সচলাড্ডা এবং লিফটে অবরুদ্ধ পঁয়তাল্লিশ মিনিট

ধুসর গোধূলি এর ছবি
লিখেছেন ধুসর গোধূলি (তারিখ: রবি, ২০/০৬/২০১০ - ২:১৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ডোনার্সবুর্গারব্রুকের নিচে এক পায়ে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছি একটি লাল স্মার্ট এবং স্পোর্টস্ কার সদৃশ গাড়ির। অপেক্ষা করছি কারণ, আমাকে তুলে নেয়া হবে এখান থেকেই। আর এক পায়ে দাঁড়িয়ে আছি কারণ, মহান বদ্দা আমাকে 'আদেশ' করেছেন, "দেখছি তুমারে। লাল স্ট্রাইপের গ্যাঞ্জি পরা। ঐ হানেই খাড়ায়া থাকো এক পায়ে। লইড়ো না বাড়া!"

আমি বদ্দার আদেশ আক্ষরিকভাবে পালন করার জন্যই এক পা তুলে খাড়ায়ে থাকি। ডানে বামে তাকাই, গাড়ি তো আসে না। পাশ দিয়ে সাইকেলে করে বেভারিয়ার সুন্দরী বালিকারা যাওয়ার সময় রোদ চশমার আড়াল থেকে এক ঠ্যাঙা আমাকে দেখে, আমি তাদের দিকে মিস্টি করে দাঁত কেলিয়ে দেই। ওরা মুখ ঘুরিয়ে চলে যায়। লজ্জায় না, ভয়ে। বাসে মাঝে মাঝে হাসিখুশি, প্রাণোচ্ছল কোনো বাবুও আমার দন্ত বিকশিত ভেটকি দেখে ভেঁপু বাজিয়ে কেঁদে ওঠে। ভয়ে কিংবা আতঙ্কে।

আমাকে ডোনার্সবুর্গারব্রুকের কাছেই কোথাও নামিয়ে দিয়ে মিটফারার ব্যাটা ভেগে গেছে। অথচ সাথের অন্য দুজন বালিকাকে ঠিকই তারা যেখানে চায়, সেখানেই নামিয়ে দিয়েছে। কেবল আমার বেলাতেই তার এই না-ইনসাফি! পুরুষ হয়ে আর কতোকাল এরকম না-ইনসাফি'র শিকার হবো!

চব্বিশ ঘন্টা পূর্বে...

ভাস্তির জন্মদিন গেলো শুক্কুরবার। থাকতে না পারায় শনিবার খুব সকালে এসে হাজির হয়েছি। যাতে ঘুম থেকে উঠেই সে আমাকে দেখতে পায়। এমনটাই দাবী ছিলো তার। শুক্রবার সারা রাত না ঘুমিয়ে ভোর বেলায় ট্রেন পাকড়ে ভাস্তির ঘুম ভাঙার আগেই ঘরে ঢুকে কফির মগে চুমুক দিতে পেরেছি।

গত বছরের জন্মদিনে একদিন আগেই চলে গিয়েছিলাম। আর এবার মনেই ছিলো না। একটা বছর এতো তাড়াতাড়ি চলে গেলে
আমার কী দোষ!

মিউনিখে যাওয়ার আমন্ত্রণ/নিমন্ত্রণ পেয়ে রুদ্ধদ্বার মিটিংএ দিন, তারিখ, ক্ষণ— সব ঠিক হলে পরে চোখ বুজে অনলাইনে টিকেট কেটে ফেলি বেশ আগেই ভালো একটা অফার পেয়ে। সমস্যাটা তখনও টের পাই নি। অন্ততঃ ভাস্তির সাথে কথা বলার আগ পর্যন্ত। সে কোনো ভাবেই মানবে না, তার জন্মদিনে আমি যাবো না! এই মেয়েরে যতোই যুক্তি দেই, সেও ততো পালটা যুক্তি দেয়। লোভ দেখাই, ও সেদিকে না গিয়ে একটা কথাই বলে, "কিছু লাগবে না, তুমি আসো!"

অবশেষে যাত্রার দু'দিন আগে মিউনিখের টিকেটটা বাতিল করে ফেলি মোটামুটি পঁচিশ ইউরো গচ্ছা দিয়ে।

শুক্রবার সকাল ছ'টা থেকে ম্যারাথন শুরু করে সারারাত না ঘুমিয়ে শনিবার সকালে যখন ভাইয়ের ওখানে পৌঁছলাম, ততোক্ষণে আমি পুরো বিধ্বস্ত! ঘন্টা দেড়েক পর পুরো বাড়ি জাগলে আমি আর থাকতে না পেরে বিছানা পেতে ধপাস!!

আমি যখন ঘন্টা খানেক ঘুমিয়ে নেয়ার জন্য বিছানায় শরীর এলিয়ে দিয়েছি, তার কাছাকাছি সময়েই মিউনিখ থেকে জনগণ রওনা হয়ে গেছে অস্ট্রিয়ার উদ্দেশে, এরকমই প্ল্যান ছিলো। আমি তাদের সাথে অস্ট্রিয়া না গিয়ে ভাইয়ের বাসায় ঘুমে তলিয়ে যাই।

ঘন্টা দুই-তিন পরে চোখ ডলতে ডলতে বারান্দায় গিয়ে দেখি নিচে কোকাকোলা মার্কা ছত্রীর নিচে কিচিরমিচির। আমি "ক্যাডা রে" বলে চিক্কুর দিতেই ছাতার ফাঁক দিয়ে মুখ বের করে ভাস্তি নিচে যেতে বললো। খালি পায়েই নেমে গেলাম পেছনের উঠানে। অনেকদিন পর নরম দূর্বায় পায়ের ছোঁয়া লাগলো। গতকালের মূল অনুষ্ঠানে থাকতে না পারা ভাস্তির তিন বান্ধবি এসেছে আজকে। তাদেরকে নিয়েই ভাই, ভাবী আর ভাস্তি বসেছে টেবিলে গোল হয়ে।

আমি আসার পর ভাস্তি পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে,

"আমার চাচা"

বাকি তিন পুঁচকের চোখে প্রশ্নবোধক চিহ্ন। এই "চাচা" জিনিসটা কী! ভাস্তি নিজেই খোলাসা করে, "আংকেল"।

বাগানে পানি দেয়ার নলের ঠাণ্ডা পানিতে ভেজানো দূর্বায় পা চুবিয়ে, আমাকে নলের পানিতে ভিজিয়ে দেয়ার ভাবীর শয়তানি শেষে ঘরে ঢুকে আমি অবশেষে স্বপ্নে প্রাপ্ত (অনু)সিদ্ধান্তের কথা জানাই। সবাইকে বুঝাই, মিউনিখ যাওয়াটা আমার কতোটা দরকারী!

মিউনিখে আলী ভাবীর নিমন্ত্রণ কবুল করেও না যাওয়াটা দৃষ্টিকটু। এটা হয়তো বুঝিয়ে বলা যাবে ভাবীকে। কিন্তু লুলছিব্বাই আমার মিউনিখে না যাওয়া নিয়ে যেসব কথা বাজারে চাউর করে দিবেন, সেগুলোর কী হবে! আমি তাঁর লুলালির ইস্কিন শট নিতে শুরু করার পরপরই তিনি কোনো এক অজানা কারণে আমার উপর বিলা হয়ে আছেন। সুযোগ পেলেই আমাক দুইটা কথা শুনিয়ে দেন তিনি। তাই তাঁকে বিলা হওয়ার আর সুযোগ দেয়া যাবে না। সবদিকে মোটামুটি খাবলা খাবলা বিবেচনা করে অবশেষে রাজী করিয়ে ফেললাম সবাইকে। আমি পরদিন, রোজ রবিবার, দুপুর ১২ ঘটিকায় মিউনিখ রওনা হচ্ছি।

একটা মিটফার পাওয়া গেলো সাড়ে বারোটায়। সেই অনুযায়ী কাসেলপুরী পাপিষ্ঠকে ফোন করে জানিয়ে দিলাম। সাথে এও জানতে পারলাম, কাফেলা অস্ট্রিয়া থেকে এখন মিউনিখের পথে। দারুণ সব জায়গা, আমি জন্মের মিস করছি! ব্লা ব্লা ব্লা...

আমি বিশেষ কর্মের পরে মুড়ি খাওয়ার শুভাশীষ জানিয়ে ফোন রেখে দিলাম।

হালনাগাদ সময়েঃ

ডোনারস্বুর্গারব্রুকের নিচে এক পায়ে খাড়ায়ে আছি তো আছিই। লাল গাড়ি তো আর আসে না! একটু পর দেখি হুঁশশ করে একটা গাড়ি এসে থামলো, কিন্তু এটার রঙ তো লাল না। সিলভার। ভেতর থেকে কালো একটা হাত আমাকে ইশারায় ডাকছে!

দিনকাল ভালো না। বেভারিয়াতে কি ছেলেধরার সংখ্যা বেড়ে গেলো নাকি? আমারে দেখেই নির্ঘাৎ বুঝছে, আমি আসছি গ্রাম থাইকা। এখন ধইরা নিয়া আমারে... আল্লাগো, আমি আর ভাবতে পারি না। ভয়ের চোটে উল্টা দিকে ঘুরে ইয়ালি বলে দৌঁড় লাগাই।

ততোক্ষণে গাড়ির দরজা খুলে গেছে। ভেতর থেকে নেমে একজন ছেলেধরা আমাকে ডাকছে। কিন্তু আশ্চর্য, বাংলাতে ডাকছে কেনো? হায়রে আধুনিক দুনিয়া, আজকাল অপহরণকারীরাও মাল্টিলিঙ্গুয়াল হয়।

আমি দৌড়ে থেকেই মাথা ঘুরিয়ে ডান হাতের মধ্যমা উঁচিয়ে দেখাই সেই ছেলেধরাকে। চোখে চশমা না থাকার চেহারা স্পষ্ট দেখতে পাই না।

"আরে বাড়া খাড়াও। কই যাও ঐদিকে? পাব্লিক টয়লেট তো বাড়া ঐদিকে না..."

আরে, এইটাতো ছেলেধরা না। আমাদের বদ্দা তো! আমি দৌঁড় থামায়ে, দাঁত কেলায়ে বদ্দার দিকে এগিয়ে গিয়ে গাড়িতে উঠি।

আমার জায়গা হয় পেছনে। লুলাজাদ মহাবুব আর লুল্ছিব্বাইয়ের লগে চিপাচিপি কম্পিটিশন করতে করতে আমরা পৌঁছাই অনুষ্ঠানস্থলে, যেখানে আলী ভাইয়ের ছেলে লুকাস'কে উপলক্ষ করে খানাদানা আর গানাবাজনা'র আয়োজন করা হচ্ছে।

চেয়ার টেনে ত্যাড়াব্যাকা হয়ে বসে শরীরটা একটু ছাড়িয়ে নিতেই লুল্ছিব্বাইয়ের এক পুরানা সিনিয়র বান্ধব এসে হাজির সেখানে। তিনি এসেছেন পাশের শহর থেকে। আমাদের পাশেই চেয়ার টেনে বসে পড়ে শুরু করলেন 'কী জানি সব কথাবার্তা'। আমি তীরু'দারে খোঁজার অজুহাতে সেখান থেকে উঠে হাঁফ ছাড়লাম। একটু পর দেখি বান্ধবকে ছেড়ে লুল্ছিব্বাইও উঠে এসেছেন। আর ভদ্রলোকের বাক্যবাণে মুহুর্মুহু কেঁপে কেঁপে উঠছেন নিরীহ বদ্দা!

হঠাৎ দেখি হারমোনিয়াম টেনে নিয়ে 'রেওয়াজ' করার নামে নাঁকি সুরের শব্দ দূষণ শুরু করে দিলো লুলাজাদ মহাবুব। ব্যাপার কী! লুলাজাদ মহাবুব গান গাইবে নাকি? তিরু'দাকে জিজ্ঞেস করতেই তিনি মিনমিন করে কী যেনো বললেন, বুঝলাম না!

বদ্দা অডিটরিয়ামের বাইরে সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে আঙুলের ফাঁকে চৈনিক বিড়ি চেপে ধরে বজ্রকণ্ঠে বললেন, জনৈক নাঁকি সুরের গাতক গাইবার সুযোগ পেলে আমাদেরকেও সুযোগ দিতে হবে। নাইলে হর্তাল!

আমি আর লুল্ছিব্বাই সিঁড়ির নিচে দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়ে বদ্দার ভাষণের প্রতি প্রবলভাবে সহমত ব্যক্ত করলাম। আমি 'লাইক্সদিছ' বাটনে টিবি দিলাম, লুল্ছিব্বাই দিলেন পাঁচতারা।

কিন্তু দেখা গেলো, আসল ঘটনার সময় লুল্ছিব্বাই পাল্টি দিয়ে চেয়ারে বসে গেলেন চেয়ারম্যানের মতো। বড় হয়ে লুল্ছিব্বাই মওদূদ হবেন নির্ঘাৎ!

এর মাঝে সকল সচল মিলে একটা চৌকোনা-টেবিল-বৈঠক বসলো। সেখানে হঠাৎ পুতুল'দার ফটুক তোলার খায়েশ জাগলো। তো জনৈক ক্যামেরাম্যান পুতুল'দার ফটুক তুলতে গিয়ে ক্যামেরাতে টিবি দিলো একবার, আর তার ক্যামেরা, লেন্সের বক্তৃতা দিলো দশ মিনিট। সব মিলিয়ে পনেরো মিনিট পরে পুতুল'দার যে ফটুক ক্যামেরার ডিসপ্লেতে দেখালো, আমি ড্যাম শিউর মানুষ পত্রিকাতে "একে ধরিয়ে দিন" বিজ্ঞাপণেও এর চেয়ে সুন্দর ফটুক ব্যবহার করে।

এরপর সেই ক্যামেরাম্যান আব্দার করলো, "আয় তোর বইয়ের জন্য একটা ফটুক তুলে দেই।"

আমি এই আব্দার শুনে হু হু করে কেঁদে উঠলাম। বাকি সবাই টেবিল চাপরে হা-রে-রে-রে করে উঠলে পরে ক্যামেরাম্যান আমাকে কানে কানে বললো, "ছবির পোজের জন্য রেডি হয়ে যা দোস্ত, নাইলে কৈলাম বিশ ট্যাকা চামু সবার সামনেই।"

আমি এইবার বিশ টাকার আব্দারের কথা শুনে বাকরুদ্ধ হয়ে যাই। কান্নাও ভুলে যাই। হা করে চেয়ে থাকি ক্যামেরাম্যানের দিকে, "কুড়ি ট্যাকা কি প্রতি ছয় মাসে একবার করে ছাও দেয় নাকি!"

এর মধ্যেই ক্যামেরায় কটাশ করে শব্দ হয়। ক্যামেরাম্যান তার ঐতিহাসিক পাঞ্জাবীর খুট সামলিয়ে বলে, "যা একখান ফটুক তুললাম না দোস্ত তোর। আজীবন মনে রাখবি!"

আমি নিতান্ত অনিচ্ছা সত্ত্বেও ক্যামেরার ডিসপ্লেতে চোখ রাখি। আৎকে উঠে বলি, "হ দোস্ত, ঠিকই কইছোস। জীবনেও এই ফটুকের কথা ভুলুম না!"

গানা-বাজনা-খাওয়া-দাওয়া, সবই হলো সময় মতো। বাড়তি আয়োজন ছিলো সোহিনী। এইটা নিয়ে আমি কিছু লিখবো না। লিখলে চারদিকে 'হৃদয়পোড়া' শব্দ হবে। [তবে পরেরদিন সকালের তুরুপের তাসটা রেখে দিলাম আমার আস্তিনে। জায়গামতো মারা হবে!]

সবকিছুর শেষে রাতে ঘড়ির কাঁটা যখন রবিবার ছাড়িয়ে সোমবারে গিয়ে পড়লো। তখন আমাদের ফেরার পালা, তীরু'দার বাড়ি। খুব ভোরেই একেকজন বেরিয়ে পড়বো একেক দিকে। তীরু'দার অফিসও আছে, তাঁরও পর্যাপ্ত বিশ্রামের প্রয়োজন। ফেরার পথে গাড়িতে অনেক হাহা-হিহিও হলো। তীরু'দা "কপোল ভিজিলো নয়নের জলে, ঠ্যাঙ বাঁধা ছিলো হিজলের ডালে" গল্প করলেন। আমরা হাই তুলতে তুলতে হাসলাম। তারপর বাড়ির নিচের গ্যারেজে গাড়ি রেখে যার যার বোঁচকা নিয়ে গিয়ে উঠলাম চার তলায় ওঠার লিফটে।

সবাই উঠে গেলেও লুল্ছিব্বাই আর উঠেন না। তাঁর হাইটফোবিয়া আছে জানতাম। কিন্তু বদ্ধ লিফটের ভেতরে কী সমস্যা, এইটা তারে বুঝিয়ে সুঝিয়ে বলতে তিনিও রাজী হলেন এবং এক লাফে উঠলেন লিফটের ভেতর। তীরু'দা লিফটে বোতাম টিপে দিলেন, আমাদের ক্যাওলাক্যাওলির সাথে সাথে লিফটও চলতে লাগলো ধুঁকেধুঁকে। হঠাৎ করেই, ঝপাৎ শব্দ করে থেমে গেলো লিফটের পথচলা। আমরা একটু ঝাঁকিয়ে উঠলাম।

লুল্ছিব্বাই, প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই চিৎকার করে উঠলেন, "হায় হায়, আমরা তো আটকাইয়া গেছি গো তীরু'দা। অখন কী হইবো! আমি বাইর হমু ক্যামনে... উঁ-উঁ-উঁ..."

তীরু'দা লুল্ছিব্বাইয়ের ক্রন্দনে দিশাহারা হয়ে এখানে সেখানে টেপাটিপি শুরু করলেন। একটা বিকট সাইরেন তুলে লিফটের সব বাটন গেলো নিষ্ক্রিয় হয়ে। এতোক্ষণ তো যাও ৪ নাম্বার আর ১ নাম্বার বাটনটায় আলো জ্বলে ছিলো, এখন গেলো সেই আলো নিভে।

আমি বললাম, "লোড-শেডিং হৈছে মনে হয়।"

"লোড শেডিং হৈলে উপরে বাত্তি জ্বইলা আছে ক্যামনে?"— বদ্দার কথা শুনে দেখি উনি লিফটের ছাদের দিকে তাকিয়ে আছেন এক নয়নে।

লুলাজাদ মহাবুব মাথা গুণে, আঙুলের কর গুণে টুনে কী যেনো হিসাব করে বলে, "তীরু'দা, লিফটের গায়ে সাঁটানো ধারণক্ষমতার মাথার সংখ্যার তুলনায় ভেতরে তো মাথা একটা বেশি।"

"আমি আগেই কইছিলাম..." — লুল্ছিব্বাই হুঁহুঁ করে ওঠেন।

তীরু'দা ইমার্জেন্সি কল করলেন লিফট কোম্পানিতে। রাত দেড়টায় কল পেয়ে নিশ্চয়ই ভদ্রলোক খুব একটা খুশি হন নি। বেশ রাগী গলায় কি কী যেনো বললেন। তবে তার সেই কথা থেকে যা উদ্ধার করা গেলো তার মর্ম হলো, "লইরেন চইরেন না। লোক পাঠাচ্ছি!"

"লোক যদি বার্লিন থাইকা রওনা দেয়, তাইলে কী হইবো! এই লোক মিউনিখে আইসা আপনের বাড়ি খুঁইজা বের করতে করতেই তো আমরা শুটকী হয়া যামু গো তীরু'দা" — লুল্ছিব্বাইয়ের গলা বেশ আর্দ্র বুঝা যায়।

"ডরায়ো না মিয়া। আস্তে আস্তে নিঃশ্বাস ফেলো, কম কম ফেলো, জিকিরে ফিকিরে ফেলো।"— লিফটের ছাদের দিকে নিরবিচ্ছিন্ন দৃষ্টি রেখে বদ্দা বয়ান করেন।

"আচ্ছা, মনে কর এখন লিফটের দড়ি ছিঁড়ে গেলো। আমরা কি লিফটের এই দেয়ালে সেই দেয়ালে বাড়ি খেতে খেতে নিচে পড়বো?" — লুলাজাদ মহাবুব জানতে চায়।

"উঁহু, লিফটের দড়ি হলো দুইটা, ব্যালেন্স রাখার জন্য। একটা ছিঁড়ে গেলে কতোক্ষণ কাত হয়ে ঝুলে থাকার পর অন্য দড়িটাও ছিঁড়ে যাবে। আর তখন একেবারে উলম্বভাবে মাটিতে গিয়ে চুম্মা দেয়ার সম্ভাবনাটাই বেশি।"— আমি বলি।

"মাথায় আঘাত পাবো?"

"সম্ভাবনা আছে। এই ডাণ্ডাটা ধইরা রাখ টাইট কইরা। আর লিফটটা মাটিতে পড়ার ঠিক আগ মুহূর্তে যদি লাফ দিতে পারোস, তাইলে বাঁইচা যাবি।"

আমাদের এই কথাবার্তা শুনে একেবারে দরজায় দাঁড়ানো লুল্ছিব্বাই ধরার জন্য ডাণ্ডা খোঁজেন। কিন্তু পান না। লিফটের মধ্যে একটাই ডাণ্ডা, সেটা একেবারে পেছনে। যেখানে লুলাজাদ মহাবুব আর আমি আছি। ডাণ্ডা খুঁজে না পেয়ে তিনি তীরু'দাকে আবার তাড়া দেন, "দেখেন না তীরু'দা, ওরা কতোদূর কী করলো!"

তীরু'দা আবার ইমার্জেন্সি বাটনে টিবি দেন। বিচিত্র আওয়াজ করে জার্মান ও আংরেজিতে আমাদেরকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে সেই রাগী গলার ভদ্রলোকের গলা শোনা গেলো! "আরে ভাই, কৈলাম তো পনেরো থেকে কুড়ি মিনিটের মধ্যে লোক পৌঁছে যাবে আপনাদের ওখানে।"

লুলাজাদ মহাবুব আবারো আঙুলের কর গুনে কী যেনো হিসাব করে। তারপর পরে, "এই ব্যাটা তো সেই আধা ঘন্টা আগে বলছিলো পনেরো থেকে বিশ মিনিট সময় লাগবে। এখনও তাই বলতেছে। ডাল ম্যায় জরুর কুচ কুচ হোতা হ্যায়!"

লুল্ছিব্বাই এবার হাউমাউ করে ওঠেন, "আমি বাড়িত যামু..."।

বদ্দা বলেন, "সবই তেনার ইশারা... তুমরা কথা অল্প অল্প বলো, অক্সিজেনের পরিমান কমতাছে"। তাঁর দৃষ্টি তখনো উপরের দিকে নিবদ্ধ।

আয়নার দিকে চোখ পড়তেই দেখলাম সারাদিনের জার্নিতে আমার জেল দেয়া চুলের অবস্থা কাহিল। চুলগুলো একটু টেনেটুনে ঠিক করে নিলাম। মরার আগে একটু ইশটাইলিশ হয়ে মরাই ভালো।

লুলাজাদ মহাবুব ব্যাগ খুলে তার ক্যামেরা খুলে বললো ফটুক তুলবে। এদিকে লুল্ছিব্বাই বললেন, তাঁর নাকি "পাঁদে ধরেছে!"

কার্বন-ডাই-অক্সাইডের মাত্রাধিক্যে লিফটের আয়নায় জমে থাকা কূয়াশায় বর্ণমালা অঙ্কন করতে করতে আমি লুলাজাদ মহাবুবকে সাবধানবাণী শোনাই, "ক্যামেরাতে টিপ দেওয়া মাত্র লুল্ছিব্বাই হৈতে নির্গত মিথেন গ্যাসের সাথে বিক্রিয়ায় 'ঠাশ' করে বিস্ফোরণে পুরা লিফট উড়ে যাবে হলিউডি সিনেমার মতোন"।

লিফট কোম্পানির সেই লোক আর আসে না। সময় যায় তো যায়ই। লুলাজাদ কুটুশ কাটুশ ক্যামেরা টিপে আর লেন্স নিয়ে কীসব হাবিজাবি বলে, বুঝি না। আয়না থেকে আমার চিত্রকলার ছায়াচ্চিত্র ধারণ করে। লিফটের ছাদের স্ন্যাপ নেয়। আমাদের ঘর্মাক্ত মাথার তৈলচিত্র ধারণ করে। বলে, "এইটা ব্ল্যাকবক্স হিসেবে থাকবে। লিফট ছিঁড়ে পড়লে তো আর খোমার নকশা ঠিকঠাক উদ্ধার করা যাবে না। এই ব্ল্যাকবক্স দেখে লোকজন উদ্ধার করবে, কার খোমা কেমন ছিলো!"

এবার লুল্ছিব্বাই তড়িঘড়ি করে লিফটের আটকে থাকা দরজায় কষাঘাত করতে থাকেন, "কে কুতায় আছো, বাঁচাওওওও..."

তীরু'দা এবার ধমকে ওঠেন, "তুমি থামো তো মিয়া। বুইড়া ব্যাটা কান্তাছো সেই তখন থাইকা। লিফটের ব্যাটা কী কৈছে শোনো নাই, 'উত্তেজিত হবি না, উত্তেজিত হবি না'!"

বদ্দা ছাদের দিকে তাকিয়েই দীর্ঘশ্বাস যোগ করেন, "আমি উত্তেজিত হচ্ছি না। কিন্তু মরার আগে বিবিরে দেইখা যাওয়ার বড় শখ আছিলো...!

আমি পেছন থেকে লুলাজাদকে উদ্দেশ্য করে বলি, "আমাদের কী হবে রে কালিয়া? নিজের বিয়াটাই তো দেইখা যাইতে..."

তীরু'দা আবার ধমকে ওঠেন, "এই দুইটা আছে রঙ্গে। বলি, এতো ত্যাল ক্যান মিয়া তোমাগো? এইটা কি শ্যুটিং স্পট পাইছো, ক্যামেরা বাইর কইরা সিনেমা শ্যুট করতাছো! অই সুমন, আছাড় দিয়া ক্যামেরাটা ভাঙ্গো তো।"

"তীরু'দা আমি ভাঙ্গি? অনুমতি দেন।" — আমি বিনয়ের সাথে জিজ্ঞেস করি।

লুলাজাদ পাঞ্জাবীর হাতা গুটায়, "আয় ভাঙ্গাই। খালি এক কদম আগা..."

আমি কদমের দিকে তাকাই। এগিয়েই তো আছি। এই চিপা লিফটের মধ্যে তো আর আগানোর জায়গা নেই। গাদাগাদি অবস্থা, কই আগাবো?

কিছু বলার আগেই বাইরে থেকে লিফট কোম্পানির সেই লোকের গলা শুনতে পাই। "আপনেরা কি বাঁইচা আছেন?"

লুল্ছিব্বাই হাতে রাখা জ্যাকেট দিয়ে মুখ মুছে খাঁটি বাংলায় বলেন, "খালি একবার বাইর কর হামদু'র পো। হেরপর দেখাই বাঁইচা আছি কি নাই!"

তারপর, বার কয়েক টানাটানি। মিনিট দশেক থাবড়া থাবড়ি। কিঞ্চিৎ ঠেলাঠেলির পর যখন লিফটের দরজা খোলা গেলো লুল্ছিব্বাই চোখের পলকে সাঁই করে পুরা আয়রন ম্যানের মতো উড়ে বেরিয়ে গেলেন। তারপর একে একে তীরু'দা, বদ্দা, লাল পাঞ্জাবীওয়ালা, তীরু'দার হারমোনিয়াম এবং অবশেষে আমি অধম।

লিফট আটকে ছিলো পৌণে চারতলায় এসে। বের হয়ে লুল্ছিব্বাই ধরে প্রাণ ফিরে পেলেন। কী যে খুশি হলেন, সেটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। মনে হচ্ছিলো তিনি মহাবিস্তৃত রোমান সাম্রাজ্যের সদ্য যুদ্ধফেরত সেনাপতি। যুদ্ধ জয় করে ফিরেছেন মাত্র। এখন সহযোদ্ধাদের তাঁর 'বীরোচিত' কাহিনি বর্ণনা করছেন। কাহিনি শুনে তীরু'দা হাই তুলতে তুলতে শোবার ঘরের দিকে চলে গেলেন। বদ্দার নাক ডাকার ইশটিমারসুলভ শব্দও শোনা গেলো কয়েক মিনিটের মধ্যে। আমিও লুলাজাদের সাথে শোবার জায়গা নিয়ে দফা-রফা করে নিচে এসে কাঁথামুড়ি দিয়ে পড়ে গেলাম কাইজ হয়ে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, আই মিন যতোক্ষণ জেগে ছিলাম, সেনাপতির যুদ্ধ জয়ের কাহিনি চলছিলো।

ঘুম ভাঙলো তীরু'দার "শুভ সকাল" শুনে। চোখ মেলে বাকিদের কথা জিজ্ঞেস করতেই জানলাম, ওরা বেরিয়ে গেছে সবাই। আমাকে স্টেশনে নামিয়ে দিয়ে তীরু'দা অফিস যাবেন। হাতমুখ ধুয়ে কফি খেতে খেতে গল্প করলাম আমরা। তীরু'দা জানালেন কাল অনুষ্ঠানে সোহিনী'র ফেলে যাওয়া স্যুটকেস দিতে যাবেন। আমার হাতে তখনও বেশ কয়েক ঘন্টা সময় আছে ট্রেন ছাড়ার আগে।

গাড়িতে উঠেই তীরু'দাকে জিজ্ঞেস করলাম নাঁকি সুরের গাতককে গান গাইতে দেওয়ার মাহাত্য! তীরু'দা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন, "কী করবোরে ভাই। 'অতিথি আন্দাজ' হতে কি আর আমার ভালো লাগতো, তুমিই বলো!"

আমি গাড়ির জানালা দিয়ে বাইরে গতরাতের বৃষ্টিস্নাত প্রকৃতির দিকে তাকিয়ে হাসি লুকাই। একটু পরেই আমরা সোহিনী'র বাড়িতে পৌঁছাবো...।


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

মরার আগে একটু ইশটাইলিশ হয়ে মরাই ভালো।

হো হো হো
ভাল বুদ্ধি। মরার আগে শেষ ইচ্ছা কমু আমার মাথায় যেন জেল দিয়া পোড়ায়।

এদিকে লুল্ছিব্বাই বললেন, তাঁর নাকি "পাঁদে ধরেছে!"

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

দুইজনরে চিনছি, লিফটের বাকী তিনটারে চিনন লাগবো।

পলাশ রঞ্জন সান্যাল

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- চিন পরিচয় হইলো দুনিয়াবি জিনিস বস। এই চিনপরিচয় দিয়া হৈবোটা কী, আইজ মরলে কাইল বাদে পরশু তিনদিন! মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

তাসনীম এর ছবি

হা হা হা...দারুণ লিখছো ধূগো...লুলাজাদের তোলা লিফটের ভেতরের কিছু ছবি থাকলে ভালো হইত। উনাকে বলে দেখ পাওয়া যায় কীনা।

লিফটে আটকানোর সৌভাগ্য হয়েছে কয়েকবার, ম্যাক্সিমাম আটকা পড়েছি ৩/৪ মিনিট। অভিজ্ঞতা বেশ ভয়াবহ, বিশেষত ক্লাস্ট্রোফোবিয়া থাকলে।

++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- লুলাজাদ ছবি না দিলে নাই। আমি চিত্রকর মানুষ, আঁকিও ভালো মাশাল্লা। আমি না হয় এঁকেই দিবো নি কিছি চিত্র। আর তাছাড়া, ক্যামেরা হইলো ইহূদী নাছাড়াদের যন্ত্র। ফটোশপ মটোশপ করে ছবির গুণাগুণ নষ্ট করে ফেলে সব। কিন্তু হাতে আঁকা ছবি নিয়ে কেউ কখনো কোনো অভিযোগ করেছে? হ্যান্ডমেড বলে কথা।

আমাদের পাঁচ জনের সবার জীবনেই লিফটে আটকানোর ঘটনা প্রথম। সারাদিন ভালোয় ভালোয় গিয়ে একেবারে শেষে গিয়ে ফেঁসে গেলাম। মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

আব্দুর রহমান এর ছবি

মানুষ গুলোকে চিনলে আরো ভালো লাগতো, তবে তারপরেও হাসি চেপে রাখতে পারিনি।
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল

------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল

ধুসর গোধূলি এর ছবি
হাসিব এর ছবি

এইবার ঠিক্কথাকৈছো । এইটা গল্পঘটনা না ।

ধুসর গোধূলি এর ছবি
হিমু এর ছবি

পড়ে মনে হলো মুসার এভারেস্ট অভিযান নিয়ে আনিসুলের লেখা পড়ছি। প্রচুর বিভ্রান্তিকর আর অপ্রয়োজনীয় তথ্য, সেইসাথে সত্যের অপলাপ খুঁজে প্লাম। আসল ঘটনার সচিত্র বিবরণ জানা যাবে সামনে।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- হ দোস্ত, সচিত্র বিবরণের পাশাপাশি তোর তোলা পুতুল ভাইয়ের ফটুকটাও জুড়ে দিস। তাইলেই জনগণ বুঝবো নি কার বক্তব্য সত্যের অপলাপ!

বিভ্রান্তিকর কোন তথ্যরে বললি। তুই পাঞ্জাবী পরসোস, এইটা? নাকি লিফট যে পৌণে চার তলায় আটকাইলো সেইটা! হাসিব্বাই ঐখানে টেনশনের চোটে "মিথেন গ্যাস" ছাড়ার কথা কয় নাই? তুই তারপরপরই ক্যামেরা বাইর করোস নাই? এগুলা সব বানোয়াট বলতে চাস?

ঠিকাছে বল। আমি তো কাহিনির পুরাটা বলি নাই এখনো। সোহিনীর কথক নৃত্যের সময় আমাদের সাথের আসন ছেড়ে তুই একেবারে সামনের সাড়িতে গিয়ে বসে পড়লি, এইটা কি এখন পর্যন্ত কোথাও লিখছি আমি? তারপর দুই হাতে পাঞ্জাবী দোলায়ে দোলায়ে ঝিনুক মালা সিনেমার নায়ক ফারুকের মতো নেচে নেচে "তুমি আমার পরান পাখি" গান গাইলি, এইটা নিয়াও কিছু লিখছি?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

দ্রোহী এর ছবি

ধুসর গোধূলি লিখেছেন:
দুই হাতে পাঞ্জাবী দোলায়ে দোলায়ে ঝিনুক মালা সিনেমার নায়ক ফারুকের মতো নেচে নেচে "তুমি আমার পরান পাখি" গান গাইলি, এইটা নিয়াও কিছু লিখছি?

হা হা হা। আসলেই?

আমি ওমর সানীর মত নাচতে পারি। হাসি

ওমর সানীরে নকল করতে চাইলে প্যান্টটা একটু উপর দিকে টেনে নাভীর ইঞ্চি দশেক উপরে নিতে হবে। তারপর বাম দিকে আধাফুটখানেক কাইৎ হতে হবে। হাঁটার সময় এমনভাবে হাঁটতে হবে যাতে প্রতি পদক্ষেপে উচ্চতা ৬ ইঞ্চি বাড়ে কমে। মুখে থাকবে গান।


কি মাঝি, ডরাইলা?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- হে হে হে
আপনে আর মহাবুব, নিদারুণ এক ডুয়েট নৃত্য করতে পারবেন তাইলে। খাড়ান, ব্যবস্থা করুম নি! দেঁতো হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

মুস্তাফিজ এর ছবি

বিয়াপক

...........................
Every Picture Tells a Story

দ্রোহী এর ছবি

এই গল্পের আরো চারটা ভার্সন জানা দরকার। তীরুদা, বদ্দা, হাসিব্বাই, হিমুর মুখে আলাদা আলাদা গল্প শুনে তারপর আসল ঘটনা বুঝতে হবে। খাইছে


কি মাঝি, ডরাইলা?

সোহাগ এর ছবি

চাইর মুখের চাইর খান বয়ান জাতি হুনতে চায়!

দ্রোহী এর ছবি

বিশ্বাস হবে না কেন? অবশ্যই বিশ্বাস হয়। আমার ধারণা আপনে কমায়ে বলছেন এই জন্য অন্যদের মুখে শুনতে চাইছি। দেঁতো হাসি


কি মাঝি, ডরাইলা?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আপনে তো লুক ভালো না মেম্বর! আমার সামনেই আমার ইয়ার দোস্তদের দুর্দশার কথা, সেই দশায় পড়ে ক্রন্দনের কথা 'বিশদ' শুনতে চান!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

দ্রোহী এর ছবি

কথা ব্যাপক সত্য। আগে লুকভ্লা আছিলাম। ইদানীং সবাই আমারে লুক্ষ্রাপ ভাবে। মন খারাপ


কি মাঝি, ডরাইলা?

অতিথি লেখক এর ছবি

বেশ লাগল পড়তে

_________________________
বর্ণ অনুচ্ছেদ

সাফি এর ছবি

আই সোhoney সম্পর্কে জানতে চাই।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

‍‌মানুষের দুর্ভোগের কাহিনী পড়ে এমন হাহাপগে অবস্থা হয় কেন ! দুঃখবোধের সেলগুলো কি বিকল হয়ে গেছে? মন খারাপ

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

ধুসর গোধূলি এর ছবি
সুহান রিজওয়ান এর ছবি

এইটা একটা ক্লাসিক হৈসে... দেঁতো হাসি

তয় লুলছিব্বাই, লালাপাঞ্জাবী পরিহিত ভাই, বদ্দা'র কাছে থিক্যা সেইম কাহিনী শুনার আশা করি। তার্পর গুরুত্বপূর্ণ বিশ্লেষণ কইরা জানামু কুঞ্জনের সাপোর্ট করা দল এইবার কাপ নিবো...

_________________________________________

সেরিওজা

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- এইবার কাপ নিবো কে আবার, সার্বিয়া। ক্যান নিবো সেইটা বিস্তারিত জানতে খোমাখাতা দ্রষ্টব্য। ঐখানেই তো বয়ান করছি! চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

হাসিব এর ছবি

মনিরের কথায় কেউ বিশ্বাস নিয়েন না । পড়তে গিয়া প্রথম প্যারাতেই উষ্টা খাইয়া পড়লাম । গল্পের গরু গাছে চড়ে আর মনিরের গল্পের চরিত্ররা চাইরজনে স্মার্ট কারে আটে ! এইরকম বহুত টুইস্টেড উধোর পিন্ডি বুধোর কোলে ও নানাবিধ বাদ পড়া কাহিনী আছে । সেগুলা কামিঙ ছুন !

auto

উদ্ধৃতি: "একটি লাল স্মার্ট এবং স্পোর্টস্ কার সদৃশ গাড়ি"

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- এহ্, আইছে আমার গাড়ি কোম্পানির সিইও!

এই স্মার্ট সেই স্মার্ট না লুল্ছিব্বাই। এইট স্মার্টের মানে হৈলো, হেঞ্চাম।
তীরু'দার নাল গাড়িটারে আমার বড়ই হেঞ্চাম মনে হৈছে। সেইটাই একটু আংরেজী মাইরা কইবার চাইলাম।

আর, আপনে কী কইবার চান? আপনে লিফটের একেবারে দরজার লগে খাড়ান নাই? আমি আর লুল্পাঞ্জাবি আয়নার লগে খাড়াই নাই? বদ্দা আমার ডাইনদিকে খাড়ায়া খালি ছাদের দিকে চায়া থাকে নাই? আর তীরু'দা ইমার্জেন্সি বাটন টিবি দিয়া ঐ ব্যাটার লগে কথা কয় নাই? হেই ব্যাটা আইসা কয় নাই যে সুইচ খুঁইজা পাইতাছে না, তার কিছুই করার নাই! আপনে সবার আগে লাফ দিয়া লুফট থাইকা বাইর হন নাই? এগুলা কি ধুগোর পিণ্ডি হাসিব্বাইয়ের ঘাড়ে চাপাইছি?

উল্টা সিধা কাহিনির ডর দেখাইবেন না চৌধুরী সাহেব! সব কিছুর ইস্কিন শট রাখা আছে। প্রয়োজনে কাহিনির প্যারা ভার্সন নামবে। সুতরাং, বুইঝা শুইনা কাহিনি দিয়েন... খিক খিক খিক চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতিথি লেখক এর ছবি

ইয়া আল্লাহ্‌ !! গড়াগড়ি দিয়া হাসি

''চৈত্রী''

মহাস্থবির জাতক এর ছবি

দুঃখের দিনেও হাসলাম। আসলেই সামলাতে পারলাম না রে ভাই। দুই বৃদ্ধাঙ্গুলি সসম্মানে উত্থিত।
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- দুঃখের দিন মানে, আপনার বিয়ের দিন ঠিক হৈছে? এইটা ছাড়া পোলাদের আর কি দুঃখের দিন হৈতে পারে কন্দেখি! চিন্তিত
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

নৈষাদ এর ছবি

অন্যান্য সময়ের মতই, উপভোগ করলাম। শুরু্টা (প্রথম প্যারাটা)তো চমৎকার লাগল।

(... একটা কথা স্বীকার করতেই হয়... কিছু কিছু সহসচলকে মনে মনে ‘সর্বোচ্চ শৃঙ্গে’ তুলে রেখেছিলাম। আপনার এই লেখাটা এবং এই লেখাটা পড়ার পর...... কী আর বলব...)

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ধন্যবাদ নৈষাদ'দা।

কিন্তু এই দুইটা লেখার পরে কি আমি শৃঙ্গচ্যুত হলাম? নাকি ছিলামই না শৃঙ্গে কখনো! মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

দ্রোহী এর ছবি

হা হা হা।

ঘাবড়ায়েন না ভায়রা ভাই! ছেলে হয়ে যখন জন্ম নিয়েছেন তখন আগে হোক পরে হোক একদিন না একদিন আপনে শৃঙ্গে খাইছে উঠবেন। এই আমি বলে দিলুম। হু!


কি মাঝি, ডরাইলা?

নৈষাদ এর ছবি

না, আপনার 'পদভ্রংশ' হয় নাই। দেঁতো হাসি

দ্রোহী এর ছবি

ভাগ্য ভালু যে 'প' এর ও-কার নাই। হাসি


কি মাঝি, ডরাইলা?

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

কিংবা আ-কার দেঁতো হাসি
_________________________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- হা হা হা @ নৈষাদ'দা।

মজার ব্যাপার কী জানেন! তাঁরা সত্যিকার অর্থেই সর্বোচ্চ শৃঙ্গে অবস্থানকারী। নইলে আমার মতো চুনোপুঁটি তাঁদেরকে নিয়ে এমন লেখার পরেও বন্ধুত্ব অটুট থাকতো না। হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এই ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি ঘোষণা করা হইলো।
তীরুদার নেতৃত্বে সেই তদন্ত কমিটির অন্য সভ্যরা হইলেন- সর্বজনাব হিমু, বদ্দা আর হাছিব্বাই।

আশা করছি বাংলাদেশের যাবতীয় তদন্ত প্রতিবেদনের মতোই এই তদন্ত প্রতিবেদনও কোনোদিন আলোর মুখ দেখিবে না চোখ টিপি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মুস্তাফিজ এর ছবি

এইসব কমিটি মানিনা। আমাকে কমিটিতে ঢুকানো হউক, এরপর সরকারী খরচে মিউনিখ পাঠানো হউক।

...........................
Every Picture Tells a Story

নৈষাদ এর ছবি

কি আর করা, এমন জনগুরুত্বপূর্ন বিষয়ে তদন্ত কমিটির মেম্বার হওয়ার জন্য আমিও সময় দিতে পারব মনে হয়...।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আপসুস, গরীবের দিলের ফরিয়াদ কোনো তদন্ত কমিটিই বুঝে না! না বুঝে তদন্তে দন্ত বসালেই হবে!! মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

বোহেমিয়ান এর ছবি

হো হো হো
ব্যাপক!!!
_________________________________________

_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- হ, পড়লাম তো! এক কাম কর, তুই কার্ডটা সেগুন কাঠের ফ্রেমে বাঁধাইয়া রাখ। আর পরদিন সকালের ধূমাওঠা কফির গেলাসে চুমুক দেয়ার সাথে রোহিনীর বাড়িতে আড্ডার ক্ষণটা থাকুক আমাদের ব্যক্তিগত ডায়েরিতে তোলা হয়ে। চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সাফি এর ছবি

সোহিনী না রোহিনী ঠিক কইরা কন।

ধুসর গোধূলি এর ছবি
আলমগীর এর ছবি

আপনে বড় অশ্লীল শব্দ লিখছেন।
হৃদয়পোড়া শব্দটা পছন্দ হইছে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- বুঝছি, আমার ভায়রা ভাই (হোলেও হোতে পারতো কিন্তু) ছাড়া আর কেহ মোর আপন না এই জগতে। "বড়" শব্দটারেও অশ্লীল বলেন! মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

কৌস্তুভ এর ছবি

ল্যাখা জুস হইসে, এইবার আপনের আঁকা ছবি দেখতে মঞ্চায়।

কে বলল ছেলেধরা মাল্টিলিঙ্গুয়াল হয় না - ইস্পেনে গিয়ে জান দিয়ে বুঝেছি। বিস্তারিত পরে কমু। হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি
ওডিন এর ছবি

দুইটা লেখা পইড়াই চরম কনফিউজড হয়া গেলাম- কে গান গাইল, কে নাচলো, কে নাচাইলো কিচ্ছু বুঝলাম না। খালি এইটুকু বুঝলাম যে আপনেরা লিফটে আটকাইছিলেন- আর বদ্দা আপনেরে দিয়া তেহারি বানাইতে চাইছিলো। নাকি? চিন্তিত

যাই হোক সেকেন্ড পার্ট কই? সুটকেশ দেয়ার ঘটনা?
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আমারে দিয়া তেহারির রেসিপি দেয়া হইছে, এইটারে আমি ভালো মানুষ বইলা "আনলাইক্স" বাটনে টিবি দিলাম না। মাগার আমাদের নিরীহ, ছাদ পর্যবেক্ষণকারী বদ্দারে মাংস বিশেষজ্ঞ বানায়া দেয়াতে তেব্র আপত্তি জারি থাকলো।

আর অতো কনফিউশনের কিছু নাই মিয়া। যা হুনছেন এবং যা হুনবেন— সবই সইত্য। চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতিথি লেখক এর ছবি

মিসাইলাম !! মন খারাপ এট্টা ইশটাইলিশ Xপ্রিয়েন্স গ্যাদার হইত... আপচুছ ক্যান যে মিউমিউনিখে থাকি না, এরম কইরে লিপ্টে লেপ্টে আটকাইনা... মন খারাপ

ভাই দ্য অয়ে, খুকু কিডা ?? (হিংশাইলাম !!) চোখ টিপি

''চৈত্রী''

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- হিংশাইলেন? কারে হিংশাইলেন? চিন্তিত

খুকু যে কিডা সেইটা জিগানোর লাইগ্যাই সকাল থাইকা টাহে টাহে আছি, মাগার লেখকরে পাইতাছি না। তবে আমার জোর সন্দেহ হয়, বাজারে একটা শক্ত গুজব রটে আছে, উক্ত লেখকের অচিরেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হৈবার সম্ভাবনা নিয়ে। হইতে পারে লেখকের বাগদত্তার নামই খুকু। আর যেহেতু ইতিহাস সাক্ষী, আমি তাহার বিবাহিত পত্নীর সাথে একটা 'ইয়ে সম্পক্ক' গড়ে তুলবো, সুতরাং, সেই ভয়-আশংকা-নাইট মেয়ার থেকে খুকুর নাম উঠে আসতে পারে।

তা আপনে "মিউমিউনিখে" থাকেন না তো থাকেন কই? লিপ্টে আটকানো ভালো কথা না। হাসিব্বাইয়ের মতো কান্দা শুরু করবেন! তখন আর ইশটাইলের কথা মনে থাকবো না। হে হে হে সবাই তো আর ধুগো না। বেশিরভাগই হাসিব্বাই। হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতিথি লেখক এর ছবি

কারে আবার !! খুকুরে... চোখ টিপি
কান্দুম এট্টা ফুটাও, আমি বেশ ''অ-পুতুপুতু''... দেঁতো হাসি

''চৈত্রী''

অতিথি লেখক এর ছবি

আরি আজিব !! ''কান্দুম''এর পর তো এট্টা ''না'' দিসিলাম, খইশা পল্ল ক্যাম্নে !! চিন্তিত

বিশ্বাস যান ধুগো'দা, আমি আস্লেই ''অপুতুপুতু''... মিউমিউনিখে আইসা পমান দিয়াই ছারুম... দেঁতো হাসি

''চৈত্রী''

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- নব্বই দশকের "চাঞ্চল্যকর রীমা হত্যা মামলা"র নাম শুনেছেন? সেই মামলার নায়ক-নাইকা ছিলো মনির-খুকু। তারে 'হিংশান' ক্যান? বুড়া মহিলা! আপনেরা কি সেইম এজ গ্রুপের নিকি? চিন্তিত
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

ধুগো দা ... কঠিন লাগলো ... তয় আর্জেন্টিনা সাপোর্টার লুলাজাদের কতা কুনু মতেই বিশ্বাস যাই না ... আপনের কতাই ঠিক।

লুলাজাদের নাঁকি সুরের পেত্নি সঙ্গীতে তীব্র 'অপছন্দ' বাটনে চাপলাম ... লুসিব্বাই জিন্দাবাদ, এমন 'সুপুরুষ'রাই তো বিবাহ করে ... আপনারা এমুন হইতে পারেন নাই দেইখাই খালি আরেকজনের দিকে পুটুশ-পাটুশ তাকায়া দিন নিপাত করতাছেন ...

সোহিনী, রোহিনী, কামিনী ... যাই হোক, তীব্র লাইক্স ... ... ...

===============================================
ভাষা হোক উন্মুক্ত

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- তার মানে আপনে কৈতাছেন, লিফটে উইঠা মাটিতে গড়াগড়ি দিয়া, মেঝে থাবড়াইয়া, বিলাপ পাইড়া কানলেই বিবাহ হৈবে কনফার্ম? চিন্তিত
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

রণদীপম বসু এর ছবি

এখন পর্যন্ত কেবল দুইজনের আত্মপক্ষ সমর্থনমূলক বক্তব্য শুনা গেলো। বাকি তিনজনের বক্তব্য শোনার পর ঘটনার গতিবিধি সম্বন্ধে ধারণা করা যাইতে পারে।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আত্মপক্ষ? আমারে নিরীহ পাইয়া লিফটের মধ্যে আমারে দিয়া তেহারিরন্ধনকে আপনি আত্মপক্ষ সমর্থন কহিতেছেন রণ'দা? দিলে বড়ই চোট পাইলাম। মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

শরতশিশির এর ছবি

হুমমম! দু'টো ভার্সন আসছে, আরও দু'টো বাকি। সাথে তীরুদা'রও। চোখ টিপি

আপাতত তাই গল্পের ''পংখী-কাউ'' (হে, হে - এই মনিকার আমার বেশ পছন্দ হইসে), খালি ফুলতেসে, তো ফুলতেসে, তো ফুলতেসে। কোন সময় যে বেচারী ফেটে পড়ে, সেটাই হইলো গিয়ে কথা! খাইছে

auto

(ছবি সূত্রঃ ইন্টারনেট)
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আসেন, পঙ্খীকাউ—এর পেট ফেটে সেই দুইটা ভার্সন আসতে আসতে আমরা একটা গান শুনি। দেঁতো হাসি

___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

শরতশিশির এর ছবি

আমি আজ পর্যন্ত মিয়া কোনওদিন এইসব এমপিথ্রি-মার্কা গান শুনতে পারলাম না! সিরিয়াসলি! কী যে ধানাই-পানাই করে এম্বেড করে, কে জানে!

তারচেয়ে এঞ্জয় দিসঃ (ভিউওয়ার ডিসক্রেশন অ্যাডভাইজড)

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আয় হায়। গানটা আপনে হুনতে পারেন নাই? তাইলে তো আপনের জীবনটাই বৃথা হয়া গেলো! ঈমানে কই! দেঁতো হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

শরতশিশির এর ছবি

সিরিয়াসলি, আমি কোনোদিনও শুনতে পারলাম না!

এটা কি স্বগায়িত জাতীয় সংগীত ছিলো? ''অ্যাঁও অ্যাঁও'' মার্কা? দেঁতো হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

হে হে হে, দুনিয়া জুড়া পচুর গিয়ান্জাম! মিয়া ফাডায়লাইছেন। তয় বদ্দা, লুল্ছিব্বাই আর তীরুদার ভার্ষন শুন্তাম ছাই

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আমি হইলাম সত্যবাদী বস। সত্যবাদীর সত্যকথনের উপরে আর কেউ তুরুপ মারার জুররত করবো, আপনের মনে হয়! চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।