Archive - জুল 22, 2014

লাট সাহেবের কুকুর ও মরে যাওয়া ৭৬ শিশু

হাসিব এর ছবি
লিখেছেন হাসিব (তারিখ: মঙ্গল, ২২/০৭/২০১৪ - ৩:৫১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি, ব্রাহ্মণী, বৃদ্ধা মাতা, তিন কন্যা, বিধবা পিসি, দাসী একুনে আমরা আটজনা।
লাট সায়েবের তিন ঠ্যাঙা কুত্তাটার পিছনে মাসে পঁচাত্তর টাকা খরচা হয়। এইবার দেখি, কি রকম আঁক শিখেছিস। বলতো দেখি, যদি একটা কুকুরের পেছনে মাসে পঁচাত্তর টাকা খরচ হয়, আর সে কুকুরের তিনটে ঠ্যাং হয় তবে ফি ঠ্যাঙের জন্য কত খরচ হয়?’
আমি ভয় করছিলুম পণ্ডিতমশাই একটা মারাত্মক রকমের আঁক কষতে দেবেন। আরাম বোধ করে তাড়াতাড়ি বললুম, 'আজ্ঞে, পঁচিশ টাকা।' পণ্ডিতমশাই বললেন, 'সাধু, সাধু!'
তারপর বললেন, ‘উত্তম প্রস্তাব। অপিচ আমি, ব্রাহ্মণী, বৃদ্ধা মাতা, তিন কন্যা, বিধবা পিসি, দাসী একুনে আটজন। আমাদের সকলের জীবন ধারণের জন্য আমি মাসে পাই পঁচিশ টাকা। এখন বল তো দেখি, তবে বুঝি তোর পেটে কত বিদ্যে, এই ব্রাহ্মণ পরিবার লাট সায়েবের কুকুরের ক'টা ঠ্যাঙের সমান?'
- পাদটীকা, সৈয়দ মুজতবা আলী


বালিশ

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: মঙ্গল, ২২/০৭/২০১৪ - ১:০৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হাদিমের পেটে ভুটভুট আওয়াজ হয়। গুহায় কোন শব্দ নাই, আলো নাই। অন্ধকারে ভুসভুস করে নাক ডেকে ঘুমায় একপাল মানুষ। হাদিম ঘুমাতে পারে না। গুহামুখে গিয়ে কিছুক্ষণ বসে আকাশ দেখে। চিকচিক করে অনেক তারা। আজকে চাঁদের থালিটা নাই। মেঘও নাই।


মৌসুমী মানবাধিকারবারী (মৌমা)

আনু-আল হক এর ছবি
লিখেছেন আনু-আল হক [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ২২/০৭/২০১৪ - ১২:৪২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সাম্প্রতিককালে সুশীল সমাজের পাশাপাশি মানবাধিকার বস্তুটি যথেষ্ট জনপ্রিয় ওঠার উপ্রক্রম হলে বঙ্গদেশের আনাচে কানাচে মানবাধিকার সংগঠন এবং মানবাধিকারবারী গজিয়ে উঠছিল বেশ। মানবাধিকারবারীকে অনলাইন প্লাটফর্মে বাংলায় আক্তিভিস্ত বলা হয়। ইহা ছাড়াও ভলান্তিয়ার, কিংবা সোস্যাল ওয়ার্কার ইত্যাদি অধুনা খুব সেক্সি। ষাট-সত্তরের দশকে যেমন ছিল বাম রাজনীতি। তখন নাকি প্রেমের দুনিয়ায় বামদের ব্যাপক দৌরাত্ম!


আপন হতে বাহির হয়ে – ২

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি
লিখেছেন সাক্ষী সত্যানন্দ [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ২২/০৭/২০১৪ - ২:১১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ছোটখাট সাইজের ছবি ব্লগ, সাথে যথারীতি ক্যাপশন ফ্রি


এক একদিন প্রতিদিন-৬

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ২২/০৭/২০১৪ - ২:১১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১।

সেদিনের সোনা রোদে চমৎকার ড্রাইভ শেষে অফিসে পৌঁছে যার যাথে পরিচয়, তার নামটি পড়তেই আমার মন ভালো হয়ে গিয়েছিল।

এদেশে প্যানসি নামে একটা ফুল ফোটে, স্প্রিং থেকে ফোটা শুরু করে এরা নানা বর্ণে। সামার, ফল শেষ করে শীত এলেও এরা ফুটতেই থাকে। এদের ঠাণ্ডা সহ্য করার অসীম ক্ষমতার জন্য এখানে রোড আইল্যান্ডে গুলোতে বা অফিস এবং বাগান গুলোর সৌন্দর্য বাড়াতে এরা ব্যবহৃত হয় ব্যাপক ভাবে। এদের শুধু মাত্র নিয়মিত জল দেয়া ছাড়া আর তেমন কোন যত্নআত্তিও লাগে না।