এই ছড়াতে ছন্দ আছে, অশ্লীলতার গন্ধ আছে, বাঁইচা গেছেন যাদের দুচোখ বন্ধ আছে…
ছোট ছোট দু-লাইনে, মনটা কারো দুলাই নে, তবুও যদি একটু খানিক মনটা কারো দোলে… আসেন আমার কোলে!
০১.
ভ্রু কুঁচকে যতই কর শাসন...
এবার হবে "৮" নাম্বার আসন!
০২.
উঠে দুই পাহাড়ে,
কী আনন্দ আহা রে!
০৩.
নাও নামালাম ছোট্ট সরু খালে,
একটু পরেই পানি পাব হালে!
০৪.
ধরুন চেপে জয়েস্টিক...
শুনতে পাবেন নয়েস ঠিক!
০৫.
পাহাড়চূড়ার স্বপ্ন দেখে...
ভূতের যেকোনো ঘটনা শুনলেই আমাদের আগ্রহ জাগে অতি স্বাভাবিক কারণে। সহ্যশক্তির মধ্যে ভয় পেতে আমরা ভালোবাসি।
আমার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা একটু অন্যরকম। ভয়ের আনন্দটা নেয়ার পাশাপাশি আমি আসলে ভিন্ন কোনো এক পৃথিবীর আভাস খুঁজে বেড়াই। একটা বিশ্বাস আমার ভেতরে প্রবলভাবে বসবাস করে, আমাদের এই চোখে দেখা, কানে শোনা, হাতে ছুঁয়ে অনুভব করা পৃথিবীর পাশাপাশিও আরো এক বা একাধিক পৃথিবী (প্যারালাল ওয়ার...
হিমু কদিন থেকেই বলছিলেন ভূতের গল্প লেখার জন্য। প্রহরীও খোঁচাচ্ছিল। কিন্তু গল্প শুরু করে শেষ করতে যে বেশ সময় কেটে যায়। সেরকম লম্বা সময় হাতে পাওয়া ভারী মুশকিল হচ্ছে। গল্প লেখা চলুক, ভাবলাম, এই ফাঁকে আমার নিজের এই ক্ষুদ্র সাধারণ জীবনে যে ছোটখাটো কয়টা ভৌতিক অভিজ্ঞতা হয়েছে সেগুলো লিখে ফেলি না কেন?
অভিজ্ঞতা-১
আমার বয়স তখন আট কি দশ হবে। আমরা থাকতাম বাসাবো-কমলাপুরের কাছাকাছি মায়াকানন...
বেশি-ই-ই-ই...
বাড়িস না রে পাইক্যা!
ভদ্র হইয়া বইস্যা ছিলাম
মুক্ষে ছিপি কইষ্যা ছিলাম
এবার যামু বাঁইক্যা!
রাইত নামতেই চোরের মতো
ঢুইক্যা আমার দেশে
মাইরা মানুষ এখন ঘুরস
ভদ্রলোকের বেশে?
সেই ইতিহাস সবাই জানে
যতই রাখস ঢাইক্যা!
বেশি-ই-ই-ই...
বাড়িস না রে পাইক্যা!
নিরস্ত্র সব মাইরা মানুষ
সাজছিলি খুব বীর?
মুক্তিসেনার একটি ঠাপেই
তোর পাছা চৌচির!
সেই পাছাটা ঢাকার কাপড়
এই দুনিয়ায় নাইক্যা!
বে...
সাতসকালে জি-চিঠি খুলিয়া অকস্মাৎ এক চিঠি দেখিয়া আঁতকাইয়া উঠিলাম!
বহু ফাঁকি মারিয়াছি, এইবেলা বুঝি মান যায়, প্রাণ যায়...
বহুকাল ছড়া লিখি না। লিখিবার আয়াস মিলে না, আয়াস মিলিলে আয়েস করিতে মন চায়। কলম হস্তে ধারণ করিলে স্মরণ হয়, কিবোর্ড ভিন্ন লেখা আমার ক্ষমতায় অসম্ভব হইয়া উঠিয়াছে, আবার কিবোর্ড লইয়া বসিলে বোর্ডে কী লিখিব তাহা এই নগদ ঘিলুটার চারপাশ হাতড়াইয়াও কিছু সন্ধান পাই না!
তাহার পরও ...
কালকে একজন এসে ধরে নিয়ে গিয়েছিল লাসিন নদীর পারে বেড়াতে।
ভারী চমৎকার একটা পার্ক সেখানে।
পুরোটা ঘুরতে পারি নি।
আবার যাব।
এর আগে আরো একদিন একখানা নগদ পিকনিকে গিয়েছিলাম।
সেসব ছবি তুলে ফেসবুকে তুলেছি বিধায় আর দিলাম না।
তিনদিন পার হলে দেব।
যাই হোক, লাসিনের পারে দাঁড়িয়ে এবং পার্কের ভেতরে থেকে তুলে আনা ছবিগুলো ভাগাভাগি করলাম সবার সাথে।
জায়গাটা আসলেই সুন্দর।
বেশ একটা মনের শান্ত...
এক আনাড়ি শিকারি। কিন্তু সবাইকে ভাব দেখায় সে খুব পাকা শিকারি। তার খুব শখ সে শিকার করবে। তো একবার নদীতে চর জেগেছে, আর সেই চরে বকও পড়েছে।
শিকারি একটা নৌকা ভাড়া নিয়ে গেল বক শিকার করতে। রওনা হল চরের দিকে।
ঐ এলাকার মাঝিরা যথেষ্ট অভিজ্ঞ। কারণ অনেক সময় অনেক শিকারি আসে। মাঝিরাও তাদের নিয়ে যায় চরে। নৌকা থেকে কাছাকাছি জায়গায় নেমে বা নৌকা থেকেই বক শিকার করে তারা। মাঝিরা তাই অভ্যস্ত হেল্পার...
এই ছড়াতে ছন্দ আছে, অশ্লীলতার গন্ধ আছে, বাঁইচা গেছেন যাদের দুচোখ বন্ধ আছে…
ছোট ছোট দু-লাইনে, মনটা কারো দুলাই নে, তবুও যদি একটু খানিক মনটা কারো দোলে… আসেন আমার কোলে!
০১.
ঢেলেছিলাম সাদা পানি...
তাতেই হল কালাপানি!
০২.
মেয়ে তুমি বড়ই চিট...
ফিতায় দেখি মরা গিঁট!
০৩.
শিল্পী তুমি অন্ধকারে
শিখাচ্ছিলে ছন্দ কারে?
০৪.
যা ঘটেছে আদরে...
চিহ্ন আছে চাদরে!
০৫.
এই কথাটা মিছা না রে...
ভালোবাসার ওজন নিতে ভ...
হ্যালো, ইমরান!
শারমিন... এক্ষুনি ফোন দিতে যাচ্ছিলাম তোমাকে!
ইন্টারভিউ কেমন হল?
হে হে... দুর্দান্ত! চাকরিটা পেয়ে গেছি আমি!
সত্যি?
হা হা হা, ইয়েস ম্যাডাম, সত্যি! এইমাত্র সাইন করে আসলাম কাগজে, আমার পকেটে অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার!
এত দ্রুত হয়ে গেল সব?
আরে আমাকে দারুণ পছন্দ করেছে ওরা... বেতন কত ধরেছে, জানো? তুমি শুনলে বিশ্বাসই করবে না!
কত বল না... প্লিজ... কত?
সত্তুর হাজার... বুঝলে? সত্তুর হাজার! আমার ত...
অফিসে বসে সকালবেলাতেই ভারী গল্প জমে উঠেছিল। কাজের সেরকম কোনো চাপ নেই। চেয়ার ঘুরিয়ে গোল করে বেশ একটা আড্ডার মতো বসেই আমরা গল্প করছিলাম।
আমার পাশের টেবিলে বসে এরিক। এরিক জার্মানির ছেলে। দারুণ জমিয়ে গল্প বলতে জানে। পর পর তিন-চারটা মজার গল্প বলে হাসতে হাসতে আমাদের পেটে খিল ধরিয়ে দিল।
এরপর শুরু হল তার নিজে...