Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

রম্যরচনা

আমার কবি হয়ে ওঠা

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি
লিখেছেন ত্রিমাত্রিক কবি (তারিখ: বুধ, ২৭/০৬/২০১২ - ৫:৪৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি যে কবি হব সেটা আমি টের পেয়েছিলাম একেবারে ন্যাদাবেলায়। তখনও মুখের কথা ফুটেছে, কি ফোটেনি, তখন থেকেই নাকি আমার সব কিছুতে এক অদ্ভুত ছন্দ। একবার কান্নার সুর উঠলে, সেই সুরে শুধু বাড়ির মানুষ না, একেবারে পাড়া-প্রতিবেশী সহ সবাইকে মাতিয়ে তুলতাম। সে নাকি এক এলাহি কাণ্ড। এরকম কথা ছোট বেলা থেকেই শুনে শুনে বড় হওয়া। তাই যখন স্কুলেই ভর্তি হয়েছি কি হইনি, হলেও বড়জোর কেজি ক্লাস বা এক-ক্লাসে পড়ি, তখন এক


মিঁয়াও, মিঁইয়াও আর মিঁঅ

মর্ম এর ছবি
লিখেছেন মর্ম [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৪/০৬/২০১২ - ৩:০৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঠিক দুপুর বেলাটায়, একদম ঠা ঠা রোদ যখন বাইরে, ঘরের ভেতর বনবন করে ঘুরতে থাকা পাখার হাওয়ায়ও হাঁসফাঁস লাগতে থাকে, ঘাড় এদিক ওদিক করে, শরীর এপাশ ওপাশ করেও যখন শান্তি আসে না মোটে- মিঁয়াও তখন আর গরম হজম করতে পারে না মোটে- “জান বেরিয়ে যাচ্ছে রে বাবা! ওফ কী গরম! ওফফফ!!- ছোট্ট লাফে বিছানার কোনে সাজানো বালিশ-টিলা থেকে নেমে আসে ও- “বাইরে যদি শান্তি থাকে কিছু!”


রবীন্দ্রনাথ, ক্লিনটন ও আমার বিবাহ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১১/০৬/২০১২ - ৯:১৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

রবি মামা বেশ ত্যান্যা প্যাচাইন্যা আদমি ছিল।আমার বর্তমান নৈতিক অধগতিতে এই বুড়া মিয়ার ভালো হাত আছে।

ব্যাপারটা খুইল্যা বলি, আমার বৌ দিনে ২৫ ঘন্টাই রবীন্দ্রনাথ শুনে, সুতরাং আমার ও শুনতে হয়। শুনতে যাইয়্যা দেখি মামু তু পুরা মাল।

নিচের গানটার কথাই ধরেন- "তুমি সুখ যদি নাহি পাও,/ যাও, সুখের সন্ধানে যাও,"
তারপর ধরেন, "ভালোবেসে যদি সুখ নাহি, তবে কেন এ মিছে দুরাশা"


বাজেট ঢেকুর!

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: সোম, ১১/০৬/২০১২ - ৩:৫১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ভুতে কিলায় নাই। সুখে কিলাইছে। তাই জনগণের পেটের ভেতর ট্যাকসোর হাত যতদূর ঢুকানো যায় তার চেয়েও একটু বেশী ঢুকিয়েও তারা হাসে। আরেকটু ভেতরে গেলে জনগণ বমি করে দিতে পারে কিংবা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে। হইলেও কিছু করার নাই। সরকারকে সাবধান করা আমার কর্ম নয়, আপনারও না। আমরা বরং বাজেট নিয়ে কয়েকটা গতানুগতিক ঢেকুর তুলি সংক্ষেপে। বলা বাহুল্য এটা কোন বাজেটালুচনা নয়, তবে কেউ চাইলে এটিকে শুধুই আলু বলে বিবেচনা করত


বিদেশ পাড়ি দিতে চান? এসাইলাম প্রার্থী হয়ে যান।

আরিফুর রহমান এর ছবি
লিখেছেন আরিফুর রহমান [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ২৯/০৫/২০১২ - ১০:১৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজকাল বিদেশ পাড়ি দেবার রাইট ডিসিশন অনেকেই নিয়ে থাকেন। বাংলাদেশ নামক গাঙ্গেয় ব-দ্বীপের বসবাসকারী জনগণ অতীতে কখনো সমুদ্র পথে, কখনো বা পদব্রজে পাড়ি দিয়েছেন দুর দূরান্তে। একটা সময় ছিলো যখন বৈদেশ যাওয়া ছিলো সাময়িক জীবিকার্জনের মাধ্যম। ঘরে জায়া-পুত্র-কন্যা রেখে মালাদারগন রেঙ্গুন যাতায়াত করতেন ব্যবসার উদ্দেশ্যে। সেটাও প্রায় শতবর্ষের আগের ঘটনা।


সালিশ মানি, কিন্তু তুই ব্যাটা পাগল !

মন মাঝি এর ছবি
লিখেছেন মন মাঝি [অতিথি] (তারিখ: শনি, ২৬/০৫/২০১২ - ৩:০৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মূলঃ মার্ক টোয়েন

ইষৎ সংক্ষেপিত অনুবাদঃ মন মাঝি


ফুটা আর ফাটা

মরুদ্যান এর ছবি
লিখেছেন মরুদ্যান [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৪/০৫/২০১২ - ১০:২২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পিটার পার্কারের মন খারাপ!

পিটার পার্কারের মন খারাপ!


"লোডশেডিং অবশ্যই দরকার" - একটি গবেষণাধর্মী রচনা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ৩১/০৩/২০১২ - ১১:২৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]কিছুদিন পূর্বে সংসদে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন,

“লোডশেডিংয়ের দরকারও আছে, মানুষ যাতে ভুলে না যায়, লোডশেডিং নামে কিছু একটা ছিল”

আপাত দৃষ্টিতে কথাটি হাস্যরসাত্মক হলেও গভীর পর্যবেক্ষণে দেখা যায় এটি কিন্তু মোটেও কোন লুলীয় বাণী নয়, বরং বাঙালি জীবনে লোডশেডিং যে কি বিশাল বিপ্লব নিয়ে এসেছে তা নিচের কারণগুলো না পড়লে সহজে অনুমেয় নয়!!


মার্কিন মুল্লুকে-৮: প্রক্ষালনকক্ষ

তাসনীম এর ছবি
লিখেছেন তাসনীম (তারিখ: শুক্র, ৩০/০৩/২০১২ - ১০:৩১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]

বাথরুমকে যে বাংলায় প্রক্ষালনকক্ষ বলে সেটা আমি আমেরিকায় না আসলে জানতে পারতাম না। একটু চিন্তায় পড়ে গেলেন কি? দাঁড়ান খুলে বলি। সারাজীবন ধরে মানুষকে এয়ারপোর্টে বিদায় জানাতে এসেছি - লোকজন চোখ-টোখ মুছে ভেতরে ঢুকে যাওয়ার পরে আমিও বাসে করে ফার্মগেটে ফিরে গেছি। এয়ারপোর্টের ভেতরে জীবনেও ঢুকতে হয় নি। প্লেন ছাড়াও ওতে আর কি কি আছে সেটা জানা ছিল না। প্রথমবার ঢোকা হলো আমেরিকাতে আসার উছিলায়। এতোদিন পর্যন্ত আমেরিকা গমন নাটকের অবসান হতো এয়ারপোর্টের সামনে থেকে - এই প্রথম নিজে নায়কের চরিত্র পাওয়াতে ভেতরের ব্যাপারগুলোর খুঁটিনাটি সব চোখে পড়ল।


ঢাকাবাসী বয়স্ক তরুণের স্বীকারোক্তি - ১

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ৩০/০৩/২০১২ - ৯:২৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

চাকরিজীবী দুই বন্ধু যখন আড্ডা দেয়, তখন কি নিয়ে কথা বলে? বিশেষ করে ঢাকা শহরের দুই বন্ধু, যারা সবসময় দেশের অন্য সব এলাকার তরুণদের ঈর্ষার কারণ হয়ে থাকে। কারণ কি – কারণ আর কিছুই না, সবকিছুই ঢাকায় আছে। মানুষের আকাঙ্খিত সব সুযোগসুবিধা, পড়াশোনা, চিকিৎসা, শিল্পসাহিত্য, বিনোদন, বইমেলা, নববর্ষ – এমনকি সরকার নামক জিনিসটাও ঢাকাতে থাকে। পত্রপত্রিকা আর টিভির সবকিছু ঢাকাকেন্দ্রিক, বাকী বাংলাদেশ মাঝের কিছু পাতা অথবা “এখন দেখবেন অন্যান্য সংবাদ” এ হালকাভাবে জায়গা পায়। আরও জ্বালা আছে – সুন্দরী, হৃদয়বিদারক সৌন্দর্যের অধিকারী রমণীকুলও ঢাকাতে থাকে। এসব দেখে স্বাভাবিকভাবে ঢাকার বাইরের তরুণরা বড্ড মনকষ্টে থাকে (কোন এককালে আমিও সেই দলভুক্ত ছিলাম)। কিন্তু এখন আমি হাড়েহাড়ে টের পেয়েছি, ঢাকায় থাকার কি যন্ত্রণা। রাঁধার মতো বলতে ইচ্ছা করে – ওরে কৃষ্ণ, তুমি যদি বুঝতে রাঁধা হওয়ার কি জ্বালা, কি যন্ত্রণা।