Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

রম্যরচনা

একটি অনুমিত ষড়যন্ত্র

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: শনি, ১০/১২/২০১১ - ১২:১৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সামান্য একটা বোতামের কাছে হেরে গিয়েছিল আবুল হোসেন।

গত অর্ধশতকে তার এরকম ঘটনা ঘটেনি। ঘটনাটা একবার ঘটলে দুর্ঘটনা বলা যেতো। কিন্তু পরপর তিনবার ঘটার পর মনে হলো এটা দুর্ঘটনা নয়, নিশ্চিত ষড়যন্ত্র।


লাইফ সাক্স

চরম উদাস এর ছবি
লিখেছেন চরম উদাস (তারিখ: শুক্র, ০৯/১২/২০১১ - ১১:২১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

- আমি কি তবে বলদ?
- ধুর ব্যাটা, তাই কইলাম নাকি?
- তবে কি আমি পাঁঠা?
- উহু
- তাইলে আমারে মুড়ি খেতে বলেন কেন?
- জীবন মানেই মুড়ি খাওয়া রে মূর্খ। ভাগ্যবানে ইয়ে করে মুড়ি খায় আর অভাগা এমনে এমনেই খায়।

বদরুল ভাই মতিনকে জীবনের মানে বোঝানোর চেষ্টা করেন।

- আমি কি তবে বলদ?

- ধুর ব্যাটা, তাই কইলাম নাকি?

- তবে কি আমি পাঁঠা?

- উহু


ডেথ ইজ বিউটিফুল

চরম উদাস এর ছবি
লিখেছেন চরম উদাস (তারিখ: মঙ্গল, ২৯/১১/২০১১ - ৬:৫১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ডাক্তার বন্ধু কামরুল বদরুলের হাত চেপে ধরে বললেন, আর মাত্র ছয় মাস।
বদরুল ক্ষেপে গিয়ে বলে, ফাতরামির আর জায়গা পাস না? পরক্ষণেই বুঝতে পারে এটা ফাতরামি না জীবনের পরম সত্য।
হাত ছেড়ে ডাক্তার বলে, যা ব্যাটা যা জিলে তেরি জিন্দেগী।
বদরুল আবারও ক্ষেপে গিয়ে বলে,
- জিন্দেগীই তো শেষ।
- ইয়ে মাত সোচ জিন্দেগিমে কিতনে পাল হ্যাঁয়, ইয়ে সোচ কিতনে পাল ম্যায় জিন্দেগী হ্যাঁয়।


ভালো হয়ে যাওয়া...

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ২১/১১/২০১১ - ১:১১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

চৌর্যবৃত্তি আর নানা ব্যবসায় অনেক অযাচিত ঝামেলায় পড়ার পর মাইনকা চোরা সিদ্ধান্ত নিল এইবার সে ভালো হয়ে যাবে। ভাবনাটাতেই অনেক শান্তি শান্তি লাগতে লাগলো। দিন দশেক আগে পাশের পাড়ার সন্ত'র বাড়ী থেকে হাপিস করে দেয়া বইগুলো'র দিকে তাকিয়ে আপসোস হলো তার - এখনও বিক্রী করা যায়নাই। অন্য তেমন কিছু নাপেয়ে বইগুলোই জেদ করে নিয়ে এসেছিলো। পুরনো বই থেকে লাভ হয়না। ওজন বেশী, সাইজে বড় কিন্তু দাম কম। ব্যাটা সন্ত'র বাড়ীতে এক


এক সন্ধ্যায় মঙ্গল ও পৃথিবী

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: বুধ, ১৬/১১/২০১১ - ১১:০১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সন্ধ্যার মুখে মুখে পৃথিবী যখন ঘুমানোর আয়োজন করছিল তখন দূর থেকে হন হন করে বুড়া মঙ্গল মিয়াকে এগিয়ে আসতে দেখা গেল। মঙ্গলকে দেখে পৃথিবীর মনে অমঙ্গল আশংকা দানা বেঁধে উঠলো। এরকম বিনা নোটিশে কখনো আসে না সে। লালমুখোকে তার খুব হিংসা। ঝুট ঝামেলা থেকে বহুদূরে ব্যাটা কোটি কোটি বছর ধরে নাকে কার্বন ডাই অক্সাইড দিয়ে আয়েশ করে ঘুমিয়ে যাচ্ছে। যখন ইচ্ছে ঘুমোয়, যখন ইচ্ছে জাগে। বিরক্ত করার কেউ নেই। দুটো বেঢপ চাঁদ আছে,


আরশোলা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১০/১১/২০১১ - ১০:০৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কলেজে থাকতে যে বিষয়গুলো আমাদের বেশি কষ্ট দিত তার মধ্যে একটা ছিল ‘প্র্যাক্টিকাল ক্লাস’। পদার্থবিদ্যা, রসায়ন আর জীববিদ্যার ভয়াবহ তিনটি ল্যাব আমাদের দিকে তাকিয়ে দাঁত বের করে হাসতো। সবচেয়ে অসহ্য ছিল জীববিদ্যা; বায়োলজি ল্যাব ক্লাস। গাছের শিকড়-বাকড় থেকে শুরু করে কেঁচো, ব্যাং, তেলাপোকার মত জঘন্য জিনিস কাটাকুটি করতে হত। আর এর জন্য প্রত্যেকের কাছে ‘ডিসেকশন কিট’ থাকা ছিল বাধ্যতামূলক। এর মধ্যে থাকতো


ঢাকা-সিলেট বাস ভ্রমণ এবং আমার স্বজাতি ভাবনা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১০/১১/২০১১ - ৭:৫৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পাশ করেছি। পাশ করেছি।

এনাটমি, বায়োকেমিস্ট্রি নিয়ে ভয় ছিল না। ভয় ছিল ফিজিওলজি নিয়ে। শুধু ভয় না, খুবই ভয়। এক্সটার্নাল ছিলেন প্রফেসর মহিদুর রহমান, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ এর এক্স ইন্টার্নাল। স্টুডেন্ট মহলে তিনি তুমুল জনপ্রিয়। কারন, প্রফেশনাল বা পেশাগত পরীক্ষায় উনি প্রায় কিছু জিজ্ঞেস না করেই পাশ করিয়ে দেন।


কনে দেখা আলো

চরম উদাস এর ছবি
লিখেছেন চরম উদাস (তারিখ: শুক্র, ২৮/১০/২০১১ - ১:৩২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এসেছিলাম পাত্রী দেখতে। তিন বোন সামসুন্নাহার, নুরুন্নাহার আর নাজমুন্নাহার। সবাই মিলে আমাকে বলে, বেছে নাও।

ছোটভাই বলে,
- ASL Plz
তিনজনেই লাজুক হেসে বলে, এইট্টিন এফ মালিবাগ চৌধুরীপাড়া

দুলাভাই অ্যাসট্রেতে পানের পিক ফেলতে গিয়েও শেষ মুহূর্তে কুত করে গিলে ফেলে বলে,
-মেয়ে কি গান জানে?


শিশুপালন-১২

তাসনীম এর ছবি
লিখেছেন তাসনীম (তারিখ: বিষ্যুদ, ২০/১০/২০১১ - ৪:০৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]

শিশুপালন অধ্যাদেশ ২০১১

জীবনের সাথে মেগাসিরিয়ালের অনেক মিল আছে। প্রথম মিলটা হচ্ছে দৈর্ঘ্যে। দুটোই বিরক্তিকরভাবে লম্বা, প্রায় সারাজীবন ধরেই চলে। দ্বিতীয় মিলটা হচ্ছে দুটোই মোটামুটিভাবে বোরিং। এভাবে খুঁজলে আরও অনেক মিল পাওয়া যায় কিন্তু সবচেয়ে বড় অমিলটা হচ্ছে সিরিয়ালগুলোর কাহিনিতে গিঁট লেগে যাওয়ার পরে হাতে নিদেনপক্ষে সাতদিন সময় পাওয়া যায়। অর্থাৎ নায়িকার অন্য ছেলের সাথে বিয়ে হয়ে যাবে, ঢং ঢং শব্দের সাথে নায়কের মুখের ক্লোজ-আপ দেখিয়ে ওই পর্বটা ওখানেই শেষ করা যায়। জীবনে সেই সব সুযোগ নেই – যেটা করার সেটা প্রায় তড়িঘড়ি করেই করতে হয়।


আবুল মনসুর আহমেদ প্রণীত ‌বর্ণ পরিচয় -প্রথম ভাগ / কেবলমাত্র রাজনৈতিক শিশুদের জন্য লিখিত (বয়স্করাও পড়িতে পারেন কিন্তু গোপনে)

কর্ণজয় এর ছবি
লিখেছেন কর্ণজয় (তারিখ: বুধ, ১৯/১০/২০১১ - ১:৫৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(দুধের) স্বরবর্ণ
- অন্যের ভালমন্দের পরোয়া করিও না; নিজের লাভ-লোকসান আগে দেখিও।
- আমদানি রফতানির আধুনিক বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা এই যে, আমদানি মানে আমার পকেটে আমদানি; রফতানি মানে তোমার পকেট হইতে রফতানি।
- ইহকালে ইলেকশন বৈতরণী পার হইতে পারিলে পরকালে পোলসিরাতের ভাবনা থাকিবে না। অতএব ইউনিয়ন বোর্ড হইতে হাত-সাফাই কর।