ঊষাকালে উপকূলে একা এক বালিকা

কৌস্তুভ এর ছবি
লিখেছেন কৌস্তুভ (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৫/০৮/২০১১ - ৭:৩৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মায়ামির কনফারেন্সে গিয়ে যে আমি পাঁচদিনই নিষ্ঠাবান তপোবালকের মত সকাল আটটা থেকে সন্ধ্যা ছটা অবধি সবরকম লেকচার অ্যাটেন্ড করে গেছি, সে বিষয়ে পিপিদা সাক্ষী। কানাঘুষোয় এও কানে এসেছে, যে এই বিরল কৃতিত্বের জন্য বিশেষভাবে আমার জন্যই ‘স্যার আর. এ. ফিশার কনফারেন্সরত্ন পুরষ্কার’ টাইপের কিছু একটা চালু হতে চলেছে। তাই আমার যখন একটুখানি ফটো তোলার খায়েশ চাপল, সেটা করতে হল ভোর সাড়ে’পাঁচটায় এলারাম দিয়ে উঠে।

উঠেই ব্যালকনি’তে গিয়ে উঁকি মেরে দেখি, দূরে সমুদ্রের উপর থোকা থোকা সারি সারি জলভরা মেঘ, আর তাদের ফাঁক দিয়ে ভোরের রঙের খেলা শুরু হয়ে গেছে। ক্যামেরা হাতিয়ে চটপট বীচের দিখে ছুটলাম, হোটেল থেকে একটুখানিকই। মায়ামিতে সৈকতের সমান্তরালে একেবারে উত্তর থেকে দক্ষিণ অবধি কাঠের পাটাতন দিয়ে উঁচু করা রাস্তার মত বানানো, তার দুপাশেই বড় বড় ঝোপ, মায় পাম’গাছও। তার উপর পৌঁছেই দেখলাম, দিগন্ত-সইসই একসারি মেঘ, তাদের ঠিক উপরেই আবার সমান্তরালে বিশাল মেঘের রাশি। বুঝলাম, রবিমামা ওই ফাঁকটুকুতে হামা দেবার সময়েই যে কটা ছবি পারা যায় তুলে ফেলতে হবে।

পাটাতন পেরিয়ে বালিতে গিয়ে নামলাম। অল্প কয়েকজন লোক মাত্র এদিক-ওদিক ছিটিয়ে রয়েছে, ক্যামেরা-উৎসাহী বলতে আমি একাই। দুয়েকজন স্বাস্থ্য-অতি-সচেতন আমেরিকান হাঁইহাঁই করে বালির উপর দিয়ে দৌড়ে চলেছে। এক শ্বেতাঙ্গ বৃদ্ধ দেখলাম ব্রাহ্মমুহূর্তে সমুদ্রস্নান করে পুণ্যলাভের আশায়ই হয়ত গুটিগুটি হাফপেন্টুল পরে গিয়ে জলে নেমে পড়লেন। আমি দিগন্তের মেঘের সারিকে টপকে কখন সুয্যিমামা উঁকি মারবেন তার অপেক্ষায় ক্যামেরা বাগিয়ে রইলাম।

জলে দেখলাম এই ভোরভোরই শৃগাল, থুড়ি, সী’গাল-জাতীয় পাখিদের অভাব নেই। তারা কেউ আকাশে উড়ছে, কেউ বা জল-ছুঁই-ছুঁই উড়তে উড়তে হঠাৎ ঝপাং করে জলে গোঁত্তা খেয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে কোনো বেচারা মৎস্যের ভতাং করে দিচ্ছে। আমার গরীব যন্তরেও দুয়েকটা ভাল ভাল শট পেয়ে খুশিখুশি হয়ে গেলুম।

এতক্ষণে দেখি, দূর জীমূতবৃন্দের ফাঁক দিয়ে সূর্যদেবের স্বর্ণাভ রথচক্রখানি প্রতিভাত হতে শুরু হয়েছে। চারিদিকে যেন তরল সোনার পাত্রে ডোবানো তুলিখানি নিয়ে বুলিয়ে দিয়েছে কেউ। অতলান্তিকের উপরেও যেন সেই পাত্র উপচে পড়েছে একছড়া, সেই গলন্ত সোনা ঢেউয়ের সাথে সাথে নেচে বেড়াচ্ছে তট থেকে বহুদূর অবধি। নিবিষ্টমনে ছবি তুলতে থাকি।

এমন সময় লক্ষ্য করি, অনতিদূরেই বালির উপর রয়েছে এক সারি পাথর। মনে হয়, তাদেরকে ফ্রেমে নিয়ে আসতে পারলে নিশ্চয়ই উপাদেয় হবে। পায়ে পায়ে ছবি তুলতে তুলতে এগিয়ে যাই সেই পাথরের সারির দিকে।

কাছে গিয়ে দেখি, আরে! পাথরের উপর কেউ বসে রয়েছে বলে মনে হয়? এক নবযৌবনা বালিকা বলে যেন বোধ হয়? আহা, বড়ই সুন্দরভাবে উপলশ্রেণীর উপর দেহবল্লরী বিস্রস্ত করে নিবিষ্টনয়নে উদীয়মান ঊষার দিকে চেয়ে রয়েছে সে। কোনো তরুণীকে অনুরোধ করে বসালেও সে এর চেয়ে উপযুক্ত কোনো পোজ দিতে পারত না। ঘ্যাঁচাঘ্যাঁচ তাকে সমেত কয়েকটা সিল্যুয়েট তুলে ফেলে এদিয়ে যাই, এবার পাথরগুলোর উপর চড়েই সূর্যের কয়েকটা ক্লোজ-আপ নিই। ততক্ষণে সূর্যের উপরের বড় মেঘপুঞ্জের মধ্যে লুকিয়ে পড়ার সময় প্রায় হয়ে এসেছে।

আমিও যে একনিষ্ঠে সানরাইজের ছবি তুলছি, সেটা বালিকা লক্ষ্য করে। আমিও দেখি, একটা ছোট্ট পয়েন্ট-এন-শুট ক্যামেরা নিয়ে বালিকাও মাঝেমাঝেই টুকটাক ছবি তুলছে সূর্যোদয়ের। তাকে মনেমনে উত্তম উত্তম শট পাওয়ার জন্য আশীর্বাদ করি। কিন্তু দেখি, বালিকা কেন জানি বড়ই উদাস। যেন গত রাত্রেই তার অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে তার নিউইয়র্ক বা ক্যালিফোর্নিয়া-বাসী পুরুষবন্ধুটি অন্য কোনো রমণীর বাহুলগ্ন হবার সংবাদ তাকে জানিয়ে দিয়েছে, আর সেই দুঃখ ভুলতেই এই ভোরভোর সারারাত-না-ঘুমানো বালিকাটির সৈকতে চলে আসা। মুণ্ডু’ঘোরানো সুন্দরী নয়, তবে শ্বেতাঙ্গী বালিকার চেহারায় কেমন একটা মিষ্টি বিষণ্ণতার ছাপ আছে বলে মনে হয়... যাহোক, আমি তো আর ফ্যাশন-ফোটোগ্রাফার নই যে মডেল খুঁজছি।

আমি পাথরের উপর থেকে নামতেই আমাকে এসে বালিকা অনুরোধ করে, এই নবোদ্গত সূর্যের সঙ্গে আমার একখানা ছবি তুলে দাও না, আমার এই ক্যামেরাখানি দিয়ে! বলে, জটিল কিছু না, কেবল এই সূর্যটা থাকবে, রঙিন আকাশ থাকবে, আর থাকব আমি। আমি শুধালেম, তুমি কোথায় থাকবে? কেমনে থাকবে? সে বলল, এই তো, পাশেই, এই পাথরগুলোর উপর বসে। তোমার যেমন মনে ধরে তুমি তেমন ছবি তুলে দাও।

আমি প্রাজ্ঞ ফটোগ্রাফার, সে আলোর দিকে পিঠ করে আছে বলে ফ্ল্যাশ অন করে একখানি ছবি তুলে দিলাম, যাতে তার মিষ্টি বদনখানি অন্ধকারে ঢাকা না পড়ে যায়। অন্যের অনভ্যস্ত ক্যামেরা, ফ্ল্যাশ অন করতে গিয়ে বেশ বেগ পেতে হল, মেয়েটি সেই বিষন্ন হাসি দিয়ে অপেক্ষা করে বসে রইল পাথরটির উপর। যাহোক, ছবি উঠল; তাকে বললাম, দেখে নাও তোমার মনের মত হয়েছে কি না। কিন্তু এমনই বিধি, সে যেই এগিয়ে এসে ক্যামেরাখানা হাতে নিল, অমনই লাল রঙের ব্যাটারি ওয়ার্নিং দেখিয়ে সেটা হয়ে গেল বন্ধ। আমি বললাম, যাঃ! বন্ধ হয়ে গেল যে? সে অধরপ্রান্তে বিষাদমাখা এক হাসি ঝুলিয়ে বলল, কী আর করতে পারি? তবুও তুমি এতখানি সময় দিয়েছ, তোমাকে অনেক ধন্যবাদ।

আমি ক্যামেরা মৃত হওয়ার সহানুভূতি জানিয়ে সূর্যের দিকে তাকিয়ে দেখলাম, অচিরাৎ’ই সে স্থায়ীভাবে অদৃশ্য হবে মেঘের সারির পেছনে। আমার মধ্যে চিত্রগ্রাহক-ইনস্টিঙ্কট আবার জেগে উঠল, আমি নিজের ক্যামেরাকে জাগিয়ে আবারও এগিয়ে গেলাম শেষ কয়েক মুহূর্তে যে কটা পারা যায় ছবি তুলে নিতে।

মেয়েটি দেখলাম আমার ছবি তোলার দিকে শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল কিছুক্ষণ, তারপর বর্ণিল আকাশের দিকে উদাসনয়নে চেয়ে রইল আরো কিছু সময়। তারপর ঘুমন্ত ক্যামেরাটি হাতে নিয়ে উঠে তটভূমি ধরে হাঁটতে শুরু করল। ছবি তোলা শেষে আমি একবার ফিরে চেয়ে দেখলাম, দূরে অপসৃয়মান তার অবয়বটি।

তখন একবার মনে হল, হয়ত আমি আমার উন্নততর ক্যামেরাটিতেই তুলে দিতে পারতাম বালিকার আরো দুয়েকটি ছবি, তার মন-মত করে? কিন্তু তখন সে প্রায় বিলীন হতে থাকা এক সুদূরিকা, ফিরে ডাকার তো তাকে আর উপায় নেই। ছবি তোলার নেশায় যে ছবির বিষয় হতে চেয়েছিল তাকে উপেক্ষা করে গেছি...

গতস্য শোচনা নাস্তি। ক্যামেরা গুটিয়ে ফেরার পথ ধরি। ততক্ষণে রবিমামা মেঘেদের কোলে কোথায় হারিয়ে গেছেন। বীচে লোকের সংখ্যা অনেক বেড়েছে, অনেকেই হেঁটেচলে-দৌড়ে বেড়াচ্ছে। অনেক অনেক দূরে, একেবারে দিগন্তের উপর দুখানা মালবাহী জাহাজ যেন সদ্য ঘুম থেকে উঠে হাই তোলার মত ধোঁয়া ছাড়ছে।

ছবিটা তুলেই মনে হল, আরে, এ কী দেখলাম? কোণে একটা জলস্তম্ভ যেন সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে হল? খেয়াল করে দেখি, দূরে আরো দুখানা জলস্তম্ভ, ঠিক যেন আমার ছবি তোলার অপেক্ষাতেই সেজেগুজে জোড়া বেঁধে এসে উপস্থিত হয়েছে। সেদিকে দেখি আর কারো ভ্রুক্ষেপ নেই, মনে হল ফ্লোরিডার সৈকতে জলস্তম্ভ হয়ত তেমন উপদ্রব করে না। আমিও নির্ভয় দূরত্ব থেকে ছবি তুলে বাধিত করলাম তাদের, এবার আর প্রত্যাখ্যান করলাম না। অল্প সময় পরেই দেখি, বাতাসেই আবার লীন হয়ে গিয়েছে তাদের নশ্বর জল’দেহ। মৃদু হেসে ফেরার জন্য পা বাড়ালাম।

**********************

এহেন সুন্দরী বালিকাদের যত্ন করে কামড়ানো যাঁর গুণ বলে শোনা যায়, সেই হাঁটুপানির জলদস্যুর আজ জন্মদিন। ওই বালিকার হয়েও শুভেচ্ছাখানা আমিই জানিয়ে দিলুম। চোখ টিপি


মন্তব্য

তাসনীম এর ছবি

এই পোস্টের অন্য নাম হতে পারত - অন্ধকার শেষ হ'লে যে স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে।

হাঁটুপানিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। আশাকরি তার জীবন হবে আলোকময়।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

কৌস্তুভ এর ছবি

অন্ধকার শেষ হ'লে যে স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে।

ডরাইসি!

এট্টুক খেয়াল রাখবেন, লেখার প্রথম প্যারাটা যেরকম সত্যি, বাকিটাও তেমনই সত্যি... চোখ টিপি

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

সহমত!

অটঃ জীবনানন্দের ইন্দ্রিয়ানুভূতি যে কত প্রগাঢ় ছিল এমন অনেক শত সহস্র চরণে তিনি তাঁর প্রমাণ রেখে গেছেন।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

অপছন্দনীয় এর ছবি

দারুণ ছবি...

মায়ামির কনফারেন্সে গিয়ে যে আমি পাঁচদিনই নিষ্ঠাবান তপোবালকের মত সকাল আটটা থেকে সন্ধ্যা ছটা অবধি সবরকম লেকচার অ্যাটেন্ড করে গেছি, সে বিষয়ে পিপিদা সাক্ষী।

বললেন আর বিশ্বাস করলাম আর কি! পিপিদা ছেলেছোকরাদের পদস্খলনের কাহিনী জানলেও নিশ্চয়ই হাটে হাঁড়ি ভাঙবেন না, সেই সুযোগটাই নিচ্ছেন!

হিমু ভাইকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা থাকলো হাসি

কৌস্তুভ এর ছবি

চোখ টিপি

(থেঙ্কু...)

+ বানান-ধন্যবাদ...

আয়নামতি এর ছবি

যা রটে তা কিছু কিছু ঘটে বটে! চোখ টিপি .........ছবি দেখে বোবা হয়ে গেলাম খোকা।
লেখা এবং ছবিতে উত্তম জাঝা! গুরু গুরু গুরু গুরু ..........................
শুভ জন্মদিন হিমুভাইয়া (গুড়) (গুড়)

কৌস্তুভ এর ছবি

নাঃ, এরও মনে খালি প্যাঁচ!

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

আশালতা এর ছবি

প্যাঁচঘোচের কি আছে, পোস্ট দেখে তো আমারও ওই 'শাক দিয়ে মাছ ঢাকা'র একটা লাইন মনে এল। যাহোক শাকের আঁটি বড় সোন্দয্য হয়েছে। দেঁতো হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

কৌস্তুভ এর ছবি

হায়... <কপালে করাঘাত ইমো>

আয়নামতি এর ছবি

যা বলেছো দিদি! দেঁতো হাসি

আয়নামতি এর ছবি

হুম! খোকাবাবু আম্রা সবাই 'জিলাপী' ,একা আপনিই 'রসগোল্লা(প্যাঁচহীন অর্থে) শয়তানী হাসি

কৌস্তুভ এর ছবি

বটেই তো!

( 'আমি কলকাতার রসগোল্লা' বলে একটা ভয়ানক গান আছে কিন্তু...)

আয়নামতি এর ছবি

এতটা ভয়ানক হবে ভাবিনি! ভিডিওটা তুলে নেবার বিনীত আবেদন থাকলো মন খারাপ

আয়নামতি এর ছবি

এই ছেলেটা তো মহা বেয়াদব! রেগে টং এমন ঠান্ডা গলায় কড়া কথায় ভয়ডর পায় না! ভিডিওর একটু দেখেছি...বিকৃত উচ্চারণ শুনে রাগে গা জ্বলে গেছে.....কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে আপনি নিজেকে ওরকম রুসোগোল্লা ভাবেন নাকি? ও যে ধেড়ে একটা মেয়ে রে!!! অ্যাঁ শয়তানী হাসি

কৌস্তুভ এর ছবি

কী মুশকিল, ওই ভিডিও ইউটিউবে কি আমি টাঙিয়েছি যে তুলে নেব?

আর আমি নিজেকে কেন, আপনাকেও অমন রসগোল্লা ভাবি না... ওটা অতি ভয়ানক জিনিস...

অপছন্দনীয় এর ছবি

আমি নিজেকে কেন, আপনাকেও অমন রসগোল্লা ভাবি না

হো হো হো

অপছন্দনীয় এর ছবি

ই কি গান রে বাবা!!! দমুদির মত বলতে হচ্ছে "পাঞ্জুরিতে তিড়িতঙ্ক" লেগে গেলো ইয়ে, মানে...

কৌস্তুভ এর ছবি

সে আর বলতে...

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

আমিও একদিন এমুন ছপি উঠামু

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

কৌস্তুভ এর ছবি

সে তো উঠাবেনই, আপনার যা ক্যামেরাখানা! <ঈর্ষায়লাল ইমো>

guest_writer এর ছবি

ছবি আর বর্ণনা বহুত ভাল লাগলো। জলস্তম্ভের ছবি এই জন্মে প্রথম দেখলাম। সেইটার জন্যেও ধন্যবাদ।

-মেফিস্টো

কৌস্তুভ এর ছবি

বহুত ধন্যবাদ মেফিস্টো হাসি

তারাপ কোয়াস এর ছবি

বালিকার দু:খে চউক্ষে পানি আইসা পর্লো ওঁয়া ওঁয়া আর আপ্নের (অ)সহানুভূতিশীল হৃদয়ের প্রতি কঠোর মনোভাব জানায়ে গেলাম চোখ টিপি
অট: ছবি++

জন্মদিনে অনেক অনেক শুভেচ্ছা হিমুভাইকে।


love the life you live. live the life you love.

কৌস্তুভ এর ছবি

খিক খিক...

অনিকেত এর ছবি

ছবি+লেখা সব অসাধারণ লাগল---
হাঁটুপানির জলদস্যুকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা!

কৌস্তুভ এর ছবি

লইজ্জা লাগে

(ইসে, আপনি তো ভালো লাগলেই একলক্ষ / পাঁচকোটি / আকাশের সব তারা উজাড় করে ফেলেন, তা এইটা কি অতটা ভালো হয় নি, যে শুধু অসাধারণেই কাজ সারলেন? খাইছে )

সজল এর ছবি

তারা ফুরাইয়া যাইতে পারে, অবশ্য মহাবিশ্বতো অসীম চিন্তিত

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

আশালতা এর ছবি

তারা ফারা দিয়ে কি কাজ। মায়ামি গিয়েও নিষ্কাম ধ্যানী হয়ে থাকে যে তার তো আর পঞ্চাশখানা তারা, একশটা শেয়ার আর হাজারটা রিডিঙয়ের লোভ নেই। তারচে ফলের আশা না করে কর্ম করে যান। খাইছে

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

কৌস্তুভ এর ছবি

খাইছে

ফাহিম হাসান এর ছবি

জানেনই তো - diminsihing marginal utility
আগে এত তারা দেওয়ার পর আর দিয়ে কী লাভ!

কৌস্তুভ এর ছবি

দেঁতো হাসি

তিথীডোর এর ছবি

Law of Diminishing marginal utility? চিন্তিত
আহা, এককালে কত চিত্র আঁকিয়াছি....

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

রু (অতিথি) এর ছবি

লেখা ভালো লেগেছে। ছবিগুলো সুন্দর। অন্যদের জন্মদিনে হিমুকে শুকনা কাঁথার শুভেচ্ছা জানাতে দেখেছি। আর উনার জন্মদিনে আপনি এমন একটা জলময় পোস্ট দিলেন!

হিমুকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই।

কৌস্তুভ এর ছবি

ধন্যবাদ রু হাসি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ছবিগুলো সুন্দর এসেছে। আপনি তো বেশ ভাগ্যবান--দারুণ একটা ছবি (শেষেরটা) পেয়েছেন।

কৌস্তুভ এর ছবি

হেঁহেঁ... সবই ঐদিন আপনার আশীর্বাদ... খাইছে

ইস্কান্দর বরকন্দাজ এর ছবি

চলুক চলুক চলুক

হিমু ভাইকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা

কৌস্তুভ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

যুমার এর ছবি

আপনার ভোর সাড়ে'পাঁচটায় এলারাম দিয়ে উঠা সফল।

কৌস্তুভ এর ছবি

বিলকুল! হাসি

শাব্দিক এর ছবি

ছবি গুলো অসাধারন চলুক , ভীষন লোভ হচ্ছে মায়ামি দেখার। ওঁয়া ওঁয়া
সেই সাথে যারা গেছে তাদের প্রতি হিংসা ও হচ্ছে।

কৌস্তুভ এর ছবি

ধন্যবাদ শাব্দিক।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

ছবিগুলো মারাত্মক সুন্দর হয়েছে। শেষ ছবিটার মধ্যে টর্নেডো ফানেলের মতো দেখতে জিনিস দুটোই কি জলস্তম্ভ? জন্মেও এই বস্তু দেখিনি। তবে কি ভাগ্যি আপনার ক্যামেরার জন্যই যেন ওরা অপেক্ষা করছিল। হাসি চলুক

হিমুর জন্মদিন নিয়ে পোষ্টের শেষ দুটো লাইন একটু ভিন্নভাবে দেখতে ভালো লাগতো। ভেবে দেখতে পারেন।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

কৌস্তুভ এর ছবি

ধন্যবাদ দাদা। ওই অংশটা কেমন হলে ঠিক হয়?

নীড় সন্ধানী এর ছবি

বালিকাদের অংশটা বাদ দিয়ে অন্য কোন গুনের কথা দিতে পারেন। নইলে বাইরের লোকজন ওটাই হিমুর প্রধান গুন বলে ভেবে বসতে পারে। প্রচুর অতিথি আসে এখানে কিন্তু। হাসি

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

কৌস্তুভ এর ছবি

তা বটে, আর যখন এই একই জিনিস নিয়ে আরো একটা পোস্ট এসেছে... তবে কিনা মূল পোস্টের সঙ্গে বালিকা-ই প্রধান লিঙ্ক... একটু কাটছাঁট করে দিলাম...

কৌস্তুভ এর ছবি

অস্ট্রেলিয়ায় জলস্তম্ভের এই ভিডিওটা দেখতে বেশ ইয়ে...

তানিম এহসান এর ছবি

কি অদ্ভুত, কি অদ্ভুত সুন্দর! লেখা আর ছবি দেখে অসীম মুগ্ধতা নিয়ে এই ক্লিপটা দেখে একদম থ মেরে গেলাম!

কৌস্তুভ এর ছবি

ভয়ঙ্কর সুন্দর...

আলতাফ শেহাব এর ছবি

আপনার ছবিগুলোই সবিস্তারে বলে গিয়েছে ঊষাকালের নয়নাভিরাম এসকল দৃশ্যপটের কথা। তারপরও ......... অসাধারণ বর্ণনা মনোমুগ্ধকর ক্ষণগুলোকে আলোয় আলোয় ভরিয়ে দিল।

ধন্যবাদ।

কৌস্তুভ এর ছবি

বাহ, শুনেও ভাল্লাগছে! ধন্যবাদ দেঁতো হাসি

দিহান এর ছবি

বাহ। খুব সুন্দর ছবিগুলো...

ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।

কৌস্তুভ এর ছবি

থ্যাঙ্কু দিহান হাসি

অর্ক রায় চৌধুরী এর ছবি

হাটুপানির জলদস্যুর নাম হিমু এইটা জানতাম কিন্তু কৌস্তুভ এইটা জানতাম না!!
আমি কি ভূল করলাম!!
যাই হোক শুভ জন্মদিন।
একদিন আমিও চবি পোস্ট করুম। আর সহ্য হয় না খাইছে

কৌস্তুভ এর ছবি

আমি জলদস্যু নইগো ভাই, জলভদ্র... খাইছে

দ্রোহী এর ছবি

সচলায়তনের একেকজন লেখকের লেখা, আঁকা, তোলা ছবি ইত্যাদি দেখলে নিজেকে বড় ব্যর্থ মনে হয়। মন খারাপ

হাঁটুকে আরো একবার জন্মদিনের শুভেচ্ছা।

কৌস্তুভ এর ছবি

আমারো! মন খারাপ

মহাস্থবির জাতক এর ছবি

মেঘ বড্ড বেশি হয়ে গেলো। এতো আঁধারে মন বসে না সখা। আর মেয়েটার ছবি কিছুই বুজলুম্না। এর্লিগা কইষ্যা মাইনাস।

হিমুর জন্যে প্রথম শীৎকার...থুক্কু...চিৎকার দিবসের শুভেচ্ছা।

_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

কৌস্তুভ এর ছবি

শয়তানী হাসি

সুরঞ্জনা এর ছবি

ঊষাকালে
উপকূলে
একা এক
বালিকা

আমি চিরকালই তালের নাম ভুল করি, এই লাইনটার ছন্দ থেকে যে তালটার কথা মনে পড়লো সেটার নাম আর তালের বোল, মনে আসি আসি করেও আসছে না। শিরোনাম পছন্দ হয়েছে বলাই বাহুল্য।

ছবি দারণ হয়েছে। বিশেষ করে জলস্তম্ভের ছবিটা খুবই মনে ধরেছে।

আপনি এত কিছু করেন কখন সেটা এক রহস্য চিন্তিত

হিমু ভাইকে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা হাসি

............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্‌ চিনে।

কৌস্তুভ এর ছবি

দুই-চারের স্বরবর্ণের ছন্দ আর একটু শব্দমিল, এর চেয়ে বেশি কিছু ভাবি নাই... তবে তালের কথা মনে পড়লে জানিয়ে যাবেন কিন্তু।

এত্ত প্রশংসার জন্য এত্ত এত্ত আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- দিলাম হাসি

মহাস্থবির জাতক এর ছবি

পু: বালিকার প্রথম ছবিটা দেখে রোজারমজানের দিনে কেমন লাগসে কমু না।

জয় বাবা বিশ্বনাথ!

_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

কৌস্তুভ এর ছবি

চাইপ্যা যান খাইছে

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

লগিন করে কেবল প্রথম ছবিটা দেখেই দৌড়ে ভিতরে এলাম।

কেবল আকাশের মেঘ/সূর্য, দিগন্তবিস্তৃত জলের ছবি দেখে বহুদিন পর আবার এরকম মুগ্ধ হলাম। দারুণ। হাসি

কৌস্তুভ এর ছবি

আহা মধু মধু... ধন্যবাদ সুহান দেঁতো হাসি

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

বাহ! হিমুভাইকে ... না থাক, বললাম না!
আর কৌস্তুভ, আপনাকে মাইর ছাড়া কিছু দেওয়া আমার স্বভাব না! দেঁতো হাসি

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

কৌস্তুভ এর ছবি

ওঁয়া ওঁয়া

অপছন্দনীয় এর ছবি

কৌস্তুভকে কেউ সিরিয়াসলি মাইর দেয়ার ঘোষণা দিলেই সে বৈধভাবে আমার কাছে এক ঝুড়ি চকলেট আর একটা চায়ের দাওয়াত পায়।

আর যদি ঘোষণাটা কাজে পরিণত করে তাহলে ঐ দুইটার সাথে পুরোদস্তুর একটা ডিনারও প্রাপ্য...

দেঁতো হাসি

কৌস্তুভ এর ছবি

তিথীডোর এর ছবি

অসারের তজর্ন -গজর্ন সার আর পছন্দনীয়দার ঘোষণাই সার! চোখ টিপি
এক টুকরো তক্কেটও তো আজ অবধি চউখে দেখলাম না... ইয়ে, মানে...

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অপছন্দনীয় এর ছবি

দেশে থাকলে ডাকযোগে পেয়ে যেতে খুকি... এখন কি আর করা, কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতেই হবে... দেঁতো হাসি বাংলাদেশ যদি আমাকে ইমিগ্রেশন কাউন্টার থেকেই তাড়িয়ে না দেয় তাহলে কোন একদিন দেশে ফিরে সব বকেয়া চক্কেট দিয়ে দেবো হাসি

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

খুব সুন্দর প্রত্যূষের হিরণ্ময় ছবিগুলো!!! চলুক

এতক্ষণে দেখি, দূর জীমূতবৃন্দের ফাঁক দিয়ে সূর্যদেবের স্বর্ণাভ রথচক্রখানি প্রতিভাত হতে শুরু হয়েছে। চারিদিকে যেন তরল সোনার পাত্রে ডোবানো তুলিখানি নিয়ে বুলিয়ে দিয়েছে কেউ। অতলান্তিকের উপরেও যেন সেই পাত্র উপচে পড়েছে একছড়া, সেই গলন্ত সোনা ঢেউয়ের সাথে সাথে নেচে বেড়াচ্ছে তট থেকে বহুদূর অবধি।

অসাধারণ!!!!

জলদস্যুকে জন্মদিনর শুভেচ্ছা..................
অটঃ জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর একটা ইমো থাকোনের দরকার আছিলো।


_____________________
Give Her Freedom!

কৌস্তুভ এর ছবি

ভাই, তুলিদির মত ভাষা তো আমার আসে না, কখনও কাব্যময় ঈষৎ যদিবা হয়ে যায়, তার পরেই 'ঘ্যাঁচাঘ্যাঁচ' জাতীয় শব্দ দিয়ে পুষিয়ে দিই দেঁতো হাসি

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

পূর্ণ কাব্যময় কিন্তু হয়েছে, কৌস্তুভদা। বেশি প্রশংসা করলে মানুষ আবার ভুল বুঝে, তবু সত্য কথা হল এই স্তবক আমার এত ভালো লেগেছে যে যতবার পড়ছি ততবার মুগ্ধ হচ্ছি!!! হাসি


_____________________
Give Her Freedom!

pathok(sam) এর ছবি

কেমন যেন বাংলাদেশের মতনই মনে হল প্রথম ছবিগুলো হাসি খুব ভাল লাগল --- হিমু ভাইকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা!!!

কৌস্তুভ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

guest_writer এর ছবি

অসাধারন সব ছবি তুলেছেন। সাথে ধারাবর্ণনাও । ছবিগুলো নিজের একার করে না রেখে শেয়ার করার মানসিকতাও অতি উত্তম। জলস্থম্ভের কথা শুনেছি বটে কিন্তু আগে কখনও দেখা হয় নাই। আপনার কল্যানে ছবিতে হলেও অন্তত দেখলাম। ধন্যবাদ দিয়ে খাটো করবনা। সুযোগ হলে এরকম ছবি ও সাথে বর্ণনা আরও চাই।
মন্তব্য : প্রৌঢ়ভাবনা

কৌস্তুভ এর ছবি

আমি কিন্তু আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দিলাম দেঁতো হাসি

মৌনকুহর এর ছবি

দারুণ! হাততালি

অনেক অনেক শুভ কামনা হিমু ভাইয়ের জন্য।

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

কৌস্তুভ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

ধৈবত(অতিথি) এর ছবি

ধুর, বালিকার পার্টটাতো তেমন জমলো না, একটু কামড়াকামড়ি না হলে কি আর জমে চোখ টিপি

ছবিগুলো দারুণ। বিশেষ করে জলস্তম্ভের ছবিটা।

হিমু ভাইয়ের জন্মদিন আজ! বাঃ উনি তো দেখি আমার একদিনের বড় (শুধু দিনের দিক দিয়ে খাইছে )। আর হ্যা, কন্যা রাশির জাতকরাই তো কন্যাদের যত্ন করে কামড়াবে, তাইনা।

কৌস্তুভ এর ছবি

হো হো হো

চইল্যা আসেন, মায়ামিতে কামড়াবার অনেকেরে পাইবেন... আরও লোকে যা যা পেয়ে থাকে তা প্রকাশ্যে কওন যায় না... চোখ টিপি

মিলু এর ছবি

ছবিগুলান দেইখা টাল হইয়া গেলাম! চলুক চলুক চলুক

একইসাথে হিমুদাকে পয়দা দিবস মোবারক!

কৌস্তুভ এর ছবি

আয়হায়, জলদি সিধা হইয়া যান খাইছে

নিটোল(অতিথি) এর ছবি

হিমু ভাই কই???

উনার জন্মদিনের শুভেচ্ছা।

আর ছবিগুলো দারূণ!

কৌস্তুভ এর ছবি

তাই তো ভাবি!

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

যদি সূর্য আর মেঘের ছবিই তুলবেন তাইলে অতো কষ্ট কইরা ঐখানে যাওনের দরকার ছিলো কী?

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

কৌস্তুভ এর ছবি

আপনাগো কক্সবাজারে তো ঢুকতে দিলেন না, কী করুম? মায়ামিই সম্বল...

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

জন্মদিনের শুভকামনা জানবেন হিমু।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

নৈষাদ এর ছবি

চমৎকার সব ছবি। পড়তে পড়তে একটা ক্লাইমেক্স আশা করেছিলাম দেঁতো হাসি

হিমুর জন্য রইল জন্মদিনের শুভেচ্ছা। আলোকময় হোক তার জীবন।

কৌস্তুভ এর ছবি

ক্লাইম্যাক্স? আমার জীবনে এরকম সাক্ষাতে ক্লাইম্যাক্স আসবে, ভাবলেন ক্যাম্নে! খাইছে

ফাহিম হাসান এর ছবি

জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর স্টাইল্টা ভাল লেগেছে।

শুরুর ১,৪ এবং শেষের দিক থেকে ২ নাম্বার ছবি - অসাধারণ। খুব ভাল লাগল ছবি তোলার প্রতি আগ্রহ দেখে। তবে টিল্টেড ছবিটা সোজা হলে বেশি ভাল হত (ব্যক্তিগত মত)। আর বর্ণনাতে টান টান উত্তেজনা। নৈষাদ ভাইয়ের মত আমিও ক্লাই্মেক্স আশা করেছিলাম। সুন্দর সাজিয়েছেন।

শেষে হিমু ভাইকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।

কৌস্তুভ এর ছবি

বিশদ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ফাহিমফটুরে হাসি

এর মধ্যে আমার বেশি প্রিয় কয়েকটা ছবি দেখলাম সচলের জন্য ৫০০ পিক্সেলে ছোট করার পর সেই সৌন্দর্য্যটা কমে গেছে... বড় করে দেখলে বেশি ভাল লাগছে মন খারাপ স্টীল-গ্রে ব্যাকগ্রাউন্ডে সীগালের জলে ঝাঁপ দেওয়ার ছবিটা যেমন বড় করে দেখলে দারুণ লাগছে।

আমার টিল্টেড ছবির ডায়নামিক্স ভাল লাগে, এটা শিকাগোর ছবিতেও লক্ষ্য করেছিলেন। আরেকটা ব্যাপার হল পাতি ইকনমিক্স - টিল্ট করলে একোণ-ওকোণ বেশি অঞ্চল ফ্রেমে আনা যায়, দামী ওয়াইড লেন্স না থাকলে...

নির্জন ফারজানা এর ছবি

...ছবিগুলো খুব সুন্দর।আর বর্ণনাটাও খুব ভালো লেগেছে... হাসি

কৌস্তুভ এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি

সুমন তুরহান এর ছবি

দেরিতে পড়লাম। ছবিগুলো দুর্দান্ত; আর শিরোনাম এবং লেখা দু'টোই কবিতাময়। উত্তম জাঝা!

ভোরের রঙের খেলার আসলেই কোনো গদ্যভাষা নেই।

-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী

কৌস্তুভ এর ছবি

লইজ্জা লাগে

তিথীডোর এর ছবি

হাঁটুপানির জলদস্যুকে জন্মদিন শুভেচ্ছা! হাততালি

পয়লা ছবিটা অদ্ভুত সুন্দর!! চলুক চলুক
বাকিগুলোও বেশ। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

কৌস্তুভ এর ছবি

বটে? আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

প্রথম ছবিটি চমৎকার।

কৌস্তুভ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

বোকা মেঘ এর ছবি

...খুবই সুন্দর লাগলো হাসি
জানতে ইচ্ছে করছিল, ঊষাকালে কতক্ষণ সময়ের মাঝে সবকটা তোলা হয়েছে ?
আপনিতো ভাই মহা ভাগ্যবান... জলস্তম্ভের ছবি পেয়েছেন !!!

হিমুর জন্য জন্মদিনের শুভেচ্ছা !

কৌস্তুভ এর ছবি

ধন্যবাদ। মায়ামির সময় সকাল সাড়ে পাঁচটা থেকে সোয়া ছটার মধ্যে ছবিগুলো তোলা। হাসি

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

এইটা মায়ামি সৈকত? তুমি বালিকার ফোন নম্বর টুকে নেয়া বাদ্দিয়ে সূর্যদয়ের ছবি তুলতে বেশি আগ্রহী ছিলে বলছো? চিন্তিত
শেষের ছবিটা দারুণ। এক কালে আমাদের শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া পদ্মা নদীতেও 'হাতিশুঁড়' হতো... সে সব দিন আর নাই...

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

অপছন্দনীয় এর ছবি

অবিশ্বাস্য তাই না? আমারও তাই ধারণা...

কৌস্তুভ এর ছবি

বলছিইতো!

পদ্মায় হাতিশুঁড়ের গল্প আম্মো শুনেছি... এখন হয় না কেন?

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

ফারাক্কা বাঁধ বলে একটা বাঁধ আছে, মূলত সেটার কারণে। নদীতে 'হাতিশুঁড়' হতে হলে প্রথম শর্ত হলো নদীতে পানি থাকতে হবে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

 তাপস শর্মা  এর ছবি

পোস্টটা অসাধারণ ভাবে সাধারণ । স্যালুট কৌস্তুভ ভাই
গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু

আপনার সাথে কথা বলার খুব ইচ্ছে জাগল মনে । মেইল চালাচালি হতে পারে কি ? জদি হয় তাহলে ১টা আড্রেস দেবেন ।

কৌস্তুভ এর ছবি

আরে আরে, এত আপ্লুত হয়ে যাবেন না তাপস ভাই, রয়েসয়ে। দেঁতো হাসি আপনার ভালো লাগলেই আমি খুশি। ইমেল করুন নির্দ্বিধায়।

 তাপস শর্মা  এর ছবি

হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা । কৌস্তুভ ভাই আমার সব কিছুই এক্সট্রিম । ভালোবাসা অর ঘৃনা কিংবা পছন্দ অর অপছন্দ সর্বত্রই এক্সট্রিম । ইমেলামু শিগগির ।

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।