রাত ২ টা ৩৭ মিনিট। ঠাহর করতে পারছি না এখন ঠিক কোন জায়গায় আছি। বাস চলছে বাতাসের চেয়েও দ্রুত গতিতে। বাসের সবাই মোটামুটি গভীর ঘুমে নিমজ্জিত। আমার পাশের সিটে বসা সহযোদ্ধা বেশ আরাম করেই ঘুমাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। পিচের উপর দিয়ে বাসের দ্রুত ঘুর্নায়মান চাকার দ্বারা সৃষ্ট শব্দের কারনে হয়তো তার নাক ডাকার শব্দটা আমার কানে আসছে না।
(শুরুতেই নিজের পরিচয় দিয়ে নিই- এই অধমের নাম মাসরুফ হোসেন, আমি বাংলাদেশ পুলিশের একজন ছোটখাটো চাকুরে। "উর্দিপরা লোকগুলো ইন্টেলেকচুয়ালি নানারকম সীমাবদ্ধতায় ভোগে"- এই কথাটি আমার জন্যে সর্বাংশে সত্য।তবুও,বিচিত্র পু্লিশ জীবনের নানা ঘটনা আপনাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেয়ার উদ্দেশ্যেই খানে লেখার দুঃসাহস করছি।উল্লেখ্য,এখানে লেখা মতামতগুলো একান্তই আমার ব্যক্তিগত, এর সম্পূর্ণ দায়দায়িত্ব আমার নিজের।)
বই রিভিউঃ পৃথিবীর পথে পথে
গ্রন্থকারঃ তারেক অণু
প্রকাশকঃছায়াবীথি, বইমেলা ২০১৪
১.
ট্রেনে চড়লেই নিঝুমের ঘুম পায়; দেশে থাকতে এই অভ্যাসটা ছিল না, জার্মানিতেই এই নতুন অভ্যাসটা তৈরি হয়েছে। চার-পাঁচ জন মিলেও যদি ট্রেনে চড়ে, তবুও আশাপাশের গল্পকে পায়ে ঠেলে সে ঘুমিয়ে পড়ে; আর একা থাকলে তো কথাই নেই। তবে মাঝে মাঝে এর ব্যত্যয় ঘটে; আর তখন দড়জার দিকে তাকিয়ে যাত্রীদের উঠানামা দেখে কিংবা জানালার দিকে তাকিয়ে কখনো অতীত দেখে আর কখনোবা দেখে ভবিষ্যত।
The past actually happened. History is what someone took the time to write down.- A. Whitney Brown
'সিরাজুদ্দৌলা' রোলটা ছেড়ে দেয়ার চাপা কষ্ট শীত শীত দুপুর টা উপভোগ করতে দিলোনা !
মাতব্বরের ছেলের কথায় উচ্চবাচ্চ করে কি করে !
এমনিতেই পানুর দিকে চোখ ছোকরার ।
করুক সিরাজ ।
ডোবাবে , ডোবাক !
আমার কি !
বাড়ির সামনে অলস সময়ে একটা ফিলযফিক্যাল স্বান্তনা খুঁজে রফিক !
পাশের বাড়ির বেড়ার ওপাশে পানুর নড়াচড়া টের পায় !
সামারটা পুরোপুরি শুরু হয়ে যাওয়ার আগেই ভাবলাম যে উইন্টারের কিছু ছবি দিয়ে দেই। এর আগে বরফ দেখেছিলাম লন্ডনে প্রথম। কিন্তু এত বরফ জীবনে প্রথম দেখলাম কানাডায় এসে। লন্ডনের বরফ তো তার তুলনায় নস্যি। প্রথম প্রথম সবাই খুব ভয় দেখাতো যে এখানে অনেক ঠান্ডা পড়ে। যতটা না ভয়, তার চে অনেক বেশী কৌতুহল নিয়ে অপেক্ষা করেছিলাম "অনেক বেশী" ঠান্ডার জন্য। কিন্তু সেবার অত বেশী ঠান্ডা পড়লো না, তবে বরফ পড়লো অনেক। ম
মধ্যযুগের খোঁয়াড়ে আজ
নব্যযুগের জীবগুলো
'ভাবনার উপর খাজনা বসাও'
লেজ নাড়িয়ে কয় হুলো ।
এক খাঁচাতেই বন্দি সবাই
মাংসাশী আর শাকাশী,
হুলো ঘোরায় শাষণছড়ি,
বাদবাকি সব জলখাসী ।
সংখ্যাগুরু গবাদিরা
গোবর ছাড়ে আরামে
ধীমান গরু ধ্যান করে আর
গাভী ভোগে ব্যারামে ।
ক্ষ্যাপা বলে, 'স্বাধীনতা,
জ্যান্তো বাঁচো নয় মরো'
হুলো শুধু চোখ পাকায়,
'চুতমারানি চুপ করো' ।
যাদের মনে দ্বিগুন জ্বলে