বেনজির ভুট্টো বোম হামলায় নিহতঃ ধর্মান্ধরা নাকি স্বৈরশাসক পারভেজ, হন্তারক কে ??

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৭/১২/২০০৭ - ৮:০২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বেনজির ভুট্টো বোম হামলায় নিহত, রাওয়ালপিন্ডিতে নির্বাচনী জনসভায় বোমা হামলায় গুরুতর আহত বেনজির ভূট্টো কিছুক্ষণ আগে মারা গেছেন , হন্তারক কে , ধর্মান্ধরা নাকি স্বৈরশাসক পারভেজ ??পাকিস্থানের গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রী বেনজির ভুট্টোকে হত্যার অর্থ ধর্মান্ধ উগ্র পাকিস্থানীদের আরো পিছিয়ে পড়া !! এই দেশটি শুধুমাত্র স্বৈরশাসক আর এই সকল ধর্মান্ধ উগ্র মৌলবাদের জন্য শেষ হবে ।


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

জুলফিকার বাস্টার্ড আলি বাস্টার্ড ভুট্টোর বংশ গোল্লায় যাক।

বেনজিরের হাতে এর আগে পাকিস্তানের সো-কল্ড গণতন্ত্র আগেও দুইবার হোগামারা খেয়েছে। এইবারও একই ঘটনা ঘটতো। আসিফ জারদারি আবার ১০% কমিশন খাওয়ার সুযোগ পেতো।

পাকিস্তানকে গণতন্ত্রের পথে নিয়ে যাবার জন্যে সৎ মানুষের আগমন ঘটুক। আমেরিকার রক্ষিতাবৃত্তি থেকে রাষ্ট্রপাকিস্তান বেরিয়ে আসুক।

তবে পাকিস্তানের কলকাঠি যারা নাড়ে, তারা সম্ভবত এবার আগের চেয়ে অনেক বেশি মরিয়া।


হাঁটুপানির জলদস্যু

হিমু এর ছবি

নিউ ইয়র্ক টাইমসে বিস্তারিত রিপোর্ট এসেছে দেখলাম।


হাঁটুপানির জলদস্যু

হাসিব এর ছবি

বেনজির ভুট্টোর '৭১-এর ভূমিকা নিয়ে কেউ কি কোন তথ্য দিতে পারবেন ? কে যেন একদিন বলেছিলেন বেনজির '৭১এ পাকিস্তানের পক্ষে জনমত গড়তে ক্যাম্পেইন করেছিলেন । বিস্তারিত তথ্য আশা করছি ।

হিমু এর ছবি

ইউপিএল এর পক্ষ থেকে বেনজির ভূট্টোর সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছিলো, ইউপিএলের স্বত্বাধিকারী (ওঁর নামটি স্মরণে আসছে না) এবং মুনতাসীর মামুন ছিলেন সাক্ষাৎকারী। সেই সাক্ষাৎকারে পড়েছিলাম, বেনজির ভুট্টো ১৯৭১ সালে বরং জুলফিকার আলি ভুট্টোর কুকীর্তির সপক্ষেই সাফাই গেয়েছিলো। ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবকে হত্যার পর ভুট্টো তৎক্ষণাৎ বিমানে করে বাসমতী চাল পাঠিয়েছিলো খন্দকার মুশতাকের কাছে, অথচ বেনজির দাবি করেছে তার বাপ নাকি গভীর রাতে তাদের ঘুম থেকে ডেকে তুলে কান্নাকাটি করেছে তার একান্ত বন্ধু "বাংলাবাবু"র মৃত্যু সংবাদ পেয়ে।

আমি যতদূর জানি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন আসমা জাহাঙ্গীর পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর বিপক্ষে ক্যাম্পেইন করেছিলেন, এবং সাধারণ জনগণ তাঁকে প্রহার করেছিলো।


হাঁটুপানির জলদস্যু

সবজান্তা এর ছবি

বেনজির ভুট্টো যে পাকিস্তানের জন্য খুব জান দিয়ে দেবেন সেটা আমি কখনোই বিশ্বাস করতাম না। কারন এবারও তিনি এসে, কিন্তু সামরিক শাসকের সাথেই আপোসে গিয়েছিলেন। নির্বাচনে রাজি হয়েছিলেন। আবার ভাগ বাটোয়ারাতে কোন সমস্যা হলে যাতে ফিরে আসার পথ থাকে, তাই বলেছিলেন, নির্বাচন প্রয়োজনে বয়কট করবেন।

আপোসের রাজনীতি কোনদিনও সুফল বয়ে আনতে পারেনা দেশের জন্য। এইটা বাংলাদেশে আমলীগ ভালো মতই টের পাইতেসে।

যাই হোক, বেনজির ভুট্টো মারা গেসে, এটাই বটমলাইন। তয় বিশেষ দুঃখিত হইতে পারতেসি না, কারন এই মহিলারে পাকিস্তানের মানবাধিকার কর্মীরা বলসিলো মাফ চাইতে বাংলাদেশের কাছে, কিন্তু সে ঘাউরামি কইরা চায় নাই।
------------------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ

সৌরভ এর ছবি

বেনজীর ভূট্টো সুবিধাবাদী ও সুযোগসন্ধানী রাজনীতির খুব দারুণ উদাহরণ দেখিয়েছেন অতীত ও সাম্প্রতিক সময়ে।
কিন্তু, তাই বলে তাকে খুন করে ফেলা হোক, এটা আমি কখনোই প্রত্যাশা করিনা।

নিন্দা জানাই এই হত্যাকাণ্ডের। প্রতিটি নিরস্ত্র মানুষের হত্যাই নিন্দনীয়।



আমি ও আমার স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলি


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

সবজান্তা এর ছবি

সৌরভ ভাই, আমি আপনার কথাটা বুঝতে পারসি। তবে কি, আমি আসলেই দুঃখিত হইতে পারতেসি না। কারন এই বেনজির ভুট্টোর বাপের জন্য আমাদের দেশে কত নিরাপরাধ লোক মারা গেসে। এমন কি সেই সব শুয়োরের বাচ্চার উৎপাত স্বাধীন বাংলাদেশেও থামে নাই। তলে তলে গুটিবাজি করসে, এখনো করতেসে। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে বেনজীরের বয়স কত ছিলো জানি না, যদি ধরি কম ও ছিলো, তারপরও সে যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলো, তখনো সে ক্ষমা চায় নাই। এমন কি তাকে একবার মানবাধিকার কর্মীরাও বলছিলো, আপনি ক্ষমাটা চান। তাও সে চায় নাই। বোঝাই যায়, সে এই গনহত্যার পক্ষে ছিলো। হিমু ভাইএর বক্তব্যতেও তাই জানতে পারলাম। কাজেই আমাদের ত্রিশ লক্ষ লোক হত্যার নৈতিক দায় সেও এড়াইতে পারে না। আমার কাছে শুধু যারা অপরাদ করসে তারাই যুদ্ধপরাধী না, যারা তাতে সমর্থন দিসে, তারাও সমান অপরাধী।

আমি নিজেও চাইনা, নিরস্ত্র মানুষের উপর বোমা হামলা হোক, কাউকে হত্যা করা হোক। কিন্তু বেনজির ভুট্টোর মত মানুষেরা মারা গেলে, তাতে আমার খারাপও লাগে না, আমি দুঃখিতও হই না।
--------------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ

সৌরভ এর ছবি

হু!
আমি মৃত্যুদণ্ডের বিপক্ষে।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

মেহদী হাসান খান এর ছবি

হাসিব লিখেছেন:
বেনজির ভুট্টোর '৭১-এর ভূমিকা নিয়ে কেউ কি কোন তথ্য দিতে পারবেন ? কে যেন একদিন বলেছিলেন বেনজির '৭১এ পাকিস্তানের পক্ষে জনমত গড়তে ক্যাম্পেইন করেছিলেন । বিস্তারিত তথ্য আশা করছি ।

রাগিব ভাই বলেছিলেন। উনি বিস্তারিত বলতে পারবেন।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

এক মুফতি হান্নানই বাংলাদেশের প্রায় বারোটা বাজিয়ে দিয়েছিল। আর পাকিস্তানের বলতে গেলে সবাই একেকটা মুফতি হান্নান। পাকিস্তান মুর্দাবাদ। পাকিস্তানে এরূপ অবস্থা চিরস্থায়ী হোক।

s-s এর ছবি

"ভালো" বা "খারাপ" এর চেয়েও জরুরী বিষয় পাকিস্তানের রাজনীতি কোন্ দিকে মোড় নেয় ও তাতে বাংলাদেশের সম্পৃক্ততা কি হবে। হত্যা বলেই ,বিচারের রায় নয় বলেই বাংলাদেশের একটি কূটনৈতিক অবস্থান গ্রহণের চাপ থাকছে, সেটা আনুষ্ঠানিক দু:খ প্রকাশে সীমাবদ্ধ থাকাই শ্রেয়। কিন্তু আমি নিশ্চিত, এ নিয়েও অন্য সব রাজনৈতিক বিষয়ের মতই লেজেগোবরে করার একটা ব্যবস্থা হবে রাজনৈতিক দূরদর্শিতার অভাবেই।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

পাকিস্থানে চলমান রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের ধারাবাহিকতা।
তবে একটা বিষয় অ্যালার্মিং।
সেটা হচ্ছে পাবলিক মিটিং এ বোমা। যার গূঢ় উদ্দেশ্য লোকজমায়েত হবার বিষয়টি ক্রমশ অকার্যকর করা। হোমোজিনিয়াস ঘটনা আরো কয়েকটি দেশে ঘটেছে। যার মধ্যে.....



ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

হাসিব এর ছবি

আমগো দ্যাশে আবার কিছু কাগু আছে যারা ঐখানে বৃষ্টি হৈলে এইখানে ছাতা ধরে । হেরা আবার নিজেগো দ্যাশে এইসব জিনিস প্র্যাকটিস করন শুরু করলে আবার সমস্যা ।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

আল্লাহর কাছে হাজার শোকর আর আমাদের পূর্বপুরুষদের কাছে অশেষ কৃতজ্ঞতা যে আমরা এই পাকিদের থেকে ৭১ সালে বিচ্ছিন্ন হতে পেরেছি ।

যেকোন হত্যাকান্ডই নিন্দনীয় ,তবে বেনজির যদি আমার দেশে গনহত্যাকে সমর্থন করতে পারেন ,তাইলে উনার জন্য আলাদা কোন দরদ দেখাতেও আমি অক্ষম ।

হিমুর কমেন্টর কাছাকাছি আমার অনুভূতি ।

মনে রাখা যেতে পারে যে ,
বেনজির কোন গনতান্ত্রিক আন্দোলন চালাতে পাকিস্তানে আসেন নি , উনি মোশাররফের সাথে হালুয়া রুটির ভাগাভাগির চুক্তি করেই তার দেশকে পাছামারা দিতে এসেছিলেন । ট্রাজেডি হলো দেশের আরো বড়ো ইবলিশরা উনাকেই খতম করে দিয়েছে ।

তীরন্দাজ এর ছবি

বেনজীর যাই হোন না কেন, এ ধরনের হত্যাকান্ড জাতি, দেশ নির্বিশেষে বর্বরতা। আর এ বর্বরতার প্রতি আমার তীব্র নিন্দা সার্বক্ষনিক।
**********************************
যাহা বলিব সত্য বলিব

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

প্রথমে দুটি তথ্য:

১. হিমুর জন্যে - ইউপিএল-এর ভদ্রলোকের নাম মহিউদ্দন আহমদ।

২. সবজান্তার জন্যে - বেনজিরের বয়স ৭১-এ ছিলো ১৮।

এই মহিলা তার বাপের মতো ঘোঁটপাকানোটাই চর্চা করেছে। তার অর্জন কি? আমার তো ধারণা তার অর্জন এবং প্যারিস হিলটনের সেলিব্রিটি স্ট্যাটাস অর্জন প্রায় একই রকম ব্যাপার।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

নিঝুম এর ছবি

আলহামদুলিল্লাহ!!!চমতকার!!!এই খুসিতে একটা মিলাদ মাহফিল এর আয়োজন করতে হয়।
---------------------------------------------------------
যাগায় খাইয়া যাগায় ব্রেক...

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

সবজান্তা এর ছবি

সদ্য মৃত ব্যক্তির ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনা বোধহয় , ভদ্রতার পর্যায়ে পরে না।

না হলে কিছু চমৎকার তথ্য পেশ করতে পারতাম, যা তার ইউনিভার্সিটির ( হাভার্ড বোধহয়, খেয়াল নেই ঠিক) এক সহপাঠী লিখেছিলেন।

মৃত্যুর বয়েস আরেকটু বাড়ুক। তখন না হয় বলা যাবেখন।
----------------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

রুশরা বলে, "মৃত ব্যক্তির সম্পর্কে হয় ভালো কিছু বলো, নয় নীরব থাকো।"

ভালো কিছু বলার কোনও কারণই নেই, আর নীরব থাকাও অসম্ভব। তবে আমার যা বলার, তা আগেই বলে দিয়েছেন হিমু, সবজান্তা, প্রকৃকিপ্রেমিক, আরিফ জেবতিক, অলৌকিক হাসান আর নিঝুম।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

সবজান্তা এর ছবি

অলৌকিক ভাই, সমস্যা হল, লিঙ্কটা খুজে পাচ্ছি না। না হলে দিতে পারতাম এখনি। তবে আমার একটা চমৎকার তথ্যই খেয়াল আছে, যেটা শুনলে চমৎকৃত হবেন আশা রাখি।
---------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ

ঝরাপাতা এর ছবি

ক্ষমতায় গেলে তার দল সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেবে এই ঘোষণা দেয়ার দু'দিনের মাথায় এই ঘটনা ঘটলো। কাজেই সম্ভাবনা বেশি মৌলবাদী গোষ্ঠীর হাতে নিহত হওয়ার।


রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।


বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।

রাহা এর ছবি

সচলায়তনে কোঠার ফাপরে পড়ে অতিথি ব্লগার হিসেবেই বেনজীর ভুট্টোর নিউজটি দিয়েছিলাম । বেনজীর ভুট্টো কিংবা ভুট্টো'র বাংলাদেশ-এর স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন ভূমিকা কোনভাবেই আমাদের জন্য ভালো নয় । সে বিষয়ে বির্তক এ যাবো না, কেননা আমি বাঙালি হিসেবে কোনভাবেই ভুট্টোর পক্ষে কোন যুক্তি মানি না , মানব না । এ বিষয়ে হতে পারি আমি পক্ষপাত দুষ্টু । তাতে আমার কোন আপত্তি নাই ।
আসলে এই সংবাদটি দিয়েছিলাম একজন মানুষ হিসেবে সে যেমনই হোক তার এমন মৃত্যু কাম্য নয় । আমি একজন মানুষ হিসেবে সমর্থন করিনা । আর বেনজীর আসলে যাই হোক (দুর্নীতিবাজ কিংবা অসৎ) এই মুহুর্তে ধর্মান্ধ স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন প্রতীক । তার এই মৃত্যু শুধু পাকিস্তান নয় এই উপমহাদেশের রাজনীতিতে ও প্রভাব ফেলবে ।
আমি এমন জঘন্য-কাপুরুষোচিত নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাই ।

..হৃদি ভেসে যায় অলকানন্দার জলে...

সবজান্তা এর ছবি

রাহা, আমি আপনার একটা কথার সাথে একমত যে, কারোই এমন নৃশংস হত্যা কাম্য না। তবে আপনি বলেছেন

আর বেনজীর আসলে যাই হোক (দুর্নীতিবাজ কিংবা অসৎ) এই মুহুর্তে ধর্মান্ধ স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন প্রতীক ।

এর সাথে আমি একমত হতে পারলাম না। কারন বিগত বেশ কিছুদিনের ঘটণা প্রবাহ মোটেই প্রমাণ করে না, তিনি সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে প্রতীক ছিলেন। তিনি চাইলেই দেশে এসে দারুন আন্দোলন গড়ে তুলতে পারতেন। কিন্তু তা না করে, হালুয়া রুটির ভাগের জন্য, বেছে নিয়েছেন আপোসের পথ। মোশাররফের একের পর এক অসৎ সিদ্ধান্তের পরও কিন্তু, তিনি সেই অর্থে কোন আন্দোলনের ডাক দেননি। বরং নির্বাচন নিয়ে নিজের দু মুখী মনোভাব বজায় রেখেছেন। তার আগের সমাবেশে হামলায় ১৪০ জন মারা যাওয়ার পরও কিন্তু তিনি আপোসের পথ থেকে সরে আসেন নি।

সদ্য মৃত কাউকে নিয়ে সমালোচনা কিংবা তার খারাপ দিক নিয়ে কথা বলা ভদ্রতার বা ভব্যতার কাতারে পরে না, তা আমিও স্বীকার করছি।

কিন্তু মৃত বলে, কাউকে তার প্রাপ্যের চেয়ে বেশি সম্মান দিয়ে লাভ কি ?

----------------------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ

বিপ্লব রহমান এর ছবি

শেষমেষ আল-কায়দা বেনজির হত্যার দায় স্বীকার করেছে

আমাদের একজন জাতীয় নেত্রি শেখ হাসিনার ওপরেও একবার বোমা হামলার চেষ্টা, আরেক বার বোমা হামলাই হয়েছে। কিন্তু ২৩ জনের প্রাণহানী হলেও ভাগ্যক্রমে তিনি প্রাণে বেঁচে গেছেন। তো এই আনন্দে আমরা তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলতে পারি, না কি?...


আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

হাসিব এর ছবি

আমার একটা প্রশ্ন ছিলো বিপ্লব ভাই । কি হলে আমরা ধরে নেই যে একটা কাজ আল কায়েদার ? ওসামা বিন লাদেন কি সংবাদ সম্মেলন করে ঘোঘণা দেয় কিছু ? নাকি কেউ একজন ফোন দিয়ে বলে "আমি অমুক, কামরাঙিরচর আল কায়েদার কর্মী, আমরাই এই কাজ করিয়াছি ।" আসল ঘটনা জানার ইচ্ছা । কিভাবে আসলে জানা যায় যে একটা কাজ আল কায়েদার ?

হিমু এর ছবি

এই প্রশ্নে (বিপ্লব)।


হাঁটুপানির জলদস্যু

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

মিডিয়ার সাথে যোগাযোগ করে এসবের দায়-দায়িত্ব স্বীকার করা হয়। লিংক

”We terminated the most precious American asset which vowed to defeat mujahideen.” These were the words of al-Qaeda’s top commander for Afghanistan operations and spokesperson Mustafa Abu al-Yazid, immediately after the attack that claimed the life of Pakistani politician Benazir Bhutto on Thursday (December 27)... “This is our first major victory against those [eg, Bhutto and President Pervez Musharraf] who have been siding with infidels [the West] in a fight against al-Qaeda and declared a war against mujahideen,” Mustafa told Asia Times Online by telephone.
সূত্র - এশিয়া টাইমস
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

হাসিব এর ছবি

ধন্যবাদ সুবিনয় মুস্তফি, এই বক্তব্য আমার আগেই চোখে পড়েছে ।

আমি ঠিক নিশ্চিত না কিভাবে এই ফোন কলগুলোর অথেনটিসিটি কিভাবে বের করা হয় । আবু আল ইয়াজিদেরই কল এটা কিভাবে নিশ্চিত এশিয়া টাইমস ?

আল কায়েদার পক্ষে এধরনের কাজ করা খুবই সম্ভব । কিন্তু দোষটা আল কায়েদার ঘাড়ে চাপানো গেলে আরো অনেকেরই দায় এড়ানোর সুযোগ তৈরী করা যায় । এবিষয়টাও ভেবে দেখা দরকার ।

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি
দিগন্ত এর ছবি

হুম, আমি ভাবছি নিজেই এবার একটা দায় স্বীকার করে ই-মেল করে দেব।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

হিমু এর ছবি

বেনজীরের মৃত্যুতে লাভবান হলো কারা?

  • পারভেজ মুশাররফ। বর্তমান সঙিন হকিকতের মুকাবালায় সে আরো কয়েক বছর বাহাল তবিয়তে ক্ষমতায় থাকবে।

  • পাকিস্তানের মৌলবাদী রাজনৈতিক দল, যারা সেনাবাহিনীর ক্ষমতাদখলের প্রত্যক্ষ বেনিফিশিয়ারি।

  • তৃতীয় কোন পক্ষ, যারা চায় এ অঞ্চলে উর্দিবিরোধী যে কোন জনসমাবেশ পন্ড হোক। বেনজীরের মৃত্যু হয়তো ঝি-কে মেরে বৌকে শেখানো।


হাঁটুপানির জলদস্যু

সুমন চৌধুরী এর ছবি

এই কমেন্টে ইনকিলাব।



ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

দিগন্ত এর ছবি

সন্তুষ্ট হলাম না, আমার লিস্ট একটু বড় -
নওয়াজ শরিফ, কারণ এবার ভোটে তার জেতার সম্ভাবনা হু-হু করে বেড়ে গেল।
আই-এস-আই, কারণ ক্ষমতায় এলে উনি নাকি আই-এস-আই -এর নিরোধিতা করে থাকেন।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

হিমু এর ছবি

যতদিন পারভেজ মুশাররফ ক্ষমতায় আছে, নওয়াজ শরিফ পাতে ঝোল পাবে বলে মনে হয় না। বরং বেনজীরের ল্যাংবোট কেউ নতুন চুক্তি করবে মুশাররফের সাথে।


হাঁটুপানির জলদস্যু

দুর্দান্ত এর ছবি

সিন্ধ-বেলূচ বিচ্ছিন্নতাবাদীদেরওতো লাভবানদের ফর্দে যোগ করতে হয়। তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানের মত সিন্ধ আর বেলুচিস্তান এর জনগনও কিন্তু নিপীড়িত, নির্যাতিত। এই অঞ্চল এখনো পাঞ্জাবিদের দ্বারা শাসিত হচ্ছে শুধুমাত্র ভুট্ট পরিবারের জন্য। সিন্ধ-বেলূচ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের, বিশেষ করে বুগতি ও বিযেঞ্জো পরিবারের, সাথে ভুট্ট পরিবারের 'খুন কা বদলা খুন' সম্পর্ক পাকিস্তানের জন্মলগ্নে সরফরাজ ভুট্ট ভারত থেকে উড়ে এসে সিন্ধ এ জ়ুড়ে বসার পর থেকেই চলে আসছে।

guest_writer এর ছবি

নুরুজ্জামান মানিক

মোল্লাবাদ, সন্ত্রাসবাদ আর সামরিকতন্ত্র ব্লেন্ডার মেশিনে ব্লেন্ড করলে যা প্রস্তত হবে তা দিয়েই পরিচালিত হচ্ছে ‘পাকিস্তান’। এই মিশ্রন থেকে যে ফল (!) আসার কথা তাই তো হচ্ছে।

সুতরাং, বেনজীর হত্যাকান্ডে দুঃখ প্রকাশের সুযোগ আছে কিন্তু বিস্মিত হবার কিছু নেই।

কেউ কেউ পাকিস্তানে গণতন্ত্রের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্িতত দেখছি। তাদের জন্য একটি প্রাপ্তবয়স্ক চুটকি :

‘‘পাকিস্তানের কোন এক অঞ্চলের গ্রামে নানা তার শিশু নাতি -নাতনী নিয়ে রাতে শুয়ে আছেন। কনকনে শীতের মধ্যরাতে নাতি-নাতনী দুজনেই ঘুম থেকে জেগে নানা কে বলল , তাদের হিঃসু (প্রকৃতির ডাক ) করতে হবে। নানা তার নাতি কে বলল , জানালায় দাড়িয়ে হিঃস করতে । নাতি যথারীতি তার কর্ম শেষ করল। এবার নাতনি’র পালা ।

নানা বলল, ওই গামলা টাতে হিঃসু কর । নাতনী বেকে বসল । ও জানালায় করলে আমিও জানালাতে হিঃসু করব । শুরু হল নানা-নাতনী’র দ্বন্দ্ব ।

নানা বলল , ওর যেটা আছে সেটা তোর নেই তাই তুই জানালায় হিঃসু করতে পারবি না। এবার নাতনী কেদে কেদে আবদার করলো ওরটা আমার নেই কেন ? আমাকে এনে দাও ?

নানা উপায়ন্তর না দেখে নাতনী কে আশ্বাস দিলঃ কান্দিস না । তুই বড় হলে ওরটা তোরও হবে । একটা না , অনেকটা ( নাতনী কে খুশি করার জন্য ) হবে । তবে , থাকবে না । আসবে আর যাবে। ’’

পাকিস্তানেও গণতন্ত্র আসবে একবার না, বারবার তবে স্থায়ী হবে না । আসবে আর যাবে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।