খন্ড চিত্র-১: "অধ্যবসায়" / জামানস্বাধীন

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ১৬/১০/২০০৯ - ১০:৪০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[প্রিয় পাঠক, সচল, আধাসচল, আমার মত অতিথি ও মডারেশন ভাইদের প্রতি অনুরোধ, এটা আমার সচলায়তনে প্রথম লেখা, ভুল ভ্রান্তি থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি নিয়ে পড়বেন এবং আমার জন্য একটু কষ্ট করে মন্তব্য করবেন। মতামত জানাবেন, সমালোচনা করবেন, পরামর্শ ও নির্দেশনা দিবেন যাতে ভালো লেখা লিখতে পারি। আর একটা কথা জীবনের খণ্ড চিত্র নিয়ে লেখার ইচ্ছা থেকেই খণ্ড চিত্র-১ দিয়ে শুরু করলাম। আপনাদের সকলকে অগ্রিম ধন্যবাদ]

খন্ড চিত্র-১: "অধ্যবসায়"
আবারও লক্ষ্যভ্রষ্ট হল। এই নিয়ে পরপর চার বার। তাতেও সুমন থেমে গেল না। আবার লক্ষ্য স্থির করে সাফল্য লাভের জন্য তৈরি হল। সূর্যের আলো কমে আসছে। হেমন্তের সন্ধ্যা, প্রকৃতিতে কোন বাতাস নেই। বুঝাই যাচ্ছে শীতের আগমনের পূর্ব প্রস্তুতি। গাছের পাতা গুলি নীরব, নির্জীব। মনে হয় করো বিয়োগ ব্যথায় ব্যথিত। মানুষ কারো শোকে বড়জোর ১মিনিট নীরবতা পালন করে কিন্তু প্রকৃতি সেই বিকাল থেকে কেমন নীরব হয়ে আছে।

অফিসে যারা চাকুরি করে তাদের মধ্যে কেউ কেউ বাসায় ফিরে এসেছে। যারা এখনো এসে পৌছাতে পারেনি, তাঁরা হয়তো ট্রাফিক জ্যামে রাস্তায় আটকে আছে অথবা এখনো বাড়ি ফেরার গাড়ির লাইনে টিকিট হাতে দাঁড়িয়ে আছে। শহর জীবনের এই ট্রাফিক জ্যাম আর বাস কোম্পানি গুলির খামখেয়ালীপনার কাছে নাগরিকদের অনেক মূল্যবান্ সময় অপচয় হয়। তবু কারো কিছু করার থাকে না। এটাই জীবন মেনে প্রতিদিন সকালে বের হয় আবার রাতে ফেরে। সরকারও এই নিয়ম থেকে জনগণকে মুক্তি দিতে নারাজ। সরকারের ভাবটা এমন , যারা এই নিয়মে অভ্যস্ত তাদের কেন শুধু শুধু নূতন নিয়মে অনভ্যস্ত করে তোলা।

সুমন তাঁর লক্ষ্য স্থির করে আবার চেষ্টা করল। এবারও হল না। ছেলেটার ধৈর্য আছে, সেই কখন থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছে, পারছে না, কিন্তু কোনো বিরক্তিও নেই, বিতৃষ্ণা নেই, কাজে অমনোযোগীও হচ্ছে না। সূর্যের আলো নিভে গেছে। আশেপাশের বাড়ির টিউব লাইট জ্বলে উঠছে অনেক আগেই। রাস্তার ল্যাম্পপোষ্টের বাতি গুলিও জ্বলছে। মশার আনাগোনাও বেড়েছে। এর মধ্যে সুমনকে কয়েকবার মশা জাতি আদর করে চুম্বনও করেছে।

সুমন আবার কাঁপা কাঁপা হাতে চেষ্টা করল, হল না। নিজের প্রতি কিম্বা কোনো কিছুর প্রতিও বিরক্ত হল না। সুমন ছোটবেলায় কী একটা ভাবসম্প্রসারণে পড়ে ছিল, কোন্ রাজা যেন যুদ্ধে পরাজিত হয়ে রাজ্যের রাজত্ব হারিয়ে বিষণ্ণ মনে বসে ছিল, হঠাৎ তার চোখ যায় দেয়ালের মাকড়সার দিকে। দেখে মাকড়সা বারবার ব্যর্থ হয়েও চেষ্টা চালিয়ে যায় জাল বুনার এবং এক সময় মাকড়সা সেই জাল বুনতে সক্ষম হয় এবং সেখানে মাকড়সা বসবার করে। মাকড়সার সেই জাল বুনার অদম্য চেষ্টা আর অধ্যবসায় দেখে রাজা আবার যুদ্ধের জন্য তৈরি হয় এবং সপ্তমবারের চেষ্টায় রাজা তাঁর হারানো রাজ্য পুনঃরুদ্ধারে সক্ষম হয়। সুমনের হয়তো সেই ভাবসম্প্রসারণটি এখনো মনে আছে। তাই বারবার লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার পরও থামছে না। অধ্যবসায় করে যাচ্ছে চূড়ান্ত সাফল্যের জন্য।

সুমন দুই ঠোঁট ফুলিয়ে কী যেন একটা গানের সুর শিস দিয়ে বাজানোর চেষ্টা করছে,তবে জোড়ে বাজাচ্ছে না, কারণ কেউ যদি আবার টের পেয়ে যায়। আরেক বার চেষ্টা করল, হল না। এইবার সুমন একটু বিরক্ত হল। নিশানাতো লক্ষ্যভেদ করলোই না উল্টা জিনিসটা এমন এক পরিস্থিতিতে আটকে গেল, কী করবে বুঝতে পারছে না। এখানে কর্মের ইতি দিয়ে জিনিসটা রেখে চলে গেলে, পরে কেউ যদি জানতে পারে, তাহলে অনেক বিপদ হয়ে যাবে। শেষে শুরুতেই রন ভঙ্গ হবে। কী করবে কিছুক্ষণ ভাবল। রাতের আলোতে জায়গাটা ঠিক মত ঠাহর করাও যাচ্ছে না। পাশের বাড়ির জানালাটা মেলাতে একটু আলো এসে পড়ল। সুমন খুশি হয়ে গেল। কোন রকমে নিজেকে লুকিয়ে জিনিসটা নিজের হাতে নিয়ে আসল আবার। হাতের মুঠোয় জিনিসটা নিয়ে একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছাড়ল।

হেমন্তের এই সন্ধ্যায়ও তাঁর কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমেছে। পাশের বাড়ির বিদ্যুতের আলোয় কপালটা চক্চক্ করছে। একটু ঠাণ্ডা হয়ে, নিজেকে স্থির করে আবার লক্ষ্য অর্জনে সচেষ্ট হল। চারপাশ চেয়ে নিয়ে আবার লক্ষ্য ঠিক করে এ্যাকশনে যাবে, কি যেন একটা সামনে দেখে থেমে গেল। দিনের শেষ ভাগে আর সন্ধ্যার শুরুতে অনেক কিছু সুমন দেখতে পারে নি, তবে চতুর্দিকে বাতি জ্বলে উঠায় সুমন এখন সব দেখতে পারছে। তাই সাবধানতা একটু বেশী নিচ্ছে। তবে তাঁকে যে করেই হোক কাজটা আজ সমাধান করতেই হবে, আর এইভাবে থাকে যায় না। পকেট থেকে রুমালটা বের করে ঘাম মুছল। ঠাণ্ডা হয়ে আবার কাজটা করতে গিয়ে তাঁর লক্ষ্য স্থলে একজন অনাকাংক্ষিত লোকের উপস্থিতি বুঝতে পেরে থেমে গেল।

সুমন যেখানে বসে ছিল সেখানে রাস্তার আর পাশের বাড়ির জানালার আলো এসে পড়েছে। নিজেকে একটু আড়ালে নিয়ে গেল সুমন। কিন্তু ইটালির জুতা দেয়া পা কে আলো থেকে আড়াল করতে পাড়ল না। চক্চকে জুতার উপর বাতির আলো পড়ে আরো চক্চক্ করতে লাগল। ইয়াকুব সাহেব তাঁর বাড়ির জানালা দিয়ে একজন লোক অমন একটা জায়গায় দেখে থমকে গেল। সাধারণত ছ্যাঁচড়া জাতীয় চোর ছাড়া ঐসব জায়গায় কেউ বসে না। কোনো ভালো মানুষের ছেলেতো বসতেই পারে না। ইয়াকুব সাহেব আরো একটু কাছে এসে জানালার পর্দা সরিয়ে ভালো করে দেখল। হ্যাঁ একটা ছেলে বসে আছে এবং তার বাড়ির দিকে চেয়ে আছে। তার মনের মাঝে একটা সন্দেহ উঁকি দিল, ভাবল নিশ্চয়ই কোন হেরোইনখোর বসে আছে, বাড়ির কিছু চুরি করার জন্য। সে কাউকে কিছু না বলে একটা ঠাসা নিয়ে চুপিচুপি বের হয়ে এল।

সুমন আবার তাঁর কাজে নেমে পড়ল। নিচু থেকে উঁচুতে লক্ষ্যভেদ করা কঠিন এটা সুমন বুঝতে পাড়ল। তাই পায়ের দামী ইটালীর জুতাটা খোলে পাশের বাড়ির দেয়ালে উঠল। নিজের মোবাইল নাম্বার আর মনের কথা লেখা চিঠিটা ঠিক মত ধরে হাত কাঁপানো বন্ধ করে, লক্ষ্য স্থির করে যেই ছুঁড়বে তখনি ইয়াকুব সাহেব চেঁচিয়ে উঠল-"কে ওখানে? কে? নেমে আয়, নাইলে কিন্তু ঠাসা দিয়ে পিটিয়ে হাড় গুড়ো করে ফেলব।"
=====
জামানস্বাধীন
======


মন্তব্য

মূলত পাঠক এর ছবি

ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে সমালোচনা করাকে বলে অবিমিশ্র প্রশংসা, কারণ ভুলভ্রান্তি না দেখে মতামত দিতে হলে পড়ে থাকে স্রেফ ভালো জিনিসগুলো। নবীন প্রবীন কারোরই কি এ জাতীয় আবদার খাটে? কাজেই ধরে নিচ্ছি আপনি ঐ আবদারটা করেন নি। সেক্ষেত্রে শুরু করি। মন্তব্য পছন্দ না হলে স্রেফ লাফ মেরে পার হয়ে যান, আমি বিশাল সাহিত্যবোদ্ধা নই যে আমার মতকে অগ্রাহ্য করা যাবে না, এবং সেক্ষেত্রে আমি কিছুমাত্র মনে করবো না।

১। বর্ণনা অনেক থাকলেও গল্প তো কিছুই এগোলো না, কাজেই মন্তব্য করার সুযোগও খুব কম।
২। বানান ভুলটুল আছে কিছু, তবে লেখা আরেকটু এগোনোর পর যদি ভালো কিছু হয়ে দাঁড়ায় তাহলেই সে খাটুনি করা যাবে, এখন বলছি না। সুমন একবার 'তাঁর' (প্যারা ৩) ও অন্যত্র 'তার'হয়েছে/হয়েছেন, একে কি কন্টিনিউইটি'র সমস্যা বলবো?
৩। ইটালির জুতোর কারণটা খোলসা হলো না, আবার এটা ক্লিফ হ্যাঙার হিসেবেও তেমন জোরদার নয়, কাজেই একটু ঘেঁটে গেলাম।
৪। রবার্ট ব্রুসের কিসসা এতো বহুব্যবহৃত যে এবার তাকে বিদায় দেওয়াই ভালো। তার বিশদ বর্ণনা পড়তে ক্লান্তি আসে।
৫। যানজট নিয়ে সরকারকে গালি দেওয়া আশির দশকের স্টাইল, এখন আর চলে না, সরকারের তরফে কেউ মুক্তি দিতে তাঁদের নারাজগি প্রকাশ করেন না, তাঁরা হয়তো নাচার হতে পারেন। আপনার উদ্দেশ্যটা বুঝলাম, একটা জেনেরাল পটভূমি সৃষ্টির, তবে এ বিষয়ে মৌলিক কিছু চিন্তাভাবনা না লাগালে এই রকম ক্লিশেড / একঘেঁয়ে শোনাবে।
৬। উপমা বিশেষ সুবিধের লাগলো না, "মশা জাতি আদর করে চুম্বনও করেছে"। আজকাল চা খাওয়া আর মশার কামড় খাওয়ার সাথে চুমু কেন বারবার আসছে তার একটা মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণের সময় এসেছে বোধ হয়।

যাক দেখতেই পাচ্ছেন ক্ষমাসুন্দর ব্যাপারটা আমার আসে না। তবে মনোযোগ দিয়ে পড়লাম, পরের পর্বও পড়বো এইটুকু বলতে পারি।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ভালো লাগল না, অযথা টানেন কেনরে ভাই, এর চেয়ে ভালো কিছু লেখার ক্ষমতা আপনার আছে, আপনার এই লেখন পদ্ধতি বেশ পুরানো।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

আমিও সাইফ ভায়া'র সাথে একমত - অযথাই টানলেন।

আপনার লেখা পড়ে মনে হলো একটা কিছু লিখতে হবে তাই লিখা আর কি। তবে বিষন্ন বোধ করার কোন কারণ নেই। একবার শুরু যখন করেছেন - ভালো কিছু আসবেই।

লেগে থাকুন, চালিয়ে যান। অপেক্ষায় রইলাম পরের কিস্তির জন্য।

-------------------------------------------------------------
সকলই চলিয়া যায়,
সকলের যেতে হয় বলে।

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

হিমু এর ছবি

আপনি দলছুট নিকে দীর্ঘদিন চরম ফালতু কিছু লেখা পোস্ট করে এখন ভং ধরেছেন জামানস্বাধীন নিক নিয়ে। দুঃখিত, কিন্তু এই মিথ্যাচারিতা দিয়ে শুরু না করলে এভাবে বলতাম না। নিক লুকালেই লেজ লুকানো যায় না।

সচলায়তনে এই রাবিশ পড়তে চাই না। মডারেটরদের সদয় দৃষ্টি কামনা করছি।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

অতিথি লেখক এর ছবি

আপানর কথা ঠিক বুঝলাম না। সচলায়তনে দলছুট নামে একজন আছে জানি, তার সাথে কেন আমাকে জরালেন।

জামানস্বাধীন।

মূলত পাঠক এর ছবি

ধন্যবাদ হিমু। আমার সন্দেহ হলেও নিশ্চিত ছিলাম না, তাই ঐ চুমুর মনস্তাত্ত্বিক ইঙ্গিতের বেশি এগোই নি, আইপি দেখার সুযোগ ছিলো না বলেই। যাক আখেরে ভালোই হলো, এরপর এ জাতীয় লেখা পাঠ ও সমালোচনা বাবদ খরচ হওয়া সময়টুকু বাঁচবে, নবীনেরাও কড়া সমালোচকের হাত থেকে বাঁচবেন। জামানস্বাধীনের জয় হোক!

হিমু এর ছবি

আইপি দেখার সুযোগ আমারও নাই। কিন্তু ঐ যে বললাম, নিক লুকালেই লেজ লুকানো যায় না।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

সাইফ তাহসিন এর ছবি

নিক লুকালেই লেজ লুকানো যায় না।

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি পুরাই যা তা অবস্থা দেখি, সন্দেহ দুর করার জন্যে মন্তব্যে উত্তম জাঝা!

@জামানস্বাধীন : একটাই জবাব আপনার জন্যে কস্কি মমিন!

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

সবজান্তা এর ছবি

হা হা হা হা...

মানুষরে এতো বোকা ভাবাটা আসলে নিজের বোকামির একটা অংশ... আশা করি সহজ সত্যটা বুঝবেন।


অলমিতি বিস্তারেণ

স্নিগ্ধা এর ছবি

আমি সাধারণত অতিথি লিখিয়েদের লেখা পড়ি, যথেষ্ট আগ্রহ এবং কৌতূহল নিয়েই পড়ি। এই লেখাটা পড়ে সেই অদ্বিতীয় কিছু 'দলছুট উপাদান' দেখে বুঝলাম, অন্যনামে আবারও আপনি আবির্ভূত!

আর, 'দলছুট'এর কোন লেখায় আমি মন্তব্য করবো না ঠিক করেছিলাম বলে এতোক্ষণ লিখিও নি কিছু।

এখন লিখলাম তার কারণ আপনাকে বোধহয় জানানো উচিত - যে সময় ব্যয় করে আমরা একটা লেখা পড়ি, আপনি নিজে বোধহয় পুরো লেখাটা লিখতে এবং মন্তব্যে বিনয়ের বুলি ঝেড়ে বাস্তবে আমাদের মতামত সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করতে তার অর্ধেকটুকুও ব্যয় করেন না - এবং সেটা শুধু প্রচন্ড বিরক্তিকরই নয়, বেশ উদ্ধতও!

আপনার কথা ছিলো আপনি 'কী বোর্ড বিরতি'তে যাবেন। প্রচুর পড়বেন। তারপর লিখবেন। কোথায় কী???

এরকম সমালোচনা শুনতে কি আসলে আপনার ভালো লাগে?!

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি হবাক হচ্ছি আপনাদের মন্তব্য পড়ে, দলছুটের সাথে আমাকে কেন জরালেন?
দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে বিদায় নেয়া ছাড়া কিছু থাকল না। নিজের লেখা অন্যের লেখার সাথে তুলনা করে এইভাবে কথা শুনতে কারো্ই ভালো লাগে না।
আপনাদের মাঝে আর আসবো না।
ধন্যবাদ।

হিমু এর ছবি
প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আহারে, আমরা একজন সাহিত্যরচনেচ্ছুক সচলপ্রেমীকে হারালাম। এই ঘটনা থেকে আমাদের ভালোমন্দ অনেক কিছু শেখার আছে।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

পাঠক, সাইফ আর হিমু, আপনারা তো দেখছি পাকা জহুরী।

আপনার এই লেখন পদ্ধতি বেশ পুরানো।
সাইফ, তোমার অবজারভেশনের তারিফ করতেই হয়।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

বস, ইশতির সেই বিখ্যাত লেখাটা মনে আসে? বৃন্দাবনে জগন্নাথ? এমন লেখা ভুলি কেমনে? আপনারে লিংক দিতে গিয়াও আরেকবার দম আটকায় গেসে হাসতে হাসতে। একে তো সচলের লেখা বাইরের লোক চুরি করে, তারপর আবার ঘরের মাঝে চুরি করে বাটপারি করে। কত বড় সাহস। মেজাজটা খারাপ হইসে, আর ইমেইলের ব্যাপারটা আমি লক্ষ করি নাই, তবে তার ট্রেডমার্ক চুম্বন তাকে সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখতে বাধ্য করসে।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ট্রেডমার্ক চুম্বনের ব্যাপারটা কী? আমি ওনার চলে-যাওয়া-মানে-প্রস্থান-নয় সিরিজের একটা লেখা একবার পড়া শুরু করে দেখি ভিতরে কিছু নাই। এর পরে আর পড়িনি।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

বুকে আসেন, ভায়া। শুধু আপনিই চিনলেন এই অধমের মর্মযাতনা। দেঁতো হাসি

"সাম্প্রতিক মন্তব্য" থেকে পোস্টে ঢুকেই দেখি চিরায়ত দলছুট। এরপর মন্তব্য পড়তে পড়তে নিজের লেখার লিংক পেয়ে দারুণ মজা পেলাম। মূল লেখায় যাওয়ার কষ্টটুকু করছি না আর। খাইছে

সাইফ তাহসিন এর ছবি

সেইটাই রে ভাই, শেষ মেষ চোর চোট্টার উৎপাত দেখতে হইল সচলে। মেজাজ এতই খারাপ হয়ে গিয়েছিল, কি লিখব ঠিক বুঝতে পারছিলাম না। এই ব্যাটা ভুল করেও আবার যদি আসে, কপালে খারাবি আছে। কতটা ছোট লোক হলে সমালোচনার পর সমালোচনা পেয়েও লজ্জা হয় না, নিক পালটিয়ে একজন সচলের লেখা থেকে লেখার ধরন মেরে লেখা দেয়।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

স্নিগ্ধা এর ছবি

নাহ, সাইফ - তোমার এই মন্তব্যটা ভালো লাগলো না! আমার এটাকে ঠিক চুরি চামারি বা লেখার ধরন মেরে দেয়া মনে হয় নাই। ইশতিয়াকের লেখা অনুকরণ করে লেখার চেষ্টা হয়ে থাকতে পারে। কড়া কথা আমিও খুবই বলেছি এই অতিথিকে, কিন্তু চেষ্টা করেছি কটু কথা না বলতে।

যুধিষ্ঠির এর ছবি

হ্যাঁ, সাইফ। স্নিগ্ধার সাথে সহমত। আমারও ভালো লাগলো না আপনার মন্তব্য। সবার ক্ষোভের প্রকাশ একরকম না, কিন্তু আপনাকে আগেও দু-একবার দেখেছি একটু মাত্রাছাড়া হয়ে যেতে। আরেকটু সংযম আশা করবো আমাদের প্রিয় ডাক্তার-কাম-অটোমোটিভ-এক্সপার্টের কাছ থেকে হাসি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

হে ডাক্তার, রয়েসয়ে ভাই।

মূলত পাঠক এর ছবি

আরেকজন স্নিগ্ধ স্বভাবের মানুষ যে বাদ পড়ে গেলো তালিকা থেকে?

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

হুম, তাইতো দেখছি। বাসায় ঢুকেই ঝটপট মন্তব্য মেরে দিয়েছিলাম। স্নিগ্ধ মনের মানুষটি শুধু পাকা জহুরীই নন, দূরদৃষ্টিসম্পন্নও বটে।

তুলিরেখা এর ছবি

সুকুমার রায়ের ছড়ার লাইন মনে পড়ে-
" ধন্যি ছেলের অধ্যবসায়! "
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

দৃষ্টান্তমূলক।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

এই পোস্টটা স্টিকি করা হোক



অজ্ঞাতবাস

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

মনে করছিলাম নয়া কুনু লেখক ভাইজান আইছে, এহন দেহি হেই পুরানা আদমি। ঐ দলছুট নামে যা লিখছিলো বহুতি কষ্ট কইরা পড়ছিলাম মাগার কমেন্টাইতে মঞ্চায়নাই। লাস্টে দেখলাম পাঠুদা অনেক ভালু ভালু কতা কয়া বুঝাইলো আর উয়েও বুঝলো। কিন্তু আসলে কতটুকু বুঝলো তা তো এখন ফকফকা।

খ্রাপ খ্রাপ, খুউব খ্রাপ।

-------------------------------------------------------------------
সকলই চলিয়া যায়,
সকলের যেতে হয় বলে।

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

এই ভাই তো একটা জিনিয়াস !!!!

---------------------------------------------------------------------------

মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।