প্রথম মিটিং এ সবার সাথে খবিশ খান পরিচয় করিয়ে দেয়। তারপর সবাইকে বলে কারো কোন নতুন স্টোরি আইডিয়া আছে কি না। আমি আগে ভাবতাম একটা নিউজপেপারে চাইলেই বুঝি যে কোন অন্যায় নিয়ে লেখা যায়।আমিতো মহা আনন্দিত। এখন নিশ্চই অনেক কিছু নিয়ে লিখতে পারবো। ওই সময়টাতে জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটিতে একজন মহিলা শিক্ষকের উত্তক্ত করার ঘটনাটা নিয়ে লেখা-লেখি হয়েছিল পেপার গুলাতে। পরে একদিন সচলায়তনেও দেখি ...
(১)
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে আড্ডাতে গালিগালাজ করে নাই, এমন লোক খুজে পাওয়া বোধ হয় দুস্কর। খুবই সিরিয়াস কোনো আলোচনা হচ্ছে, তাতেও ভিতরে ঢুকে যাবে এ ওকে কিভাবে ইয়ে দিচ্ছে। ব্যাপারটা এমন হয়ে গেছে যে, লবণ ছাড়া যেমন খাওয়া হজম হয় না গালি ছাড়া আড্ডা জমে না। তবে বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়ার পর সবাই তাদের বিভিন্ন গন্তব্যের কারণে নানা জায়গায় ছড়িয়ে যায়। আর আমরা মিস করতে থাকি সেই রসময় ...
খবিশ খানের সাথে সাক্ষাতঃ
অবশেষে সেই বহুল প্রতীক্ষিত সাক্ষাতের দিন আসলো। তো গেলাম খবিশ স্যারের সাথে দেখা করতে। খবিশ স্যার যথেষ্ট ভদ্র ব্যবহার করলেন। জার্নালিজম এর কী কী জিনিশ আমার মেজর কাভার করে, কতদিন বাকী পড়া শেষ হওয়ার, আমার কোন অ্যাপ্লিকেশন লাগবে কিনা, বা ওনাকে সুপারভাইসার হিসেবে কী কী করতে হবে এইগুলা নিয়ে কথা বললেন। উনি কিন্তু ছবি চাইলো না, সিভিও চাইলো না। এইখানে একটু বলে র ...
আপনি কী কখনো চকের ডলা খাইয়াছেন? ভাবিয়ালন একটা বলিষ্ঠ হাত আপনার পেটে বোর্ডে লিখার চক লাগাইয়া প্রচন্ড ডলা দিতেছে। বঙ্গদেশিয় পুলিশি রিমান্ডে রোলারের ডলা দিবার বিধান বর্তমান। সেই ডলা খাইলে পূর্ব-জন্মের স্মৃতি ফিরিয়া আসে বলিয়া জনশ্রুতি আছে। চকের ডলা ঠিক সেইরকম না হইলেও পাঁচ/সাত বছরের স্মৃতির ব্যাপারে গ্যারান্টি দেওয়া যাইতে পারে। আমাদের সাটিরপাড়া ইশ্কুলের মুকুল স্যারের বিখ্য ...
সুধী হাচলবৃন্দ (সচলবৃন্দ নয়, খুউব খিয়াল কইর্যা), আপনাদের মনেও কি এমনই রয়েছে সচল হওয়ার দুর্দমনীয় বাসনা? সচলত্বের সিংহদ্বারের অন্তরালে কতিপয় বিশেষ ব্যক্তি কি অনির্বচনীয় ক্ষমতার সুখ ভোগ করছে তা জানতে কি আপনিও উদগ্রীব? অথবা রেস্ট্রিক্ট ট্যাগের অবগুন্ঠন উন্মোচনের সুতীব্র কামনা কি আপনার চিত্তেও চুলবুলিয়ে যায়? তবে শুনুন – সচলত্বের হুরপরীগুলিকে দ্রুত প্রাপ্তির উপায় মাত্র দুইটি ...
ক্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে ইংরেজীতে চান্স পাওয়ার পর একটা কারনেই খুব খুশি ছিলাম যে আব্বুর স্বপ্ন আরেকবার ধুলিসাৎ করতে পারসি (প্রথম বারেরটা ডাক্তার হওয়ার ছিল)। কত করে বললাম, বি.ই.ওয়াই.এ ইউনিভার্সিটিতে ম্যাস কমিউনিকেশনে পড়ি। আমাকে বলে, কি!! সাংবাদিক হইতে চাও! চুপচাপ ক্র্যাকে বিজনেসে পড়। কিন্তু আব্বুর সেই আশা আর পূরণ হল না। তো যাই হোক, ক্র্যাকে ক্লাস শুরু হয়। যেয়ে দেখি লিটারেচারের সব ...
ছোটদের মুক্তবাজারঃ
“আব্বু তুমি নিক জুনিয়র (nickjr.com) ডট কম লিখতে পারো?" একটু উত্তেজিত প্রশ্ন মেয়ের।
এটা টিভি দেখার সরাসরি ফলাফল বলেই মনে হল। বাচ্চাদের চ্যানেলগুলোতে প্রচুর বিজ্ঞাপন চলে, সেই সঙ্গে কোম্পানিগুলোর ওয়েবসাইটটাও দিতে ভুলেন না উনারা। অর্থাৎ বিজ্ঞাপনগুলো ছোট গল্পের মত, শেষ হয়েও হলো না শেষ, একটা ব্রাউজার বের করে ওয়েবসাইটটা উঠালে আবার সেই কেনা আর বেচার হাটবাজারে ঢুকত ...
ছোট বেলায় একটা কৌতুক শুনে খুব মজা পেতাম। বাজী ধরে বিশাল ভিড়ের মধ্যে থেকে লাইনে না দাঁড়িয়েও সিনেমা হলে টিকেট কাটার কৌতুক। লুঙ্গি কাঁছা মেরে সারা গায়ে সরশের তেল মেখে তিনি সুড়ুৎ করে পিছলিয়ে টিকেট কাউন্টরের সামনে গিয়ে টিকেট কেটে আনলেন।
- অনন্ত আত্মা
আমার নাখাস্তা গল্পগুলো যারা করুণা করে পড়েন, তারা আমার বন্ধু কমলের নাম নিশ্চয়ই জানেন। আজকের লেখা কমলকে নিয়েই। কমল ওর নামের মতই হালকা, পলকা কিন্তু আসর জমানো ছেলে বলে আমাদের কাছে ওর কদর বি এন্ড এইচ এর চেয়ে কম না।
আমাদের আর কমলদের বাসার দূরত্ব খুব বেশি না। যখনকার কথা বলছি, কমলদের বাড়ীটা তখন একতলা। গেট দিয়ে ঢুকতেই প্রথমে যেই রুমটা পরে সেটা কমলের। কমলের রুমে কমল একাই ঘুম ...
কেন হাসি, এককথায় এ প্রশ্নের জবাব দেওয়া মুশকিল। হাসি জিনিসটা মানুষের মজ্জাগত, এ নিয়ে যেমন সংশয় নেই ,ঠিক তেমনি এটা ভয়ানক রকম সংক্রামকও বটে। বেমক্কা কারো হাসি চলে আসলে সেই হাসি চেপে রাখতে যে হ্যাপাটা পোহাতে হয় সেটা আশা করি অনেকেরই জানা আছে। উচ মাধ্যমিক পরীক্ষার একদিন আমাদের হলে টহল দিচ্ছিলেন একজন বুড়োমত শিক্ষক। যে কোন কারণেই হোক, তিনি আমাদের রেজিস্ট্রেশন কার্ডটি বারবার খতিয়ে দেখ ...