কর্তামশাই

নাশতারান এর ছবি
লিখেছেন নাশতারান (তারিখ: সোম, ২০/০৯/২০১০ - ১:৪০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মূল গল্প: আন্তন চেখভের দি হেড অফ দ্য ফ্যামিলি


জুয়ায় হেরে অথবা পাল্লা দিয়ে মদ গিলে পেটের বারোটা বাজিয়ে থমথমে গুমোট মেজাজে দিন শুরু করাটা স্তেপান স্তেপানিক জিলিনের রীতিমতো নিয়মে দাঁড়িয়ে গেছে। সকাল থেকেই একটা তেতো রঙ চেপে বসে থাকে তার খিটখিটে, আলুথালু, তোবড়ানো ফ্যাকাশে চেহারায়। খুব ধীরে ধীরে সে কাপড় পরে, ঝলমলে ফরাসি জলে ছোট ছোট চুমুক দেয়, তারপর বাড়িময় পায়চারি করে বেড়ায়।

“কোন জ্‌-জানোয়ার দরজাটা বন্ধ না করেই বেরিয়ে গেলো শুনি!”, রাগে গজগজ করতে করতে, গাউনটা গায়ে জড়াতে জড়াতে আর সশব্দে থুথু ফেলতে ফেলতে সে বলে। “খবরের কাগজটা নিয়ে যা এখান থেকে! ওটা এখানে পড়ে আছে কোন দুঃখে? চাকর পুষি কুড়িজন আর বাড়িটা নোংরা সরাইখানা হয়ে থাকে। বেল বাজালো কে? পাজির হদ্দ কোথাকার!”

 

“আনফিসা, আমাদের ফেদিয়ার দাইমা”, তার স্ত্রী জবাব দেয়।

 

“সারাক্ষণ ফ্যা ফ্যা করে আগেপিছে ঘুরঘুর করতে থাকে এগুলো … হতভাগা চামচার দল!”

 

“তোমাকে নিয়ে না আর পারি না। তুমি নিজেই ওকে রেখেছ আর এখন বাজে বকছো।”

 

“আমি মোটেও বাজে বকছি না। আমি কথা বলছি। আপনি হাতের উপর হাত রেখে বসে বসে ঝগড়ার পাঁয়তারা না করে বরং কাজে মন দেন গে, যান। মেয়েমানুষদের বোঝা আমার সাধ্যের বাইরে! কিছুতেই বুঝি না আমি! কামকাজ না করে বেহুদা সময় নষ্ট করা কী করে সম্ভব? পুরুষমানুষ ষাঁড়ের মতো কাজ করবে, গ্‌-গাধার মতো গতর খাটাবে আর তার বউ বসে থাকবেন পটের বিবি সেজে। বসে বসে খেয়ালখুশিমতো স্বামীর সাথে ঝগড়া খুঁচিয়ে তোলার তালে থাকবেন তিনি। বেগমসাহেবা, এসব ছেলেমানুষি  কাজকারবার ছাড়েন এইবার। আপনি তো আর ছোট্ট খুকিটি নেই। আপনি এখন একজনের বউ, একজনের মা। কোথায় যাচ্ছেন, শুনি! সত্যটুকু শোনার সাহস নেই বুঝি?”

 

“তোমার লিভার ঝামেলা পাকালেই তুমি সত্যবাদী হয়ে ওঠো কি না, তাই।”

 

“বেশ, এখন সেটা নিয়ে ত্যানা পেঁচানো শুরু করো তাহলে।”

 

“তুমি কি অনেক রাত করে বাড়ি ফিরেছিলে? নাকি তাস খেলেছিলে?”

 

“যদি বলি, হ্যাঁ, তো? তাতে কার কী? আমার সব কাজের হিসেব দিতে কি আমি বাধ্য? আমি তো নিজের পয়সাই উড়াই, নাকি? এই সংসারের খরচাপাতির পয়সা যেমন আমি কামাই, ওই পয়সাও আমিই কামাই! মনে থাকবে?”

 

এভাবেই চলতে থাকে প্রতিবার। রাতের খাবারের সময় যখন বাড়ির সবাই টেবিলে জড়ো হয় তখনই কেন যেন স্তেপান স্তেপানিকের যুক্তিবোধ, নৈতিকতা আর দৃঢতা চাগিয়ে ওঠে সবচেয়ে বেশি। শুরুটা হয় সাধারণত স্যুপ দিয়ে। এক চামচ মুখে তুলেই ভ্রূ কুঁচকে চামচ নামিয়ে রাখে।

 

“ধুর”, বিড়বিড় করে বলে সে, “বাইরে গিয়ে খেলেই পারতাম!”

 

“কী হলো?”, তার স্ত্রী ব্যস্ত হয়ে জিজ্ঞেস করে, “স্যুপ ভালো হয় নি?”

 

“শুয়োরেও খায় না এ জিনিস! লবণ তো নাই-ই … তার উপরে পচা গন্ধ … পেঁয়াজ না, যেন পোকামাকড় দিয়ে রাঁধা … আনফিসা বেগম, আমার গা গুলাচ্ছে এ জিনিস খেয়ে”, সে বলতে থাকে, “কাঁড়ি কাঁড়ি পয়সা ঢালি এই সংসারে … নিজের জন্য এতটুকু খরচ করি না, এই কি না তার প্রতিদান! আমি কি এখন কাজবাজ ছেড়ে নিজেই রান্নাঘরে গিয়ে হাঁড়ি ঠেলব?”

 

“আজকের স্যুপটা তো অনেক ভালো হয়েছিলো”, ভয়ে ভয়ে বলে আনফিসা।

 

“ও! তাই বুঝি?”, আনফিসার দিকে অগ্নিদৃষ্টি নিক্ষেপ করে জিলিন বলতে থাকে, “তা কী আর বলব? যার যেমন রুচি আরকি! যেমন ধরো, ভারভারা ভ্যাসিলিয়েভনা, এই ছেলেকে নিয়ে তো তুমি খুব সন্তুষ্ট, তাই না?(ফেদিয়ার দিকে বিশ্রীভাবে নির্দেশ করে জিলিন), আমার তো একে সহ্য হয় না, তোমার তো খুব প্রিয়, না?”

 

ফেদিয়ার বয়স সাত। পাংশুটে, রোগা চেহারার একটা ছেলে। ছলছলে চোখে সে খাওয়া থামিয়ে দেয়। মুখটা আরেকটু ফ্যাকাশে হয়ে যায় তার।

 

“জানি, তুমি খুব খুশি একে নিয়ে। আমার অসহ্য লাগে। তুমি ঠিক না আমি, সেটা পরের কথা। কিন্তু বাবা হিসেবে ছেলেকে তোমার চেয়ে ভালো চিনি আমি। চেয়ে দেখো, ভদ্রঘরের ছেলেরা কি এভাবে বসে? এই ছেলে, ঠিকমতো বসো!”

 

ফেদিয়া চিবুক তুলে ঘাড় সোজা করে নিজেকে আরো ভদ্র করে তুলতে চেষ্টা করে। তার কান্না পায়।

 

“খাওয়া শেষ করো! চামচটা ঠিকমতো ধরো! দাঁড়াও। আমিই দেখিয়ে দিচ্ছি। কী একখান ছেলে রে, বাবা! কাঁদবে না বলছি! খবরদার! সোজা আমার দিকে তাকাও!”

 

ফেদিয়ে সোজা বাবার মুখের দিকে তাকানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তিরতির করে কাঁপতে থাকে। চোখের জল আটকাতে পারে না কিছুতেই।

 

“বাহ! কান্নাও পাচ্ছে দেখি! দুষ্টামি করবে, আবার কাঁদবেও! যাও, ওই কোনায় গিয়ে দাঁড়াও! জানোয়ার কোথাকার!”

 

“কিন্তু … ও খেয়ে নিক অন্তত”, ভারভারা বলে ওঠে।

 

“খেতে হবে না! এই হা … এই বদ বাচ্চাকে খেতে দেওয়ার কোনো মানে হয় না।”

 

ফেদিয়া ইতোমধ্যে ভয়ে কুঁকড়ে এতটুকু হয়ে গেছে। সে কাঁপতে কাঁপতে চেয়ার ছেড়ে এক কোনার গিয়ে দাঁড়ায়।

 

“এটুকুই যথেষ্ট নয় গো, খোকাবাবু!”, ফেদিয়ার বাবা বলতে থাকে, “তোমাকে মানুষ করা নিয়ে আর কারো চিন্তা না থাকতে পারে, আমার আছে … আমি তোমাকে বাঁদরামো করতে দেবো না কিংবা খাবার টেবিলে বসে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে দেবো না। আহাম্মক কোথাকার! দায়িত্ব নিতে শিখতে হবে তোমাকে। বুঝলে! দায়িত্ব! বাপের মতো খাটতে শিখতে হবে! বসে বসে অন্ন ধ্বংস করা চলবে না! বি আ ম্যান!”

 

“দোহাই লাগে তোমার, থামো!”, তার স্ত্রী ফরাসিতে বলে, “বাইরের লোকের সামনে আমাদের এভাবে হেনস্থা করো না, অন্তত এই বুড়ির সামনে … এখন সে সারা শহরে ঢোল পিটিয়ে বেড়াবে।”

 

“আমি বাইরের লোকদের ভয় করি না”, জিলিন ফরাসির আড়ালের তোয়াক্কা না করেই বলতে থাকে, “আনফিসা তো দেখছে আমি উচিত কথাই বলছি। তোমার কি মনে হয় এই ছেলেকে নিয়ে আমার খুশি হওয়া উচিত? এর পেছনে কত খরচ হয় আমার, জানো? এই ছেলে, তুমি জানো কী পরিমাণে পয়সা ঢালি আমি তোমার পেছনে? তোমার কি ধারণা? পয়সা গাছে ধরে? এই, টুঁ শব্দ করবে না বলে দিচ্ছি! কথা কানে ঢোকে না? একটা শব্দ করবে তো চাবকে পিঠের ছাল তুলে দেবো, বদমাশ কোথাকার!”

 

ফেদিয়া ডুকরে কেঁদে উঠে ফোঁপাতে থাকে এবার।

 

“অসহ্য”, ন্যাপকিন ছুঁড়ে ফেলে টেবিল ছেড়ে ওঠে ফেদিয়ার মা। “আমাদের শান্তিমতো খেতে দেবে না কখনো! তোমার খাবার আমার গলায় বেঁধে।”

 

রুমাল দিয়ে চোখ মুছতে মুছতে সে খাবার ঘর থেকে বেরিয়ে যায়।

 

“এখন আবার রাগ করা হচ্ছে”, ঠোঁটের কোণে একটা কেঠো হাসি ঝুলিয়ে বিড়বিড় করে জিলিন, “নিজেই আহ্লাদে মাথা খাবে ছেলেটার … আবার রাগও দেখানো হবে। বুঝলে, আনফিসা! এটাই দুনিয়ার নিয়ম … সত্য কথা সয় না কারো … সব দোষ যেন আমারই।”

 

এরপর কয়েক মিনিটের নীরবতা। টেবিলের দিকে চেয়ে জিলিন দেখে কেউ খাবার ছুঁয়েও দেখেনি। একটা দীর্ঘশ্বাস আড়াল করতে গিয়ে চোখ পড়ে গৃহপরিচারিকার বিব্রত চোখে।

“খাবে না কেন, ভারভানা?”, সে শুধায়, “রাগ? আচ্ছা! সত্যি কথা সয় না? তাহলে আমাকে মাফ করে দিও। আমার স্বভাবই এই; ভণ্ডামি পারি না … আমি সত্যি কথা ধুম করে মুখের উপর বলে ফেলি”(দীর্ঘশ্বাস) “কিন্তু এখন দেখছি আমি এখানে থাকি সেটাই কেউ চায় না। আমি থাকলে কারো মুখে খাবার রোচে না … তা আমাকে বললেই তো হতো, আমি আসতামই না … বেশ, আমি চলে যাচ্ছি।”

 

জিলিন উঠে দাঁড়িয়ে দরজার দিকে সদম্ভে পা বাড়ায়। ফেদিয়ার সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় থেমে গেল যে। ফেদিয়া তখনো কাঁদছে।

 

“এখন তো তোমার আর কোনো চিন্তা রইল না, খোকা”, সদর্পে মাথা হেলিয়ে বলে সে, “তোমার লালনপালনের ব্যাপারে আর নাক গলাচ্ছি না আমি। ঘাঁট হয়েছে! তোমার ভালোর কথা ভেবে তোমাকে আর তোমার শুভাকাংক্ষীদের বিরক্ত করেছি বলে মাফ চেয়ে নিচ্ছি। সে সাথে তোমার সব দায়দায়িত্ব থেকে মুক্তি চাচ্ছি …”

 

ফেদিয়া আরো জোরে ডুকরে কেঁদে উঠল। জিলিন শান্ত ভঙ্গিতে শোবার ঘরে চলে গেলো।

 

ডিনারের পর কিছুক্ষণ গড়িয়ে নেওয়ার অভ্যাস জিলিনের। ঘুম ভাঙার পর তার হুঁশ হয়। নিজের স্ত্রী, সন্তান, গৃহকর্মীদের মুখোমুখি দাঁড়াতে সঙ্কোচ হয় তার। এমনকি খাবার টেবিলে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো ভাবতেই শিউরে ওঠে সে। কিন্তু তার অহং তার নিজের চেয়েও বড়। অকপটে ভুলস্বীকার করার মতো সাহসী সে নয়। সে গজগজ করতেই থাকে।

 

পরদিন সকালে দারুণ ঝরঝরে মেজাজে তার ঘুম ভাঙে। খুশিমনে শিস বাজাতে বাজাতে গোসল সারে। “কী খবর, ইয়াং ম্যান? সব ভালো তো? এদিক আয় তো, বেটা। পাপাকে একটা চুমু দে।”

 

ফেদিয়া ফ্যাকাশে, ভীরু চেহারায় কোনোমতে এগিয়ে গিয়ে কাঁপাকাঁপা ঠোঁটে বাবার গাল ছুঁয়ে দেয়। তারপর ফিরে গিয়ে বিনাবাক্যে নিজের জায়গায় বসে পড়ে।

 

 


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

বিয়াফক ভালো লাগল।

পুনশ্চ : লেখার শুরুতে সাদা অংশটা কিসের? চিন্তিত চাইলে মেমোরি স্টিক থেকে একটা ফটুক নিয়ে জায়গাটা ভরাট করে দিতে পারেন। দেঁতো হাসি

কুটুমবাড়ি

নাশতারান এর ছবি

ভালো লাগল জেনে খুশি হলাম। শুরুর অংশটা যে কেন খালি বুঝতে পারছি না। রিচ টেক্সট এডিটরের কারবার মনে হয়। চিন্তিত

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

স্নিগ্ধা এর ছবি

অনুবাদানুবাদ ভালো হইসে খুব! প্রথমে বেশ খানিকটা সাদা অংশ কেন?

নাশতারান এর ছবি

ধন্যবাদ, আপু!
ট্রায়াল এন্ড এরর পদ্ধতিতে ফাঁকা অংশের বিস্তার আর অবস্থান বদলালাম কিছুটা। মূল কারণ ও সমাধান খুঁজে পাই নি এখনো।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অমিত আহমেদ এর ছবি

ফরম্যাটিং এর হিজিবিজি না হয় সরিয়ে দিন। সহজ উপায় হলো নোটপ্যাডে কপি করে এখানে পেস্ট করা। এরপরে শুধু মূল লেখকের নাম ফরম্যাট করে তার নিচে লাইনটা বসিয়ে দেবেন।

নাশতারান এর ছবি

করলাম। ধন্যবাদ!

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

বুনো আমারো একটা লেখায় এমন হয়েছে। ওয়ার্ডে লিখে থাকলে রিচ টেক্সট এডিটরের "Paste from Word" বাটনটিতে ক্লিক করে (ক্লীপবোর্ডের উপর W লেখা) নতুন উইন্ডোতে পেস্ট করে দেখ। সেখানে Ignore Font Face definitions এবং Remove Styles definitions দুটো অপশন সিলেক্ট করা থাকলে এই সমস্যগুলো থাকার কথা না। এখানে দেখ।

আর অনুবাদ চলুক
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

নাশতারান এর ছবি

দেক্লাম। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- দেঁতো হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অমিত আহমেদ এর ছবি

পড়ে আনন্দ পেয়েছি। অনুবাদ ভালো হয়েছে তো বটেই! "ঝলমলে ফরাসি জল" কী? স্পার্কলিং ওয়াইন নাকি?

নাশতারান এর ছবি

উহু। ভিশি ওয়াটার। কার্বোনেটেড মিনারেল ওয়াটার। ফ্রান্সের ভিশি অঞ্চল থেকে উদ্ভূত।

আনন্দ পেয়েছেন জেনে ভালো লাগল।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অমিত আহমেদ এর ছবি

ধন্যবাদ। নিবন্ধটি বলছে "ন্যাচারালি স্পার্কলিং"... ইন্টারেস্টিং!

নাশতারান এর ছবি

নামটার উৎপত্তি হয়েছে ফ্রান্সের ভিশি অঞ্চলস্থ ঝর্ণার ন্যাচারালি স্পার্কলিং জল থেকে। কোনো কোনো কোম্পানি এ নামে মিনারেল ওয়াটার বাজারজাত করে এবং নামের সার্থকতা রক্ষার্থে এতে সোডিয়াম বাই কার্বোনেটসহ নানান খনিজ যোগ করে থাকে।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

ফাহিম এর ছবি

ভাল্‌লাগসে!

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

নাশতারান এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

ভালো লেগেছে অনুবাদ।



অজ্ঞাতবাস

নাশতারান এর ছবি

ধন্যবাদ, বদ্দা!

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

হাসিব এর ছবি
নাশতারান এর ছবি

Smiley

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

কামরুল হাসান রাঙা [অতিথি] এর ছবি

ভাল হইছে।

নাশতারান এর ছবি

আইচ্ছা Smiley

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

কৌস্তুভ এর ছবি

চলুক

নাশতারান এর ছবি

দেঁতো হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

তাসনীম এর ছবি

সুন্দর হয়েছে অনুবাদ।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

নাশতারান এর ছবি

ধন্যবাদ!

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

মর্ম এর ছবি

লেখা একদম লবন হইছে- আয়োডিনযুক্ত লবন! চোখ টিপি

ঝরঝরে, সুন্দর।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

নাশতারান এর ছবি

Smiley

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

ফারাবী [অতিথি] এর ছবি

অনেকদিন পরে আসলাম এখানে। এসেই পেয়ে গেলাম এইটা। অনুবাদ দারুণ প্রাঞ্জল হইছে। চেখভের গল্প আগে পড়ছিলাম, দারুণ লেখাগুলো। তবে এটা আগে পড়ছি বলে মনে পড়ে না।

নাশতারান এর ছবি

খুশি হলাম হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

তিথীডোর এর ছবি

চলুক
দারুণ লাগলো!

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

নাশতারান এর ছবি

Smiley

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অনিকেত এর ছবি

বাহ, বেশ ভাল লাগল!
আরো আসুক---

নাশতারান এর ছবি

ধন্যবাদ, অনিকেতদা!

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অনন্ত [অতিথি] এর ছবি

ভাল লেগেছে।

অনন্ত

নাশতারান এর ছবি

জেনে ভালো লাগলো।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

ফাহিম হাসান এর ছবি

দারুন লাগলো ! চেখভকে ভাল পাই।

টাইপোঃ

সে কাঁপতে কাঁপতে চেয়ার ছেড়ে এক কোনার গিয়ে দাঁড়ায়।

হবে- সে কাঁপতে কাঁপতে চেয়ার ছেড়ে এক কোনায় গিয়ে দাঁড়ায়।

"ঝলমলে ফরাসি জলে" এর বদলে ঝাঁঝালো ফরাসি জলে কেমন শোনায় ?

ফাহিম হাসান

নাশতারান এর ছবি

ধন্যবাদ। তবে টাইপোটা ধরতে পারলাম না। ভিশি ওয়াটার ঝাঁঝালো না সম্ভবত। এর স্বাদ বরং নোনাজলের মতো, বিভিন্ন খনিজ লবণের উপস্থিতির কারণে।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

চলুক
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

নাশতারান এর ছবি

Smiley

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অদ্রোহ এর ছবি

এক লহমায় পড়ে ফেললাম হাসি

--------------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে, সুখের স্রোতে ভাসাও তরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

নাশতারান এর ছবি

ঠিকাছে হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

মুস্তাফিজ এর ছবি

ভালো পাইলাম

...........................
Every Picture Tells a Story

নাশতারান এর ছবি

খুশি হইলাম দেঁতো হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

আব্দুর রহমান এর ছবি

আমার পিতার ছায়া পেলাম কত্তাবাবুর আচরণে, হয়তো ভাষা অনেক মার্জিত, পরিবেশটাও ভিন্ন, তবু পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী হিসেবে তর্জন-গর্জন আবার রাগ পড়ে গেলে বাবাসোনা বলে কাছে ডাকা সবই বড় আপন মনে হল।

------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল

------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল

নাশতারান এর ছবি

গরীবের ঘরে প্রথম পদধূলি দেওয়ার জন্য আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

দ্রোহী এর ছবি

অনুবাদ (গুড়) হয়েছে।


কাকস্য পরিবেদনা

নাশতারান এর ছবি

আহ্‌! আমার প্রথম গুড়! দেঁতো হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

তানভীর এর ছবি

ভালু চলুক

নাশতারান এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

মহাস্থবির জাতক এর ছবি

অনুবাদ খাসা, সাবলীল। কিন্তু, এগল্পটা কেন? পছন্দ হলো না। কত চমৎকার গল্প ছিলো চেকফের।
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

নাশতারান এর ছবি

হে হে হে ... আমি আসলে দৈর্ঘ দেখে অনুবাদ করতে বসেছিলাম। আপনি কিছু গল্প সাজেস্ট করে দিন বরং।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

হাঁস টা বুনো হলেও লেখার ভঙিটা বনেদী!
তাই চেখভের লেখা ভালই চেখে দেখতে পারলাম!

জহিরুল ইসলাম নাদিম

নাশতারান এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- খাইছে

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

আরেব্বাস! বিয়াপক লাগ্লো কিন্তুক! হাসি

-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

নাশতারান এর ছবি

আইচ্চা দেঁতো হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

তুলিরেখা এর ছবি

চমৎকার!
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

নাশতারান এর ছবি

ধন্যবাদ!

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

শেখ নজরুল এর ছবি

অনুবাদ ভালো । ভালো লাগলো অনেক।

শেখ নজরুল

শেখ নজরুল

নাশতারান এর ছবি

জেনে ভালো লাগলো।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ভালো লাগলো
কুন্ডেরা কো?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

নাশতারান এর ছবি

Smiley

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

ওডিন এর ছবি

দুর্দান্ত অনুবাদ হইছে! হাসি

______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

নাশতারান এর ছবি

আহ! দেঁতো হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

guest writer rajkonya এর ছবি

আপু, তুমি রুশ ভাষাও জানো??? অ্যাঁ
সবাই কত্ত কিছু জানে। আমি কিচ্ছু জানি না। মন খারাপ

নাশতারান এর ছবি

আমি ইংরেজি থেকে অনুবাদ করেছি।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।