার্কারের মন খারাপ!
মার্চের আটাশ তারিখে লেখা জাফর ইকবাল স্যারের একটা লেখা পড়লাম সাংবাদিক শুভাশিস ব্যানার্জি, তার সাংবাদিকতা এবং তার সোনার বাংলা ডেইলি নিউজ ২৪ ডট কম বিষয়ে! আহা! মনটা যে কেমন হয়ে গেল! চোখ ভিজে উঠল! শুভাশিস ব্যানার্জীর পরিচয় দেই, তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেলের ছাত্র ছিলেন। অন্তত জাফর ইকবাল স্যার তা-ই বললেন। মেধাবী মেডিকেলের ছাত্র হিসেবে জাফর ইকবাল স্যার শুভাশিস ব্যানার্জির প্রতি দূর্বল হয়ে পড়েন! এই দূর্বলতাকে কেউ অন্যভাবে নেবেন না! একটি মেডিকেল কলেজ যদি মেধাবী হয় তাহলে সেটির ছাত্রদের প্রতি মানুষের দূর্বলতা স্বাভাবিক! আমার তো ভাবতেই খানিকটা দূর্বল লাগছে!
[justify]কিছুদিন পূর্বে সংসদে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন,
“লোডশেডিংয়ের দরকারও আছে, মানুষ যাতে ভুলে না যায়, লোডশেডিং নামে কিছু একটা ছিল”
আপাত দৃষ্টিতে কথাটি হাস্যরসাত্মক হলেও গভীর পর্যবেক্ষণে দেখা যায় এটি কিন্তু মোটেও কোন লুলীয় বাণী নয়, বরং বাঙালি জীবনে লোডশেডিং যে কি বিশাল বিপ্লব নিয়ে এসেছে তা নিচের কারণগুলো না পড়লে সহজে অনুমেয় নয়!!
[justify]
বাথরুমকে যে বাংলায় প্রক্ষালনকক্ষ বলে সেটা আমি আমেরিকায় না আসলে জানতে পারতাম না। একটু চিন্তায় পড়ে গেলেন কি? দাঁড়ান খুলে বলি। সারাজীবন ধরে মানুষকে এয়ারপোর্টে বিদায় জানাতে এসেছি - লোকজন চোখ-টোখ মুছে ভেতরে ঢুকে যাওয়ার পরে আমিও বাসে করে ফার্মগেটে ফিরে গেছি। এয়ারপোর্টের ভেতরে জীবনেও ঢুকতে হয় নি। প্লেন ছাড়াও ওতে আর কি কি আছে সেটা জানা ছিল না। প্রথমবার ঢোকা হলো আমেরিকাতে আসার উছিলায়। এতোদিন পর্যন্ত আমেরিকা গমন নাটকের অবসান হতো এয়ারপোর্টের সামনে থেকে - এই প্রথম নিজে নায়কের চরিত্র পাওয়াতে ভেতরের ব্যাপারগুলোর খুঁটিনাটি সব চোখে পড়ল।