আজ সাতাশে অগাষ্ট আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রয়ান দিবস।
আজ ২০ আগস্ট।
একাত্তরের আজকের দিনে বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট ল্যাফট্যান্ট মতিউর রহমান শহীদ হন।
কতটা দু:সাহসী হলে ও দেশের প্রতি কত বেশি ভালোবাসা-মমতা থাকলে, একাত্তরে পশ্চিম পাকিস্তানের বিমানঘাঁটি থেকে বিমান ছিনতাই করে, তা নিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামে অংশ নেয়ার ইচ্ছে ও চেষ্টা মতিউর রহমান করেন, তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।
১।
আজকের দিনটা বড্ড মনখারাপের। বাংলা দিনপঞ্জির দিকে তাকালে জ্বলজ্বল করে তাকিয়ে থাকে মনখারাপ করা একটি তারিখ- বাইশে শ্রাবণ। রবি বুড়ো যতই বলে যান না কেন- “তখন কে বলে গো, সেই প্রভাতে নেই আমি”, এই দিনে বুড়োর ছবির দিকে তাকালে আনমনে ঠিকই সুর বেজে ওঠে- “তুমি কি কেবলই ছবি? শুধু পটে লিখা!” যাকগে, বাংলা তারিখ দেখে উদাস মনে বুড়োর পাঁচালি গাইতে আসিনি। মন খারাপ হয়েছিল আসলে ইংরেজি ক্যালেন্ডার দেখে- যেখানে ধুলো আর ছাইয়ের পটভূমিতে জ্বলছে- ছয় আগস্ট। ১৯৪৫ সালের এই দিনটিতেই “এনোলা গে” বিমানের চালক আলতো করে ছেড়ে দিয়েছিলেন “ছোট্ট খোকা”। সৃষ্টি হয়েছিল গত শতাব্দীর ভয়াবহতম মানবিক বিপর্যয়ের, যার অংশীদার রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে বিখ্যাত বিজ্ঞানীরা পর্যন্ত।
সকালে ব্রেকফাস্ট টেবিলে চায়ে চুমুক দিতে দিতে ল্যাপটপ ওপেন করতেই নিউজ ফিডে আওরঙ্গের ছবিটা ভেসে উঠলো। হেমায়েত উল্লাহ আওরঙ্গ। সন্ত্রাসী ছাত্রনেতা হিশেবে ব্যাপকভাবে পরিচিতি অর্জনকারী একজন বঙ্গবন্ধু প্রেমিক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মহসিন হলে আড্ডা পেটাতে গিয়ে আওরঙ্গ সম্পর্কে কতো কাহিনি যে শুনেছি!
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতাসংগঠক বেলাল মোহাম্মদ চলে গেলেন! একাত্তরে আমাদের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের নয়টি মাস এই বেতার কেন্দ্রটি বাঙালির স্বপ্নের বাতিঘর হিশেবে উদ্দীপনার দীপ্ত মশালটি প্রজ্জ্বলিত রেখেছিলো। আক্রান্ত ও অবরুদ্ধ বাঙালি কী বিপুল আগ্রহ নিয়ে এই বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠান শুনেছে!
আমি এ যুগের ব্যস্ত মানুষ; সামাজিক নিরাপত্তা ও মৌলিক চাহিদার দাবীর পিছনে ছুটে হয়রান হলে পরিবারে মাথা গুঁজি, বিশ্রাম নেই দু দন্ড; কখনো সমমনা মানুষগুলো সাথে হল্লা করে কৃতার্থ হই; একান্তই আপন ভূবনে আমার বিচরণ।
সেখানে, ভাবাবেগের চর্চা অর্থহীন হয়ে যায়, তবুও মাঝে-সাঁঝে অন্যভাবে জীবন-যাপনের চিন্তা করে নিজের মনেই উচ্ছ্বসিত হই।
কাজীদা ( কাজী আনোয়ার হোসেন ) যদি বিন্দুমাত্র জানতেন যে বাংলাদেশের মানুষ তাকে কী পরিমাণ ভালবাসে!
উনার উপরে সচলায়তনে শেষ লেখাটি প্রকাশিত হবার পরে এক পাগল ভক্ত চিঠি লিখেছিল (অনুমতি সাপেক্ষে সেটি এখানে দেওয়া হল)---
ভাই,