সুরলোকের পথে সুর-সম্রাট

অনিকেত এর ছবি
লিখেছেন অনিকেত (তারিখ: সোম, ১০/১০/২০১১ - ২:৪২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এই লোকটার সাথে আমার পরিচয় হয়েছিল আশির দশকের শেষের দিকে।

সেই দশকটা ছিল আমার কৈশোরের দশক।
তখন গজল নামের একটা নতুন ধরনের গান বাজারে এসেছে। গানের মাঝে বিস্তর লোকজনের চেঁচামেচি শোনা যায়। একেকটা লাইন গাওয়া হয়---তারপরে দেখা যায় বিষম শোরগোল শুরু হয়। 'ওয়াহ ওয়াহ, ক্যাবাৎ ক্যাবাৎ' জাতীয় হুঙ্কার ভেসে আসে। রাস্তাঘাটে বেরুতে ভয় লাগে রীতিমত! শোনা গেল এই নতুন স্টাইলের গানের নাম হচ্ছে গজল। গানের ভাষা-হিন্দী,উর্দু। আমার তখন আবার খুব তবলা শেখার ঝোঁক চেপেছে। সব সময়েই কিছু-না-কিছু 'বাজানো'র চেষ্টা করছি---চেয়ার,টিউশনিতে ব্যাচে অঙ্ক পড়তে গিয়ে স্যারের টেবিল,খাট,পালঙ্ক, বন্ধুর মাথা, ছাতা--যেকোন কিছু, যা হাতের চাটিতে আওয়াজ করত---সবকিছুই আমার জন্যে ছিল 'তবলা'!
গজল আমাকে আকৃষ্ট করল ঐ তবলার কারণেই। তখন রাস্তায় বেরুলেই যেসব গজল কানে আছড়ে এসে পড়ত--প্রায় অধিকাংশই ছিল 'লাইভ' পার্ফর্মেন্সের রেকর্ডিং। সেইসব গানে তবলচিরা দুহাতে ফুলঝুরি ফোটাতেন। আমি অবাক হয়ে শুনতাম।

বাবার ছিল বদলির চাকরি। কিছুদিনের মাঝে রাজশাহীতে বদলী হয়ে আসা হল। বাবা ছিলেন শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান। বিশাল একটা বাসায় আমরা মাত্র গুটিকয় প্রাণী রইতাম। বিকেলে গাড়ি করে পদ্মার পারে বেড়াতে যেতাম। সে বড় সুখের সময়। আমাদের গাড়ির ড্রাইভার খুব মজার মানুষ। ভদ্রলোকের বয়েসের কোন গাছ-পাথর নেই। নাম হামিদ---কিন্তু সারা শহর কোন এক বিচিত্র কারণে তাকে 'নানা' বলে ডাকে। শুনেছি তার ছেলেও মাঝে মাঝে ভুল করে 'হামিদ নানা' ডেকে ফেলত। তো সেই 'নানা' হামিদ ভাই খুব দ্রুত আমার বন্ধু গোত্রীয় হয়ে গেলেন। বাবা-মা পদ্মার পারে রোজ বিকেলে হাঁটতেন আর আমি হামিদ নানা-র সাথে আড্ডা দিতাম। হামিদ ভাই ( একমাত্র আমার কাছে উনি ছিলেন হামিদ ভাই) আমার গজল শোনার আগ্রহ দেখে আমাকে একটু একটু করে নানান জিনিস শেখাতে লাগলেন। আমি আজো জানিনা উনি কী করে গজলের এতকিছু জেনেছিলেন---তাঁকে কখনো গাইতে শুনিনি কিছু। তবে গানের খুব বড় সমঝদার ছিলেন সেইটা বোঝা যেত। উনিই প্রথম আমাকে বোঝালেন গজলের বিশেষত্বটা কী। মাত্র দুইটি লাইনে কি করে এত অসাধারণ ভাব তুলে আনা যায়---সে প্রায় অবিশ্বাস্য ব্যাপার! উনি আমাকে শেখালেন গজলের কিছু স্পেশাল টার্মঃ 'তখল্লুস' মানে গজল লেখকের ছদ্মনাম, 'মাকতা' মানে হল গজলের শেষ দুই পংক্তি এমনি আরো সবকিছু। আমি হিন্দি-উর্দু কিছুই বুঝি না তখন। হিন্দি-উর্দু শুনলেই শেয়ালের কথা মনে পড়ে যায়--(ক্যা হুয়া, হুক্কা হুয়া)। হামিদ ভাই একটু একটু করে আমাকে গজলের মানে বলে দিতে লাগলেন। এতদিন যে গজলের মূল আকর্ষনটা ছিল তবলার মারপ্যাঁচ---হঠাৎ করে সেই গজলের একটা ভিন্ন আবেদন ধরা দিল আমার কাছে। আমি আবার তখন দাঁত-মুখ চেপে অনুপ জলোটার গান শুনি। বাকী কাউকেই তেমন পদের বলে ধরিনা। মাঝে মধ্যে গুলাম আলীর গান শুনে দীর্ঘশ্বাস গোপন করি। এই লোক দেখি অনুপের চেয়েও ভাল গায়!! কিন্তু নিজে সেধে সেকথা কী করে আর স্বীকার করি?!! এর মাঝে হামিদ ভাই একদিন গাড়িতে ছাড়লেন নতুন এক গজল। আমারে বললেন, ভাইয়া এঁর গানটা শুনে দেখেন। অনুপ জলোটার মত ভাল না (হামিদ ভাই জানতেন যে আমি প্রায় মৌলবাদীদের মত করে অনুপ ভক্ত)--তবে অত খারাপও না। গান শুনে আমি চমকে উঠলাম। কর্কশ গলায় বললাম---হামিদ ভাই, এর গান যেন আর কখনো বাজতে না শুনি! হামিদ ভাই থতমত খেয়ে গান বন্ধ করে দিলেন।

হামিদ ভাইকে সেদিন আমার যা বলা হয়নি---কেবল সেদিন কেন, কখনোই যেটা বলা হয়নি সেটা হল---ঐ নতুন লোকের গানটা সরাসরি আমার মর্মমূলে আঘাত হেনেছিল। আমি এমন করে চমকে যাইনি অনেক দিন! এই লোকটার গান শুনেই আমি বুঝতে পেরেছিলাম---আমি যদি এর গান আর দুয়েকবার শুনি----অনুপের ভক্ত আমার আর থাকা হবে না।

এই লোকটা হলেন জগজিৎ সিং।

আমার মনে আছে---আমি আমার বালখিল্যতাকে একদিন পরাস্ত করে জগজিতের একটা ক্যাসেট কিনে এনেছিলাম। আমার মনে হয়েছিল এমন কন্ঠস্বর ঈশ্বর কোন মানুষকে দিতে পারেন না। লোকটার গলায় যেন সাক্ষাত বেদনার অধিষ্ঠান! সারা পৃথিবীর সকল বুক-ভাঙ্গা লোকের মনের কথা এই লোকটা সুর করে গাইছে। আমি স্তম্ভিত হয়েছিলাম।

জগজিতের সাথে সেই প্রথম পরিচয়ের পর প্রায় পনের বছর কেটে গেছে।
বিগত পনের বছর ধরে এই লোকটা একা হাতে আমার সকল দুঃখ শাসন করেছেন। লোকটার গলায় দুঃখের রং-টা যত ভাল করে ফোটে---অন্য কিছুর রঙ ততটা প্রাণ পায় না। আমি আমার সকল দুঃখের দিনে এই লোকটার কাছে মাথা নত করে দাঁড়িয়েছি। জগজিৎ আমাকে কখনো ফিরিয়ে দেননি।

আশির দশকে গজলের যে বিপুল জনপ্রিয়তার ঢল নেমেছিল---সেটার পুরোধা ব্যক্তি ছিলেন এই জগজিৎ সিং। জগজিৎ যখন গজল গাওয়া শুরু করেন---১৯৬৫ দিকে, তখন গজল সাম্রাজ্যটা দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন পাকিস্তানী গজল গায়কেরা। জগজিৎ প্রথমে শুরু করলেন ভিন্ন আঙ্গিকে গজল পরিবেশন। গজল তখনো ঠুমরীর দুর-সম্পর্কের খালাতো ভাই হয়ে মন খারাপ করে ঘুরে বেড়াচ্ছে। জগজিৎ প্রথম তাকে এনে ঘরে এনে নতুন পোষাক পরালেন। মার্গীয় সঙ্গীতে পারদর্শী হয়েও দূরদর্শী জগজিৎ বুঝতে পেরেছিলেন গজলকে জনপ্রিয় করতে হলে এর খোল-নলচে পালটে দিতে হবে। জগজিত যেটা করলেন সেটা হল খুব সোজা---সহজ সুরের উপর সহজ কথার গজল বাঁধলেন। খটোমটো উর্দুর লেবাস ছেড়ে সহজতর হিন্দি ভাষায় গজল পরিবেশনা মূহূর্তের মাঝে তাকে একটা বৃহত্তর অডিয়েন্স এনে দিল। আর সবকিছুর উপরে ছিল ঈশ্বর-দত্ত কন্ঠ। এরই মাঝে জগজিতের সাথে পরিচয় হয় বাঙালী গজল গায়িকা চিত্রার। চিত্রা তখন কেবলই একটা ব্যর্থ দাম্পত্য সম্পর্ক থেকে
সামলে উঠছিলেন। প্রথম প্রথম জগজিতের গায়কি খুব একটা তাকে টানেনি। জগজিত তখন অবশ্য নিজেও নিজেকে খুঁজে ফিরছিলেন। সৌভাগ্যবান বলতে হবে তাঁকে---কিছুদিনের মাঝেই তিনি একই সাথে খুঁজে পেলেন তাঁর আরাধ্য স্টাইল আর সেই সাথে এক স্বর্ণকন্ঠী সহ-গায়িকা পরবর্ত্তীতে সহ-ধর্মিনী। বাঙালী চিত্রা আর পাঞ্জাবী জগজিতের এই সুরেলা মেলবন্ধন জন্ম দিতে লাগল একের পর এক হিট এলবামের। গজল যা হয়েছিল কেবল মাত্র কিছু মুস্টিমেয় লোকের উপভোগ্য--জগজিত তাকে মুক্তি দিলেন জনতার প্রাঙ্গনে। সকল স্তরের মানুষ শুনতে পেল এক নতুন গায়কি--এক নতুন প্রানোচ্ছ্বাস জয় করে নিল সকল শ্রোতার মন।

জগজিত এর মাঝে কিছু চলচিত্রেও কন্ঠ দান করেছেন। সাফল্যের দেবী এখানেও তাকে বিমুখ করেন নি। 'সাথ সাথ','আর্থ' ছবিতে গাওয়া জগজিত-চিত্রার গান প্রচলিত কথা-সুরের সিনেমার গানের ফর্ম ভেঙ্গে দেয়। মানুষ অবাক হয়ে শুনতে পায় একজন মন্দ্রিত কন্ঠের পুরুষ গাইছেন বড় সহজিয়া মর্মস্পর্শী লিরিকের গানঃ
'তুম ইতনা যো মুস্করা রাহে হো
ক্যায়া গম হ্যায় জিসকো ছুপা রাহে হো'

'তুমি যে আজ বড় হেসে চলেছ
কী দুঃখ লুকাতে এই হাসির বাহানা ধরেছ?'

জাভেদ আখতারের কথায় কুলদীপ সিং এর সুরে জগজিত প্রথম বারের মত আপামর জন সাধারণের মর্মমূলে আঘাত হানলেন। ১৯৭৫ সালে জগজিত এইচ এম ভি'র কাছ থেকে গ্রীন সিগন্যাল পেলেন---প্রথমবারের মত বের হল জগজিত-চিত্রার লং প্লে বা দীর্ঘ শ্রুতির রেকর্ড--The unforgettables! এরপরে জগজিতকে আর পেছনে ফিরে দেখতে হয়নি। ১৯৯০ তে জগজিত চিত্রা রিলিজ করেন সর্বভারতের সর্বপ্রথম মাল্টি-ট্র্যাক রেকর্ডিং এ করা এলবাম---Beyond Times!

এখানে উল্লেখ্য যে জগজিতের অনেক এলবামের শিরোনাম ইংরেজিতে যা শুরুতে অনেকেরই ভ্রু-কুঞ্চনের কারণ হয়েছিল। শুধু কি তাই? জগজিত-চিত্রার প্রতিটি এলবামের প্রচ্ছদচিত্র হত দুর্দান্ত যা তৎকালীন সকল এলবামের প্রচছদকেই লজ্জায় ফেলে দিত। কেবল প্রচ্ছদপটেই পরিবর্তনের ছোঁয়াচ থেমে ছিল না----যন্ত্রানুষঙ্গ আয়োজন, বাদনরীতি সকল কিছুতেই থাকত মননশীলতার মেধার বিচ্ছুরণ। প্রথাগত গজলের যন্ত্রানুষঙ্গ হিসেবে যারা পরিচিত ছিল---সেই বেহালা,সারেঙ্গী,এস্রাজ,তবলার সাথে হাত ধরাধরি করে চলতো সিন্থেসাইজার,স্যাক্সোফোন। সব মিলিয়ে জগজিত সবাইকে একটা নতুন চেহারার গজলের সাথে পরিচিত করাচ্ছিলেন। বিংশ শতকের গজল!

জগজিতের জীবন কেবল সফলতার কাহিনী নয়। বেদনার অধিষ্ঠান তার কন্ঠে কেবল নয়---তার হৃদয়েও বয়েছে দুঃখের চোরানদী। জগজিত-চিত্রার একমাত্র সন্তান বিবেক সিং এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় ১৯৯০ সালে। দুঃখ এসে স্তব্ধ করে দিয়ে যায় চিত্রাকে। সঙ্গীত জগত থেকে স্বেচ্ছা নির্বাসনে যান চিত্রা। সুরের হাত ধরে যিনি জগৎ কে জয় করেছেন---সেই জগজিত দুঃখের মোকাবেলা করতে গানকে আরো আপন করে নেন। সঙ্গীত হয়ে দাঁড়ায় তাঁর উত্তরণ, তাঁর নির্বাণ।

আমার খুব ইচ্ছে ছিল একবার সামনা সামনি বসে তাঁর গান শুনব। কোন একটা সুযোগে তাঁকে জানাব---এক অভাজনের জীবনের কত গভীরে তিনি স্পর্শ করে গেছেন। বারংবার দুঃখের ঝড়ে পথ হারিয়ে ফেলা এই আমাকে তিনি কতবার হাত ধরে ঘরে এনে দিয়ে গেছেন।

আজ একটু আগে জানতে পারলাম----আমি সেই সুযোগটা চিরতরে হারিয়েছি।

মর্ত্যলোকে সঙ্গীতসন্ধ্যার সমাপনী টেনে জগজিৎ রওনা দিয়েছেন সুরলোকের পথে।
আমার এইখানে এখন গভীর রাত। এমন অনেক রাতেই আমার সাথে পাল্লা দিয়ে জেগেছিলেন জগজিত। আমার জীবনের যেকোন দুখের দিনে আমি যার কাছে হাত পাততাম সহায়, শক্তি আর সান্ত্বনার জন্যে---সেই লোকটা এই অসাধারণ চন্দ্রালোকিত পাহাড়ের বুকে আমাকে একা ফেলে চলে গেলেন।

মির্জা গালিবের লেখা একটি বিখ্যাত গজল---যাতে জগজিৎ প্রাণ ফুঁকে দিয়েছিলেন---সেইটা আপনাদের জন্যে রেখে গেলাম। এই গজলটাতে মির্জা গালিব বলেছিলেনঃ
'গম-এ-হসতি কা আসাদ কিসসে হো জুর্জ-মার্গ- ইলাজ
শাম্মা হর রঙ মে জ্বলতি হ্যায় সুবহ হোনে তক'

'মৃত্যু ছাড়া এই জীবন যন্ত্রণার কি আর কোনো দাওয়াই আছে হে আসাদ?
প্রদীপকে তো জ্বলতেই হয় সকল আভায়---সকাল না হওয়া পর্যন্ত!'

ভাল থাকুন জগজিৎ--শিগগীরই দেখা হচ্ছে!


মন্তব্য

রিশাদ_ময়ূখ এর ছবি

যেখানেই থাকুন ভালো থাকুন

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

শ্রদ্ধা

লেখাটা ছুঁয়ে গেল গুরু গুরু

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ অনার্য

অতিথি লেখকঃ অতীত এর ছবি

শ্রদ্ধা

অতীত

সুপ্রিয় দেব শান্ত এর ছবি

শ্রদ্ধা এই শিল্পীর প্রতি।

অঅসাধারন এর ছবি

জগজিৎ সিং, প্রথম তার গান শুনি ১৯৯৩ সালে, মনে হয়েছিল, একী শুনলাম? এতো গান নয়, যেন কল্পনার সব রঙ ঝলমল করে উঠছে আমার চারিদিকে আর আমি মুগ্ধ বিস্ময়ে দেখছি। এরকম গানও কি সৃষ্টি হতে পারে?

পরের কয়েক বছর কেটে গেল আবিষ্কারের আনন্দে। কত সুন্দর সুন্দর গান গেয়ে ফেলেছেন এই অসামান্য গায়ক ইতিমধ্যেই, বিস্ময় যেন আর কাটতেই চায় না। নতুন ভালো গান আর হচ্ছে না, এই কথাকে ভুল প্রমান করতেই একের পর এক কালজয়ী গান বের হতে থাকলো তার কন্ঠ দিয়ে। একে একে শুনলাম তুম ইতনা যো মুসকুরা রাহে হো, গাম কা খাজানা তেরা ভি হ্যায়, মেরে য্যায়সে বান যাওগে, কাভি ইউ ভি তো হো, আখো মে জাল রাহা হ্যায় কিউ, কাভি খামোশ ব্যয়ঠো গে, কাহি কাহি সে হার চেহরা, দার্দ কে ফুল ভি......অফুরন্ত। বাংলা গানের একটা অ্যালবাম বের করেছিলেন, একটু জড়ানো উচ্চারন কিন্তু কণ্ঠ আর সুরের মাধুর্য সে ক্ষতিটা পুষিয়ে দিয়েছিলো ভালভাবেই।

সব মানুষ কেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে একদিন তারপরও কিছু কিছু মৃত্যু বেশি কষ্ট নিয়ে আসে। জগজিৎ সিংয়ের প্রয়াণে প্রিয়জন হারানোর মতই কষ্ট পেলাম।

তাঁর আত্মা শান্তিতে থাকুক।

অনিকেত এর ছবি

তাঁর আত্মা শান্তিতে থাকুক

তানিম এহসান এর ছবি

হিন্দি বুঝতামনা, বোঝার চেষ্টাও ছিলোনা। এমনি একদিন একটা গান বেহুঁশ করে দিলো আমাকে, অর্থ বুঝিনা কিন্তুআমি মাতালের মত শুনে যাই। অর্থজানতে ইচ্ছে করেনা যদি অর্থপছন্দ না হয়। অর্থ জানলাম অনেক পরে অথচ ততদিনে অদ্ভুত একটা আমি জগজিতে আচ্ছন্ন, অর্থ বুঝিনা কিন্তু ভাব বুঝি। আজকে বলতে লজ্জা নেই, অর্থ না বুঝেই অনেক গজল কিংবা হিন্দি গান আমার অবশ পছন্দের তালিকায় ঢুকে গেছে বহুবার।

’গামকা খাজানা’ - আজো তার বুকে বেজে আছে সেই দুঃখের প্রতিলিপি - নজরানা! শিল্পীর মৃত্যু নেই!

অনিকেত এর ছবি

শিল্পীর মৃত্যু নেই!

আসলেই তাই---

চরম উদাস এর ছবি

শ্রদ্ধা

সাত্যকি. এর ছবি

প্রথম গান শুনেছিলাম তার, "বুঝিনিতো আমি, পৃথিবীতে ভালোবাসা সবচেয়ে দামি"।
অদ্ভূত।
ঘোরলাগা একটা দুনিয়ায় উনি আমাকে ডুবিয়ে রেখেছিলেন পরের কয়েকটা দিন।
ভালোবাসা বোঝার বয়সে পা না রেখেও ঐ বয়সে ওই গান শুনে অনুভব করেছিলাম ব্যর্থ প্রেমিকের ভীষণ কষ্ট।

উচ্ছলা এর ছবি

এই লোকটার জন্য আমার কৃতজ্ঞতা-ভালোবাসা-ভক্তি-শ্রদ্ধা অসীম। কী অপরিসীম ক্ষতি হয়ে গেল তিনি চলে যাওয়ায়।

অসাধারন সুন্দর এই পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

অনিকেত এর ছবি

কী অপরিসীম ক্ষতি হয়ে গেল তিনি চলে যাওয়ায়।

কিছু কিছু ক্ষতি মেনে নিতে মন চায় না----জগজিৎ চলে যাওয়ার ক্ষতিটা তেমনি একটা।

কল্যাণF এর ছবি

অনিকেত'দা, সুন্দর লিখেছেন। জগজিৎ সিং এর জন্যে শ্রদ্ধা

নীড়পাতায় আপনার একই লেখার দুইটা লিঙ্ক দেখতে পাচ্ছি। সুরলোকের পথে সুর-সম্রাট at http://www.sachalayatan.com/node/41447 এবং সুরলোকের পথে সুর-সম্রাট at http://www.sachalayatan.com/node/41446। মনে হয় ডুপ্লি হয়ে গেছে। দয়া করে একবার চেক করে দেখবেন কি?

কল্যাণF এর ছবি

অনিকেত'দা, নীড়পাতার ডুপ্লি প্রব্লেম ঠিক হয়ে গেছে। তবে শেষে এসে

ভাল থাকুন জগজিৎ--শিগগীর দেখা হচ্ছে

লাইনে কইষ্যা প্রতিবাদ।

অনিকেত এর ছবি

পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ কল্যাণF (F-টা কি আপনার নামের অংশ?)

কল্যাণF এর ছবি

অনুমান সঠিক, নামের শেষাংশের আদ্যাক্ষর।

শুভাকাংখী এর ছবি

কীর্তিমানের মৃত্যু নেই!
শিগগীরই দেখা হচ্ছে (?)
অনিকেত, আপনার লেখায় হৃদয় ও মন উভয়কেই দুলিয়েছে!!
জগজিৎ, আন্তরিক শ্রদ্ধাঞ্জলী গ্রহণ করুন এবং যেখানেই থাকুন!!!

অনিকেত এর ছবি

পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ

পাঠক! এর ছবি

লেখাটা আমি আগে কোথায় যেন পড়েছি! ইয়ে, মানে...

সচল জাহিদ এর ছবি

মনটা খুব খারাপ অনিকেতদা।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

অনিকেত এর ছবি

আমারো বস, আমারো----

তিথীডোর এর ছবি

শিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধা রইল।
উনার গাওয়া এই গানটা পয়লা শুনেছিলাম---
'বেদনা মধুর হয়ে যায়...'

লেখায় চলুক, তবে

শিগগীরই দেখা হচ্ছে

এই লাইনটা ভাল লাগল না অনিদা। মন খারাপ

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

আব্দুর রহমান এর ছবি

আমার এই লাইনটাই সবচাইতে ভালো লেগেছে।

------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল

অনিকেত এর ছবি

পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ তিথী
ভাল থাকিস--অনেক অনেক ভাল

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

কী সুন্দর করে লিখেছেন, অপূর্বমোহিত হলাম। চলুক চলুক

উনার কীর্তি বেঁচে থাকবো চিরকাল.............. শ্রদ্ধা


_____________________
Give Her Freedom!

অনিকেত এর ছবি

পড়ার জন্যে অশেষ ধন্যবাদ প্রিয় কবি!
ভাল থাকো সকল সময়ে---

মিলু এর ছবি

শ্রদ্ধা অনেকদিন পর আবার অনবদ্য অনিকেতদা।

অনিকেত এর ছবি

পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ মিলু
ভাল থাকো ভাই আমার---

বন্দনা কবীর এর ছবি

আপনার লেখা পড়া শুরু করার পর অনুপ জালোটার ভক্ত হিসেবে যে অংশটা লিখেছেন এটা হুবহু আমার জীবনেও ঘটেছে!!
আমার ছোট মামার রেকর্ডের ভান্ডার ভর্তি ছিল গজলের সংগ্রহ। মামার বরাতেই প্রথম গজল (সংগীতের) শোনা। এবং প্রায় সাথে সাথেই তার প্রেমে পড়ে যাওয়া। ইংরেজী হেভি মেটালের শ্রোতা আমি বলতে গেলে রাতারাতি গজল ভক্ত হয়ে পড়ি। আর তা ছিল অনুপ জালোটার গান দিয়েই। মামার সাথে প্রতিযোগিতা করে ক্যাসেট কিনতাম নিত্য নতুন। আর সেই সব গজলের অর্থ বোঝার জন্য কী আপ্রাণ চেষ্টাই না ছিল! আমি আর আমার ছোট ভাই গজল গাইয়ে বলতেই বুঝতাম অনুপ জালোটাকে। আর কাউকেই তার সমকক্ষ বলে মনেই করতাম না।

শাবানা আজমী অভিনিত আর্থ' ছবিটার গান শুনে এতোটাই মুগ্ধ হলাম যে খোঁজ করে ছবিটার গানের ক্যাসেট কিনে নিয়ে আসলাম গীতালি' থেকে। সেই শুরু।
তারপর থেকেই একচেটিয়া জগজীৎ আর জগজীৎ। আর সবাই কোঠায় যে ভেসে গেলেন। এমনকি অনুপ জালোটাও।
যেখানে যেখানে গান শোনা যায়, বাসার রেকর্ড প্লেয়ার, গাড়ি সিডি, মোবাইল, কম্পিউটার... সবখানেই সবচেয়ে বড় অংশ জুড়ে থাকে কেবলই জগজীৎ সিং এর গান।

অনেক বিষয়েই আমি অনেক উন্নাসিক। সরাসরি বলতেও দ্বিধা করিনা, বিদ্বেষি। পাকিস্তান-উর্দূ তার অন্যতম। কেবল মাত্র এই এক্ষানে আমি নির্লজ্জভাবে উদার। আর তা হল। গজল।
জগজীতের গাওয়া, তা যে কোনো ভাষাতেই হোক না কেন আমার তা প্রাণের চেয়েও প্রিয়।

আমার সকল দুক্ষ-শোকে, আনন্দ-আশায় আমি নিরদ্বিধায় জগজীতের কাছে হাত পেতে বসে যাই। বলা বাহুল্য, কখনোই নিরাশ হতে হয় নাই।
'এইটা তো জগজীতে এডিক্ট" এইটাও শুনতে হয়েছে অনেক বার।

উনার অসুস্থ্যতার কথা শোনার পর হতবিহ্ববল হয়ে পড়েছিলাম। তখনই জানতাম তার প্রয়ানের সংবাদ দ্রুতই শুনতে হবে। মনে মনে প্রস্তুতও কি ছিলাম না?! তারপরেও মন মানছেনা যে জগজীৎ আর নেই। সকালে একটা লেখা লিখেওছিলাম। আর তা দেবার দরকার নেই। আপনার অসাধারন লেখাটাই সব বলে দিয়েছ তাঁর সম্পর্কে।

প্রিয় শিল্পি... যেখানেই থাকুন ভাল থাকুন।

অনিকেত এর ছবি

প্রিয় শিল্পী... যেখানেই থাকুন ভাল থাকুন।

একই প্রার্থনা আমারো।
লেখাটা পড়ার জন্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন।
আপনার লেখাটাও দিয়ে দিন--এই অনুরোধটা রাখলাম আপনার কাছে।

সাদাকালো এর ছবি

শ্রদ্ধা
চিঠ্ঠি না কোয়ি সান্দেস্
জানে য়ো কউনসা দেশ যাহা তুম চালে গায়ে।
ইস দিলপে লাগাকে ঠেস্
জানে য়ো কউনসা দেশ যাহা তুম চালে গায়ে।।
(বাংলায় অর্থ দিলাম না,ভুল হয়ে যেতে পারে)

আমিও সেই সুযোগ চিরতরে হারালাম।

অনিকেত এর ছবি

আমিও সেই সুযোগ চিরতরে হারালাম।

আমার খুব ইচ্ছে ছিল সঞ্জীবদা'র সাথে দেখা করব একবার, মুখোমুখি বসে জানাব--কত ভাল লাগে তাঁর গান। একই সাধ নিয়ে বসেছিলাম জগজিতের জন্যেও। জগজিৎ প্রায় প্রতি মাসেই আমেরিকায় আসতেন। সব সময়ে আমার ধারে কাছের শহরে অনুষ্ঠান করে গেছেন। কখনো টাকার অভাবে, কখনো সঙ্গীর অভাবে (বলা ভাল, বাহনের অভাবে) যাওয়া হয়ে ওঠেনি। প্রতিবাদ নিজেকে সান্ত্বনা দিয়েছি---আরে এক সময় টাকা হবে, এক সময় বাহন জুটবে--তখন দেখে নিও----
আমার সব কিছু যোগাড়যন্ত্র হল ঠিকই---কিন্তু তাঁকে আর দেখা হল না।
এইই আমার জীবনের সারাৎসার----!

সাদাকালো এর ছবি

আমাদের জন্যই মনে হয় গেয়েছেন:

গাম কা খাজানা তেরা ভি হে, মেরা ভি হে
ইয়ে নাগমে সাব তেরা ভি হে, মেরা ভি.......

পাঠক এর ছবি

এখনো ছবির মত মনে পড়ছে...মা, বাবা, বোনকে ছেড়ে পাড়ি দিয়েছি সুদূর আমেরিকায়...প্লেনের জানলায় নিশ্ছিদ্র অন্ধকার...কানে মিউজিক প্লেয়ারটায় বাজছে "আঁখো মে জ্বল রহা হ্যায় কিঁউ...বুঝতা নহি ধুঁয়া"...আর আমার চোখ থেকে......
যেখানেই থাকুন ভাল থাকবেন জগজিত...

অনিকেত এর ছবি

মন্তব্যটা ভীষন হৃদয়স্পর্শ করল
ভাল থাকুন জগজিৎ---

মুস্তাফিজ এর ছবি

ছুঁয়ে যাওয়া লেখা

...........................
Every Picture Tells a Story

অনিকেত এর ছবি

পড়ার জন্যে ধন্যবাদ মুস্তাফিজ ভাই--
অনেক অনেক ভাল থাকুন

তাপস শর্মা এর ছবি

ছুঁয়ে গেল হৃদয় তার,

সুরের ঝঙ্কারের জন্য শ্রদ্ধা

অনিকেত এর ছবি

পড়ার জন্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা।
ভাল থাকুন সকল সময়ে--

মণিকা রশিদ এর ছবি

বহুবছর ধরে আচ্ছন্ন আমি জগজীৎ এ। তাঁর সমস্ত এলবাম সংগ্রহ করেছিলাম সেই ছাত্রবয়স থেকেই। সাধারণ সুরে হৃদয়ের গভীরে পৌঁছে যাবার অদ্ভুত জাদু ছিল তাঁর কন্ঠে...শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় বিদায় জানাচ্ছি সুরের জাদুকর আপনাকে! খুব হৃদয় ছোঁয়া লেখা অনিকেতদা!

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

অনিকেত এর ছবি

পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ মণিকা'দি।
লোকটা বড় কাঁদিয়ে দিয়ে গেল---

রু (অতিথি) এর ছবি

খুব প্রিয় একজন শিল্পী। লেখাটা আসলেই মন ছুঁয়ে গেল।

অনিকেত এর ছবি

পড়ার জন্যে ধন্যবাদ রু।
ভাল থাকুন সকল সময়ে---

আশালতা এর ছবি

কাল থেকে অনেকবার লেখাটা পড়েছি কিন্তু কোনবারই মন্তব্য করতে পারছি না, আসছে না কিছু। যে লোকের গান এতবছর থেকে একনায়ক হয়ে ভালো লাগার জায়গাটা দখল করে আছে, তাঁর চলে যাওয়ায় কী বলতে হয় আমার জানা নেই।

মিতিন যখন খুব ছোট তখন সেরেল্যাক খাবার সময় জগজিতের গান না দিলে থাবা মেরে খাবার বাটি উলটে দিত। দিনরাত মায়ের সাথে গজল শোনার এই হয়েছিল ফল। সেই মানুষটা চলে গেল...

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

অনিকেত এর ছবি

পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ আশালতা'দি।
আজ সারাদিন নানান ভাবে নিজেকে প্রবোধ দেবার চেষ্টা করছি।
কিন্তু পোড়া মনটা মানছে না কিছুতেই।
আই পডে কিছুখন পর পর ভেসে আসছে তাঁর কন্ঠস্বর, আর না জানি কোথা থেকে জল আসছে চোখে---
মনটা খুব খারাপ--খুব খারাপ--

সৈয়দ আফসার এর ছবি

বিনম্র শ্রদ্ধা

__________♣♣♣_________
না-দেখা দৃশ্যের ভেতর সবই সুন্দর!

পাঠক এর ছবি

এই প্রথম কোনো শিল্পীর মৃত্যু আমাকে কাঁদিয়ে দিয়ে গেল।
তবু স্বান্‍তনা যে শিল্পীর গান বেঁচে থাকবে চিরদিন।

সুমাদ্রী এর ছবি

শ্রদ্ধা
জগজিৎ এর গান ছিল তার গাওয়া একটা গানের মতই,
" বেদনা মধুর হয়ে যায়, তুমি যদি গাও ''
অনেক বেদনার মুহুর্তে জগজিতের গান ছিল প্রিয় বন্ধু।
http://www.youtube.com/watch?v=qnKYZ5GqGsc

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

শ্রদ্ধা

আপনি কি জানতেন অনিকেত ভাই যে জগজিৎ প্রথম জীবনে ভারতের শীর্ষস্থানীয় একজন পেশাদার গিটারবাদক ছিলেন, যেমন ছিলেন ভূপিন্দর সিং?

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

অনিকেত এর ছবি

না তো রাতঃস্মরণীয়'দা! আমি ভুপিন্দরের ব্যাপারটা জানতাম।
একটা নতুন জিনিস জানা হল---ধন্যবাদ!

আসমা খান, অটোয়া। এর ছবি

আপনি চমৎকার লিখেন। খুব ভালো লেগেছে। শিল্পীর জন্য শ্রদ্ধা।

অনিকেত এর ছবি

পড়ার জন্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা।
ভাল থাকুন সকল সময়ে---

শামিম রহমান এর ছবি

অসাধারণ হৃদয় ছোঁয়া লেখা। 'তুম ইতনা যো মুসকুরা রাহেহো', 'আর্থ' সিনেমার গান যার গীতিকার ছিলেন কাইফি আজমি আর সুরারোপ করেছিলেন জাগজিৎ। এটি রিলিজ হয় ১৯৮২ সাল। জাভেদ আখতারের কথায় কুলদিপ সিং এর সুরে যে গানটি ভীষণ জনপ্রিয় হয় সেটি হল 'হোঁটো সে ছুলো তুম, মেরা গীত আমার কারদো।' এটি 'প্রেমগীত' সিনেমার গান যা রিলিজ হয় ১৯৮১ সালে। আপনার দেয়া তথ্যে এটি খুব স্পষ্ট নয়। জাগজিৎ সিং বোম্বে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে জায়গা করার জন্যে ১৯৬৫ সালে বোম্বে আসেন। ১৯৬৭ সালে চিত্রার সাথে তাঁর পরিচয় হয় বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেল গাওয়ার সূত্রে। তাঁরা বিয়ে করেন ১৯৬৯ সালে। জাগজিতের সাথে পরিচয়ের পূর্বে চিত্রা বাঙ্গালি গজল গায়িকা ছিলেন কিনা নিশ্চিত নই। আপনি কি কোন সূত্র দিতে পারবেন?

অনিকেত এর ছবি

শামিম ভাই,
অনেক ধন্যবাদ লেখাটা মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্যে এবং ভুলটা ধরিয়ে দেবার জন্যে। প্রচন্ড আবেগী মুহূর্ত্তে একটানে লেখা---তাই তথ্যগুলো ঠিকঠাক করে দেয়া হয় নি। ক্ষমাপ্রার্থী সে জন্যে।
জগজিত-চিত্রার ব্যাপারে একটা লেখা পড়েছিলাম অনেক আগে আনন্দলোকে। সেখানে লেখা ছিল (যতদূর মনে পড়ে লেখাটা ছিল শচীন ভৌমিকের) চিত্রা বিজ্ঞাপনে গান গাওয়ার পাশাপাশি কিছু প্রাইভেট মেহফিলে গজল গাইতেন। ঐ সময়ে উঠতি গজল গায়িকাদের মধ্যে প্রথম সারিতেই ছিলেন চিত্রা। স্মৃতি থেকে লিখেছি বলে এর চেয়ে ভাল তেমন আর কোন সূত্র দিতে পারছি না।

ভাল থাকুন শামীম ভাই।

শামিম রহমান এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ অনিকেতদা। উইকি আর জাগজিতের কিছু সাক্ষাৎকার ছাড়া নেট থেকে জাগজিৎ এবং চিত্রার গানের সফর সম্পর্কে জানা যায়না প্রায় কিছুই। এইযে উনারা উর্দু গজলকে এলিটদের মেহফিল থেকে মুক্তি দিলেন, কেমন ছিল সেই সংগ্রাম, কেমন ছিল বিরোধীতার মাত্রা? ১৯৬৫ থেকে ১৯৭৬ এর এই সময়টুকুতে কেমন ছিল সংগীতে তাদের যৌথ পদযাত্রা? মাত্র দুটো বাংলা এ্যালবামে কন্ঠ দিয়ে চিত্রা বাংলা গানে যে শিখর স্পর্ষ করলেন, কোন দক্ষতায় জাগজিৎ ভিনভাষি হয়েও এমন দরদিয়া সুরারোপ করলেন? বোম্বে এসেছিলেন প্লেব্যাক করবেন বলে আর সিদ্ধি অর্জন করলেন উর্দু গজলের কম্পোজিশনে, কিভাবে সম্ভব হল এই অর্জন? চিত্রার পুরো জীবনভর এত ট্র্যাজেডি, কিন্তু বিশদ তথ্য মেলেনা প্রায় কোন কিছুরই। উত্তরগুলো খুঁজে চলেছি অনিকেতদা। নেট ছাড়াও আপনি যদি উনাদের ওপর লিখিত কোন বইয়ের সন্ধান পান, জানালে কৃতজ্ঞ থাকবো।

যুমার এর ছবি

শ্রদ্ধা

যুমার এর ছবি

শ্রদ্ধা

স্বাধীন এর ছবি

শ্রদ্ধা

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।