যে সময়ের কথা বলছি তখন পণ্ডিত মশাইদের সে-কী হাঁক-ডাক!
উৎসর্গ--জনৈক স্কুল শিক্ষককে,যিনি একদিন বড় মুখ করিয়া বলিয়াছিলেন_____
বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সবচাইতে চমৎকার জায়গা যেখানে সংকীর্ণতা নেই,সীমাবদ্ধতা নেই,কুসংস্কার নেই,অসহায়ত্ব নেই-আছে শুধু জ্ঞান,প্রজ্ঞা আর সৃষ্টিশীলতার অনুশীলন ও পরিচর্যা।
Reasoning with a two-year old is about as productive as changing seats on the Titanic.
বস্টনের মতই লন্ডনে এসেও পুরোনো বইয়ের দোকানগুলোয় মাঝেসাঝে উঁকি মারি। চ্যারিং ক্রস রোডের উপর পরপর কয়েকটা ভালো দোকান আছে কিনা। কালকে এমনই একটা দোকানের এক কোনার রোগামত একটা শেলফে দেখি একগুচ্ছ বই রয়েছে, পুরোনোকালের ব্রিটিশ হিউমারের উপর। বেশিরভাগই আবার দুষ্টু হিউমার। মাত্তর এক টাকা দাম, টপাটপ গুটিকয় ব্যাগবন্দী করে বাড়ি নিয়ে চলে এলাম।
গল্প খানা কত কালের পুরানো তাহা আমি বলিতে পারিবো না। তোমরা সকলে মিলিয়া আমাকে র্যাবের হাতেই দাও আর পুলিশের হাতেই দাও আমি উহা কিছুতেই বলিতে পারিবো না। তবে গল্পখানা বলিতে পারিবো বৈকি। ইহা বড়ই মজার কাহিনী কিনা। কি বলিলে? শুনিতে উৎসুক হইয়া আছো?
রাতের খাবার শেষ হওয়ার পর প্রতিদিনই আমাদের রুমের সামনের একটুকু ফাঁকা জায়গায় সহকর্মীরা এসে গল্পগুজবে মাতেন। তারপর একসময় লাল কাপড়ে ঢাকা টেবিলটার এককোনায় পড়ে থাকা তাসের প্যাকেটটা হাতে নিয়ে মহসীন স্যার হাঁক দেন, '' কই ফজলুল করিম, আসো শুরু হয়ে যাক, আজকে কিন্তু মঞ্জুরদের একদম শোয়াই ফেলতে হবে''। করিম ভাই সদ্য ব্রিজ খেলা শিখেছেন, উৎসাহে তার ভাটা নেই। এক পিয়নকে ব্রিজ খেলার জন্য বিশেষভাবে একটা খা
এক।
বলুন তো, মানুষের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ কোনটি? সমাজ বিজ্ঞানীরা মানুষের মৌলিক অধিকারের তালিকা যা দিয়ে থাকেন, তা এই রকমঃ "খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা, বিনোদন, ..."! ছোট বেলায় সমাজ-বিজ্ঞান বইতে আর বিভিন্ন রচনায় এইসব মুখস্থ করে উগড়ে দিয়েছি। কখনও ভেবে দেখিনি আসলে মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো কী রকম! আবার, কবিদের কাছে যানঃ "জোটে যদি মোটে একটি পয়সা, খাদ্য কিনিও ক্ষুধার লাগি। দু'টি যদি জোটে, তবে অর্ধেকে, ফুল কিনে নিও হে অনুরাগী"! কবিদের কথা মোটেও বিশ্বাস করবেন না। তারা সবসময় সব আজেবাজে জিনিস ঢেকে রাখেন; রোমান্টিকতার জোশে তারা তিলকে মিল্কি ওয়ে বানিয়ে ফেলেন। যুগে যুগে কবিরা মানবসমাজের মেক-আপ কিংবা ফটোশপ হিসেবে কাজ করেনঃ মেক-আপ বা ফটোশপ আবিষ্কারের আগে, তারাই ছিলেন আমাদের সৌন্দর্যের তৃষ্ণার একমাত্র সাপ্লায়ার। বনলতা সেনকে নিয়ে যতই রোমান্টিসিজম করুন, বাস্তব জীবনে উনাকে সামনে পেলে আপনি দ্বিতীয়বার ফিরে না ও তাকাতে পারেন। আর তাছাড়া বাস্তবে ঐ এক পয়সা দিয়ে আপনি একটি ধুলিকণাও কিনতে পারবেন না, খাদ্য তো দূরের কথা! এক পয়সা এখন এন্টিক জিনিস; জাদুঘরের সামগ্রী হিসেবে বিক্রি করলে হয়তো একটি ধূলিকণা জুটলেও জুটতে পারে। সেইজন্যই আমার বাস্তববাদী সুকান্তকে খুব পছন্দ, "পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি!"
“দিল্লী কা লাড্ডু” না খেয়ে পস্তাতে ষোলোর উপর বত্রিশ আনা রাজী ছিলাম আমি। এখনো ঐ সময়ের ঐ সঠিক উপলব্ধির জন্য নিজেকে “বিশিষ্ট জ্ঞানী” মনে করি। চঞ্চল যৌবনেও আমি দিব্য চোখে আমার বিবাহিত ভবিষ্যৎ কিভাবে যে দেখতে পেতাম তা মহান বিধাতাই জানেন। জ্ঞানী-ই ছিলাম বটে (এখন রেজিসটারড বেকুব)। পড়াশোনার ঘেরাটোপ শেষ করে করে একটা বড় নামকরা কোম্পানিতে মোটামুটি বেতনের চাকরী আমাকে আরও অনেক যুবার মত “এবার শুভ কাজ টা করার
আমি যে কবি হব সেটা আমি টের পেয়েছিলাম একেবারে ন্যাদাবেলায়। তখনও মুখের কথা ফুটেছে, কি ফোটেনি, তখন থেকেই নাকি আমার সব কিছুতে এক অদ্ভুত ছন্দ। একবার কান্নার সুর উঠলে, সেই সুরে শুধু বাড়ির মানুষ না, একেবারে পাড়া-প্রতিবেশী সহ সবাইকে মাতিয়ে তুলতাম। সে নাকি এক এলাহি কাণ্ড। এরকম কথা ছোট বেলা থেকেই শুনে শুনে বড় হওয়া। তাই যখন স্কুলেই ভর্তি হয়েছি কি হইনি, হলেও বড়জোর কেজি ক্লাস বা এক-ক্লাসে পড়ি, তখন এক
ঠিক দুপুর বেলাটায়, একদম ঠা ঠা রোদ যখন বাইরে, ঘরের ভেতর বনবন করে ঘুরতে থাকা পাখার হাওয়ায়ও হাঁসফাঁস লাগতে থাকে, ঘাড় এদিক ওদিক করে, শরীর এপাশ ওপাশ করেও যখন শান্তি আসে না মোটে- মিঁয়াও তখন আর গরম হজম করতে পারে না মোটে- “জান বেরিয়ে যাচ্ছে রে বাবা! ওফ কী গরম! ওফফফ!!- ছোট্ট লাফে বিছানার কোনে সাজানো বালিশ-টিলা থেকে নেমে আসে ও- “বাইরে যদি শান্তি থাকে কিছু!”
রবি মামা বেশ ত্যান্যা প্যাচাইন্যা আদমি ছিল।আমার বর্তমান নৈতিক অধগতিতে এই বুড়া মিয়ার ভালো হাত আছে।
ব্যাপারটা খুইল্যা বলি, আমার বৌ দিনে ২৫ ঘন্টাই রবীন্দ্রনাথ শুনে, সুতরাং আমার ও শুনতে হয়। শুনতে যাইয়্যা দেখি মামু তু পুরা মাল।
নিচের গানটার কথাই ধরেন- "তুমি সুখ যদি নাহি পাও,/ যাও, সুখের সন্ধানে যাও,"
তারপর ধরেন, "ভালোবেসে যদি সুখ নাহি, তবে কেন এ মিছে দুরাশা"