কওমী মাদ্রাসায় আমার কয়েকটা দিন - ৩

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ০৫/০৩/২০১১ - ৭:২৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(আগের পর্বগুলো পড়া না হয়ে থাকলে একটু চোখ বুলিয়ে নিন)
কওমী মাদ্রাসায় আমার কয়েকটা দিন
কওমী মাদ্রাসায় আমার কয়েকটা দিন - ২

এই মাদ্রাসাটা ছিল অনেকটা নতুন, ছোট। ঐটাকে কওমী মাদ্রাসা বলা যাবে না, হাফেজি মাদ্রাসা বলাই ভালো। ওখানে হুজুর ছিলেন একজনই, ছাত্রও খুব বেশি ছিল না। আবার তাদের অধিকাংশই ছিল আমার চেয়ে অনেকখানি বড়। আমি প্রথম দিনেই বুঝলাম আমি ওদের মাঝখানে অনেকটাই অনাহুত। হুজুর খুব ব্যস্ত থাকতেন, সকালে পড়া দিয়ে বেরিয়ে যেতেন, ফিরতেন জোহরের আগে। তখন পড়া নেয়া চলত। পড়া না হলে স্বাভাবিক ভাবেই বেত চলত। আগের মাদ্রাসায় যেমন খুব সহজেই একটা পরিচিতের গন্ডি দাড়িয়ে গিয়েছিল, এখানে সে সুযোগই হচ্ছিল না। বড় ছেলেদের অনেকেই লুকিয়ে বিড়ি-সিগারেট খেতো, আর ওদের কি নিয়ে যেন শলা-পরামর্শ চলত যেখানে আমার প্রবেশাধিকার ছিল না। বরং আমাকে হুমকি দেয়া ছিল, হুজুরকে কিছু বললে এই নিয়ে, পিটিয়ে তক্তা বানাবে আমাকে। আমার বলার কোন শখ ছিল না, তবে আমাকে কিছু ফ্রি স্যাম্পল দিতে ওদের হাত নিশপিশ করত সে খুব বুঝতাম।

দুপুরে খেতাম বাসায়। এরপর আবার ফিরতাম মাদ্রাসায়। কিন্তু এই মাদ্রাসায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও দাওয়াত থাকত। প্রতিদিন দল বেধে আমরা কোন বাসায় যেতাম। কোথাও কুরআন খতম, দোয়া, মিলাদ এইসব। আমি নতুন তাই আমার এক পারা পড়তে পড়তেই বাকি সবাই মিলে বাকিটা শেষ করে ফেলত। এরপর ব্যপক খাওয়া। মিলাদে কতগুলো দরূদ পড়া হতো যেগুলো আমি কোনদিন শুনিনি। ওরা আবার অবাক হতো, তুমি এইগুলা শোনো নাই। একটা মনে হয় এমন ছিল - ছালাতুনিয়া, ছালামুনিয়া আলাইকুম, এই যা, বাকিটা ভুলে গেছি। বাবা-মা তো শুনে আতকে উঠলেন, এইখানে গেলে তো ছেলে শেষে দাওয়াত খাওয়া হুজুর হবে। ব্যাস দুই দিন পড়ে সেই মাদ্রাসাতে যাওয়াও বন্ধ।

মনে করছেন, মাদ্রাসার পাঠ চুকলো। না, না। এবার অন্য আরেকটা। এখানেও আমার পড়া এগোচ্ছিল না ঠিকমত, হুজুর খুব ব্যস্ত থাকতেন। বাবা-মা রীতিমত চিন্তায়, কি করা যায়। আমার মাদ্রাসা অভিযান শেষ হওয়ার পেছনে একটা বড় অবদান একজন কওমী মাদ্রাসায় পড়া হুজুরেরই। উনি কওমী মাদ্রাসায় পড়েছিলেন, হাফেজ ছিলেন। উনি খুব ছোট একটা চাকরি করতেন, কওমী মাদ্রাসার পড়া দিয়ে তো চাকরি মেলে না। কেউ দয়া করে ওনাকে এই চাকরিটার ব্যবস্হা করে দিয়েছিলেন। তাতে ওনার চলে যেত কোনরকম। উনি বাবাকে বললেন, আপনারা ওর জীবনটা কেন নষ্ট করছেন? ওকে আবার স্কুলে দেন, ও পাশাপাশি বাসায় কুরআন পড়ুক। তারপর আমি আবার স্কুলে ফিরে যাই। বাসায় কুরআন শরীফ পড়তাম। সাথে চলল স্কুলের পড়া। এরপর আর কোনদিন মাদ্রাসায় ফিরে যাওয়া হয়নি।

পরিশিষ্টঃ
আমি এখন দেশের বাইরে পিএইচডি করছি। ভবিষ্যতে শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে নেওয়ার স্বপ্ন দেখি। প্রচন্ড মায়াবতী একটা মেয়ে আমার চলার পথের সঙ্গী হয়েছে। ওকে যখন আমার এই গল্পটা শোনালাম, ও আমাকে শক্ত করে ধরে বলল, ভাগ্যিস, তুমি মাদ্রাসায় থেকে যাওনি। কি হতে পারতো সেটা একটু ভয়ঙ্কর বলেই হয়তো তা নিয়ে ভাবিনা। বরং ওর চোখের দিকে তাকিয়ে ভবিষ্যতের ছবি আকতেই ভালো লাগে।

ভাগ্যিস - এই শব্দটাতেই আমি আটকে যাই বার বার।।

আমার সাথে ওদের পার্থক্য তো কেবল এই শব্দটাতেই। হয়তো ভাগ্যই, কিন্তু আমার একটা অবলম্বন ছিল। মাদ্রাসায় যাওয়াটা আমার জন্য ছিল একটা বিলাসিতা - একা থাকতে ভালো লাগে না, খাবার সহ্য হয় না অথবা পরিবেশ ভালো লাগছে না এগুলোই যথেষ্ট ছিল আমাকে ফেরাতে। কিন্তু ওখানে আমি যাদের দেখেছি, তাদের অনেকের জন্যই এটা ঐচ্ছিক কিছু না, এ জীবন তারা বেছেও নেয়নি। কওমী মাদ্রাসায় জঙ্গী তৈরী করে এটা নিয়ে আমরা অনেকেই ভাবি। কিন্তু আমি আমাদের সমাজে এমন কোন সোস্যাল সেফটি নেট দেখিনি, যেটা একটা গরীব/এতিম বাচ্চাকে বলে, এসো, বড় না হওয়া পর্যন্ত তোমার থাকা-খাওয়ার দ্বায়িত্ব আমার। কেউ কোন বাচ্চাকে বলে না, পরিবারে তোমার জায়গা হয় না, এসো থাকো আমার সাথে। কওমী মাদ্রাসা এই কাজটা করে যাচ্ছে। এই কাজটা আমরা আমাদের করে নেয়ার আগ পর্যন্ত কওমী মাদ্রাসা টিকে থাকবেই।

কওমী মাদ্রাসায় পাস করা ছাত্রটা আবারো বিপদে পড়ে। সমাজে তার পড়ার কোন দাম নেই। সেজন্যই সে খুব সহজেই মোটিভেটেড হয় এই সমাজকে ভেঙ্গে নতুন করে গড়তে। যে সমাজ থেকে কোনদিন একটুও ভালো ব্যবহার পায়নি, ভবিষ্যত বলে যার কিছু নাই, তার কাছে আইন-আদালত কি খুব ভয়ের কিছু। আমার ঐ হুজুরের কথাই বলি, উনি স্রেফ একটা সুযোগ পেয়েছিলেন কোন ভাবে বেচে থাকার, উনি চাননি কেউ তার পথে হাটুক। আমার মনে হয়, ওদের জঙ্গী ভাবা বা দুরে সরিয়ে রাখা ছাড়াও আমাদের অনেক কিছু করার আছে। তারা জন্ম থেকেই অনেক বৈষম্য সয়েছে, ওদেরকে একটু সুযোগ কি আমরা দিতে পারি না।

পৃথিবী ওদের নিয়ে ভাবেনা। আমরা কি ভাববো? (সমাপ্ত)

-আতিক
atiq(ডট)atiq_atiq(ডট)yahoo(ডট)com


মন্তব্য

কাকতাড়ূয়া এর ছবি

হে হে হে আপনি তো কদিন মাত্র ছিলেন। আর কদিন থেকে আসলেই পারতেন চোখ টিপি
ছেলেগুলো তবুও একটু খেলার সুযোগ পায়, মেয়ে কওমি মাদ্রাসা গুলোর পরিবেশ চরম ভয়ংকর । কল্পনার বাইরে। কেউ না দেখলে, না থাকলে বুঝবেনা।

আপনার পরিবারের সাপোর্ট এর জন্যই বের হয়ে আসতে পেরেছেন। এইসব যায়গায় বেশীর ভাগ ছাত্র-ছাত্রী কে অনিচ্ছা সত্বে থাকতে হয়। খারাপ লাগতো যখন দেখতাম মেয়েগুলো চিৎকার করে কাঁদছে বাবা-মা যখন তাদের রেখে যাচ্ছে। বেশীর ভাগ ছাত্রীগুলো আসতো ঢাকার বাইরে থেকে। এদের যেদিন বাড়ি যাওয়ার দিন আসতো, সেদিন ছিলো তাদেরকে দেখার মত। আনন্দ, উচ্ছাস নিয়ে সকাল থেকে অপেক্ষা করতো কখন বাবা বা ভাই এসে নিয়ে যাবে।
আপনার পোষ্ট পড়ে সেই চেহারা গুলো ভেসে উঠলো অনেক দিন পর।

অতিথি লেখক এর ছবি

মনে হচ্ছে আপনার কাছেও বেশ একটা গল্প আছে।ছাড়ুন না।আমরা জমিয়ে পড়ি।

রব

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

হুঁ আপনার গল্প শুনতে মন চায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

আসলেই অল্পেই বেচে গেছি। হাসি

লিখুন আপনার গল্পগুলো। ওদের গল্পগুলো আসা দরকার। ওমন শৈশব আর না হোক কারো।

-আতিক

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার লেখা ভালো লাগলো। আশা করছি লেখালেখি এখানেই থামিয়ে দিবেন না। শেষ অংশটা নিয়ে পরে আরেকবার মন্তব্য করব, এখন তাড়ার মধ্যে আছি।
-রু

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন দরকার।
এখন যে পদ্ধতিতে মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা চলছে, তা থেকে উত্তম নাগরিক আশা করা যায় না

আপনার আর আপনার মায়াবতীর জন্য শুভ কামনা রইল।

অতিথি লেখক এর ছবি

মাদ্রাসা শিক্ষার সংস্কার নিয়ে অবশ্যই ভাবা দরকার। তবে এই ব্যবস্হার অস্তিত্বের জন্য আমাদেরও কিছুটা দায় আছে। অন্তত আমার তাই মনে হয়।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

-আতিক

একজন পাঠক এর ছবি

সেজন্যই সে খুব সহজেই মোটিভেটেড হয় এই সমাজকে ভেঙ্গে নতুন করে গড়তে। যে সমাজ থেকে কোনদিন একটুও ভালো ব্যবহার পায়নি, ভবিষ্যত বলে যার কিছু নাই, তার কাছে আইন-আদালত কি খুব ভয়ের কিছু।

এই ব্যাপারে আপনার সাথে আমিও একমত।এই সব মানুষগুলোকেই জঙ্গিবাদী নেতারা খুব সহজেই বুঝাতে পারে আসো এমন একটা শাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলি যেখানে তোমরাই হবে সমাজের হর্তাকর্তা,আর মরলে শহীদ বাচলে গাজী সেতো আছেই।তাই জঙ্গি দমনে শুধু র‍্যাব-পুলিশের জন্য কোটি কোটি টাকার সরঞ্জাম না কিনে সোশ্যাল সেফটি নেট প্রতিষ্ঠা জরুরি,যদি সরকার সত্যিকারভাবেই জঙ্গিবাদের দমন চায়।

---আরিক

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

বাহ! দারুণ লেখা! আপনার কথা শুনে ভালো লাগলো। কিন্তু বেশিরভাগেই আপনার মতো সৌভাগ্যবান নয়! তাদের জন্য দুঃখী হওয়া ছাড়া আর বোধহয় কিছু করার নেই!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

সাফওয়াত এর ছবি

সত্যিই আর কিছু করার নেই? নাকি আমরা মুখে প্রগতিশীলতার কথা বলে ক্রমাগত আমাদের সমাজের প্রতি দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছি?

মাহবুব লীলেন এর ছবি

সিরিজের সবগুলো পর্বই পড়ছিলাম উপসংহার দেখার আশায়

০২

মাদ্রাসা নিয়ে অনেক কথা অনেক ঘটনাই আশপাশে শোনা হয় প্রতিদিন
নিজে মাদ্রাসায় না পড়লেও মাদ্রাসা নিয়ে আমার কিছু পর্যবেক্ষণ আছে
মাদ্রাসা কেন্দ্রিক কিছু বন্ধুও আছে আমার
বৌম্যাডাম নিজেও দীর্ঘদিন ছিলেন মাদ্রাসার ছাত্রী
(তিনি পারলে বোমা মেরে মাদ্রাসা উড়িয়ে দেন। কিন্তু আমার মতামত ওরকম না)

আমার কাছে মাদ্রাসা ব্যবস্থাকে মনে হয় ভবিষ্যতহীন মানুষ তৈরির কারখানা
যারা ভবিষ্যতে হাঁটার বয়সে পৌঁছে দেখে ধর্মকে ভাঙানো ছাড়া তাদের জীবনধারণের আর কোনো পথ নেই
আর জঙ্গীবাদে যোগদান মূলত তাদের নিজের কর্মক্ষেত্রকে বিস্তৃত করার একটা প্রচেষ্টা
এর সাথে বিশ্বাসের সর্ম্পক নেই
সম্পর্ক আছে জীবনযাপনের
বাংলাদেশে জঙ্গীরা জয়ী হলে সমস্ত কর্মক্ষেত্র থেকে বিতাড়িত হবে সাধারণ শিক্ষার লোকজন আর সুযোগপাবে মাদ্রাসার ছাত্ররা

এর বেশি কিছু না

০৩

বাংলাদেশে শিক্ষা ব্যবস্থা এবং কর্ম কমিশন দুটোর দৃষ্টি বিশ্লেষণ করলে মাদ্রাসা শিক্ষার বিষয়টাকে বেশ অদ্ভুত মনে হয়

বাংলাদেশে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা মন্ত্রণালয় দ্বারা নিষিদ্ধ না হলেও সামাজিক ভাবে স্বীকৃত
সংসদও এদের অস্বীকার করে না
কওমী মাদ্রাসা থেকে অর্জন করা ডিগ্রিগুলো কারো নামের সাথে ব্যবহার করতে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই
সংসদেও এটা ব্যবহৃত হয়
তারমানে এক দিক থেকে সংসদ এদেরকে স্বীকারও করে
অথচ দেশে এদের জন্য সরকার স্বীকৃত কোনো কর্মসংস্থান নেই
(সরকার স্বীকারও করে না অস্বীকারও করে না এরকম আরো দুটো ডিগ্রি হলো হোমিওপ্যাথি আর আয়ুর্বেদ কলেজেরর ডিগ্রি)

০৪

মাদ্রাসায় কারা পড়ে। কেন পড়ে তা মোটামুটি সবারই জানা
কিন্তু মূল সমস্যাটা রয়ে গেছে মাদ্রাসায় পড়ার পরে যে সমস্যাগুলো হতে পারে তা জেনেও কোনো ব্যবস্থা না নেয়া
এক্ষেত্রে না উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে মাদ্রাসা শিক্ষাকে মূলধারার শিক্ষার সাথে একীভূত করার
না উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে মাদ্রাসাকেন্দ্রিক লোকজনকে কর্মক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্ত করার

এবং এই দুই সমন্বয়হীনতার জন্য দেশের ভেতরে আলাদা একটা শ্রেণী তৈরি হয়েই যাচ্ছে
যারা নিজের অসহায়তা ও অস্তিত্বের জন্যই ছোবল দিচ্ছে প্রগতিশীলতার গোড়ায়

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

চলুক

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার এই অসাধারন মন্তব্যটা এই সিরিজটাকেই সমৃদ্ধ করেছে।

আপনার সাথে প্রচন্ডভাবে একমত। ওরা জানে না ওরা কি করবে। আমরা জানি না, ওদেরকে নিয়ে আমরা কি করবো। এর মাঝেই অনেকগুলো জীবন উদ্দেশ্যহীনভাবে ঝরে যাচ্ছে।

-আতিক

একজন পাঠক এর ছবি

প্রায় ৩/৪ বছর ধরে সচলায়চতের লেখা পড়ি। কখনও মন্তব্য করিনি। রেজিস্ট্রেশনও না। কি লিখব আর কিভাবে লিখব অন্যে কি ভাব্বে এই ভয়েই বোধহয়। খুব ভাল লাগল আপ্নার লেখা আপ্নার লেখার হাত খুবই ভাল। সচলায়তনের পাঠক অনেক, কিন্তু সেই তুলনায় লেখক কম। চালায় যান ভাই।

সজল এর ছবি

পুরো সিরিজটাই পড়ছিলাম। আপনার লেখার হাত ভালো, স্মৃতিচারণ তাই বেশ ভালো লেগেছে। তবে আজকের লিখার পরিশিষ্ট অংশটাই বেশি নাড়া দিলো। জিনিসগুলো আমরা জানি, কিন্তু রাষ্ট্র কোনদিন তার নাগরিকের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার দ্বায়িত্ব নেবে সে বিষয়ে খুব একটা আশাবাদী হতে পারছিনা। আপাতত একটাই সমাধান দেখতে পাচ্ছি, মাদ্রাসা শিক্ষার পাঠক্রম যতটা সম্ভব সাধারণ শিক্ষার কাছাকাছি নিয়ে আসা, যেন পাস করার পর তাদের ডিগ্রির গ্রহণযোগ্যতা থাকে।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

নাশতারান এর ছবি

ভালো লাগলো আপনার লেখা আর ভাবনা। শুভকামনা রইলো।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

পুরো সিরিজটাই দারূণ লেগেছে।আরো লেখা চাই আপনার কাছ থেকে।

রব

ফাহিম হাসান এর ছবি

আপনি মশাই ভাগ্যবান। দেঁতো হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

কওমী মাদ্রাসায় পাস করা ছাত্রটা আবারো বিপদে পড়ে। সমাজে তার পড়ার কোন দাম নেই। সেজন্যই সে খুব সহজেই মোটিভেটেড হয় এই সমাজকে ভেঙ্গে নতুন করে গড়তে। যে সমাজ থেকে কোনদিন একটুও ভালো ব্যবহার পায়নি, ভবিষ্যত বলে যার কিছু নাই, তার কাছে আইন-আদালত কি খুব ভয়ের কিছু।

পরিশিষ্ট অংশে চরম সত্য একটা কথা বলে ফেলেছেন ভাই।

অতীত

 শিবলী এর ছবি

পুরোটাই পড়ছি। এই সমাজ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন দরকার।
"কিন্তু আমি আমাদের সমাজে এমন কোন সোস্যাল সেফটি নেট দেখিনি, যেটা একটা গরীব/এতিম বাচ্চাকে বলে, এসো, বড় না হওয়া পর্যন্ত তোমার থাকা-খাওয়ার দ্বায়িত্ব আমার। কেউ কোন বাচ্চাকে বলে না, পরিবারে তোমার জায়গা হয় না, এসো থাকো আমার সাথে। কওমী মাদ্রাসা এই কাজটা করে যাচ্ছে।"

মেকি প্রগতিশীলতার না দরকার সামাজিক শক্তি উথান। শিবলী

অদ্রোহ এর ছবি

সবগুলোই পড়লাম। তবে শেষ হিসেবে এই পর্বটা একটু জোলো মনে হল। আপনার আরও লেখার অপেক্ষায়...

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

কৌস্তুভ এর ছবি

শেষ পর্বটা একটু জলদিই শেষ হয়ে গেল। তা হোক, ভালয় ভালয় ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে এসেছেন, এই ভাল। হাসি

আপনার সহানুভূতিপূর্ণ দৃষ্টি ভাল লাগল। আর লীলেন্দার কমেন্টেও জাঝা। নিয়মিত লিখতে থাকুন। আপনার থেকে একটা নতুন আঙ্গিক পাওয়ার আশা রাখব।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আপনার লেখার স্টাইলটা ভালো লেগেছে। আর ভাবনাগুলো আরো বেশি।

কিন্তু আমি আমাদের সমাজে এমন কোন সোস্যাল সেফটি নেট দেখিনি, যেটা একটা গরীব/এতিম বাচ্চাকে বলে, এসো, বড় না হওয়া পর্যন্ত তোমার থাকা-খাওয়ার দ্বায়িত্ব আমার। কেউ কোন বাচ্চাকে বলে না, পরিবারে তোমার জায়গা হয় না, এসো থাকো আমার সাথে। কওমী মাদ্রাসা এই কাজটা করে যাচ্ছে। এই কাজটা আমরা আমাদের করে নেয়ার আগ পর্যন্ত কওমী মাদ্রাসা টিকে থাকবেই।

আপনার কাছ থেকে আরো ভালো ভালো লেখার প্রত্যাশা রইল। আর শুভকামনা।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

একজন পাঠক এর ছবি

আতিক ভাই, খুব ভাল লাগল পড়ে

প্রথম মাদ্রাসা'টা নেসারিয়া আলিয়া, ফিরোজশাহ, তাই না?

মাজেদুল নয়ন এর ছবি

ভালো হয়েছে লেখাটা

hasan এর ছবি

So interesting.

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।