পোকাদের দল পাতকুয়ায় ফেরে

রানা মেহের এর ছবি
লিখেছেন রানা মেহের (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৩/০৪/২০০৮ - ৫:১৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বেড়াল জিনিসটা সহ্য করতে পারিনা একদম ছোটবেলা থেকেই।
আব্বা যখন ছিলেন সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ঋদযন্ত্র দ্বিতীয়বার বন্ধ করে যন্ত্র নয় মানুষ প্রমান করায়, তখন সোহরাওয়ার্দীতে দেখা যেতো শয়ে শয়ে বিড়াল।
আমি ভয়ে ভয়ে গিয়ে বসতাম আব্বার বিছানায়। ছোট ছোট বেড়ালের বাচ্চা আমার কাঁধে ঝাপ দিতো। পায়ের কাছে বসে উচ্ছিষ্ট খেতো। লাথি দিতে চাইলে ফুসে উঠতো মা বেড়াল।
সেইসব দিন থেকে বেড়াল ঘৃনা করি আমি।

সিলেটের ভাষাটা পছন্দ হলো না আমার। শুধু তৃতীয় দিন পুরো কুমার পাড়া খুজেও যখন একটা বেড়ালও পাওয়া গেলোনা তখন বাসা ভালোবেসে ফেললাম। ভাষার দুঃখ ভুললাম কিছু।

ততদিনে আমার বেড়াল ভীতি - ঘৃনা আম্মা আর বাবুর পুরো সমর্থন আদায় করে নিয়েছে। বাসায় বেড়াল ঢুকলে আমি তারস্বরে চিতকার করতে করতে বাসার সবচেয়ে উঁচু জায়গা ডাইনিং টেবিলে উঠে দাঁড়িয়ে থাকি। আম্মা বাবু ঝাড়ু - লাঠি হাতে তাকে তাড়া করে।
একটা বেহায়া বাদামী বেড়াল বারবার তবু আসছিলো। বুয়া তাকে বাজারের ব্যাগে ভরে ছেড়ে আসলো কোথায়। আমার বাদামী শার্ট একদিন পড়তে দেবার শর্তে বাবু ব্যাগের ওপর গরম চায়ের কেতলী খালি করে দিলো।
(পরে জেনেছি চা ছিল ঠান্ডা। আমার ভাইয়ের মন খুব নরম কিনা)

তো বাবু যখন প্রথম বেড়ালের মাংশ মুখে দিলো, আম্মা ছিলেন একটু ভয়ে। বমি টমি করে দেয় যদি। সে শুধু বললো পরেরবার কালো দেখে এনো তো। শাদা বলে বোধহয় মাংশ টা একটু নরম। আম্মা স্বস্তি পেলেন। ঝোল বেশী নেই দেখে আমি একটু রাগ দেখালাম।

শুধু বেড়ালে হচ্ছিলো না আর। ঝর্নারপাড় তো আর সোহরাওয়ার্দী নয় যে লাখে লাখে বেড়াল চড়ে বেড়াবে। একটার বেশী দুটো পাওয়া যায়না একসাথে। এইটুকু খাবারে পেট ভরেনা তিনজনের। মাঝে মাঝে আম্মার লোভীর মতো খাওয়া দেখে বিরক্ত হই আমি। একদিন দেখি লুকিয়ে মাথাটা খাচ্ছে। ধরা পড়ে বলে, সারাদিন ঘরের কাজ করে খিদা লেগে যায় বাবা।

সেই আম্মা আর বাবুকে নিয়ে মহা সমস্যা। একটা ছোট কুকুর কাটবেনা কিছুতেই। সে নাকি কোনভাবে আম্মাকে মা বলে ডেকেছে। ছোটভাইও দেখি সুর মেলায়। আব্বা থাকলে,,,,। আরে শুয়োর, আব্বা থাকলে তো তুই শিং মাছই খেতি।
তবু তাদের দিকে তাকিয়ে মায়া হয়। পকেটের শেষ টাকা শেষ করে সব্জি কিনে আনি। সাথে ভাত। হায় ভাগ্য। সেদিনই ছোটচাচী এসে হাজির হন।আম্মা বোঝান, রানা - বাবু কেউ তো মাংশ খেতেই চায়না। ছোটচাচী দীর্ঘশ্বাস ফেলেন, ভাইজান বেঁচে থাকলে,,,,,,,

আমরা বেড়াল খাই কুকুর খাই ইঁদুর খাই। তেতো করলা পেলে শেয়াল খাই। কেন যেন এমনি খাওয়া যায়না এই মাংশ টা । ভাত কখনোই আমার তেমন পছন্দ না। এখন তো সহজ হিসাব। পাই না তাই খাইনা।

খুব যন্ত্রনা যাচ্ছে কদিন ধরে । খাদ্যযোগ্য কোনকিছুই সুলভ নয় আর। সেদিন দেখলাম হুজুর চাচার ছেলে মনজুরএকটা মরা কাক নিয়ে চোরের মতো কোথায় যেন যাচ্ছে। আরে সবাই কি আমাদের রাস্তা পেয়ে গেলো নাকি?

রাতে খেতে বসে মেজাজ খারাপ হয়ে গেল খুব। বস্তা বাধা তিনটা কুকুরের বাচ্চা পেয়ে নিয়ে এসেছিলাম। তিনটা কুকুরে এইটুকু মাত্র মাংশ হতেই পারেনা।
এরমধ্যে পায়ের একটা মাংশ নিয়ে বাবু আর আম্মার মাঝে বেঁধে গেল তুমুল ঝগড়া। আম্মা বলছেন এই টুকরো টা তিনিই আলাদা করে রেখেছিলেন খাবার জন্য। বাবু চেচাচ্ছে তোমাকে তো একঘন্টা হেঁটে কলেজে যেতে হয়না, তোমাকেই কেন খেতে হবে?

আমারো মাথা গরম হয়ে যায়। বাবু কত কষ্ট করে লেখাপড়া করে। আমার দম বের হয় ঘরের খরচ যোগাতে আর এই মহিলা ।
আমিও তর্ক শুরু করি বাবুর পক্ষে। তোমার লজ্জা করেনা কুকুরের মতো কুকুরের মাংশ খেতে?
আম্মা আমাদের দিকে ভীত চোখে তাকিয়ে থাকেন। আমরা লোভী চোখে চেয়ে থাকি আম্মার দিকে। কদিন পর হয়তো আমরা আম্মাকেও কেটেকুটে খেয়ে ফেলবো।


মন্তব্য

নজমুল আলবাব এর ছবি

এখানে মন্তব্য করার ক্ষমতা আমার নাই

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

ওয়াও!!!
দূর্দান্ত হয়েছে!!!

স্যালুট, রানা মেহের।

রানা মেহের এর ছবি

শিমুল
হাঁটু বাহিনীতে আপনি ভর্তি হলেন
না আমাকে ভর্তি করালেন?

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

মুগ্ধতা জানানোর ভাষা যখন মাথায় আসে না, তখন হাঁটু বাহিনী হাতড়ে স্যালুটটাই জানাতে হয়!

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

তব্দা খাইয়া থাকলাম কিছুক্ষণ

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

এইটা এইখানে ছাড়লেন ক্যান? সংকলনে যাওয়া উচিৎ আছিলো ...
................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...

রানা মেহের এর ছবি

কিংকর্তব্যবিমুঢ
আমি অবশ্য শব্দ গুনিনি।
ভেবেছি, অনুগল্পের আকার আরো ছোট হয়।
আপনি লিখছে তো সংকলনে?

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

বস আমিতো ব্লগার ... গল্প-কবিতা লিখি নাই কখনো, পারিও না ... তাই শুধু পড়ি হাসি
................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...

গৌরীশ রায় এর ছবি

রানা মেহের ,
তৃতীয় বা চতুর্থ শ্রেনীতে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের আঁকা " ছেয়াত্তরের মনন্তর " শুধু চোখে দেখেছিলাম , আপনিই দিলেন এর লিখিত রূপ।

তবে গল্প সংক্রান্ত কথা আছে। ঘোর কেটে গেলে বলা যাবে।

অভিনন্দন সহ

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

একটি সংশোধনী। যদি বুঝতে ভুল না করে থাকি, আপনি যে ছবিগুলির কথা বলেছেন - জয়নুলের আঁকা মন্বন্তরের ওই ছবিগুলি তেতাল্লিশের (বাংলা সন পঞ্চাশের)। জয়নুল আবেদীনের মৃত্যু হয় ৭৬-এ।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

কিন্তু "ছিয়াত্তরের মনন্তর" টার্মটা আমিও শুনছি ... এটা কোথা থেকে আসলো?
................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...

হিমু এর ছবি

বাংলা এগারোশো ছিয়াত্তর সনের দুর্ভিক্ষ। চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফল সম্ভবত। বাংলার তিনভাগের একভাগ মানুষ মারা গিয়েছিলো এই দুর্ভিক্ষে।


হাঁটুপানির জলদস্যু

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

কিন্তু তখন তো আর জয়নুল আবেদীন ছিলেন না। তাঁর নাম এর সঙ্গে কী করে জড়িয়ে গেলো কে জানে!

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

পথিক পরাণ এর ছবি

প্রায় আড়াই বছর পর এখানে লেখা ঠিক হবে কিনা ভাবছি। তবুও সাহস করে লিখে ফেললাম।
'ছিয়াত্তরের মন্বন্তর' কথাটির সাথে ইংরেজদের তথা লর্ড ক্লাইভের দ্বৈত শাসন ব্যবস্থার ইতিহাস যুক্ত। সাল - ১১৭৬ বাংলা; ১৭৭০ ইংরেজি।

জয়নুল আবেদিন ছবি এঁকেছেন বাংলা ১৩৫০ (ইংরেজি ১৯৪৩)-এর দুর্ভিক্ষ নিয়ে। তাঁর ছবিগুলোর শিরোনাম ছিল, যদি ভুল না হয়ে থাকে, মন্বন্তর ১... মন্বন্তর ৭ এইরকম। ম্যাডোনা ৪৩- এই দুর্ভিক্ষের উপর আঁকা তাঁর খুব বিখ্যাত ছবি।
১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষের উপর একটা বইএর নাম মনে এলো-- চার্চিলস সিক্রেট ওয়ার: দি ব্রিটিশ এম্পায়ার অ্যান্ড দ্য র‌্যাভেজিং অব ইন্ডিয়া ডিউরিং ওয়ার্ল্ড ওয়ার টু। লেখিকা জার্মান প্রবাসী বাঙালি গবেষক মধুশ্রী মুখার্জি। দুর্ভিক্ষের পেছনে ব্রিটিশ চার্চিলের নোংরা রাজনীতির ইতিবৃত্ত এতে কিছুটা পাওয়া যাবে। বলা হয়ে থাকে এপার ওপাড় মিলিয়ে প্রায় ৩০ লাখ লোক মারা গিয়েছিল এই মনন্তরে।

অসংখ্য ধন্যবাদ।

---------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ...

গৌরীশ রায় এর ছবি

আমি সঠিক মনে করতে পারছি না। আপনিই হয়ত সঠিক হবেন। কিন্তু " মনন্তর " শব্দটি ছিল , আমি নিশ্চিত। মনন্তর তো ছেয়াত্তরের সাথেই সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হয়।
আমি আবার ঘেঁটে দেখব। এবং আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

গৌরীশ রায় এর ছবি

মনন্তর বানানটা আমি যেভাবে লিখেছি , আপনি লিখেছেন ভিন্ন ভাবে। আমার কাছে কোন রেফারেন্স নেই , আপনি যদি অনুগ্রহ করে জানান কোন বানানটা সঠিক কৃতজ্ঞ থাকব।

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

শব্দটির বানান মন্বন্তর। চলন্তিকা অভিধান বলছে:

মন্বন্তর - দেশব্যাপী বিপত্তি বা দুর্ভিক্ষ ('ছিয়াত্তরের ---')

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

সুমন সুপান্থ এর ছবি

বহুদিন পর তোমার লেখা পড়া হলো রানা । যথারীতি তোমার লেখার উত্তাপ এখানেও মিললো !
শুভ কামনা থাকলো । অবিরাম নয়, বরং ভালো লিখো নিয়মিত ।

---------------------------------------------------------
নীল সার্ট নেই বলে কেউ আমাকে নাবিক বলেনি !
অথচ সমুদ্রে-ই ছিলাম আমি

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

মুশফিকা মুমু এর ছবি

omg .... আপনার লেখা পরে আমি কিছুক্খন স্তব্ধ হয়ে গেলাম। আপনার এই লেখার আমার পক্খে কমেন্ট করা সম্ভব না তবুও করতে ইচ্ছে হচ্ছে ... দারুন লিখেছেন

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

তীরন্দাজ এর ছবি

ভয়ঙ্কর গল্প! ভালো গল্প! অতি ভাল লেখার হাত! অদ্ভুত!
**********************************
যাহা বলিব সত্য বলিব

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

ধুসর গোধূলি এর ছবি
কানন এর ছবি

অন্যরকম একটা গল্প নিঃসন্দেহে । ভালো লাগলো ।

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

আরে ভাই, তুখোড়!
তিনবার তুখোড় বলবার পরে একবার বলি, ‌'গল্পটায় পরিবারের বর্ণনা আরো কিছুটা সংলাপ যোগ করা যেতেও পারে।
ডাবল পাঁচ!!!
::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::
মনে হয় তবু স্বপ্ন থেকে জেগে
মানুষের মুখচ্ছবি দেখি বাতি জ্বেলে

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

নাহ! একটা মন্তব্যে পোষাল না। আমার মন এরকম একটা কিছু খুঁজছিল এই সময়কে প্রকাশ করার জন্য। অভিবাদন।
::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::
মনে হয় তবু স্বপ্ন থেকে জেগে
মানুষের মুখচ্ছবি দেখি বাতি জ্বেলে

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

রানা মেহের এর ছবি

সুপান্থ ভাইয়া, মুম, তীরন্দাজ, ধুসর গোধুলী, কানন
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ফারুক ওয়াসিক - আমার নিজেরো মনে হয়েছে পরিবার টাকে আরেকটু ঠিকঠাক তুলে ধরা উচিত ছিল।
কিন্তু মাথা খেলেনা রে ভাই। ডাবল ধন্যবাদ ডাবল মন্তব্যের জন্য

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

আরিফ জেবতিক এর ছবি

মন্তব্য নেই । তব্দা খেয়েছি নি:সন্দেহে ।
বুকে চির ধরানো গল্প পড়ি মাঝে মাঝে , ফাটল ধরানো গল্প পড়লাম বহুদিন পরে ।
রানা মেহেরের আরেকটি ক্লাসিক মাইলস্টোন ।

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

দুর্দান্ত গল্প। এই লেখা পড়ে স্তব্ধ হয়ে যাওয়া ছাড়া আর কী প্রতিক্রিয়া সম্ভব?

গল্পের নামকরণটি ঠিক কী নির্দেশ করে বুঝতে পারিনি। কতকটা বিমূর্ত লাগলো।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

অমিত আহমেদ এর ছবি

গল্পের নামকরণটি ঠিক কী নির্দেশ করে বুঝতে পারিনি

আমিও না...


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

অমিত আহমেদ এর ছবি

আসলে ভাবলাম। রূপকার্থে নামটার অসাধারণ একটা অর্থ করা যায়।

পোকাদের দল বলতে আমরা ধরে নিতে পারি বোঝানো হচ্ছে আমাদেরকে। আম জনতাকে। আমরা পোকাদের মত শয়ে শয়ে জন্মাই। শয়ে শয়ে মরি। কেউ হিসাব রাখে না। কেউ ফিরে তাকায় না।

পাতকুয়া-কে বলা যায় অন্ধকার। পাতকুয়োর অন্তরালে সূর্যের আলো যায় না। এই অন্ধকার হতে পারে সভ্যতার অনুপস্থিতি। বর্বরতা। জ্ঞানহীণ। অন্ধত্ব। কিন্তু সেই পাতকুয়া কিন্তু থাকে সভ্যতার কাছাকাছি। সভ্য মানুষেরাই নিজ প্রয়োজনে কুয়ো খুঁড়ে নেয়।

অন্ধকার, অসভ্যতা থেকে আমরা, পোকামাকড়েরা সভ্য হয়েছি। হয়ে আবার প্রয়োজন মেটাতেই পাত কুয়োর অন্ধকারে ফিরে গিয়েছি।


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

স্নিগ্ধা এর ছবি

অসাধারণ !!!!!

মাহবুব লীলেন এর ছবি

রানা
কী এটা? কী?

৯৫এ আহমদ মিহনাজের প্রবন্ধ লেখা দেখে ঘোষণা দিয়ে প্রবন্ধ লেখা ছেড়েদিয়েছিলাম। তারপর আর একটা অক্ষরও লিখিনি

এই গল্পটা পড়ার পরে মনে হচ্ছে নিজের সবগুলো গল্প- সবগুলো কবিতা-সবগুলো বই ডিলিট করে ফেলি- পুড়িয়ে ফেলি

০২

কান্না নয়
আমার চোখ থেকে কেন যেন পানি পড়ছে আর সবকিছু ঝাপসা লাগছে গল্পটা পড়ার পরে
আমার মা বেশ স্বাস্থ্যবান মানুষ
হয়তো অচিরেই তাকে আমার খাদ্য তালিকায় ঢুকিয়ে দেবার মতো স্থানে চলে যাবো আমি কিংবা আমরা....

অনিন্দিতা এর ছবি

এমন ভয়ংকর সুন্দর গল্প বোধ হয় কখনো পড়িনি!

উদাস এর ছবি

মডু ভাইরা কে কোথায় আছেন, আমি সচলায়তনে আমি আগে যা সব লিখছি সব মুছে দেন। যেখানে এরকম একটা গল্প লেখা হয় সে জায়গাতে কলম চালানোর সাহস আমার আর নাই। এই গল্পে কোন কমেন্ট করার সাহস ও নাই।

হিমু এর ছবি

চমৎকার লাগলো পড়ে।


হাঁটুপানির জলদস্যু

রানা মেহের এর ছবি

আরিফ ভাইয়া - আর গালি দিওনা!!!

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

রানা মেহের এর ছবি

মুহম্মদ জুবায়ের - ধন্যবাদ।
আমি কখনো গল্পের নাম দিতে পারিনা। (এমনকি মানুষেরো!)
অতি প্রিয় একজন গল্পটা শুনে তিনটা নাম পাঠিয়েছিলেন।
এই নাম টাই কেন যেন কারণ ছাড়াই মনে হলো, যায়।

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

রানা মেহের এর ছবি

লীলেন ভাই
আপনি বলেন তো আমিই লেখা ছেড়ে দিই।
আর মা?
আমাদের মা যেন থাকেন দুধে ভাতে

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

রানা মেহের এর ছবি

স্নিগ্ধা অনিন্দিতা হিমু - অনেক ধন্যবাদ।
উদাস - এভাবে বলবেন না । বরং আপনি আরো বেশি লিখুন। আমরা কিছু ভালো লেখা পড়ি

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

নন্দিনী এর ছবি

অদ্ভুত সুন্দর !!!

নন্দিনী

হাসান মোরশেদ এর ছবি

যাক,অন্ততঃ লেখার সেই হাত বদলায়নি ।
---------------
..অথবা সময় ছিলো;আমারই অস্তিত্ব ছিলোনা

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

অমিত আহমেদ এর ছবি

ভালো লেগেছে।
আপনাকে বিপ্লব।


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

অতিথি লেখক এর ছবি

গল্পটা কয়েকবার পড়লাম, কিন্তু মন্তব্য করার সাহস হলোনা !
"অবিরাম নয়, বরং ভালো লিখুন নিয়মিত " - সুমন সুপান্থ'র মত এই দাবী আমারও
শুভ কামনা

জনৈক "বেক্কল ছড়াকার"

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

এই পোষ্টে সমস্যা কি বুঝতে পারছি না।
কাল রাত থেকে তিনবার চেষ্টা করলাম। মন্তব্য পাঠাই আর লাইন অফ হয়ে যায়। ৪র্থবার এবং শেষ বার বলতে চাচ্ছি, অসম্ভব এবং ভয়ংকর রকম সুন্দর একটা গল্প ! খুব অন্যরকম লাগলো।

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

অতিথি লেখক এর ছবি

অসাধারণ গল্প!! ধাক্কা খেয়ে গেছি!!

রানা মেহের এর ছবি

অলৌকিক - আমি জানি অলৌকিক কিছু ঘটবেনা।
খুব সাধারণ ভাবেই আপনি চমতকার অণুগল্প লেখে ফেলবেন।

মোরশেদ ভাইয়া অমিত আহমেদ বেক্কল ছড়াকার সুলতানা পারভিন শিমুল অতিথি লেখক - সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

রানা মেহের এর ছবি

নন্দিনী - এই মাত্র আপনার মন্তব্য দেখলাম। ধন্যবাদ

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

কনফুসিয়াস এর ছবি

সাংঘাতিক গল্প।
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

রানা মেহের এর ছবি

তাই??

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

অতিথি লেখক এর ছবি

ভয়ন্কর!!!! গল্পটা পড়ার পর থেকে মায়ের দিকে তাকাতে পারছিনা.....

কল্পনা আক্তার
কল্পনাআক্তার@হটমেইল.কম

.......................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা

জাহিদ হোসেন এর ছবি

কিছু কিছু লেখা পড়ে রাগে দুঃখে লেখা ছেড়ে দিতে ইচ্ছে হয়। মনে হয় খামাখা সময় নষ্ট করছি।
এই লেখাটি তেমনই একটি লেখা। ভয়াবহ রকমের সুন্দর।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

রানা মেহের এর ছবি

অমিত আহমেদ - শিরোনামের এতো চমতকার ব্যাখা আমি দিতে পারতামনা কোনভাবেই। কেন যেন মনে হচ্ছিল শিরোনাম ঠিক আছে। কেন ঠিক আছে বুঝতে পারছিলাম না। আপনো বুঝিয়ে দিলেন। অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

রানা মেহের এর ছবি

কল্পনা - ধন্যবাদ।
জাহিদ হোসেন - নির্বাসনে যাবার হাতছানি দেয়া লেখক, তাকে থেমে গেলে চলে?

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

নিঘাত তিথি এর ছবি

কি পড়লাম এটা?

কি বলব...রানা মেহের, প্লিজ লিখুন আরও। আরও।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

শিক্ষানবিস এর ছবি

খুব ভাল লাগছে। আজকে ভাগ্যটাই ভাল বোধহয়। ভাল ভাল সব গল্প পড়ছি।

রায়হান আবীর এর ছবি

মুহিব অনেক অনেক বার বলেছিল এই লেখাটা পড়তে। কিন্তু আমি নিজে বেড়াল ঘৃণা করি। প্রথমবার পড়ে তাই বেড়াল খাওয়া পর্যন্ত এসে আর আগাই নাই। আজকে পড়লাম।

আমার পড়া সেরা গল্প। বনফুলের একটা গল্প পড়ে মনে হয়েছিল এর চেয়ে ভালো গল্প আর হতে পারে না। আজকে ভুল ভাংগলো। বিশাল আকারে...

আপনাকে স্যালুট।

---------------------------------
জানিনা জানবোনা... কোন স্কেলে গাইছে কোকিল
গুনিনা আমি গুনিনা...কার গালে কটা আছে তিল

রেনেট এর ছবি

এই গল্পে মন্তব্য করার সাহস আমার নেই।
শুধু মুগ্ধতা জানিয়ে যাই।
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

সবজান্তা এর ছবি

বোঝাই যাচ্ছে এই সমগ্র সচলায়তনের সবচেয়ে বড় বেক্কলটা আমিই ! না হলে এরকম অদ্ভুত একটা গল্প, আমি পড়লাম কি না এত দিন পরে !

গল্প কেমন হল, সে নিয়ে মন্তব্য করলে তা মনে হয় শুধু আগের মন্তব্যগুলির প্রতিধ্বণিই হবে। শুধু এটুকুই বলি, সারা জীবনে আমি সাকুল্যে গল্প লিখেছি পাঁচ কি ছয়টা। আপনার এই লেখা পড়ার পর মনে হচ্ছে, এখনো গল্প লেখার বয়স কিংবা হাত আমার হয়নি। নতুন করে ভাবতে হবে সবকিছু।


অলমিতি বিস্তারেণ

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

এই লেখার পরে ক্যালেন্ডারের পাতায় ৬ মাস চলে গেছে। রানা মেহের এক লাইনও লিখলেন না!
হায়!

অমিত আহমেদ এর ছবি

এটা একটা ভালো জিনিস ধরেছো!
একদফা একদাবি
লেখাচাই দিতিহবি!


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

রানা মেহের এর ছবি

নিঘাত তিথি শিক্ষানবীশ রায়হান আবীর রেনেট সবজান্তা
আপনাদের যে কী বলে ধন্যবাদ দেবো!
ভালো থাকবেন অনেক
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

রানা মেহের এর ছবি

অমিত এবং শিমুল

মানিকজোড় এখানেও একসাথে?
ছমাস হয়ে গেছে বুঝি!!!!!!!!!!!!
আসলে ছমাস আগে কামলাগিরি থেকে ছুটি পেয়েছিলাম
তারপর কত চন্দ্রভূক অমাবশ্যা......

আপাতত লেখালেখি বাদ।
চ্যানেল অমিত শুনলাম
এখন ব্যাংকক কাহিনী ফ্রম চ্যানেল শিমুল শুনি।

আবার আমার ছোট্ট ঘরে আসায় খুব খুব ধন্যবাদ
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

টিকটিকির ল্যাজ এর ছবি

নজমুল আলবাব ভাইয়ের কথায় সুর মিলিয়ে বলি, এখানে মন্তব্য করার ক্ষমতা আমার নেই!! এমন শক্তিশালী লেখা সহসা পড়া হয় না!!

আপনার সাম্প্রতিক লেখার মাত্র দু'টো লিংক দেখতে পাচ্ছি, তাও অনেক আগের। আর লেখেননি?

রানা মেহের এর ছবি

টিকটিকির ল্যাজ - সবমিলিয়ে লিখতে পেরেছিই তিনটা
এটুকু লিখতেই জীবন বেরিয়ে গেছে।
আপনাদের মতো গটগট করে লিখে যেতে পারলে ঠেকাতো কে।
আপনি আমার ব্লগে ঢুকে লেখা খুজেছেন। অনেক ধন্যবাদ।
আপনি লিখুন। আপনার লেখা পড়ি
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

অতিথি লেখক এর ছবি

অণূ গল্প পড়ি না অনেক বছর ধরে।
বোধ হয় পাই না তাই খাই না ।
তোমার এ লেখা টা পড়ে আমার প্রথমেই মনে হয়েছে এ গল্প টাই অণু গল্পের শক্তির স্বার্থক উদাহরণ। নিজের মূ্র্ক্ষ্যতার জন্যে খুব লজ্জা লাগছে।
আর একটা কথা শুধু বলবো, শেষ দুটো লাইনে তোমার ব্যবহৃত ক্রমাণ্বয়ে দুটো " আমরা" শব্দটা পরিবর্তীত হয়ে " তুমি" হয়ে আমার চোখের সামনে ভাসছে।

-বহতা

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

নতুন গল্প না দেয়া পর্যন্ত এভাবে পুরনো গল্পে কমেন্ট করা হবে। বারবার। এবং আবার।

রানা মেহের এর ছবি

শিমুল তুলা
ইয়ার্কি হচ্ছে?
লালমিয়া ফ্যানক্লাব থেকে বহিস্কার করা হবে দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

এই গল্প যখন পোস্টান আমি তখনো সচল রাজ্যের সন্ধান পাইনি। আজ আরিফ জেবতিক-এর একটা লেখায় এর উল্লেখ পেয়ে এনকিদুর লেখায় আপনার একটা মন্তব্য থেকে আপনার ব্লগের লিঙ্ক বের করে এই গল্প পড়লাম। আপনি নিয়মিত পোস্টালে এই অ্যাতোটা পথ হাঁটতে হত না। অবশ্য এই হাঁটায় কোন খেদ নেই। জেবতিকের প্রতি কৃতজ্ঞতা লেখাটার উল্লেখ করায়।

আর আপনাকে কী বলব? যে এমন গল্প লিখতে পারে, সে গল্প না লিখে এমন দিনের পর দিন চুপচাপ থাকে কী করে? এই ঘরানা গল্প শেষ কবে পড়েছি মনে নেই। তাই এর তার সাথে খামোখা তুলনা করব না। বরং বলা ভাল এটা আপনারই স্টাইল। প্লিজ, গল্প লেখা চালিয়ে যান। হাবিজাবি ব্লগ লেখার জন্য আমার মত অনেকে আছে, গল্প লেখার মানুষ খুব খুব কম।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

রানা মেহের এর ছবি

প্রিয় ষষ্ঠ পান্ডব
এটা কী বললেন?
আপনাদের মতো 'হাবিজাবি' লিখতে পারলে
কত কী যে করে ফেলতাম জীবনে মন খারাপ
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

পরিবর্তনশীল এর ছবি

অবাক হয়ে গেলাম আমার জীবনে পড়া সেরা কয়েকটা গল্পের একটাতে আমার কোন কমেন্ট নাই দেখে। কত লক্ষবার এই গল্প পড়েছি!

আপু, আমি কখনোই আপনাকে নতুন গল্প লিখতে অনুরোধ করবো না। কারণ এই একটা গল্প পড়েই আমি জানি- আপনি আমার প্রিয় কয়েকজন গল্পকারের মধ্যে একজন!
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

রাফি এর ছবি

আপনার মত লেখকের কাছ থেকে নিয়মিত লেখা না পাওয়াটা আমাদের মত পাঠকদের জন্য খুব হতাশার..

এগল্পের পাশে দাঁড়াতে পারে এমন কোন লিখা গত কয়েকবছরের মধ্যে পড়েছি বলে মনে করতে পারছি না।

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

আরিফ জেবতিক এর ছবি

এতো কম লিখে সচলায়তনের দামী সদস্যপদ দখল করে বসে থাকবে একজন , এটা তো হতে পারে না।
মডুদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। (রাগের ইমো)

রানা মেহের এর ছবি

আমি ছোট আমাকে মেরোনা
(হাপুস হুপুস কান্নার ইমো)
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

এইটা আমার রানা'পু
এইটা আমার রানা'পু
এইটা আমার রানা'পু
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

যুধিষ্ঠির এর ছবি

আবারও পড়লাম। নাহ, এই গল্প নিয়ে এখনো মন্তব্য দেয়ার যোগ্যতা বা সাহস হয়নি। হবেও না।

আপনাকে অনেকদিন পরে সচলে দেখে শুধু এইটুকুই লিখলাম, আনোয়ার সাদাত শিমুলের এই প্রয়াসটা চালিয়ে নেয়ার জন্যে -

নতুন গল্প না দেয়া পর্যন্ত এভাবে পুরনো গল্পে কমেন্ট করা হবে। বারবার। এবং আবার।

রানা মেহের এর ছবি

লিখতে পারিনা যুধিষ্ঠির
একদমই পারিনা মন খারাপ
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

তাই? দেঁতো হাসি

একটা লেখা দিলে কী হয়! মন খারাপ

রানা মেহের এর ছবি

মন্তব্য করেই লোকজনের বকা খাই
লিখলে বোধহয় মার খাবো মন খারাপ
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

মুস্তাফিজ এর ছবি

কম লিখেন ভালো, কিন্তু আরেকটু নিয়মিত হলে আমরা কিছু শিখতে পারতাম।

.........................................
I think what I think because that's how I am. You think what you think because that's how you are.

...........................
Every Picture Tells a Story

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আন্দোলনের ধারাবাহিকতা রক্ষায় আবারও কমেন্ট করছি। নতুন গল্প না পাওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

এরকম লেখা না দিয়ে শুধু মন্তব্য করলে বকা খাওয়াই উচিত না?



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

রানা মেহের,

গতকাল আমার সহধর্মিনী সচলে ঘুরে আপনাকে আবিষ্কার করলেন। বললেন- রানা মেহেরের গল্প পড়ো , ভালো লাগবে। আপনার ব্লগটা বুকমার্ক করে রেখেছিলাম। পরে পড়বো বলে। আজ সকালে দেখি আপনি আমার গল্পে মন্তব্য করেছেন। তারপর আর দেরি না করে আপনার ব্লগে ঢুকে এই গল্পটা পড়লাম। অনেক, অনেক ভালো গল্প। আরো বেশি করে লেখেন ভাই। ভালো লেখকরা কম লিখলে কেমনে হয় !

এই সপ্তায় একটা নামান প্লিজ।

নাশতারান এর ছবি

দু'হার উজাড় করে তারা দিতে ইচ্ছে করে।
আপনি এতো কম কেন লেখেন?

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

জুয়েইরিযাহ মউ এর ছবি

মাঝে মাঝে খুব লোভী হয়ে যাই...
তৃষ্ণার্ত হয়ে... আকুল হয়ে কিছু অসাধারণ লেখা পড়তে মন চায়...
কী করে বোঝাবো কতটা চমৎকার লেখা পড়া হল...!!!
কী করে আর বোঝাই আপু... হাসি

---------------------------------------------------------------
নির্জলা নৈবেদ্য


-----------------------------------------------------------------------------------------------------

" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি

চয়নিকা [অতিথি] এর ছবি

আমি অভিভূত...................অনন্য...অসাধারণ

আশীফ এন্তাজ রবি এর ছবি

অসাধারণ। পুরাই তব্দা।

তিথীডোর এর ছবি

নুতন/ পুরোনো কোন পোস্টে 'গল্প' ট্যাগ দেখলে সব্বার আগে এই গল্পটার কথা মনে পড়ে...

আপুরে,
কী হয় একটা নুতন লেখা দিলে??

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

নীলকান্ত এর ছবি

ঠিক ঠিক!! কি হয় একটা নতুন লেখা দিলে?কৃপণ'পু খাইছে
আর আমাকে কিনা বলা হয় আমি লেখা দেই না কেন?
নতুন কিছু লিখুন। আমরা একটু তব্দা খাই।


অলস সময়

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

নতুন গল্প না দেয়া পর্যন্ত এভাবে পুরনো গল্পে কমেন্ট করা হবে। বারবার। এবং আবার।

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

দময়ন্তী এর ছবি

হ্যাঁ বন্ধুগণ চলুন সবাই মিলে দায়িত্ব নিয়ে এটাকে প্রথম পাতায় ভাসিয়ে রাখি৷

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

কবি-মৃত্যুময় এর ছবি

সহমত।

রিসালাত বারী এর ছবি

এই গল্পটা আমি আরো অসংখ্যবার পড়ব।

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

সত্যি বলতে কি এর আগে আপনার কোনো লেখা আমি পড়ি নি, আজ পড়ে আজ রাতে আর অন্য কিছু পড়তে ইচ্ছে করছে না...

কবি-মৃত্যুময় এর ছবি

ভাত দে হারামজাদা, নইলে মানচিত্র খাবো

প্রকাশনা অসাধারণ বললেও কম বলা হয়!!! চলুক চলুক

রিসালাত বারী এর ছবি

গল্পটা আবার পড়লাম এবং আবারো নতুন গল্পের দাবীস্বরুপ কমেন্ট করে গেলাম।

সাফি এর ছবি

এমন একটা গল্প এতদিন পড়িনাই! ভয়ংকর গল্প। আপনি আর লেখেন না কেন?

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

একটু অপেক্ষা করেন - উনার ছেলেটা বড় হোক (বয়স এখন মাস দুয়েক)। মায়ের না লেখা গল্পগুলো ছেলেই লিখে দেবে।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

পথিক পরাণ এর ছবি

''অন্ধকারে যাঁহার বাস, মৃদু আলোতে তাহার চোখ ঝলসাইয়া যায়। আর প্রকাণ্ড সূর্যের আলোক রশ্মির সামনে পড়িলে সে হইয়া যায় অন্ধ।''
গল্পটা পড়ার পর আমার অবস্থা এমন। এই রকম তুখোড় একটা শব্দের মিছিলের সামনে আমি নির্বিবাদে ডুবে গেলাম। আহ, ডুবেও শান্তি!

সচলপাঠ-এর লেখক মর্ম আপু/ভাইয়াকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই লিংকটি দেবার জন্য।

-------------------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ...

কল্যাণ এর ছবি

দুর্দান্ত গুরু গুরু

ধৃষ্টতা ক্ষমা করবেন, তবে শেষে এসে

কদিন পর হয়তো আমরা আম্মাকেও কেটেকুটে খেয়ে ফেলবো।

এই লাইনটা না থাকলেই বরং শেষটা আরোও শক্তিশালী হত মনে হল। না বলা কথাইতো কখনো কখনো অনেক বেশি প্রকট হয়ে ওঠে?

সম্পাদনাঃ গল্পের নামটা গল্পের সাথে মিলাতে পারলাম না ইয়ে, মানে...

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

সুবোধ অবোধ এর ছবি

তেতাল্লিশের মন্বন্তর নিয়ে কৃষণ চন্দরের 'অন্নদাতা' পড়ার পর এমন থম মেরে বসে ছিলাম!!!
এটা পড়েও একই অবস্থা!!!
গুরু গুরু

সচলে লেখার সাহস-ই তো উবে গেল!!!!
চরম উদাস ভাই কে ধন্যবাদ,কারণ উনার একটা মন্তব্যের রেশ ধরেই এই লেখার স্বন্ধান পেলাম!!!

তানিম এহসান এর ছবি

মন্তব্য করার সক্ষমতা নেই!

বাপ্পীহায়াত এর ছবি

আবারও পড়লাম - ভাবলাম এই সুযোগে রানা'পুর কাছে আবার-ও নতুন একটা লিখার আবদার জানাই।
(১০০ নম্বর মন্তব্য বলে কথা হাসি )

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

মন খারাপ ভয়ঙ্কর সুন্দর

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

নজমুল আলবাব এর ছবি

কেনো জানিনা এই লেখায় মন্তব্য করা হয়নি। অথচ প্রথম যারা পড়েছিলেন তাদের একজন আমি। সম্ভবত তব্দানূভূতির জন্য এটা হয়েছে।

এটা এমন একটা লেখা, এমন একটা গল্প, যার লেখকের সাথে ব্যক্তিগত সম্পর্কের জন্য অহঙ্কার করা যায়।

খেকশিয়াল এর ছবি

সচলে কিছু গল্প পরে পড়বো বলে রেখে দিয়েছিলাম। তার মধ্যে এটা একটা। আলবাব ভাইয়ের মন্তব্যের কারণে আবার উঠে আসলো গল্পটা। পড়ে ফেললাম, আর তব্ধা খাইলাম!

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

কড়িকাঠুরে  এর ছবি

যতবারই পড়া হোক না কেন চুপ করে বসে থাকতেই হয়। ...

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

আমি প্রায়ই এই গল্পটা খুঁজে খুঁজে পড়ি। বড় ভালো লাগে।

চরম উদাস এর ছবি

এটা মনে হয় সচলে আমার সবচেয়ে বেশীবার পড়া লেখা ।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

এই গল্পের ঘোর থেকে বোধহয় আমি জীবনেও বের হতে পারব না

তাপস শর্মা এর ছবি

পড়েছি ঘণ্টা দুয়েক আগে। স্পিচলেস

অতিথি লেখক এর ছবি

এর চেয়ে অসাধারন কোন ছোট গল্প আমি আমার জীবনে পড়িনি। একটানা ৪বার পড়লাম, চোখের ভিতর কি জানি নড়েচড়ে উঠলো, ঝাপসা হতে শুরু করেছে দৃষ্টি। শেষ প্যারাটা এতো অসাধারণ হয়েছে যে কোন ভাষা দিয়ে তাকে ব্যাখা করা যাবে না।

মাসুদ সজীব

নওশীন এর ছবি

একবার পড়েছি, আবার পড়ার সাহস পাচ্ছি না।সব কেমন জানি উলট পালট লাগছে
সবার মতন আমিও বলতে চাই -''নতুন গল্প না দেয়া পর্যন্ত এভাবে পুরনো গল্পে কমেন্ট করা হবে। বারবার। এবং আবার।''

তিথীডোর এর ছবি

আবার ঠ্যালা দিয়ে গেলাম।

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

আয়নামতি এর ছবি

ষষ্ঠ পাণ্ডবদার লেখাটা নীড় পাতা থেকে সরানোর জন্য(তাহলে দ্বিতীয় পর্বটা জলদি পড়বার সুযোগ হয়)
একটা ফাউল লেখা পোস্টবো বলে এসেছিলাম। এই গল্পটা পড়ে সে ইচ্ছেটা উবে গেলো!
আমার খুব খুব পছন্দের রানা মেহের নামের এই মহিলার লেখার প্রেমে পড়েই আমার সচলে থেকে যাওয়া, আর তিনিই লিখালিখি
ছেড়ে দিয়ে কি নিয়ে এত ব্যস্ত বুঝি না বাপু! ঠিকই তো একটা লেখা দিলে কী হয়?? বাবুটা তো এখন কিছুটা বড় হয়েছে।
এতসব পাঠকের হাঁকডাকরে অবহেলা করলে পেটে ব্যথা হয় কিন্তু!

অতিথি লেখক এর ছবি

কার মন্তব্যে সূত্র পেলাম এখন মনে করতে পারছি না। মাথা শূণ্য হয়ে গেছে।

স্বয়ম

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।