সাম্প্রতিক ইভ-টিজিং( ইন্টারনেটে স্কুলছাত্রীকে চড় দেবার ভিডিও ) প্রসংগেঃ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ০৮/০৪/২০১৪ - ১২:৫৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(শুরুতেই নিজের পরিচয় দিয়ে নিই- এই অধমের নাম মাসরুফ হোসেন, আমি বাংলাদেশ পুলিশের একজন ছোটখাটো চাকুরে। "উর্দিপরা লোকগুলো ইন্টেলেকচুয়ালি নানারকম সীমাবদ্ধতায় ভোগে"- এই কথাটি আমার জন্যে সর্বাংশে সত্য।তবুও,বিচিত্র পু্লিশ জীবনের নানা ঘটনা আপনাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেয়ার উদ্দেশ্যেই খানে লেখার দুঃসাহস করছি।উল্লেখ্য,এখানে লেখা মতামতগুলো একান্তই আমার ব্যক্তিগত, এর সম্পূর্ণ দায়দায়িত্ব আমার নিজের।)

( আমার আজকের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে খানিকটা সংক্ষিপ্ত ও পরিবর্তিত)

আমি দেশের বাইরে অবস্থানকালে ফেসবুকের “মজা লস” পেইজে একটি ন্যাক্কারজনক ভিডিও দেখতে পাই যেখানে একজন স্কুলছাত্রীকে তার এক সহপাঠী চড় মারে। আপাতঃদৃষ্টিতে এটাকে খুন বা ধর্ষণের মত ভয়াবহ কোন অপরাধ বলে মনে না হলেও একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে অনুভব করি- এটি ওই মেয়েটি এবং গোটা সমাজের প্রতি কত ভয়াবহ একটি অন্যায়।“ এই দেশে একটা মেয়ের গায়ে হাত তুলে সেটা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়ে পার পেয়ে যাওয়া যায়”- এটি যেন আমাদের গোটা সমাজের বিবেকের গালেই চপেটাঘাতের মত।

দেশে আসার সঙ্গে সঙ্গে মজা লস টিমের সহৃদয় এ্যাডমিন প্যানেল এবং সদস্যদের সহায়তায় আমরা ওই ছেলেটির যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করি। এরপর আমাদের ডিসি স্যারের অনুমতিক্রমে এবং এডিসি স্যারের তদারকিতে আমাদের অফিসার এসআই মনির মাত্র চার ঘন্টার মধ্যে ওই কালপ্রিটকে গ্রেপ্তার করে।অপরাধীকে এত দ্রুত গ্রেপ্তার করার জন্যে আমি আমাদের অফিসারের সাথে সাথে সেই সব বিবেকবান নাগরিকদের ধন্যবাদ দিতে চাই, যাঁরা নিজ থেকে আমাদেরকে তথ্য এবং সময় দিয়ে সহায়তা করেছেন।২০০ বছরের কলোনিয়াল শাসনের কারণে পুলিশের সাথে সাধারণ মানুষের দূরত্ব একটি নিষ্ঠুর বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মাথায় রেখেও আপনারা যেভাবে আমাদের সহায়তা করেছেন তা নিঃসন্দেহে প্রনিধানযোগ্য। পুলিশের সাথে দেশের সাধারণ নাগরিকদের সম্প্রীতির যে নজির এই ঘটনার মাধ্যমে স্থাপিত হল, আমি আশা করি এই বীজ একদিন মহীরূহ হয়ে দেখা দেবে, বাংলাদেশের পুলিশ হবে বিশ্বের সবচাইতে বন্ধুত্বপূর্ণ পুলিশ।

এবার আমি নিজের কিছু ব্যক্তিগত মতামত আপনাদের কাছে প্রকাশ করতে চাইঃ

১) অনেকেই আমাকে “ঘটনার পেছনের ঘটনা” অনুসন্ধান করতে বলেছেন। “কেন ছেলেটা এই কাজ করল, মেয়েটাও নিশ্চয়ই খুব খারাপ”- এধরণের ডজনখানেক মেসেজ আমি পেয়েছি।আমি সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, কোন কারণই একটি মেয়েকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা এবং সেই ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেবার মত জঘন্য কাজকে জায়েজ করেনা।এটি আইনতঃ দণ্ডনীয় একটি অপরাধ এবং আইন এই ব্যাপারে অত্যন্ত কঠোর। যারা এধরণের বিকৃত চিন্তা করে থাকেন তারাও মনে মনে একেকজন অপরাধী, শুধু ধরা পড়ার অপেক্ষায় আছেন। যেদিন আপনারা ধরা পড়বেন, প্রার্থনা করুন সেদিন আপনাদের কেসের তদারকিতে যেন আমি বা সমমনা কোন অফিসার না থাকি।

২) ক্যান্টনমেন্ট জোনে (খিলক্ষেত এবং ক্যান্টনমেন্ট থানা) ইভ টিজিং-এর মূল উৎপাটন করতে আমি এবং আমার অধীনস্ত অফিসারেরা বদ্ধপরিকর।আমার নিজেরও একটি ছোট বোন আছে, ওর প্রতি এরকম কিছু করা হলে আমি যে ব্যবস্থা নিতাম- আমার এলাকায় কেউ ইভ টিজিং করলে তার বিরূদ্ধে ঠিক একই রকম ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমি এই লেখার পাঠকদের অনুরোধ করছি, ক্যান্টনমেন্ট এবং খিলক্ষেতে ইভ-টিজিং এর কোন ঘটনা আপনাদের কানে আসলে সঙ্গে সঙ্গে সরাসরি আমাকে জানান। আমি কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেবার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।

৩) মনে রাখবেন, ইভ টিজিং এর প্রতিকার চাইলে সমাজ যদি ভিকটিমকে বাঁকা চোখে দেখে তবে সেটা সমাজের দোষ, ভিকটিমের নয়। আপনার আশেপাশের সমাজ যদি এরকম পঁচে যাওয়া আচরণ করে সেক্ষেত্রে সমাজকে অগ্রাহ্য করতে শিখুন। পুলিশ আপনার পাশে আছে এবং থাকবে।

স্ট্যাটাসটি এখানেই শেষ।এবার সচল পাঠকদের উদ্দেশ্যে এই গরীবের সামান্য নিবেদনঃ

ক) আমি আমার এলাকাকে ( ক্যান্টনমেন্ট জোন, খিলক্ষেত ও ক্যান্টনমেন্ট থানা নিয়ে গঠিত) সম্পূর্ণরূপে ঈভটিজিং( এবং অন্যান্য অপরাধ) থেকে মুক্ত করতে চাই। আমার সরাসরি এলাকা না হলেও গুলশান বিভাগের অফিসার হিসেবে আমি ক্যান্টনমেন্ট, খিলক্ষেত ছাড়াও বনানী, ভাটারা, বাড্ডা আর গুলশান থানা এলাকাতে ঈভ টিজিং বা যৌন হয়রানি প্রতিরোধে পুলিশি সহায়তা দিতে আগ্রহী। আমি একেবারেই নবীন কর্মকর্তা ( চাকুরির বয়েস তিন বছরের একটু বেশি) , ২০০ বছরের জঞ্জাল রাতারাতি পালটে দেবার ক্ষমতা আমার নেই। কিন্তু কোথাও না কোথাও তো শুরু করতে হবে!

খ) বাংলাদেশ পুলিশের হাজারটা বদনাম এবং সীমাবদ্ধতার কথা আমি জানি, বুঝি এবং স্বীকার করে নিই। এইসব কিছু মাথায় নিয়েই আমার ক্ষুদ্র যেটুকু সামর্থ্য আছে সেটুকু নিয়ে সেটুকু দিয়ে কাজ করতে আমি আগ্রহী। সচলে অনেক সদস্য আছেন যাঁরা বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে আমাদেরকে সহায়তা করতে পারেন।এই পরামর্শগুলো অফিসিয়ালি রেকর্ড করার জন্যে আমার অফিসে একটি রেজিস্টার চালু করেছি। আপনাদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি আমার অফিসে এসে এখানে আপনার পরামর্শ লিপিবদ্ধ করার জন্যে। আমি বসি ক্যান্টনমেন্ট থানার উপরের তলায়, আশে পাশে থাকলে চা এবং লাঞ্চ টাইমে আসলে লাঞ্চের আমন্ত্রণ রইলো!

গ) কয়েকটা পুলিশ পেইজের ঠিকানা দিচ্ছিঃ

https://www.facebook.com/tahsinmashroofhossain - এটা এই গরীবের পেইজ।

https://www.facebook.com/dmp.dhaka- এটা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অফিসিয়াল পেজ। স্বয়ং কমিশনার স্যার নিয়মিত দেখে থাকেন।

https://www.facebook.com/gulshan.crime.div- এটা গুলশান ক্রাইম ডিভিশন তথা আমার বর্তমান কর্মস্থলের পেইজ।

https://www.facebook.com/acpatroluttara- উত্তরা ক্রাইম ডিভিশনের পেইজ।

ঘ) ক্যান্টনমেন্ট ও খিলক্ষেত এলাকায় পুলিশি সহায়তা পেতে আমার সরকারী নম্বরঃ ০১৭১৩৩৯৮৩৪২

সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

মাসরুফ হোসেন
সহকারী পুলিশ কমিশনার
ক্যান্টনমেন্ট জোন
গুলশান ক্রাইম ডিভিশন
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ

ছবি: 
24/08/2007 - 2:03পূর্বাহ্ন

মন্তব্য

চরম উদাস এর ছবি

হাততালি
রবোকপ, বাংলাকপ, সুপারকপ সব কিছু হবার জন্য অন্তর থেকে ধন্যবাদ।

অতিথি লেখক এর ছবি

উদাস-দা, আপনার লেখাগুলা সেই আগে থেকে পড়ি আর হেসে কুটিকুটি হই।এই গরীব সুপারকপ টপ কিচ্ছু না, সাধ্যে যেটুকু কুলায় অল্পবিস্তর চেষ্টা চালাচ্ছি আরকি। দোয়া করবেন!

সত্যপীর এর ছবি

অনেক ভালো থাকুন মাসরুফ হোসেন। একবুক আনন্দ নিয়ে পোস্ট পড়িনা অনেকদিন হয়।

..................................................................
#Banshibir.

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার ইতিহাসনির্ভর গল্পগুলো কি যে ভালো লাগে! ঠগীদের নিয়ে পলিসশ একাডেমিতে থাকতে অল্পবিস্তর পড়াশোনা করেছিলাম, আপনার ঠগীদের নিয়ে লেখা গল্পটা পড়ে কঙ্কালের উপর রক্তমাংস দেখার অনুভূতি হয়েছিল-এতটাই জীবন্ত! অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।

rubai এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ও আপনার সহকর্মীদের । আপনারা থাকলে বাংলাদেশ বদলাবেই। গুরু গুরু হাততালি

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার প্রতিও কৃতজ্ঞতা, ভাই।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

আপনাকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করব না। অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি, আশাবাদী হয়েছি। আপনার উদ্যোগ জারি থাকুক।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

অতিথি লেখক এর ছবি

আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।

রিক্তা এর ছবি

মাসরুফ তোমাকে (তুমি করে বললাম, যতদূর মনে পরে আগেও তুমি করে সম্বোধন করেছি) না দেখলে গল্প, উপন্যাস, সিনেমায় দেখানো পুলিশের একটা বাস্তব ভারশন আছে তা বিশ্বাসই হতো না! তোমাকে এতো ভালো ভালো কাজ দেখে আমার পুলিশ হতে ইচ্ছা হয়! গুরু গুরু আমি নিশ্চিত তুমি এইভাবে একদিন বাংলাদেশ বদলাতে পারবে, তোমাকে দেখে আরো অনেকে অনুপ্রানিত হবে। ধন্যবাদ দেওয়ার যোগ্যতা নাই। যদি কখনো আমাদেরকে কোন কাজে লাগে জানিও প্লিজ।

--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার দয়ার্দ্র কথাগুলোর জন্যে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা, আপু।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

সুপারকপ-কে সচলে স্বাগতম। আপনার কাজ এবং বিশেষ করে আজকের লেখার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি সুপারকপ-টপ নই রে ভাই, অতি সামান্য মানুষ। ভালো থাকবেন।

রাগিব এর ছবি

অনেক অনেক অভিনন্দন। আপনাকে সুপারকপ বললেও কম বলা হয়। আরো যদি এমন পুলিশ থাকতো ...

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

অতিথি লেখক এর ছবি

রাগীব ভাই, অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি এখানে আপনার মন্তব্য পেয়ে। আমি সুপারকপ নই ভাই, অতি সাধারণ মানুষ। নিজের অবস্থান থেকে যেটুকু পারি চেষ্টা করছি। আমাদের সঙ্গে থাকুন।

সচল জাহিদ এর ছবি

চলুক চলুক চলুক


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ, ভাই!

অতিথি লেখক এর ছবি

যেখানে আপনার কলিগরা ফারাবী নামক প্রকাশ্যে হুমকি দাতাকে ধরতে কুণ্ঠাবোধ করে , যেখানে আমাকে বিদেশ আসার আগে এক পাসপোর্ট করার ছোট কাজে পুলিশ ভেরিফিকেশনে হেনস্থা সহ ডিরেক্টলি হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়েছিল সেখানে আপনার এই কাজটা সত্যিই অনেক প্রশংসনীয় , অনেক।

আশাবাদী হতে ইচ্ছে করে ।

রাজর্ষি

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাই, আমার এলাকায় এধরণের কিছু হলে আমি অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। ভালো থাকবেন।

শেহাব এর ছবি

উর্দির লুচির সাথে, ভালমানুষের চপ,
এই হল আমাদের সুপার কপ!

অতিথি লেখক এর ছবি

হাহাহাহাহাহা, ছড়াটা পড়ে মজা পেলাম!

তাসনীম এর ছবি

আজকের দিনটা নানান কারনে খারাপ যাচ্ছিল। কিন্তু সকালে অফিসে আসার আগে এই নিউজটা চোখে পড়ে, সম্ভবত বিডিনিউজে। দিন শুরু করার জন্য দারুণ একটা খবর।

বিকালে সচলের পাতা খুলে আসল হিরোর লেখা পাওয়া সারাদিনের ঝামেলার পরিসমাপ্তি মনে হচ্ছে। মাসরুফ সাহেব, আমার অভিবাদন নিন। আপনি একদম ঠিক কাজটা করেছেন, এই সময়ে সঠিক কাজ করার মতো সাহস বা ইচ্ছে অনেকেরই থাকে না।

আশা রাখি আমার প্রিয় শহরের পুলিশ বিভাগ আপনার মতো অনেক অনেক অসাধারণ অফিসার পাবে ভবিষ্যতে।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি অসাধারণ অফিসার নই, ভাই- বাংলা সিনেমার ডায়ালগের মত "নিজের দায়িত্ব পালন করছি মাত্র"।তবে আমি গর্বিত অসাধারণ একটা দেশের মানুষের কিছুটা সেবা করতে পেরে। অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

অসাধারণ কাজ করেছেন, করছেন। খুবই ভালো লাগল। ফেসবুকের কল্যাণে আপনার কিছু উদ্যোগের সাথে আগে থেকেই পরিচিত। আশা করব সফলভাবে সব বাস্তবায়ন করতে পারবেন; এবং যেমনটা এই পোস্টেও বললেন, পুলিশের সাথে সাধারণ মানুষের দূরত্ব ধীরে ধীরে কমিয়ে ফেলা সম্ভব হবে। হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ব্যাপক অভিনন্দন। সেই সাথে আপনাকে নিয়ে ভয়ও হচ্ছে। বেশী ভালো হয়ে গেলে আবার কারো চোখ না টাটায়। জনসংযোগের অংশ হিসেবে এই লেখাটির জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। এভাবেই পুলিশের সাথে জনগণের দূরত্ব কমিয়ে আনতে হবে।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমরাও তাই চাই। ভালো থাকবেন ভাই।

তীরন্দাজ এর ছবি

সমাজের এই সব জঞ্জাল বিনাশে আপনার ও আপনাদের সাফল্য কামনা করি।

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

অতিথি লেখক এর ছবি

আশা করি ইভ টিজিং সমূলে বিনষ্ট হবে। আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা রইল।

সাম্য এর ছবি

চলুক

--------------------------------
বানান ভুল থাকলে ধরিয়ে দিন!

অতিথি লেখক এর ছবি

হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনাদের মত কিছু সুপারকপ আছে বলেই দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পরেও আমরা আশা ছাড়ি না। এক চুটকিতে হয়ত সবকিছু বদলে যাবে না কিন্তু থেমে থাকবে না।
সাফল্য কামনা এবং অভিনন্দন রইল।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি সুপারকপ নই, ভাই, সামান্য সেবকমাত্র। আমাদের সঙ্গে থাকুন।

জি.এম.তানিম এর ছবি

সচলে স্বাগতম।

অভিনন্দন ও শুভ কামনা। চলুক

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।

mephisto এর ছবি

কুদোস!!!
-মেফিস্টো

অতিথি লেখক এর ছবি

হাসি

জলের ফোঁটা এর ছবি

যাকে ধরেছেন, যেভাবে ধরেছেন অবশ্যই ধন্যবাদ পাওয়ারযোগ্য। কিন্তু ইন্টারনেটে ফারাবী'র আজ অমুকে কাল তমুকে "হত্যা করা হবে" মূলক হুমকীগুলো আমলে নিয়ে তাকে গ্রেফতারের ব্যবস্থা নিলে ব্লগারগন স্বস্তি পেত।

হুম, এটা সত্যি এই হুমকীদাতা আপনার থানায় নয় মন খারাপ
--------------
জলের ফোঁটা।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি চাই ভদ্রলোক আমার এলাকায় আসুন, তারপর দেখা যাবে।আই মীন ইট।

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

এমন পুলিশই তো আমরা চাই।
অভিনন্দন মাসরুফ।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

অতিথি লেখক এর ছবি

সেই ছেলেবেলা থেকে আপনার ছড়া পড়ে এসেছি, স্যার! আমি ধন্য!

এক লহমা এর ছবি

হাততালি

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

অতিথি লেখক এর ছবি

হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

মাসরুফ ভাই,

অনেক অনেক অভিনন্দন আর শুভকামনা আপনার জন্য ।

চালিয়ে যান, ভালো থাকুন।

-পিয়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার প্রতিও শুভকামনা, ভাই!

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনার এবং আপনার মত আর সবার জন্য শুভ কামনা রইলো। এভাবে প্রত্যেকে নিজ নিজ অব্স্থান থেকে এগিয়ে এলে স্বপ্নের বাংলাদেশ আমরাই গড়তে পারবো।

দূরত্ব কমিয়ে আনার উদ্যোগ হিসেবে এখানে লেখা দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। শে্যার দিলাম আরো ছড়িয়ে দেয়ার জন্য।

____________________________

অতিথি লেখক এর ছবি

দূরত্ব থাকাটাই উচিত নয়, পুলিশের হওয়ার কথা মানুষের সবচাইতে কাছের বন্ধু।আমরা চেষ্টা করছি ভাই, আমাদের সাথে থাকুন।

সুবোধ অবোধ এর ছবি

আপনাকে একটা চেক মাইরা স্যালুট!! যাই হোক, লেখা টা পড়তে পড়তে অদ্ভুত শান্তি লাগছিল বুকের ভেতর! গুরু গুরু
ভাল থাকবেন, আর অবশ্যই সাবধানে থাকবেন ... হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

আমিও চেক দিয়া স্যালুট নিলাম!

দুর্দান্ত এর ছবি

অনেক অভিনন্দন।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ ভাই!

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ছোট ছোট উদ্যোগ বড় কাজ সম্পন্ন করার প্রাথমিক পদক্ষেপ। একজন দু'জন উদ্যোগী সাহসী মানুষ ভবিষ্যতে একটা দক্ষ, জনমুখী, পেশাদার বাহিনী গড়ে তোলার প্রাথমিক পদক্ষেপ।

যাদের পূর্বসূরীরা ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে প্রতিরোধ যুদ্ধ করেছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের নয়টা মাস সাধারণ মানুষদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দুর্জয় যোদ্ধা বানিয়ে তুলেছিলেন। যাদের পূর্বসুরীদের মধ্যে শহীদদের তালিকা করলে আকাশছোঁয়া টাওয়ার হবে, তাদের উত্তরসূরীরা কেন দক্ষ, উদ্যমী, সৎ, নির্ভীক, দেশপ্রেমিক, জনগণের বন্ধু হতে পারবেন না!


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সুবোধ অবোধ এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ আমাদের সবচাইতে বড় অনুপ্রেরণা। পুলিশি কাজে বিশাল রকমের বধা যখন আসে আমি তখন খালি এটা ভাবি, আমার কাজ কি রাজারবাগে ব্রিটিশ আমলের রাইফেল নিয়ে ট্যাঙ্ক আর মেশিনগানে মুখোমুখি হওয়া আমার পূর্বসুরী পুলিশ অফিসারদের চাইতেও কঠিন? সঙ্গে সঙ্গে যাবতীয় দ্বিধা দূর হয়ে যায়- অন্য এক সাহস অনুভব করি বুকে। পান্ডবদা, আপনার প্রতি অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা সেই গৌরবের কথা মনে করিয়ে দেবার জন্যে। এর উপর একটি বই আছে- নক্ষত্রের রাজারবাগ, আমাদের এক অফিসারের লেখা। চাইলে দিতে পারি।

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

আমার সংগ্রহে একটা বই আছে, 'মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা' সম্পাদনা: এ এস এম সামসুল আরেফিন। পুলিশ হেড কোয়ার্টার্স, বাংলাদেশ কতৃক প্রকাশিত। পৃষ্ঠা সংখ্যা - ৯৩৬।

এক লহমা এর ছবি

সহমত

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

দেব প্রসাদ দেবু এর ছবি

হেডস্‌ অফ্‌! গো এহেড! চলুক শুভকামনা।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ, ভাই!

অতিথি লেখক এর ছবি

এইটা কিডা??!!!! শিজ্ঞিরি ইনবক্স করেন!

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হাততালি হাততালি হাততালি

[ সচলে স্বাগতম, মাস্ফ্যু'দা দেঁতো হাসি ]

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার ফেসবুকে আমার কোন এক বন্ধু আপনার উত্তরার কর্মকান্ড সংক্রান্ত একটি পোষ্ট শেয়ার করেছিল কিন্তু দেখিনি। তারপর ক্যান্টনমেন্ট থানায় বদলির পর আপনার একটা পোষ্ট (এটাও কেউ শেয়ার করেছিল) দেখি এবারও দেখিনি কিন্তু ইভ টীজিং সংক্রান্ত পোষ্টা পাবার পর বিস্তারিত দেখতে আগ্রহী হই।
অবাক যে হইনি তা না কারন পুলিশ সংক্রান্ত আমাদের সকলের ধারনা বিশেষ ভালো নয় তবে সবাই যে অসৎ তা কখনো ভাবিনি। সবাই অসৎ হলে কর্তব্য পালনরত অবস্থায় পুলিশের মৃত্যুর খবর আমরা পেতাম না।

হিন্দি বিশেষ করে তামিল মুভিতে প্রায়শ দেখি একজন পুলিশ অফিসার কতোনা হিরো ইজম দেখায় কিন্তু বাস্তবে যে তা হবার নয় তা বুঝি । কিন্তু জানেন মাঝে মাঝে হতাশায় কষ্টে অভিমানে ইচ্ছে করে যদি আমি এমন হতাম বা কোন সুপার হিরো তাহলে ঠেঙ্গিয়ে সব সিধা করে দিতাম।

আপনি সুপার কপ কি না জানি না কারন তা প্রমান করতে আপনার আরো সময় লাগবে কিন্তু আপনি যে একজন ডিজিটাল কপ তা নিঃসন্দেহে। আর এই ধারাবাহিকতায় আপনি অবশ্যই সুপার কপ হবেন।

ষষ্ঠ পান্ডবের কথার সুর ধরে বলছি আপনারা আপনাদের সেই পূর্বসুরীদের আত্নদানের কথা ভুলে যাবেন না প্লিজ , সেই গৌরবগাথাকে আরো সামনের দিকে নিয়ে যাবে এই আশা করি। আপনার চলার পথে নিজ পেশার আপনার মতো আরো অনেককে সম্পৃক্ত করুন । সুদিন অবশ্যই আসবে। আমরা আছি আপনার সাথে।

অভিমন্যু .
________________________
সেই চক্রবুহ্যে আজও বন্দী হয়ে আছি

অতিথি লেখক এর ছবি

অভিমন্যু ভাই,

বাংলাদেশ পুলিশ নিয়ে আমার মত বোকা কিছু অফিসাররা যারা স্বপ্ন দেখি, আমাদের অবস্থা অনেকটা সপ্তরথীর অন্যায় সমরে চক্রব্যুহে আটকে পড়া অভিমন্যুর মতই। ২০০ বছরের কলোনিয়াল ভূত আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে- তবুও এগিয়ে যাচ্ছি মুক্তিযুদ্ধের অমর প্রেরণায়। আমি মোটেও সুপারকপ নই, সামান্য সেবক মাত্র। আমাদের সঙ্গে থাকুন প্লিজ!

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাই আমি আপনাকে বা আপনাদের ছোট করতে চাইনি আসলে বিশ্বাস ভেঙ্গে এমন অবস্থায় দাঁড়িয়েছি তাই হুট করে বিশ্বাস করতে ভয় হয় , কিন্তু আপনাকে বা আপনাদের মত এই বোকারাই আছে বলে আমার দেশ এখনও মাথা উঁচু করে পৃথিবীর বুকে দাড়িয়ে আছে। আর এই বোকাদের নির্দ্বিধায় বিশ্বাস করতে পারি। ২০০ বছর পর যদি ইংরেজদের তাড়াতে পারি তাহলে ঠিক একদিন এর ভুতকেও পারবো। মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে জন্ম হয়েছে যে দেশ, সেই দেশকে কেউ পিছিয়ে রাখতে পারবেনা।

ভাই আমরা সত্যি আপনাদের সাথে আছি আর থাকবোও।

ভাই প্রকৃত সেবক হতে যোগ্যতা লাগে যা আপনার আছে।

অভিমন্যু .
________________________
সেই চক্রবুহ্যে আজও বন্দী হয়ে আছি

অতিথি লেখক এর ছবি

সত্যিই একবুক আনন্দ নিয়ে পড়ার মত পোষ্ট!

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ ভাই!

অতিথি লেখক এর ছবি

আচ্ছা এই ছেলের সর্বোচ্চ শাস্তি কী হতে পারে? কারণ এই ছেলে তো ১৮ বছরের নিচে। বাংলাদেশের আইনে এর সর্বোচ্চ শাস্তি কী হতে পারে??

সাইদ

অতিথি লেখক এর ছবি

কিশোর আদালতের বিচারক এটি নির্ণয় করবেন।

তাহসিন রেজা এর ছবি

অনেক ভালো থাকুন মাসরুফ ভাই।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”

অলীক জানালা _________

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনিও নিরাপদ থাকুন

অতিথি লেখক এর ছবি

হাততালি
চলুক

খুব সম্ভব এটিএন বাঙলায় আপনার এক সাক্ষাৎকার দেখে মুগ্ধ হয়ে আপনাকে নিয়ে অনেক আগে ফেসবুকে একটা লেখা দিয়েছিলাম। আপনি এবং আপনার মতো সৎ সাহসী পুলিশ অফিসার রাই পারবে বহুদিন ধরে চলতে থাকা পুলিশ সম্পর্কে ধারণা বদলে দিতে। শুভেচ্ছা নিরন্তর।

মাসুদ সজীব

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার শুভকাম্নার জন্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি সচলায়তনে অনেকদিন হল লিখি না, একটা মাত্র লেখা লিখেছিলাম। কিন্তু আপনার এই লেখাটা পড়ে অনেক্ষন খোঁজাখুজি করে পাসওয়ার্ডটা বের করলাম। কাজ হলো না। আবার খোঁজাখুঁজি করে নতুন আইডি খুললাম।

শুধু একটা কথা বলার জন্য, আমার চোখে সত্যিই পানি এসে গেছে। এমন মানুষ কতদিন দেখি না???

আর হুঁ, আরেকটা কথা, এইটা আমার খুব প্রিয় একটা কোটেশন। যদিও আমার মত ছোট মানুষের মুখে এসব কথা মানায় না, তবুও বলবই।

"You were born an Original,
Don't die a copy"
- John Mason.

হাঁতুড়ে কবিরাজ।

অতিথি লেখক এর ছবি

কোটেশনটা অসাধারণ লেগেছে। চেষ্টা করব, ভাই!

তারেক অণু এর ছবি

সচলে স্বাগতম। অন্য অভিজ্ঞতা কথা গুলোও ভাগাভাগি কইরেন আমাদের সাথে।

অতিথি লেখক এর ছবি

হ, করুমনে। আচেন কিমুন?? চোখ টিপি

শাফায়েত এর ছবি

দারুণ। পুলিশকে নিয়ে আমরা কথায় কথায় হাসাহাসি করলেও সম্ভবত কিছু ভালো পুলিশ দিয়ে দেশের চেহারা অনেকটা পাল্টে দেয়া সম্ভব, আপনার জন্য শুভকামনা থাকলো, গল্প-সিনেমার পুলিশের মতোই অপরাধীর আতংকে পরিণত হয়ে যান :-)।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমরা চেষ্টা করব, আমাদের সঙ্গে থাকুন।

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

কি যে ভালো লাগল আপনার লেখাটা পড়ে, মনটা খুব ভালো হয়ে গেল। আপনাদের মত মানুষেরা আছে জন্যই এখনও ভালো কিছুর স্বপ্ন দেখি।
সাবধানে থাকবেন ভাই।
শুভেচ্ছা রইল।

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা রইলো, ভাই।

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

নতুন আলোর দিশারীর জন্য রইল আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ, ভাই।

মর্ম এর ছবি

সব সময়ই মনে হয় উর্দিপরা মানুষগুলো চাইলে অনেক অনেক বেশি ভাল করার ক্ষমতা রাখে। আপনি চাইছেন যখন, পারবেন নিশ্চয়ই।

আপনার নাম একেবারেই অপরিচিত নয়- ফেসবুকে প্রথমবার শেয়ারে পোস্ট পেয়ে "এ-কে-রে-বাবা?", এরপর "ভালোই-তো-করছে", "এমনই-তো-হওয়া-উচিত", "নাহ!-ভাল হচ্ছে"- এমন অনেকগুলো ধাপ আপনি শুধু আমার মনে পেরিয়েছেন তা বোধ হয় না- মন্তব্য আর শেয়ার বলছে আরো অনেকেরই বেলাতেই পেরিয়েছেন।

বাংলাদেশ পুলিশে যে বদলের হাওয়া আসছে সেটা প্রথম টের পাই জীবনে প্রথমবারের মোট নীলক্ষেত থানায় গিয়ে, সেই ২০০৯ সালে। আইডি হারিয়ে জিডি করার জন্য হাজির হয়ে যখন দেখলাম পুলিশের কর্মকর্তা সহাস্যমুখে কথা বলছেন, কী সমস্যা তা শুনে সমাধানের চেষ্টা করছেন- এমনকি একটা ডিপার্টমেন্টও আছে আলাদা এর জন্য, বলতে নেই, যার পর নাই অবাক হয়েছিলাম।

তা সেই পুলিশ যে ফেসবুক পেইজ খুলবে, মানুষের উপকার করার চেষ্টা করবে, ব্লগে এসে মুক্ত মতামত পাওয়ার চেষ্টা করবে, নিজেদের অভিজ্ঞতা নাগরিকদের সাথে শেয়ার করবে এ আর এমন কী অবাক করার!

আপনার জন্য অপরিসীম শ্রদ্ধা রাখেন এমন অনেক মানুষ অনলাইনে আছেন, আপনি সেই শ্রদ্ধাটুকু ধরে রেখে আপনার ক্যারিয়ারের শেষ করতে পারেন যেন- এর চে বড় শুভকামনা আমার জানা নেই। আপনি পথ হারালে সেই মানুষগুলো কিছুই বলবে না, শুধু একটু দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলবে, কিন্তু এখনকার 'আপনি' হয়ত জানেন এই মানুষগুলোর হারানোর মাত্রাটা কতটুকু।

'যুবরাজ' নামে একজন এখানে লিখতেন, খুব সম্ভবত সেনাবাহিনীতে ছিলেন, তারপর স্বনামে আপনি ছাড়া কাউকে লিখতে দেখিনি এখানে। আপনার পথচলা সচলায়তনে দীর্ঘতর হোক।

আর সুপারকপ-এর থেকে চরম উদাস-দার 'বাংলাকপ'টাই আমার বেশি ভাল মনে হল! ভাল থাকুন। চলুক

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

অতিথি লেখক এর ছবি

"আপনার জন্য অপরিসীম শ্রদ্ধা রাখেন এমন অনেক মানুষ অনলাইনে আছেন, আপনি সেই শ্রদ্ধাটুকু ধরে রেখে আপনার ক্যারিয়ারের শেষ করতে পারেন যেন- এর চে বড় শুভকামনা আমার জানা নেই।"- সবচাইতে বড় শুভকামনাটি আপনিই করলেন। অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।

পরশ এর ছবি

স্যালুট!!

রায়হান আবীর এর ছবি

জাস্ট ধন্যবাদ মাস্ফু ভাই হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

এইখানে যাস্ট আইলো কৈথিকা রে হয়রান??!!!

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

মাশরুফ ভাই, অবশেষে সচলে এলেন। যাক ভরসা পাচ্ছি। ধন্যবাদ আপনার পোস্টের জন্য।

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতায় পুলিশবাহিনীর কর্মকান্ডে স্বভাবতই আমিও কিছুটা হতাশ। এর মাঝে আপনার মত একজনের অঙ্গিকারে সত্যিই আনন্দিত ও আশাবাদি। আপনার মঙ্গল কামনা করছি আর সাথে আশা করছি আপনার এ অঙ্গিকার ও শ্রম সার্থক হবে। চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার এই অসামান্য উদ্যোগ অন্য সকলের জন্য ( পুলিশ এবং সাধারন মানুষ তো বটেই ) অনুপ্রেরনা উৎস হোক । এই কামনা রইলো ।

দস্যু ঘচাং ফু ।

তুলিরেখা এর ছবি

সত্যি করে মনে ভালো হয়ে যায় এমন পোস্ট পড়লে। অনেক শুভেচ্ছা আর অভিনন্দন।

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

সুমন_সাস্ট এর ছবি

যারা এধরণের বিকৃত চিন্তা করে থাকেন তারাও মনে মনে একেকজন অপরাধী, শুধু ধরা পড়ার অপেক্ষায় আছেন।

এই কথাটা খুব মজা লাগলো।

আর আপনার কাজের প্রশংসা আলাদা করে আর কি করবো, অন্যরা ইতিমধ্যে সব প্রশংসা করে ফেলেছে।

আমি মনে করি বড় কিছু করার জন্য পৃথিবীতে একটা চিন্তাই লাগে, যেটা আপনি বললেন,

কোথাও না কোথাও তো শুরু করতে হবে!

এই চিন্তাটা সবসমই ধরে রাখাই সব।

--
মাগো তুমি রেখো জেনে, এই আমরাই দেব এনে,
আঁধারের বাধা ভেঙে রাঙা ভোর, রোদ্দুর মাখা দিন।

http://www.youtube.com/watch?v=8OB_uPY4i4M

হযবরল এর ছবি

সাকিব আল হাসান কয়েক লাখ টাকা বেতন ভোগ করে বলে আমাদের উপর বেশী আশা করবেন না। সেই একই সময় যখন দেখি সরকারী পে-স্কেলের বেতনভোগী পুলিশ দেশ পাল্টে দেওয়ার স্বপ্ন দেখে, বিস্মিত হই। আশাবাদী হই নিজেদের নিয়ে। অনুযোগ না করে, দেশ পাল্টে দেবার আপনার যে স্বপ্ন, এই স্বপ্নের মূল্য অনেক। কারণ এই স্বপ্ন ছড়িয়ে যায় একজনকে ছেড়ে, অনেকে।

মাসরুফ হোসেন এর ছবি

হযবরল ভাই, আমাদের লড়াইটা অনেকটা রিলে রেসের মত, আমরা যেটুকু পারি এগিয়ে নিয়ে যাবো, এরপরে যখন আমাদের হাত থেকে ব্যাটন পড়ে যাবে, অন্য কেউ সেটা তুলে নেবে। আমাদের সঙ্গে থাকুন!

নীড় সন্ধানী এর ছবি

পুলিশ নিয়ে বদনামের সংখ্যাটা সুনামের কয়েকশোগুন বেশী। অধিকাংশ থানায় দেখেছি পুলিশের সাথে অপরাধীর যতটা নৈকট্য, নিরীহ মানুষের সাথে তার চেয়ে অনেক বেশী দূরত্ব। ক্রিমিনালরা থানা আর আদালতে বুক ফুলিয়ে হাঁটবে, আর নিরীহ মানুষ অপরাধী মুখে ঘুরবে, এটাই বাংলাদেশের পুলিশ বাস্তবতা। এরকম একটা দেশে একজন বিপরীত চেহারার পুলিশ আমাদের কিরকম অবাক করেছে সেটার প্রমাণ এই পোষ্টের মন্তব্যগুলো। আপনার জন্য অনেক শুভ কামনা মাসরুফ! বাংলাদেশের পুলিশকে বদলে ফেলার স্বপ্ন সফল হোক আপনার। চলুক

এবার একটা নগদ টিজিং প্রতিরোধ পরামর্শ চাই।
আমার এক আত্মীয়কে মোবাইল টিজিং করা হচ্ছে, অশ্লীল মেসেজ দেয়া হচ্ছে বেশ কিছুদিন ধরে। যে নাম্বার থেকে মেসেজ আসে, উনি সেই মোবাইল কোম্পানীতে অভিযোগ করলেন, ওরা বললো অনিবন্ধিত নাম্বার ধরা সম্ভব না। তাছাড়া অধিকাংশ সময় ফোনটা বন্ধ থাকে। দিনের কোন একটা সময়ে শুধু এসএমএস দেয়ার জন্য খোলা হয়। তারপর সারাদিন বন্ধ। এই জাতীয় মোবাইল ট্রেস করা সম্ভব না। কেউ কেউ বলছে থানায় জিডি করতে, অথবা ডিবিতে জানাতে। কিন্তু বাঘে ছুঁলে আঠারো ঘা, পুলিশে ছুঁলে ছত্রিশ ঘা, সেই ভয়ে উনি কিছু করতে পারছেন না। আপনি কি একটা পরামর্শ দিতে পারেন কি করা উচিত?

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

এইসব লেখা স্বপ্ন দেখায় হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালো টপিক, লিখাটাও ভালো। অসাধারন।

সদস্যনামঃ Jon Rulz

মাসরুফ হোসেন এর ছবি

নীড় সন্ধানী ভাই, উপরে আমার নম্বর দেয়া আছে- দয়া করে ফোন করুন।আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব আপনাকে সহায়তা করতে।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

আমি আপনার ফেসবুক পেজে বিস্তারিত মেসেজ দেবো। তারপর ফোনে কথা বলবো।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

সৃষ্টিছাড়া এর ছবি

কেমন স্বপ্নের মতো লেখাটা! গায়ে চিমটি কেটে দেখলাম একদম জেগে আছি হাসি! আপনাকে নিয়ে গর্ব হচ্ছে। দোয়া করি আপনার জীবন নিরাপদ হোক। আপনার স্বপ্ন গুলো সত্যি হোক!

মাসরুফ হোসেন এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ, ভাই!

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

প্রিয় মাসরুফ হোসেন,
টেকনোলজি ব‌্যবহার করে একটি জং ধরা প্রতিষ্ঠানে সামান্য হলেও গতি এনেছেন সেজন্য প্রথমেই শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আপনার অধীনস্ত এলাকায় ইভটিজিং বন্ধ করবার প্রতিজ্ঞা, ফেইসবুক এবং ব্লগের মাধ্যমে জনসংযোগ এসবই ভালো বিষয়।

যে বিষয়ে আমি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করবো সেটা হলো, এই ব্লগে এবং ফেইসবুকে আপনি স্বনামে ফিডব্যাক চেয়েছেন। কিন্তু আবার বলছেন যে, এগুলো অফিসিয়াল না। এতে করে কনফিউশন তৈরীর সুযোগ থাকে। আমি আপনাকে পরামর্শ দিবো, হয় অফিসিয়ালি অনুমতি নিয়ে এই অনলাইন এক্টিভিটি পরিচর্যা করুন, অথবা ছদ্মনামে এই চমৎকার পদক্ষেপটি জারি রাখুন।

আপনার পদক্ষেপ অনুসরন করে বাংলাদেশ পুলিশের অনেক কিছু করার আছে। টেকনোলজির সর্বোত্তম ব্যবহার এখন প্রয়োজন। আপনার খাতা বা লগ একটি ভালো পদক্ষেপ হলেও তার পরিধি সীমিত। বাংলাদেশ পুলিশের একটা অ্যাপপ থাকলে আরো দ্রুত জনগন আপনাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারতো।

অতিথি লেখক এর ছবি

মুর্শেদ ভাই,

১) কনফিউশন তৈরির কোন সুযোগ নেই। আমি কোথাও বলিনি এগুলো অফিশিয়াল না, আমি শুধু বলেছি যে এগুলো আমার ব্যক্তিগত মতামত। এখানে ব্যক্তি আমি বলতে "সহকারী পুলিশ কমিশনার" মাসরুফ হোসেনকে বোঝাচ্ছে।
পুলিশে চাকুরি করার একটা বড় অসুবিধা হচ্ছে, আমি যদি কোন দোষ করি তখন একা আমাকে দোষ না দিয়ে গোটা পুলিশ বাহিনীর উপরে দোষ চাপানো হবে যে "পুলিশ অমুক খারাপ কাজটা করেছে"।আমি চাইনা যে এখন বা ভবিষ্যতে আমার কোন ভুলের দায় গোটা বাহিনীর উপরে পড়ুক।এ কারনেই উপরোক্ত ডিসক্লেইমার।

২) আমি অফিসিয়াল অনুমতি নিয়েই আমার অনলাইন এ্যাক্টিভিটি পরিচালনা করছি। অনলাইনের মাধ্যমে ফিডব্যাক নিয়ে জনগণকে সেবা দেবার ব্যাপারে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার স্যারের পূর্ণ সম্মতি আছে।এই ব্লগের মাধ্যমে কেউ আমার কাছে সহায়তা চাইলে তা যদি আইনে কভার করে সেক্ষেত্রে আমি অফিসিয়াল ক্যাপাসিটিতেই তাকে সহায়তা করব- যেমনটি হয়েছে ওই ইভ টিজারকে গ্রেপ্তার করার সময়।

৩) বাংলাদেশ পুলিশের প্রথম এ্যান্ড্রয়েড এ্যাপ চালু হয়েছে ২০১৩ সালের নভেম্বরের কাছাকাছি সময়ে এবং এই প্রজেক্টের ইনিশিয়েটর ও কোঅর্ডিনেটর ছিলাম এই অধম। বুয়েটের কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার তারিক এবং তন্ময়ের আইডিয়া এবং কারিগরি তত্বাবধানে প্রথমে উত্তরার ছয়টি পুলিশ স্টেশনে একটি এ্যাপ চালু হয় যেটিতে শুধু ফোন নম্বর নয়, গুগল ম্যাপে আপনার বর্তমান স্থান থেকে নিকটস্থ তিনটি পুলিশ স্টেশনের যাত্রাপথ চিনহিত করে দেয়া হত। এক ক্লিকে আপনি ওই নিকটস্থ থানার ডিউটি অফিসার এবং ওসির কাছে সহায়তা চাইতে পারবেন। ওসি যাতে আপনাকে সহায়তা করে সেজন্যে স্বয়ং কমিশনারের নির্দেশের আয়োজন করা হয়। উত্তরায় এই এ্যাপের সাফল্যে তারিক ও তন্ময় গোটা ঢাকার জন্যে ( ৪৯ টি থানা) “ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ” নামে একটি এ্যাপ তৈরি করে, যেটি এবছর জানুয়ারিতে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। বর্তমানে প্রায় ৫০,০০০ মানুষ এটি ব্যবহার করছে। এ্যান্ড্রয়েড ছাড়াও বাকি প্ল্যাটফর্মে এই এ্যাপ তৈরির কাজ শেষ এবং এ মাসের ভেতরেই তা ছেড়ে দেয়া হবে।

নীচের লিঙ্কে দেখুনঃ

https://play.google.com/store/apps/details?id=bd.com.elites.dmp

ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।

মাসরুফ হোসেন

( বি: দ্রঃ আমার পরবর্তী ব্লগ পুলিশের এই এ্যান্ড্রয়েড এ্যাপ ও এটার সাহায্যে অপরাধ দমনের কিছু বাস্তব অভজ্ঞতা নিয়ে)

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।