বড় শখ ছিল সাংবাদিক হব!-১

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ০২/০৯/২০১০ - ২:৩৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ক্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে ইংরেজীতে চান্স পাওয়ার পর একটা কারনেই খুব খুশি ছিলাম যে আব্বুর স্বপ্ন আরেকবার ধুলিসাৎ করতে পারসি খাইছে (প্রথম বারেরটা ডাক্তার হওয়ার ছিল)। কত করে বললাম, বি.ই.ওয়াই.এ ইউনিভার্সিটিতে ম্যাস কমিউনিকেশনে পড়ি। আমাকে বলে, কি!! সাংবাদিক হইতে চাও! চুপচাপ ক্র্যাকে বিজনেসে পড়। কিন্তু আব্বুর সেই আশা আর পূরণ হল না। তো যাই হোক, ক্র্যাকে ক্লাস শুরু হয়। যেয়ে দেখি লিটারেচারের সব পরীক্ষা ওপেন টেক্সট। আমিতো মহা খুশি। লিটারেচারের ম্যাডাম ও ছিলেন শাহানা বাজপেয়ী। উনিই খুব স্নেহ করতেন। আমি ভাবি লিটারেচারতো ভালোই। গল্প, কবিতা পড়ে পরীক্ষা দেয়া।কিন্তু বেশিদিন সুখ থাকলো না। উনি চলে গেলেন। আর লিটারেচারের সব ভার নিল এমন এক ম্যাডাম যে কিনা ইংলিশ মিডিয়ামের স্টুডেন্ট বলতে অজ্ঞান, আর বাংলা মিডিয়ামের স্টুডেন্ট বলতে সজ্ঞান। রেগে টং উনার মার্কস দেয়ার সিস্টেম দেখে লিটারেচারে মেজর করার ইচ্ছার ওইখানেই মৃত্যু ঘটে।

আমি ভাবি, নাহ! আমাকে সাংবাদিকই হইতে হবে। শুরু করলাম, মিডিয়া এন্ড কালচারাল স্টাডিসে মেজর। মেজরের শুরুটাই ভালোই ছিল। দি ওল্ড এজ পত্রিকার সদ্য রিটায়ার্ড একজন সাংবাদিক আমাদের স্যার ছিলেন। উনার ক্লাসে আমার পটাপট উত্তরের কারণে ভালো স্টুডেন্টের তকমা পেতেও বেশি দিন লাগে নাই।

মেজরের নিয়ম হচ্ছে লিটারেচারের স্টুডেন্টরা থিসিস আর মিডিয়ার স্টুডেন্টরা ইন্টার্নশিপ করবে। আর লিংগুইস্টিকের স্টুডেন্টরা যে কোন একটা বেছে করতে পারে। তো ইন্টার্নশিপের সেমিস্টারের আগে সবাই ঠিকঠাক করতে ব্যাস্ত কে কই যাবে। এর মাঝে একদিন আমাদের স্যার দি ওল্ড এজে নিয়ে গেসিলো নিউজপেপার অফিস দেখাতে। ভালোই ছিল। ভাবসিলাম ওইখানেই ইন্টার্নশিপ করবো। কিন্তু ডিপার্টমেন্টে উড়া উড়া খবর শুনি ওল্ড এজ অনেক খাটায়। কিন্তু দি ডেইলি ওর্ডিনারি এর দি ওর্ডিনারি ক্যাম্পাস নাকি আবার খুব ভালু। কিছুই বলে না। দুইজন ওইখানে ইন্টার্নশিপ করবে।

আমি এখন কি করি! পরামর্শ চাই, ম্যাগনেট-কম্পাস ও কয়েকটি গল্পের লেখকের কাছে। ওনার সাথে কিছু দিন সাংবাদিকতা নিয়ে কথা হইসিল আগে। আমার আগ্রহ দেখে বলসিল, তুমি ব্লগ পড়? ব্লগে লেখ? আমি বলি, নাতো। উনি বলে, তাইলে কী সাংবাদিক হবা! আর সাংবাদিকতা নিয়ে পরে তুমি হতাশ হবা। আমি মনে মনে বলি, কইসে আপ্নারে। ব্লগ না পড়লে বুঝি আর সাংবাদিক হওয়া যায় না। আমাদের দেশের নিউজপেপার গুলা কত ভালু। সবসময় সত্যের সন্ধানে ব্যস্ত। আরে শেষ অন্ধকার পত্রিকাইতো লাজাওয়াব। আপনি হিংসুটি একটা লোক। তো হিংসুটি লোকটা বলে, দি ডেইলি ওর্ডিনারি যদি কম খাটায় তাহলে আগে ওইটাতে যেয়ে দেখ।

আমার এক ফুপা শেষ অন্ধকার পত্রিকার এক সাংবাদিককে ধরে। ডেইলি ওর্ডিনারি আর দৈনিক শেষ অন্ধকার পাশা-পাশি হওয়ায় তারা সবাই আবার ভাই ভাই। শেষ অন্ধকারের সাংবাদিক, জনাব যায়নাল, একদিন দেখা করতে ডাকে। তো গেলাম দেখা করতে। যাওয়ার পর দেখি এক আজব ঘটনা! জনাব যায়নাল দেখি খালি ফিসফিস করে কথা বলে! আমি আশে-পাশে দেখি আর বোঝার চেষ্টা করি, কোন গোয়েন্দা সংস্থার লুকজন (উনি আবার লোক বলতে পারেনা।) আছে নাকি। কিন্তু কিছুই তো দেখি না। তো ফিসফিস করতে করতে নিয়ে গেল, ডেইলি ওর্ডিনারি এর রিপর্টিং সেকশনে। আগেই বলে দিসিলো একটা অ্যাপ্লিকেশন আর সিভি নিয়ে যেতে।

ওইখানে জনাব যায়নালের বন্ধু ছিলেন সাংবাদিক অচেতন হালদার। অচেতন হালদারের সাথে পরিচয় করিয়ে দিল। কিন্তু যেই না অচেতন হালদার মুখ খুলসে, ওরে বাবা! মনে হইলো গন্ধে আমি এখনি অচেতন হয়ে যাব। কিন্তু ওনার কথাতো আর থামেনা। নিজের আর পত্রিকার বড়াই করেই যাচ্ছে। আমাকে বলে, ক্র্যাক ইউনিভার্সিটি! এইটা আবার কই! আমার অবস্থাতো অ্যাঁ মনে মনে বলি, আপ্নে ১২ বছর ধরে সাংবাদিক আর ক্র্যাক চিনেন না! How come man! তো যাই হোক, অ্যাপ্লিকেশন পড়া শুরু করল। হায়! পড়াও দেখি আর শেষ হয়না! চার লাইনের একটা অ্যাপলিকেশন পড়তে পাক্কা দশ মিনিট সময় নিল।

তারপর বলে আসো আমার সাথে। নিয়ে গেল চীফ রিপর্টার শাপলা করিমের কাছে। শাপলা করিমও দশ মিনিট ব্যাপী অ্যাপ্লিকেশন পড়ে। সিভি দেখে। তারপর বলে, ছবি আন নাই ক্যান!! আমি আশে-পাশে তাকাই আর ভাবি, এইটা কি নিউজপেপার অফিস না পাখি ভাইয়ের অফিস চিন্তিত ! ইন্টার্নশিপের জন্য ছবি চায় ক্যান! কাজের কথাতো কেউই বলতেসে না। আমি আমতা আমতা করি... ইয়ে না মানে, জানতাম না। শাপলা করিম বলে শুনো আমি এখন অনেক ব্যস্ত, তুমি আরেক দিন দুপুরে ছবি নিয়ে আস, তখন কথা বলবো। আমি মনে মনে বলি একবার খালি এইখান থেকে বের হই, আর যদি এই অফিসের চেহারা দেখসি।

শাপলা করিমের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ভাবলাম, বাঁচা গেল, বাসায় যাই। ওমা! অচেতন হালদার আর যায়নাল বলে আসো তোমাকে চা খাওয়াই। আমি বলি না, না, সাতটা বাজে আমি বাসায় যাই। কিন্তু কে শোনে আমার কথা! দুই জন রওনা দিল ক্যান্টিনের দিকে। আমাকেও পিছে পিছে যেতে হল। এদিকে ওনাদের প্যাচাল আর শেষ হয় না। আমার গ্রামের বাড়ি কই, ঢাকায় কই থাকি, ওইখানে কেন থাকি, আসলে আমার কই থাকা উচিত, ডেইলি ওর্ডিনারিতে কাজ করার জন্য মানুষ মাটিতে গড়াগড়ি দিয়ে কাঁদে, আমি যদি এইখানে কাজ করতে পারি তাহলে সেটা হবে আমার সাত জন্মের ভাগ্য, ইংরেজীতে পড়া আর কাজ করা এক না, বকর বকর চলতেই থাকে। তারপর বলে ফোন নাম্বার দাও। মিস কল দিয়ে দুইজন আবার শিউর হয়, নাম্বার ঠিক আছে কিনা।

ওইদিন ছিল বৃহস্পতি বার। বলে রবিবার আসলে আমাদের ফোন দিয়ে চলে আইসো। আমি মনে মনে বলে খালি বের হয়া নেই অফিস থেকে। শেষ পর্যন্ত ছাড়া পেলাম। আমিতো ডিটার্মাইন্ড আর যাইতেসিনা ওইখানে। এরচেয়ে আমার দি ওল্ড এজই ভালু।

স্যারের সাথে কথা বলি ওল্ড এজ নিয়ে। উনি বলে আগে পত্রিকাটা এক সপ্তাহ পড়েন। যে সেকশন ভালো লাগে সেইখানে কথা বলে দিব। তো একসপ্তাহ পর ডিসাইড করলাম, ওল্ড এজের ম্যাগাজিন, ‘ওল্ড এজ লেস’ এ যাব। কিন্তু এইদিকে দেখি আরেক কাহিনী।

রবিবার রাতে এক ফোন আসছে, এক লোক বলে, নুসদিন বলছো, আমি বলি, হ্যাঁ, কিন্তু আপনি কে? বলে, ‘আরে আমি, যায়নাল। আজকে আসছিলা, দেখা করতে?’ আমিতো আকাশ থেকে পড়সি যে এইলোক দেখি আবার মনে রেখে ফোন দিসে! আমি বলি, ‘আমার একটু কাজ ছিল, যেতে পারি নাই। পরে যাব। কথা শেষ করতে না করতেই, বিশাল হুংকার! হ্যাঁ, তুমি কি মনে করলা ব্যাপারটাকে যে পাত্তাই দিলা না। কালকে অবশ্যি আসবা আর এসে ফোন দিবা।

আমি ম্যাগনেট-কম্পাসের এর লেখকের সাথে আবার শলা-পরামর্শ করি। বলে নাম্বার সেইভ করে রাখ আর কল দিলে রিসিভ কইরোনা। পরেরদিন রাতে আবার ফোন দেয়। আমিতো আর ধরিনা। আমিতো নিশ্চিত, কয়দিন আর ফোন দিবে। কিন্তু হায়! ফোন দেয়া দেখি চলতেই থাকে। দিন নাই-রাত নাই, দিতেই থাকে। পহেলা বৈশাখের দিনও ফোন দেয়! আমিও না ধরার প্রাকটিস চালিয়ে যাই।

ওইদিকে 'ওল্ড এজ লেসের' ম্যাগাজিন এডিটর খবিশ খান (নামকরণের সার্থকতা পরে প্রমাণ হবে) সাথে দেখা করার অ্যাপয়েন্টমেন্ট ঠিক হয়।
(চলবে)

*নিরাপত্তাজনিত কারণে নাম পরিবর্তিত খাইছে

নুসদিন।


মন্তব্য

ওডিন এর ছবি

ডেইলি অর্ডিনারিতে বাচ্চাকালে খটরমটর কর্তাম। ডিসেন্ডিং অ্যাস্টরয়েডে। পরে যখন আমার লেখা রিভিউ তারা রিরাইট করা শুরু কর্লো তখন বাদ দিছি। তারপরেও আলাপসালাপ ছিলো- শ্যাষ দাগাটা খাইলাম বছরতিনেক আগে- যখন আমার খোমাখাতা হইতে কিছু নেপালদেশীয় ফটোচিত্র বেমালুম নিউজপ্রিন্টে কপি হয়ে গেল। আমি তখন পরিভ্রমণরত ছিলাম। লোকমুখে শুনে এই অভব্যতায় বিরক্ত হয়ে একেবারে ছয়জনকে খোমাখাতা থেকে ব্লক কর্লাম।

লোকমুখে শোনা যায় ওল্ড এজ ও যে খুব সুবিধার জায়গা তা না।

______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনি অর্ডিনারিকে ধরেন নাই কেন? কত বড় সাহস! অ্যাঁ সামনে আরও আসবে, ওনাদের ফিচার রাইটিং নিয়ে। আর ওল্ড এজের কথা আর কী বলবো! সামনের পর্বগুলা ওল্ড এজ এর ঘটনা নিয়ে লিখব।

নুসদিন।

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

লেখার ভঙ্গিটা মজার।

এই নাকি অবস্থা! তাহলে আমাদের নতুন ছেলেমেয়েরা যাবে কোথায়? আপনার উচিৎ চরিত্রগুলোর আসল নাম প্রকাশ করা। (নিরাপত্তার ঝামেলা হলে দরকার নেই, কিন্তু আমার ধারণা ওরা কোনো না কোনো সূত্রে এই লেখা পড়বে।)

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ রিটন ভাই হাসি কাজ করার সুবাদে যে অল্প কয়েকজন ভালো মানুষের সাথে পরিচয় হয়েছিল, আপনি তাদের মধ্যে অন্যতম। কিন্তু আমাদের দেশের নিউজপেপার গুলার ভেতরে যে কী বাজে অবস্থা, সেটা দেখে খুব দুঃখ পেয়েছি। মেয়েদের জন্যতো খুবই টাফ টিকে থাকা। সামনে আরো লিখবো।

ইচ্ছা করেই নামগুলা দেয়া। নাম গুলা চরিত্রের সাথে মিলে গেছে। আর আমি চাই ওরা পড়ুক। কিন্তু পড়লেও ওদের কিছু যাবে আসবে না। মন খারাপ গন্ডারের চামড়া একেকটার।

জাহামজেদ এর ছবি

পত্রিকা আর নিউজ পেপারের নামগুলো পড়ে ব্যাপক মজা পাইছি। তা ভদ্রলোক কি পিকে ফোন করে, না অফপিকে ?

______________________________
বৃষ্টির মধ্যে রোদ হয়ে তুই
পাতার গায়ে নাচ
কষ্টের রঙে সুখ হয়ে তুই
আমার মাঝে বাঁচ...

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

অতিথি লেখক এর ছবি

মজা পাইসেন শুনে মজা লাগলো। ভদ্রলুক পিক, অফপিক সব টাইমেই চেষ্টা করে গেছে। পহেলা বৈশাখের দিন কল করেছিল সকাল সাতটায় রেগে টং

নুসদিন।

জাহামজেদ এর ছবি

মানে হইতেছে, অফপিকে কথা বলবে, আবার রাতে ঘুমাবে !

পয়লা বৈশাখে কি পান্তা খাওয়াইতে নিয়া যাইতে চাইছিলো নাকি ?

_________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

অতিথি লেখক এর ছবি

কিন্তু আমাকে কেনু পান্তা খাওয়াবে চিন্তিত আর ওনারতো বউ-বাচ্চা আছে। আর ধরতে গেলে আমি ওনার মেয়ের চেয়ে দুই-তিন বছরের বড় হব। কী দিন যে পরসে রেগে টং

জাহামজেদ এর ছবি

তাহলে হানড্রেড পার্সেন্ট ভদ্রলোকের আলুর দোষ আছে ! আলুর দোষ খুব বড় একটা সমস্যা না, তবে মেয়ে দেখলেই রোগটা মাথা ছাড়া দিয়ে উঠে !

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

হাহহাহাহা...ইন্টারেস্টিং

অতিথি লেখক এর ছবি

হাসি এণ্ড ট্রু।

নুসদিন।

অতিথি লেখক এর ছবি

হুদাই প্যাচাইলেন

নস্টালজিক

অতিথি লেখক এর ছবি

জ্বী, হুদাই প্যাচাইসি। কারণ বাংলাদেশের সংবিধানে আমার না প্যাচানো নিয়ে কোন আইন পাশ করানো হয় নাই। সামনে আরো প্যাচানোর ইচ্ছা আছে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

মহিলা পেলেই গদগদ হয়ে পড়া ব্যক্তিত্বের এই নামগুলো এর বেশি খোলাসা করার দরকার নাই বোধ'য়। যাঁরা সাংবাদিকতা করতে যাবেন তাদের এই নামগুলো ডেসিফার করার বুদ্ধিমত্তাজনিত ক্ষমতা থাকা উচিৎ। না পারলে সাংবাদিকতা করা উচিৎ না।



বিএসএফ—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ

তাসনীম এর ছবি

মজা পেয়েছি, চলুক এবং সেই সাথে নিজের নিরাপত্তাও বজায় থাকুক।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

অতিথি লেখক এর ছবি

নিরাপত্তা বজায় থাকেনি। আস্তে আস্তে বলবো। এক জায়গা থেকে তো না বলে কোন রকমে বের হয়ে আসছি। মেয়ে সাংবাদিক দেখলে, মানুষও আজব ভাবে রিএ্যাক্ট করে।

নুসদিন।

মানিক চন্দ্র দাস এর ছবি

সদ্য প্রসূত এক দৈনিকে একবার কয়েকটা ফিচার জমা দিয়েছিলাম, প্রতিটার সাথে নিউজ এর উৎস ও পরিস্কার লেখা ছিলো। আমার সেই ফিচার গুলা আর আমার নামে ছাপা হয়নাই। অন্য নামে গেছে। পত্রিকার লেখার সাথে আমার লেখার কোন পার্থক্য ছিলনা। এবং সোর্স গুলাও ঠিক মতো দেয়া হয়নাই। নতুন বিধায় তারা পুরোনো সব দৈনিক যেমন ভোগান্তর, শেষের আলু ইত্যাদি পত্রিকা থেকে মাল দের ধরেবেন্ধে এনেছেন। ট্যাকা বেশী দিমু এই কথায় তারাও বাক বাক করতে করতে আসছেন। আগের সেই পিনকিওর নাকটা ঠিকই আছে। কয়লা ধুইলে কি আর ময়লা যায়? রেগে টং

সাংবাদিক রা নাকি জাতির বিবেক?? দেঁতো হাসি

কস্কি মমিন!

এই বিবেকেরা ইদানিং লাগছে ডাক্তারের পেছনে। খুব আশা নিয়ে বসে আছি তেহেলকা ডট কম এর মতো কিছুর জন্য। যারা এইজাতীয় সাংবাদিক দের চাট্টি-বাট্টি সাইজ কইরা দিবে।

অতিথি লেখক এর ছবি

ওল্ড এজতো আমি কাজ করা অবস্থাতেই আমার করা এক কাজ আরেকজনের নামে ছাপিয়ে দিসে। এবং যার এইজন্য অ্যাটলিস্ট দুঃখ প্রকাশ করার কথা, সে কোন কিছুই করে নাই। চোর-চোট্টার দল রেগে টং

ইচ্ছা করলে চাটি-বাট্টি গোল করা যায়। কিন্তু পরে দেখা যাবে চাট্টি-বাট্টি গোলকারীকে আর কেউ চাকরী দিচ্ছে না।

নুসদিন।

আয়নামতি [অতিথি] এর ছবি

মজারু লেখা! 'খবিশ খান' নামটা মনে ধরলো গো বইন...সাংঘাতিক হবার শখ কী পুরাই গেছে নাকি তলানীতে আশাটা এখনো মিটমিট করে তাকিয়ে আছে? শুভেচ্ছা জানবেন।

অতিথি লেখক এর ছবি

'খবিশ খানের' খবিশামির দুঃখের কথা আর কী বলুম ভইন মন খারাপ শখের দাম লাখ টাকা, নিউজপেপার 'দি মুন' আর টেলিভিশন চ্যানেল 'ডিপেনডেন্ট' এ কাজ করার ইচ্ছা আছে খাইছে কিন্তু এখন একটা ভয় ঢুকে গেসে। যাদের সাথে কাজ করব তারাই যদি ভালো না হয়, তাহলে কাজ করবো ক্যামনে। শুভেচ্ছার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ হাসি

নুসদিন।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

হাহাহা... ভাই, আপনের নামটা মজাদার লাগ্লো। নামকরণগুলোও...

_________________________________________

সেরিওজা

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ ভাইয়া হাসি

বাউলিয়ানা এর ছবি

হা হা হা...লেখা মজারু হয়েছে।

সিরিজ চলুক।

কৌতুহল: লেখিকা কি ম্যাগনেট-কম্পাস লেখকের আত্মীয়?

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি সামনে আরো কীর্তিকলাপ উন্মোচন করবো।
কৌতুহল নিবৃত্তকরণঃ কী যে বলেন! কই ম্যাগনেট-কম্পাসের লেখক আর কই আমি কাটা কম্পাসের লেখিকা! আত্মীয় না। মাঝে মধ্যে পরামর্শের জন্য এক্টু-আধটু গুঁতাই। লইজ্জা লাগে

নুসদিন।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

নিউজপেপার অফিস না পাখি ভাইয়ের অফিস

___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

হাসিব এর ছবি
নৈষাদ এর ছবি

ইন্টারেস্টিং... মজা পেলাম।

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

সিরিজ চলুক কাটা-কম্পাস!!!

পড়ে মজা পাইলাম হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ আনন্দী হাসি

নুসদিন।

সাঈদ আহমেদ এর ছবি

"নিত্য তারা"-র ক্যান্টিনটাকে ভালু পাই... অবশ্য ওই দিন wrong-চা খেয়ে হয়তো আপনার ভালো লাগেনি।

সাংবাদিক হতে পারবেন কিনা জানি না, তবে সাংঘাতিক লিখতে পারবেন যদি চালিয়ে যান।
-----------
চর্যাপদ

-----------
চর্যাপদ

অতিথি লেখক এর ছবি

নিত্য তারা! এরা এত ভালো নাম ডিসার্ভ করেনা মন খারাপ

সাংঘাতিক লেখনী সহ ভালু সাংবাদিক হইতে চাই খাইছে

নুসদিন।

মুস্তাফিজ এর ছবি

ইয়ে মানে আমারও একটা পত্রিকা আছে কিন্তু চালু করিনাই, ওল্ড এজ, অর্ডিনারি আর শেষ অন্ধকারের চাইতে অনেক ভালু। হাসি

...........................
Every Picture Tells a Story

অতিথি লেখক এর ছবি

দাঁড়ান, একটু খানি পড়া-লেখা বাকী আছে। শেষ করে আসিতেছি জয়েন করতে ভালু পত্রিকায় হাসি
নুসদিন।

চাণক্য এর ছবি

নাম অবশ্যই প্রকাশ করতে হবে।নাইলে কইলাম খবর আছে।

অতিথি লেখক এর ছবি

বুদ্ধি একটু শার্প করেন, নিজেই বুঝবেন।

অতিথি লেখক এর ছবি

বড় শখ ছিল হব সাংবাদিক
কিন্তু যায়নালদের মতলবতো খুবই সাংঘাতিক,
ওর্ডিনারি আর অন্ধকারের মাইনকা চিপায়
সাংবাদিক হবার শখ আমার যায় যায় !!!

ফিসফিস

অতিথি লেখক এর ছবি

এর পরের পর্বডা কি কাইল্কাই পাইতাছি?? হাসি

"চৈত্রী"

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রথম পাতা থেকে সরে গেলে দিব হাসি

রণদীপম বসু এর ছবি

হুম, শক্ত প্রশিক্ষণ সহজ যুদ্ধ ! এইটা পঁচিশ বছর আগে ট্রেনে যেতে চট্টগ্রামের ভাটিয়ারির পাহাড়ের গায়ে লেখা দেখছিলাম।
আপনার প্রশিক্ষণের শুরু মাশাল্লাহ্ ভালোই। ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

মজা লাগলো লেখাটা +
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

সংসপ্তক এর ছবি

ফাটাফাটি।
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা

.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি

বইখাতা এর ছবি

দারুন লিখেছেন!

তারানা_শব্দ এর ছবি

বেশ মজারু লেখা হয়েছে নুস্রাট আফা! দেঁতো হাসি

"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"

অতিথি লেখক এর ছবি

নুস্রাট কে চিন্তিত আমিতো নুসদিন। লিখলাম আমি আর ক্রেডিট দিয়ে দিলেন কোন নুস্রাট কে!

রীতি এর ছবি

নুসদিন বাঁচেন ঝিমি!
লেখা চমত্‍কার খুব হয়েছে।(Y) সব অফিসেই একই কাহিনী।
ম্যাগনাম কম্পাসসংম্পৃক্ত কৌতুহল অনুমানে আর ফুটোবীক্ষণে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিষ্কৃয় হয়ে গেছে!তাই আর জিজ্ঞাসিত হল না। চোখ টিপি

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনে কিডা গো? চিন্তিত ম্যাগনাম না, ম্যাগনেট-কম্পাস। ম্যাগনাম-কম্পাসের কোন লেখককেতো আমি চিনি না ইয়ে, মানে... লেখা চমৎকার বলার জন্য ধন্যবাদ লইজ্জা লাগে

দ্রোহী এর ছবি

নুসদিন! দারুণ নাম নিছেন। হো হো হো

যায়নাল সায়েবের সাথে সস্তায় চব্বিশ ঘন্টা কথা বলার অপশন চালু করে নেন। আর আপনে শেষ খালু পত্রিকার আইটি বিভাগে ঢুকতে চেষ্টা করেন। একবার ঢুকতে পারলে মনে যা চায় তা লেখার স্বাধীনতা অর্জন করে ফেলবেন। আর বাংলাদেশে সাংবাদিক হতে গেলে সাংবাদিকতা পড়তে হয় না। যায়নাল সায়েবরা যে ক'দিন আছে চাকরি নিজেই গড়িয়ে গড়িয়ে আসবে।


কি মাঝি, ডরাইলা?

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনিও কী আমাকে চিনে ফেলসেন নাকি! ওঁয়া ওঁয়া মহাত্মা গান্ধী এর মুখের দুর্গন্ধকে মনে হয় দশ দিয়ে গুন দিলে ওনাদের দুই জনের সমান হবে। এদের সাথেতো একশো কোটি টাকা দিলেও কথা বলা সম্ভব না দেঁতো হাসি
শেষ খালু না, নিউজ অফ দ্য লোকাল এরিয়াতে জয়েন করবো। তারপর শেষ খালুদের রহস্য উন্মোচন গড়াগড়ি দিয়া হাসি

রোমেল চৌধুরী [অতিথি] এর ছবি

খাপখোলা লেখা ! আপনার লেখনীর মুখে ফুলচন্দন পড়ুক !

অতিথি লেখক এর ছবি

হাহা... ধন্যবাদ। আমি এত ভালো লিখিনা। এইটাই প্রথম লেখা, তাও জ্বরের মধ্যে খাইছে কিন্তু আপনার অনুবাদ করা কবিতার ছন্দের মিল মারাত্তক।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

দুর্দান্ত।

তাত্তাড়ি পরের পর্ব ছাড়েন।

--------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

বোহেমিয়ান এর ছবি

বেশ লাগলো লেখাটা।
পরের পর্ব চাই জলদি!
_________________________________________

_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!

অতিথি লেখক এর ছবি

দুঃখের কথা কি আর বলবো! আমার আবার ফার্মভিল এডিকশন আছে। ফার্মভিল যখন ঠিকঠাক মত সার্ভিস দেয়, তখন আর কিছু করতে ইচ্ছা করেনা মন খারাপ

নাশতারান এর ছবি

দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

কুলদা রায় এর ছবি

ভইন, আসল নামে কন। লুকাইয়া লাভ কি! উহাদের চিনন দরকার। শালারে শালা কমু, নাকি আদর কইরা কালা কইরা ডাকুম--ইহা কি ঠিক, ভইন?
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

অতিথি লেখক এর ছবি

লুকাই নাইতো। জিনিশটা পড়ার সময় যাতে মানুষ বোর না হয় তাই ওনাদের নামকরণ। উহাদের খালি চিনন না, ছ্যাঁচা ও দেওন দরকার রেগে টং

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।