অক্ষয় কিছু মুহূর্ত

অরফিয়াস এর ছবি
লিখেছেন অরফিয়াস (তারিখ: শুক্র, ০৭/১২/২০১২ - ২:২০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একটি ছবি হাজারো বাক্যের থেকে বেশি শক্তিশালী। ছবি স্থির-মৌন হতে পারে, কিন্তু তার প্রকাশ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ এবং তীব্র। একটিও শব্দ ব্যয় না করে অজস্র শব্দমালার গভীর অনুভূতি তৈরী করতে সক্ষম। কোন কোন ছবি দেখে আমরা বাকরুদ্ধ হই, কখনও আবেগে আপ্লুত হই আবার কখনওবা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে আমাদের সত্ত্বা। আমি তাই চিত্রগ্রাহকদের শ্রদ্ধা করি। আবার ঈর্ষা করি কারণ তাদের মতো নিরব থেকে অসংখ্য কথা বলে যাওয়ার নিপুন ক্ষমতা আমার নেই।

পেশার জন্যে হোক কিংবা ভালো লাগার কারণেই হোক, প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে যন্ত্রের সহজলভ্যতায় চিত্রগ্রাহক এর সংখ্যা বেড়েছে। অজস্র রঙ্গিন ঝকঝকে ছবির ভিড়ে দুর্দান্ত কিছু মুহূর্ত প্রায়শই আমাদের চোখে পড়ে। মুগ্ধতা সেসব মানুষের জন্য, তাদের অনবদ্য-অন্তর্ভেদী দৃষ্টির জন্য, খুব সাধারণ মুহুর্তের মাঝে থেকেও অসাধারণত্ব খুঁজে বের করার ক্ষমতার জন্য।

পৃথিবীর ইতিহাসে এমনই কিছু মুহুর্তের স্থিরচিত্র অমর-অক্ষয় হয়ে স্থান করে নিয়েছে, এরকমই অসাধারণ কিছু মানুষের জন্য। মানুষকে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সমাজকে-বিশ্বকে উপলব্ধি করতে সাহায্য করেছে। এরকম শক্তিশালী কিছু ছবির মাঝে থেকে আমার ব্যক্তিগত পছন্দের কয়েকটি রয়েছে, যেই ছবিগুলো এখনও যতবার দেখি আমাকে বাকরুদ্ধ করে রাখে। এই ছবিগুলোর পেছনের ইতিহাসও ঠিক ততোটাই শক্তিশালী।

১.
kevin-carter-vulture

ছবিসূত্র- কেভিন কার্টার, নিউইয়র্ক টাইমস

১৯৯৩ সালে দুর্ভিক্ষপীড়িত সুদানে জাতিসংঘের খাদ্যবিতরন কেন্দ্র থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দুরত্বে এই মুহুর্তটি ধারণ করেন চিত্রগ্রাহক কেভিন কার্টার। এই ছবিটি নিউইয়র্ক টাইমস এ ছাপা হলে দুর্ভিক্ষের ভয়াবহতায় শিউরে উঠে তৎকালীন সমাজ। ছবির মৃতপ্রায় শিশুটি কোনমতে নিজেকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল খাদ্যবিতরন কেন্দ্রের দিকে আর পেছনে তার মৃত্যুপ্রত্যাশায় অপেক্ষা করছিলো শকুনটি। পরবর্তিতে শিশুটির ভাগ্যে কি হয়েছিল তা জানা যায়নি। মর্মস্পর্শী এই ছবির কারণে ১৯৯৪ সালে কেভিন পুলিতজার পুরস্কারে ভূষিত হন। কিন্তু তৎকালীন সময়ে এই শিশুটির জন্য কিছু না করার কারণে কেভিন প্রচন্ড সমালোচনার সম্মুখীন হন এবং আত্মগ্লানিতে ভুগে তার তিন মাস পরে আত্মহত্যা করেন।

২.
0,,15751521_303,00

ছবিসূত্র- নিক উত্, এসোসিয়েটেড প্রেস

ভিয়েতনাম যুদ্ধের নৃশংসতার এই মুহুর্তটি মুঠোবন্ধী করেন চিত্রগ্রাহক নিক উত্। ৮ই জুন, ১৯৭২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর নাপ্লাম বোমা হামলায় আক্রান্ত ও দগ্ধ হয়ে ভিয়েতনামের তরাং বাং গ্রামের নিকটবর্তী রাস্তায় দৌড়ে পালাচ্ছিল আহত-আতংকিত এই শিশুরা। ছবির মধ্যবর্তী কিম ফুক নামের শিশুটি নাপ্লাম বোমার কারণে মারাত্মকভাবে দগ্ধ হয়ে তার জ্বলন্ত বস্ত্র খুলে ফেলে। এসোসিয়েটেড প্রেসে ছাপা হওয়া এই ছবিটি নিককে পুলিতজার পুরস্কার এনে দেয়।

চিত্রগ্রাহক নিক আহত শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যান এবং পরবর্তী জীবনে তার সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রাখেন।

৩.
child-1561

ছবিসূত্র- রশিদ তালুকদার

১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের সেই বিক্ষুব্ধ সময়ের দুর্দান্ত এই মুহুর্তটি উঠে আসে চিত্রগ্রাহক রশিদ তালুকদার এর ক্যামেরায়। ঢাকার রাজপথ কাঁপানো জনতার মিছিলের ঠিক সামনে এই ছোট্ট শিশুটির তীব্র স্লোগানে সেদিন অবাক হয়েছিলেন স্বয়ং চিত্রগ্রাহক নিজেই। জনতার দাবি ও মুক্তির আন্দোলন ঠিক কতোটা গভীর ও শক্তিশালী ছিলো যে তা স্পর্শ করেছিল নির্ভয় এই শিশুটিকেও। ছবিটি রশিদ তালুকদারের অন্যতম সেরা একটি কাজ।

৪.
6a00d8341c2c7653ef01156efbe86d970c-800wi

ছবিসূত্র- এডওয়ার্ড থমাস এডামস, এসোসিয়েটেড প্রেস

দক্ষিন ভিয়েতনামের জাতীয় পুলিশপ্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নগুয়েন ন্গক পিস্তলের গুলিতে ভিয়েতকং অফিসার নগুয়েন ভ্যান লম্ কে হত্যা করেন সায়গনের রাজপথে। দিনটি ছিলো ১লা ফেব্রুয়ারী, ১৯৬৮। মুহুর্তটি ধারণ করেন চিত্রগ্রাহক এডি এডামস। ভিয়েতনাম যুদ্ধের অন্যতম শক্তিশালী একটি ছবি। এই ছবিটি ছাপা হলে সারা বিশ্বে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়। ছবিটি ছাপা হয় এসোসিয়েটেড প্রেসের পক্ষ থেকে এবং ১৯৬৯ সালে এডামসকে পুলিতজার পুরস্কার প্রদান করা হয়।

৫.
enhanced-buzz-wide-4701-1338497429-4

ছবিসূত্র- জেফ ওয়াইডেনার, এসোসিয়েটেড প্রেস

৪ঠা জুন, ১৯৮৯ এর রক্তাক্ত সংঘর্ষের পরে, এদিন চীনের তিয়ানানমেন স্কয়ারের প্রতিবাদকারীদের সম্পূর্ণ স্তব্ধ করতে প্রধান স্কয়ারের দিকে এগোতে থাকে প্রায় ২৫টি ট্যাঙ্ক। ট্যাঙ্কের পথ রুদ্ধ করতে সবার আতঙ্কিত দৃষ্টির সামনে, পূর্ব-পশ্চিম কোণের রাস্তা দিয়ে সারিবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে থাকা সাজোয়া গাড়িগুলোর সামনে হঠাৎ দৌড়ে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন একজন সাধারণ মানুষ। সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পড়া মানুষটির দুই হাতে বাজারের ব্যাগ। এই রুদ্ধশ্বাস মুহূর্তটি ক্যামেরাবন্ধী করেন চিত্রগ্রাহক জেফ ওয়াইডেনার। তাঁর এই ছবিটি "ট্যাঙ্ক ম্যান" নামে পরিচিত। অন্যায়ের প্রতি একজন সাধারণ মানুষের প্রতিবাদের প্রতীক হিসেবে ছবিটি বিশেষভাবে পরিচিত।

৬.
enhanced-buzz-wide-20872-1338324598-18

ছবিসূত্র- এসোসিয়েটেড প্রেস

১৯৬৮, মেক্সিকো অলিম্পিকের পুরস্কার মঞ্চে দাঁড়িয়ে "ব্ল্যাক পাওয়ার স্যালুট" এর মাধ্যমে সেসময়ের বর্ণবাদী অত্যাচার-নিপীড়নের প্রতিবাদ-আন্দোলনের সাথে সংহতি প্রকাশ করছেন ১৬ অক্টোবর সকালে ২০০ মিটার দৌড়ে ১৯.৮৩ সেকেন্ডের বিশ্ব রেকর্ড তৈরী করে প্রথম স্থান অধিকার করা টমি স্মিথ এবং একইসাথে ২০.১০ সেকেন্ড সময়ে তৃতীয় স্থান অধিকার করা তারই বন্ধু জন কার্লোস। সাথে ব্যাজ বুকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ক্রীড়াবিদ পিটার নর্মান, তার সময় ছিলো ২০.০৬ সেকেন্ড। পরে এই প্রতিবাদের জন্য ক্রীড়াবিদ দুজনকেই বহিঃস্কার করা হয় এবং পরবর্তিতে নানা ধরনের অপমান সইতে হয়। অনবদ্য এই ছবিটি বর্ণবাদী অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের একটি জ্বলন্ত প্রতীক।

৭.
966942-vancouver-riots

ছবিসূত্র- রিচার্ড ল্যাম

ভ্যাঙ্কুবার এ স্ট্যানলি কাপের ফাইনালের পরে হঠাৎ শুরু হওয়া দাঙ্গায়, দাঙ্গা পুলিশের শিল্ড এর ধাক্কায় মাটিতে পড়ে যান এলেক্স থমাস। মারামারি, টিয়ার গ্যাস, দাঙ্গা পুলিশ, জ্বলন্ত গাড়ি এসব কিছুর মাঝে আতংকিত প্রেয়সীকে জড়িয়ে ধরে চুমু দিচ্ছেন স্কট জনস। ২০১১ সালে চিত্রগ্রাহক রিচার্ড ল্যাম এর এই ছবিটি সহিংসতার বিরুদ্ধে ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে সারা পৃথিবীতে আলোচিত হয় এবং খ্যাতি অর্জন করে।

_____________________________________

অজস্র অসাধারণ ছবি থেকে এই সাতটি ছবি আমার ব্যক্তিগত পছন্দের শীর্ষে। ছবিগুলো যতবার দেখেছি ততবার আবেগআপ্লুত হয়েছি। প্রত্যেকটি ছবির আলাদা আলাদা তাৎপর্য এবং বিশেষ আবেগ রয়েছে, যা হৃদয় স্পর্শ করে। এধরনের অসংখ্য চিত্রগ্রাহক যারা পৃথিবীর নানা প্রান্তে দুঃসাহসিকতার সাথে কাজ করে চলেছেন তাদের শ্রদ্ধা। মৌন থেকেও অনুভূতির ভিত নাড়িয়ে দিতে সক্ষম এরকম আরও ছবি আমাদের সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে সাহায্য করুক।


মন্তব্য

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

চলুক আগে দেখা ছবি সবগুলোই, সচলেরই কোন পোস্টে এসেছিল কি ছবিগুলো?

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

অরফিয়াস এর ছবি

ধন্যবাদ কবি। সচলের কোন পোস্টে এসেছিল কিনা বলতে পারছিনা। তবে ৫ এবং ৬ নিয়ে আমার লেখা ছিল। ছবিগুলো মোটামুটি পরিচিত সবারই। ভাবলাম এই ছবিগুলো আলাদা করে একটা পোস্টে সংরক্ষণ করে রাখি, তথ্যসহ সবসময় আর খুঁজতে হবেনা।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

মনি শামিম এর ছবি

চলুক

মনি শামিম

অরফিয়াস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

তামান্না ঝুমু এর ছবি

বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম। চলুক
তামান্না ঝুমু

অরফিয়াস এর ছবি

ধন্যবাদ তামান্না।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

সাফিনাজ আরজু  এর ছবি

চলুক চলুক
মর্মে যেয়ে লাগে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ছবিগুলোর ইতিহাস সহ একত্রে করার জন্য।

অরফিয়াস এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকেও।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

পুতুল এর ছবি

শুরুর দিকে; যখন তথ্য আদান-প্রদান আজকের মতো সহজ ছিল না, তখন লোকে বলত, এই সব হচ্ছে নাকী! কৈ আমরাতো জানতাম না! (সেটা জার্মানরাও বলে: নাৎসীরা এত খারাপ ছিল!)

এখন এই সুযোগটা আর নেই। আমরা এখন যা ঘটছে তার অংশীদার। কিন্তু কিছুও কী বদলেছে? বদলায় নি, বদলাবে না। প্রাণীর মধ্যে মানুষ হচ্ছে সব চেয়ে বেশী সুবিধাবাদী।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

অরফিয়াস এর ছবি

কি জানি, আমি তো হতাশ হই চারিদিকে দেখে, আবার কখনও নতুন আশাও জাগে। মন খারাপ

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

তানিম এহসান এর ছবি

একদিন ভোর হবেই, এখানে কিন্তু কোন সংশয় নেই। চলুক

অরফিয়াস এর ছবি

চলুক

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

তারেক অণু এর ছবি

দারুণ হে ছোকরা, কিন্তু আরও নিয়মিত দিতে থাক, সেঞ্চুরি নামে একটা বই পেয়েছি তাতে এমন বিখ্যাত বা কুখ্যাত আলোকচিত্রের সাথে সাথে বেশ কিছু অজানা কিন্তু জানা দরকার এমন ছবির সমারোহ, সেগুলো নিয়ে লিখতে ইচ্ছে করে। তুমি নিয়মিত লেখলে হয়ত আমারও ইচ্ছা করবে-

অরফিয়াস এর ছবি

বাহ বইখানা তো দারুন তাহলে !! লেখা শুরু করে দাও। হাসি

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

জিল্লুর রহমান এর ছবি

আসলেই ছবিগুলো অনেক পরিচিত ও বিখ্যাত। কিন্তু সবগুলো ছবির তথ্য ও এর পেছনের ঘটনাগুলো অনেকেরই জানা ছিলনা। সুন্দর ও তথ্যবহুল একটি পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।

অরফিয়াস এর ছবি

ধন্যবাদ অপনাকেও।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

বেচারাথেরিয়াম এর ছবি

আগেই দেখেছি ছবিগুলো, আমাকে নাড়া দেয়া ছবির শীর্ষেই অবস্থান এগুলোর
১# এই ছবিটা প্রথম দেখি কলেজে থাকতে, এতটা নাড়া খেয়েছিলাম
২,৪# আমাকে দেখিয়েছিলেন আমার একজন ফটোগ্রাফার বড় ভাই, বলেছিলেন, "একজন ফটোগ্রাফারকে সব সময় প্রস্তুত থাকতে হয় সময়ের জন্য, তখন ইমোশোন দেখাতে হয় না। ফটোগ্রাফের দায়িত্ব এই ছবি বিশ্বের কাছে পৌছে দেয়া।"
৩#রশীদ তালুকদার স্যারের ছবিটা আমার কাছে মুক্তিযুদ্ধের প্রতিচ্ছবি। স্যারের অন্য অনেক কাজ আছে যেগুলো দেখলে শ্রদ্ধায় মাথা নুয়ে যায় কিন্তু এটা তাঁর শ্রেষ্ঠ অবদান বাংলাদেশের প্রতি।
৫# এটাও কলেজে থাকতে দেখা, ট্যাংকম্যানের কি হয়েছিল জানার খুব ইচ্ছা হয়। কখনো জানতে পারব না। একটা মানুষ কতটা মোটিভেটেড হলে এই দুঃসাহস দেখাতে পারে!!!
৭# এইটাতো একেবারেই নতুন ছবি, কিন্তু এটা অন্যগুলোর মত না। এই ছবিটা ভাললাগার, ভালবাসার। শত কষ্ট, দুঃখের ভিড়েও এটা দেখলে মন ভাল হয়ে যায়।

আমাকে নাড়া দেয়া ছবিগুলোর মধ্যে সব থেকে উপরের দিকে আরো একটা আছে, নাম "দ্যা বার্নিং মংক"(http://en.wikipedia.org/wiki/Thich_Quang_Duc)

১৯৬৩ সালে ভিয়েতনামিজ এই মঙ্ক নিজের শরীরে আগুন ধরিয়ে তৎকালীন সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। ফটোগ্রাফার ম্যালকম ব্রাউন পুলিৎজার পান এই ছবির জন্য

অরফিয়াস এর ছবি

বার্নিং মঙ্ক এর এই ছবিটির মতো পরে তিব্বতী আন্দোলনের আত্মাহুতি দেয়া আরো কয়েকজনের এরকম ছবি রয়েছে।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

কড়িকাঠুরে এর ছবি

১নং ছবিটা প্রথম দেখে থমকে গিয়েছিলাম। আরও বেশি নাড়িয়ে গিয়েছিল কেভিন কার্টার'এর আত্মহত্যা।

অক্ষয় সব মুহূর্ত... চলুক

অরফিয়াস এর ছবি

কেভিন কার্টার এর আত্মহত্যার পরে সারা বিশ্বেই আলোচনা হয়েছিল একজন চিত্রগ্রাহক ঐ মুহুর্তের ঘটনাতে অংশ নেয়ার অধিকার রাখেন কি না। এবার নিউইয়র্ক এর সাবওয়েতে এমনিই একটি আত্মহত্যার ঘটনার ছবি পত্রিকায় ছাপা হওয়ার পরে এই আলোচনাটি আবার উঠে এসেছে।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

নীল আকাশ এর ছবি

চলুক

অরফিয়াস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

চলুক


_____________________
Give Her Freedom!

অরফিয়াস এর ছবি

ধন্যবাদ কবি। হাসি

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

অতিথি লেখক এর ছবি

নকল লেখা। এর আগেও একবার অন্য একজন ঠিক একই ছবি দিয়ে আরেকটি পোস্ট দিছিল। নকল ভালা পাই না।

অরফিয়াস এর ছবি

ঠিক বলেছেন নকল ভালো পাইনা আমরা কেউই। তো নামহীন অতিথি দয়া করে কোন লেখার নকল তার লিঙ্কটা যদি কষ্ট করে দিয়ে যান তাহলে অভিযুক্তকে সরাসরি কাঠগড়ায় নেয়া যেত। আর যখন অভিযোগ তুলেই গেলেন পরের বার লিঙ্ক আর নাম দিয়ে যাওয়ার সাহসও রাখবেন বলে আশা করি।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

মাহবুব ময়ূখ রিশাদ এর ছবি

শেয়ার করার জন্য আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

অরফিয়াস এর ছবি

তোমাকেও ধন্যবাদ রিশাদ। হাসি

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

অসাধারন ছবিগুলো, অধিকাংশই অনেকবার দেখেছি কিন্তু এগুলোর আবেদন কখোনো ফুরায় না। আপনাকে ধন্যবাদ অনেক দিন পর আবার ছবিগুলো দেখার সুযোগ করে দেওয়ায়।

এই সুযোগে আমার প্রিয় খ্যাতিমান ফটোগ্রাফার বন্ধু জ্যান গ্রারাপের কিছু ছবি নিয়ে একটা পোস্ট শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারলাম না।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

অরফিয়াস এর ছবি

ধন্যবাদ রাতঃস্মরণীয়দা। আপনার পোস্টটা দেখলাম ছবিগুলো অসাধারণ। চিত্রগ্রাহককে আন্তরিক ধন্যবাদ তার কাজের জন্য।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

পদব্রজী এর ছবি

কিছু বলার নেই----- চলুক

অরফিয়াস এর ছবি

ধন্যবাদ পদব্রজী।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

নিলয় নন্দী এর ছবি

সবগুলো ছবিই আগে দেখা। তবে একসাথে পেয়ে দারুণ লাগল।
এভাবে আরও ছবির সংকলন চাই।
চলুক

অরফিয়াস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

অতিথি লেখক এর ছবি

শেষেরটা বাদে সবগুলোইআগের দেখা। একসাথে পেয়ে ভালো লাগলো। বর্ণনাসহ এটা নিয়মিত হতে পারে।
ধন্যবাদ

স্বয়ম

অরফিয়াস এর ছবি

ধন্যবাদ স্বয়ম। হাসি

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

কৌস্তুভ এর ছবি

এইতো আবার অনেক কমেন্ট পড়েছে খোকার লেখায় দেঁতো হাসি

অরফিয়াস এর ছবি

হে হে তাই তো দেখছি !! আবার একজন নকল লেখার অভিযোগও করে গেল !! চোখ টিপি পপুলারিটি সাক্স খাইছে

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

সৈয়দ নাঈম গাজী এর ছবি

আপনাকে ধন্যবাদ ইতিহাসসহ বর্ণনা দেওয়ার জন্যে…
স্যেলুট ওই সকল ফটোগ্রাফারদের যারা এই রকম ছবি দিয়ে বিশ্ববিবেককে দেখিয়ে দিয়েছেন যে আমরা কোথায় আছি…

অরফিয়াস এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকেও।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

আশালতা এর ছবি

দেখা হলেও এই ছবিগুলো প্রত্যেকবারই দেখলে গা শিউরে ওঠে।

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

অরফিয়াস এর ছবি

ঠিক। হাসি

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

অতিথি লেখক এর ছবি

ছবি গুলো সম্পর্কে ধারণা ছিল আগে থেকে, কিন্তু এখানে অনেক গোছানো ব্যাপারগুলো, ভালো লাগছে।

অরফিয়াস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

প্রথম ছবিটা এখনো সহ্য করতে পারি না। মন খারাপ
পোস্টটা দিয়ে ভালো একটা কাজ হলো। চলুক

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

অরফিয়াস এর ছবি

ধন্যবাদ সুলতানা পারভীন শিমুল।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

তাপস শর্মা এর ছবি

প্রতিটি ছবিই স্পর্শ করে যায় ভয়ানকভাবে চলুক

এই ধরনের কনসেপ্ট নিয়ে আরও লেখা আসুক...

অরফিয়াস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

ভয়ানক ব্যস্ততায় অনেক দুঃখের সাথে সচলায়তন থেকে সাময়িক ছুটি নিয়েছি।
তবু মনের টান কি এড়ানো যায়?

মাঝে মাঝে অতিথি হিসেবে এসে লুকিয়ে লুকিয়ে লেখা পড়ে যাই।

আপনার এই পোষ্টটা আমাকে মন্তব্য করতে বাধ্য করল।
এমন চমৎকার একটা পোষ্টের জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ। হাততালি
সত্যি মনের কোথায় যেন ছুঁয়ে যায় ছবিগুলো।

ভাল থাকবেন। আশা রাখি জানুয়ারি থেকে নিয়মিত দেখা হবে। হাসি
-----------------------------------------------------------------------------
৫ নম্বরের ক্লিপটা নিয়ে বিস্তারিত একটা পোষ্ট দেখেছিলাম মনে আছে। কেউ লিঙ্ক দিলে ভাল হয়।

অরফিয়াস এর ছবি

৫ নম্বরের ছবিটা নিয়ে বিস্তারিত পোস্ট আমারই ছিলো। এই লেখাতেও লিঙ্ক দেয়া আছে। এখানে আবার দিচ্ছি-

তিয়ানানমেন স্কয়ার এর সেই প্রতিবাদী মানুষটি

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

ইয়ে, মানে...
ত্থুক্কু ত্থুক্কু।
এইবারে আঠা লাগাইয়া দিলাম।

সম্ভব হইলে এইরম পোষ্ট আরও দিয়েন।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।