[আইজ্যাক আসিমভ আমার অন্যতম প্রিয় লেখক। তার 'হাঊ ডিড উই নো' সিরিজের 'যেভাবে আমরা জানলাম পৃথিবী গোলাকার' বইটি অনুবাদের একটি প্রচেষ্টা নিলাম। তিন পর্বে সমাপ্ত করার আশা রাখি]
পৃথিবী কি সমতল?
বহুকাল আগে, মানুষ ভাবত পৃথিবী বুঝি সমতল। কেননা তা দেখতে সমতল সমতলই লাগে।
রানা প্লাজা দুর্ঘটনার অল্প ক'দিন পরের কথা, তখন আমি উত্তরা ক্রাইম ডিভিশনে কর্মরত। শুক্রবারে সাধারণত আমি অফিস করিনা,তবুও ওদিন গিয়েছিলাম আলিয়স ফ্রসেসে।ফ্রেঞ্চ স্পিকিং দেশগুলোতে ইউ এন মিশন করতে গেলে ফ্রেঞ্চ জানা বাধ্যতামূলক- এটা শুনে খোঁজ খবর করতেই যাওয়া। ফেরার পথে হঠাৎ শুনি আমার মোবাইল ফোনে কে জানি বার বার চেষ্টা করছে। কিঞ্চিৎ বিরক্ত হয়ে কয়েকবার রিসিভ করলাম, কথা ঠিকমত শোনা যাচ্ছিলন
এ এক অদ্ভুত আদালত। শুধু সত্য উদঘাটনই এখানে একমাত্র লক্ষ্য নয়। আসলে সত্যের সংজ্ঞাটাই গেছে বদলে কারণ প্লুরালিজমের এই যুগে একটা মাত্র সত্যের পিছু ধাওয়া করাটা একটু কষ্টসাপেক্ষই। চীনের বড় একটা কারখানার অ্যাসেম্বলি লাইনে যখন লাখে লাখে হুবহু একই রকম দেখতে টেলিভিশন সেট তৈরি হয়, তখন সেখান থেকে কোনটা অরিজিনাল আলাদা করাটা অসম্ভব। আসল-নকলের সম্পর্কটাই এখানে অনেকটা ঝাপসা। বলা যেতে পারে, এই কয়েক লাখ টেলিভিশন সে
গত কয়েকদিন ধরে রিভিউ পেপার কীভাবে লিখতে হয় তা নিয়ে ভাল প্যাড়ায় আছি। অনেক নিয়ম কানুনের ডামাডোল পিটিয়ে যখন লেখা শেষ হয়, নিজেই নিজের রিভিউ দেখে বলে উঠি, "ক্যামনে কি?"। যাই হোক রিভিউ নামে এই অখাদ্য জমা দিয়ে হাতে খালি সময় নিয়ে ব্লগ ফেবুতে নিয়মিত হওয়া শুরু করলাম কিছুদিন আগে। গত ৪ মাসের স্বভাববশতঃ শুরুতেই একটু অনুপ্রেরণা তথা বিখ্যাত "motivation of study" মার্কা ছোট একটি প্যারা দিতে মন আনচান করে উঠছে।
লেখকরা অনেক সময়ই লেখার প্রয়োজনে একটি ঘটনা বর্ণনার সময় মূল ভাব ঠিক রেখে নিজের মত করে রং তুলির আঁচরে লেখাটাকে ফুটিয়ে তুলেন। এখানে তা করা হয়নি। একটি সত্য ঘটনা কোনরুপ পরিবর্তন না করে উপস্থাপন করা হয়েছে)
সাম্প্রতিক সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরুদ্ধাচরণ করে একটি গোষ্ঠী দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে । সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জীবনকে ব্যাহত করার যাবতীয় চেষ্টা করছে । যা জাতির জন্য অমঙ্গল বয়ে আনবে বলে আমার আশঙ্কা হয় । যুদ্ধাপরাধীদের উপযুক্ত বিচার ও স্বাধীনতা বিরোধীদের এ ষড়যন্ত্র থেকে জাতিকে রক্ষা করার প্রয়াস অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার পথকে সুগম করবে । উপর্যুক্ত প্রসঙ্গে আ
আর কতো লাশ দেখবো আমরা?
দেখুন যে এপ্রন পড়ে আমরা রোগী বাঁচানোর শপথ নেই তা আজ জানোয়ারদের হামলায় রক্তাক্ত।
ঘরটা অন্ধকার। এর দেয়াল কাঁচের। এর ভিতর যে বসে আছে সে কিছু দেখছে না। কাঁচের অপর পাশে যারা বসে আছে তারা তাকে দেখছে। দেখছে ৩৫ বছর বয়সী এক লোক বসে রয়েছে কাঁচ ঘেরা ঘরের ভিতর। সুঠাম দেহ। চোখ দেখলে মনে হয় সেখানে রয়েছে এক অদ্ভুত শীতলতা। কোন দয়ামায়া নাই সেখানে। আসলেই তাই। এই লোকটা একটা ঠাণ্ডা মাথার খুনি। এ পর্যন্ত ৪৭ জনকে হত্যা করেছে সে। তার টার্গেট একাকী পথিক। রাস্তার পাশ থেকে তুলে নিয়ে তাদের তিল তিল করে নির্যাতন করে হত্যা করে এবং তাদের রান্না খেয়ে ফেলত।
বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্মের সাথে বেদনাদায়ক ইতিহাস আছে । আমরা বাঙালি, বাংলা আমাদের মাতৃভাষা । বাংলার ইতিহাস সুপ্রাচীন । বাঙালির অতীতগাথা অত্যন্ত সমৃদ্ধ । আমাদের ভাষারীতি উঁচুমানের । বাঙালির আরও আছে শিল্পকলা আর সংস্কৃতির নিজস্ব ধারা । তবুও আমাদের একটি বড় অপ্রাপ্তি ছিল, স্বাধীনতা নামক এক মুকুটমণির অভাব ছিল । প্রায় দু’শ বছরের ঔপনিবেশিক শাসনের নাগপাশ ছিন্ন করে বাঙলা তথা ভারতমাতা বৃটিশদের হাত থেকে মু