Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

রম্যরচনা

মার্কিন মুল্লুকে-৩: মৌলবাদ

তাসনীম এর ছবি
লিখেছেন তাসনীম (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৩/০২/২০১১ - ১০:৪৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]মৌলবাদের সাথে প্রথম মোলাকাত কবে সেটা বলা দুষ্কর। আমাদের দেশে যারা বড় হয়ে উঠেছেন তাদের সদূর শৈশবে হওয়ার সম্ভবনাই বেশি। ক্লাস টুতে পড়ার সময়ে কে একজন বলেছিল লাল পিঁপড়াগুলো নাকি কাফের, আর কালোগুলো মুসলমান। কালো পিঁপড়াগুলো তাই কামড়ায় না!


একটি অসমাপ্ত লেখক কমিউনিটি নির্বাচনের বিবরণ এবং একটি অসমাপ্ত আড্ডার স্মৃতি

নৈষাদ এর ছবি
লিখেছেন নৈষাদ (তারিখ: মঙ্গল, ২৫/০১/২০১১ - ৮:৪৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

.........
জ্বলন্ত-পাবক-শিখা-লোভে পতঙ্গ যে রঙ্গে ধায়,
ধাইতে চাইলি, অবোধ, হায়
জিজ্ঞাসিলি না
কী ফল লভিল, নিগড় গড়ি পরিল যারা চরণে সাধে
উড়িয়া পড়িল ফাঁদে ...

... বিবাহ সম্বন্ধে খ্রীস্ট-পরবর্তী একবিংশ শতকের বিখ্যাত এক কবির অমর চারটি লাইন।

২০০৮ সালের কোন এক সময়...


আমার প্রিয় শিক্ষক

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ২১/০১/২০১১ - ৪:৫২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বছর আষ্টেক আগের ঘটনা। ঘটনাস্থল বাংলাদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও এক বিভাগের প্রথম বর্ষ সম্মান শ্রেণীর ক্লাস রুম। ছাত্র ছাত্রীরা অধির আগ্রহে বসে আছে, যথা সময়ে বিভাগের প্রবিণতম শিক্ষকদের মধ্যে একজন, হাতে লেকচারশিট ও হাজিরা বই নিয়ে ক্লাসে উপস্থিত হলেন। ছাত্র ছাত্রীরা তটস্থ হয়ে দাড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন পূর্বক অপেক্ষা করতে লাগল কখন শিক্ষক মহাশয় তাদেরকে বসতে বলেন সেই জন্য। মহাশয় তার টেবিলে বসলেন এবং হাজিরা বই খুলে একে একে নাম ডাকা শুরু করে দিলেন। ক্লাসের ছাত্র/ছাত্রী সংখ্যা খুব বেশি না ২৫/৩০ জন মাত্র, কাজেই নাম ডাকতে বেশি সময় লাগার কথা না।কিন্তু উনার আবার নিজস্ব স্টাইল ছিল নাম ডাকার। উনি শুধু নামই


ফিরনি? ফের নি?!

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি
লিখেছেন অনার্য সঙ্গীত (তারিখ: শুক্র, ১৪/০১/২০১১ - ৯:১৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দুনিয়ায় আমার সবচাইতে অপ্রিয় কাজ রান্না করা। অপ্রিয় কাজের মধ্যে 'খাওয়া'ও আছে। তবে ওটা প্রথম সারিতে পড়ে না। রান্না করার একমাত্র ভালো দিক হচ্ছে রান্নার সময় পড়াশোনার চাপ থাকে না। তাই রাঁধতে রাঁধতে ব্লগ লেখা যায়। ঢাকায় যখন একা ছিলাম তখন অবশ্য দীর্ঘদিন রান্না করেছি। তবে কিনা, বেঁচে থাকার জন্য কোন রকমে খাওয়ার পক্ষপাতি ছিলাম বলে রান্নার উপাদান সীমাবদ্ধ থাকত আলু, ডাল আর ডিমে। মশলা অবশ্যই সবসময় পেঁয়াজ মরিচ আর লবন। এর বাইরে রান্নার আর কোন উপাদান বিশেষ ব্যাবহার করতে শিখিনি কখনো।


নতুন বোতলে পুরনো মদ-১

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৩/০১/২০১১ - ১০:১৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অনেকদিন পর গ্রামে ফিরল রতন। সেই বাবার মৃত্যুর পর এক পুতুল নাচিয়ে হয়ে এক যাত্রাদলের সাথে ভিড়েছিল তারপর অনেক গ্রাম ঘুরলেও নিজের গ্রামে আর ফেরা হয়নি।আর রতনের খোঁজ করবার মত গ্রামে কোন আত্মীয়স্বজনও ছিলনা। এবার অনেকদিন পর বর্ষার বিরতিতে কোন অজানা টানেই গ্রামে ফেরত আসলো। গ্রামে ঢোকার একটু পরেই একটি দোতালা বাড়ি দেখে রতনের কৌতুহল হলো। তার যতটুকু স্মৃতি তাতে দোতালা কেন পাকা বাড়ি করারই কোন সামর্থ্য কোন গ্রামবাসীর ছিলো না। ভাবতে ভাবতেই বাড়িটার উঠোনে চলে আসে রতন। আরে সামনের বারান্দায় বসা ওটা মইত্যা রাজাকার না?


মার্কিন মুল্লুকে-২: ড্রিম জব

তাসনীম এর ছবি
লিখেছেন তাসনীম (তারিখ: মঙ্গল, ১১/০১/২০১১ - ১১:২২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]"ড্রিম জব” বলে একটা কথা আছে। এটা আমার জন্য প্রযোজ্য নয়। আমি স্বপ্নে কোনোদিন কাজ করি না। বরং স্বপ্নে দেখি যে আমি উঁচু এক পাহাড়ের চূড়ায় বসে আছি। সেখানে মেঘ এসে আছড়ে পড়ে। কাছেই আছে স্টারবাকস কফির দোকান, সিগারেটের একটা প্যাকেটও আগে ছিল কিন্তু ঐ নেশা ছাড়ার পরে স্বপ্ন থেকে ওটাকে পরিত্যক্ত করেছি। অল্পসল্প রঙ্গিন পানি থাকলেও মন্দ না, এছাড়া নেটফ্লিক্স মুভি, চিকেন বিরিয়ানী, ডালপুরি, চটপটি, শিক কাবাব, ঝালমুড়ি - এই সামান্যতেই আমি খুশি। কিন্তু স্বপ্নে কাজ করার কথা আমি স্বপ্নেও ভাবি নি!


কূট-ক্রিকেট

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ০৭/০১/২০১১ - ৭:২৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]পিচ্চিবেলায় আমার বিকাল-সন্ধ্যা গড়াইত ক্রিকেট খেলিয়া। সুদূর মালয়-মুল্লুকে আকরাম-বুলবুল বাহিনীর বিজয়ের পর হইতে শুরু, এই খেলা যেন আমাদের হাফপ্যান্ট আর স্যান্ডোগেঞ্জি শোভিত শৈশব পুরাটাই দখল করিয়া লইয়াছিল। হাটে-বন্দরে, ঘরে-অন্দরে, প্রমাদে-প্রমোদে, প্রলয়ে-প্রহলাদে, সাজঘর কিম্বা শ্রেনীকক্ষে, আলস্যে কিম্বা দক্ষযজ্ঞে- প্রায় সর্বত্রই এই ক্রিকেটীয় আলোচনা, পর্যালোচনা আর শিশুতোষ সমালোচনায় সর্বক্ষন আচ্ছন্ন থাকিতাম। কিছুক্ষেত্রে এই ক্রিকেটপ্রীতি স্বাভাবিকতার সংজ্ঞা অতিক্রম করিয়া যাইত। কোন কোন কিশোর বোলিং চর্চা করিবার ছলে জোরসে পাথর ছুঁড়িয়া পাড়ার জেঠুমনির ঝাঁ-চকচকে চাঁদিখানি মনের অজান্তেই অব্যর্থভাবে


যন্ত্রকৌশল বন্দনা(যন্ত্রনা)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ০৩/০১/২০১১ - ১০:৫২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(নিচের লেখাটি বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগে সদ্য ভর্তিকৃত এক অথর্ব ছাত্রের প্রেক্ষাপট হইতে রচিত হইলেও, দেশের যেকোন বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোন বিভাগের ঈদৃশ ছাত্রগণ তাহাদের নিজেদের এইখানে সম্যকরুপে খুঁজিয়া পাইবার অবকাশ রহিয়াছে)

মনেতে অতিশয় ইচ্ছা আছিল জগদ্বিখ্যাত যন্ত্রকৌশলী হইয়া সংসারতন্ত্র, মন্ত্রমুগ্ধ করিয়া রাখিব। উচ্চমার্গীয় রকেট বানাইয়া, উহার পুচ্ছদেশে এক গুচ্ছ আগুন ধরাইয় ...


তুই কই

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ০১/০১/২০১১ - ৩:৩৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

small

ও আমার ময়নাপাখি,

বলি তুই গেলি কই! ঠাট্টা মশকরা না, আসলেই সত্যি করে বল তুই থাকিস কই। আমি আমার আত্মীয়-স্বজন সবাইকে জিজ্ঞেস করলাম তোর ব্যাপারে, সবাই একলগে বলল তারা তোকে দেখেনি। বন্ধু বান্ধব, পাড়া-প্রতিবেশী, তাদেরকেও জিজ্ঞেস করলে তারা বলে যে তোর সাথে এতোদিন ধরে দেখা নাই যে, তুই এই দুনিয়াতে আছিস কিনা সেই নিয়েই তাদের মাঝে মধ্যে সন্দেহ হয়। আমি পিজা হাট, বাস্কিন র ...


আমার রুমমেটগন

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ২৬/১২/২০১০ - ৫:৪৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ভর্তির যাবতীয় কার্যক্রম শেষে ভার্সিটির ছাত্রাবাসে শুরুর দিকেই একটা সিট মিলিয়া গেল।শুনিয়াছিলাম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ফ্রেশম্যান হিসেবে সিট পাইতে তীর্থের কাক সাজিতে হয়। যাহাই হোক, এ বিষয়ে আমাকে তেমন দুর্ভোগ পোহাইতে না হইলেও হলগমনের পুর্বে মাসিমনির কিছু ধ্বংসাত্মক এবং ‘দংশাত্মক’ কথাবার্তায় ঠিকই কপালের ভাঁজে বিশাল খাঁজ জমিয়া গেল।সদা ছিদ্রান্বেষী মাসিমা হলজীবনের অন ...