পাক সার জমিন সাদ বাদ

রানা মেহের এর ছবি
লিখেছেন রানা মেহের (তারিখ: শুক্র, ২৪/১০/২০০৮ - ৮:২৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অন্য জেলার প্রতি আমাদের সিলেটের লোকজনের একধরনের উদাসীনতা আছে। সেই উদাসীনতার আছে আবার বিভিন্ন রুপ। কখনো তাচ্ছিল্য কখনো ভয়।

আমার এক বন্ধুর দেশের বাড়ি ছিলো কুমিল্লা। আমার সেই সময়কার যাবতীয় দোষ সঙ্গদোষ হিসেবে কুমিল্লার ঘাড়ে চলে যেত।
আমাদের বাসা ছিল যদিও এইসব গোড়ামি থেকে অনেকখানি মুক্ত। তবু আমার বোন যখন বিয়ে করলো ব্রাম্মণবাড়িয়ার (এখন কি বি বাড়িয়া বলা নিয়ম?) একটা ছেলে কে তখন মামা চাচা রা সব এলেন হা হা করে ছুটে এবং একটা 'বেঙ্গলি' ছেলে কে বিয়ে করার তীব্র নিন্দা জানালেন

ভাষাগত কারণে আমার অবস্থান না ঘরকা না ঘাট কা হওয়ায় অথবা অন্য কোন কারণে এই ব্যাপার গুলো সবসময়ই আমার মহা বিরক্তিকর। ঠিক একই ভাবে বিরক্তিকর জাতিগত ভাবে কারো ওপর কোন বিশেষণ চাপিয়ে দেয়া।
আমার বন্ধুরা যখন বলে অস্ট্রেলিয়ার লোক বর্ণবাদি। আমি তীব্র প্রতিবাদ জানাই। যখন শুনি আফ্রিকা বিশেষ করে নাইজেরিয়ার লোকেরা অলস ফাঁকিবাজ তখন মনে হয় বাংলা ভাই টাইপ কারো জন্য কেউ যদি আমাদের সবাইকেই মৌলবাদী ভাবে, তবে? সবসময়ই মনে করি নয়জন লোক দায়ী হলেও সেই দলের দশম কে শুধুমাত্র সেই দলের সদস্য হবার অপরাধে অভিযুক্ত করা অন্যায়।

শুধু পাকিস্তানের ব্যাপারে আমার কোন বোধ কোন যুক্তি কাজ করেনা।এই একটা দেশ এই একটা দেশের সব কিছু আমাকে অসুস্থ্য করে দেয়। মানুষ আমাকে রেসি ভাবুক। মানবাধিকারের ওপর আমার যাবতীয় পড়াশোনা গোল্লায় যাক। ইকুয়াল অপরচুনিটির সমস্ত ধারা কে অস্বীকার করে জানাই পাকিস্তান কে আমি ঘৃনা করি। তীব্র ঘৃনা করি

বাংলাদেশ বললে একটা সাধারণ পাকিস্তানি খুব খুশী মনে যখন বলে, ইস্ট পাকিস্তান? আমার হাত নিশপিশ করে। যেই গলা দিয়ে বের হয়েছে এই শব্দ দুটো, সেই গলা টাকে চেপে ধরে নিঃশ্বাস বন্ধ করে দিতে ইচ্ছে করে।
বোনের বন্ধু যখন আমার শীতলতা কমানোর চেষ্টায় খুব আপন ভাবে বলে ঢাকা তো খুব সুন্দর। ৬৭ - ৬৯ আমি ঢাকায় ছিলাম। আব্বিজান ছিলেন পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তে। তার চেহারার দিকে তাকিয়ে আমার বমি চলে আসে। এর বাবারই কোন উদ্ধ অধ বা সহকর্মী আমার বোনের মতো কাউকে রেপ করেছে বিনা দ্বিধায়। একঝটকায় তার চোখে আমি অপারেশন সার্চলাইট দেখতে পাই। মাথায় খুন চেপে যায়। গোপনে বোন কে বলি তার খাবারে বিষ মিশিয়ে দাও। দেশের প্রতি ঋণ শোধ হোক কিছু। সে আমার সেন্স অফ হিউমারের নিন্দা করে।

মাঝে মাঝে পাকিস্তানিরা খুব আপন ভঙ্গীতে কথা বলে আমার সাথে তাদের ভাষায়। এবং দুঃখ পায় আমার ভাষা না জানা নাদানিতে। কত অবাক বিস্ময় তাদের। বাংগাল বেরাদর আর উর্দু জানেনা?? প্রথাম প্রথম আহত হতাম। এখন হইনা। নারাজ হই। অনেক অনেক নারাজ হই। কোথায় যেন শুনেছিলাম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর এপিটাফ লেখা উর্দুর পাশে বাংলায়। দিল চায় তাদের কে একই কবরে পাঠিয়ে বাংলা শেখাই।

আজ পর্যন্ত আমি এমন কোন পাকিস্তানি দেখিনি একাত্তর নিয়ে যার বিন্দু মাত্র কোন অনুশোচনা আছে। বরং আছে কিছু অনুতাপ। কেন ইস্ট পাকিস্তানকে ধরে রাখা গেলনা!!!

কত কত অযুহাত তাদের। একাত্তরে পুরো দেশকে অন্ধকারে রাখা হয়েছিল। কিছুই জানতে দেয়া হয়নি। তারপর?
তাদের ছেলে মেয়েরা কি পাক সার জামিন সাদ বাদের পর আর শোনেনি কোন গান? ইকবালের পর আর শোনেনি কোন কবিতা? তবে কেন তারা দেখতে পায়না আমাদের মার্চ আমাদের ডিসেম্বর ?বাংলাদেশে যদি এক প্রত্যন্ত অন্চলে বেড়ে উঠতে পারে একজন আরজ আলি - যদি দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত আন্চলিক ভাষায় কাটিয়ে দেয়া কোন বৃদ্ধা গভীর আবেগে একাত্তরকে বলতে পারেন সংগ্রাম, তবে তারা কেন পারবেনা? পারবেনা। কারণ পারার স্পৃহা থাকতে হয়।

অনেক বিদগ্ধ আমাকে বোঝান আজকের প্রজন্ম তো আর যুদ্ধ করেনি। দোষ কোথায় তাদের?
কেন?দোষ থাকবেনা কেন? সেই প্রজন্ম ভালো কিছু করলে যদি তার অহংকার করা যায় তবে খারাপ কিছুর জন্য নেয়া যায় দায়ও।
আর দেশ কোন একক ব্যাপার নয়। যেই দেশের নাম আমার নামের সঙ্গে যুক্ত সেই দেশের গৌরব - লজ্ঝা সব কিছুর সাথে নিজেকে জড়াতে হয়।
তাও সহ্য করতাম যদি খারাপ কে খারাপ হিসেবে মেনে নিতো।
পূর্বপুরুষের অন্যায় স্বীকার না করে তাদের চেয়েও বড় অন্যায় করে চলেছে তারা।

কেউ আমাকে রুঢ় ভাবুক,পরোয়া করিনা। কোন যুক্তিতেই পাকিস্তানের প্রতি ঘৃনা কমবেনা। বরং নিজেকেই নিজে বলে যাবো। লেটস হেইট পাকিস্তান। লেটস হেইট পাকিস্তান ইভেন মোর

[এই লেখটা মার্চের খুব মেজাজ করা একটা সময়ে লেখা। প্রকাশ করিনি উগ্রতা প্রকাশ পায় বলে। মুছে দেইনি সচলে দ্বিতীয় লেখা বলে একধরনের মমতায়। আজ প্রকাশ করলাম। লেখার ভাষা কাউকে আহত করে থাকলে দুঃখীত]

প্রিয় টিকটিকির ল্যাজ
আপনার লেখার শেষে 'ভেবে দেখতে' বলা অংশ টুকু বোধহয় আমাকে উদ্দেশ্য করে। ভেবে দেখলাম।

'হোয়াই ডিড ইউ ফাইট উইথ আস'? এই প্রশ্নটা তারা বাঙালি রুমমেট কে করতে পারে, কিন্তু কি আশ্চর্য একটু নেট ঘাটতে একটু বই পড়তে পারেনা।

বৃটিশদের নির্মমতার কোন তুলনা নেই। কিন্তু ২০০ বছরে তারা কি ৫৫, ৫৯৮ বর্গমাইলের ৩০ লক্ষ মানুষকে মারতে পেরেছিল, যেটা পেরেছে মহান পাকিস্তান মাত্র নয় মাসে?
আমি বৃটেনে থাকি। বৃটিশ বন্ধুদের যখনি তাদের পূর্বপুরুষের করা অন্যায়ের কথা জানাই, বেশীরভাগই জানে, দুঃখ প্রকাশ করে, বৃটিশ রাজত্বের প্রতি এফ ওয়ার্ড ছুড়ে দেয়। যারা জানেনা তারা হা হয়। সেই কাজের স্বপ্ক্ষে যুক্তি দেয়না।
না বৃটিশদের আমি ঘৃনা করিনা। কেউ তাদের কাজের জন্য ক্ষমা চাইলে ঘৃনা করার প্রশ্নই আসেনা।

আমেরিকাকে আমি চরম অপছন্দ করি। তাদের ইরাক নীতির জন্য যতটা ঠিক ততটাই তাদের সরকারের একাত্তরে বাংলাদেশ বিরোধীতার জন্য। না । তাদেরো ঘৃনা করিনা। তাদের জর্জ হ্যারিসন আমাদের জন্য একটা অবিস্মরনীয় গান রেখে গেছেন। তারা নিজেরাও ইরাক নীতির প্রতিবাদ করে।
আর আরেকটা কথার জন্য আপনি এবং অন্য সবাই হয়তো আমাকে চরম অপছন্দ করবেন। তবুও বলছি।
ইরাক বা আফগান নীতির জন্য আমেরিকাকে বাস্টার্ড ছাড়া আর কিছুই বলা যায়না। আফগানিস্তাবের জন্য কোনদিন যদি কিছু করতে পারি, নিশ্চয়ই করবো। তবু তাদের বাংলাদেশ নীতি আমাকে যতটা আক্রান্ত করবে, আফগান নীতি ততটা করবেনা। কারণ বাংলাদেশ আমার দেশ। আপনি আমাকে স্বার্থপর বলতে পারেন। বলুন। কি করবো বলুন। আমি বিশ্বনাগরিক হবার আগে বাংলাদেশের নাগরিক।

ভারতের বিরুদ্ধে এতো কথা বলার সময় কিন্তু আপনি একবারের জন্যও একাত্তরে ভারতের ভুমিকা সম্পর্কে কিছু বলেননি। এই একটা দেশ নয় মাস আমাদের শরনার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে, 'মেলাঘর' দিয়েছে। কী করে ঘৃনা করবো তাদের বলুন?
ফারাক্কা বাধ নিয়ে যতটা দায়ী ভারত তারচেয়েও বেশী দায়ী আমাদের নতজানু পররাষ্ট্র নীতি।
বাবরী মসজিদ ভাঙা আপনার চোখে পড়ে, এদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর করা অতাচার চোখে কি পড়েনা? আমরা এত হিন্দু ভেঙেছি, সেই ভাঙা টুকরো দিয়ে পুরো পৃথিবীকে বাবরী মসজিদ বানিয়ে দেয়া যাবে।

আমার লেজটা সোজা করতে পারলামনা টিকটিকির ল্যাজ, কি আর করবো বলুন স্যরি বলা ছাড়া?

ধুসর গোধুলী, সেই এয়ারফোর্স পাইলটকে স্যালুট। কিন্তু বাকি পাইলটেরা? আপনাকে ব্লগের মাধ্যমে বন্ধু বলে জানি। আমার বন্ধুকে যে সাহায্য করেছে তাকে কৃতগ্গতা জানাই। এই অসাধারন পরিবারকে ঘৃনা করার প্রশ্নই আসেনা। কোনরকম বিদ্বেষ থেকে নয়, জেনারেলি জানতে চাইছি একাত্তর সম্পর্কে তাদের ভাবনা কী?

পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়িদের ওপর করা অত্যাচার আমার করা। যেহেতু আমি বাঙালি। এজন্য কোন পাহাড়ি যদি আমাকে ঘৃনা করে, আমি কিন্তু তাকে বিন্দুমাত্র দোষ দেবোনা। বরং নতজানু হয়ে ক্ষমা চাইবো। মাস্টার্সের ডিসারটেশন ছিল বাংলাদেশের আদিবাসিদের ওপরে। অনেক কথা প্রফেসর গ্রহন করেননি রেফারেন্স দিতে পারিনি বলে। সেখানে একবার জানিয়ে ছিলাম, আবার বাংলাদেশের সমস্ত আদিবাসীর কাছে ক্ষমা চাই।
এই অন্যায়ের প্রতিকার আমরা করতে পারিনি। সেজন্য ল্জ্জার শেষ নেই। কিন্তু সেজন্য অন্যকোন অন্যায়ের প্রতিবাদ বা প্রতিকার কি করতে পারবোনা? সে কথা আমি মানতে রাজী নই।

পাকিস্তানী পন্য ব্যাবহারের প্রশ্নই ওঠেনা। যেহেতু আমার তাদের পন্য বর্জনের সুযোগ আছে। যাদের সুযোগ নেই তাদের অনুভুতির প্রতি আমার কোনরকম অশ্রদ্ধা নেই। দয়া করে তারা আমার লেখাকে ভুল বুঝবেননা।

একাত্তর নিয়ে তর্কে আমার এক পাকিস্তানী কলিগ বলেছিল, তারা তো আর যুদ্ধ করেনি, করেছিল তাদের বাবা দাদারা, তারা কেন ক্ষমা চাইবে?
আমি বলেছিলাম, ৯২এর বিশ্বকাপেওতো তুমি খেলোনি, সেটা নিয়ে উচ্ছাস কেন? ব্যাপারটা ব্যাক্তির নয়, দেশের। দেশ এমন একটা ব্যাপার, যার সবকিছুর জন্য দায়-গর্ব নিতে হয়।

প্রিয় শিক্ষানবীশ। আপনি আপনার বাবা মার আদর্শে উজ্জিবীত হলে আপনাকে ঘৃনা করতাম। আপনি তা করেননি। আপনাকে ভালোবেসে শ্রদ্ধা করে আমি নিজেই বরং নিজের কাছে কৃতগ্গ হবো। আপনাকে অভিবাদন।
পাকিস্তানের বেশীরভাগ ছেলেমেয়েই কিন্তু এই কাজটা করেনি। না আপনার বয়সী না আমার বয়সী। তারা তাদের অবস্থান ঠিক রাখলে আজ এই লেখার প্রয়োজনই হতোনা।।

পকিস্তানিদের সাথে বাংলাদেশ বিষয়ে আরো যেসব তিক্ত অভিগ্গতা আছে, সেসব বললামনা। এমনিতেই লেখা বড় হয়ে গেছে। তাছাড়া বারবার ঘৃনার চর্চা করতে ভালো লাগেনা।

ছোটবেলায় ভাব সম্প্রসারন পড়তাম। পাপী কে নয়, পাপ কে ঘৃনা কর। তাই হয়তো করা উচিত। কিন্তু পাপ জিনিসটা পাকিস্তান এবং পাকিস্তানী এমন ভাবে ধারন করে আছে, আমার ক্ষুদ্র মানসিকতায় পাকিস্তানের সবকিছুকে ঘৃনা করা ছাড়া আরকোন উপায় নেই।

কোন একদিন যদি পাকিস্তান বাংলাদেশের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চায়। কোনএকদিন যদি আমাদের শহীদদের তারা কফের বেইমান না ডাকে। সেদিন আমিও একটা লেখা লিখে আজকের লেখার জন্য পাকিস্তানিদের কাছে ক্ষমা চাইবো। তার আগে নয়। কথা দিলাম


মন্তব্য

রানা মেহের এর ছবি

এ লেখা লেখার জন্য কাজ থেকে দুঘন্টার ছুটি নিয়েছি।
এখন ছুটতে হবে।
কেউ যদি মন্তব্য করেন, রাতের আগে উত্তর দিতে পারবোনা।
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

পরিবর্তনশীল এর ছবি

এই লেখার প্রত্যেকটা অক্ষরকে শ্রদ্ধা জানাই।
পাকিস্তানের নতুন প্রজন্ম তাদের অতীত ইতিহাস সম্পর্কে কিছুই জানে না-
এই কথা আমার কাছে 'ফালতু'।

লিখলেন অবশেষে।

আরেকদিন কাজ থেকে ছুটি নিয়ে একটা গল্প লিখে ফ্যালেন। অপেক্ষায় থাকলাম।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

হিমু এর ছবি

বিভিন্ন পাকি-ফোরামে দেখবেন কিভাবে নতুন প্রজন্মের পাকিরা তাদের নিজস্ব প্রোপাগান্ডা-মেশিনের রেফারেন্স দিয়ে বাঙালিকে গাদ্দার বানানোর জন্যে উঠে পড়ে লাগে। শুধু তা-ই না, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে টিউবগুলোর নিচে মন্তব্য দেখবেন, কোন না কোন পাকিছানা এসে তাতে মূত্রত্যাগের চেষ্টা করে।

বহুদিন আগে আকবর বুগতির হত্যাকান্ডের পর আমার অন্য একটি ব্লগে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলাম, বালুচদের সাথে সহমর্মিতা জানিয়ে। কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখলাম কয়েকজন অচেনা বালুচ এসে ধন্যবাদ জানালেন, অভিনন্দনও জানালেন আমরা নিজেদের স্বাধীন করতে পেরেছি, দুঃখ করলেন তারা তা করতে পারেননি বলে। বালুচিস্তান পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় প্রদেশ, সবচেয়ে খনিজসম্পদসমৃদ্ধ প্রদেশ, সেখানে তারা কয়েক দশক ধরে ডি ফ্যাক্টো সামরিক শাসন চালু করে রেখেছে। এ নিয়ে পাকিরা একটা কথা বলে না, প্রসঙ্গ উঠলে ঘেউ ঘেউ করে ওঠে।

ইসলামাবাদ শহরটা তৈরি হয়েছে পূর্ববাংলার পাট রপ্তানির টাকায়। পাকিস্তানি জাতি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় নিমকহারাম জাত। প্রতিটা পাকি বাঙালির কাছে ক্ষতিপূরণের দায় মাথায় নিয়ে ঘুরছে।

এই সেই পাকি সেনাবাহিনী, যারা কঙ্গোতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে সোনার বিনিময় বিদ্রোহীদের হাতে অস্ত্র তুলে দেয় এখনো, যে একই অস্ত্রের হামলায় আমার বাংলাদেশের ৯ সেনারা নিহত হয়। এরা কি মানুষ হবে কখনো?

রানাকে ধন্যবাদ লেখাটার জন্য। তবে শিরোনামটা দেখে মেজাজটা গরম হয়ে গেলো। দুনিয়ার সবচেয়ে বড় বদমাইশদের দেশের নাম পাকিস্তান, কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন।


হাঁটুপানির জলদস্যু

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

দুনিয়ার সবচেয়ে বড় বদমাইশদের দেশের নাম পাকিস্তান, কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন।
ভগবানের লীলা বোঝা বড় দায়।

এর আগেও কোথায় যেন মন্তব্য করেছিলাম যে স্বভাবের কারণেই হয়তো কোনদিনও ওদের শান্তি আসবেনা। নিমকহারামি করে সহজে কেউ পার পায়না।

সবজান্তা এর ছবি

নীরবে শুধু লেখকের প্রতি একরাশ শ্রদ্ধা জানিয়ে গেলাম।

আর কেউ থাকবে কি না জানি না, তবে শেষ দিন পর্যন্ত এই পাকি ঘৃনায় আপনি আমাকে পাশে পাবেন।


অলমিতি বিস্তারেণ

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- পাকিদের (কিংবা ভারতীয়দের) সঙ্গে আমার কথা তেমন আগায় না প্রধানতঃ দুইটা কারণে।
১. আমি কখনো তাদের ভাষায় কথা বলি না। হয় ইংরেজী নয় জার্মান- এই দুইকে আমি অগ্রাধিকার দিই। আমার প্রথম শীতল ইন্ট্রোডাকশনেই অনেকে উৎসাহ হারিয়ে ফেলে। কথা আগায় না। অথচ আমি ওদের ভাষাটা পারি বেশ ভালোই, কাজ চালানোর মতো না, বরং বেশ ভালো একটা দখল নিয়েই। এটা গর্ব করার জন্য না। শুধু রেকর্ড রাখার জন্য বললাম।

২. আমার সামনে কেউ ইস্ট পাকিস্তান বললে আমি সরাসরি অবিভক্ত বাংলার কথা বলি। আমি ভারতবর্ষের কথা বলি। দেশ বিভাগের হুজুগে আমাদেরকে জোর করে পাকিস্তানের সঙ্গে সাঁটিয়ে দেয়া হয়েছে, যেখানে কিনা আমরা তাদের চেয়ে আলাদা তো বটেই আমাদের সংস্কৃতির নিজস্ব একটা ধারা বিদ্যমান। ভারত বা পাকিস্তানের সঙ্গে যেটা একেবারেই যায় না। তাও আমরা বলী হলাম দ্বিজাতি তত্বের। এর পরেও কেউ "স্টিল ইস্ট পাকিস্তান" টাইপের কথা বললে মুখটা খারাপ করি কপালে ভাঁজ ফেলে। শুধু বলি, "জাস্ট ফাক অফ...!"

এর পরেও যখন কোনো পাকিস্তানীর সঙ্গে ধুসর গোধূলি'র বন্ধুত্ব হয়। একটা মায়াময় সম্পর্কের উষ্ণতা ছড়িয়ে যায় তীব্র ঘৃণার মাত্রাকে ছাড়িয়ে, তখন কি সেটা সহজেই অনুমিত নয় যে তাঁর কিংবা তাঁর পরিবারের অবস্থান একাত্তর বা বাংলাদেশ সম্পর্কে কী, প্রিয় রানা মেহের!

একটা অপ্রাসঙ্গিক কথা বলি। বিঁভুইয়ে আমার বন্ধুরা প্রথম দিনই বলে দিয়েছিলো পাকি আর ভারতীয় থেকে তফাতে থাকতে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম সপ্তাহে কম্পিউটার ল্যাবে একজন ভারতীয় আরেকজন নেপালী মিলে আমাকে দেখিয়ে আমার বন্ধুকে নানা কথা বলছিলো। আমার বন্ধু বার কয়েক বলেছে ইংরেজীতে কথা বলতে। ওরা দাঁত কেলিয়ে হেসেছে, শোনে নি। এক পর্যায়ে যখন আমার ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটেছে, সামনের কী বোর্ড খুলে ছুঁড়ে মেরেছিলাম তাদের প্রতি। সাথে একটা প্রচ্ছন্ন হুমকিও ছিলো, "ফ্রম নাউ অন ইউ গাইজ বেটার বি কেয়ারফুল!" অন্য সব পোলাপাইনের সঙ্গে পাকি-ভারতীয়-নেপালী ছেলেরা হাংকিপাংকি করলেও আমাদের ৫ জনের সঙ্গে আর কখনো মাথা উঁচু করেনি।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

বিদেশে প্রথম যখন আসি তখন এক পাকিস্তানি (আমার থেকে ১০ বছরের বড়) হয়েছিল আমার বড় ভাইয়ের মত। আর এক দক্ষিণ-ভারতীয় হয়েছিল আমার জীবনের সেরা বন্ধু (এখনো তাই মনে করি)। তারা দুজনেই ছিল আমার সহপাঠি।

ফরচুনেটলি কারো সাথেই ইংরেজী ছাড়া কথা বলতে হয়নি। তারাও চেষ্টা করেনি, আর আমি তো ওদের ভাষা জানিই না।

টিকটিকির ল্যাজ এর ছবি

'ভেবে দেখতে' - কথাটা আপনাকে উদ্দেশ্য করে কখনই নয়। ভুল বুঝবেন না। আবার সবাইকে উদ্দেশ্য করে যেহেতু, তার ভেতর আপনি আমি সবাই আছি।

পাপকে ঘৃনা করা পাপীকে নয়, এপ্রসঙ্গে আমার নিজস্ব চিন্তাভাবনা আছে। যতক্ষণ পাপী তার পাপকে উপলব্ধি না করতে পারে, ক্ষমা না চায় বা একই পাপ বার বার করে, ততক্ষণ ঘৃনা করার ব্যাপারে আমি পাপ আর পাপীকে আলাদা করার কোন কারণ দেখি না।

শিক্ষানবীশের জন্য কিছুটার শ্রদ্ধা প্রকাশ না করে পারছি না। জন্মগত কারণে একটা কিছু অনুসরণ করাটা সহজ। জেনে বুঝে সেটা থেকে বেরিয়ে এসে সঠিক পথ খুঁজে পাওয়াটা অনেক বেশি মর্যাদার।

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

সুপ্রিয় রানা মেহের,

অসাধারণ! আমারই মনের কথা যেন। কিন্তু এতো চমত্কারভাবে তা প্রকাশ আমি করতে পারতাম না। আপনার মতোই আমারও পাকি প্রশ্নে সমস্ত যুক্তিবাদ, মানবিকতাবোধ বিকল হয়ে যায়। সবজান্তার মতোই বলি, "শেষ দিন পর্যন্ত এই পাকি ঘৃনায় আপনি আমাকে পাশে পাবেন।"

অপরিমেয় শ্রদ্ধা রইলো আপনার জন্য।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
Life is what happens to you
While you're busy making other plans...
- JOHN LENNON

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

তানভীর এর ছবি

আমি এ পর্যন্ত যত পাকি দেখেছি, সবই বদমাইশ এবং ভন্ড। এরা ধর্ম জিনিষটাকে খুব রিচুয়ালি দেখে। নামাজ পড়লাম, সালাম ফিরালাম, হালাল-হারাম নিয়ে অকারণে গ্যাঞ্জাম করলাম; ব্যস, ধর্ম জিনিষটা ওইখানেই শেষ। এরা ব্যবসা করার সময় ঠগবাজি করবেই, আপনি একটা পাকির কাছ থেকে কোন জিনিষ কিনবেন, নিশ্চিত জানবেন ওইখানে কোন দুই নাম্বারি ব্যাপার আছে। সে ওই দুই নাম্বারি ব্যাপারকেও তার মনমতো ধর্মের ব্যাখা দিয়ে হালাল করে নেবে। আমার আগের শহরে এক নামকরা পাকি প্রফেসর আছে। খুব ধার্মিক। ঈদের নামাজ সে সবসময় চাঁদ দেখে পড়ে, দরকার হলে একলা জামাতে পড়ে। বাংলাদেশ থেকে এক লোক এসে একবার মসজিদে উঠলো। তার চলাফেরার জন্য গাড়ী দরকার। পাইক্কা বললো, তার এক্সট্রা গাড়ী আছে, সে দিতে পারবে। এমন ভাব করলো যেন দরদী হয়ে ফ্রি দিয়ে দিচ্ছে। পরে ওইদিন রাতেই সে এগারাশো ডলার নিল-বলল ‘আমি এখনই টাইটেল ট্রান্সফার করে দিচ্ছি, কাল থেকেই তুমি ব্যবহার করতে পারবে, খুব ভালো গাড়ি, একটু শুধু মাইনর এক্সিডেন্ট হয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি’। মুরুব্বী মানুষ, আমরা ভাবলাম আসলেই ভালো গাড়ি, এগারোশ ডলারে ভালো ডিল হইছে। পরদিন সে তার গাড়ি নিয়ে আসল- যার একপাশ এক্সিডেন্টে পুরো চেপ্টা হয়ে গেছে, দরজাও খোলা যায় না, ওইদিকের সিটেও বসা যায় না। আর এইরকম এক্সিডেন্ট যে গাড়িতে হয়, তার আয়ুও বেশিদিন থাকে না। কি আর বলব, পুরা থ হয়ে গেলাম। ওই লোক দেশ থেকে নতুন আসছে, কতই বা টাকা আছে তার কাছে। আর তুই পাইক্কা, এমন করে তাকে ঠকালি! আর বলিস যে তোর নামাজ কবুল হবে! দেশি ভাই বলল, গাড়িতে বেশি ড্যামেজ, এটা সে নিতে চায় না। পাইক্কা তখন রাগারাগি- সে সাক্ষী রেখে ডিলিং করছে, সে সহি! আরে ব্যাটা তুই বলছিস যে গাড়ির একপাশ পুরো চেপ্টা হয়ে গেছে? এইটা কি মাইনর ড্যামেজ হইলো! ব্যাটা কিছু কয় না। খালি কয়, এখন ডিল হয়ে গেছে, কিছু করার নাই।

এই হলো পাকিস্তানী। এইরকম উদাহরণ আরো অনেক দিতে পারব। খালি আওয়াজ দিয়েন। যারা বলে এইগুলা সরলীকরণ, পাইক্কাদের মধ্যেও ভালো মানুষ আছে- খুবই ভুল কথা। যেইগুলারে ভালো মনে হয়, সেইগুলা আসলে ভেক ধইরা থাকে এই প্রফেসরের মতো। ওই আসমা জাহাংগীর, নুসরাত ফতেহ আলি সব একই মাল। ব্যক্তিগত ডিলিংসে গেলে এদের মুখোশ খুইলা পড়ে, যেমন করে এদের জাতিগত মুখোশ খুলে পড়েছিলো একাত্তরে। পৃথিবীতে গিরগিটিসদৃশ এই একটা জাতিই শুধু পয়দা হইছে তাতে কোন সন্দেহ নাই।

রানা মেহেরের পোস্টসূত্রে পৃথিবীর সব পাক্কুর মুখে একদলা ভার্চুয়াল থু থু দিলাম। থু।

= = = = = = = = = = =
ঊষার দুয়ারে হানি আঘাত
আমরা আনিব রাঙা প্রভাত
আমরা ঘুচাব তিমির রাত
বাধার বিন্ধ্যাচল।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- তানভীর ভাই, এক দলাতে তো হবে না। কমসে কম কয়েক হাজার পিপা ভর্ত্তি থু লাগবো, তাইলে যদি তোবারকের মতো একটু একটু কইরা দেওয়া যায়। হালারা জনসংখ্যায় কম না কৈলাম! দেঁতো হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

তানভীর এর ছবি

ভার্চুয়াল থুথু তো। কোন পিপা লাগবো না। কপি-পেস্ট করে সবাইরে এক দলা করেই দিসি দেঁতো হাসি

= = = = = = = = = = =
ঊষার দুয়ারে হানি আঘাত
আমরা আনিব রাঙা প্রভাত
আমরা ঘুচাব তিমির রাত
বাধার বিন্ধ্যাচল।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

দুই'তিনবার পোস্টটাতে ঢুকেও কী মন্তব্য করবো ভেবে না পেয়ে বেরিয়ে গেছি। শুধু বলতে চাই, অসাধারণ! আপনার লেখার প্রতিটা শব্দ যেন হৃদয় দিয়ে অনুভব করলাম। বিভিন্ন পোস্টে কমেন্ট আর আপনার অসামান্য গল্পটার বাইরে, আজকের এই লেখার জন্য আপনাকে খুব আপন বলে মনে হচ্ছে। আপনাকে শ্রদ্ধা জানাবার ভাষা আমার জানা নেই। একাত্মতা প্রকাশ করে জানাতে চাই, পাশে আছি...

প্লিজ, নিয়মিত লিখুন।

অতিথি লেখক এর ছবি

এই পোষ্টে আপনি কথা গুলো যে ভাবে সাজিয়ে বলেছেন তা ব্লগের অনেক দারুণ দারুণ গল্প কবিতার থেকেও অসাধারণ আর এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই । লিখুন আর বেশি করে । আবার দেখা হবে আপনার এমন কোন লেখায় ।
নিবিড়

Ami এর ছবি

Bhalo. Onek bhlao.
Nice declaration.

Durba ghash

কামরুল হাসান এর ছবি

শুধুমাত্র নিমকহারাম গুলিকে একটা গালি দেয়ার জন্য লগ ইন করলাম। নইলে নীরবে সবার লেখা পড়ে যেতেই আমার ভালো লাগে।

পাকিস্তানীরা বেজন্মা।

"শেষ দিন পর্যন্ত এই পাকি ঘৃনায় আপনি আমাকে পাশে পাবেন।"

আমাকেও।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

হ এইটাই...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অনিকেত এর ছবি

ভাই রানা,

আপনার বুকের আগুন আমাকেও ছুঁয়ে গেল,পুড়িয়ে দিয়ে গেল।

শুধু এইটুকুই বলার।

অসাধারন এই লেখার জন্য ত্রিশ লক্ষ তারা---

বজলুর রহমান এর ছবি

আমার গুরুদেব কাজী মোতাহার হোসেন ছিলেন বাংলাদেশে মুক্তবুদ্ধি এবং রবীন্দ্রচর্চার পুরোধা। বিদ্রোহী কবিরও সুহৃদ। তাঁর ক্লাসে একবার বলছিলেন সব-ই সম্ভাবনার খেলা। কেউই সম্পূর্ণ খারাপ নয়, আবার কেউ নিখাদ সোনা নয়। শুনেছি আরো বুড়ো বয়সে একবার তাঁকে সোহরাওয়ার্দীর স্মরণ সভায় ডাকা হলে তিনি বলেছিলেন ইনি সম্পূর্ণ ভালো মানুষ না হলেও ৮৫% ভালো ছিলেন। এটা শুনে শ্রোতাদের মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়, কিন্তু তিনি কানে একেবারেই শুনতেন না, নিজের মনে ব্যাখ্যা করে গেলেন উপস্থিত সবাইকে লজ্জা দিয়ে।

অবশ্য স্যর একথাও ক্লাসে আমাদের বুঝিয়েছিলেন, সব পপুলেশন এক রকম নয়, একেকটার গড় আর ভ্যারিয়েন্স একেক রকম, সাধারণত।

আদিত্য এর ছবি

কাজী মোতাহার হোসেন, শুধু এই লোকটার উদ্বৃতি মন্তব্য করার জন্য চলুক

...এখনো খুঁজি এর ছবি

"পাকিস্তানী পন্য ব্যাবহারের প্রশ্নই ওঠেনা। যেহেতু আমার তাদের পন্য বর্জনের সুযোগ আছে। যাদের সুযোগ নেই তাদের অনুভুতির প্রতি আমার কোনরকম অশ্রদ্ধা নেই। দয়া করে তারা আমার লেখাকে ভুল বুঝবেননা।"

আমার বুকেও একই আগুন আছে!

কবি এর ছবি

এই সেই পাকি সেনাবাহিনী, যারা কঙ্গোতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে সোনার বিনিময় বিদ্রোহীদের হাতে অস্ত্র তুলে দেয় এখনো, যে একই অস্ত্রের হামলায় আমার বাংলাদেশের ৯ সেনারা নিহত হয়। এরা কি মানুষ হবে কখনো?

হিমু ভাই, এইটা তো বিরাট ঘটনা।
একটু রেফারেন্স দেবেন কি?

হিমু এর ছবি

যাবে। আপনি আমার এই পোস্টে দেখতে পারেন। তবে ওখানে বিবিসির মূল খবরের ইউআরএল সংযোগ করা হয়নি। আপনি মে ২৪ বা মে ২৫, ২০০৭ এ বিবিসি ওয়ার্ল্ডের খবর সার্চ করে দেখতে পারেন।


হাঁটুপানির জলদস্যু

নিঝুম এর ছবি

ফাকিংস্তানিদের নিয়ে লেখায় যুক্ত হতে পারব না । তাতে আর বাঁধ মানছিলো না ।
কথা এক্টাই । পাকিস্তানি মানে কুত্তার বাচ্চা । খতম ।
--------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

রানা মেহের এর ছবি

পরিবর্তনশীল - অনেক ধন্যবাদ
আসলে আমাদের নাদান পাকিস্তানী প্রজন্ম তদের অতীত সম্পর্কে জানেনা। তারা জানবেনা। কোনদিন জানবেনা। নিজেদের কুয়াকেই সমুদ্র ভেবে গাদ্দার বাঙ্গাল মুলুককে দোষ দিয়ে জীবন কাটাবে।

অতন্দ্র প্রহরী - আপনাকে পাশে পেয়ে ভালো লাগছে। সত্যি বলছি খুব ভালো লাগছে

সংসারে এক সংসারী - আমি জানতাম আর কেউ না আসুক না আসুক, আপনি আসবেন। আপনার চিন্তাধারার জন্য শ্রদ্ধা

অনিকেত - 'ত্রিশ লক্ষ তারা'এরকম সুন্দর অভিনন্দন অনেকদিন কেউ দেয়নি।

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

অমিত আহমেদ এর ছবি
রানা মেহের এর ছবি

হিমু - অনক ধন্যবাদ হিমু। এ লেখাটা লেখার সময় বারবার কেন যেন হুমায়ুন আজাদের কথ মনে পড়ছিল। শিরোনামটা তাই দেয়া।

ধুসর গোধুলী - সেই পরিবারকে আবারো শ্রদ্ধা। সাথে আপনাকে। আপনার অবস্থানকে

প্রকৃতিপ্রেমিক - ধন্যবাদ। এতোকিছুর পরও মনে হয় তারা শান্তিতে থাকুক। তারা শান্ত থাকলে পৃথিবীর অশান্তি অনেক কমে যাবে

সবজান্তা - আপনার কথা অনেক সাহস দিল। আপনিই সম্ভবত পাকিস্তানকে নিয়ে একবার কথা বলে অনেক বিরোধীতার সম্মুখীন হয়েছিলেন। সেদিন আপনার পাশে দাঁড়াতে পারিনি। ক্ষমা করবেন

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

রানা মেহের এর ছবি

তানভীর - আপনার কথায় একটা ঘটনা মনে পড়লো।
৬/৭ বছর আগে এক স্বাধীনতা দিবসে আমি, মান্না আর আপেল ভাইয়া মিলে ঘুরছিলাম।
চারপাশে শুধু জামাত এর লোকজনের করা জমকালো দোকান দেখে মেজাজ খুব খারাপ। এমনিতে এই দোকানগুলোতে কখনো যাওয়া হয়না। হঠাত প্ল্যান হলো আমরা তিনজন এই সবগুলো দোকানে যাব। গিয়ে থুথু দিয়ে আসবো।
সেদিন ছিল মোটামুটি বৃষ্টি। পায়ে রাজ্যের কাদা মেখে আমরা এইসব জামাত বিতানে গেলাম এবং থুথু দিয়ে আসলাম।
ওইদিন খুব দুঃখ হয়েছিল পাকিস্তানে গিয়ে এরকম করা যায়নি বলে

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

রানা মেহের এর ছবি

নিবিড় - অনেক ধন্যবাদ। ব্লগের অন্যান্য দারুন দারুন লেখার মতো লিখতে পারলে তো হয়েইছিলো কাজ

আমি - তোমারে যা দিয়েছি সে তোমারি দান

বজলুর রহমান - আপনার কথা বুঝতে পারিনি

নজরুল ইসলাম - আপনাদের কর্মসূচি সফল হোক

কামরুল হাসান - ধন্যবাদ। আপনিই কি অলৌকিক হাসান?

এখনো খুঁজি - অনেক ধন্যবাদ। আমরা সবাই পাকিস্তানী পন্য বর্জন করলে অনেক ঝামেলা কমে যেতো

কবি - অনেক ধন্যবাদ

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

আলমগীর এর ছবি

রানা
সাহস আছে আপনার।

বজলুর রহমান - আপনার কথা বুঝতে পারিনি

বজলু ভাই সম্ভবত বলতে চেয়েছেন পাকিস্তানিদের চরিত্রে খুব বেশী ফারাক। ভাল মানুষের সংখ্যা কম।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

জাতিগত বিদ্বেষ নিয়ে ভাববার অবকাশ আছে , কিন্তু যখন দেখি পাকিস্তানী ভাই(!)দের জন্য অনেক যুক্তিটুক্তি হাজির করে , আমাদেরকে ঘৃণা না পুষে রাখার উপদেশ দেয়া হয় , তখন বেশিরভাগ সময়েই ক্রোধ হয় ।

ইদানিং এসব বিষয়ে কিছু বলতেও বাধে ।

এই লেখার পরে আর নতুন করে কিছু বলার নেই ।

নজমুল আলবাব এর ছবি

স্যালুট।

তোর কি মনে আছে আপার বিয়ের সময়ে পুরা বাজার খুঁজেও আমরা দেশি ওড়না পাইনি!!! বিয়ের ওড়না বলতেই পকিস্তানী মাল!!! সেটা আমরা নিচ্ছিনা দেখে দোকানদারগুলো কেমন চোখে দেখছিলো আমাদের।

আমরা যে ভুল সময়ে ভুল যায়গায় জন্মাইছি এই কথাটার লগে কি তুই একমত হবি? কিছু একটা হওয়া কিন্তু ফ্যাশন হয়ে গেছে দশ বছরের মাথায়...

আরও যদি বিশটা বছর আগে জন্মাইতাম।

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

রানা মেহের এর ছবি

অমিত - ধন্যবাদ

নিঝুম - আপনি এসেছেন খুব ভালো লাগছে
আবার চলে যাবেন না যেন

আলমগীর - সাহস কোথায় আর। কিছুই করতে পারলামনা ব্লগ লেখা ছাড়া। ছবিতে আপনাকে খুব সুন্দর লাগছে!!!

আরিফ ভাইয়া - শান্তির অমর বাণী শুনতে গিয়ে আমরা বারবার অতীত বর্তমান ভুলে যাই। যেন ভালোবাসা বিলানোর দ্বায়িত্ব শুধু একা বাঙালির। তুমি কথা বলেছো দেখে শান্তি লাগছে

অপু - এই পাকিস্তানি ওড়না দোকানদারের অদ্ভুত চোখ এগুলো বিশ বছর আগে কেমন ছিল বলতে পারবোনা তবে ২০ বছর পরও তেমন উন্নতি হবে বলে মনে হয়না। তবু তো তুই থাকবি। আমরা বড় আপার বিয়ের ওড়না কেনার জন্য দোকানে দোকানে ঘুরে বেড়াবো

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

শিক্ষানবিস এর ছবি

সবার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন, পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের কোন রকম পররাষ্ট্র সম্পর্ক রাখা উচিত বলে মনে করেন কি?

একজন [অতিথি] এর ছবি

পররাষ্ট্র সম্পর্ক রাখা উচিত, কারণ রাস্ট্রীয় ভাবে ক্ষমা প্রার্থনা, ক্ষতিপূরন প্রাপ্তি আর বিহারীদের ফেরত পাঠানোর সময় যাতে পাকিস্তান বলতে না পারে , বাংলাদেশের সাথে কোন পররাষ্ট্র সম্পর্ক নাই, তাই সম্ভব না।
(একান্ত ব্যক্তিগত মতামত)

Ami এর ছবি

Ms. Meher,
Would you please send me the link of that matter!???

Durba ghash

শান্তনু এর ছবি

দুনিয়াতে একটা জাতি দেখতে পারিনা...সেটা পাকি!!তবে আরও বেশি ঘৃণা করি দেশের ভিতরের "হারামজাদা" পাকি সন্তান্দের!
আপনার সবকথায় একমত!

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

"পাকিস্তানীদের আমি অবিশ্বাস করি - যখন তারা গোলাপ নিয়ে আসে, তখনও। ( হুমায়ূন আজাদ )"

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

"পাকিস্তানীদের আমি অবিশ্বাস করি - যখন তারা গোলাপ নিয়ে আসে, তখনও। ( হুমায়ূন আজাদ )"

ঝরাপাতা এর ছবি

অন্তরের অন্ত:স্থল থেকে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা। এরচেয়ে বিশুদ্ধ যুক্তি, স্পষ্ট উচ্চারণ হতে পারে না। এই পোস্টটা প্রিয়তে অ্যাড করলাম।


যে রাতে গুঁজেছো চুলে বেগুনি রিবন বাঁধা ভাট,
সে রাতে নরকও ছিলো প্রেমের তল্লাট।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . (আবু হাসান শাহরিয়ার)


বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।

রায়হান আবীর এর ছবি

প্রতিটি বর্ণের সাথে একমত। এতো সুন্দর করে গুছিয়ে লেখার জন্য ব্লগারকে একরাশ হিংসা।

=============================
তু লাল পাহাড়ীর দেশে যা!
রাঙ্গা মাটির দেশে যা!
ইতাক তুরে মানাইছে না গ!
ইক্কেবারে মানাইসে না গ!

রানা মেহের এর ছবি

শিক্ষানবীশ - পাকিস্তানের সঙ্গে পররাষ্ট্র সম্পর্ক রাখা উচিত।
রাষ্ট্রীয় সমস্যাগুলো কুটনৈতিক ভাবে ভাবে সমাধানের জন্যই
এই জিনিসটা দরকার।
'একজন' কে ধন্যবাদ
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

রানা মেহের এর ছবি

Ami - Khete khan. Self service!!!!

শান্তনু - ধন্যবাদ। আপনার কথার সাথে সহমত

শিমুল - ধন্যবাদ। লেখাটা লেখার সময় হুমায়ুন আজাদের কথা মনে পড়ছিল খুব।

ঝরাপাতা - অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভাগ্য ভালো সচলে 'অপ্রিয় পোস্ট' বলে কোন অপশন নেই। থাকলে যে আমার কী হতো।

রায়হান আবীর - ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

Ami এর ছবি

মানুষ মানুষকে সাহায্য করে আরকী...

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

অনেক আগে লেখা একটা রিলেটেড পোস্ট। যারা পাকিস্তানকে ঘৃণা করার জন্য 'যুক্তি' খোঁজেন এবং খুঁজে পান না, তাদের জন্য।

পোস্টের জন্য আপনাকে স্যালুট।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

olok এর ছবি

Apnara to judhhaporadhi der nie onek kichu korchen. amra 10 January Mirpur stadium e jabo Bangladesh vs Lonka'r khela dekhte. Thik kore okhane amader porone thakbe rajakar birudhi t-shirt. Ek shonge onek lok dekhbe-bujhbe. Hoyto tv cam o dekhe felbe. amader mota mathai etai kulieche. jodi ichche hoy chole ashen.

হিমু এর ছবি

অলক, আপনি কন্ট্রোল + অল্ট + পি চাপলে ফোনেটিক লেআউটে লিখতে পারবেন। কন্ট্রোল + অল্ট + ইউ চাপলে ইউনিজয় লেআউটে।


হাঁটুপানির জলদস্যু

রানা মেহের এর ছবি

অলোক
আপনার সাথে সরাসরি যোগাযোগের কোন পথ আছে কি?
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

এপ্রিল মাসের পোস্টঃ পোকাদের দল পাতকুয়ায় ফেরে
+ ৬ মাস
অক্টোবর মাসের পোস্টঃ পাক সার জমিন সাদ বাদ
+ ৬ মাস
এপ্রিল মাসের পোস্টঃ ???

অপেক্ষায় নাজির, কখন আসিবে এপ্রিল ২০০৯। লেখক লিখিবেন নতুন লেখা...

রানা মেহের এর ছবি

কষ্টে আছি আইজুদ্দীন দেঁতো হাসি
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

পলাশ দত্ত এর ছবি

রানা মেহেরের এই লেখাটি প'ড়ে আমার মনে পড়তেছে আনোয়ার সাদাত শিমুলের কথা। সে কি তার পাকমনপেয়ার লেখাটি শেষ করবে না!!!!!!!

সরি রানা, আপনার লেখায় এসে অন্যের সম্পর্কে মন্তব্য করে ফেললাম।। সরি।।

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

রানা মেহের এর ছবি

পলাশ দা
আপনার বিনয় দেখে আমি মোহিত হয়ে গেছি !!!
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

এপ্রিল মাস আসতে আরও ২৬ দিন বাকী।

নিথুয়া পাথারে নেমেছি বন্দুরে...

গৌরীশ রায় এর ছবি

আবার পড়লাম।
পাকিস্হান নিপাত যাক।

---------------
জাগরণে যায় বিভাবরী

'''''''''''
তৃপ্তি আমার অতৃপ্তি মোর
মুক্তি আমার বন্ধনডোর

অর্জুন মান্না [অতিথি] এর ছবি

এটা মে মাস। তারিখ ২০।

জি.এম.তানিম এর ছবি

অঞ্জন বলেছেন
"মে মাস গিয়ে কবে এপ্রিল হবে কেউ বলে দাও আমায়..."
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

ছায়ামূর্তি [অতিথি] এর ছবি

লেখা চাই। দিতে হবে। দিয়া দেন।

রানা মেহের এর ছবি

হাহাহাহাহাহা
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আস্ত একটা বছর চলে গেলো... মন খারাপ

সংসপ্তক এর ছবি

আজকে পড়লাম। অসাধারণ লেখা। পাকিদের মানুষ হিসেবে কোয়ালিফাই করতে দেরি আছে।

.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা

দেবজ্যোতি দাশ দেবু এর ছবি

রানা আপু অনেক দিন পর তোমার সেই ক্ষুর ধার লেখার স্বাদ পেলাম ।জন্ম থেকেই পাকি'দের ঘৃণা করছি,ভবিষ্যতেও করবো ।আমার শেষ নিঃশ্বাসটাও ওদের ঘৃণা ভরা গালি দিয়ে যাবে ।

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রিয় রানা মেহের আপু, অসাধারণ এই পোষ্টের জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা!
- আয়নামতি

rahil_rohan এর ছবি

স্যালুট

কিরিটি এর ছবি

অসাধারন। share করলাম।

ইশান এর ছবি

ভাই যারা কয় খেলার সাথে রাজনীতি মেশাণো ঠিক না,তাগো কি কমু?

মইনুল চৌধূরী এর ছবি

ঘৃণা তাদের জন্য যারা ইতিহাস কে অস্বীকার করে, আমাদের অর্জন কে শ্রদ্ধা করেনা, সম্মান জানায় না। অজ্ঞতা অপরাধ নয়, জানতে না চাওয়া টা পাপ।
ঘৃণা তাদের জন্যে ও যারা ৭১ তাদের নেতা/ পিতার জন্য আমাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলো, হত্যা, ধর্ষণ সহ যা কিছু পশুরা ও করবেনা তা করেছিলো। যারা আজ ও তাদের উত্তরাধিকারীদের পরিকল্পনা, স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য কাজ করেছে কিন্তু তাদের পৈতৃক মাটিতে না গিয়ে আমাদের বুকে বসে আমাদের পাঁজর খুঁড়ছে সেইসব পরগাছা, পরজন্মা দের জন্য।

নাজমুল হাসান এর ছবি

ভাইয়া অনেক অনেক ধন্যবাদ এই ধরণের একটা লেখা লেখার জন্য,
কোনোভাবে কি এক্কবার আপনার সাথে দেখা করতে পারি ??
আমার ইমেইল এডরেস

লন্ডণে আছি

স্মৃতিলেখা চক্রবর্তী এর ছবি

ও হ্যাঁ! পাকিস্তানি আর উত্তর ভারতীয় -তে কোন পার্থক্য পাবেন না। হিন্দি-উরদু ভাই ভাই।। ২ ভাষী- ই একই দর -এর বদমাইশ!
তবে দক্ষিন ভারতীয় -রা বাইরে গেলে কখনই ইংরিজি ছাড়া মুখ খোলে না। আর হিন্দি তো বলেই না!

কল্যাণ এর ছবি

গুরু গুরু পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।