ওয়েস্ট ইন্ডিজ বধের পরিকল্পনা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ০২/০৩/২০১১ - ৩:২৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দু'টি খেলা আমরা দেখলাম। ভারতের সাথে সাকিবরা বীরের মত লড়াই করেই পরাজিত হয়েছে আর আয়ারল্যান্ড এর বিপক্ষে খাদের কিনারা থেকে উঠে এসে জয়ী হয়েছে। সামনে আমাদের কঠিন পরীক্ষা ক্যারিবীয়দের সাথে। মাঠে নামার আগে সঠিক পরিকল্পনা দলকে এক ধাপ এগিয়ে রাখে এটা আমরা সবাই জানি। ৩ তারিখ মাঠে নামার আগে বাংলাদেশের গেম প্লান কি হবে এটা নিয়ে দেশের টিভি চ্যানেলগুলোতে রীতিমত তর্কযুদ্ধ চলছে। নানা মুনির নানা মত শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা। তাই আমি এই অধম নিজেই বসে পড়লাম গেম প্লান করতে।

শুরুতেই দল নির্বাচন। তামিম, ইমরুল, জুনায়েদ, মুসফিক, সাকিব, রকিবুল..জুনায়েদ কে বাদ দিয়ে নাফিসকে নেয়ার কথা অনেকেই বলছেন।কিন্তু আমি জুনায়েদকে আরেকটা সুযোগ দেয়ার পক্ষে। সাত, আট এখানে কারা খেলবে তা নির্ভর করছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের কম্বিনেশনের উপর। গেইল, স্মিথ শুরুতে আর মাঝে চন্দরপল বামহাতে ব্যাট করে। তাই বাংলাদেশ দলে ডানহাতি অফ স্পিনার থাকাটা গূরুত্বপূর্ণ। আয়ারল্যান্ড এর সাথে নাইম মোটামুটি ব্যাট করলেও বলে আমাদের হতাশ করেছে। প্রতি ওভারে একের বেশি বল ছিল চার মারার মত। তবুও নাইমকে দলে রাখা যায় । আশরাফুলকে আর সুযোগ দেয়াটা বোকামি। তাই আশরাফুল এর জায়গায় রিয়াদ। তারপর রাজ্জাক, শফিঊল, রুবেল।

এবার আসি টস্ নিয়ে। ভারতের সাথে পড়ে ব্যাটিং নিয়ে কম জল ঘোলা করা হয়নি। "Good toss to lose" কথাটা তাই খারাপ না সাকিবের জন্য। কিন্তু আমার মনে হয় বাংলাদেশের জন্য আগে ব্যাট করাটা ভালো।কেননা পরে রান তাড়া করার মত ঠান্ডা মাথার ব্যাটসম্যান সাকিব ছাড়া আর কেই নেই।

বাংলাদেশ যদি আগে ব্যাট করে সেক্ষেত্রে একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্য স্হির করে নিতে হবে। আমার মতে সেটা হওয়া উচিত ২৫০-২৭০। ৩০০ রান করার পরিকল্পনা নিয়ে ব্যাট করতে নামলেই বিপদ, যেটা আমরা দেখেছি আগের খেলায়। আমাদের ঊচিত এমন একটা স্কোর করা যেন বোলাররা কিছু একটা করার সুযোগ পায়। ৩০০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ২০০ রানে সবাই আঊট হওয়াটা বোকামি। স্লো মিডিয়াম বোলারদের মোকাবেলায় আমাদের দুর্বলতা আয়ারল্যান্ডের সাথে ভালভাবেই চোখে পড়েছে। তাই ব্যাটিং এর সময় পোলার্ড, ব্রাভোদের বিরুদ্ধে যথাসম্ভব সোজা ব্যাটে খেলার চেষ্টা করতে হবে। আর শুরুতেই সুইপ, স্কুপ যত কম খেলা যায় ততই ভালো। ব্যাটিং পাওয়ার প্লে আমার মতে ৪০ ওভারের পর নেয়াই ভালো কারন দেখা গেছে এ সময়টাতে আবার ঊইকেট বেশি পড়ে।

বোলিং এ আসলে বলার কিছু নাই কারন সাকিব বোলিং পরিবর্তনটা খুব ভালো বোঝে। গেইল স্মিথদের বিরুদ্ধে স্পিন দিয়ে আক্রমন শুরু করার বিষয়টা সাকিব সিডন্স ভেবে দেখতে পারে। কেননা ডাচদের সাথে গেইলকে দেখেছি স্পিনটা ঠিকমত খেলতে পারছেনা আর শফিউলকে পুরানো বলে বল করার জন্য রেখে দিতে হবে।

সব পরিকল্পনার পরও শেষ কথা হলো মাঠে ভালো করা। আশা করা যায় সাকিবরা তাদের সব পরিকল্পনার প্রতিফলন তিন তারিখ সুন্দর ভাবে করতে পারবে,..কারন ওদের সাথে আছে ১৫ কোটি ভালোবাসা।

ইশতিয়াক


মন্তব্য

স্বাধীন এর ছবি

আশরাফুলকে আর সুযোগ দেয়াটা বোকামি।

বললেই তো হবে না। প্রথম আলু পড়ে দেখেন আশু ছাড়া জাতীয় দলে আর কোন খেলোয়ার নেই। আশু এই বলেছেন, আশু এই মনে করছেন, আশু এই করণীয় দিচ্ছেন। রিপোর্টটা জাতীয় দল নিয়ে, নাকি আশুকে নিয়ে তা নিয়ে সন্দিহান। হয়তো ইচ্ছে ছিল আশুকে নিয়েই লেখার। কিন্তু যেভাবে ব্লগে ব্লগে বিতর্ক হচ্ছে তাই গরুর রচনার মতো, জাতীয় দল নিয়ে লেখা হলেও হয়ে গেছে আশুময়।

হাসিব এর ছবি

ইন্টারেস্টিং নিউজ। নিউজের হেডলাইন দেখলাম স্পিনেই উইন্ডিজের মরণ? আমি ভাবলাম স্পিন সংক্রান্ত কোন জ্ঞানসর্ভ আলোচনা করা হয়েছে বুঝি। ঢুকে দেখলাম পরিস্থিতি ভিন্ন। আশরাফুল কী করলো কী বললো এটা নিয়েই নিউজ। কিছু পরিসংখ্যান দেই -

নিউজটিতে মোট বাক্য যেখানে সাকিব/আশরাফুল প্রসঙ্গে বা সাকিবের কথা উল্লেখ করা হচ্ছে এরকম বাক্য ও অন্যান্য বাক্য মিলিয়ে মোট বাক্যের সংখ্যা ৩৩। এর মধ্যে সাকিব ২, আশরাফুল ২৫ এবং অন্যান্য ৬টি বাক্য।

নিউজটিতে মোট ৫৬৪টি শব্দ আছে। আশরাফুলকে নিয়ে রচিত বাক্যগুলোতে শব্দসংখ্যা ৪৪২, সাবিককে নিয়ে ৩৭ এবং অন্যান্য ৮৫।

মোট ক্যারেক্টার ৩৩৬৪টি। এর মধ্যে আশরাফুল ২৬৭২টি, সাকিবের পেছনে ব্যয় করা হয়েছে ১৯৯টি।

স্বাধীন এর ছবি

চমৎকার বিশ্লেষণ গুরু গুরু

টিউলিপ এর ছবি

গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু

___________________

রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি

কৌস্তুভ এর ছবি

আমাদের ভাত মাইরতে চান? মন খারাপ

রিপোর্টটা দেখে তো মূলত আশরাফুলের ইন্টারভিউ মনে হল। সেক্ষেত্রে তাকে নিয়েই অধিকাংশ বাক্য থাকবে, এতে আর আশ্চর্য কি?

অতিথি লেখক এর ছবি

আশু ছাড়া আর কাউকে মনে হয় কথা বলার জন্য পাওয়া যায় নি। কোড অব কন্ডাক্ট বলে একটা ব্যাপার আছে না! মূল একাদশের কেউ কথা বলে নি, তাই আশু।

আরেকটা ব্যাপার আছে, আলু গ্রুপের অভ্যাস আছে মনগড়া ইন্টারভিউ আবিষ্কার করার! কার মুখে যে কার কথা লাগাবে তার কোন ঠিক ঠিকানা নাই। হালারা ছয়তান আছে...!!!

--- থাবা বাবা!

অতিথি লেখক এর ছবি

লা জওয়াব হাসিব ভাই!

হাটুরে

তারানা_শব্দ এর ছবি

গুরু গুরু

"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"

কুটুমবাড়ি [অতিথি] এর ছবি

হাসিব্বাই রক্স! গুরু গুরু

যুধিষ্ঠির এর ছবি

চলুক

আশ্রাধারণ বিশ্লেষণ!

হাসিব এর ছবি

প্রথম আলোর প্রথম পাতার নিউজটার শিরোনাম "ঢাকায় আত্মমগ্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ"। নিউজ পড়ে আত্মমগ্ন কথাটার মানে যেটা বুঝলাম সেটা হলো তারা কানে হেডফোন গুজে রেখেছিলো ও প্রতিবেদক কোন প্রশ্ন (মানে ওয়াড্ডুয়ুথিংক্যাবাউটবাংলাদেশ) করে উত্তর পাননি। এই তথ্য দিয়েই ৫৩৩ শব্দের রিপোর্ট!

হিমু এর ছবি

ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটারদের নানা কারণে পছন্দ করি। তারা বোঝে, বালমার্কা উটপোঁদ শুভ্রদের বালোচিত প্রশ্নগুলির উত্তর দিয়ে কোনো লাভ নেই। যে কারণে ব্রায়ান লারা একবার ইন্টারভিউয়ের মাঝপথে উটপোঁদকে প্রায় কানে ধরে বের করে দিয়েছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের নতুন জেনারেশনের মধ্যেও উটপোঁদকে ইগ্নোর মারতে পারার সক্ষমতা দেখে ভালো লাগলো। আশা করি দুয়েক বছরের মধ্যে আমাদের ক্রিকেটাররাও নিয়মিতভাবে উটপোঁদ ও তার গেলমানদের বালছাল প্রশ্নকে পাত্তা না দিয়ে নিজের কাজ করে যাবেন।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

কিন্তু তারপরেও "ওয়াড্ডুয়ুথিংক্যাবাউটবাংলাদেশ" প্রশ্নটার উত্তর দেওয়া প্রতিটা দলের ঈমানী দায়িত্ব। এতে পরের দিনের স্পোর্টস্ পাতায় একটা হেড লাইন পাবে উটপোঁদেরা। সুতরাং এইটারে অবহেলা করা ঠিক না একদমই।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

অনেকবছর আগের কথা। আচ্ছা, রিচি রিচার্ডসন কি উৎপল বাবুর কাছে স্বাক্ষাৎকার দেওয়ার জন্যে টাকা চাইছিলো?

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

পোস্টের মন্তব্যগুলোই মজা লাগলো। প্র আলোর রিপোর্টে দেখলাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলোয়াড়দের মুখ থেকে কথা বের করতে না পেরে মনগড়া তথ্য দিয়েছেন প্রতিবেদক সাহেব:

সম্ভবত আসার আগে বাংলাদেশকে নিয়ে ভালোই হোমওয়ার্ক করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২০০৯ সালের জুলাইয়ে নিজেদের মাঠে বাংলাদেশের কাছে ২-০ টেস্ট সিরিজ এবং ৩-০ ওয়ানডে সিরিজ হারের কথা খেলোয়াড়দের মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে নিশ্চয়ই।

এরকম রিপোর্ট ছাপা হয় কিভাবে!

টিউলিপ এর ছবি

এই যে এইভাবে পিপিদা, "খেলোয়াররা নিশ্চয়ই বাংলাদেশে এসে খাওয়াদাওয়া করবেন। বাথরুমেও যাবেন নিশ্চয়ই। আর রাতে ঘুমানোরও কথা। এর ফাঁকে ফাঁকে প্রতি মুহূর্তেই নিঃশ্বাসের সাথে তারা বাংলার বাতাস বুকে টেনে নেবেন।" এইবার আপনি বলুন আমি কোন কথাটা মিথ্যা বলেছি, খেলোয়ারদের সাথে আমার দেখা হয় নি তো কী হয়েছে?

___________________

রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আপনার সাথে আমি দুইমত; মানে দুইবার একমত।

অতিথি লেখক এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

শিশিরকণা এর ছবি

হো হো হো হো হো হো

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাই, চিকার কাজই হচ্ছে নাক উঁচিয়ে গন্ধ শুকে বেড়ানো। তার ক্ষুধা থাকুক বা না থাকুক। উৎপাতের কাজও তাই। আশরাফুল খেললেও তাকে নিয়ে লিখবে, না খেললেও তাকে নিয়েই লিখবে। তার শয়নে স্বপনেও শুধু এক চিজ, আশরাফুল। তাই তাকে ঘাটায় লাভ নাই। তবে আশরাফুলকে মর্দন করতে যেয়ে যদি আমাদের অন্য কোনো ক্রিকেটার (বিশেষ করে সাকিব) এর দিকে নাক উঁচায় তবে কিন্তু বরাতে খারাপ আছে। এই জিনিসটা তাকে জানাতে হবে।

কেউ পেঙ্গুইন্স অফ মাদাগাস্কার কার্টুন সিরিজটা দেখেছেন কিনা জানিনা। সেখানে পেঙ্গুইনদের খেলার সময় লেমুর কিং জুলিয়ান যেভাবে চিয়ার গার্লস সেজে নাচছিলো, গত ম্যাচে আশরাফুলের নাচ দেখে আমার সেকথা মনে পড়েছে। তাকেও সেইকাজে নিয়োজিত করা যেতে পারে। দেঁতো হাসি

আশরাফুল গত ম্যাচে দুটো উইকেট পেয়েছে। তাই দলের জয়ে বোলিং এ তার অবদান আছে স্বীকার করতেই হয়। তবে কথা হল, আশরাফুল মানেই একটা "যদি"। এই যদির আশায় থাকলে এক-দুই ম্যাচে পার পেতে পারি শুধু। আমাদের ভালো ক্রিকেটারের এমন কোনো অভাব বা দুর্দশা নাই যে যদির অপেক্ষায় থাকতে হবে। যেই ব্যাটসম্যান(?) দলে এতবার সুযোগ পেয়েও প্রায় দুইশত এর মত ম্যাচ খেলে মাত্র ঊনিশ গড় নিয়ে পড়ে থাকে তার ক্রিকেট না, লুডু খেলা উচিত। যেখানে ভাগ্যটাই সব। আর বোলিং নিয়ে কী বলব? উৎপাত ইতোমধ্যে অনেক কিছু বলে ফেলেছে দেঁতো হাসি । এ প্রসঙ্গে আমার এক বন্ধুর কথা মনে পড়ে গেলো। সে বললো আশরাফুল বোলিং এর সময় নাকি প্রোফাইল এ দেখায় OB/LB. অর্থাৎ অফব্রেক / লেগব্রেক। মানে সে দুটোতেই বল করে। কিন্তু আসলে হবে AB. অর্থাৎ আল্লাহ ব্রেক। যার মানে হল, বল ফেলার পরে আল্লাহ যেদিকে নিয়া যায়। দেঁতো হাসি

আমার কাছে ব্যাটিং এর মিডল অর্ডারে দূর্বলতা আছে মনে হচ্ছে। বিশেষ করে ওপেনিং এ তামিম দুই ম্যাচেই রান করেছে। ওপেনিং যদি ফেইল করে কোনো কারণে তাহলে মিডল অর্ডারে একটা স্ট্যাবল পার্টনারশিপ দরকার। সাকিব ঠিক আছে তবে অন্যদের মনে হয় আরও পরিচর্যা দরকার। আর শুভকে মনে হয় খেলানো উচিত।

-অতীত

অতিথি সন্ধ্যা এর ছবি

কে, কোথায়, কিভাবে খেলবে- এত কিছু বুঝি না
শুধু বুঝি বাংলাদেশ জিতবে, বাংলাদেশকে জিততে হবে দেঁতো হাসি
কোপাও মামা...

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

১. বাংলাদেশের জন্য আগে ব্যাট করা ভালো, অন্যথায় টপ অর্ডারে কেউ না কেউ ভচকে যায়।

২. ফর্ম বিচারে আশুর খেলতে পারা উচিত না। পিচ বিচারে শুধুই বোলার হিসাবে শুভকে নেওয়া উচিত না। রিয়াদ এবং নাঈম প্রায় সর্বাংশে তুল্য, তাই দু'জনকেই এক সাথে নেওয়া উচিত না। সারমর্মঃ এই খেলায় #৭-এর কাছ থেকে কোনো রকম প্রত্যাশা রাখা যাবে না। বাকি ১০ জনের মধ্যে ৪/৫ জনকে জেগে উঠতে হবে।

৩. সবাই খেলাটাকে নিশ্চিত জয় ধরে নিচ্ছেন। সাবধান থাকা প্রয়োজন, এটা অর্ধশক্তির দল না। আইপিএল-এর সুবাদে ওদের অনেকেই উপমহাদেশ এবং স্পিন বোলিং সম্পর্কে সজ্ঞান।

৪. আগে ব্যাট করতে নামলে বাংলাদেশের মূল সমস্যা টার্গেট রিভাইজ করতে না পারা। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২৮০ টার্গেট নিয়ে খেলতে নেমেছিলো। পিচ বুঝে মাঝপথে এই টার্গেট ২৪০-এ নিয়ে আসা উচিত ছিলো। তা না করে আমরা গায়ের জোরে প্ল্যান-এ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ধরা খেয়েছি। একই সমস্যা হয় দ্রুত ২/৩ উইকেট হারিয়ে বসলে। প্ল্যান-বি যথাযথ ভাবে প্রস্তুত না থাকায় আমরা হুড়মুড়িয়ে ধসে পড়ি।

৫. কোনো হ্যাংকি-প্যাংকির প্রয়োজন নেই, ১৬ থেকে ২০ ওভারেই পাওয়ারপ্লে নিয়ে ফেলা উচিত। অনেক বার অনেক অবস্থায় চেষ্টা করেছি আমরা -- প্রতিবার ধরা খেয়েছি। রান তো কম হয়ই, উইকেটও হারিয়ে ফেলি ৩টা করে। পাগলা বাড়ি দেওয়ার চেষ্টা না করে ৫ ওভার ধরে রেস্ট্রিকশন উপভোগ করা যায়। শেষের ১০ ওভারকে আগের মতোই স্লগ ওভার বিবেচনা করে রান তোলা যায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

পিচ বিচারে শুধুই বোলার হিসাবে শুভকে নেওয়া উচিত না।

উইকেটে যথেষ্ট টার্ন থাকবে বলে শোনা যাচ্ছে। সবই মিডিওকার প্লেয়ার না নিয়ে আমি তাই এই ম্যাচে তিনজন স্পেশালিস্ট স্পিনার নেয়ার পক্ষে। এই হিসেবে শুভ অটোমেটিক চয়েস হওয়ার কথা। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কী হয়।

আর পাওয়ার প্লে মনে হয় ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে (অবশ্যই ৪০ ওভারের আগে) নেয়া উচিত হবে।

- কুটুমবাড়ি

অতিথি লেখক এর ছবি

আগের মন্তব্যটা মুছে দিলাম। -রু

অদ্রোহ এর ছবি

ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে জয় পাওয়াটা এখন স্রেফ প্রত্যাশার মোড়কে বন্দি না থেকে অনেকে এটাকে ভবিতব্যই ধরে নিচ্ছেন। তবে পা মাটিতে রাখা এখন খুবই জরুরি। শুরুতে গেইলের মত ব্যাটসম্যান, নিজের দিনে বোলারদের স্রেফ খুন করতে পারে সে। গেইলের জন্য রাজ্জাকের স্পিন ভালো বিষ হতে থাকে। আঁটসাঁট বোলিং করলে ও সুযোগ দেবেই। তবে সারওয়ান, ড্যারেন ব্রাভো নয়, আমার মতে চন্দরপল হতে পারে এই ম্যাচের কি-ফ্যাক্টর। স্পিনের বিপক্ষে দুর্দান্ত, রানের গতিটা একটু স্লথ, কিন্তু সহজেই স্ট্রাইক রোটেট করে বলে চার-ছয় না মেরেও রানের চাকা সচল রাখতে পারে। এরপর আবার পোলার্ডের মত মারকুটে প্লেয়ার, তবে আমার মনে হয়না মিরপুরের মন্থর উইকেটে সে আগেরদিনের মত ঝড় উঠাবে।

উইন্ডিজের বোলিং লাইনআপ তুলনায় দুর্বল, কিন্তু একেবারে ফেলনা নয়। কেমার রোচ দারুণ ফর্মে, বলে গতিও অনেক। নতুন বলে সে ভালই বেগ দেবে। স্যামিও ভাল বোলার, বাকিরা অবশ্য খুব বেশি উল্লেখ করার মত নয়। আমার মতে শুরুতে ব্যাট নেওয়ার সুযোগ পেলে রোচ-স্যামিকে শুরুতে একটু সমঝে খেলা উচিত, ধৈর্য ধরে খেললে ওরা মারার বল দেবেই। তাই টার্গেটটা এই হিসেবে বেশিই রাখা উচিত, আমার মতে ২৫০ এর কম কোন স্কোর নিরাপদ নয়। এরপর গেইলকে শুরুতেই ফিরিয়ে দিতে হবে থিতু হওয়ার আগেই। ব্রাভো- সারওয়ান খুব বেশি বিপজ্জনক হবেনা বলেই বিশ্বাস, আর চন্দরপল একপ্রান্ত আগলে রাখলেও পার্টনারের অভাবে অতটা ত্রাস নাও হতে পারে। ফিলডিং-বোলিং আগের ম্যাচের মত হলে ওদের ভালই বেগ পোহাতে হবে। আর বাংলাদেশের ব্যাটিং এ যেটা দরকার, প্রথম তিন জনের যেকোন একজনকে লম্বা সময় উইকেটে থাকা। পাওয়ার প্লের ব্যাপারে ইশতি ভাইয়ের সাথে একমত, শুরুর ২০ ওভারে নিলেই ল্যাটা চুকে যায়। আর ঐ সময়ের মধ্যেই যারা উইকেটে থাকবে, তারাই এতার সবচে বেশি ফায়দা হাসিল করবে। ২৫ থেকে ৩৫ ওভারে রান বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ আসবে, কারণ ঐ সময় ওদের একিলিস হিল, পাঁচ নম্বর বোলার তখনই বল করবে।

জেতার আশায় তাই আমরা বুক বাঁধতেই পারি, কিন্তু বেশ কিছু "কিন্তু" অবধারিতভাবে এসেই পড়ে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছেড়ে কথা বলবেনা, ফেভারিট ইংল্যাণ্ডের পা হড়কানো দেখে ওরা বেশ সতর্ক থাকবে, কিন্তু সব ঠাকঠাক থাকলে আমরাই শেষ হাসিটা হাসব...

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

সাদাকালোরঙিন এর ছবি

আশরাফুল ছাড়া আসলে ঐ পজিশনে ভালো কোন বিকল্পও বাংলাদেশের নেই। মাহমুদুল্লাহ ও নাঈম একই ধরনের ক্রিকেটার । পারফর্মেন্স ও তাদের আহামরি কিছু নয়। এদের একজন টিমে থাকাই যথেষ্ট।

বাঁহাতি সাকিব ও রাজ্জাকের পর শুভ খুব একটা ভেরিয়েশন যোগ করতে পারে না বোলিং এ। তার উপর বাঁহাতি স্পিনারের চেয়ে আশরাফুলের অফস্পিন বেশি কার্যকরী হবে ওয়েষ্ট ইন্ডিজের মতো বাঁহাতি ব্যাটসম্যানে ভরপুর টিমের বিরুদ্ধে। এছাড়া প্রতিপক্ষ আশরাফুলের পার্ট টাইম স্পিনে বেশি সুযোগ নিতে গিয়ে সহজেই উইকেট বিলিয়ে দিতে পারে।

লোয়ার অর্ডারে ব্যাটিং এ ব্যাটসম্যান(????) আশরাফুলের স্টাইলটাই কার্যকরী হবে, কিন্তু ব্যাটিং এর বর্তমান ফর্মে খুব বেশি কিছু আশরাফুলের কাছ থেকে উচিত হবে না। তবে মাহমুদুল্লাহর ব্যাটিংও আহামরি কিছু নয় বলে আশরাফুল থাকলেও খুব বেশি হের ফের হয় না। তবে আশরাফুলবাজি যদি একবার লেগে তাহলে যেকোন প্রতিপক্ষের জন্যই তা বেশ ক্ষতির কারন হবে।

ভারতের যুবরাজের বর্তমান ফর্ম ও অবস্থাও আশরাফুলের মতই। তার পরেও যুবরাজ টিমে আছে। সব মিলিয়ে যদি হিসাব নিকাশ করে বলা যায়

১। অভিজ্ঞতা
২। ম্যাচ উইনিং এ্যাটিচিউড
৩। মিডল ও লোয়ার অর্ডারের অভিজ্ঞতা
৪। পার্ট টাইম অফস্পিন
৫। প্রয়োজনে বড় শট খেলতে পারা
৬। উন্নত ফিল্ডিং

এসব বিবেচনা করে আশরাফুলের চেয়ে ভালো বিকল্প বাংলাদেশের হাতেও নেই খুব বেশি। আমার ধারনা ওয়েষ্ট ইন্ডিজের সাথে আশরাফুল টিমেই থাকছে।

সার্থক এর ছবি

এত সাধারণ একটা পোস্টে এত অসাধারণ সব কমেন্ট আগে দেখিনাই।

সকল কমেন্টকারীকে গুরু গুরু

আসিফ ইকরাম এর ছবি

সাদাকালোরঙিন এর সঙ্গে সহমত।

এ ম্যাচটা আমাদের টার্গেট ম্যাচ, কোয়ার্টার ফাইনালে যাবার জন্য। যদিও আশরাফুলকে ইদানীং দু'চোখে দেখতে পারিনা, তারপরেও মনে হয় এবার আশরাফুল বাজিটা লেগে যেতেও পারে। ‌‌‍ছক্কা নাইম এর ব্যাপারে হতাশ। তারচেয়ে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ খারাপ হবে না।

শফিউল নতুন বলে বেশি ভালো করে, রুবেলই পুরনো বলে বেশি কার্যকর। পোস্টদাতার মনে হয় এক্ষেত্রে ভুল হয়েছে।

কুটুমবাড়ি [অতিথি] এর ছবি

আর কিছুক্ষণের মধ্যেই বাংলাদেশ বধের পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ! খাইছে

বাঘের বাচ্চা রা ক্যারিবীয়দের পিষে ফেলো!

অতিথি লেখক এর ছবি

পোস্টটা প্রথমবার যখন পড়েছি, খুবই আশাপ্রদ লেগেছিল। বাংলাদেশের ইনিংস দেখার পর ফের পড়ে পুরোটুকুই এখন ভাঁড়ের আড্ডা মনে হচ্ছে। মন খারাপ

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

মন খারাপ

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।