Warning: Creating default object from empty value in theme_img_assist_inline() (line 1488 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/img_assist/img_assist.module).

সচলায়তন মূলত সাহিত্যধর্মী লেখার প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠবে???

পলাশ দত্ত এর ছবি
লিখেছেন পলাশ দত্ত (তারিখ: শুক্র, ৩১/০৭/২০০৯ - ২:২২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এই পোস্টে কেউ আহত হবেন না অনুগ্রহ করে
=======================
সচলায়তন নিয়ে ভাবনাটা বেশ কিছুদিন ধরে মনের মধ্যে ঘুরতেছে : সচলায়তন কি একটা
সাহিত্যধর্মী লেখার প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠতেছে? কিন্তু এইখানে তো
রাজনীতি-সমাজ নিয়েও লেখেন অনেকে। তাহলে এই ভাবনা কেনো?
সাহিত্যধর্মী লেখার আধিক্যের কারণে? সম্ভবত।

এরই মধ্যে গতকাল রাতে (৩০ জুলাই) দেখি পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনা প্রত্যাহার বিষয়ে
একটি প্রয়োজনীয় লেখা লিখেছেন বিপ্লব রহমান। কিন্তু সেটি সচলে নয়।
লিখেছেন অন্য একটি ব্লগে। এটা হতেই পারে। কিন্তু এই লেখাটির ক্ষেত্রে
প্রথম পছন্দ সচলায়তন হলো না কেন? এই নিয়ে সচলায়তনের পাঠক-প্রকাশক-লেখকদের
ভাবা দরকার কি? আমার মনে হয় দরকার।

সচলায়তন মূলত সাহিত্যধর্মী লেখার প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠলে সেটি সচলায়তনের জন্যই
শেষ পর্যন্ত ক্ষতিকর। কারণ সচলায়তনের একটি ব্লগ হওয়ার ইচ্ছা
ছিলো (অন্তত আমি তো তাই বুঝি)।


মন্তব্য

মামুন হক এর ছবি

সাহিত্যধর্মী প্ল্যাট ফর্ম হলেও তো মন্দ হয়না। কমিউনিটি আড্ডা হলেই মুশকিল। দিন শেষে যা হবার তাই হবে, যা হবার না তা কোন দিনই হবেনা।

সবজান্তা এর ছবি

পলাশ দা, অনেক দিন পর আপনার দেখা পেলাম ( ব্লগ এবং বাস্তব দু ক্ষেত্রেই দীর্ঘদিনের দেখা সাক্ষাত নেই)।

আপনার প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে, না। সচলায়তন মূলত সাহিত্যধর্মী লেখার প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠবে না। এ কথা সত্যি যে, স্ট্যাটিস্টকালি দেখলে অন্য যে কোন প্রকারের তুলনায় সাহিত্য তুলনামূলক ভাবে বেশি থাকে। কিন্তু এ কথাও বোধহয় বিবেচনায় রাখা যেতে পারে যে, যে কোন ধরনের বিশ্লেষণাত্মক পোস্টের তুলনায় মৌলিক সাহিত্য চর্চা ( বুঝাতে চেয়েছি গল্প/কবিতা লেখা, কিংবা নিদেন পক্ষে ব্লগর ব্লগর) ক্ষেত্রে সহজ, অন্তত গাদাগুচ্ছের পড়াশোনা করতে হয় না অধিকাংশ ক্ষেত্রেই। আর সত্যিই কি অন্যান্য বিষয় নিয়ে লেখা হয় না ? একটু লক্ষ্য করলেই দেখবেন যে মূলত পাঠকের পোস্ট উদারচরিতমানসে কিন্তু সাহিত্য চর্চার বাইরে অনেক বিষয়ই উঠে এসেছে, এমনকি সমকামিতা নিয়ে বিস্তর বিতর্কও চলছে। খুব নিয়মিতভাবেই দেশের উন্নয়নমূলক বিষয় নিয়ে লিখছেন হিমু ভাই, ইশতিয়াক ভাই সহ অনেকেই।

আরেকটা ভালো উদাহরণ হতে পারে টিপাইমুখ বাঁধ। এই ইস্যুতে সর্বত্র যুদ্ধং দেহী মনোভাব দেখলেও গোছানো এবং বৈজ্ঞানিক লেখা একটিও চোখে পড়েনি আমার অন্যত্র ( থাকতে হয়তো পারে, তবে আমি খুঁজে পাই নি)। সচলায়তনেই কিন্তু সচল জাহিদ অসাধারণ একটি পোস্ট দিয়েছেন। আমার মনে হয় এমন উদাহরণ যদি টানতে থাকি, তবে লম্বা হতেই থাকবে।

আরেকটা খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো, প্ল্যাটফর্মে কী ধরনের লেখা যাবে তা কিন্তু এর লেখকদের উপরই নির্ভর করে। সচলায়তনের সদস্যরা যদি ভিন্ন ঘরানার লেখা বেশি করে লিখেন, তাহলেই এখানে সাহিত্যের "দাপট" (!!) কিছুটা হ্রাস পাবে।

আর সবার শেষে যেটা বলতে পারি, একজন লেখক কোন প্ল্যাটফর্মে লিখবেন, সেটা একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। যদি লেখকের কোন সমস্যা বা আপত্তি, অভিযোগ থেকে থাকে, আশা করি সে ব্যাপারে তিনি সচলায়তন কতৃপক্ষের সাথেই যোগাযোগ করবেন। সচলায়তনের একজন পাঠক হিসেবে আমি শুধু এটুকুই বলতে পারি যে, যে কোন একটা ভালো লেখা সচলেই এলেই আমার সুবিধা হয়, কারণ এতে কোন লেখা মিস করার সম্ভাবনা কমে যায় যেহেতু অন্যত্র নিয়মিয় যাওয়া হয় না।

যাই হোক, আশা করি আপনার আশংকা অমূলক হবে। সচলায়তন সব ধরনের লেখকের চারণভূমি হিসেবেই বেড়ে উঠবে।


অলমিতি বিস্তারেণ

দিগন্ত এর ছবি

সহমত !!!


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

সবজান্তা এর ছবি

আরেকটা খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো
= আরেকটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো

মিস করার সম্ভাবনা কমে যায় যেহেতু অন্যত্র নিয়মিয় যাওয়া হয় না = নিয়মিত*

টাইপোগুলি ঠিক করার আগেই দিগন্তদা মন্তব্য করে ফেলায় আর সম্পাদনা করা গেলো না।


অলমিতি বিস্তারেণ

ঋদ্ধ [অতিথি] এর ছবি

একমত

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

সচলে তো সব ধরণের লেখাই হয়। বিপ্লব ভাই এখানেও তো পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে অনেক লেখা দিয়েছেন, তাতে সচলরা উৎসাহের বাইরে নিরুৎসাহিত করে নি। অন্যব্লগে একই টপিকে ভিন্ন একটা পোস্ট দিলে কি সেই টাইপ পোস্ট সচল নিরুৎসাহিত করে জাতীয় কিছু প্রমাণিত হয়?

এই মুহূর্তে প্রথম পেইজেই রণদার যে লেখাটা আছে, তাতে সো কলড সাহিত্যের চেয়ে সমাজের সমস্যার দিকেই কি বেশি ফোকাস করা হয় নি? এর বাইরে পোস্টারের পোস্ট আছে কয়েকটা, গ্যাস সম্পদ নিয়ে পোস্ট আছে, ক্রিকেট নিয়ে আদমচরিত আছে। এ পোস্টগুলো কি ব্লগীয় চরিত্রের বাইরের কিছু?

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

রণদীপম বসু এর ছবি

প্রথমত সাহিত্যের সংজ্ঞাটা আমি বুঝি না। পলাশ দা যদি সাহিত্য বলতে শুধু কবিতা গল্পকে বুঝিয়ে থাকেন তাহলে সচলের পেট ভর্তি সকল কনটেক্সট এর তুলনায় শতকরা ২০ ভাগের বেশি মনে হয় না। কিন্তু আমাদের জীবন ও জগতে ঘটে যাওয়া তাবৎ কিছুকে যার যার দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে ভাষায় রূপদানকে যদি যৌক্তিকভাবে সাহিত্যের আওতাভুক্ত বিবেচনা করি, তাহলে সচলাতয়ন কেন গোটা ব্লগস্ফিয়ারকেই সাহিত্য বলে আখ্যায়িত করতে হবে। সেক্ষেত্রে শতে শত হয়েই আছে, হতেই থাকবে।

রবীন্দ্রনাথের কথা অনুযায়ী সহিত থেকে যদি সাহিত্য হয়, তাহলে আমরা কেউ সাহিত্যের বাইরে নই। বাইরে যাওয়ার একমাত্র উপায় মনে হয় সবাই লেখা বন্ধ করে হাত গুটিয়ে বসে থাকা। এই যে দুয়ে দুয়ে চার বললাম, এটাও সাহিত্য। পোস্টরায়তনের সবগুলো টেক্স এবং ছবিগুলোও সাহিত্য। পালিয়ে যাবেন কোথায় ! যম রয়েছে ছায়ায় ছায়ায়, হা হা হা !

আর বিপ্লব দা কেন, যে কেউ যেখানে খুশি লিখতে পারেন, এটা প্রত্যেকের স্বাধীনতা ও বিবেচিত দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়। এখানে সম্ভবত কোন মন্তব্য খাটে না।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

অম্লান অভি এর ছবি

যে চিন্তারাজি আপনার মানস পটে তা সার্বজনীন, তাই জীবনহীনতায় কে বাঁচিতে চায়........আর তাই বুঝি অনেক সময় শোনা যায় অর্থনীতি সাহিত্য সম্ভার ঘেটে যা পাওয়া যায় তাও জীবন.........জীবন মানেই সাহিত্য আর সাহিত্য মানেই জীবন.......সেই জীবনময় হোক সচলায়তন।

মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

সাহিত্য একটু বেশীই হবে, সেটা স্বাভাবিক বলেই মনে হয়। মানুষ কবিতা গল্প ইত্যাদি মনে হয় স্বভাবতঃই বেশী লিখতে পারে।

আমি যখন নিজের দিকে তাকাই তখন অবশ্য এই সূত্রের ব্যতিক্রম ঘটে যায়। আমার হাত দিয়ে (না মাথা দিয়ে) সহজে সাহিত্য বেরুতে চায় না! এটা অবশ্যই আমার ব্যক্তিগত সীমাবদ্ধতা। হালকা ধরণের লেখা লিখি যেগুলো দিয়ে সহজেই আমার সাহিত্যকল্পের (!?) একেবারে তলানী পর্যন্ত হাতরে দেখা সম্ভব হাসি

সচলেই কিছু কিছু মানুষের চিন্তাভাবনার গভীরতা আমাকে রীতিমতোন স্তব্ধ করে দেয়। সচল যদি তাদের সাহিত্য চর্চার জায়গা হয়েই যায় তো সেটা একটা পাওয়াই বলতে হবে! তবে লেখা ভালো বা খারাপ লাগাটা অনেক সময় মুড দ্বারাও ব্যপকভাবে তাড়িত হয়, এটা মাথায় রাখাটা জরুরী।

কারো নাম বলবো না, এমন অনেক লেখক আছেন এখানে, যাদের হাতদুটোর দিকে খালি ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কিছু করার উপায় থাকে না মাঝে মাঝে। সাহিত্যিক হয়ে ওঠার তাড়ণাও খুব অনুভব করি না। সবাই সবকিছু হলে তো চলবে না!

গুরুত্বপূর্ণ টপিক উথ্থাপনের জন্য পলাশকে ধন্যবাদ। কে কেমন লেখা আশা করে সেটা জানার জন্য এই পোস্ট অতি সহায়ক হবে। যারা আসলেই লেখক তারাও লেখার ধারণা পাবেন।

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

সম্পূর্ণ সহমত। আপনার মত প্রাণ্জলভাবে আমি এ কথাগুলো বলতেও পারলাম না।

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

সুমন চৌধুরী এর ছবি

পলাশদা মনে হয় সাহিত্য আর ব্লগকে মুখোমুখি করার চোরাবালিতে পা দিতে যাচ্ছেন এবং আমি বিশ্বাস করি ভুল করেই যাচ্ছেন। ব্লগে কী লেখা হবে না হবে তার কি কোন মাণদণ্ড ঠিক করে দেওয়া যায়? একইভাবে কোন্ লিখিত প্রপঞ্চ সাহিত্য কোনটা নয় তারও কি কোন সার্বজনিন মাণদণ্ড আপনার বা আমার জানা আছে? নাই। কোন শ্যালকপুত্রেরই নাই। সুতরাং ব্লগে তাই লেখা হতে পারে যা টাইপ করা যায় এবং পোস্ট করা যায়। সেটা গল্প হতে পারে, কবিতা হতে পারে, প্রবন্ধ হতে পারে, রম্য হতে পারে, আমন্ত্রণপত্র হতে পারে, বিপ্লবী-প্রতিবিপ্লবী দুইপ্রকারের ইশতেহারই হতে পারে এনি ড্যাম থিং হতে পারে। ব্লগের লেখা বলে যেগুলোকে ইঙ্গীত করা হয় সেগুলো আদতে সবই বিভিন্ন ধরণের নিবন্ধ, যা আমার দৃষ্টিতে সাহিত্যের আওতায় পড়ে।

বিপ্লবদা ঐ লেখাটা কেন সচলে না দিয়ে অন্য সাইটে দিলেন সেই প্রশ্নের জবাব তিনিই দিতে পারেন।



অজ্ঞাতবাস

অমিত আহমেদ এর ছবি

সচলায়তনে গল্প-কবিতা-দিনলিপি বেশি। কেনো বেশি সেটা সবজান্তা আর লুৎফুল আরেফীন বলেছেন - এসব লেখায় সবসময় গবেষণার প্রয়োজন পড়ে না। সচলে যথেষ্ট পরিমান প্রতিবেদন-আলোচনা-বিশ্লেষণ ধর্মী লেখাও আসে। মান বিচার করলে এসব লেখার একটাকেও "যাচ্ছেতাই" বলা যাবে না এবং এ কারণেই সচলায়তন কখনো একমুখী ব্লগ হয়ে উঠবে না বলে আমার বিশ্বাস; হয়ে উঠতে পারে তার কোনো লক্ষণও আমি দেখি নাই।

একটা লেখা কোথায় দেয়া হবে তার পেছনে লেখকের নানান ধরনের ব্যক্তিগত চিন্তাই কাজ করতে পারে।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফ্লিকার | ইমেইল

হিমু এর ছবি

গত দুই দিনের পোস্টের প্রবণতা দেখে আমি তো ভয় পাচ্ছিলাম, সচলায়তন একটা পোস্টারভিত্তিক ব্লগ হয়ে উঠবে কি না! আপনার পোস্ট পড়ে আশ্বস্ত হলাম দেঁতো হাসি



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

হো হো হো
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

স্নিগ্ধা এর ছবি

সচলায়তন মূলত সাহিত্যধর্মী লেখার প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠলে সেটি সচলায়তনের জন্যই
শেষ পর্যন্ত ক্ষতিকর। কারণ সচলায়তনের একটি ব্লগ হওয়ার ইচ্ছা
ছিলো (অন্তত আমি তো তাই বুঝি)।

হবে কি হবে না, হচ্ছে কি হচ্ছে না সেই প্রশ্নের উত্তরে ওপরেই অনেক কথা বলা হয়ে গেছে, সেগুলোর সাথে সহমত প্রকাশ করে আমার প্রশ্ন হচ্ছে - কেন ক্ষতিকর?

আপনার দৃষ্টিতে 'ব্লগ' মানে কী, সেটাও জানার ইচ্ছে রইলো হাসি

সাজিদ মুহাইমিন চৌধুরী এর ছবি

স্নিগ্ধা লিখেছেন:

হবে কি হবে না, হচ্ছে কি হচ্ছে না সেই প্রশ্নের উত্তরে ওপরেই অনেক কথা বলা হয়ে গেছে, সেগুলোর সাথে সহমত প্রকাশ করে আমার প্রশ্ন হচ্ছে - কেন ক্ষতিকর?

আপনার দৃষ্টিতে 'ব্লগ' মানে কী, সেটাও জানার ইচ্ছে রইলো হাসি


এমনিতে ব্লগ হলো চিত্ত যেথা ভয় শূন্য. যেকোনো টপিক নিয়ে আপনি যেখানে আলোচনা করতে পারবেন. কিন্তু সাহিত্য ব্লগ হলে আমি কোনো ক্ষতি দেখছি না. সাধারণ ব্লগ এর সাইট অনেক আছে. কিন্তু শুধু সাহিত্য ব্লগ তেমন নেই বললেই চলে.

আচ্ছা, এই ব্লগ এ লিখার সময় ক্যাটাগরি বাছতে দেব হয়, কিন্তু পাঠকরা কেন ক্যাটাগরি ভিত্তিক লিঙ্ক দেখতে পান না?

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

সকালে উঠেই পোস্টটা পড়ে তাৎক্ষণিক যেটা মনে এলো:

পলাশ দা কি বোঝাতে চেয়েছেন তা হয়তো বুঝতে পারিনি। তবে তাঁর ভাবনার সাথে আমি খানিকটা একমত। যেমন, ইদানিং আমি সচলায়তনে সমকালীন রাজনীতি নিয়ে কোনো পোস্ট দেখছিনা। তবে এটাও ঠিক সচলায়তনে রাজনীতি নিয়ে অতীতে কিন্তু অনেক পোস্ট এসেছে।

ব্লগের একটা স্রোত আছে। সেটা নির্ধারণ করেন সেই ব্লগের লেখকরা। একই সাথে ব্লগের পাঠকেরও একটা চাহিদার স্রোত থাকে। একজন পাঠকের স্রোত অন্যজনের থেকে ভিন্ন হবে, এটাই স্বাভাবিক। আমি পাঠক হিসেবে হয়তো ভাবছি এখন রাজনীতি নিয়ে একটা পোস্ট আসতে পারতো, কিন্তু সেটা এখানে না এসে যখন এখানের কোন ব্লগারের কলমে অন্য ব্লগে চলে আসে তখনই এধরনের মনে হওয়া-হওয়ি শুরু হয়।

পোস্টারায়তন কিছুদিন চলতে থাকবে তা বেশ বুঝতে পারছি। তবে সেই সাথে (আমি বিশেষ করে) সমকালীন রাজনীতি নিয়ে লেখাগুলো মিস করছি। তেমনি অন্য পাঠক হয়তো অন্য কিছু মিস করছেন। এই চাওয়া-চাওয়ি মনে হয় সব সময়ই থাকবে। এটাই হয়তো স্বাভাবিক। সমস্যা হয় আমার মত ব্লগার/পাঠকের যারা শুধু সচলায়তনেই পড়ে থাকে।

রেজওয়ান এর ছবি

ব্লগ একটি ব্যাপক বিষয়। এর নানা রকম চরিত্র থাকতে পারে, পারে নানা রকম মাত্রা থাকতে, আর ভিন্ন ভিন্ন তার গঠন। সচলায়তন কমিউনিটি ব্লগিং এর ধারায় পরে। অর্থাৎ এটি বিশেষ একটি কমিউনিটিকে কেন্দ্র করে তৈরী, কিন্তু তাতেই সীমাবদ্ধ নয়।

এখানে লেখার মানকে গুরুত্ব দেয়া হয়, মূল লেখাকে মূল্য দেয়া হয়, সাহিত্যমানকে উৎসাহ দেয়া হয় এবং ভুল বানানকে নিরুৎসাহিত করা হয়। অর্থাৎ লেখকদের একটি প্লাটফর্ম চাইছে এটি। কিন্তু তাই বলে কি এতে প্রাণ নেই? ভৎসর্না নেই? আটপৌরে কথা নেই? রকের আড্ডা নেই? শুধুই কি সাহিত্য পোস্ট করা হয় বা হবে এতে?

সচলায়তনের সুবিধা হচ্ছে এখানে কিছু প্রতিষ্ঠিত লেখক আছে। তাদের লেখা পড়ে আমাদেরও কিছু জানা হয়। লেখায় ভুল শোধরানোর মাধ্যমে আমাদেরও কিছু শেখা হয়। আমার মনে হয় লেখক সমাজই নির্ধারণ করবে যে এখানে কি লেখা হবে।

সাহিত্যিকরা চায় তাদের লেখার মূল্যায়ন হোক বোদ্ধা পাঠকদের দ্বারা। সচলায়তনে হয়ত সেজন্যে সাহিত্যিক লেখা পোস্ট করা হয় বেশী। তেমনই হয়ত কেউ কেউ অন্যান্য কমিউনিটি ব্লগে তার লেখা পোস্ট করে সেখানকার কমিউনিটিকে লক্ষ্য করে বা সেখানকার মেজাজের সাথে মেলে বলে। সেটাতে কারও ক্ষতি থাকার কথা নয়।

কিন্তু সচলায়তনকে একটি নির্দিষ্ট গন্ডীতে বেঁধে ফেলার বিপক্ষে আমি।

পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

সবুজ বাঘ এর ছবি

ঐ মিয়া আপনে থাকেন কই? বহুদ্দিন দেখি না। সোমবার আকিজে আহেন.......চা মা খাওন যাবোনি।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

মূলধারার পত্রিকা আর টক শো-তে রাজনীতি নিয়ে এত লেখা/কথা দেখি যে রাজনীতি বিষয়ক কিছুর অভাব বোধ করি কম। রাজনীতির গতিপথ নিরূপন করেন গোটা বিশেক মানুষ। তাঁরা আমাদের কথা কানেও তোলেন না। আমরা নিজেরাই বেগার আড্ডা মেরে যাই রাজনীতি নিয়ে।

তবু রাজনীতি নিয়ে কথা বলা প্রয়োজন। তৃণমূল থেকে রাজনীতিকদের উপর চাপ দেওয়া প্রয়োজন, এবং আমি মনে করি এর পেছনে ব্লগ ভূমিকা রাখে। প্রান্তিক, উপেক্ষাযোগ্য হয়তো, কিন্তু ভূমিকা কিছুটা আছে। 'যুদ্ধপাপীর বিচার চাই' কিংবা টিপাইমুখ নিয়ে সাম্প্রতিক পোস্টার কিন্তু সেদিকেই ইঙ্গিত করে।

আমরা হয়তো আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে কী হওয়া উচিত ছিলো তা নিয়ে লিখছি না, কিন্তু আমাদের ব্লগর ব্লগরে আমাদের সামর্থ্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ বক্তব্য উঠে আসছে।

সাম্প্রতিক রাজনীতি কখনই সমকালীন প্রবাহে হারিয়ে যায় না। আমি তো দেখি গত ক'দিনের ৬টা পোস্টারের ৪টাতেই রাজনীতিকের উপস্থিতি আছে।

রণদীপম বসু এর ছবি

ইয়োগা কি সাহিত্যের মধ্যে পড়ে ? মনে হয় পড়ে না। তাইলে পলাশ দা যখন সাহিত্যরে এমন হিংসা করা শুরু করে দিছেন, আবার ইয়োগাই শুরু কইরা দেই ! কী কন আপনেরা ?

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

আমারও একটা জরুরী জনগুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন আছে। দিনলিপি বা কথোপকথন কি সাহিত্যের মধ্যে পড়ে। তাহলে কইলাম আমি দুই খান কাজ এক্ষণ করতেসি...

১/ ফেসবুকে নিজের নামে একটা ফ্যান পেজ খুলুম
২/ পায়ে পা লাগায় আর সব সাহিত্যিকের লগে কাইজ্জা করুম

তাড়াতাড়ি বলেন, টাইম কম। মহাকাল তাকিয়ে আছে নীরবে/আমার নীরব মসি চা খাবে/বারান্দায় ডাকছে একটা কাক... উফ, এই দেখেন, ঠেকায় রাখতে পারতেসি না তো আর... তাড়াতাড়ি বলেন!! দেঁতো হাসি

আরিফ জেবতিক এর ছবি

আমি তো ভাই খালি পোস্টার দেখে তিতিবিরক্ত হয়ে নিজেই পোস্টার বানানোর চিন্তা করছি।

কসম খেয়ে কোনদিন যে ফটোশপ শিখে বসি তার ঠিক নাই।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

স্যারদের কেউ এই আলাপে থাকলে হয়তো 'সাহিত্যধর্মী' ব্যাপারটা নিয়ে বাহাস করতো। বলতো - সাহিত্যের পরে ধর্ম যোগ করে ধর্মকে সাহিত্যহীনতা বা যুক্ত করা অথবা সাহিত্যকে ধর্মহীনতায় ফেলার ইউটোপিয়ান মতবিভেদের সিদ্ধান্তে উত্তরাধুনিক তকমায় কী কী বলা আছে সব।
ওসব জটিল কথা ভয় পাই।

সহজ করে আমি যা বুঝি, মনে হয়-
সচলায়তন সাহিত্যধর্মী বা অন্যধর্মী কিছুর ট্যাগে পড়বে না।
অন্ততঃ সচলে গত ২ বছরের লেখক পাঠকের মিথষ্ক্রিয়া দেখে আমার এমন মনে হয়েছে। এটা ঠিক, যেহেতু - কম্যুনিটি ব্লগিং, দলবদ্ধতার ব্যাপার আছে, এজন্য একটা ছোঁয়াচে প্রভাব কাজ করে। প্রভাবটা হলো - একটা ট্রেন্ড। আগেও দেখা গেছে, এখনো আছে। হয়তো কেউ একজন অণুগল্প শুরু করলেন, আরেকজন লিখলেন, আরো একজন লিখলেন। দেখা গেলো দুইদিনে অণুগল্প ভর্তি। একই স্রোত দেখা যায় ছবিব্লগ, ভ্রমণ, খেলা, গান বা ফ্যান্টাসী-গল্প নিয়েও।
হয়তো এটাই একটা ধারা।
তবে একেবারে হাল্কা চালে লেখা - "আমার বৃষ্টি ভাল লাগে, বৃষ্টি আসলে আমার কান্না পায়, অথবা দুই লাইনের পোস্ট - এশিয়া ফ্যান টঙ্গী ৪৮ ইঞ্চির দাম কেমন পড়বে, ৬ ঘন্টা বিদ্যুত ছিল না- গরমে ঘামতেছি" - এরকম লেখা সচলে আসে না, আসলেও তেমন পঠিত হয় না - এসব বিবেচনায় রেখেই সবাই চেষ্টা করেন লেখার সময় মানটা ভাল রাখতে, বিষয়বস্তুকে আকর্ষণীয় রাখতে, বানান ভুল কম করতে - হয়তো একারণে মনে হয় সব লেখায় সাহিত্য ভর্তি।

(যদিও সাহিত্যের সংজ্ঞা আমি জানি না। অনেক কথা বলে ফেললাম।)

রণদীপম বসু এর ছবি

চলুক

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

একদম ঠিক কথা!
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

আপনি যেটাকে "ট্রেন্ড" বললেন, আমি সেটাকেই "ট্রিগার" হিসেবে ভাবছিলাম। গেলমানুরের খেলা দেখে হিমু ভাইয়ের মনে হলো পোস্টার বানানোর কথা। সেই দেখে খেকুদা, আমি, আপনি, তানভীর ভাই... এটা একটা ট্রিগার ছিলো। আগে হয়েছে ছড়া নিয়ে, পশুসাহিত্য (?) নিয়ে। এটাই তো মজা!

একটা দামী কথা বলেছেন। বানান ভুল কম থাকায় এবং যত্নের সাথে লিখিত হওয়ায় অনেক কিছুকেই সাহিত্য মনে হতে পারে। সেদিক থেকে দেখলে, হোক সাহিত্যধর্মী, ক্ষতি তো নেই।

রাজনীতি নিয়ে লেখায় প্রচুর আন্দাজে কথা বা স্পেকুলেশন থাকে। সেটা যত কম হয়, ততই তো ভালো। গুজব শক্তভাবে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে বিডিআর এর ঘটনার সময়। এই চেক-অ্যান্ড-ব্যালেন্সগুলো আমি ভালো চোখে দেখি। রাজনীতি এমন এক ব্যাপার যা নিয়ে সবারই কিছু না কিছু বলার আছে। মানসম্মত কিছু না হলে লিখবো না, এমন পণ ব্লগারের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া ভালো।

জাহিদ হোসেন এর ছবি

সচলায়তনকে একটি ম্যাগাজিন বলে মনে হয় আমার। যেখানে পাঠকেরাই লেখক, আবার লেখকেরাই পাঠক। সবাই কি একই ধরণের লেখা লিখছেন এখানে, বা সবাই কি একই ধরণের লেখা সমান আগ্রহ নিয়ে পড়ছেন? সাহিত্যের প্রাধান্য যদি সচলে দেখা দেয়, তাতে ক্ষতি কি? সেটাই কি স্বাভাবিক নয়? বাজারে কোন ধরণের বই বেশী বিকোয়? গল্প-উপন্যাস, নাকি প্রবন্ধ? উৎরটি আমাদের সকলের জানা। সিরিয়াস লেখার লেখক/পাঠকের সংখ্যা চিরকালই কম, কিন্তু তাই বলে কি প্রবন্ধ বা মননশীল লেখা কম হচ্ছে?
শুধু যে কাজটি করতে হবে (এবং তা করা হচ্ছে) সেটা হোল, যে কোন লেখার একটা মিনিমাম স্ট্যান্ডার্ড বজায় রাখা। এখানে যারা লিখে থাকেন, তারা সবাইই তা জানেন এবং সেই জন্যেই এখানকার যে কোন লেখার মানই যথেষ্ট উঁচু। যে কাজটি করা হচ্ছেনা তা হোল আমরা সবাই যদি ভালো সমালোচক হয়ে উঠি, তাহলে যে শুধু পিঠ চাপড়ানি মার্কা মন্তব্যের বদলে আরো ভালো এবং গঠনমূলক মন্তব্য করতে পারবো।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

মূলত পাঠক এর ছবি

এ নিয়ে আমার মতটা লিখবো লিখবো ভাবছিলাম, দেখলাম জাহিদ হোসেন সব কথা লিখে দিয়েছেন। সাহিত্য বা আর যাই হোক, তার পৃষ্ঠপোষকতা যতোটা হয় সমালোচনা ততোটা নয়। এবং সমালোচনা মানে শুধু আমার ভালো লাগলো না জাতীয় কথা নয় (এমন নয় যে সেটা বলা খারাপ), কোনো লেখা কী ভাবে আরো ভালো হয়ে উঠতে পারে সে বিষয়ে পথনির্দেশ দরকার। আসুন আমরা একে অপরের লেখার সমালোচনা করি আরো বেশি করে। মানোন্নয়নের এই পদ্ধতিটার প্রয়োগে যে খামতি আছে সেটা দূর করা যাক।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

কথাটা আমারও। আমি সাধারণত ব্যাক্তিগত ভাবে জানাই। প্রকাশ্যে জানানোর সংস্কৃতিটা দাঁড়ালে ভালো হয়। এতে সবাইই জানতে/বুঝতে পারেন। আমার লেখায় কিছু চোখে পড়লে সরাসরি জানিয়েন। কিস্যু মনে করবো না। চোখ টিপি

মূলত পাঠক এর ছবি

আপনার গান-সিরিজ নিয়ে কথা ছিলো বলার, কিন্তু বেশি সমালোচনা হয়ে যাবে বলে বলি নি, বিশেষত জনপ্রিয় সিরিজে ব্যতিক্রমী স্বর হওয়াটাও মুশকিলের, কোনো নৈতিক পয়েন্টে যখন বক্তব্যটা নয়।

পরের পর্বে খোলাখুলি জানাবো, শুনতে চাইলে আরেক পর্ব লিখে ফেলুন। হাসি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

কোন লেখায় একটা পক্ষ যখন শক্তিশালী হয় (মানে বেশি সমর্থন দিয়েছে এমন) তখন সেখানে সমালোচনা করতে সাহস লাগে। অনেককিছু বিবেচনা করতে হয়। সেরকম সাহস শুরুতে থাকেনা। আস্তে আস্তে সেটা অর্জন করতে হয়। অনেকেই এখন সে পর্যায়ে গিয়েছেন বলে মনে করি।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

পাঠুদাঃ এভাবে গাছে তুলে মই কাড়লে চলে? লিখবো আবার। এলোমেলো কিছু ভাবনা মাথায় আসছে একটু একটু করে। তবে, আপনি আপনার মন্তব্যগুলো সেই পোস্টগুলোর নিচে রেখে যাবেন কিন্তু। সমালোচনা কীভাবে গৃহীত হচ্ছে, তা সমালোচকের উপর কতটুকু আস্থা আছে, তার উপর নির্ভর করে অনেকটাই। সেই আস্থা আপনার উপর আমার আছে, আপনি জানেন। অতএব, স্রোত নিয়ে ভাবার কিছু নেই। লিখে ফেলুন। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানি, অনেক সময় সামান্য লেখাও পাঠকপ্রিয়তা পায়, আবার অনেক সময়/যত্নে লেখা পোস্ট পাঠক পায় না (পাঠকপ্রিয়তা তো দূরের কথা!)।

পিপিদাঃ খুব দামী কথা বলেছেন। আমি চেষ্টা করি সমালোচনার মত কিছু চোখে পড়লে মেসেজে জানাতে। কার কাছ থেকে শিখেছি সেটা, সে-কথা মনে পড়ে আবার মন খারাপ হয়ে গেলো। আপনি এবং পাঠুদা দু'জনেই কিন্তু স্রোতের বিপরীতে গিয়ে ভুল ধরে দেওয়ার মত শক্তিমান অবস্থানে গিয়েছেন। কিছু চোখে পড়লে জানানো শুরু করুন। বাকিরা আপনা থেকেই যোগ দেবে।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ধন্যবাদ পলাশদা, আপনার পোস্টের কারনে সুন্দর বিশ্লেষনধর্মী একটি আলোচনার সৃষ্টি হল। অনেক কিছু জানতে পারলাম। আর সমালোচনা হলে আমাদের মত নতুনরা উপকৃত হব সবচেয়ে বেশী, কাজেই সমালোচনাকে সুস্বাগতম দিয়ে গেলাম অগ্রীম। আর পাঠকদা যদি সমালোচনার গাইড লাইন দিয়ে একটা পোস্ট দেন, তাহলে আরো ভালো হয় :)।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

মূলত পাঠক এর ছবি

খাইসে, আমি কি হেডমাস্টর নাকি? হাসি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আপনি হেডমাস্টর না হলেও আপনার একটা মাস্টার হেড আছে। সেখান থেকে কিছু ছাড়লে আমাদের মতো পাঠকের লাভ হয়।

মূলত পাঠক এর ছবি

হেডমাস্টর থিকা এক্কেরে প্রিন্সিপাল বানায়ে দিলেন যে! এইবার লেখালেখির প্রিন্সিপল ঠিক করি তাইলে। হাসি

সাইফ তাহসিন এর ছবি

পাঠকদা, আপনার "সচলে লেখালেখি" পোস্টে যেমন আলোচনা হয়েছে, তা অনেকদিন হয়নি, কোন মার মার কাট কাট ভাব ছিল না, কিন্তু খুবই গুরুত্বপুর্ন সব তথ্যে ঠাসা, কাজেই আপনার পক্ষেই সম্ভব আরেকটি গঠনমুলক পোস্ট দিয়ে আমাদের সহায়তা করা। আশা করব, খুব শীঘ্রই আমরা আপনার কাছ থেকে "সমালোচনার প্রিন্সিপাল" মার্কা আরেকখানা পোস্ট পাবো যা আমাদের আরো সংবেদনশীল ভাবে সত্যিকারের সমালোচনায় অংশ গ্রহনের সহায়ক হয়ে দাড়াবে।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আমার মনে হয় সচলায়তন কি হয়ে উঠছে বা কি হয়ে উঠতে পারে সেটার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল সচলায়তন কি না হয়ে উঠতে পারে। সচলায়তন যেন রুচিহীন গারবেজের আঁখড়া না হয়, অন্তহীন কোলাহলের কেন্দ্রবিন্দু না হয়, প্রকাশিত লেখার ডাম্পিং গ্রাউন্ড না হয়, ...। বাকিটা সময়ের স্রোতই নির্ধারন করবে, নির্ধারন করবে নাগরিক সাংবাদিক সচলেরা, নির্ধারন করবে পাঠকের পছন্দ। সময়ের প্রয়োজনে, সচলদের ইচ্ছায় কিংবা পাঠকদের পছন্দে যদি সাহিত্য বেশী প্রকাশিত হয় তাহলে তাই সই।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

চলুক

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

সহমত @ এস এম মাহবুব মুর্শেদ ।

গত কয়েকদিনে এই অধমেরও বেশ কিছু রাজনীতি নর্িভর লেখা আমু আর সামুতে প্রকাশিত হয়েছে ।

লেখাগুলি কেন সচলে দিলাম না-

১। আসলে লেখাগুলি র মধ্যে বেশিরভাগ আগে সচলে প্রকাশিত । অন্য্ব্লগে পুন্ঃপ্রকাশিত হয়েছে মাত্র ।

২ । আর সাম্রতিক লেখাটি পিয়াল ভাইয়ের এক লেখায় একজন ব্লগার এর মন্তব্যে্র প্রতিক্রিয়ায় লেখা ।

সচল নতুন লেখা চাই । আমি নিয়ম মেনে আমার সব নতুন লেখা এখানেই দেই ।

সচল কি হলো, কি হবে এই সব নিয়ে আমার কোন মাথাব্য্থা নেই ।
সচলে এমন একটা ব্যাপার আছে যা চোখে দেখা যায় না, অনুভব করা যায় আর তা' হল পারস্পরিক ভালবাসা । এই ভালবাসা আর কোথাও নেই ।

ুনুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

আরিফ জেবতিক এর ছবি

আপনার এই বামহাত ঢুকানিটা বড়ই সৌন্দইয্য লাগে।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

"বামহাত ঢুকানি" নাম করণ যথার্থ হয়েছে।

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

পলাশদা', আপনিও এই মন্তব্যে আহত হবেন না অনুগ্রহ ক'রে। কারণ, আহত করা আমার উদ্দেশ্যও নয়।

বুঝি কম। ব্লগ, সাহিত্য- এগুলোর সংজ্ঞাও জানি না, কোথাও এগুলোর সে-অর্থে সার্বজনীন কোনো সংজ্ঞা আদৌ পাওয়া যায় কি না- তা-ও জানি না।
আমি তো সাহিত্য বলতে যতোটুকু যা বুঝি, সেটা খুব কম পারি, দেঁতো হাসি আর অন্য যা যা আশা ক'রে বা মিস ক'রে বা কম দেখে এই পোস্ট দিলেন আপনি, সেগুলো তো একদমই পারি না। চোখ টিপি

এই পোস্টের ভিতরে ঢুকতে সত্যিই ভয় লাগছিল আমার। ভাবছিলাম ভয়ে ভয়ে, যে কী জানি কী দেখি এখানে ঢুকে মেজরিটি সেন্টিমেন্ট(/ভিউ), কী জানি আমার কি এই সবেধন ব্লগ থেকে পাত্তাড়ি গুটিয়ে বাড়িই চ'লে যেতে হয় কি না! কিন্তু, না, এসে, প'ড়ে, আবার উঠে, দেখেটেখে একটু ভরসা পাচ্ছি এখন। তাই তো মন্তব্যঘরে এইটুকু লেখার মতোন বেঁচে আছি কোনোরকমে! হাসি

সাহিত্য সম্পর্কে যতোটুকু জ্ঞান, পৃথিবীর ব্লগ নিয়ে তো তা আমার আরোই কম, প্রায় শূন্যের কোঠায়!
তবু, ক্ষুদ্র কিংবা শূন্য জ্ঞানে আমার তো মনে হয় (হ্যাঁ, আমার মনে হওয়ায় থোড়াই অবশ্য যায় আসে অন্য কারো!)-
আপসহীন শুভবোধ নিয়ে এখানে ভালো'র পথে আলো'র পথে যা কিছুই করা যাওয়া উচিত। সাহিত্যের একদম স্ট্রিক্ট সেন্স-ও যদি ধরি (যদিও ওই স্ট্রিক্ট সেন্স নিয়েও সংশয়-বিতর্ক থাকতেই পারে, যেখানে কি না সংজ্ঞায়নই অপ্রতুল!), সেই গল্প-কবিতা-দিনলিপি এমনকি ব্লগরব্লগর-টুকু হয়েও সেটার মাধ্যমে যদি এখানকার একটা কমন কালচার থাকে শেয়ারিং কেয়ারিং এবং হোয়াই-নট অ্যাক্টিভিজমেরও, সেটাও এমন একটা প্ল্যাটফর্মকে একটা অস্তিত্বার্থ দেয়ার জন্য যথেষ্ট। নয় কি?
রাজনীতি নিয়ে এমন নিশ্ একটা জায়গায় যে মত-অমত এমনকি তুলোধূনোগুলোও হয়, সেগুলোর কোনো প্রত্যক্ষ ফললাভ কি আসোলেই হয়, হয়েছে কখনও?! সত্যিকারের যারা রাজনীতি-সমাজ-দেশের ইজারাদার এই মুল্লুকে, আসোলেই যাদের এগুলো শোনা-দেখা-শেখা দরকার, তাদের কানে-চোখে-মরমে এর কতোটুকু পৌঁছায়- কারো কোনো নির্দিষ্ট আইডিয়া থাকলে জানাবেন, খুশিতে একটু বগল বাজাবো!
অপ্রিয় শোনালেও দুঃখিত হয়ে বলতে হচ্ছে, শুধু সাহিত্য ক'রেও এই আমরাই যদি আওয়াজ ওঠামাত্র একজন এসএম খালেদের সঙ্গে যুদ্ধযাত্রায় যোগ দিয়ে একটা সত্যিকারের ইমপ্যাক্ট আনতে পারতাম, সেটারও নিদেন-কেন, বড়সড়-ই একটা অর্থ থাকতো। রাজনীতিক ব্লগ-লেখায় যারা পৃথিবীর সব উদ্ধার ক'রে ফ্যালেন, তাদেরকে কিন্তু এমন যুদ্ধে পাওয়া যায়নি তেমন একটা, যায়ও না। দশটা সাহিত্য ক'রেও তার সাথে একটা অবস্থান ধর্মঘটের ডাকে আমরা যদি এক হয়ে এক জায়গায় বলি- "বালছালের নামে লালনের ভাস্কর্য ভাঙতে পারবা না", সেটারও একটা কিছু অর্থ হয়। তো, একটা বড় ওজনদার সংখ্যা বা একটা শক্তিশালী দল হয়ে ওঠার জন্য এই সহিত-সম্পর্কটা যদি মূলত সাহিত্য দিয়েও গ'ড়ে ওঠে (অন্যান্য সবও তো এমনিতেও হচ্ছেই), তাতেও তো ক্ষতি দেখি না (হ্যাঁ, আমার মাইয়োপিক চোখে সেটা না ধরা পড়তে পারে, আর কেউ দেখতে বুঝতে পারতেই পারেন)। রিয়্যাল অ্যাক্টিভিজমে না পৌঁছালে এখানে লিখিতায়তনের পুরোটাই রাজনৈতিক কপচাকপচি চুলকাচুলকি-তে ভ'রে রাখলেও দেশে সমাজে কিন্তু কিচ্ছুটি ইমপ্যাক্ট পড়ে ব'লে মনে হয়ও না, অতীতে ব্লগোস্ফেয়ারের সেন্টিমেন্ট(/ভিউ)-কে অ্যাসিমিলেট ক'রে কোনো প্রত্যক্ষ সমাজ-আন্দোলন শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক প্রভৃতি ক্ষেত্রে অর্থবহভাবে দানা বেঁধেছে- এমন দেখা গ্যাছে ব'লেও মনে পড়ে না। অন্তত বাংলাদেশের মতো মত-অসহিষ্ণু কিন্তু পরপর তিনবার বিশ্বের সুখীতম দেশ ব'লে নিরূপিত দেশটিতে এমন ঘটেনি একবারও।
হ্যাঁ, যতোটুকু হ'তে পারে বা পারতো আসোলেই ওই ক্ষেত্রে, সেটা হ'লো-
নাগরিক হিসেবে আমাদের পলিটিকো-ইন্টেলেকচুয়াল আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের, এবং পলিটিক্যাল-সহ বিভিন্ন ইস্যুতে আমাদের ভিন্নমতের সংস্কৃতিকে আত্তীকরণ ক'রে ন্যাশনাল সেন্টিমেন্টেরও, একটা ডিরেকশনাল উন্নয়ন। সেটা কিন্তু এখানে এমনিতেও খুব বেজে বাজিয়ে হয় না, হবেও না, কারণ ঢোকার এবং স্বীকৃতি ও পূর্ণতা পাওয়ার প্রক্রিয়াই এখানে এটা নিশ্চিত ক'রে দেয়, যে- আপনি আর আমি মোটামুটি সমমনা। এমনিতেই বোঝা যাবে- সন্ন্যাসীদা'র আদর্শের সাথে নিবিড়-এর আদর্শের এখানে তেমন মৌল কোনো পার্থক্যই নাই। তো কীসের আর ঝড় উঠবে, কীসের আর স্বাস্থ্যবান মত-অমত-চর্চা হবে!
আমরা এমনিতেও একরকমই তো মোটামুটি, না? কম্যুনিটি হিসেবে কালেকটিভ বেটারমেন্ট আর ইন্টেলেকচুয়াল ডেভেলপমেন্টের (সেটা যদি চাইও আরকি) জন্য শেয়ারিংয়ের দরকার যা বাকি, সেটা হ'লো বিভিন্ন তত্ত্ব আর তথ্য, যা এখানে যথেষ্টই হয়, হচ্ছে। দশটা সাহিত্য হয়েও যদি একটা ওইটা হয়, তাতেও হয় মনে হয়।

অত্র আয়তনেই আপনার ব্লগ-এ একটু আগে গিয়েছিলাম পলাশদা'। আপনার ব্লগ-বয়স আমার চেয়ে অনেকই বেশি। লেখার সংখ্যাও দেখলাম অনেক অনেক। অনেক পৃষ্ঠার পরে পৃষ্ঠা ব্লগ লিখেছেন আপনি। আমি অপেক্ষাকৃত সাম্প্রতিকগুলোই একটু স্ক্যান করলাম। আপনার প্রথম পেজ-এ আপনার ২০টা লেখার মধ্যে এই লেখাটা-সহ মাত্র ৪টা লেখা একটু অ-সাহিত্য। বাকিগুলো কমবেশি নির্জলা সাহিত্যই।
তো, হ'লোটা কী?! হাসি
আমরা এমন কী করতে পারতাম বা চেয়েছিলাম, যেটা আমরা করছি না বা করার কথা ভুলে গ্যাছি?! আর, সেটা করতে পারার জন্য আমাদের প্রকৃতই কী দরকার, সেটা বোধ হয় একটু নিরাবেগ নিরাসক্ত চোখে বিশ্লেষণ ক'রেই দেখা দরকার কর্তৃপক্ষেরও (যারা জন্ম দিয়েছেন এটাকে), যদি সচলায়তনের ওইরকম কোনো নির্দিষ্ট জন্ম-প্রপাগান্ডা থেকে থাকে আদৌ!
আর নাইলে তো দেখি সব ঠিকই আছে।
হাসি
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

হাসান মোরশেদ এর ছবি

শেষমেশ কি হইলো হে দত্ত কবি?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

পলাশ দত্ত এর ছবি

শেষমেশ অনেকেই মতামত দিলো। হাসি

(ব্র্যাকেটে বইলা রাখি এই কিটা কী হবে ব'লে সন্দেহ হচ্ছে। চোখ টিপি
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

পলাশ দত্ত এর ছবি

আমি বলেছিলাম সচলায়তন "মূলত" সাহিত্যধর্মী লেখার প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠবে কি না? এক্ষেত্রে "মূলত" শব্দটা প্রায় সবার নজর এড়িয়ে গেছে।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

না, নজর এড়িয়ে যায়নি। আমরাও সবাই "মূলত" সহই বিবেচনা ক'রে বলেছি সব। দ্যাখেন, শুধু সাহিত্যধর্মী হয়ে উঠুক- এরকম কোনো জায়গায় কিন্তু কেউই দাঁড়াননি। সবাই মূলত সাহিত্যধর্মী হওয়া না হওয়ার বিষয়ের সাথেই ঘেঁষেছেন কমবেশি। হাসি
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ফেসবুকে আলাপ চলতেছিলো। আপনে অফলাইন হয়ে গেলেন। তাই বাকী কথা হইলো না। এখানে সংক্ষেপে বলে রাখি...

অন্য ব্লগগুলাতে প্রচুর রাজনৈতিক পোস্ট আসে। কিন্তু তার অধিকাংশই অনর্থক। আমার মনচাইলো তো আমি দেশের কোনো এক মন্ত্রীরে মুখ খারাপ কইরা গালি দিলাম। আমার দায়িত্ব শেষ হয়া গেলো। সেই পোস্টে আরো কিছু গালিবর্ষন হইলো মন্তব্যে। বেশিরভাগই এইরকম পোস্ট। রাজনৈতিক ছাড়াও অন্য পোস্টগুলাতেও একই কাহিনী। রাস্তায় কেউ জ্যামে পড়লো, তো একটা পোস্ট দিলো দেশের মা বাপ তুইলা।
এইরকম অনেক পোস্ট আছে। সংখ্যায় অনেক বেশি। সেই সংখ্যার কাছে সচলায়তন হারে। এইটা সত্য।

সচলে কম আসে সত্য। কিন্তু যতটুকু আসে, তার বেশিরভাগই বিশ্লেষণমূলক। ধরেন টিপাইমুখ নিয়া গালিগালাজের বদলে এখানে আসে দরকারী পোস্টটা। এরকম আরো অনেক উদাহরণ আছে।

আবার ধরেন, সবুজ বাঘের বেশিরভাগ কবিতা তো রাজনৈতিক। এখন এইটারে কই ফেলবেন? সাহিত্যে না রাজনীতিতে? অথবা ধরেন মুখফোড়ের আদমচরিত?
আমি তো মনে করি অন্য দশটা আজাইরা রাজনৈতিক গালিগালাজের চেয়ে সবুজ বাঘের একটা রাজনৈতিক কবিতাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

গত কিছুদিন আগে যে সচলায়তন বাহিয়া পড়লো তেল গ্যাস এনার্জি সেভিংস এইসব নিয়া। সবগুলোই সম্ভবত খুবই গুরুত্বপূর্ণ অসাহিত্য ছিলো। এরকম অহরহই আসে। সেগুলারে পাত্তা দিবেন না?

এটা সত্য যে বর্তমান সময়ে একটু কাব্য জোয়ার চলছে। কিন্তু এটা সচলের ট্রেন্ড না। একেকসময় একেক আইটেমের জোয়ার আসে। এমনো প্রচুর সময় গেছে নীড়পাতায় সাহিত্য একেবারে কোনঠাসা থাকছে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।