আউটকাস্ট

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: রবি, ১৬/০৮/২০০৯ - ৯:৪১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এই গল্পগুলি সত্যি নয়, তবে জীবন থেকে নেয়া। কোনো চরিত্রের সাথে বাস্তব কোনো ঘটনার মিল নেই। কেউ মিল খুঁজে পেলে তা নিতান্ত কাকতাল।

দাওয়া অফিসে বসে বসে সময় কাটতে চাইছিলো না আর মাহিজাবিনের। দাওয়া কার্যক্রম নিয়ে মাসিক প্রতিবেদন তৈরি করার কাজ জমে আছে, কিন্তু মাহিজাবিনের মন বসছে না তাতে। মোবাইলটা হাতব্যাগ থেকে বার করে হাতে নিয়েও থমকে যায় মাহিজাবিন। এতো অস্থির হচ্ছে কেন সে? সবুর, সবুর! বিড়বিড় করে মাহিজাবিন। দেশে এখন বাজে দুপুর একটা। রহমতুল্লাহ কী করছে এখন? মেসেঞ্জারে আসে না কেন?

মোবাইলটা ব্যাগে ঢুকিয়ে চোখ বোঁজে মাহিজাবিন। আর মাত্র ক'টা মাস। তারপরই রহমতুল্লাহ চলে আসবে এখানে। তাদের সদ্য তৈরি হওয়া ভাঙা সংসারটা জোড়া লাগবে, দু'জনে নিজ হাতে তৈরি করবে চাষের জমিন, সেখানে রহমতুল্লাহ বীজ বুনবে, মাহিজাবিন ফসল ফলাবে। শান্ত, স্নিগ্ধ, খেজুর পাতার মর্মরে কল্লোলিত একটি মরূদ্যান হবে তাদের জীবন। সেখানে অবোধ দুম্বাশিশুর মতো চরে বেড়াবে তার সন্তানেরা। দু'টি পুত্র আর দু'টি কন্যা থাকবে তাদের, ইখতিয়ারউদ্দিন মওদুদী আর জুলফিকার মোনায়েম, উম্মে নিজামী আর উম্মে হান্নান। সারাদিন দাওয়ার কাজ সেরে রহমতুল্লাহ বাড়ি ফিরবে, ইখতিয়ারউদ্দিন আর জুলফিকার আরবী পাঠ ছেড়ে ছুটে গিয়ে ঘিরে দাঁড়াবে বাবাকে, নিকাবে মুখ ঢেকে উম্মে নিজামী আর উম্মে হান্নান দৌড়ে গিয়ে বাবাকে কুইজ জিজ্ঞেস করবে, নাউ টাইল আজ আব্বাজান, হুইচ ওয়ন অভ আজ ইজ নিজি, অ্যান্ড হুইচ ওয়ন ইজ হান্নি? রহমতুল্লাহও যেন বুঝবে না যে বটলগ্রীন নিকাব পরা ছোট্ট ফেরেশতাটি উম্মে নিজামী, আর অ্যান্টিক হোয়াইট নিকাব পরা অপর ফেরেশতাটি উম্মে হান্নান, সে অনেক ভেবে চিন্তে "আলিফ হামজা সোয়াদ হা, ফারাশা তুই উড়ে যা" দু'আ আউড়ে ভুল উত্তরটা দেবে। নিকাব সরিয়ে খিল খিল করে হেসে উঠবে দুই ছোট্ট হুরপরী। মাহিজাবিন ডাইনিং টেবলে খবুজের রুটি আর খাসির মাংসের ভুনা সাজাতে সাজাতে হাসিমুখে দেখবে সে দৃশ্য।

মাহিজাবিনের চোখের জল মোছে স্কার্ফের খুঁট দিয়ে। আর কত? এত দেরি করছে কেন এই স্টুপিড অথরিটি? রহমতুল্লাহর মতো একজন কোয়ালিফায়েড আলেমকে ভিসা দিতে এতো দেরি হবে কেন?

সবুর, প্রিন্সেস, সবুর। বিড়বিড় করে মাহিজাবিন। রাসূলের শিক্ষা কী? বিপদে বিচলিত না হওয়া। আবুল আলা সাহেবের শিক্ষা কী? আবেগকে প্রশ্রয় না দেয়া। রহমতুল্লাহর সাথে দুদিন ধরে কথা হয় না মাহিজাবিনের, কিন্তু এর চেয়ে কত গুরুত্বপূর্ণ কাজ জমে আছে দাওয়া অফিসে। তুচ্ছ এ আবেগ, নশ্বর এ মোহ। সবুর করলে রহমতুল্লাহর বোনা বীজে মেওয়া ফলবেই, চাষবাসে কেটে যাবে এক একটা সোনালী দিন।

মাহিজাবিন মনকে শান্ত করতে দু'আ ইউনুস আবৃত্তি করতে থাকে ফিসফিস করে। ইউনুস তিমি মাছের পেটে আটকা পড়ে এই দু'আ পড়ে রক্ষা পেয়েছিলেন। মাহিজাবিনের এই একাকিত্ব কি তিমির জঠরের চেয়েও জারক?

মাহিজাবিনের চোয়াল শক্ত হয়ে ওঠে। নাহ। অশান্ত মনটা আরো বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে। তারচেয়ে নিশ্চিন্দিপুরব্লগে একটা ঢুঁ মেরে দেখে আসা যাক, বেদ্বীনগুলি নতুন কী তামাশায় লিপ্ত।

বেশিদূর টাইপ করতে হয় না ফায়ারফক্সে, এন আই এস পর্যন্ত লিখতেই নিশ্চিন্দিপুরের লিঙ্কটা চলে আসে অ্যাড্রেস বারে। মাহিজাবিন দাওয়া অফিসে একা থাকলে মাঝে মাঝেই পড়ে নিশ্চিন্দিপুর। উম্মিগুলি দুই পাতা পড়ে আর এক পাতা লিখে নিজেদের কী ভাবে আল্লাহ পাক জানেন। এদের মূর্খতা পড়েও আমোদ মেলে। দোজখের আগুনে ঝলসে যখন এক একটা রোস্ট হবে, তখন টের পাবে মজা। কাঁধের হাসিব তো হিসাব নিয়েই চলছে। প্রত্যেকটি পলকের স্ক্রিনশট সেইভ হয়ে যাচ্ছে স্রষ্টার মাই ডকুমেন্টস ফোল্ডারে।

নিশ্চিন্দিপুর লোড হবার পর মাহিজাবিন ঠোঁট বাঁকায়। কবিতা। মালাউন এক কবির লেখা। দ্রুত স্ক্রল করে নিচে নামে সে। এই কবিগুলির কবিতা পড়লে মাথা চক্কর দিয়ে ওঠে সুহাগ রাতের মতো।

পরের পোস্টটার শিরোনাম দেখে আগ্রহী হয় মাহিজাবিন, এক অতিথির লেখা। নিশ্চিন্দিপুরের এই ভোগলামি অসহ্য। কতগুলি লোককে মাসের পর মাস ঝুলিয়ে রেখে মেহমান নাম দিয়ে যে অত্যাচার, এর কোনো অর্থ হয়? মেহমানকে নিয়ে রাসূল (সাঃ) কী বলেছেন? মাহিজাবিন ফিসফিস করে ওঠে, আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু, রিপোর্টেড দ্যাট দ্য মেসেঞ্জার অব আল্লাহ সাল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়াসাল্লাম সেইড, লেট হুসোএভার বিলিভস ইন আল্লাহ অ্যান্ড ইন দ্য ল্যাস্ট ডে ঈদার স্পিক গুড অর বি সাইলেন্ট। লেট হুসোএভার বিলিভ ইন আল্লাহ অ্যান্ড ইন দ্য ল্যাস্ট ডে অনার হিজ নেইবার। লেট হুসোএভার বিলিভস ইন আল্লাহ অ্যান্ড ইন দ্য ল্যাস্ট ডে হনার হিজ গেস্ট। বুখারী আর মুসলিম শরীফের হাদিস। আর তোরা কী করিস, ফকিন্নির দল? মেহমানদের অপমান। তুচ্ছ তাচ্ছিল্য। ছোটোলোক কোথাকার।

মাহিজাবিন পোস্ট পড়তে থাকে মনোযোগ দিয়ে, কিন্তু একটু পরই মেজাজটা চড়ে যায় তার। এক নেকু মেয়ের লেখা পোস্ট। তার নাকি কিসু ভাল্লাগেনা। সারাটাদিন মন উথালপাথাল করে। সকালে এক বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে আড্ডা পিটিয়ে এসেছে, দুপুরটা কাটিয়েছে একটা দারুণ রোম্যান্টিক সিনেমা দেখে, কিন্তু সন্ধ্যার অন্ধকার যেন শুধু আকাশের বুকেই নামেনি, নেমেছে তার বুকেও, সেখানে শুধু নিঃসীম খা খা যমুনা চর ... আর এর পর একটা গানের লিঙ্ক দেয়া ইস্নিপ্সে।

বিচ। মনে মনে গাল পাড়ে মাহিজাবিন। দেশটা নষ্ট করে দিচ্ছে এরা। খাটো খাটো টাইট জামা পড়ে বেলেল্লাপনার একশেষ। মাহিজাবিন সারাটা জীবন ঢিলেঢালা ঢোলা ফুলহাতা জামা পড়ে এসেছে, আশেপাশের লম্পট পুরুষগুলি লোভী চকচকে চোখ তারপরও চেটে চেটে খেয়েছে তার জামা আর হিজাব। মাহিজাবিনের গা রী রী করে ওঠে। পারেও এই মেয়েগুলি। ধর্মের সাথে বিন্দুমাত্র সংশ্রব নাই, হয়তো শুধু পরীক্ষার আগের রাতে ভুলভাল অযু করে সুরা এখলাস দিয়ে নামাজের কাজ সেরে আল্লাহর চোখে ধোঁকা দিতে চায়। কিরামান কাতেবীনকে পটাতে পারবি? ওরা কি লিখবে না তুই কী আকাম করিস? একদিনের এক ওয়াক্ত নামাজে কাটে এই পাপ?

মাহিজাবিন মন্তব্যগুলি পড়তে থাকে। ওহ অলমাইটি আল্লাহ, কী নির্লজ্জ এই নিশ্চিন্দিপুরের ব্লগারগুলি। ছেলেবুড়ো সব ঝাঁপিয়ে পড়েছে এই হদ্দ ন্যাকা পোস্টে। "মন ভালো নেই বুঝি?" আরে পড়লিই তো যে মন ভালো নাই, আবার জিগাস ক্যা? "মন খারাপ করবেন না আপুনি। আমারও এমন হয়েছিলো গতকাল। তারপর ... না থাক, আর বললাম না।" ঐ ব্যাটা ঐ, তিনকাল গিয়া এককালে ঠেকছে তোর, তুই এই মাইয়ারে আপুনি কস ক্যা? "বিশ্বাস করুন দুর্গেশনন্দিনী, আপনার পোস্ট পড়ে চোখের জল ধরে রাখতে পারলাম না। অনেক অনেক ভালো থাকুন আপনি ... অনেক!" আরে নেকু, চোখের জলের কী আছে এই পোস্টে? আর দুর্গেশনন্দিনী? হোয়াট ব্লাডি সর্ট অব নিক ইজ দ্যাট? একটা ভালো মুসলিম নিক নিলে কী ক্ষতি হয় মাইয়াটার? হোরি বিচ!

মাহিজাবিন আর পরের কমেন্টগুলি পড়ে না, লুচ্চা লুইস লাফাঙ্গা দিয়ে ভর্তি। পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসতে আসতে মাহিজাবিনের চোখে পড়ে, পোস্ট ভর্তি স্মাইলি। আরে ছেমরি, তুই এইটাও জানিস না, যারা তোর মাহরাম না, তাদের সামনে তোর পর্দা করতে হয়, তাদেরকে কীভাবে দেখাস তুই তোর ভেটকি? আ উওম্যান শ্যুড নট ইউজ দিজ স্মাইলিজ হোয়েন স্পিকিং টু আ ম্যান হু ইজ নট হার মাহরাম, বিকজ দিজ আর ইউজড টু এক্সপ্রেস হাউ শি ইজ ফিলিং, সো ইট ইজ অ্যাজ ইফ শি ইজ স্মাইলিং, লাফিং, অ্যাক্টিং শাই অ্যান্ড সো অন, অ্যান্ড আ উওম্যান শ্যুড নট ডু দ্যাট উইথ আন নন-মাহরাম ম্যান! কী শিখাইসে এদের বাপমাগুলি? রাগে মাহিজাবিনের শরীর কষকষ করতে থাকে।

পরের পোস্টটা দেখে মাহিজাবিনের সারা শরীর কঠিন হয়ে ওঠে। হামজাদ জায়ূন আর ব্যাং অন দ্য টার্গেট!

মাহিজাবিন দাঁতে দাঁত পেষে। হামজাদ জায়ূন! দ্যাট ঔল্ড ফুল! এই প্রথমবারের মতো সে লক্ষ্য করে, নিশ্চিন্দিপুরের ব্যানারেও হুমদোটার ছবি লটকানো। ওহ, এদের চোখে রওশনি দাও আল্লাহ! আর কতো? নাস্তিক বাস্টার্ডটার এতো ভক্ত কেন এখানে?

মাহিজাবিন পোস্টটা খুলে পড়তে থাকে।

ধীরে ধীরে তার মুখের কুয়াশা কেটে রোদ উঠতে থাকে। লেখককে আরেকবার ভালো করে দেখে সে। কী স্টুডিয়াস একটা লোক! ব্রিলিয়্যান্ট!

পুরোটা পোস্ট শেষ করে মাহিজাবিনের শরীরে যেন ঝিরিঝিরি স্বস্তির বাতাস খেলে যায়। লিঙ্কটা দ্রুত কপি করে একটা মেইল করে সে "বাতেনি ব্যাটল" মেইলগ্রুপে। নিশ্চিন্দিপুরে এমন পোস্ট আগে কখনো পড়েনি সে। ব্যাটাদের হোলোটা কী?

মেইল করে মাহিজাবিন উঠে দাঁড়ায়। চুলের বাঁধন আলগা হয়ে গেছে, ঠিক করতে হবে। ওয়াশরুমে আয়নার সামনে নিজেকে দেখে লজ্জা পায় সে, উত্তেজনায় তার শ্যামলা মুখ বেগুনি হয়ে আছে, চুলগুলি দেখাচ্ছে জ্বিনের চুলের মতো। মাহিজাবিন দ্রুত হাতে চুল ঠিক করতে থাকে। তার মনে পড়ে যায়, সুহাগ রাতে রহমতুল্লাহ ঘাগরার ফিতায় আঙুল রেখে অপটু বেসুরো কণ্ঠে গজল ধরেছিলো, আলগা করো গো খোঁপার বাঁধন, দিল ওহি মেরা ফাস গায়ি! আহ, সুর না এলেও কী অপূর্ব উর্দু উচ্চারণ রহমতুল্লাহর। দেওবন্দের এক হুজুর নাকি তাকে একবার বলেছিলেন, বেটা, ইতনা আচ্ছে উর্দু তো হামলোগ বোল নেহি সাকতা? কেয়া পিলায়া ইসকো ইস লাল কি মা নে?

মাহিজাবিনের হাত শ্লথ হয়ে আসে নিজের চুলে, শরীরটা ঝিমঝিম করে ওঠে। আর কতদিন রহমতুল্লাহ? কতদিন পর তুমি আর আমি হাতে হাত ধরে বসে থাকবো অপেরা হাউসের সামনে? ছবি তুলবো সহীহ তরিকায়?

মাহিজাবিন আচমকা লজ্জা পেয়ে যায়, দ্রুত সব ঠিকঠাক করে আবার ফিরে আসে ডেস্কে। ওয়েইট ডিয়ার। জাস্ট ইউ ওয়েইট। জাস্ট আ ফিউ ফ্রিকিং মান্থস।

নিশ্চিন্দিপুরের লিঙ্কটা এফ ফাইভ চেপে রিফ্রেশ করে মাহিজাবিন। তার মুখটা আবার কালো হয়ে যায়।

ফ্যাসিস্টগুলি ঝাঁপিয়ে পড়েছে বেচারার ওপর। কী কুৎসিত সব গালি অবলীলায় দিয়ে চলছে বেচারাকে। একের পর এক মন্তব্যে সেই একই কথা ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে বলছে লোকে। ৭১ এর দালালদের একঘরে করা উচিত। এরা মানুষ না। এরা চুতমারানি। আরো কতো নোংরা নোংরা কথা।

মাহিজাবিনের চোখে জল চলে আসে বড় চাচাজানের কথা ভেবে। চট করে হাতের উল্টোপিঠে চোখ মোছে সে। না, কান্নার সময় এ নয়। এখন লড়ায়ের সময়। আরেকটা ৭১ দরকার সামনে। তবে এবার দরকার বিজয়। পরিপূর্ণ বিজয়।

মাহিজাবিন কীবোর্ড টেনে নেয় হাতে। বেচারা পড়ুয়া লোকটা মাঝে মাঝে লেখায় ইংরেজি বাংলা মিশিয়ে ফেলে, তাই নিয়ে কী নাকি কান্না বাকিদের, কেঁদে গড়িয়ে যাচ্ছে সবাই হিন্দুর ভাষার জন্য। আরে বেটারা, তোরা বাংলা বলিস কই? দেখিস তো খালি ইনডিয়ার ছবি!

ঝড়ের বেগে মাহিজাবিন লিখে যায়, এই পিউরিস্ট অসভ্যতা নিশ্চিন্দিপুরে আগেও দেখেছি, আজও তাই দেখে বিস্মিত নই। গোটা পৃথিবী যখন ইন্টারকালচারাল লেনদেনে বিলিভ করছে, ট্রাস্ট করছে, লিন অন করছে, সেখানে বিশুদ্ধ বাংলা নিয়ে আপনাদের ভাঁড়ামি দেখে হাসি পায়।

রিসাত, গো অন। লাইক ইয়োর স্টাইল। ইউ হ্যাভ রিচড আ গ্রেট কনক্লুশন হোয়্যার জোকারস লাইক হামজাদ জায়ূন অ্যান্ড হিজ ফ্যাগটি নিশ্চিন্দিপুর মবস হ্যাভ ফেইলড। আজ এই ২০০৯ সালে আপনি একজন আউটকাস্ট হলেও, সামনের জেনারেশনে নিশ্চিন্দিপুরে আপনিই হবেন রোলমডেল। বিভেদের সীমা টেনে ইংরেজি বাংলাকে আলাদা করা চলবে না। অতীত ভুলে সামনে এগিয়ে যেতে হবে, বেনেফিট অব ডাউট দিতে হবে ইংরেজিকে, ইটস আওয়ার ঔনলি ফাইটিং চ্যান্স। সালাম, জাযাকুল্লাহ খায়রান!

মন্তব্যকারীর নামের জায়গায় বরাবরের মতো মুসলিমা বসাতে গিয়ে থমকে যায় মাহিজাবিন, একটা সলজ্জ হাসি ফুটে ওঠে তার ঠোঁটে, একটু থেমে সে লেখে, মিসেস র।



আরবিতে ফারাশা অর্থ প্রজাপতি।
আরবি হাসিব অর্থ অ্যাকাউন্ট্যান্ট।
বাছা, এতো ভালো উর্দু তো আমরাও বলতে পারি না। এই খোকার মা একে কী পান করিয়েছে?
আল্লাহ আপনার ভালো করুন।


মন্তব্য

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

লেখা পইড়া লগাইতে বাধ্য হইলাম।

জটিল হইসে। বেশী জটিল...
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

মাই গড!
ইহা কী পাঠ করিলাম!
অবিবাহিত যুবকদের উস্কানি দেয়া এমন সব ডকুফিকশন এর বিরুদ্ধে ব্যাপক নিন্দা জানাই।

পম রাক খুন, সোয়াই মাখ মাখ, পম রাক খুন।

সবজান্তা এর ছবি

গুল্লি

শুরুতে ভাবতেছিলাম অনেকটা "পাকমন পেয়ারের" মতো। পরে দেখি না, এইটা অন্য ঘরানার ক্লাসিক !

নিশ্চয়ই কোন এক মডারেটর জীবন থেকে এই কাহিনী শুনে, গল্পটা লিখেছেন !


অলমিতি বিস্তারেণ

মামুন হক এর ছবি

লা-জওয়াব। আপনার জয় হোক।
তবে বস ইসলাম জামাতিদের বাপ-দাদার সম্পত্তি না। মওদুদীবাদ আর সব কিছুর মতো ইসলামেরও শত্রু। ভ্রান্ত ধারমার বশবর্তী হয়ে ঢালাওভাবে ধর্মের সমালোচনা করলে প্রকারান্তরে এই হারামীদেরই লাভ হয়। ব্যালেন্সড মধ্য পন্থার কোন বিকল্প নাই। বড় চিত্রের থেকে চোখ ফেরানো যাবেনা।

হিমু এর ছবি

মাহিজাবিনকে না চিনলে নানা দুশ্চিন্তায় ভুগবেন। চিনলে দেখবেন সকলই পরিষ্কার।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

ভালো লাগল। শুভেচ্ছা।
----------------------------------------
শুধু শরীরে জেগে থাকে শরীরঘর
মধ্যবর্তী চরকায় খেয়ালী রোদের হাড়

নিবিড় এর ছবি

গুল্লি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

দুর্দান্ত! স্রেফ দুর্দান্ত! হাসতে হাসতে অবস্থা শেষ। পারেনও আপনি! হো হো হো

সৌরভ এর ছবি

আগেই মনে করছিলাম, তেনার পছন্দই হৈবো।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

বালক এর ছবি

জটিল হৈছে বস। চলুক

_____________________________________________
কার জন্য লিখো তুমি জলবিবরণ : আমার পাতার নৌকা ঝড়জলে ভাসে...

____________________________________________________________________
"জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা
অন্য সবাই বহন করে করুক;
আমি প্রয়োজন বোধ করি না :
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো
এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।"

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

এই পোস্টটারও কোন দরকার ছিল না। আরও সংযত আচরন আশা করছিলাম।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

হিমু এর ছবি

আমার মনে হয়, আমরা অনেকেই গল্পটার একটা অংশের দিকে তাকিয়ে ভাবছি এই কথাটা।

গল্পটা কেন তোমার কাছে আপত্তিকর লাগলো, আমি বুঝতে পেরেছি। কিন্তু এই স্যাটায়ারের উদ্দিষ্ট মাহিজাবিন, সেটা তোমাকে আমি গল্পে বোঝাতে পারিনি। একটাই কারণ, গল্পের কমপোজিশন। সেটার প্রায় পুরোটা গ্রে ডিটেইলস, মাঝে ওয়ার্মকালারে দুয়েকটা ঘটনা আর নাম আমাদের মনোযোগ টেনে নিয়ে যায়। গ্রে ডিটেইলস আরো মনোযোগ দাবি করে। গল্পটা ধূসরটুকু নিয়েই, গরম রঙের ছিটেফোঁটা সরানো যায় না ঘটনার নৈকট্য (রিসেন্সি)-এর কারণে।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

অবাঞ্ছিত এর ছবি

বস্... লেখা অসাধারণ হইসে বরাবরের মত। আপনার পা ধুইয়া পানি খাইলেও মনে হয় আপনার লেখার মানের ধারে কাছেও যাইতে পারব না কোনোদিন,

তয় (প্রকাশ না হওয়ার ঝুঁকি নিয়েই) ছোট মুখে একটা বড় কথা কই... ব্যক্তিগত খোঁচাটা একটু বেশি স্পষ্ট মনে হল আমার কাছে। অতিথি কেউ লিখলে হয়তো এটা প্রকাশ পেত না সেই কারণে।

এদিকটা মনে হয় একটু খেয়াল করা দরকার।

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

হিমু এর ছবি

আপনাকে দুইটা প্রশ্ন করি।

১. কেন আপনার মনে হলো, আপনার এই মন্তব্য প্রকাশিত হবে না।

২. "ব্যক্তিগত খোঁচা"র উদ্দিষ্ট চরিত্রটির নাম কী?



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

অবাঞ্ছিত এর ছবি

১) ভুল হলে মার্জনা করবেন, একান্তই ব্যক্তিগত ধারণা... মনে হলো এই মন্তব্যটা আপত্তিকর হতে পারে....... তবে নিজেই একটু অপ্রস্তুত কারণ আমার মন্তব্যটা দ্বিতীয় প্রশ্নটার অবতারনা করেছে।

২) ইংরেজি আর বাংলা গুলিয়ে ফেলেন এমন ক'জন ব্লগার হুমায়ূন আজাদ স্যারকে নিয়ে রিসেন্টলি একটি বিতর্কীত লেখা লিখেছেন আপনিই বলুন?

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

হিমু এর ছবি

আপনাকে বোঝাতে না পারার এ ব্যর্থতা আমারই।

আপনার মন্তব্যটা দেখুন। সেটা একটা সাদা ফ্রেমের ওপর কালো ফন্ট দিয়ে লেখা। এই সাদা ফ্রেমটা না থেকে যদি একটা কালো ফ্রেম থাকতো, তাহলে কি লেখাটা পড়া যেতো? মনে হয় যেতো না।

গল্পে আপনার আশঙ্কাপুষ্ট ঘটনাটাও ফ্রেম। সেই ফ্রেমের পাত্রপাত্রীদের কোনো কিছু বলা তো গল্পের উদ্দেশ্য নয়, কারণ আমার ঐ প্রসঙ্গে যা বক্তব্য, তা আমি ঐ প্রসঙ্গেই বলে এসেছি। আলাদা গল্প লিখে স্যাটায়ার করার প্রয়োজন বা অভ্যাস আমার নেই, আমার এর আগে লেখা পোস্টগুলিতে দ্বিতীয় উদাহরণ পেলে এসে জানাবেন। আপনি ধরে নিচ্ছেন, স্যাটায়ারটা ঐ প্রসঙ্গের অবতারণা যিনি করেছেন তাকে নিয়ে। হয়তো, ফ্রেম বেছে নেয়ায় গল্পকার হিসেবে আমার দুর্বলতা, কিন্তু ফ্রেমটাকে ফ্রেম হিসেবে দেখার অপশনটা পাঠক বেছে নিলে গল্পের রসাস্বাদন সহজ হবে। আমি যেমন আপনার মন্তব্যে কালো ফন্টটাই পড়লাম, সাদা ফ্রেমটাকে নয়।

এবার কষ্ট করে ওপরের কয়েকজনের মন্তব্যে আমার প্রত্যুত্তর পড়ে দেখুন। তারপর বলুন, গল্পে মাহিজাবিন চরিত্রটি আপনার চোখে পড়ে কি না। মাহজাবিনকে আপনি চেনেন না, তার মানে এই নয়, মাহজাবিনকে পাশ কাটিয়ে আপনি চেনা দিকটাই কেবল খুঁজবেন। গল্পের ৯০ শতাংশ ব্যয় হয়েছে মাহিজাবিনকে নিয়ে, অথচ সে আপনার মনে এতটুকু দাগ কাটতে পারলো না, এই ব্যর্থতা বহন করতে তো হবে আমাকেই।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

অবাঞ্ছিত এর ছবি

জ্বি, আগেই বলেছি যে আপনার লেখা আমার অসাধারন ভালো লেগেছে। আমিও বোধহয় ঠিক বোঝাতে পারিনা... মূল বিষয় নয়, বরং কিছু ডিটেইল, যেমন ইংরেজি বাংলার ব্যাপারটা.. বা ব্লগারের নামকরণ এবং তার রূপায়নে ক্ষোভের আলামত একটু চোখে লেগেছে আরকি।

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

হিমু এর ছবি

আমি তো ক্ষোভ থেকে গল্প লিখিনি। আপনি ধরে নিচ্ছেন আমি সেরকমটি লিখেছি।

তবে গল্পে ক্ষোভ আছে। সেই ক্ষোভ মাহিজাবিনের।

"ইংরেজি বাংলার ব্যাপারটা" আপনি দুরন্ত গতিতে পড়ে পেরিয়ে গেছেন হয়তো, সেখানকার ডিটেইল আপনার চোখে পড়েনি। যেমন বিভেদ রেখা টানতে নিষেধ করছে মাহিজাবিন। গল্পকার হিসেবে টীকা দেয়া আর সঙ্গমের পর সঙ্গিনীকে "কোখায় কী করিলাম" ব্যাখ্যা করা সমান পেইনফুল কাজ, তারপরও বলি, মাহিজাবিন যে "ইংরেজি" আর "বাংলা"কে পাশাপাশি, মিশ্রিত দেখতে চায়, তারা কি কোনোকিছুর প্রতিনিধিত্ব করে? কেন এই মিশ্রিত বাক্য নিয়ে অতীত ভুলে সামনে এগোতে চায় মাহিজাবিন? কেন "ইংরেজি"কে আউটকাস্ট করে কেবল "বাংলা"য় মাহিজাবিনের আপত্তি? গল্পের নাম এতকিছু থাকতে আউটকাস্ট কেন? কে আউটকাস্ট?

আপনি মূল বিষয় এড়িয়ে গেছেন অবাঞ্ছিত, এড়িয়ে গেছেন ডিটেইলসও। গল্পকার হিসেবে এ আমার চরম, চরম ব্যর্থতা। এর ওজন মাহিজাবিনের চেয়েও কয়েক কেজি বেশি।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

অবাঞ্ছিত এর ছবি

পাঠক হিসেবে গাফিলতি করলে, বা ভুল বুঝলে বা একেবারেই বুঝতে ব্যর্থ হলে সে ব্যর্থতা তো একান্তই আমার।
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

এনকিদু এর ছবি

গল্পে ডিটেইলের অভাব আছে ।

মাহিজাবিনের দৈর্ঘ্য প্রস্থ উচ্চতা ইত্যাদি লিখতে হবে । নাইলে কেম্নে কী ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

হিমু এর ছবি
এনকিদু এর ছবি

আরো ডিটেইলের অভাব চোখে পড়ল ।

ছয়মাস দূরে দূরে থাকলে নাকি বিয়ে খারিজ হয়ে যায় - এরকম একটা কথা মনে হয় শুনেছিলাম/পড়েছিলাম । ছয়মাস হইছে ?


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

হিমু এর ছবি

ক্যালেন্ডার তো রহমতুল্লাহর বাসায়!



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

এনকিদু এর ছবি

ব্যাগ থেকে মোবাইল বের করতে চাচ্ছিল, সেই মোবাইলে ক্যালেন্ডার নাই ?


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

হিমু এর ছবি

মোবাইল আবার ঢুকায় রাখলো তো। অ্যালার্ম দেয়া আছে, চিন্তা কইরো না। ছয় মাস হইলেই পি পি শব্দ করবে।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

এনকিদু এর ছবি

মোবাইলটা হ্যাক করা দরকার যেন কিছুক্ষণের মধ্যেই অ্যালার্ম বাজে ।

মোবাইলের মডেল আর ক্যারিয়ার বলেন, বস । দেখি কিছু করা যায় কিনা ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

হিমু এর ছবি

হুমমম। কইসিলাম নিধিরে কোলেটোলে নিও না।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

হাসিব এর ছবি

ঘটনা সত্য হৈলে কি আবার হিল্লা বিয়ে লাকপে ?

ফারুক হাসান এর ছবি

দেঁতো হাসি

রাফি এর ছবি

জামাত-শিবির আর ইসলামকে আজকাল এক করে ফেলে অনেকেই। ধর্ম সংক্রান্ত পোস্ট এলে (পক্ষে বা বিপক্ষে) তা নিয়ে অনেক জল ঘোলা হয়, একবছরের ব্লগার জীবনে বেশ কয়েকবার দেখেছি। সে সমস্ত তর্কে সাধারণত যোগ দেই না; কারণ যেখানে বিশ্বাসকে যুক্তির উপরে স্থান দিয়েছি, সেখানে অযথা তর্ক করে লাভ কী?

মাহজাবিন বা মুসলিমা ছাড়া বাকি চরিত্রদের চিনতে পেরেছি বোধহয়। মাহজাবিন এর রাজনৈতিক আদর্শও ধরতে পেরেছি, ততটুকু ডিটেইল এ গল্পে আছে। তবে এ গল্প পড়লে ধারণা হতে পারে যারা গোঁড়া ইসলামপন্থী তারাই জামাতী। গল্পের বুনন তা-ই বলে। অথচ আমি যতদূর জানি জামাত কোন ইসলামী দল নয়, ইসলামের লেবাসধারী দল মাত্র।
একারণে এ পোস্টটা আমার কাছে ভাল লাগেনি, হিমু ভাই।

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

হিমু এর ছবি

তবে এ গল্প পড়লে ধারণা হতে পারে যারা গোঁড়া ইসলামপন্থী তারাই জামাতী।

"গোঁড়া ইসলামপন্থী" কিন্তু জামাতি নয়, এমন কারো আহত হওয়ার মতো কোনো উপাদান কি আছে? ইসলাম কি বিপন্ন কোনো বর্ণনায়? মাহিজাবিন যদি ইসলাম পালন করে বা তার লেবাস ধারণ করে, তাহলে কি গল্পকার তার রূপায়নে সফল না অসফল?

আমি যদি আজ লিখি, একজন জামাতি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ছে, তাহলে কি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়কারী সকলেই আহত হবেন?



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

আরিফ জেবতিক এর ছবি

হুম !

সৌরভ এর ছবি

পুরাটাই রেস্ট্রিকটেড


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

হিমু এর ছবি
কীর্তিনাশা এর ছবি

গুল্লি গল্প ! পছন্দের তালিকায় রাখলাম চলুক

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

আস্ত মজা পাইলাম! রহমতের বীজ আর মাহিজাবিনের ফসল থেকে যে হাসা শুরু করছিলাম, আভি তক হাসতেছি। "ফারাশা তুই উড়ে যা" - হাহাহা - ইন্সট্যান্ট ক্লাসিক! স্রষ্টার মাই ডকু ফোল্ডার-টাও সেরাম হইসে। সাম্প্রতিক বিষয়ে ব্লো ওয়াজ আ বিট লো পার্হ্যাপ্স, বাট আরবী-লাভার আর সচল নেকু-দের নিয়ে স্যাটায়ারগুলা একদম স্পট-অন ছিল। প্রাইসলেস। ওভারঅল, ফাটাফাটি গল্প।
--------------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

সবজান্তা (মনের দুঃখে বনে, এবং সেখানে লগিন করা যায় না) এর ছবি

হা হা হা হা হা !

লাখ কথার এক কথা ! আস্ত মজা !

সত্যিই আস্ত মজা পেলাম !

হিমু এর ছবি

নিশ্চিন্দিপুরে আপনে সচল পাইলেন কই!! কী কন না কন!



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

হাসিব এর ছবি

একটা বিড়াল গুলি করতেছে এরকম একটা ইমোটিকন আছে । মন্তব্যের এই দুইলাইনের বদলে ঐটা কল্পনা করে নিতে হবে ।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

মাহজাবিনের প্রোফাইলের লিংকটা বস একটু মেইল করা যায় না! খাইছে
..................................................................

ঐ যে হাঁটছি মুদ্রা দোষে নাকটা ঘষে
আড্ডা মানেই সেকেণ্ড হাফে খেলছি সোলো
গুজবো না শার্ট আমার পাড়া স্মার্ট পেরিয়ে
সে রোদ্দুরের স্মরণ সভাও লিখতে হল

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

এই পোস্টের মাধ্যমে হাসিবই একমাত্র সচল যার অবমাননা করা হয়েছে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ধুসর গোধূলি এর ছবি
সৌরভ এর ছবি

হাহা। হাসিব ভাইকে সবার কান্ধে তুলে দেওয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

হাসিব এর ছবি

নাহ ... সচলেও এখন থেকে নিয়মিত রঁোদ দিতে হবে দেখছি ... পুলাপান বড্ড বদ ..

রায়হান আবীর এর ছবি

গুল্লি

ভরদুপুরে ভরপেট মজা পাইলাম। তয় অনভিজ্ঞতায় মাহজাবিন ম্যাডামরে চিন্তে পারলাম না। মন খারাপ


পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা

রায়হান আবীর এর ছবি

মাহজাবিন লা হিজাবীন

গড়াগড়ি দিয়া হাসি ইনিইই কী সেই নাকি?


পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা

স্নিগ্ধা এর ছবি

আপনার মতো তুখোড় গল্পকারও দেখা যাচ্ছে মাঝে মাঝে ব্যর্থ হয় - ওয়ার্ম কালারের রিস্কটা তো নিশ্চয় লেখার সময়ই টের পাচ্ছিলেন?

ফ্রেমটা খুব সাম্প্রতিক কিছু ঘটনানির্ভর না হলে এই কাহিনীর মূখ্য চরিত্র মাহজাবিন (দের এবং রহমতউল্লাহদের) আরও সহজে চেনা যেতো, আর আপনার এই গল্পটার সিক্যুয়েল হিসেবেও দেখা যেতো।

নজমুল আলবাব এর ছবি
রিয়াজ উদ্দীন এর ছবি

হিমুর লেখাটিকে [বিশেষ করে ডিসক্লেইমারটা] হঠকারি মনে হল। যারা ভাল লেখেন তাদের হঠকারিতা পাঠকের জন্য পীড়াদায়ক।
পাঠক হিসাবে অসন্তোষ জানিয়ে যাচ্ছি।

হিমু এর ছবি

কেন "হঠকারী" মনে হলো, জানালে উপকৃত হতাম।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ছোট্ট করে বলে রাখি এই গল্পের অতি সামান্য যে অংশ সে অংশটাই পাঠকের চোখে গল্পের মূল সূর মনে হবে। সেখানেই হয়তো হিমুর 'ব্যর্থতা'।

সুবিনয়ের মন্তব্য না পড়লে গল্পটা ধরতেই পারতাম না। হিমুকেও এখন কৈফিয়ত টাইপের একটা পোস্ট দিতে হবে। হো হো হো

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- এখানে আসলে গল্পকার হিসেবে হিমুর ব্যর্থতা না। বরং পাঠক হিসেবে আমাদের সাম্প্রতিক সময়ের প্রতি বেশি মনোযোগ প্রদানই দায়ী! হিমু যদি এই সময়ে এই গল্পটি না লিখতো তাহলে পাঠকের পক্ষে গল্পের মূল সুরটা ধরা মোটেও কষ্টকর হতো না। কিন্তু, তখন মূল সুরটাও অবশ্য মিইয়ে যেতো।

এ ধরণের মূল সুর দশ/এগারো মাস আগেও একবার (প্রায়) তৈরী হয়েছিলো। অবস্থাদৃষ্টে দেখা যাচ্ছে, নিশ্চিন্দিপুরের অভ্যন্তরীণ কোনো আলোচনায় উত্থিত বিশেষ গোষ্ঠীর বিষয়ে কড়াভাব প্রদর্শিত হলেই এমনতর মূল সুরের তৈরী হচ্ছে! ব্যাপারটা দেখতে ভালো লাগে না। তবে সে কারণে মনেহয় না এই গল্প লেখাটা প্রয়োজনীয় ছিলো।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

তারপরেও, হিমু ভাইয়ের 'কইফিয়ৎ' চাই খাইছে

হিমু এর ছবি

কৈফিয়তও আরেকটা গল্প হবে। সেটা শুরু হবে এমন, "ফেসবুকে হঠাৎ টোকা। ভেসে উঠলো উইন্ডো। শাহেনশাহ। কী বলতে চায় লুক্টা? ..."

তারপর সব দোষ চাপাইয়া দিমু তোমার কান্ধে হাসি



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

সিরাত এর ছবি

পড়লাম। লেখার ধরন, গড়ন যথারীতি দারুন। সমস্যা একটাই, আমি বুঝি নাই ঠিকমত। হাসি

আমি আজকে একজন অতিথির থেকে মেইল পেয়েছি, অতিথি মন্তব্যকারক; manobik এ্যাট জিমেইল। উনি বাংলিশ বিষয়ে মন্তব্য করেছিলেন, মাঝারি বড়। উনি আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন এতে কি কোন সমস্যা আছে যে মডারেটররা আটকাচ্ছে?

আমি বলেছি, "পড়ে আমার কোন কিছু আপত্তিকর লাগেনি, তবে আমি মডারেটর নই। যাই হোক, আপনার মেসেজ আমি তো পেলাম।" হাসি

এ লেখা পরে পড়ে আবার বোঝার চেষ্টা করবো।

তবে, "কোনো চরিত্রের সাথে বাস্তব কোনো ঘটনার মিল নেই।" এটা মনে হয় ঠিক নয়। হাসি

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

ডিসক্লেইমার - এই ছবিটি সত্যি নয়, তবে ইন্টারনেট থেকে নেয়া। আর্নল্ড নামের কোনো চরিত্রের সাথে বা বাস্তব কোনো ঘটনার মিল নেই। কেউ মিল খুঁজে পেলে তা নিতান্ত কাকতাল।
auto

হিমু এর ছবি

এটা একটা চমৎকার স্যাটায়ার হয়েছে হাসি



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

সৌরভ এর ছবি

মাহেজাবিন কে না চিনলে এই গল্পের স্বাদ পুরোপুরি বোঝা মুশকিল। এবং সেটাই ঘটেছে বেশির ভাগ পাঠকের ক্ষেত্রে।
হুমম, সময় অনেক পেরিয়ে গেছে। মাহেজাবিনরা ব্লগজগতের মানুষের মন থেকে এখন বিস্মৃত।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

হিমু এর ছবি

মাহিজাবিনকে চেনাতে পারিনি, সেটা আমার ব্যর্থতা হলেও সচলায়তনের সাফল্য।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

ঋদ্ধ [অতিথি] এর ছবি

হিমু ভাইজানের লেখা পইড়া হেঁচকি উঠতাছে। কেমন জানি চুলকানি টাইপ লেখা হইছে... অন্য ইশটাইল...


বাই দ্য ওয়ে...

হিমু লিখেছেন:

মাহিজাবিনের চোখের জল মোছে স্কার্ফের খুঁট দিয়ে।


আমি তাড়াহুড়ায় ভুল পড়তাছিলাম। আমি 'স্কার্ফ' রে 'স্কার্ট' দেখছি, পরে দেখি না, হিমু ভাইজানের আক্কেল ঠিকি আছে। মনে লয় আমিই পারভার্টেড...

এনকিদু এর ছবি

না আপনি পারভার্টেড না । আপনি স্বাভাবিক, মাথায় একটু হরমোন উঠে গিয়েছিল মাত্র । হরমোন মাথায় উঠলে কোন দোষ নাই । কিন্তু হরমোন উঠার পর "আমার মাথায় হরমোন উঠে নাই" বললে আপনি পারভার্ট । পারভার্টের বাংলাটা একটু বেশি খাইষ্টা, তাই আপাতত বাংলিশ দিয়া গেটিস দিলাম ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

খেকশিয়াল এর ছবি

হরমোন ডাক্তার ঠিকই বলেছে ..

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

কনফুসিয়াস এর ছবি

গল্প হিসেবে এটা খুব ভাল লাগেনি, পাঁচে তিন দিলাম।
পূর্বাপর অনেক ঘটনা জানা দরকার গল্প বুঝতে হলে, সেসবের সাথে মিলিয়ে নিয়ে গল্প বুঝেছি। কিন্তু মুশকিল হলো, লেখক চাইছেন সেসব ঘটনার কিছু মাথায় আনি, কিছু যেন না আনি। এটা কীভাবে সম্ভব?
গল্পের রিসাত চরিত্রের উপর, আমার ব্যক্তিগত ধারণা, বেশ খানিকটা অবিচার করা হচ্ছে। একটা ছকের ভেতর ফেলে তার চরিত্র বিশ্লেষণ হচ্ছে, যেটা হয়তো ঠিক নয়। আমরা খুব সহজেই কাউকে গোত্রভুক্ত করতে ভালবাসি, উপাধি দিতে ভালবাসি, এটা এক ধরণের অস্থিরতা বলে আমার মনে হয়, যার ফলাফলও "শুভ" নয় বলে মনে হয়।
হিমু ভাইয়ের কলমে আরও ভাল মানের গল্পের অপেক্ষায়-

-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

হিমু এর ছবি

রিসাত চরিত্রের ওপর যদি কেউ মনোযোগ দিয়ে থাকে, তাহলে মনোযোগদাতার ওপর ৫০% দায় দেয়া যেতে পারে। গল্পের উপজীব্য ছিলো, রিসাতের কথাকে ভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে কে, আঁকা এবং কীভাবে। রিসাতকে নিয়ে তাই কোনো ডিটেইল নেই গল্পে। রিসাতের নাম সোলায়মান, গজনফর, ম্যাকবেথ বা বারলুসকোনি রাখলেও অভিযোগ অক্ষুণ্ন থাকতো বলেই আমি মনে করি। যেমন মাহিজাবিন নামটাও তাৎপর্যশূন্য।

আমি আগ্রহী, কীভাবে ছকের মধ্যে ফেলে রিসাতের চরিত্র বিশ্লেষণ করা হলো বলে মনে হচ্ছে, তা জানতে। কারণ রিসাতের চরিত্রটা, আগে যেমন বলেছি, মাহিজাবিনকে অবয়ব দেয়ার জন্যেই। ওরচেয়ে বেশি মনোযোগ তো রিসাতের প্রাপ্য নয় এই গল্পে। চরিত্র বিশ্লেষণ তো আরো পরের ব্যাপার।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

কনফুসিয়াস এর ছবি

আমি সম্ভবত এবার বুঝতে পেরেছি।
কিন্তু গল্পের রেটিং বদলাবো না। হাসি টীকার দরকার হলো আপনার গল্পে, এটাও পছন্দ হয় নাই!
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

হিমু এর ছবি

হা হা হা ... তথাস্তু স্যার! রেটিঙের বাক্স খোলা, যার যা খুশি বেছে নেবেন।

টীকা দিতে কি আর আমারই ভালো লাগে? কিন্তু হঠাৎ মনে হলো, গল্পটা কি এতই দুর্বোধ্য? আমি যেভাবে দেখছি, আমার পাঠক সেই জায়গাটায় পৌঁছতে পারছেন না কোন সে বাধার কারণে?

এটা যে স্যাটায়ার নয়, একটা গল্প (স্যাটায়ারের ঢঙে লেখা হয়তো, কিন্তু গল্পটা খুব শুষ্ক বাস্তব নিয়ে), এই জায়গাতেই হয়তো অনেকে পৌঁছতে পারছেন না। অসন্তোষ নিয়ে ভাবছেন, একজন সচলকে এখানে পঁচানো হয়েছে। সে জায়গা থেকে সরে আসার অনুরোধ করবো পাঠককে। মুখ্য যে একজন সচলের পোস্ট নয়, বরং তাঁর পোস্টকে ব্যবহার করতে চাওয়া কেউ, সেই অবস্থানে পৌঁছে দেখতে না পারলে, এই গল্পটার আবেদন মাটি হবেই। সেটা আমার ব্যর্থতা তো বটেই, তবে আমার একার ব্যর্থতা নয়।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

'হতে-চাওয়া-গল্পকার' হিসেবে আমার প্রশ্ন আছে হিমু ভাই ও কনফুর কাছে -

পাঠক হিসেবে - গল্পের চরিত্রকে ছাপা শব্দের বাইরে এনে বিশ্লেষণ কতোটা জরুরী? গল্পের চরিত্র তো কখনো মরে না। এইসব মানুষদের সঙ্গে বিগত বা আগামী কারো ছায়া মেলানো পাঠের জন্য কতোটা আরামদায়ক?

লেখক হিসেবে - এই যে জবাবদিহিতা, লেখার ধার কিংবা ভারহীনতার চাপ লেখককে দেয়া, এটা লেখকের জন্য আসলেই কি প্রাপ্য? মানে যা বলতে চাইছি - লেখার সমালোচনার বদলে ব্যক্তি লেখকের সমালোচনা বেশি হয়ে গেলে - লেখক কি আগামীতে সাবলীলভাবে গল্প বানাতে পারবেন?

হিমু এর ছবি

১. গল্পের চরিত্রের সাথে ব্যক্তিকে মেলাতে গেলে গল্পকারের কাঁধে যে প্রত্যাশার দায় চাপানো হয়, তিনি তা ডেলিভার করতে পারবেন না। কারণ আমাদের এক একজনের পর্যবেক্ষণ এক এক রকম, তাই শেষ পর্যন্ত গল্পে আঁকা চরিত্র আমাদের কাছে অসম্পূর্ণ মনে হবে, যখন আমরা ব্যক্তির সাথে মিলিয়ে দেখতে যাবো। তারচেয়ে গল্পের চরিত্রকে চেনার চেষ্টা করা যায়। প্রাসঙ্গিক উদাহরণ, বাস্তবে কোনো মাহিজাবিন নেই, কোনো রহমতুল্লাহ নেই, কোনো রিসাত নেই, নেই নিশ্চিন্দিপুরও। তাদের আনাগোনা এই গল্পের পরিসরটুকুর মধ্যেই। এর কাঠামোতে রেখে দেখতে পারলে দেখার কাজটা সহজ হবে।

২. লেখককে কিছু প্রশ্নের মুখোমুখি পাঠক দাঁড় করাতেই পারেন। অন্তত, এখানে সে সুযোগ তাঁদের রয়েছে, এবং তাঁরা তা গ্রহণ করবেন, আমার প্রত্যাশা তেমনই। কিন্তু প্রশ্নগুলি পাঠনির্ভর না হলে যোগাযোগের ব্যর্থতা একটা প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়াবে। সচলায়তনে উদ্ধৃতি দেয়ার সুযোগ আছে, কাজেই পাঠক তাঁর চোখে অস্পষ্ট অংশগুলি উদ্ধৃত করে গল্পকারকে প্রশ্ন রাখতে পারেন।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

কনফুসিয়াস এর ছবি

শিমুলের প্রশ্নের উত্তর এই গল্পের বাইরের ভিন্ন কোন জায়গায় দিলে একরকম হবে। আর এখানে, এই গল্পটির নিচে দাঁড়িয়ে দিলে অন্যরকম হবে।
তবে আমি আপাতত এই গল্পের মূল সমস্যা যেটা ধরতে পারছি, লেখক গল্পের রসদ হিসেবে বেছে নিয়েছেন অনুল্লিখিত কিছু ঘটনা, কিন্তু তারই আলোকে পাঠকের চিন্তা ঘুরিয়ে দিতে চাইছেন অন্য একটি ফোকাসে। খানিকটা কন্ট্রাডিক্টরী, এ জন্যেই হয়ত বুঝিনি শুরুতে।

-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

হিমু এর ছবি

কনফু, গল্প কেন উল্লেখিত ঘটনা নিয়েই হতে হবে? সব গল্পের সব কিছু কি আমরা জানি? জানি না বলেই তো সেটা গল্প?

পাঠক তার "চেনা ঘটনা" পেয়েই যদি তাকে গল্পের মূল উদ্দিষ্ট ধরে নেন, তাহলে পাঠক হিসেবে তিনি লেখকের ওপর অবিচারই করে থাকবেন। উদাহরণ দেই, ধরা যাক, আজ আমি কোনো রুশ তরুণীকে নিয়ে একটি গল্প লিখলাম, এবং সেখানে তার চরিত্রটি নিয়ে গোটা গল্প বিস্তৃত হলেও কোনো একটি জায়গায় এক বাঙালি যুবককে নিয়ে এলাম। আমরা কি ধরে নেবো, গল্পটি ঐ বাঙালি যুবককে নিয়ে, যেহেতু তাকে আমরা চিনি বলে সন্দেহ করছি? গল্পের ডিটেইল তো সেই রুশিনীকে নিয়ে। তো, কেন একটা গল্পের চেনা, লাউড অংশকেই গল্পের ভারকেন্দ্র বিবেচনা করবেন পাঠক, এই প্রশ্ন রয়ে যায়।

মাহিজাবিনকে আমরা চিনি না বলেই তো তাকে নিয়ে গল্প।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

দুজনকেই উত্তরের জন্য ধন্যবাদ।

রুশাফি [অতিথি] এর ছবি

মাহজাবিনদের সম্পর্কে এত কথা শোনার পর আগ্রহ দমন করতে আসলেই কষ্ট হচ্ছে। কিভাবে চেনা যায় এদেরকে? ব্লগজগতের মানুষদের কাছ থেকে তারা কেনই বা বিস্মৃত? বুঝতে পারলাম না। সাহায্য প্রার্থনা করছি বিশেষজ্ঞদের কাছে।

যেহেতু মাহজাবিনদের চিনতে পারছি না (বুঝতেই পারছেন বয়স কম), সেহেতু নজরটা কেন জানি গল্পের মূল সুরের বাইরেই চলে গেল। যদিও গুরুত্বপূর্ন কিছু না (যেহেতু মূল সুরের বাইরের মানুষজন গল্পের মূল চরিত্র না), তারপরও ব্যাপারটা কেন জানি ভাল লাগলো না। কলেজ ফার্স্ট ইয়ারের একটা ছেলের এক সময়ের মুগ্ধতাটা বেশ বড় স্কেলে ক্ষতিগ্রস্ত হল।

হিমু এর ছবি

রুশাফি, আমার তো মনে হয় তুমি মাহিজাবিনকে চিনে ফেলেছো। তবে ব্যক্তি মাহিজাবিনকে খোঁজার তো দরকার নেই।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

রুশাফি [অতিথি] এর ছবি

চরিত্রটা কিরকম সেটা হয়ত বুঝতে পারছি, কিন্তু চিত্রনটা একটু বেশি উগ্রপন্থী মনে হল। আমার মনে হয় উগ্রপন্থা মানুষের কাজের দৃঢ়তাকে বুঝায় না, দুর্বলতাকে বোঝায়। দুর্বলতা এক সময় সুবিধাবাদী সংখ্যাগুরুত্বের সূচনা করে। সচলায়তনেও সেটার আধিক্য দেখে খারাপ লাগে।

হিমু এর ছবি

রুশাফি, তুমি তুলি বুলিয়ে মুরগির ডিম ফাটাতে পারবে?



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

রুশাফি [অতিথি] এর ছবি

আসলে বেশি জোরে ফাটাতে গেলে ডিমটা ফাটানোর কোন অর্থই থাকবে না।

যাই হোক আপাতত আর মন্তব্য করবো না। নিজের সাহস দেখে নিজেই একটু ভয় পেয়েছি। তারপরও যেটা মনে হয়েছে সেটা বললাম। ধন্যবাদ।

হিমু এর ছবি

ডিম ফাটালেই যদি অনর্থ হয়, তাহলে তো তুমি আর আমি ভিন্ন পৃষ্ঠায় আছি।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

এনকিদু এর ছবি

রুশাফি পারবে কিনা জানি না, তবে আমি মনে হয় পারব । ডিমটা হবে জেলিফিশের ডিম ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

পড়ে মজা পাইছি অনেক দেঁতো হাসি

---------------------
আমার ফ্লিকার

খেকশিয়াল এর ছবি

গল্প পইড়া মজা পাইলাম, কমেন্ট পইড়াউ মজা পাইলাম
তবে দুইটা মজা দুইরকম
গল্পে গুল্লি গুল্লি গুল্লি

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

অয়ন এর ছবি

মাহিজাবিনের সময় গুণে গুণে রহমতুল্লাহ-র জন্য অপেক্ষা করাটা খুব সুন্দর ফুটিয়ে তুলেছেন ভাইয়া। আশা করি মাহিজাবিনের সাথে রহমতুল্লাহ-র খুব দ্রুতই মিলন হবে।

এনকিদু এর ছবি

আপনিও তো সারাদিন মোবাইল টিপেন


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

হিমু এর ছবি
ফারুক হাসান এর ছবি

সারাদিন বীজ বোনা আর ফসল ফলানোর আইডিয়াটা আমি লাইক করেছি দেঁতো হাসি

রেজুয়ান মারুফ এর ছবি

পনে দুই বছর ধরে সচল পড়ি। সচলে যাদের লেখা পড়ে আসছি সেই শুরু থেকে, আপনি তাদের একজন। কিন্তু আপনার লেখায় কখনো মন্তব্য করা হয়নি।
গল্পটা যথারীতি ভালো লাগলো !

-----------------------------------------

আমার জীবন থেকে আধেক সময় যায় যে হয়ে চুরি
অবুঝ আমি তবু হাতের মুঠোয় কাব্য নিয়ে ঘুরি।

আমার জীবন থেকে আধেক সময় যায় যে হয়ে চুরি
অবুঝ আমি তবু হাতের মুঠোয় কব্য নিয়ে ঘুরি।

হিমু এর ছবি

পৌনে দুই বছর পর হলেও যে শেষমেশ আপনার মন্তব্য অর্জনের সৌভাগ্য আমার হলো, এতে আমি হৃষ্ট। ধন্যবাদ। কিন্তু পরবর্তী মন্তব্যে যদি আরো পৌনে দুই বছর সময় নেন ... কে জানে ... হায়াত মউতের কথা তো বলা যায় না ...



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

রেজুয়ান মারুফ এর ছবি

সচলে লেখতেছি পনে দুই মাস মতো আর মেহমান বানাইছেন পনে দুই সপ্তাহ । কি আর করা কন? তবে নেক্সট কমেন্ট পনে দুই দিনেই করবো আশা করি!

--------------------------------------------
আমার জীবন থেকে আধেক সময় যায় যে হয়ে চুরি
অবুঝ আমি তবু হাতের মুঠোয় কাব্য নিয়ে ঘুরি।

আমার জীবন থেকে আধেক সময় যায় যে হয়ে চুরি
অবুঝ আমি তবু হাতের মুঠোয় কব্য নিয়ে ঘুরি।

হিমু এর ছবি
সুজন চৌধুরী এর ছবি

হেহেহে !! তুমুল মজা পাইলাম! গল্প আর মন্তব্যে.....
এখন কন্তো কোন্টা মাহিজাবিন?
PIC10BF.tmp


লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ

ফারুক হাসান এর ছবি

রহমতউল্লাহর হাতে ঐটা কি? বোরকাভিশন ক্যামেরা?

হিমু এর ছবি

এটা রহমতুল্লাহ না। মাহিজাবিনের চাচা, বদারুজ্জামান।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

ঋদ্ধ [অতিথি] এর ছবি

ঈগল আই ভিসন ক্যামেরা। একটা মুভিতে এই প্রযুক্তি দেখছিলাম। চোখ টিপি

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

ব্লগ হয়েছে, গল্প হয়নি। টীকার প্রয়োজনীয়তা একটি দিক, সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণের প্রয়োজনীয়তা আরেকটি দিক, সাথে আছে ভুল অর্থ প্রকাশ পাওয়া।

আপনার উদ্দেশ্য হয়তো মাহিজাবিনকে কটাক্ষ করা এবং তাদের মত মানুষকে অজান্তে শক্তি যোগানোর দিকটি তুলে আনা, কিন্তু লেখা এবং সমকাল বিবেচনায় সেটা উলটো দিকেই প্রবাহিত হয়েছে। আপনার মানের লেখকের গল্পে (তায় আবার সোজা-সাপ্টা বিষয় নিয়ে) এই রকম ব্যাখ্যার প্রয়োজনীয়তা মেনে নেওয়া কষ্টকর। সব ব্যাক্তি ও ঘটনাকে চেনা-জানা এই আমার কাছেও অর্থটা অন্যরকম দেখাচ্ছে। দরকার ছিলো না এটার। অন্তত এই ভাবে না।

রয়েসয়ে... দেঁতো হাসি

হিমু এর ছবি
ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ঈশ, হালায় রবি বুইড়া কিংবা গাঞ্জুট্টি নইজ্যা যদি তোর মতো ভালো হইতো তাইলে ইশকুল কলেজে বাংলা স্যারদের প্যাঁদানি খাওয়া থেকে বাঁইচা যাইতাম। কবিতা-গল্প লিখে তাঁরাই বঙ্গানুবাদ করে দিতো আমার মতো নাদানদের জন্য।

তোর কাছ থেকে শিক্ষা নেয়া উচিৎ এ যুগের লেখিয়েদের। যা—ই লিখবেন তাঁরা গল্প বা কবিতার শেষে "লেখক কী বুঝাতে চেয়েছেন এখানে" শিরোনামে লেখাটার অনুবাদ করে দিবেন সোজা-সরল ভাষায়। এই পথ অনুসরণ করলে এই সচলেই অনেকের মহা উপকার হয়। তারাও বদ্দার জেনেসিস টাইপের লেখাগুলো বুঝে বদ্দার সাথে মাথা দোলাতে পারবেন!

বদ্দা কই? এরপর কোনো জেনেসিসের যদি বঙ্গানুবাদ না করে দিছেন উনি তাইলে তোর এই পোস্টের লিংক রেখে আসবো উদাহরণ স্বরূপ, হুঁ।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

যুধিষ্ঠির এর ছবি

এই গল্প আমার বেশ ভালো লাগলো, এবং অত্যন্ত প্রয়োজনীয় মনে হলো।

বাস্তবতা সম্পর্কে সচেতন মানুষদের খেয়ালী অজ্ঞানতা আর বালখিল্যতা এই মাহিজাবিনদের হাতে কি শক্তিশালী অস্ত্র তুলে দেয়, সেটা শুধু সাম্প্রতিক পোস্টাপোস্টির পরিপ্রেক্ষিতে না, সারা বছরই, নিয়মিত-অনিয়মিত বিরতিতে সবাইকে মনে করিয়ে দেয়া প্রয়োজন, প্রয়োজনে ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দেয়া দরকার। সেটা স্যাটায়ার দিয়ে সুন্দর করে রেখে ঢেকে বলতে পারলে ভালো। কিন্তু পলিটিক্যালি কারেক্ট হতে গিয়ে এই ধরণের মেসেজ প্রকাশে বিলম্ব বা কোনরকম হেজিটেশনের বিন্দুমাত্র প্রয়োজন দেখিনা।

হিমু এর ছবি
সাইফ তাহসিন এর ছবি

লেখাটা ভালো লাগল, অতি প্রয়োজনীয় লেখা, হাসি খুশি ভাবে অনেক জরুরী কথা বলে ফেলেছেন হিমুদা। আমার মতে এই মাহিজাবিন পার্টি কিভাবে চিন্তা করে তা সকলের জানার প্রয়োজন আছে, আর কেউ কেউ আবার পড়েই সব জ্ঞান আহরন করে থাকেন, তাদের জন্যে এ লেখাটা পোস্টার করে ঝুলিয়ে দেওয়া দরকার দেওয়ালে। পুরাই গুল্লি লেখা। কবে যে এসব ধর্মের নামে ফ্যানাটিক মাহিজাবিনরা শেষ হবে ইয়ে, মানে...

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

দ্রোহী এর ছবি

অনেকদিন পর একটা আস্ত গল্প পড়লাম। কী ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই গল্প লেখা হয়েছে তা জানি না তবে বহুদিন পর মাহজাবীনের কথা মনে করিয়ে দেবার জন্য হিমুকে ধন্যবাদ।

দেঁতো হাসি

হাসিব এর ছবি

সিরাম দিন আছিলো সব ।

অমিত এর ছবি

সিরাম বলে সিরাম

নৈষাদ এর ছবি

গল্পটা পড়লাম। ভাল লাগল।
আবার লগ ইন করে এক থেকে শততম মন্তব্য পড়া শেষ করে আরও দু'বার গল্পটা পড়লাম। বুঝতে চেষ্টা করলাম। মাহজাবীনকে শশ্বত মাহজাবীনদের সাথে তুলনা করলেও পরে বুঝতে পারলাম আরও দ্যোতনা আছে, যা আমি বুঝতে পারছি না। কৌতুহলোদ্দীপক। কিন্তু প্রয়োজনীয়।

শিক্ষানবিস এর ছবি

লেখা পড়ে মজা পাইছি। মাহিজাবিনদের নিয়ে আমি সম্ভবত এতোটা ভাবিনি কখনও... কিছুটা অবশ্য ভেবেছি... আরও ভাবতে হবে...

গৌতম এর ছবি

এই লেখায় আপনার বিভিন্ন মন্তব্য পড়ে রিসাত বা মাহজাবীনকে না চিনে একটা আলাদা গল্প হিসেবে পড়ার চেষ্টা করলাম। এক অর্থে ভালো লেগেছে।

মাহজাবীন আমার পরিচিত নয়। তার সাথে পরিচয় থাকলে গল্পটা যেভাবে বুঝতাম সেভাবে বুঝতে পারলাম না বলে আক্ষেপ তৈরি হলো। পাশাপাশি রিসাতকে চেনা থাকায় যেভাবে বুঝেছি, সেভাবে বুঝায়ও আরেক আক্ষেপ তৈরি হলো।

পর্দার আড়ালের দুনিয়ার চেহারা জানা না থাকায় হয়তো অনেক কিছু ধরতে পারি নি। আক্ষেপের পাশাপাশি তাই আফসোসও তৈরি হলো।

গল্পকার একই সাথে একজন পাঠকের ভালোলাগা, আক্ষেপ আর আফসোস তৈরি করেছেন- এটা হয়তো গল্পকারেরই সাফল্য। পাঠকের সেটা সাফল্য না ব্যর্থতা সেটা এখনও বুঝতে পারছি না।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

হিমু এর ছবি

এক আক্ষেপের কথা জেনে ভালো লাগলো। অন্য আক্ষেপটির কারণ দুর্মোচনীয়। মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

অতিথি লেখক এর ছবি

পৌছাইয়া দিছি যথাস্থানে, এই নেন:
[লিঙ্ক সম্পাদিত]

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

ওখানে হিমু ভাইয়ের পরের নামটা দেখলাম দেঁতো হাসি

হিমু এর ছবি

প্রিয় দ্বিতীয়নাম, আপনি আমার এই ব্লগে সবসময় স্বাগতম। কিন্ত যে লিঙ্কটি ব্যবহার করেছেন, তা অপ্রাসঙ্গিক। আমার কোনো পোস্টকে এ ধরনের অপ্রাসঙ্গিক লিঙ্ক ছড়ানোর কাজে ব্যবহার না করার অনুরোধ জানাই। আমি মডারেটরদের অনুরোধ করবো এদিকে দৃষ্টি দিতে। ধন্যবাদ।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

গল্পের যে বাতাবরণ হিমু তৈরি করেছে, সেজন্য যে শ্রম দিয়েছে তা প্রশংসার। অনেক ডিটেইলস গল্পটিকে প্রামাণ্য দলিলের মত করে তুলেছে।
অলস চোখে পড়লেও এড়িয়ে যায় না লেখকের এইসব কারুকাজ। মাহিজাবিনের টেক্সটের ভাষা, দ্বীনি অভিমান-প্রেম-অনুরাগ-বিরহ; আরবী-ফারসি শব্দ জড়িয়ে বাংলায় কথা বলার প্রবণতার রূপটি, স্মাইলির মত টেকনিক্যাল বিষয়েও ফতোয়াবাজির অনলাইন সংস্করণ.. ইত্যাকার অনেক অনেক বিষয় লেখক খুবই যত্নের সাথে ফুটিয়ে তুলেছেন।

সমস্যা গল্পের প্লটে। এর শুরুটা আর শেষটা দিয়ে পূর্ণাঙ্গ কোনো মেসেজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাই চেনা চেনা মনে হয় এমন একটা চরিত্র রিসাতের ওপর সবার দৃষ্টি আটকে যাচ্ছে। অনেকের মনে হচ্ছে রিসাতকে শব্দে-গল্পে কাহিল করতেই মাহিজাবিনের অবতারণা। তবে রিসাতের ঠিক আগে পড়ুয়া নামে এক ব্লগারের রেফারেন্স ছিল - আমার কাছে পড়ুয়া-রিসাত একটু বিভ্রান্তিকর মনে হয়েছে।

এতো ছোট গল্পে এত বেশি চরিত্র এলে পাঠকের সমস্যা হয় জানি। রিসাতের চরিত্রটা লেখক রহমতুল্লাহর চরিত্রের মধ্যেই ঠেসে ঢুকিয়ে দিতে পারতেন। হতে পারতো রহমতুল্লাহ এরকম চমৎকার ব্লগ লেখে আর তা পড়ে মাহিজাবিন উতলা।

আরেকটা কথা, সাম্প্রতিক বিষয় বলে তা নিয়ে স্যাটায়ার করা যাবে না এরকম ভাবনা সম্ভবত: ঠিক না। আমরা আগে কেউ কবিতা লিখলেই তার একটা প্যারোডি লিখতাম ব্লগে। তাতে বন্ধুত্বের কোনো ক্ষতি হতো না। মুখফোড়, রাসেল তো প্রায়ই এ কাজ করতো।

আমার মনে হয়, এই গল্প লেখা নিয়ে হিমুকে অনেক বেশি কড়া কড়া কথা বলা হয়েছে। হিমুর হয়তো এটা সহ্য করার মত চেকনাই আছে। আমি হলে আমার লেখার গতি ক্ষতিগ্রস্ত হতো -আগে হয়েছেও।

সবাইকে শুভেচ্ছা।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

হিমু এর ছবি

প্রিয় শোমচৌদা, এটা কোনো স্যাটায়ার ছিলো না। গল্প হিসেবেই লেখা। পাঠক যদি স্যাটায়ার পড়ার মেজাজ নিয়ে পড়ে থাকেন, তাহলে তার দায় আমার ওপর এসে পড়ে, কিন্তু সম্পূর্ণটা নয়। ক্যাটেগরি বাছাইয়ের ব্যাপারে আমি খুব সচেতন, কাজেই ক্যাটেগরির ঘরে যখন গল্প লেখা আছে, এর অর্থ, একে স্যাটায়ার হিসেবে লেখা হয়নি।

আর একজন আরেকজনকে নিয়ে স্যাটায়ার করতে গেলে প্রায়ই কোনো না কোনো সীমা অতিক্রান্ত হয়। ঐ চর্চা না থাকাই ভালো। কেউ যদি মনে করেন, এই গল্পেও সে রকম কোনো সীমা অতিক্রান্ত হয়েছে, আপত্তির বাটনটি চেপে মডারেটরদের কাছে অভিযোগ করতে পারেন, তারা ব্যবস্থা নেবেন।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আমার মনে হয়, এই গল্প লেখা নিয়ে হিমুকে অনেক বেশি কড়া কড়া কথা বলা হয়েছে। হিমুর হয়তো এটা সহ্য করার মত চেকনাই আছে। আমি হলে আমার লেখার গতি ক্ষতিগ্রস্ত হতো -আগে হয়েছেও।
হিমুর হবেনা। হিমুর লেখক-মন অনেক শক্ত।

হিমু এর ছবি

তুফানে বেঁধেছি লুঙ্গি, বাতাসে কী ভয় ... ?



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

অমিত এর ছবি

এইরম আস্তমজা অনেকদিন পর পাইলাম

হিমু এর ছবি

খালি বেশরিয়তি মন্তব্য করস।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

সুমন চৌধুরী এর ছবি

তারপর রহমতুল্লাহ'র কী হৈল?



অজ্ঞাতবাস

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।